বুধবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৬

নখের ভঙ্গুরতা ঠেকাতে

ranna banna o beauty tips
নখের ভঙ্গুরতা ঠেকাতে
সুন্দর দুটি হাতের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে নিতে নখ বড় রাখার বিকল্প নেই। এটি তরুণীদের একটি প্রিয় অভ্যাসও বটে। আজকাল ফ্যাশন সচেতন অনেক তরুণও নখের মাথা সামান্য বড় রাখতে পছন্দ করেন। নিজেদের সাজকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে পরিচ্ছন্ন নখের আবেদন থাকে সব সময়। তবে কারো কারো নখ একটু বড় হলেই তা ভেঙে যায়। বিশেষ করে শীতের এই সময়টাতে নখ ভঙ্গুরতার হার বেশি দেখা যাচ্ছে। যাদের নখের গঠন কিছুটা নরম প্রকৃতির হয় তাদের এই সমস্যাটি বেশি হয়ে থাকে। নখের ভঙ্গুরতা ঠেকাতে অবলম্বন করা যেতে পারে কিছু কার্যকরী ব্যবস্থা।

- এক চা চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নখে মাখতে হবে। এই মিশ্রণটি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে প্রতিদিন ব্যবহারে আপনার নখ হয়ে উঠবে মজবুত। নখ ভেঙে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে আর আপনি পাবেন পরিচ্ছন্ন স্বাস্থ্যোজ্জ্বল নখ।

- আধা চামচ লবণ, আধা চামচ লেবুর রস এক কাপ পানিতে মিশিয়ে গরম করে নিন। লবণযুক্ত সেই গরম পানিতে নখ ডুবিয়ে রাখতে হবে ১৫ মিনিট। প্রতি সপ্তাহে একবারই যথেষ্ট। এভাবে চর্চা করে গেলে নখ মজবুত হবে।

- বিভিন্ন প্রকার তেল যেমন- তিলের তেল, বাদামের তেল, অলিভ অয়েল হাত পায়ের নখের জন্য বেশ উপকারী। তিনে ৩ বার তুলা ভিজিয়ে এই তেল হাত ও পায়ের নখে মাখলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

- রান্না-বান্না, সবজি কাটা কিংবা পাতিল ধোয়ার সময় গ্লাভস পরে নিলে নখে চোট লাগে কম। বিশেষ করে বাগান করার সময় অবশ্যই গ্লাভস পরে নেয়া উচিৎ। এতে নখে চাপ পড়ে না। তাছাড়া গ্লাভস পরে নিলে বারে বারে ক্ষতিকর ডিটারজেন্ট ও ডিশ ওয়াসার লাগে না। ফলে নখ দূর্বল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

- সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পর পেট্রোলিয়াম জেলি, ক্যাস্টর ওয়েল অথবা অলিভ ওয়েল মাখুন। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্তত একবার এভাবে নখে ও নখের আশেপাশের ত্বক ময়শ্চারাইজ করে নিন। এতে নখের ভঙ্গুরতা কমে এবং রুক্ষ ভাব দূর হয়।

- সব সময় নেইল পলিশ লাগিয়ে রাখা অথবা ঘন ঘন নেইল পলিশ রিমুভার ব্যবহার করলে নখের ভঙ্গুরতা বেড়ে যায়। এধরণের রাসায়নিক পদার্থ গুলো নখের আদ্রতা কেড়ে নেয় এবং নখকে দূর্বল করে দেয়। তাই সব সময়ে নেইল পলিশ লাগিয়ে না রেখে মাঝে মাঝে বিরতি দেয়া ভালো।

- প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যুক্ত খাবার রাখুন। এছাড়াও অন্যান্য ভিটামিন যেমন ভিটামিন এ, সি, ডি ইত্যাদিও নখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খান যেগুলোতে প্রচুর ভিটামিন আছে। খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন ই পর্যাপ্ত না পেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন। এতে শরীরের ভেতর থেকে নখে পুষ্টি পৌছাবে এবং নখ শক্ত ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল হবে।

