মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৫

ডিম চপ

ডিম চপ
উপকরণ : সেদ্ধ ডিম ৪টি, সেদ্ধ আলু ৩ কাপ, কাচা ডিম ২টি, টোস্ট গুঁড়া ১কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, আদা কুচি ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, টেস্টিং সল্ট আধা চা চামচ, সাধারণ লবণ পরিমাণ মতো, তেল পরিমাণ মতো।
যেভাবে তৈরি করবেন : প্রথমে কড়াইয়ে তেল গরম করে নিন। গরম তেলে পেঁয়াজ কুচি, আদা বাদামি রং করে ভেজে কাঁচামরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামিয়ে নিন। তেল ঝরিয়ে সেদ্ধ আলুগুলো পেঁয়াজের সঙ্গে মেখে নিন। এরপর আলুর সঙ্গে গোলমরিচ ও জিরা গুঁড়া মাখিয়ে আটটি ভাগ করে নিন। দ্বিতীয় পর্বে ৪টি সেদ্ধ ডিম লম্বা করে দুই ভাগে কেটে আটটি ভাগ করে নিন। অর্ধেক করে কাটা ডিমের পিস আলুর মধ্যে ভরে চপের মতো আকার করুন। এবার অন্য একটি পাত্রে কাচা ডিম দটি ফেটিয়ে চপগুলো ডিমে ডুবিয়ে টোস্টের গুঁড়া মেঘে ডুবো তেলে ছেড়ে দিন। ভাজা হয়ে গেলে তুলে ফেলুন। হয়ে গেলো ডিম চপ। এবার টমেটো সস বা তেঁতুলের চাটনি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

টক ঝাল মিষ্টিতে ভরপুর আপেলের চাটনি

টক ঝাল মিষ্টিতে ভরপুর আপেলের চাটনি
যা লাগবে
আপেল চাক করে কাটা ৮০০ গ্রাম
আস্ত সরিষা ২ চা চামচ
শুকনা মরিচ ফাঁকি ২ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো ১/৪ চা চামচ
লেবুর রস ১/৪ কাপ
চিনি ১/৪ কাপ
সরিষার তেল ৩ টেবল চামচ
লবণ ১ চিমটি

 



প্রণালি

-প্রথমে হাড়িতে তেল দিয়ে তেল গরম হলে আস্ত সরিষা দিন ।
-ফুটে উঠলেই এতে হলুদ গুঁড়া আর চাক করে কাটা আপেল দিয়ে নাড়াচাড়া করুন ১ মিনিট।
-এখন এতে বাকি সব উপকরণ আর হাফ কাপ পানি দিয়ে রান্না করুন ১০ মিনিট।
-ঝোল টা যখন ঘন হয়ে আসবে আর আপেল্গুলু সিদ্ধ হয়ে নরম হয়ে গেলেই বুঝবেন হয়ে গেছে ।
-নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন। এবার কাঁচের বয়মে ভরে নিন। ফ্রিজে রেখে দেড় থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারেন এই চাটনি !
-ডাল ভাত,পোলাও কিনবা পরোটার সাথে দারুন জমে এই চাটনি !

গরুর মাংসের সুস্বাদু কালো ভুনা

গরুর মাংসের সুস্বাদু কালো ভুনা
এক কেজি মাংস রান্না করতে প্রয়োজন হবে ১ কাপ তেল, পিঁয়াজ কুচি মোটা করে ১ কাপ, হলুদ ১ চা চামচ, মরিচের গুঁড়ো, আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা বাটা ১ টেবিল চামচ করে। সাথে ৩/৪টা এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, গোলমরিচ, তেজপাতা আর সবশেষে লবণ পরিমাণমতো।

প্রথমেই মাংস মাঝারি আকার করে কেটে নিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর একটা চালুনিতে নিয়ে মাংস থেকে পানি ঝরান। এবার একটা পাত্রে সব মসলা ও মাংস মিশিয়ে ভালোমতো কষান।

ভালোভাবে কষানোর পর মাংসের ওপর তেল উঠে আসবে। এরপর আবার ২/৩ কাপ পানি ঢেলে দিন। এতে মাংস সেদ্ধ হতে সহজ হবে। সবার শেষে আরেকটি পাত্রে অল্প করে তেল ঢেলে নিয়ে অল্প আঁচে মাংস কালো করে ভেজে নিন। কালো কালো হয়ে যাওয়ার পর চুলা থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

চিংড়ির কাবাব

চিংড়ির কাবাব
উপকরণ : চিংড়ির কিমা এক কাপ, কাঁচামরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, সিদ্ধ আলু পরিমাণমতো, কর্নফ্লাওয়ার পরিমাণমতো, ডিম ২টি, ব্রেডক্রাম পরিমাণমতো, টমেটো সস পরিমাণমতো, লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি : ডিম, ব্রেডক্রাম ও তেল বাদে সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার পছন্দমতো আকারে গড়ে ডিমে ডুবিয়ে ব্রেডক্রাম মেখে ডুবো তেলে বাদামি করে ভাজতে হবে।

