health care লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
health care লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৬

সপ্তাহে ৭দিন ব্যবহার করুন ৭টি ভিন্ন ফেসপ্যাক

ranna banna o beauty tips
সপ্তাহে ৭দিন ব্যবহার করুন ৭টি ভিন্ন ফেসপ্যাক
ত্বক সচেতন নারীরা রূপচর্চায় নিয়মিত ফেসপ্যাক ব্যবহার করেন। শত ব্যস্ততার মাঝে দিনের কিছুটা সময় বের করেন ত্বকের যত্নের জন্য। একই ফেসপ্যাক বার বার ব্যবহার করার পরিবর্তে সপ্তাহে সাত দিন সাতরকম ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের অনেকগুলো সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে সাথে ত্বক হয়ে উঠবে নিখুঁত উজ্জ্বল। শনিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন এই প্যাকগুলো।    

১। শনিবার

সপ্তাহ শুরু করুন মধু এবং লেবুর ক্লিনজার দিয়ে। লেবু এবং মধু একসাথে মিশিয়ে নিন। এটি মুখ এবং ঘাড়ে ব্যবহার করেন। এই প্যাক ব্যবহারের পূর্বে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন। ত্বকের কালো দাগ এবং সানবার্ন দূর করে দেবে এই প্যাকটি।

২। রবিবার

ত্বক পরিষ্কার করার পর ব্যবহার করুন স্ট্রবেরি প্যাক। স্ট্রবেরি ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। এটি চটকে পেস্ট তৈরি করুন। এবার এই প্যাকটি ত্বক ব্যবহার করুন। আপনি চাইলে স্ট্রবেরির সাথে দুধ বা মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।

৩। সোমবার

ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতে টকদইয়ের জুড়ি নেই। ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে ত্বক নরম কোমল করে তোলে এটি। সেনসিটিভ ত্বকের জন্য টকদই বেশ উপকারি। টকদই সরাসরি অথবা কোন প্যাকের সাথে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।

৪। মঙ্গলবার

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে বেসন বেশ কার্যকর। বেসন এবং দুধ একসাথ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকটি ত্বক থেকে কালো দাগ দূর করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

৫। বুধবার

ব্রণপ্রবণ ত্বকের জন্য মুলতানি মাটির প্যাক অনেক কার্যকর। মুলতানি মাটি এবং গোলাপ জল একসাথে মেশান। এই প্যাকটি ত্বকে ব্যবহার করুন। এটি ব্রণ হওয়ার প্রবণতা হ্রাস করবে তার সাথে ব্রণের দাগ দূর করে দেবে।

৬। বৃহস্পতিবার

বৃহস্পতিবার ব্যবহার করুন হলুদের ফেসপ্যাক। ত্বকের প্রায় সবধরণের সমস্যা দূর করে দেয় হলুদের ফেসপ্যাক। হলুদ এবং দুধ একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করুন। হলুদের নির্যাস দ্রুত ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

৭। শুক্রবার

সপ্তাহ শেষ করুন চালের পানি দিয়ে। চাল সিদ্ধ করার পর তার পানি ফেলে না দিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের কালো দাগ, মেছতার দাগ দূর করবে। এরসাথে বলিরেখা পড়া রোধ করবে।

বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৬

শীতে ঘর গরম রাখার উপায়

ranna banna o beauty tips
শীতে ঘর গরম রাখার উপায়
শীত বইছে পুরোদমে। শহরে শীতের আধিপত্য কম হলেও গ্রাম মুড়ে আছে শীতের চাদরে। কনকনে ঠাণ্ডার ফাঁকে রোদের উঁকি থাকে কখনো, কখনো আবার একেবারেই থাকে না। তাইতো গরম কাপড়ে নিজেকে উষ্ণ রাখার দারুণ প্রচেষ্টা। শীতের দাপুটে হাওয়ায় সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায় অনেক সময়। কোনো মতে বাইরের কাজ শেষ করে নিজের ঘরে আশ্রয় নেয়া। অথচ বাইরের বাতাস ঠেকালেও তীব্র শীতে ঘরের ভেতরে থাকে কনকনে শীত। তাই দরকার ঘরকে উষ্ণ রাখা। কিন্তু কীভাবে-

