মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৬

তৈরি করে ফেলুন স্বাস্থ্যকর সয়া ক্ষীর

ranna banna o beauty tips
স্বাস্থ্যকর সয়া ক্ষীর
বাঙালীর ঘরে যখন তখন ডেজার্ট মানেই হলো ক্ষীর। এই ক্ষীর তৈরিতে যদি আনা যায় একটু অন্যরকম স্বাদ, তাহলে কেমন হয় বলুন তো? ইদানিং সয়া প্রোটিন দিয়ে অনেকেই অনেক খাবার তৈরি করছেন। সয়া গ্র্যানিউলস দিয়ে তৈরি করে ফেলতে পারেন এই স্বাস্থ্যকর সয়া ক্ষীর। মাত্র ১৫ মিনিটে খুব সহজে তৈরি হয়ে যাবে এই খাবারটি।
উপকরণ:

-   পৌনে এক কাপ সয়া গ্র্যানিউলস
-   আড়াই কাপ দুধ
-   ৫ টেবিল চামচ চিনি
-   ১ চা চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার, ১ টেবিল চামচ পানিতে গুলানো
-   সিকি চা চামচ এলাচি গুঁড়ো
-   আধা চা চামচ জাফরান, ২ চা চামচ দুধে গোলানো
-   ১ চা চামচ কাঠবাদাম কুচি গার্নিশের জন্য
-   এই রেসিপি অনুযায়ী ৪ বাটি ক্ষীর হবে। প্রতি বাটি ক্ষীরের পুষ্টিগুণ:
-   এনার্জি- ২৬৪ কিলো ক্যালোরি
-   প্রোটিন- ১০.৪ গ্রাম
-   কার্বোহাইড্রেট- ২৬.৪ গ্রাম
-   ফ্যাট- ১০.২ গ্রাম
-   ফাইবার- ২.৩ গ্রাম
-   ভিটামিন এ- ২৪১.৯ মাইক্রোগ্রাম
-   ক্যালসিয়াম- ২৯৪.৬ মিলিগ্রাম
-   আয়রন- ১.৫ মিলিগ্রাম
প্রণালী

১) সয়া গ্র্যানিউলগুলোকে গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ঢাকনা চাপা দিয়ে রেখে দিন ৫ মিনিট।
২) ৫ মিনিট পর পানি ঝরিয়ে ধুয়ে নিন ২-৩ বার।
৩) বড় একটা প্যানে দুধ ফুটিয়ে নিন। ক্রমাগত নাড়তে থাকুন।
৪) এতে সয়া গ্র্যানিউল, চিনি এবং কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে দিন। ভালো করে মিশিয়ে নিন। মাঝারি আঁচে নাড়তে থাকুন। ৪-৫ মিনিট অথবা ক্ষীর ঘন হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।
৫) ওপরে এলাচ গুঁড়ো এবং জাফরান দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিনিটখানেক পর নামিয়ে নিন।
তৈরি হয়ে গেলো দারুণ স্বাস্থ্যকর সয়া ক্ষীর। এটাকে ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে রেখে দিন। খাওয়ার সময় হলে ওপরে বাদাম কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।

সহজে ঝটপট ব্রাউনি

ranna banna o beauty tips
সহজে ঝটপট ব্রাউনি
ব্রাউনি খেতে ভালোবাসেন? তাহলে দেখে নিন নাজিয়া ফারহানার ঝটপট ব্রাউনির রেসিপি। বলাই বাহুল্য যে খুবই সহজ এই রেসিপিটি।
উপকরণ
১.ময়দা -৩/৪ কাপ
২.কোকো পাউডার -১/৪ কাপ
৩.চকো চিপস -১ কাপ
৪.মাখন - ২৫০ গ্রাম
৬.চিনি -১ কাপ
৭. ডিম -৩ টা
প্রনালী
-প্রথমে ডবল বয়েলারে মাখন আর চিনিটা গলাতে হবে।
-এবার এতে কোকো পাউডার আর চকো চিপসটা দিয়ে নাড়তে হবে।
-সব গলে ভালো মতো মিশে গেলে ডবল বয়েলার থেকে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিতে হবে।
-ঠান্ডা হয়ে এতে ১ টা ১টা করে ডিম দিয়ে মেশাতে হবে।
-সবশেষে ময়দা দিয়ে ভালো মতো মিশিয়ে মোল্ডে ঢালতে হবে।
-ওভেন ১৭০ এ প্রিহিট করে ৪০ মিনিট বেক করতে হবে।
-ব্যস হয়ে গেলো মজাদার ব্রাউনি। ঠান্ডা হলে টুকরা করে কেটে পরিবেশন করতে হবে।