চিকেন নাগেট

চিকেন নাগেট
উপকরণঃ
মুরগির মাংসের কিমা-৫০০গ্রাম
পেঁয়াজ (কেটে নেয়া) – ১টি
ডিম-১টি
পাউরুটির স্লাইস- ৬টি
ব্রেডক্রাম্ব- ১কাপ
ময়দা- ১কাপ
পানি- ১/২ কাপ
রসুনবাটা- ১চা চামচ
লবণ- ১চা চামচ
গোলমরিচ গুঁড়ো- ১/৪ চা চামচ
তেল- ভাজার জন্য
পদ্ধতিঃ
মুরগির মাংসের কিমা, পাউরুটির স্লাইস, রসুন, গোলমরিচ গুঁড়ো, লবণ ও পেঁয়াজ একসাথে নিয়ে একটি ফুড প্রসেসরে মিক্স করে নিন। এই মিশ্রণটি একটি বাটিতে নিন এবং ১ টেবিল চামচ করে মিশ্রণ নিয়ে নাগেটের আকৃতি দিন। আরেকটি পাত্রে ডিম ফেটিয়ে নিন এবং পানি মেশান। এবার অপর একটি পাত্রে ব্রেড ক্রাম্ব নিন। এখন নাগেট গুলো এক এক করে নিয়ে পর্যায়ক্রমে ময়দা, ডিম এবং ব্রেডক্রাম্ব মেখে নিন। কয়েকটি করে নাগেট নিয়ে ৫-৬ মিনিট ডুবো তেলে ভাজুন, সোনালি-বাদামি রঙ না আসা পর্যন্ত। টমেটো সসের সাথে উপভোগ করুন মজাদার চিকেন নাগেট।

স্বাস্থ্যকর খাবার এগ টমেটো স্যুপ তৈরি করুন খুব সহজেই!

স্বাস্থ্যকর খাবার এগ টমেটো স্যুপ তৈরি করুন খুব সহজেই!
বিকেল বেলা হালকা ক্ষুধা লাগে। আর এই সময়টাতে কি খাবেন আর কি খাবেন না সেটা নিয়ে অনেকেই বেশ দ্বিধায় ভোগেন। বিকেলের নাস্তায় স্বাস্থ্যকর কিছু খেতে চাইলে এগ টমেটো স্যুপ তৈরি করতে পারেন।

খুব সামান্য তেলে রাঁধা যায় এবং ডিমের কুসুম ও কর্ণফ্লাওয়ার ব্যবহার করা হয়না বলে যারা ডায়েট করছেন তাদের জন্যও এটা হতে পারে আদর্শ খাবার। জেনে নিন এগ টমেটো স্যুপের সহজ রেসিপিটি।

উপকরণঃ

টমেটো বড় ৩ টি
ভিনেগার ২ চা চামচ
পেঁয়াজ কুচি ১ টি
সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১/৪ চা চামচ
তেল ১ টেবিল চামচ
ডিমের সাদা অংশ ৩ টি
চিকেন স্টক ৫ কাপ
চিনি ১/২ চা চামচ
লবণ পরিমাণমত
সয়াসস ১ টেবিল চামচ
ধনেপাতা কুচি
প্রস্তুত প্রণালি –

ফুটানো পানিতে টমেটো দিয়ে দিন। পাতলা খোসা ফেটে গেলে টমেটো তুলে খোসা ছাড়িয়ে নিন। টমেটোগুলোকে টুকরা করে নিন।
একটি পাত্রে তেল গরম করে নিন।
তেলে পেঁয়াজ ভাজুন। পেয়াজ সেদ্ধ হয়ে গেলে চিকেন স্টক, সয়াসস, ভিনেগার,গোলমরিচ এবং পরিমানমতো লবণ ও চিনি দিয়ে দিন।
ফুটে উঠার পরে মৃদু আঁচে ১০ মিনিট চুলায় রেখে দিন।
ডিমের সাদা অল্প ফেটে নিন। এরপর উপর থেকে ধীরে ধীরে স্যুপে ডিমের সাদা ঢেলে দিন। ডিম নেড়ে দিন
স্যুপে টমেটো দিয়ে ৩ মিনিট মৃদু আঁচে ফুটিয়ে নিন।
চুলা থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার এগ টমেটো স্যুপ।

'বেবি ব্লুজ' বা 'প্রসব পরবর্তীকালীন বিষন্নতা'

'বেবি ব্লুজ' বা 'প্রসব পরব্ররতীকালীন বিষন্নতা'
কিছুদিন আগে এক দাওয়াতে গিয়ে 'বেবি ব্লুজ' বা 'প্রসব প্রসব পরবর্তীকালীন বিষন্নতা' নিয়ে কথা ঊঠেছিলো।
টেবিলে বসা পুরুষদের একাংশের ধারণা এটা মর্ডান মেয়ে / মায়েদের হয় যেহেতু তারা ক্যারিয়ার / শপিং / স্টাইলিং ইত্যাদিকে জীবনে অত্যাধিক প্রাধান্য দিয়ে থাকে যা আগের যুগের মায়েদের বেলায় হতনা ।
সেই রাত থেকেই মনে হচ্ছে একজন ডাক্তার ও মা হিসেবে আমার উচিত আমার বন্ধুদের কিছু জানানো যা আমি জানি;