- এই শীতে ঘর গরম করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন ভারী বা কয়েক পরতের উজ্জ্বল রঙের পর্দা। উজ্জ্বল রঙের পর্দাগুলো যেমন ঘর গরম রাখবে, তেমনি ঘরের সৌন্দর্যে আনবে ভিন্নতা।

- বাইরের বাতাস ঢুঁকে ঘরকে ঠাণ্ডা করে ফেলে। তাই দরজা-জানালার ফাঁকা স্থানগুলো বন্ধ করে দিতে হবে যত দ্রুত সম্ভব। এসব জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন রাবারের বেল্ট, মোটা কাগজ বা কাপড়।

- ঘরে রোদ পড়ার ব্যবস্থা থাকলে আলো ঢোকার সুযোগ রাখতে হবে। দুপুরের দিকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও সূর্যের আলো ঢুঁকতে দরজা-জানালার পর্দা সরিয়ে দিতে পারেন। এতে ঘর কিছুটা হলেও গরম হবে।

- ঘরের দেয়ালে লাগিয়ে নিতে পারেন পাতলা ফয়েল কাগজ। ফয়েল কাগজে মুড়ে রাখলে দেয়াল থেকে ঠাণ্ডা বের হতে বাধা দেয়। গিফট শপে এসব কাগজ কিনতে পাওয়া যায়। পছন্দের রঙ ও ডিজাইনের কাগজ লাগিয়ে নিলেই হল।

- জানালা যদি ঘরে রোদ ঢোকার উৎস হয় তাহলে জানালার কাছেই বসিয়ে দিন বড় একটি আয়না। আয়নায় প্রতিফলিত তাপে আরও উষ্ণ হবে আপনার ঘর।

- প্রয়োজনে রুম হিটারও ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ঘরের তাপমাত্রার সঙ্গে মিলিয়ে হিটারের তাপমাত্রা ঠিক করতে ভুলবেন না।

- শীতের সকালে এবং সন্ধ্যায় বা রাতে রান্নাবান্নার কাজ চালাতে পারেন। এতে ঘর গরম হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। জানালা দরজা ফাঁকা না থাকলে উষ্ণতা বজায় থাকবে।

- শীতের এই সময়ে মেঝেতে কার্পেট বা মাদুর বিছিয়ে নিন। বাজারে নানা ধরণের কার্পেটের পাশাপাশি বেত ও পাটের তৈরি আধুনিক ডিজাইনের চাটাইও পাওয়া যায়। এগুলো মেঝে থেকে ঠাণ্ডা উঠতে বাধা দেয়।

দ্রুত পালাবে রান্নাঘরের কটু গন্ধ

ranna banna o beauty tips
দ্রুত পালাবে রান্নাঘরের কটু গন্ধ
রান্নাঘরের কোথাও কোনো ময়লা রাখেন না, ময়লার ঝুড়ি রাখেন বাইরে, থালা বাসনও পরিষ্কার থাকে। সবকিছু পরিষ্কার থাকার পরেও রান্নাঘরে ঢুঁকলেই একটা কটু গন্ধ নাকে বাধে। একটা বাজে গন্ধে ভারি হয়ে থাকে আপনার রান্নাঘর। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় রহস্যময় এই দুর্গন্ধ আসে সিঙ্কের পাইপ থেকে। পাইপ দিয়ে ময়লাযুক্ত পানি বের হওয়ার সময় কিছু খাবারের উচ্ছিষ্ট সেখানে আটকে থাকে। এতে জন্মানো ব্যাকটেরিয়া দুর্গন্ধ তৈরি করে। রান্নাঘরের দুর্গন্ধ দূর করতে সিঙ্কের পাইপ নিয়মিত পরিষ্কার করা জরুরি। সরু এই পাইপ পরিষ্কার রাখতে-

