winter season লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
winter season লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৬

শীতে ঘর গরম রাখার উপায়

ranna banna o beauty tips
শীতে ঘর গরম রাখার উপায়
শীত বইছে পুরোদমে। শহরে শীতের আধিপত্য কম হলেও গ্রাম মুড়ে আছে শীতের চাদরে। কনকনে ঠাণ্ডার ফাঁকে রোদের উঁকি থাকে কখনো, কখনো আবার একেবারেই থাকে না। তাইতো গরম কাপড়ে নিজেকে উষ্ণ রাখার দারুণ প্রচেষ্টা। শীতের দাপুটে হাওয়ায় সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায় অনেক সময়। কোনো মতে বাইরের কাজ শেষ করে নিজের ঘরে আশ্রয় নেয়া। অথচ বাইরের বাতাস ঠেকালেও তীব্র শীতে ঘরের ভেতরে থাকে কনকনে শীত। তাই দরকার ঘরকে উষ্ণ রাখা। কিন্তু কীভাবে-

- এই শীতে ঘর গরম করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন ভারী বা কয়েক পরতের উজ্জ্বল রঙের পর্দা। উজ্জ্বল রঙের পর্দাগুলো যেমন ঘর গরম রাখবে, তেমনি ঘরের সৌন্দর্যে আনবে ভিন্নতা।

- বাইরের বাতাস ঢুঁকে ঘরকে ঠাণ্ডা করে ফেলে। তাই দরজা-জানালার ফাঁকা স্থানগুলো বন্ধ করে দিতে হবে যত দ্রুত সম্ভব। এসব জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন রাবারের বেল্ট, মোটা কাগজ বা কাপড়।

- ঘরে রোদ পড়ার ব্যবস্থা থাকলে আলো ঢোকার সুযোগ রাখতে হবে। দুপুরের দিকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও সূর্যের আলো ঢুঁকতে দরজা-জানালার পর্দা সরিয়ে দিতে পারেন। এতে ঘর কিছুটা হলেও গরম হবে।

- ঘরের দেয়ালে লাগিয়ে নিতে পারেন পাতলা ফয়েল কাগজ। ফয়েল কাগজে মুড়ে রাখলে দেয়াল থেকে ঠাণ্ডা বের হতে বাধা দেয়। গিফট শপে এসব কাগজ কিনতে পাওয়া যায়। পছন্দের রঙ ও ডিজাইনের কাগজ লাগিয়ে নিলেই হল।

- জানালা যদি ঘরে রোদ ঢোকার উৎস হয় তাহলে জানালার কাছেই বসিয়ে দিন বড় একটি আয়না। আয়নায় প্রতিফলিত তাপে আরও উষ্ণ হবে আপনার ঘর।

- প্রয়োজনে রুম হিটারও ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ঘরের তাপমাত্রার সঙ্গে মিলিয়ে হিটারের তাপমাত্রা ঠিক করতে ভুলবেন না।

- শীতের সকালে এবং সন্ধ্যায় বা রাতে রান্নাবান্নার কাজ চালাতে পারেন। এতে ঘর গরম হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। জানালা দরজা ফাঁকা না থাকলে উষ্ণতা বজায় থাকবে।

- শীতের এই সময়ে মেঝেতে কার্পেট বা মাদুর বিছিয়ে নিন। বাজারে নানা ধরণের কার্পেটের পাশাপাশি বেত ও পাটের তৈরি আধুনিক ডিজাইনের চাটাইও পাওয়া যায়। এগুলো মেঝে থেকে ঠাণ্ডা উঠতে বাধা দেয়।

বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৫

শীতের খুশকি দূর করার সহজ উপায়

শীতের খুশকি দূর করার সহজ উপায়
মাথার তালুর সাদা বর্ণের মৃত চামড়াকে খুশকি বলে। মাথার তালু শুষ্ক হলে অথবা সেবোরহেইক ডারমাটাইটিস এর জন্য খুশকি হয়। এছাড়াও এক্সিমা, সোরিয়াসিস বা ম্যালাসেজিয়া নামক ছত্রাকের আক্রমনেও খুশকি হতে পারে। যে কোন বয়সের মানুষেরই খুশকির সমস্যা হতে পারে, তবে টিনএজার ও প্রাপ্তবয়স্কদের বেশি হয়ে থাকে। এটা বিরক্তিকর ও অস্বস্তিকর একটি সমস্যা তবে মারাত্মক কোন সমস্যা নয়। খুশকির পরিমাণ বেশি হলে ব্রণ ও চুলকানির সমস্যা হতে পারে। খুশকি নিয়ন্ত্রণের জন্য সহজ ও কার্যকরী কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি আছে। আসুন সেই পদ্ধতি গুলো জেনে নেই।

১। ভিনেগার

খুশকি দূর করার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী উপাদান হচ্ছে ভিনেগার যা সস্তা ও সহজ লভ্য।আপেল সিডার ভিনেগার বা সাদা ভিনেগার দুইটাই খুশকি নির্মূলের কাজে ব্যাবহার করা যায়।   

    -এক কাপের ৪ভাগের ১অংশ ভিনেগার এবং ৪ভাগের ৩অংশ পরিমাণ পানি    একসাথে মিশিয়ে চুল ধোয়ার পর ব্যাবহার করুন।
    -ভিনেগার দেয়ার পর আর চুল ধোবেন না।তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।চুল শোকানোর সাথে সাথে ভিনেগারের গন্ধও চলে যাবে।
    -যতদিন না খুশকি দূর হচ্ছে নিয়মিত ভিনেগার ব্যবহার করুন। 

২। নিম

নিমে ছত্রাক নাশক ও ব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদান আছে।তাই শুধু খুশকি দূর করার জন্যই না মাথার তালুর অ্যাকনি,চুলকানি এবং চুল পড়া বন্ধ করতেও নিম ব্যাবহার করা হয়।নিমকে ইন্ডিয়ান লাইলাক ও বলা হয়।

    -   চার কাপ পানিতে এক মুঠো নিম পাতা দিয়ে সিদ্ধ করুন
    -   ঠান্ডা করে মিশ্রণটি ছেকে নিন
    -   এই মিশ্রণটি চুলে ব্যবহার করুন সপ্তাহে ২-৩বার।

৩। নারিকেল তেল

ক্রাঞ্চিবেটি ডট কম এর মতে খুশকির চিকিৎসায় নারিকেল তেল প্রয়োগ কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে।

    -গোসলের আগে ৩-৫ টেবিল চামুচ নারিকেল তেল মাথার তালুতে লাগান এবং এক ঘন্টা রাখুন
    -তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

৪। মাউথওয়াশ

খুশকির সমস্যা দূর করার জন্য মাউথ ওয়াশ ব্যাবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। খুশকির সমস্যা অনেক বেশি হলে চুল ধোয়ার পর মাথার তালুতে মাউথ ওয়াশ লাগান। এভাবে ৫-১০মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।চোখে যেন না লাগে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। সপ্তাহে একবার এটা করতে পারেন।

৫। লেবু

খুশকি দূর করতে লেবু চমৎকার কাজ করে। গোসলের আগে মাথার তালুতে ভালো ভাবে লেবু ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। লেবু খুশকি দূর করার পাশাপাশি চুলের আঠালো ভাব দূর করে এবং উজ্জ্বলতা দান করে। 

নিয়মিত চুল আঁচড়ান, এতে মাথার তালুর রক্ত চলাচল বাড়বে এবং তেল এর নিঃসরণ বাড়বে। স্ট্রেস এর কারনে খুশকি বাড়তে পারে।তাই স্ট্রেস মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।স্বাস্থ্যকর খাবার খান।অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- ফাস্ট ফুড ও চিনি সমৃদ্ধ খাবার কম খান।ভিটামিন বি৬ ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার খান,কারণ এগুলো চুল ও তালুর ত্বক ভালো রাখে।পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
লিখেছেন-

সাবেরা খাতুন


 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.