ময়দা ছাড়াই তৈরি করে ফেলুন মজাদার চকলেট কেক

চকলেট কেক
আচ্ছা কেক তৈরি করতে কোন উপাদান লাগে? সবার আগে নিশ্চয় ময়দার নামটা মাথায় আসবে, তাই না? কিন্তু ময়দা ছাড়াও কেক তৈরি করা সম্ভব! কি, শুনে অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ ময়দা ছাড়াও কেক তৈরি করা সম্ভব। আসুন তাহলে জেনে নিন ময়দা ছাড়া কেক তৈরির রেসিপিটি।
উপকরণ:
  • ১/২ কাপ(১১০ গ্রাম) মাখন
  • ৫টি (১১০ গ্রাম) হালকা মিষ্টি চকলেট
  • ৩টি ডিম
  • ১/২ কাপ(১০০ গ্রাম) চিনি
  • ১ টেবিল চামচ ( ৮ গ্রাম) চিনিছাড়া কোকো পাউডার
  • এক চিমটি লবণ
  • কফি মুজ
  • ২ টিডিমের কুসুম
  • ১/২ কাপ (১০০গ্রাম) চিনি
  • ১.৫ (১২ গ্রাম) কর্ণ ফ্লাওয়ার
  • ২/৩ কাপ (১৬০ মিলিগ্রাম) গরম দুধ
  • ১/২ চা চামচ (৪ গ্রাম) ইন্সট্যান্ট কফি
  • ১/২ চা চামচ (৫ গ্রাম) জেলেটিন পাউডার
  • ২ টেবিল চামচ ঠান্ডা পানি
  • ১ কাপ (২৪০ গ্রাম) হুইপড ক্রিম
প্রণালী:
১। একটি প্যানে গরম পানিতে একটি পাত্রে মাখন এবং চকলেট গুলিয়ে নিন। ভাল করে মিশে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করতে দিন।
২। এখন ডিম থেকে কুসুম আলাদা করে নিন।
৩। একটি ডিমের কুসুম, কোকো পাউডার এবং লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিন।
৪। ডিমের সাদা অংশ ভাল করে ফেটে নিন। এর সাথে চিনি যোগ করে আবার ফেটে নিন। এমনভাবে ফাটুন যাতে ফেনা উঠে।
৫। তারপর ডিমের ফেনা উঠানো ফোম অল্প অল্প করে চকলেট মিক্সের সাথে মিশিয়ে নিন।
৬। এইবার মিশ্রণটি একটি প্যানে ঢেলে ফেলুন। এবার এটি ৩৫০ ফারেনহাইট বা ১৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে ২৫ মিনিট ওভেনে ব্রেক করতে দিন।
৭। ডিমের কুসুম এবং চিনি খুব ভাল ফেটে নিন।
৮। তারপর এতে কর্ণ ফ্লাওয়ার, গরম দুধ মিশিয়ে নিন।
৯। অল্প আঁচে মিশ্রণটি জ্বাল দিতে থাকুন। জ্বাল দেওয়ার সময় আস্তে আস্তে নাড়ুন।
১০। ঘন হয়ে গেলে এটি চুলা থেকে নামিয়ে এতে ভ্যানিলা এসেন্স, ইন্সট্যান্ট কফি পাউডার দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
১১। এরপর জেলেটিন পাউডার এবং ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে নিন।
১২। ৫-১০ মিনিট পর এটি চুলায় দিয়ে দিন। ১৩। অল্প আঁচে এটি চুলায় জ্বাল দিন। ১৪। জেলেটিনটি কফির মিশ্রণের সাথে মিশিয়ে নিন।
১৫। হুইপড ক্রিম ভাল করে বিট করে নিন। ১৬। প্রথমে হুইপড ক্রি্মের কিছু অংশ জেলেটিনের সাথে মিশিয়ে নিন।
১৭। তারপর সম্পূর্ণ অংশটুকু হুইপড ক্রিমের সাথে মিশিয়ে ফেলুন।
১৮। এই হুইপড ক্রিমের মিশ্রণটি কেকের উপর ভাল করে লাগিয়ে ফেলুন।
১৯। এবার কেকটি ২-৪ ঘন্টা বা সারারাত ফ্রিজে রাখুন।
২০। কেকটি সাবধানে প্লেটে সাজিয়ে নিন।
২১। কেকটির উপর কোকো পাউডার ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।