- বেকিং সোডা গোলানো এক কাপ গরম পানি অথবা এক কাপ সাদা ভিনেগার পাইপের মুখে ঢেলে দিন। ব্যাকটেরিয়া মরে দূর হবে কটু গন্ধ।

- এক কেতলি পানি গরম করে নিন। এবার এই পানি ঢেলে দিন পাইপের মুখে। পাইপ প্লাস্টিকের হলে হালকা গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।

- লেবুর খোসা কুচি করে পাইপের ভেতরে ছেড়ে দিলে দুর্গন্ধের বদলে সুগন্ধ পাবেন।

খুশকি তাড়ানোর স্থায়ী সমাধান

ranna banna o beauty tips
খুশকি তাড়ানোর স্থায়ী সমাধান
শীতের সময়ে ত্বকের পাশাপাশি চুলও রুক্ষ্ম-শুষ্ক হয়ে যায়। মাথার ত্বক এতোটায় রুক্ষ্ম হয় যে ছোট খুশকির আকারে গুড়া হয়ে ঝরতে থাকে। এমনকি আপনার সমস্ত চুলে খুশকি ছড়িয়ে যাচ্ছেতাই অবস্থা হয়। চুল হয়ে যায় নিষ্প্রাণ। কাঁধের ওপর খুশকি জমা হয়ে সবার সামনে স্মার্ট আপনার ইমেজ নষ্ট করে সহজেই। অ্যান্টি ড্যানড্রফ শ্যাম্পুতে সাময়িক মুক্তি দিলেও পরোক্ষণে খুশকি আবার ফিরে আসে। খুশকি তাড়ানোর স্থায়ী সমাধান হিসেবে জেনে নিতে পারেন সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়। এর মধ্যে যেকোনো উপায় অবলম্বন আপনাকে মুক্তি দিতে পারে সহজে।

- রাতে শোবার আগে অলিভ ওয়েল বা তিলের তেল মেখে ঘুমান। সকালে গোসল করার ১ ঘণ্টা আগে চুলের গোড়ায় লেবুর রস লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুশকির উপদ্রব কমে গেছে।

- চুলের খুশকি তাড়াতে ভিনেগার আর পানি সমপরিমাণে মিশিয়ে সারারাত চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রেখে দিন। সকালে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

 - আপেলের রস দিয়ে ভালো করে চুল ম্যাসেজ করুন, খুশকির হাত থেকে মুক্তি পাবেন সহজে।

- খুশকি তাড়াতে বিট মূলের রস, ভিনেগার আর আদার রস একসঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে চুলের স্কাল্পে ম্যাসেজ করুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। দ্রুত খুশকি দূর হবে।

 - ঘৃতকুমারীর রস চুলে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ভালো কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

- চুলে শ্যাম্পু করার সময় এক চা চামচ বেকিং সোডা ভালো করে শ্যাম্পুর সঙ্গে মিশিয়ে তা দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুশকি পালিয়েছে স্বমূলে।

- নিম পাতা বেটে ২০ মিনিট মাথায় লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করলেই, খুশকি দূর হবে।

 - খুশকির উপদ্রব কমাতে রসুন বেশ কার্যকরী। রসুনের পেস্ট বানিয়ে চুলে ৩০ মিনিট রাখার পর কোনো মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুশকি দূর হয়ে গেছে।

মেহেদি প্যাকে রেশম কোমল মজবুত চুল

ranna banna o beauty tips
মেহেদি প্যাকে রেশম কোমল মজবুত চুল
শীত এলেই চুলে দেখা দেয় নানা সমস্যা। খুশকি, চুলের আগা ফাটা সর্বোপরি প্রচুর পরিমাণে চুল উঠে যাওয়া এখন যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। চুল পড়া রোধ করে চুলের গোড়া মজবুত করার কাজে মেহেদি ব্যবহার হয়ে আসছে আদিযুগ থেকে। চুলে মেহেদি অনেকভাবে লাগানো যায়। মেহেদির কিছু প্যাক আছে যা খুশকি দূর করে, গোড়া মজবুত করে এবং রেশম কোমল চুল উপহার দেয়। তাই আসুন জেনে নেয়া যাক এমন কিছু উপকারী মেহেদির প্যাক সম্পর্কে।

