রবিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৬

রান্নাঘর ঝকঝকে রাখবে এই ৩ টি লিকুইড ক্লিনার

ranna banna o beauty tips
৩ টি লিকুইড ক্লিনার
রান্নাঘর হলো এমন একটা জায়গা, প্রতিদিন পরিষ্কার না করলে নিমিষেই ভীষণ নোংরা হয়ে যায়। কিন্তু নানান রকমের কেমিক্যাল ক্লিনার ব্যবহার করলে তার কটু গন্ধ রয়ে যায় রান্নাঘরে, আর এগুলো স্বাস্থ্যের জন্যও খুব একটা ভালো নয়। এর বদলে আপনি নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন কিছু প্রাকৃতিক লিকুইড ক্লিনার। একদম ঘরোয়া কিছু উপাদান তৈরি এই ক্লিনারগুলো আপনার রান্নাঘর যেমন রাখবে পরিষ্কার তেমনি স্বাস্থ্যেরও কোন ক্ষতি করবে না মোটেই। দেখে নিন রান্নাঘর ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত পরিষ্কারের এসব ক্লিনার তৈরির উপায়।
খুব সাধারণ কিছু উপাদান দরকার হবে এই ক্লিনারগুলো তৈরি করতে। এগুলো হলো:
১) ভিনেগার: এটা তেল কাটতে সাহায্য করে, দাগ তুলে ফেলে এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান হিসেবে কাজ করে।
২) বেকিং সোডা: পরিষ্কার করার পাশাপাশি এটা দুর্গন্ধ দূর করে থাকে।
৩) ক্যাসটাইল সোপ বা গ্লিসারিন সোপ:  এটা প্রাকৃতিক সাবান হিসেবে কাজ করে।
৪) লেবু বা কমলা: এগুলোর খোসায় লিমোনিন নামের এক ধরণের প্রাকৃতিক উপাদান থাকে যা তেল কাটে এবং খুব সুন্দর সুগন্ধ ছড়ায়।
লেবুর সুগন্ধে ভিনেগার

এর জন্য আপনার লাগবে ঢাকনা সহ একটা কাঁচের জার, ভিনেগার এবং পাকা লেবু। লেবু ধুয়ে শুকিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। খোসাগুলোকে জারের ভেতর রেখে বাকিটা ভিনেগার দিয়ে ভরে দিন। এবার ঢাকনা লাগিয়ে একটা অন্ধকার, শুকনো জায়গায় রেখে দিন দুই সপ্তাহ। বেশিদিন রাখলে এর কার্যকারিতাও বাড়বে। এরপর বের করে ভিনেগারটা ছেঁকে নিন। এই ভিনেগার আপনি এমনিই ব্যবহার করতে পারেন টেবিল, সিঙ্ক এগুলো মোছার জন্য অথবা তৈরি করতে পারেন এই ক্লিনারগুলো-
তেল কাটানোর ক্লিনার

-   ২/৩ ভাগ পানি
-   ১/৩ ভাগ ভিনেগার
-   ৩ চা চামচ বেকিং সোডা
-   ৪ চা চামচ ক্যাসটাইল সোপ
-   স্প্রে বোতল
পানি ও এসেনশিয়াল অয়েল ছাড়া উপকরণগুলো একসাথে ঝাঁকিয়ে মিশিয়ে নিন এবং স্প্রে বোতলে ভরে নিন, কয়েক মিনিট পর পানিটুকু দিয়ে দিন। আরও কয়েক মিনিট পর ইচ্ছে হলে দিতে পারেন এসেনশিয়াল অয়েল। এটা ব্যবহার করা যাবে মাইক্রোওেভের ভেতরের তেলতেলেভাব দূর করতে অথবা চুলের আশেপাশের তেলতেলে ময়লা দূর করতে।
ফ্লোর ক্লিনার

-   ১ কাপ পানি
-   ১ কাপ ভিনেগার
-   ৪ টেবিল চামচ ক্যাসটাইল সোপ
-   ১০ ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল
এটা রান্নাঘরের টাইলের মেঝে থেকে ময়লা ও তেল চিটচিটেভাব দূর করবে।
অল পারপাস ক্লিনার

