বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৬

জেনে নিন ফরাসি সুন্দরীদের রূপের রহস্য!

ranna banna o beauty tips
জেনে নিন ফরাসি সুন্দরীদের রূপের রহস্য!
সৌন্দর্য ও ফ্যাশনের লীলাভূমি হচ্ছে ফ্রান্স। কিন্তু তাই বলে এটা ভেবে বসবেন না যে, ফ্রান্সের নারীরা তাদের ত্বক ও চুলের পরিচর্যায় আধুনিক কৌশল ব্যবহার করে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, ফরাসি নারীরা তাদের ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে প্রাকৃতিক পদ্ধতির উপর নির্ভর করে থাকেন বেশি! তাদের ত্বক ও চুলের সৌন্দর্যের মূল ভিত্তি হচ্ছে দাদীমাদের অর্থাৎ প্রাচীন রূপের রহস্য যা তারা আজও অনুসরণ করেন। ফরাসি সুন্দরীরা সাধারণত খুবই কম মেকআপ নিয়ে থাকেন এবং  ত্বককে সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করার জন্য তারা সব সময় হ্যাট বা ছাতা ব্যবহার করে। আসুন আজ জেনে নেই ফরাসি রমণীদের সৌন্দর্য চর্চার আরো কিছু বিষয়।
১। প্রথাগত সৌন্দর্য পদ্ধতি অনুসরণ করে
ফ্রান্সের মানুষ ছোট বেলা থেকেই পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের থেকে সৌন্দর্যের বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেন যেমন- তারা ঘুমানোর আগে ভালোভাবে মুখ ধোন। তারা প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি মাস্ক ব্যবহার করেন, যেমন- চোখের উপর শশার টুকরা ১৫ মিনিট দিয়ে রাখা, স্ট্রবেরি ও মধু মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করা ইত্যাদি। তারা চুল ধোয়ার জন্য ঠান্ডা পানি ব্যবহার করে এবং চুলের উজ্জ্বলতার জন্য লেবু বা ভিনেগার ব্যবহার করে।
২। ঘুমানোর আগের সৌন্দর্য চর্চা
রাতের বেলায় মানুষ যখন ঘুমায় তখন ত্বক তার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার কাজ করে এবং পুনর্জীবিত হয়। ফ্রান্সের রমণীরা ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বক পরিষ্কার করার জন্য ক্লিঞ্জিং ও স্ক্রাবিং করে এবং ময়েশ্চারাইজিং এর জন্য অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল ইত্যাদি ব্যবহার করেন।
৩। চুলে ড্রায়ার ব্যবহার করে না
ফ্রান্সের রমণীরা চুল ধোয়ার পর প্রাকৃতিক ভাবে শুকিয়ে নেন, তারা কখনোই ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকান না। কারণ ড্রায়ার দিয়ে চুল শোকালে চুল ভঙ্গুর, শুষ্ক ও নিস্তেজ হয়ে যায়।
৪। প্রচুর পানি পান করে
সার্বিক স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের জন্য পানির অপরিহার্যতাকে ফ্রান্সের রমণীরা খুবই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে বলে সব সময় হাইড্রেটেড থাকেন। তারা পর্যাপ্ত পানি পান করার পাশাপাশি প্রায়ই মুখে পানির ছিটা দেন।
৫। ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করে
ফ্রান্সের মেয়েরা সব সময় ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করেন। এর ফলে তাদের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক উজ্জ্বল ও তরতাজা দেখায়। রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে মুখে গোলাপি আভা দেখা যায়।
৬। রোদ থেকে ত্বককে রক্ষা করে
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য ফরাসি মেয়েরা সব সময় ছাতা ব্যবহার করেন এবং বড় হ্যাট ব্যবহার করে। এজন্য তাদের বলিরেখা পড়েনা। তারা বাইরে যাওয়ার আগে সানস্ক্রিনও ব্যবহার করেন।
৭। পাতলা দেহের জন্য তাদের কোন ঘোর কাজ করেনা
ফরাসি মেয়েরা সুস্থ ও সুখি জীবনে বিশ্বাস করে। তারা সাধারণ ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান ও খাবারকে উপভোগ করেন। পরিবারের সবার সাথে খাবার গ্রহণ করে। তারা ভোজনের সময় অনেক বেশি স্ন্যাক্স খান না। তারা তাজা ফলমূল, আস্ত শস্যদানা, অলিভ অয়েল, মাছ, মাংস এবং দুগ্ধজাত খাবার খান বেশি। তাদের ওজন বৃদ্ধি পেলেও তারা জিমে যান না বরং সাধারণ এক্সারসাইজ যেমন- হাঁটা, দৌড়ানো ও এরোবিকস ইত্যাদি নিয়মিত করেন।
৮। বেশি মেকআপ করেন না
ফ্রান্সের মেয়েরা খুব বেশি মেকআপ করেন না কারণ তারা “ন্যাচারাল বিউটি” কথাটিতে বিশ্বাস করে। তাদের মেকআপ হয় “Done but not done look” এই বিখ্যাত উক্তিটির মতোই। আসলে স্বাস্থ্যবান উজ্জ্বল ত্বকের জন্য তেমন কোন মেকআপের প্রয়োজন হয় না। 
এছাড়াও ফরাসি সুন্দরীরা তাদের সৌন্দর্যের জন্য যে কাজ গুলো করেন- প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন না, সব সময় পারফিউম ব্যবহার করেন, হাত পরিষ্কার করা ছাড়া মুখে হাত লাগান না, শ্যাম্পু করার আগে চুল আঁচড়ান ইত্যাদি।

রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের ৫ ব্যবহার

ranna banna o beauty tips
রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের ৫ ব্যবহার
অলিভ অয়েল ভিটামিন, মিনারেল এবং প্রাকৃতিক ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ একটি তেল। এই তেল ত্বক এবং চুলের জন্য অনেক উপকারী। এমনকি সেনসিটিভ ত্বকেও এটি ব্যবহার করা যায় সহজে। এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। অলিভ অয়েলের অ্যান্টি অক্সিডেণ্ট উপাদান ত্বকের বলিরেখা, রিংকেল দূর করে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে থাকে। শুধু ত্বকের যত্নেই নয়। চুল নরম, শাইনি স্বাস্থ্যজ্বল করতে এর বিকল্প নেই।
১। গোসলে অলিভ অয়েল
বিশ্ববিখ্যাত অভিনেত্রী সোফিয়া লরেনকে মনে আছে? এই ইটালিয়ান সুন্দরী অলিভ অয়েল দিয়ে গোসল করতে পছন্দ করতেন। আপনার গোসলের পানিতে ৫ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এবার এটি দিয়ে গোসল করুন। এক নিমিষে আপনার ত্বক নরম কোমল হয়ে উঠবে। এছাড়া গোসলের সময় অলিভ অয়েল  সারা শরীরে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। এই একটি কাজ নিয়মিত করার ফলে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে অবিশ্বাস্য রকমের নরম এবং কোমল।
২। শুষ্ক ত্বকের জন্য
শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের ত্বকের রুক্ষতার কারণে ত্বকে নান সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তাদের জন্য অলিভ অয়েল সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী সমাধান। গোসলের পর আপনি কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল শরীরে ম্যাসাজ করুন। এরপর কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন শুকিয়ে যাওয়ার জন্য। এটি আপনার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে থাকবে। অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে কোন লোশন ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়বে না।  
৩। স্ট্রেচ মার্ক রিমুভার
অলিচ অয়েল ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ধরে রাখে। আপনার স্ট্রেচ মার্কের উপর অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করুন। এটি শুধু দাগ নয় পুরাতন স্ট্রেচ মার্কও হালকা করে থাকবে। তবে এটি নিয়মিত করতে হবে।
৪। সানস্ক্রিন
সমপরিমাণ অলিভ অয়েল এবং চায়ের লিকার পানি মিশিয়ে নিন। এটি আপনি মুখ এবং সারা শরীরে ম্যাসাজ করুন। এবার এক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন না। এটি সানস্ক্রিনের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।
৫। চুল শাইনি করতে
লেবুর রস, ডিমের কুসুম এবং দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এটি চুল নরম এবং সাইনি করে তুলবে। খুশকি দূর করার জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করুন।
ত্বক থেকে মেকআপ দূর করতে অলিভ অয়েল বেশ কার্যকরী। এক টুকরো তুলোয় অলিভ অয়েল লাগিয়ে ত্বকে ঘষুন। এটি সুন্দরভাবে ত্বক থেকে মেকআপ তুলে ফেলবে।