গোড়ালি ফাটা রোধে কার্যকরী উপায়

ranna banna o beauty tips
গোড়ালি ফাটা রোধে কার্যকরী উপায়
শীতের সকালে কাঁথা কম্বলের আদুরে পরশ থেকে বের হতে একদমই ইচ্ছা করে না। তবু বিছানা ত্যাগ করতে হয় কাজের তাগিদে। আড়মোড়া ছাড়তে ছাড়তে বিছানা থেকে মেঝেতে পা ফেলা। আর তখনই গোড়ালিতে কিঞ্চিৎ ব্যথার অনুভূতি। কেউ এটাকে পাত্তা দেন, কেউ হুড়মুড়িয়ে উঠতে গিয়ে টেরই পান না। শীতে ত্বকের শুষ্কতা পায়ের গোড়ালি ফাটা বা ব্যথা হওয়ার অন্যতম কারণ। দেহের অন্যান্য অংশের চেয়ে পায়ের গোড়ালির ত্বক অত্যান্ত পুরু ও শক্ত হয়। তাই গোড়ালি ফাটার প্রবণতা বেশি থাকে। পায়ের গোড়ালির যত্নে দরকার সচেতনতা। নইলে খুব সুন্দর সাজের সঙ্গে অসামঞ্জস্য পা দুখানা আপনার সম্পূর্ণ ইমেজটিই নষ্ট করে দেবে। জেনে নিতে পারেন পায়ের গোড়ালি ফাটা রোধ এবং নরম ও কোমল রাখার কার্যকরী উপায়।

- প্রথমত পা সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। ধুলাবালি পায়ের সবচেয়ে বড় শত্রু। তাই কাজ শেষে ঘরে ফিরে সামান্য স্ক্রাব বা ঘষে পা ধুয়ে নিন। পায়ে ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার থেকেও বিরত থাকতে হবে। পা ধোয়ার পর পা ভেজা থাকা অবস্থায় মুছে ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভোলা যাবে না।

- সকালে বিছানা থেকে নামার আগেই পায়ের গোড়ালিতে একটু পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। নিয়মিত করতে পারলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন। কারণ পা ফাটার শুরু হয় এসময় থেকেই। তাই ব্যবস্থা শুরুতেই নিলে খুব বেশি ভয় থাকে না।

- গোসলের আগে পায়ে তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বক নরম থাকবে। তিল তেল বা যেকোনো ভেজিটেবল অয়েল পায়ের জন্য খুবই উপকারী। সারা বছর পায়ের ত্বক নরম রাখতে তিল তেল ভালো। ম্যাসাজের আগে সম্ভব হলে তেল অল্প গরম করে নিন।

- সপ্তাহে এক দিন পায়ের বিশেষ যত্ন নিতে পারেন। সেজন্য রাতে শোবার আগে উষ্ণ গরম পানিতে লবণ, শ্যাম্পু মিশিয়ে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখতে হবে। গরম পানির স্পর্শে গোড়লির মরা ত্বক নরম হলে স্ক্রাবার বা পা ঘষার পাথর দিয়ে গোড়ালি ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। এতে মরা ত্বক ঝরে পড়বে, ফাটাও দূর হবে।

- পায়ের যেকোনো পরিচর্যায় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে ত্বক কোমল হয়। অপরদিকে ঠাণ্ডা পানি ত্বককে আরও শক্ত করে ফেলে। বাইরে থেকে ফিরে সামান্য গরম পানিতে পা ধুয়ে নিয়ে আলতো করে ময়েশ্চারাইজার ও গ্লিসারিন মালিশ করে নিলেও উপকার পাবেন।

- পায়ের ত্বকের কোমলতার জন্য ময়দা, হলুদের গুঁড়া, লেবুর রস ও টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক হিসেবে লাগালে উপকার পাবেন।

- পায়ে মুলতানি মাটি, শসার রস, কমলার রস ও টকদই একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।

- নিয়মিত পরার জুতাটি শক্ত হলেও পা ফাটতে পারে। এ জন্য সব সময় পায়ের পক্ষে আরামদায়ক জুতা পরার চেষ্টা করুন। শীতে পায়ের গোড়ালি ঢাকা জুতা পরাই ভালো।

- যারা বাইরে নিয়মিত বের হন ও বেশি হাঁটাহাঁটি করেন তারা মোজাসহ পা-বন্ধ জুতা পরতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, পা যেন না ঘামে। প্রতিদিন পরিষ্কার মোজা পরুন।

- পায়ে ঘাম ও ধুলোময়লা জমে অনেকেরই ছত্রাক সংক্রমণের সমস্যা দেখা যায়। এতে অতিরিক্ত পা ফাটার প্রবণতাও থাকে। সে ক্ষেত্রে জটিলতা বেশি হলে বা সংক্রমণ হয়েছে মনে হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

নাস্তায় মুচমুচে নুডুলস বল

ranna banna o beauty tips
নাস্তায় মুচমুচে নুডুলস বল
ঝটপট নাস্তা তৈরিতে প্রথমেই মনে আসে নুডুলসের কথা। ডিম, সবজি বা মাংসের মিশেলে মজাদার নুডুলস খেতে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু মাঝে মাঝে এর ভিন্নতা ঘটলে মন্দ কি? নিজেদের খাওয়াসহ অতিথি আপ্যায়নে দ্রুত তৈরি করা যায় নুডুলস বল। পছন্দের সসের সঙ্গে মুচমুচে নুডুলস বল হয়ে উঠতে পারে বিকেলে নাস্তার সঙ্গী। বাড়ির ছোট সদস্যদের যখন তখন রকমারি খাবারের বায়না মেটাতেও দারুণ উপযোগী। তাই এক নজরে দেখে নিন মুচমুচে নুডুলস বলের সহজ রেসিপি।