- এক কাপ পানি
- এক কাপ ভিনেগার
- এসেনশিয়াল অয়েল
- স্প্রে বোতল
যে কোনও ময়লা দূর করতে এই স্প্রে কাজে আসবে চটজলদি।
এসব ক্লিনার শুধু যে নিরাপদ এবং কার্যকরী তাই নয়, বরং এগুলো টাকা বাঁচাতেও কাজে আসে।

নতুন বছরে তৈরি করে ফেলুন মজাদার মশলা ডাক রোস্ট

ranna banna o beauty tips
মজাদার মশলা ডাক রোস্ট
শীত চলে এসেছে আর হাঁস খাওয়া হবে না, তা কি করে হয়? হাঁস খাওয়ার সবচেয়ে পারফেক্ট সময় হল শীতকাল। হাঁস রান্নাটি অন্য দশটি রান্না থেকে কিছুটা ভিন্ন। একটু মশালাদার, ঝাল না হলে খেতে ভাল লাগে না। সাধারণত আমরা হাঁস রান্না করতে নারকেল এবং নারকেলের দুধ ব্যবহার করে থাকি। অনেকের নারকেল খাওয়া নিষেধ থাকে, তারা নারকেল হাঁস খেতে পারেন না। নারকেল ব্যবহার না করেও ডাক রোস্ট তৈরি করা সম্ভব। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মশলা ডাক রোস্ট রেসিপি।
উপকরণ:
৫০০ গ্রাম হাঁসের মাংস
১০-১৫ কোয়া রসুনের কোয়া
২ ইঞ্চি আদা কুচি  
৮-১০ টি লাল মরিচ
২টি বড় আকৃতির পেঁয়াজ কুচি
১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
লবণ স্বাদমত
১/২ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
১ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
১ চাচামচ চিনি
১ টেবিল চামচ কিশমিশ
তেল
২টি মাঝারি আকৃতির আলু
পানি
প্রণালী:
১। প্রথমে আদা কুচি, রসুন কুচি, লবণ, হলুদ গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো, গোল মরিচ গুঁড়ো, লাল মরিচ, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করে নিন।
২। এখন একটি প্যানে হাঁসের মাংস,তেল, মশলার পেস্ট দিয়ে মিশিয়ে নিন।
৩। এবার এটি ৩০ মিনিটের জন্য ম্যারিনেট করতে দিন।
৪। এখন আরেকটি প্যান চুলায় গরম করতে দিন। এতে কিউব করে কাটা আলুর টুকরোগুলো দিয়ে দিন।
৫। হালকা করে ভাজুন।
৬। আরেকটি প্যানে ম্যারিনেট করা মাংস চুলায় দিয়ে ৫ মিনিট জ্বাল দিন।
৭। এবার এতে চিনি, কিশমিশ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।
৮। তারপর পানি দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।
৯। ঢাকনা দিয়ে অল্প আঁচে ২০ মিনিট রান্না করুন।
১০।  এরপর ভাজা আলু, ধনে পাতা কুচি দিয়ে নাড়ুন।
১১। ঢাকনা দিয়ে ১০ মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করুন।
১২। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মশালাদার ডাক রোস্ট।
১৩। পরোটা, পোলাও, সাদা ভাত সবকিছুর সাথে খেতে পারেন এই মজাদার খাবারটি।

বাদামের স্বাদে দারুণ মজার চিকেন স্টার ফ্রাই

ranna banna o beauty tips
চিকেন স্টার ফ্রাই
বাদাম খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। কিন্তু রান্নায় বাদাম ব্যবহার করার কাজটা সবাই পারেন না। তারা খুব চটজলদি তৈরি করে ফেলতে পারেন বাদামের স্বাদে চিকেন ফ্রাই। এই ফ্রাই স্ন্যাক্স হিসেবে যেমন, তেমনি ফ্রাইড রাইসের সাথেও খেতে দারুণ লাগবে। উৎসবের এই সময়টায় অন্যরকম এই স্বাদে অবাক করে দিন আপনার পরিবারকে।