- ডিমের সাদা অংশ, অলিভ অয়েল এবং মেহেদি গুঁড়ো মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলের গোড়ায় খুব ভালো করে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ভালো করে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

- একটি লেবুর রস, চার টেবিল চামচ মেহেদির গুঁড়ো এবং পরিমাণমত টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলের গোঁড়া থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ চুলে লাগিয়ে নিন। চুল শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে চুল খুশকিমুক্ত এবং ঝরঝরে হবে।

- মেহেদি গুঁড়ো, লেবুর রস, এক টেবিলচামচ অলিভ অয়েল, সাদা ভিনেগার, মেথি গুঁড়ো এবং দুই টেবিল চামচ টকদই ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার প্যাকটি ১২ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। পরেরদিন সকালে এই প্যাকটি মাথায় ভালো করে লাগিয়ে নিন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই প্যাকটি খুশকি দূর করবে, চুলের গোড়া মজবুত করে চুলকে স্বাস্থ্যোজ্বল করে তুলবে।

- রাতে একটি পাত্রে সরিষা তেল গরম করে নিন। তারপর এতে কিছু তাজা মেহেদি পাতা এবং দুই চা চামচ মেথি দিয়ে রেখে দিন। পরেরদিন এটি ছেঁকে পাতা এবং তেল আলাদা করে নিন। এই তেলটি নিয়মিত চুলে ম্যাসাজ করে লাগান। এক ঘণ্টা এই তেল মাথায় রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এভাবে মেহেদির তেল ব্যবহারে চুল পড়া রোধ করবে এবং খুশকি দূর হবে।

বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৬

সিল্কি চুলের জন্য কার্যকরী প্যাক

ranna banna o beauty tips
সিল্কি চুলের জন্য কার্যকরী প্যাক
স্বাস্থ্যোজ্জ্বল সুন্দর চুল চেহারার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় বহুগুনে। সে সৌন্দর্য থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতে কেউ রাজি নয়। অথচ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করতে ভুলে যাই। আর তা হল চুলের সঠিক পুষ্টির যোগান দেয়া হয় না। সুন্দর সিল্কি চুল পেতে হাতের কাছে থাকা উপাদান দিয়েই করা যায় উপযুক্ত পরিচর্যা। শিখে নিতে পারেন এমন কিছু কার্যকরী হেয়ার প্যাক যা আপনার চুলকে করবে সুন্দর সিল্কি।

টক দই

চুলের গোড়াসহ সম্পূর্ণ চুলে ভালোভাবে টকদই লাগিয়ে নিন। আধা ঘণ্টা পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি আপনার চুলকে সিল্কি, ঝলমলে এবং স্বাস্থ্যজ্বল করে তুলবে।

মধু ও অলিভ অয়েল

আপনার শুষ্ক মলিন চুলকে স্বাস্থ্যজ্বল করে তুলতে মধু ও অলিভ অয়েল প্যাকের জুড়ি নেই। এই প্যাকটি চুলের আগা ফাটা দূর করে। এটি চুল বড় হতে সাহায্য করে এবং সিল্কি ও মসৃণ করে।

কলার প্যাক

একটি পাকা কলা ব্লেন্ড করে পেষ্ট করে নিন। এর সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিতে হবে। চুলের গোঁড়া থেকে সম্পূর্ণ চুলে এই প্যাকটি লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। কলার প্যাক চুলের গোঁড়া মজবুত করার পাশপাশি চুলকে সিল্কি, মসৃণ করে।

ডিম এবং চা

এই শীতে হঠাৎ করে চুল রুক্ষ্ম ও শুষ্ক হয়ে গেছে। তাই চুলকে সিল্কি করে তুলতে ডিম চায়ের প্যাকটি অনেক বেশি কার্যকর। ডিমের সাদা অংশ এবং চায়ের লিকার দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিন। ডিমের সাদা অংশ চুলের গোঁড়া থেকে পুষ্টি জোগায়। অপরদিকে চায়ের লিকার প্রাকৃতিকভাবে আপনার চুলকে সিল্কি করে তুলবে।