লেবুর সুঘ্রাণে লেমন চিজ কেক

ranna banna o beauty tips
লেবুর সুঘ্রাণে লেমন চিজ কেক
চিজ কেক খাবারটি যে কোন পার্টিতে মানিয়ে যায় বেশ। নতুন স্বাদের কোন একটা চিজ কেক পরিবেশন করতে চান? তাহলে জেনে নিন নাজিয়া ফারহানার লেমন চিজ কেকের রেসিপি।   উপকরণ ১. ক্রিম চিজ -২৫০ গ্রাম ২. ক্রিম-১ টিন ৩.সাদা জেলোটিন -১ প্যাকেট ৪.ঘন দুধ -১ কাপ ৫.চিনি -১ কাপ ৬. লেমন জেলো -১ প্যাকেট  ৭. লেবুর রস-২ টেবিল চামচ  ৮. মাখন-১০০ গ্রাম ৯. মারি বিস্কুট গুঁড়ো  -১ প্যাকেট ১০. লেবু গোল করে কাটা -৮/১০ টা
প্রনালী   -প্রথমে বিস্কুট গুঁড়ো আর মাখন ভালো করে মাখিয়ে কেক মোল্ডের নীচে সমান ভাবে বিছিয়ে ১০মিনিট ফ্রীজে রাখতে হবে। -এই বার লেবু কাটা আর লেমন জেলো বাদে বাকী সব উপকরণ একসাথে বিট করে বিস্কুটের লেয়ারের উপর সমান করে ঢেলে দিয়ে ২০ মিনিট আবার ফ্রীজে রাখতে হব।  -এই বার লেমন জেলো বানিয়ে এরউপর ঢেলে তার উপর লেবু কাটা সাজিয়ে ফ্রীজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করতে হবে। 

ভীষণ মজার খাবার ব্রেডেড চিকেন মিটবল

ranna banna o beauty tips
ব্রেডেড চিকেন মিটবল 
স্ন্যাক্স হিসেবে সাধারণত হালকা ভাজাভুজি খাওয়া হলেও এগুলো আসলে পেট ভরানোর জন্য খুব একটা ভালো হয় না। সেই হিসেবে বেশ তৃপ্তিদায়ক একটা খাবার হলো মিটবল। এটা খেতেও যেমন মুখরোচক তেমনি পেটও ভরায়। অনেকেই ভাবেন মিটবল তৈরি করাটা অনেক ঝামেলা। কিন্তু চিকেন মিটবলের এই রেসিপিতে সেসব ঝামেলায় যেতে হবেনা মোটেই। আধা ঘন্টার মাঝেই প্রস্তুত হয়ে যাবে দারুণ স্বাদের খাবারটি।
উপকরণ

-   ২ কাপ ফ্রেশ ব্রেড ক্রাম্ব
-   ৪৫০ গ্রাম হাড় ছাড়া মুরগীর পায়ের মাংস, ছোট করে কাটা
-   ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল
-   গোলমরিচ গুঁড়ো স্বাদমতো
-   সিকি চা চামচ জায়ফল গুঁড়ো
-   লবণ স্বাদমতো
-   ২ চা চামচ সয়া সস
-   ১ টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার
-   ১টা মাঝারি পিঁয়াজ, মিহি কুচি করা
-   ১ টেবিল চামচ রসুন কুচি
-   ২ টেবিল চামচ ময়দা
-   ২টা ডিম
প্রণালী