সুস্বাদু কাশ্মীরী আলুর দম তৈরি করুন সহজেই

ranna banna o beauty tips
কাশ্মীরী আলুর দম
রেলগাড়ি ঝমাঝম, পা পিছলে আলুর দম- ছোটবেলায় কে না কেটেছে এই ছড়া? কিন্তু এই আলুর দম আসলে খাওয়ার সৌভাগ্য সবার হয় না। বেশিরভাগ বাড়িতে রান্নায় হরদম আলুর যাওয়া-আসা। মাছ, মাংস, সবজি এবং ভাজিতে আলুর কমতি না থাকলেও শুধুই আলুকে কেন্দ্র করে দারুন মুখরোচক আলুর দমের স্বাদ নিয়েছেন কম মানুষই। আবার সেই রান্নাটায় যদি থাকে কাশ্মীরী ধাঁচ, তাহলে কেমন হয়? হ্যাঁ, ছবিতে ছবিতে আজ দেখে নিন কাশ্মীরী আলুর দমের রেসিপি।
উপকরণ

  • - ৭/৮টা বড় আলু
  • - ২ কাপ পিঁয়াজ কুচি
  • - আধা ইঞ্চি আদা
  • - ৬/৭ কোয়া রসুন
  • - ২ কাপ টমেটো কুচি
  • - ২ টেবিল চামচ কাজুবাদাম
  • - ২ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
  • - ১ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
  • - সিকি চা চামচ গরম মশলা
  • - ১ চা চামচ আস্ত জিরা
  • - ৪/৫টা শুকনো মরিচ
  • - ৩/৪টা তেজপাতা
  • - সিকি কাপ টক দই
  • - ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
  • - আধা চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
  • - ১ চা চামচ কাশ্মীরী মরিচ গুঁড়ো
  • - ২ টেবিল চামচ কাসুরি মেথি
  • - ১ চা চামচ চিনি
  • - লবণ স্বাদমতো
আলুগুলোকে ছিলে কাঁটাচামচ বা ছুরি দিয়ে কেঁচে নিন। এরপর এগুলোকে পানিতে সেদ্ধ করে নিন যাতে নরম হয়ে যায়। পিঁয়াজ এবং টমেটোগুলোকে কুচি করে নিন। ২ টেবিল চামচ কাজুবাদামের সাথে ২ টেবিল চামচ পানির পেস্ট তৈরি করে নিন।
 প্রথম ধাপ: কিছুটা তেল গরম করে নিন তাওয়ায়। এতে জিরা এবং তেজপাতা দিন। এতে কুচি করা পিঁয়াজ দিয়ে সোনালি করে ভেজে তুলুন। আদা-রসুন থেঁতো করে দিয়ে দিন এই তেলে। অল্প একটু চিনি এবং লবণ দিন, এতে রসুনের বেরেস্তা হবার প্রক্রিয়া ভালোমতো হবে।
দ্বিতীয় ধাপ: এবার এতে দিয়ে দিন হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, কাশ্মীরী মরিচ গুঁড়ো, আস্ত শুকনো মরিচ, কাজুবাদামের পেস্ট, টমেটো কুচি এবং স্বাদ অনুযায়ী লবন। মাঝারি আঁচে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিন ৩-৪ মিনিট।
তৃতীয় ধাপ: এরপর দিয়ে দিন জিরা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো এবং গরম মশলা গুঁড়ো, ঢেকে দিয়ে রান্না করুন ১৫ মিনিট। যদি গ্রেভি আঠা আঠা হয়ে যায় তাহলে আরেকটু পানি দিতে পারেন।
চতুর্থ ধাপ : সেদ্ধ আলুগুলোকে অর্ধেক করে কেটে নিন। হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো এবং কাশ্মীরী মরিচ গুঁড়ো মেখে নিন।
পঞ্চম ও ষষ্ঠ ধাপ: পাত্রটি ঢেকে রান্না করুন যাতে পিঁয়াজ এবং টমেটো একেবারে নরম হয়ে যায়। টক দইয়ের সাথে একটু পানি মিশিয়ে পেস্টের মতো করে নিন। চুলা বন্ধ করে দিন এবং গ্রেভি ঠাণ্ডা হতে দিন ৫ মিনিট। এরপর দই দিয়ে দিন এতে। এরপর এতে আলুগুলো দিয়ে দিন এবং ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার ঢেকে রান্না করুন ১৫ মিনিট। এর পর ওপরে দিয়ে দিন কাসুরি মেথি এবং কিছুটা মাখন।
তৈরি হয়ে গেলো কাশ্মীরী আলুর দম। এবার রুটি বা পরোটার সাথে পরিবেশন করুন একে। ওপরে ধনেপাতা কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন। দিতে পারেন একটু ফ্রেশ ক্রিমও।
 