উপকরণ

-   ৪০০ গ্রাম হাড়ছাড়া চিকেন ব্রেস্ট, চিকন করে কাটা
-   ২ টেবিল চামচ + ১ চা চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার
-   ২ টেবিল চামচ ময়দা
-   ২ ইঞ্চি সেলেরি স্টিক, কুচি করা
-   ভাজার জন্য তেল
-   ৩টা পিঁয়াজকলির সাথে থাকা কচি পিঁয়াজ, কুচি করা
-   অর্ধেকটা হলুদ ক্যাপসিকাম, মাঝারি কিউব করে কাটা
-   অর্ধেকটা লাল ক্যাপসিকাম, মাঝারি কিউব করে কাটা
-   অর্ধেকটা সবুজ ক্যাপসিকাম, মাঝারি কিউব করে কাটা
-   আধা কাপ বিভিন্ন ধরণের বাদামের মিশ্রণ, মিহি কুচি করা
-   লবণ স্বাদমতো
-   সিকি কাপ টমেটো কেচাপ
-   সিকি কাপ পিঁয়াজকলি পাতা কুচি
-   ৫/৬টা রসুনের কোয়া কুচি
-   ১ চা চামচ সয়া সস
-   আধা চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
-   ২ টেবিল চামচ মরিচবাটা
-   ২টা ডিম
প্রণালী

১) একটা বড় বোলে মুরগীর টুকরো, লবণ, গোলমরিচ, রসুন, ১ টেবিল চামচ মরিচ বাটা, একটা ডিমের কুসুম নিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। এটাকে ১০-১৫ মিনিট ম্যারিনেট হতে দিন।
২) আরেকটা বোলে একটা ডিমের সাদা অংশ, আরেকটা ডিমের পুরোটা, লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে এটাকে ভালো করে বিট করে নিন।
৩) বাদাম, ২ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার, ২ টেবিল চামচ ময়দা, লবণ এবং গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।
৪) চিকেনের টুকরোগুলোকে প্রথমে ডিমের মিশ্রণে ডুবিয়ে বাদামের মিশ্রণে গড়িয়ে নিন।
৫) ডিপ ফ্রাই করার মতো যথেষ্ট তেল গরম করে নিন কড়াইতে। চিকেনগুলোকে সোনালি করে ভেজে তুলুন। ঠিকমতো সেদ্ধ হয়েছে কিনা খেয়াল রাখবেন। কিচেন টাওয়েলে রাখুন যাতে তেল শুষে নেয়। 
৬) এবার সস তৈরি করুন। একটা কড়াইতে অল্প তেল গরম করে এতে রসুন এবং সেলেরি দিয়ে সাঁতলে নিন ২০ সেকেন্ড। এতে কচি পিঁয়াজ কুচি, মরিচ বাটা দিয়ে এক মিনিট ভুনে নিন। এরপর টমেটো কেচাপ দিয়ে মিশিয়ে নিন ভালো করে।
৭) ক্যাপসিকামগুলো দিয়ে টস করে নিন। ওপরে একটু পানি ছিটিয়ে সয়াসস, লবণ ও গোলমরিচ গুঁড়ো দিন। ভালো করে মিশিয়ে নিন। এক চা চামচ কর্ন ফ্লাওয়ারের সাথে দুই টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে নিন। এটা সসে দিয়ে দিন, সস ঘন হবে। এটা মিশে গেলে সসে চিকেনগুলো দিয়ে টস করে মিশিয়ে নিন যাতে সস ভালো করে মেখে যায়। ওপরে পিঁয়াজকলি কুচি দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। গরম গরম সার্ভ করুন।

অন্যরকম স্বাদের স্ন্যাক পোচড প্রন ইন ডিপিং সস

ranna banna o beauty tips
স্ন্যাক পোচড প্রন
দারুণ ঝাল-মশলা সহ তেলে মুচমুচে করে ভাজা খাবার পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। কিন্তু এত তেল-মশলা আদতে স্বাস্থ্যের জন্য খুব একটা ভালো নয়। খুব কম উপকরণে অন্যরকম স্বাদের একটা স্ন্যাক্স তৈরি করতে চাইলে দেখে নিতে পারেন পোচড প্রনের এই রেসিপিটি। সাধারণ ফাস্ট ফুডের মতো অস্বাস্থ্যকর নয়, বরং সেদ্ধ করা হয় বলে বেশ স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স এটি। এর সাথে দেখে নিন ডিপিং সস তৈরির রেসিপিটিও।
উপকরণ