১) বড় একটা প্যানে ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল গরম করতে দিন।
২) মুরগীর মাংস গোলমরিচ গুঁড়ো, জায়ফল গুঁড়ো, লবণ, সয়া সস এবং ভিনেগারের সাথে গ্রাইন্ড করে নিন। মুরগী কিমা হওয়া পর্যন্ত গ্রাইন্ড করুন। একটা বোলে ঢেলে নিন। এতে পিঁয়াজ এবং রসুন দিয়ে মিশিয়ে নিন। অর্ধেক পরিমাণ ব্রেড ক্রাম্ব মুরগীর কিমার সাথে মিশিয়ে নিন।
৩) একটা বোলে ময়দাটুকু ঢেলে নিন। আরেকটা বোলে ডিমগুলো ভেঙ্গে ভালো করে বিট করে নিন।
৪) হাতের তালু একটু পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন। মুরগীর কিমা আলাদা করে মিটবলের আকৃতিতে গড়ে নিন। এরপর বলগুলোকে ময়দায় গড়িয়ে নিন, ডিমে ডুবিয়ে আবার বাকি ব্রেডক্রাম্বে গড়িয়ে নিন। এরপর এগুলোকে ডিপ ফ্রাই করে নিন সোনালি করে। কিচেন পেপারে তেল ঝরিয়ে নিন।
তৈরি হয়ে গেলো খুব সহজ ব্রেডেড চিকেন মিটবল। পরিবেশন করুন কিছু সালাদ এবং সস দিয়ে।

তুরস্কের জনপ্রিয় ডিম রান্না সাকসুকা

ranna banna o beauty tips
তুরস্কের জনপ্রিয় ডিম রান্না সাকসুকা
মাছ মাংস খেতে বিরক্ত হয়ে গেলে অনেক সময় ডিম রান্না করা হয়। সাধারণত ডিম ভুনা, ডিম কোর্মা এই দুই ধরণের রান্না করা হয়ে থাকে। কিন্তু এই ডিম দিয়ে আরও একটি মজাদার রান্না করা সম্ভব। “সাকসুকা”-তুরস্কে জনপ্রিয় একটি রান্না এটি। মূলত ডিম এবং টমেটো দিয়ে তৈরি করা হয় এই খাবারটি। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক তুরস্কের জনপ্রিয় ডিম রান্না সাকসুকা।
উপকরণ:
১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
১টি মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ কুচি
২ কোয়া রসুন কুচি
১টি মাঝারি আকৃতির ক্যাপসিকাম কুচি’
৪০০ গ্রাম টমেটো কুচি
২ টেবিল চামচ টমেটো পেস্ট
১ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো
১ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
১ চা চামচ পাপরিকা বা লাল মরিচ গুঁড়ো
১ চা চামচ চিনি
লবণ
৬টি ডিম
ধনে পাতা কুচি (সাজানোর জন্য)  
প্রণালী:
১। একটি প্যানে মাঝারি আঁচে অলিভ অয়েল দিন। এরপর এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ৫ মিনিট ভাজুন।
২। পেঁয়াজ নরম হয়ে গেলে এতে রসুন কুচি দিয়ে নাড়ুন।
৩। এবার এতে ক্যাপসিকাম কুচি দিয়ে মাঝারি আঁচে ৫-৭ মিনিট রান্না করুন।
৪। ক্যাপসিকাম কুচি নরম  হয়ে গেলে এতে টমেটো কুচি, টমেটো পিউরি দিয়ে দিন।
৫। তারপর এতে রসুন কুচি, জিরা গুঁড়ো, লাল মরিচ গুঁড়ো, পাপরিকা, শুকনো মরিচ গুঁড়ো, চিনি, লবণ এবং গোল মরিচ গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।
৬। মাঝারি আঁচে ১০-১৫ মিনিট রান্না করুন।
৭। গ্রেভি ঘন হয়ে এলে টমেটো গ্রেভির উপর ডিম ভেঙ্গে দিন।
৮। মাঝখানে একটি আর চারপাশে চারটি  ডিম ভেঙ্গে দিন।
৯। প্যান ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ১০-১৫ মিনিট রান্না করুন, যতক্ষণ না ডিম সিদ্ধ হয়ে থাকে ততক্ষণ।
১০। ডিম সিদ্ধ হয়ে গেলে ধনে পাতা কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন তুরস্কের রান্না সাকসুকা।

মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৬

মাখা ঝোলে আস্ত ইলিশ

ranna banna o beauty tips
মাখা ঝোলে আস্ত ইলিশ
বিশেষ রান্নায় উৎসবে আনবে সুস্বাদু আমেজ।
উপকরণ: ইলিশ মাছ ১টি (১২০০গ্রাম)। পেঁয়াজকুচি ১ কাপ। আদাবাটা ১ চা-চামচ। রসুনবাটা আধা চা-চামচ। টমেটো সস আধা কাপ। জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ। ধনেগুঁড়া আধা চা-চামচ। কাশ্মেরি মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ। কয়লা ৩, ৪ টুকরা। ঘি ১ চা-চামচ। লবণ পরিমাণ মতো। তেল ১ কাপ। ধনেপাতা-কুচি ১/৪ কাপ। আস্ত কাঁচামরিচ ৭,৮টি। শাহিজিরা আধা চা-চামচ। পানি পরিমাণ মতো। টক দই আধা কাপ। চিনি সামান্য। টমেটোকুচি ১ কাপ।
পদ্ধতি: হাঁড়িতে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজকুচি নরম করে ভেজে তাতে একে একে সব মসলা দিয়ে ভালো ভাবে কষিয়ে আস্ত মাছ দিয়ে দিন।
দুই মিনিট পর মাছটা উল্টিয়ে পানি আর লবণ দিন। ফুটে উঠলে টক দই ফেটিয়ে ঝোলে দিতে হবে। ঝোল কমে আসলে তাতে চিনি, টমেটোকুচি, সস দিয়ে ঢেকে দিন। ঝোল কমে তেল উঠে আসলে তাতে কাঁচামরিচ দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে।
একটা ছোট বাটিতে কয়লা গরম করে, বাটিসহ কয়লা মাছের হাঁড়িতে বসিয়ে তাতে ঘি দিয়ে ঢেকে দিন। ২০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে বাটি সরিয়ে সাবধানে ডিশে ঢালতে হবে যেন মাছ ভেঙে না যায়।
উপরে ধনেপাতা-কুচি ছিটিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

মুরগি–পেঁয়াজকলি ভাজি

ranna banna o beauty tips
মুরগি–পেঁয়াজকলি ভাজি
মুরগি–পেঁয়াজকলি ভাজি  শীতের সবজি দিয়ে উপাদেয় খাবার।  
উপকরণ: হাড় ছাড়া মুরগি ২০০ গ্রাম। পেঁয়াজকলি ২ আঁটি। পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল-চামচ। কাঁচামরিচ-কুচি ২ চা-চামচ (স্বাদ মতো দেওয়া ভালো)। ধনেপাতা-কুচি ১ টেবিল-চামচ। আদাকুচি আধা চা-চামচ। লেবুর রস ১ চা-চামচ। লেবুর খোসা (লেমন জেস্ট) ১/৪ চা-চামচ। গরম মসলাগুঁড়া ১ চিমটি। আদা-রসুনবাটা ১/৪ চা-চামচ। মরিচগুঁড়া ১/৪ চা-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। সরিষার তেল দেড় টেবিল-চামচ।  

পদ্ধতি: আদা–রসুনবাটা, মরিচগুঁড়া, গরম মসলাগুঁড়া আর লবণ দিয়ে মুরগির মাংস সিদ্ধ করে হাত দিয়ে ছিড়ে নিতে হবে।  পেঁয়াজকলি আধা ইঞ্চি করে কেটে নিন।  প্যানে তেল গরম করে প্রথমে আদাকুচি ভেজে তারপর পেঁয়াজকুচি দিয়ে সোনালি করে ভেজে নিতে হবে। এতে সিদ্ধ মুরগির মাংস দিয়ে হালকা ভেজে পেঁয়াজকলি দিয়ে চুলার আঁচ বাড়িয়ে ভাজতে হবে।  পানি শুকিয়ে গেলে কাঁচামরিচ-কুচি, ধনেপাতা-কুচি, লেমন জেস্ট, লেবুর রস, স্বাদ মতো লবণ মিশিয়ে অল্প সরিষার তেল ছড়িয়ে দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.