যা যা লাগবে

ম্যাগি নুডুলস ২ প্যাকেট, ডিম ১ টি, পেঁয়াজ কুচি ২ টি, কর্ন ফ্লাওয়ার পরিমাণ মতো, ম্যাগি মসলা, আলু বা গাজর কুচি অল্প করে, লবণ পরিমাণমতো, তেল ভাজার জন্য।

যেভাবে করবেন

নুডুলস হালকা সেদ্ধ করে তার সঙ্গে সব উপকরণ মেখে নিতে হবে। মিশ্রণটি আঠালো করতে প্রয়োজনীয় কর্ন ফ্লাওয়ার দিয়ে দিন। এবার বলের আকারে করে তেলে ভাজতে হবে। বাদামী রঙ হলে তুলে কিচেন টিস্যুতে মুড়ে রাখুন। বাড়তি তেল টিস্যুতে চুষে নেবে। ব্যাস, হয়ে গেল নুডুলস বল। এবার পছন্দের টমেট সস দিয়ে খেতে পারেন মুচমুচে নুডলস বল।

চকলেটের স্বাদে মজাদার বিবিখানা পিঠা

ranna banna o beauty tips
বিবিখানা পিঠা
মজাদার এই বিবিখানা পিঠা তৈরি করে থাকেন অনেকেই। চলুন, আজ জেনে নিই একই পিঠার ভিন্ন স্বাদের একটি রেসিপি। চকলেটের স্বাদে বিবিখানা পিঠার রেসিপি দিচ্ছেন বীথি জগলুল।
যা প্রয়োজন
চালের গুঁড়া-২ কাপ
ঘি- ১/২ কাপ
গুঁড়া দুধ-১ কাপ
কোকো পাউডার- ২ টে চামচ
গুড়- ২ কাপ
ডিম- ৩টি
কোড়ানো নারকেল- ১ কাপ
এলাচ গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
লবণ- ১ চিমটি
পানি- ১ কাপ
বাদাম/কিসমিস- ইচ্ছা
প্রণালী
-চালের গুঁড়া হালকা করে টেলে নিন। কেনা গুঁড়া হলে টালার দরকার নেই ।
-গুড় পানিতে জ্বাল দিয়ে ছেঁকে নিন। কোকো পাউডার, এলাচ গুঁড়া, গুঁড়া দুধ আর ডিম ভালো করে মিশিয়ে তারপর গুঁড়ের পানির সাথে মেশান।
-এইবার এই মিশ্রণের সাথে চালের গুঁড়া এবং ঘি মিলিয়ে নিন। সবশেষে নারকেল মিলিয়ে নিন।
-বেকিং ডিশে ঘি ব্রাশ করে খামির ঢেলে প্রি-হিটেড ওভেনে ১৬০' ডিগ্রী তাপে ৪০-৪৫ মিনিট বেক করুন ।
-৪৫ মিনিট পর একটি কাঠি বা টুথপিক ঢুকিয়ে দেখে নিন,কাঠিতে কিছু না লেগে থাকলে বুঝতে হবে পিঠা হয়ে গেছে। ৪০-৪৫ মিনিটের বেশী সময় লাগার কথা নয়।
-পিঠা পুরোপুরি ঠান্ডা হলে কেটে টুকরা করে পরিবেশন করুন।

নাস্তায় হয়ে যাক মজাদার স্প্যাগেটি

ranna banna o beauty tips
স্প্যাগেটি
রোজ রোজ সেই একই রুটি পরোটা খেয়ে হাঁপিয়ে উঠেছেন? স্বাদ বদলে চলুন আজ হয়ে যাক গার্লিক ফ্লেভারের সুস্বাদু স্প্যাগেটি। সকাল সকাল ভিন্ন স্বাদের এই খাবারটির রেসিপি নিয়ে এসেছেন শারমিন হক।

উপকরণ
- স্প্যাগেটি ১ প্যাকেট
- রসুন কুচি ৪ কোয়া
- এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ ওয়েল ৩ টেবিল চামচ
- শুকনা মরিচকুচি ২টা
- ওরিগানো হাফ চা চামচ (না দিলেও হয়)
- ধনেপাতা কুচি
- ওয়েস্টার সস ১ টেবিল চামচ (না দিয়েও হয়)
- লবণ পরিমানমত


প্রস্তুত প্রণালি
-হাঁড়িতে পানি ফুটে উঠলে সামান্য লবণ দিয়ে স্প্যাগেটি সিদ্ধ করে নিন।
-এবার ফ্রাইপ্যানে তেল, রসুনকুচি, মরিচকুচি, লবণ দিয়ে কিছুক্ষন ভেজে তাতে স্প্যাগেটি দিয়ে দিন।
-ভাল নেড়ে তাতে অয়েস্টার সস ও ওরিগানো,ধনেপাতা দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন। এবার গরম গরম পরিবেশন করুন।

মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৬

রেইনবো কেক

ranna banna o beauty tips
রেইনবো কেক
একটু রঙিন কেক খেতে বাচ্চারা কিন্তু বেশ ভালোবাসে। চলুন, জেনে নিই নাজিয়া ফারহানার রেইনবো কেক রেসিপি। 
উপকরণ  
  • ডিম ৪ টা (নরমাল তাপমাত্রা)  
  • ময়দা ১ কাপ 
  • বেকিং পাউডার ১ চা চামচ 
  • চিনি গুঁড়ো করা ১ কাপ 
  • তেল ১/২ কাপ 
  • পাওডার দুধ ১/২ কাপ 
  • লাল রং ১ চা চামচ 
  • নীল রং ১ চা চামচ 
  • হলুদ রং ১ চা চামচ 
  • সবুজ রং ১ চা চামচ 
  • ভ্যানিলা এসেন্স ১ চা চামচ  
প্রনালি :
 প্রথমে ডিমের সাদা অংশ ভাল করে বিট করে ফোম করে নিন। -চিনি দিয়ে বিট করুন ২/৩ মিনিট। ডিমের কুসুম দিয়ে বিট করুন ২/৩ মিনিট। তেল দিয়ে বিট করুন।   -ময়দা + দুধ + বেকিং পাউডার একসাথে চেলে নিয়ে ডিমে দিয়ে আস্তে আস্তে দিয়ে বিট করুন। -essence দিয়ে বিট করুন। -এবার ব্যাটারটা সমান ৫ ভাগে ভাগ করুন। একেকটা ভাগে একেকটা রং মেশান।  -তারপর কেকের ডাইসে প্রথমে এক চামচ রং দিয়ে , তার উপর অন্য একটা রং দিতে হবে. এভাবে সব রং এর ব্যাটার গুলা ডাইসে দিয়ে দিন।  -তারপর ইলেকট্রিক ওভেন এ ৪০/৪৫ মিনিট ২০০ ডিগ্রী তে বেক করব। হয়ে যাবে মজাদার রেইন বো কেক। 

রুমালী রুটি

ranna banna o beauty tips
রুমালী রুটি
রেস্টুরেন্টে সকালের নাস্তায় যে খাবারগুলো বেশি খাওয়া হয় তার মধ্যে পরোটা অন্যতম। পরোটার পরই রয়েছে রুমালি রুটির চাহিদা। তেলের কারণে অনেকই পরোটা খেতে চান না, তেল ছাড়া তৈরি করা হয় বলে এই রুমালি রুটি সবার বেশ পছন্দের। চলুন, জেনে নিই রেস্টুরেণ্টের মত রুমালী রুটি তৈরির সহজ রেসিপিটি।
উপকরণ:
১ কাপ আটা
২ কাপ ময়দা
১/২ চা চামচ (২-৩ চিমটি) বেকিং সোডা
১ চা চামচ লবণ
১-২ চা চামচ তেল
১.৫ কাপ পানি
প্রণালী:
১। প্রথমে আটা, ময়দা, লবণ, বেকিং সোডা এবং তেল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
২। এবার এতে অল্প একটু পানি মিশিয়ে আটা নরম করে নিন।
৩। এবার এতে বাকী পানিটুকু দিয়ে ভাল করে ডো তৈরি করুন।
৪। ডোটি একটি সুতির পাতলা কাপড় দিয়ে ১৫-২০ মিনিট ঢেকে রাখুন।
৫। ২০ মিনিট পর হাতের তালুতে কিছু তেল নিয়ে ডোটি আবার মাখুন।
৬। এখন ডোটি থেকে অল্পএকটু ছিড়ে নিয়ে গোল করে পাতলা রুটি তৈরি করে নিন।
৭। রুটিটি যেন অনেক পাতলা হয়
৮। এখন তাওয়াটি উল্টো করে চুলায় গরম করতে দিন।
৯। তাওয়া গরম হয়ে গেলে এতে রুটিটি দিয়ে দিন। রুমালী রুটি হতে বেশি সময় লাগে না।
১০। একপাশ হয়ে গেলে রুটি উল্টিয়ে দিন।
১১। রুটি কিছুটা পোড়া পোড়া দাগ হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন।
১২। ব্যস তৈরি হয়ে গেল রেস্টুরেন্টের মত রুমালী রুটি।
টিপস:
রুমালী রুটি অনেক পাতলা হওয়ার কারণে খুব দ্রুত এটি শক্ত হয়ে যায়। তাই রুটি তৈরির সাথে সাথে বক্সে প্যাক করে ফেলুন।
সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.