-   ১০টা মাঝারি আকৃতির চিংড়ি , পরিষ্কার করা কিন্তু লেজ রেখে দেওয়া
-   লবণ স্বাদমতো
-   ২ টেবিল চামচ ভিনেগার
-   ২ টেবিল চামচ পিঁয়াজকলি কুচি
-   ১ টেবিল চামচ আদা লম্বা করে কাটা
-   ২টা সবুজ কাঁচামরিচ
-   ১ টেবিল চামচ রাইস ভিনেগার
-   ১ টেবিল চামচ সয়াসস
-   ২ টেবিল চামচ তিলের তেল
প্রণালী

১) নন-স্টিক প্যানে ২ কাপ পানি গরম করে নিন। এতে লবণ এবং ভিনেগার দিয়ে ফুটিয়ে নিন।
২) ফুটন্ত পানিতে চিংড়িগুলো দিয়ে ২ মিনিট রান্না করুন। পানি ঝরিয়ে একটা বোলে রেখে দিন এগুলোকে।
৩) ডিপিং সস তৈরি করার জন্য ২ টেবিল চামচ পিঁয়াজকলি কুচি, আদা, কাঁচামরিচ, রাইস ভিনেগার এবং সয়াসস একটা বাটিতে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
৪) নন-স্টিক প্যানে তিলের তেল গরম করে নিন যতক্ষণ না ধোঁয়া উঠতে থাকে। এরপর ডিপিং সসের সাথে এটা মিশিয়ে নিন। ৫ মিনিট রেখে দিন।
৫) পিঁয়াজকলি কুচি দিয়ে চিংড়ি গার্নিশ করে নিন। গরম গরম সার্ভ করুন ডিপিং সসের সাথে।

জেনে নিন ঘরেই দম বিরিয়ানি তৈরির প্রণালীটি

Ranna banna o beauty tips
দম বিরিয়ানি
বিরিয়ানি খেতে কে না পছন্দ করে? রেস্টুরেন্টে গেলে সবার আগে এই খাবারটির কথা মনে আসে। দক্ষিণ এশিয়ায় জনপ্রিয়  একটি খাবার এটি। সাধারণত গরু, খাসি, মুরগির বিরিয়ানি তৈরি করা হয়। রেস্টুরেন্টে গেলে বিভিন্ন নামের বিরিয়ানি কিনতে পাওয়া যায়। যেমন দম বিরিয়ানি, হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানি ইত্যাদি। মূল উপাদান পোলাওয়ের চাল এবং মাংস হলেও মশলার ভিন্নতার কারণে এর স্বাদে ভিন্নতা পাওয়া যায়। দম বিরিয়ানি ভারতীয় খাবার হলেও বাংলাদেশে এটি বেশ জনপ্রিয়। সঞ্জীব কাপুরের রেসিপিতে জেনে নিন দম বিরিয়ানি রান্নার রেসিপিটি।
উপকরণ:

১/২ কেজি বাসমতী বা পোলাও চাল
১ কেজি খাসির মাংস
২ টেবিল চামচ আদা রসুন এবং কাঁচা মরিচের পেস্ট
১ চা চামচ কাঁচা পেঁপের পেস্ট
লবণ
১.৫ কাপ টকদই
১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
১.৫ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো
১ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
১/২ চা চামচ জয়ফল গুঁড়ো
১টি লেবুর রস
৪টি লবঙ্গ
৪-৫ টি এলাচি
১ চা চামচ শাহী জিরা
১ চা চামচ জিরা
৪টি মাঝারি আকৃতির আলু
৪ টেবিল চামচ পুদিনা পাতা কুচি
৪ টেবিল চামচ ধনে পাতা কুচি
১টি জয়ত্রি গুঁড়ো
১ ইঞ্চি দারুচিনি
১টি তেজপাতা
ঘি
৫টি গোলমরিচ গুঁড়ো
২টি কালো এলাচ
১ চা চামচ জাফরান ভেজানো পানি
১ কাপ পেঁয়াজ বেরেস্তা (সাজানোর জন্য)
প্রণালী:

১। প্রথমে একটি প্যানে পানি সিদ্ধ হতে দিন।
২। মাংসে লবণ, পেঁপের পেস্ট, আদা, রসুন এবং কাঁচা মরিচ পেস্ট দিয়ে মাখিয়ে নিন। এটি কমপক্ষে ৮ ঘন্টা মেরিনেট করার জন্য রেখে দিন। সম্ভব হলে সারা রাত এটি মেরিনেট করার জন্য রেখে দিন।
৩। মেরিনেট করা মাংসের মধ্যে হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো, লেবুর রস,লবঙ্গ, শাহী জিরা, তেজপাতা, জায়ফল গুঁড়ো (সামান্য), এলাচ, জিরা, পেঁয়াজ বেরেস্তা, আলু, ধনে পাতা কুচি, পুদিনা পাতা কুচি এবং টক দই দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৪। এখন সিদ্ধ করা পানির মধ্যে এক চা চামচ ঘি, আস্ত জয়ত্রি, তেজপাতা, কালো এলাচ, সবুজ এলাচ, শাহী জিরা, দারুচিনি, লবণ দিয়ে দিন।
৫। এরপর এতে পোলাও চাল দিয়ে দিন। চাল ১০-১৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে নিবেন।
৬। চাল আধা সিদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন। নামিয়ে পানি ঝরতে দিন।
৭। এখন একটি ভারী প্যানে ঘি দিয়ে দিন।
৮। ঘি গরম হয়ে এলে এতে মেরিনেইট করা মাংসগুলো দিয়ে দিন।
৯। এখন মাংসের উপর সিদ্ধ করা পানি ঝরানো চালগুলো দিয়ে দিন। মাংসের উপর পোলাও চাল লেয়ার করে দিবেন।
১০। তার উপর ধনে পাতা কুচি, পেঁয়াজ বেরেস্তা, জাফরন গোলানো পানি, সামান্য গরম মশলা গুঁড়ো, লবণ, পুদিনা পাতা এবং সামান্য ঘি ছড়িয়ে দিন।
১১। এখন প্যানটির ঢাকনার লাগিয়ে তার চারপাশে সিদ্ধ আটা দিয়ে লাগিয়ে দিন।
১২। মাঝারি আঁচে ৩৫ মিনিট রান্না করুন।
১৩। চুলা নিভিয়ে ফেলুন। ১৫ মিনিট চুলার উপর রেখে দিন।
১৪।  ব্যাস তৈরি হয়ে গেল মজাদার দম বিরিয়ানি।

বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫

নতুন বছরের আয়োজনে সুস্বাদু স্ট্রবেরি ক্ষীর

ranna banna o beauty tips
নতুন বছরের আয়োজনে সুস্বাদু স্ট্রবেরি ক্ষীর
বর্তমান সময়ে স্ট্রবেরি ফলটি প্রায় সব ফলের দোকানে পাওয়া যায়। শুধু ফলের দোকান নয় রাস্তার পাশে ঝুড়িতেও আজকাল স্ট্রবেরি বিক্রি করতে দেখা যায়। এই ফলটি দিয়ে মজাদার সব খাবার তৈরি করা যায় সহজেই। দোকানে গেলে দেখতে পাওয়া যায় স্ট্রবেরি কেক, স্ট্রবেরি আইসক্রিম আরও কত কি। ক্ষীর সবাই রান্না করে থাকেন। কিন্তু স্ট্রবেরি ক্ষীর কি তৈরি করছেন কখনও? স্ট্রবেরি ফল দিয়ে নতুন বছরের পার্টির জন্য তৈরি করে ফেলুন স্ট্রবেরি ক্ষীর। 

উপকরণ:

১/২ কাপ স্ট্রবেরি কুচি

১/২ কাপ স্ট্রবেরি পিউরি

২ টেবিল চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার

১ টেবিল চামচ ঠান্ডা দুধ

৩ কাপ ফুল ফ্যাট মিল্ক

১/২ কাপ চিনি

১ চিমটি এলাচি গুঁড়ো

প্রণালী:

১। প্রথমে উচ্চ তাপে দুধ জ্বাল দিয়ে দিন। দুধ বলক হয়ে উঠলে চুলা কমিয়ে দিন।

২। তারপর চুলা অল্প আঁচে দিয়ে দুধ ৫ থেকে ৬ মিনিট জ্বাল দিন। জ্বাল দেওয়ার সময় নাড়তে থাকুন।

৩। এখন কর্ণ ফ্লাওয়ার এবং দুধ মিশিয়ে নিন।

৪। জ্বাল দেওয়া দুধের সাথে কর্ণ ফ্লাওয়ার, চিনি মিশিয়ে অল্প আঁচে ৭ থেকে ৮ মিনিট রান্না করুন। 

৫। এলাচ গুঁড়ো দিয়ে আরও কিছু মাঝারি আঁচে রান্না করুন।

৬। চুলা বন্ধ করে দিন।

৭। এরপর এতে স্ট্রবেরি পিউরি এবং স্ট্রবেরি কুচি মিশিয়ে নিন।

৮। ঠান্ডা হয়ে গেলে আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা ফ্রিজে রাখুন।

৯। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল মজাদার স্ট্রবেরি ক্ষীর।

ঘরেই তৈরি করুন মজাদার মার্শম্যালো

ranna banna o beauty tips
মজাদার মার্শম্যালো
বাচ্চারা এই খাবারটি ভীষণ পছন্দ করে। শুধুই কি বাচ্চারা? বড়রাও কিন্তু ভীষণ খেতে ভালোবাসেন এই মার্শম্যালো নামের খাবারটি। নানান রকমের মিষ্টি আইটেম সাজাতেও কাজে লাগে বেশ। চলুন, আজ জেনে নিই ঘরেই মার্শম্যালো তৈরির রেসিপি। আর রেসিপিটি দিচ্ছেন শারমিন খান জিন্নাত।

উপকরণ

৩/৪ কাপ গরম পানি (জেলেটিন গলানোর জন্য)

২ টেবিল চামচ আনফ্লেভারড জিলেটিন

৩/৪ পানি

২ কাপ আইসিং সুগার

১/৩ কাপ কর্ণ ফ্লাওয়ার

১ কাপ কর্ণ সিরাপ/ গ্লুকোজ সিরাপ

১ চা চামচ ভ্যানিলা

১/৩ চামচ লবণ

 প্রনালি

    -৩/৪ কাপ গরম পানিতে জিলেটিন দিয়ে গুলিয়ে নিন।
    -এবার একটা প্যান চুলায় দিয়ে তাতে ৩/৪ পানি ,২ কাপ আইসিং সুগার,১ কাপ কর্ণ সিরাপ/গ্লুকোজ সিরাপ,১ চা চামচ ভ্যানিলা ,১/৩ চামচ লবণ দিয়ে ১ মিনিট বেশি জ্বালে রান্না করুন।
    -যখন ফেনা ফেনা হয়ে যাবে তখন নামিয়ে নিন।
    -ইলেকট্রিক বিটারে জিলেটিন দিন এবং গরম রান্না করা সিরাপ ঢেলে দিয়ে হাই স্পীডে বিট করে নিন। সাদা ক্রিমের মতো হলে একটা ওয়াক্স পেপারে তেল লাগিয়ে একটা কাঁচের ডিসের মাঝে দিয়ে তাতে বিট করা ক্রিমটা ঢেলে দিন।
    -অন্য আর একটা পেপার তার উপর দিয়ে হালকা করে চেপে ছড়িয়ে দিয়ে ৬ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন।
    -তারপর বের করে আইসিং সুগার আর কর্ণ ফ্লাওয়ার মিক্স করে কাটারের উপর ছড়িয়ে দিন।
    -জমে যাওয়া মার্শম্যালো ডিস থেকে বের করে কাটারের উপর রেখে ছুরি দিয়ে ১/২ ইঞ্চি বা ১ ইঞ্চি শেপে কেটে নিন। (চাইলে বিট করা মার্শম্যালোতে ইচ্ছেমত ফুড কালার মেশাতে পারেন) ।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.