 

গরম ভাতের স্বাদে ভিন্নধর্মী শুঁটকি ভর্তা

ranna banna o beauty tips
গরম ভাতের স্বাদে ভিন্নধর্মী শুঁটকি ভর্তা
শুঁটকি খেতে ভালোবাসেন? একটু নতুন কোন রেসিপি চাই? তাহলে জেনে নিন বীথি জগলুলের এই রেসিপি। দুই রকম মাছ মিলিয়ে মজাদার একটি ভর্তা তৈরি করেছেন তিনি। 
যা প্রয়োজন
  • দুই রকম শুঁটকি- দেড় কাপ
  • পিঁয়াজ- বড়ো ২টি
  • রসুন- বড়ো ২টি
  • শুকনামরিচ- ৭-৮টি
  • কাঁচামরিচ- ৪-৫টি
  • হলুদ গুঁড়া- সামান্য
  • লবণ- স্বাদমতো
  • ধনেপাতা- ইচ্ছা

যেভাবে করবেন
-শুকনা তাওয়ায় শুঁটকি টেলে খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে সামান্য হলুদ-লবণ ও পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিন।
-সেদ্ধ করা পানি শুকিয়ে ফেলুন।
-শিল-পাটায় মিহি করে শুঁটকি বেটে নিন। শুকনামরিচ টেলে রাখুন।
-পিঁয়াজ-রসুন একটু মোটা কুচি করে টেলে নিন। এবার বেটে রাখা শুঁটকির সাথে অন্যান্য সব উপকরণ হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিন।
-গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

সোমবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৬

ঘরেই তৈরি করে রাখুন সারা বছরের টমেটো সস

ranna banna o beauty tips
টমেটো সস
কমতে শুরু করেছে টমেটোর দাম। কিছুদিন বাদেই হয়ে উঠবে আরও সস্তা। হ্যাঁ, এটাই সুযোগ কিন্তু সারা বছরের জন্য টমেটো সস তৈরি করে রাখার। চলুন, তাহলে জেনে নিই সুমনা সুমির টমেটো সস তৈরির রেসিপি।
উপকরণ
  • পাকা টমেটো ১কেজি
  • অলিভ ওয়েল ১/৪কাপ
  • শুকনো মরিচ টালা গুঁড়ো ১ টেবিলচামচ
  • রসুন কুচি ২ টেবিলচামচ
  • পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিলচামচ
  • ওরিগেনো ১চা চামচ
  • বেসিল লিভস ১/২ চা চামচ
  • পারসলে কুচি ১/২কাপ
  • গোল মরিচ গুঁড়ো ১/২চা চামচ
  • চিনি ১/২কাপ
  • ভিনেগার ১/৪কাপ
  • ফিস সস ১টেবিলচামচ ও ফুড কালার ১/২ চা চামচ (এই দুটো ঐচ্ছিক)
প্রনালি
-টমেটোর গায়ে কাঁটা চামচ বা ছুরি দিয়ে একটু কেঁচে নিন।
-হাঁড়িতে ২ লিটার পানি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। টমেটো দিয়ে ১মিনিট রাখুন। ১মিনিট পরে টমেটো উঠিয়ে খোসা ছিলে নিন। টমেটো কুচি করে নিন।
-অন্য একই সস প্যানে তেল দিয়ে পেঁয়াজ, রসুন দিয়ে নরম করে ভাজুন। ভিনেগার ও ফিস সস বাদে বাকি সব উপকরণ ও টমেটো কুচি দিয়ে নাড়ুন। ফুটতে থাকলে চুলার আঁচ একদম কমিয়ে ঢেকে ১ ঘন্টা রান্না করুন। চুলা বন্ধ করে মিশ্রনটি ঠান্ডা করে নিন।
-এখন মিশ্রনটি ব্লেন্ডারে দিয়ে মিহি পেস্ট করে নিন। এই মিশ্রনটি আবার চুলাতে দিন। ভিনেগার ও সস দিন। চাইলে ফুড কালার দিতে পারেন। সসের মত ঘন করে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে এটি আরও ঘন হবে।
-বোতলে ভরে ফ্রিজে রাখুন। ৩ মাস পর্যন্ত ভাল থকবে এটি। ডিপ ফ্রিজে রেখে দিলে ভালো থাকবে সারা বছর। যখন প্রয়োজন অল্প করে বের করে নেবেন।

বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৬

সহজলভ্য নারিকেল তেলের ৪টি কার্যকরী ফেসপ্যাক

ranna banna o beauty tips
নারিকেল তেলের ৪টি কার্যকরী ফেসপ্যাক
নারিকেল তেলের নাম শুনলে মনে হয় চুলের কথা। আদিকাল থেকে চুলের যত্নে নারিকেল তেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু আপনি জানেন কি, নারিকেল তেল শুধু চুলের জন্য নয় ত্বকের জন্যও বেশ উপকারী? শুষ্ক প্রাণহীন ত্বককে নরম, কোমল, প্রাণবন্ত করতে নারিকেল তেলের জুড়ি নেই। শুধু তাই নয় ফেসপ্যাক তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় নারিকেল তেল।

 লেবুর রস, মধু এবং নারিকেল তেলের ফেসপ্যাক 

১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল, ২ চা চামচ বিশুদ্ধ মধু এবং ১/২ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। মুখ পরিস্কার করে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। একটি নরম তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। 

২। নারিকেল তেল এবং হলুদ 

১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল এবং এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এই প্যাকটি মুখ এবং ঘাড়ে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।  এটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে থাকবে।

 ৩। হলুদ গুঁড়ো, কলা এবং নারিকেল তেল 

১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল, ১/২ পাকা কলা এবং এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। ত্বক পরিষ্কার করে প্যাকটি লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। পাকা বা খুব বেশি পাকা কলা হলে ভালভাবে ম্যাশ করা যায়। 

৪। নারিকেল তেল, টক দই এবং জায়ফল 

১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল, ১ চা চামচ জায়ফল এবং ১ টেবিল চামচ টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এবার এই প্যাকটি ম্যাসাজ করে ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানি বা ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বক আদ্র করে বলিরেখা দূর করে থাকে। নারিকেল তেলের এই প্যাকগুলো আপনার ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে ব্রণের দূর করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের কালো দাগও দূর করে থাকে।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.