ত্বকের বলিরেখা দূর করুন জাদুকরী এই ক্রিম ব্যবহারে

ranna banna o beauty tips
ত্বকের বলিরেখা দূর করুন জাদুকরী এই ক্রিম ব্যবহারে
প্রাকৃতিক নিয়মে বয়স বৃদ্ধি পায়, আর বয়সের সাথে সাথে ত্বকে দেখা দেয় বলিরেখা বা রিংকেল। আর এই বলি রেখা বা বয়সের ছাপ দূর করার জন্য কত কিছুই না আমরা করে থাকি। অ্যাণ্টি রিংকেল ক্রিম, অ্যান্টি রিংকেল ফেসিয়াল, নামী দামী কত ক্রিমই না আমরা ব্যবহার করে থাকি। এই ক্রিমগুলো কি আসলেই কার্যকরী? কাজ করলেও কতটুকুই বা কার্যকরী? আবার বাজারে ক্রিম ব্যবহারে থাকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ভয়। বাজারে ক্রিম সাময়িকভাবে ত্বক টানটান করে বলিরেখা দূর করে থাকলেও, দীর্ঘমেয়াদি ফল এর থেকে লাভ করা সম্ভব নয়। অনেক তো ব্যবহার করলেন বাজারের অ্যান্টি রিংকেল ক্রিম। এবার না হয় ঘরে নিজেই তৈরি করে ফেলুন অ্যান্টি রিংকেল ক্রিম। খুব সাধারণ, প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে এই ক্রিম তৈরি করা হয় বিধায় এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আর নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন এই ক্রিমটি।
যা যা লাগবে:

১/৪ কাপ বিশুদ্ধ বাদাম তেল
২ টেবিল চামচ নারকেল তেল
২ টেবিল চামচ বিশুদ্ধ মোম
১/২ চা চামচ ভিটামিন ই অয়েল
১ টেবিল চামচ শিয়া বাটার
কয়েক ফোঁটা এসেন্সিয়াল অয়েল (ইচ্ছা)
যেভাবে তৈরি করবেন:

১। একটি পাত্রে সবগুলো উপাদান মিশিয়ে নিন।
২। এবার পাত্রটি ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি পর্যন্ত পানি দিয়ে ভরে ফেলুন।
৩। এখন পাত্রটি চুলায় জ্বাল হতে দিন যতক্ষণ পর্যন্ত না সবগুলো উপাদান গলে না যায়, ততক্ষণ জ্বাল দিন।
৪। মাঝে মাঝে এটি নাড়ুন।
৫। সবগুলো উপাদান ভালমত মিশে গেলে এটি চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।
৬। ক্রিমটি রুম তাপমাত্রায় ঠান্ডা হওয়ার জন্য রাখুন।
যেভাবে ব্যবহার করবেন:

দিনে দুইবার সকাল এবং রাতে ব্যবহার করুন। ব্যবহারের আগে মুখে ধুয়ে নিবেন। ক্রিমটি ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করুন।
বাদাম তেল, নারকেল তেল, শিয়া বাটার প্রতিটি উপাদান ত্বকের জন্য উপকারী। বাদাম তেল ত্বক নরম কোমল করে তোলে। নারকেল তেলের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকে বয়সের ছাপ পরা রোধ করে। মোম এবং শিয়া বাটার উভয়ই অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান আছে। যা ত্বকের বলিরেখা পরা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে।

জেনে নিন ফরাসি সুন্দরীদের রূপের রহস্য!