বেবি ব্লুজ : বই অনুযায়ী ৭০% - ৮০% মায়েদেরই হয় । আমার ধারণা আরো বেশি সংখ্যায় হয়ে থাকে কিন্তু ডাক্তারের কাছে 'কেস' খুব কম আসে বলেই বইএ ডকুমেন্টেড কম আছে।

হওয়ার কারণ :
প্রেগন্যান্সির সময় প্রয়োজনীয়  হরমোন ১০০ - ১০০০ গুন (100- 10000 fold decrease) কমে যাওয়া
এবং MAO - A হরমোনের হঠাত বেড়ে যাওয়া যা ব্রেইন সেলে বিষন্নতা উতপন্নকারী হরমোন বাড়িয়ে দেয় ।

সময় : প্রসবের পর থেকে শুরু হয় এবং ২-৩ সপ্তাহ স্থায়ী হয় সাধারণত ।
দিনে কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টা হতে পারে এর স্থায়ীত্বকাল ।

স্টেজ: মোটা দাগে তিন ভাগে ভাগ করা যায় ।
(লক্ষণ সমূহ হিসেব করলে ডাক্তারী হিসেব মতে মোট ৬ টা স্টেজ , কিন্তু যারা ডাক্তার নন আবার সচেতন থাকতে চান তারা তিনটা জানলেই চলবে )
ক) বেবি ব্লুজ
মন খারাপ হয় কারণ ছাড়া, শুধু শুধুই কান্না পায় ( weeping ), খুব বেশি গূরুতর কারণ ছাড়াই বিরক্তি লাগে , মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে , বাচ্চা ও বাচ্চার যত্ন নিয়ে অতিরিক্ত টেনশন হয় (বাচ্চার বাবার কোলে বাচ্চা দিতেও টেনশন হয় )
এর প্রতিকার :
শুধু মিস্টি ব্যাবহার , সহানুভূতীপূর্ণ কথা ও ব্যাবহার ( তুমি ঠিক পারবে , সবারি এরকম অসুবিধা হয় আর এটাই স্বাভাবিক ) বাচ্চা সামলাতে সহানুভূতিশীল সাহায্যই যথেস্ট '
'আমরা তো অমুক করেছি' বা 'আমরা যেন আর বাচ্চা সামলাই নাই ' টাইপ কথা বলা মানুষজনকে ১০০ x ২ = ২০০ হাত দূরে রাখা খুব দরকারী।

খ) পোস্টপারটাম ডিপ্রেশন :
বাচ্চা হবার তিন মাস পরেও যখন লক্ষণসমূহ থেকেই যায় বরং আগের সমস্ত লক্ষণ আরো প্রকট হয় , নিজের ছোট্ট বাচ্চাকে সহ্য করতে না পারা , নিজের উপরে নিজের অসন্তোস , নিজের ক্যারিয়ার + নিজের রূপ সবকিছু নিয়ে হিনমন্যতায় ভোগা, নিজের জীবনের প্রতি মায়া চলে যাওয়া
এর প্রতিকার :
কোন এমন মানুষের সাথে মনের কথা বলা যার উপরে মা পূর্ণ বিশ্বাস রাখেন , বাচ্চা সামলানোর জন্যে সাহায্যকারী যাতে মা অন্য কিছু করেও নিজেকে ভুলিয়ে রাখতে পারেন, একটু কোথাও ঘুড়ে আসা তা পাশের পার্কেও হতে পারে

গ) পোস্টপারটাম সাইকোসিস :
মা মনে করতে থাকেন শুধু তিনি মরে গেলেই মানুষ বুঝবে যে তিনি তার শিশুকে কত্ত ভালোবাসতেন , আত্মহত্যার প্রচেষ্টা এবং শিশুকে মেরে ফেলার ঘটনাও লিপিবদ্ধ আছে ।

পরিশেষে বলবো , এরকম আগেও হত ( ঘরে ছোট ভাইবোন আসার পরে মায়ের পিট্টি খাওয়া বা অতিরিক্ত কাজের চাপ নিয়ে মায়ের খিটখিটে হয়ে যাওয়া বা মা- বাবার / মা- দাদীর ঝগড়া বেড়ে যাওয়ার স্মৃতি মনে করে দেখুন ) আর এর সাথে 'MODERNISM' কোন সম্পর্ক নেই ।

' উত্তম ব্যাবহারেই উন্নত বংশের পরিচয় ' আর 'সৃস্টিকর্তাও একজন প্রসবিনীর প্রসব-পূর্ব সমস্ত পাপ মাফ করে দেন ' এগুলো তো অনেক প্রচলিত জানা কথা ।
কাজেই একটু ধৈর্য ধরে সহানুভূতীশীল ব্যাবহার করুন কারণ প্রতিটি মা-ই তার সন্তানকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসেন । তাকে মন ও শরীরে সম্পূর্ণ সুস্থ একজন মা হয়ে ওঠার সময়টুকু দিন প্লিজ

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.