ranna banna o beauty tips
জেনে নিন ফরাসি সুন্দরীদের রূপের রহস্য!
সৌন্দর্য ও ফ্যাশনের লীলাভূমি হচ্ছে ফ্রান্স। কিন্তু তাই বলে এটা ভেবে বসবেন না যে, ফ্রান্সের নারীরা তাদের ত্বক ও চুলের পরিচর্যায় আধুনিক কৌশল ব্যবহার করে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, ফরাসি নারীরা তাদের ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে প্রাকৃতিক পদ্ধতির উপর নির্ভর করে থাকেন বেশি! তাদের ত্বক ও চুলের সৌন্দর্যের মূল ভিত্তি হচ্ছে দাদীমাদের অর্থাৎ প্রাচীন রূপের রহস্য যা তারা আজও অনুসরণ করেন। ফরাসি সুন্দরীরা সাধারণত খুবই কম মেকআপ নিয়ে থাকেন এবং  ত্বককে সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করার জন্য তারা সব সময় হ্যাট বা ছাতা ব্যবহার করে। আসুন আজ জেনে নেই ফরাসি রমণীদের সৌন্দর্য চর্চার আরো কিছু বিষয়।
১। প্রথাগত সৌন্দর্য পদ্ধতি অনুসরণ করে
ফ্রান্সের মানুষ ছোট বেলা থেকেই পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের থেকে সৌন্দর্যের বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেন যেমন- তারা ঘুমানোর আগে ভালোভাবে মুখ ধোন। তারা প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি মাস্ক ব্যবহার করেন, যেমন- চোখের উপর শশার টুকরা ১৫ মিনিট দিয়ে রাখা, স্ট্রবেরি ও মধু মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করা ইত্যাদি। তারা চুল ধোয়ার জন্য ঠান্ডা পানি ব্যবহার করে এবং চুলের উজ্জ্বলতার জন্য লেবু বা ভিনেগার ব্যবহার করে।
২। ঘুমানোর আগের সৌন্দর্য চর্চা
রাতের বেলায় মানুষ যখন ঘুমায় তখন ত্বক তার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার কাজ করে এবং পুনর্জীবিত হয়। ফ্রান্সের রমণীরা ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বক পরিষ্কার করার জন্য ক্লিঞ্জিং ও স্ক্রাবিং করে এবং ময়েশ্চারাইজিং এর জন্য অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল ইত্যাদি ব্যবহার করেন।
৩। চুলে ড্রায়ার ব্যবহার করে না
ফ্রান্সের রমণীরা চুল ধোয়ার পর প্রাকৃতিক ভাবে শুকিয়ে নেন, তারা কখনোই ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকান না। কারণ ড্রায়ার দিয়ে চুল শোকালে চুল ভঙ্গুর, শুষ্ক ও নিস্তেজ হয়ে যায়।
৪। প্রচুর পানি পান করে
সার্বিক স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের জন্য পানির অপরিহার্যতাকে ফ্রান্সের রমণীরা খুবই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে বলে সব সময় হাইড্রেটেড থাকেন। তারা পর্যাপ্ত পানি পান করার পাশাপাশি প্রায়ই মুখে পানির ছিটা দেন।
৫। ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করে
ফ্রান্সের মেয়েরা সব সময় ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করেন। এর ফলে তাদের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক উজ্জ্বল ও তরতাজা দেখায়। রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে মুখে গোলাপি আভা দেখা যায়।
৬। রোদ থেকে ত্বককে রক্ষা করে
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য ফরাসি মেয়েরা সব সময় ছাতা ব্যবহার করেন এবং বড় হ্যাট ব্যবহার করে। এজন্য তাদের বলিরেখা পড়েনা। তারা বাইরে যাওয়ার আগে সানস্ক্রিনও ব্যবহার করেন।
৭। পাতলা দেহের জন্য তাদের কোন ঘোর কাজ করেনা
ফরাসি মেয়েরা সুস্থ ও সুখি জীবনে বিশ্বাস করে। তারা সাধারণ ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান ও খাবারকে উপভোগ করেন। পরিবারের সবার সাথে খাবার গ্রহণ করে। তারা ভোজনের সময় অনেক বেশি স্ন্যাক্স খান না। তারা তাজা ফলমূল, আস্ত শস্যদানা, অলিভ অয়েল, মাছ, মাংস এবং দুগ্ধজাত খাবার খান বেশি। তাদের ওজন বৃদ্ধি পেলেও তারা জিমে যান না বরং সাধারণ এক্সারসাইজ যেমন- হাঁটা, দৌড়ানো ও এরোবিকস ইত্যাদি নিয়মিত করেন।
৮। বেশি মেকআপ করেন না
ফ্রান্সের মেয়েরা খুব বেশি মেকআপ করেন না কারণ তারা “ন্যাচারাল বিউটি” কথাটিতে বিশ্বাস করে। তাদের মেকআপ হয় “Done but not done look” এই বিখ্যাত উক্তিটির মতোই। আসলে স্বাস্থ্যবান উজ্জ্বল ত্বকের জন্য তেমন কোন মেকআপের প্রয়োজন হয় না। 
এছাড়াও ফরাসি সুন্দরীরা তাদের সৌন্দর্যের জন্য যে কাজ গুলো করেন- প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন না, সব সময় পারফিউম ব্যবহার করেন, হাত পরিষ্কার করা ছাড়া মুখে হাত লাগান না, শ্যাম্পু করার আগে চুল আঁচড়ান ইত্যাদি।

রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের ৫ ব্যবহার

ranna banna o beauty tips
রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের ৫ ব্যবহার
অলিভ অয়েল ভিটামিন, মিনারেল এবং প্রাকৃতিক ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ একটি তেল। এই তেল ত্বক এবং চুলের জন্য অনেক উপকারী। এমনকি সেনসিটিভ ত্বকেও এটি ব্যবহার করা যায় সহজে। এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। অলিভ অয়েলের অ্যান্টি অক্সিডেণ্ট উপাদান ত্বকের বলিরেখা, রিংকেল দূর করে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে থাকে। শুধু ত্বকের যত্নেই নয়। চুল নরম, শাইনি স্বাস্থ্যজ্বল করতে এর বিকল্প নেই।
১। গোসলে অলিভ অয়েল
বিশ্ববিখ্যাত অভিনেত্রী সোফিয়া লরেনকে মনে আছে? এই ইটালিয়ান সুন্দরী অলিভ অয়েল দিয়ে গোসল করতে পছন্দ করতেন। আপনার গোসলের পানিতে ৫ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এবার এটি দিয়ে গোসল করুন। এক নিমিষে আপনার ত্বক নরম কোমল হয়ে উঠবে। এছাড়া গোসলের সময় অলিভ অয়েল  সারা শরীরে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। এই একটি কাজ নিয়মিত করার ফলে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে অবিশ্বাস্য রকমের নরম এবং কোমল।
২। শুষ্ক ত্বকের জন্য
শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের ত্বকের রুক্ষতার কারণে ত্বকে নান সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তাদের জন্য অলিভ অয়েল সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী সমাধান। গোসলের পর আপনি কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল শরীরে ম্যাসাজ করুন। এরপর কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন শুকিয়ে যাওয়ার জন্য। এটি আপনার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে থাকবে। অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে কোন লোশন ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়বে না।  
৩। স্ট্রেচ মার্ক রিমুভার
অলিচ অয়েল ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ধরে রাখে। আপনার স্ট্রেচ মার্কের উপর অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করুন। এটি শুধু দাগ নয় পুরাতন স্ট্রেচ মার্কও হালকা করে থাকবে। তবে এটি নিয়মিত করতে হবে।
৪। সানস্ক্রিন
সমপরিমাণ অলিভ অয়েল এবং চায়ের লিকার পানি মিশিয়ে নিন। এটি আপনি মুখ এবং সারা শরীরে ম্যাসাজ করুন। এবার এক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন না। এটি সানস্ক্রিনের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।
৫। চুল শাইনি করতে
লেবুর রস, ডিমের কুসুম এবং দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এটি চুল নরম এবং সাইনি করে তুলবে। খুশকি দূর করার জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করুন।
ত্বক থেকে মেকআপ দূর করতে অলিভ অয়েল বেশ কার্যকরী। এক টুকরো তুলোয় অলিভ অয়েল লাগিয়ে ত্বকে ঘষুন। এটি সুন্দরভাবে ত্বক থেকে মেকআপ তুলে ফেলবে।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.