homemade recipe লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
homemade recipe লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০১৬

বৃষ্টিতে খিচুড়ি

সসেজ ভুনা খিচুড়ি

ranna banna o beauty tips
সসেজ ভুনা খিচুড়ি
উপকরণ: পোলাওয়ের চাল আধা কেজি, মসুর ডাল আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি দেড় টেবিল চামচ, সসেজ ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, এলাচ-দারুচিনি কয়েকটা, কারিপাতা ৮-১০টা, হলুদের গুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি কয়েকটা, ঘি ৩ টেবিল চামচ।

প্রণালি: সসেজ টুকরো করে ঘিতে ভেজে তুলে রাখুন। এবার পেঁয়াজ কুচি, কারিপাতা, গরম মসলা সামান্য ভেজে আদাবাটা, রসুনবাটা, হলুদের গুঁড়া, চাল ও ডাল দিয়ে ৫ মিনিটের মতো কষান, পরিমাণমতো গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিন। পানি কিছুটা কমে এলে সসেজ ঢেলে নেড়ে দিন। কাঁচা মরিচ দিয়ে মৃদু আঁচে ঢেকে দিন। হয়ে গেলে গরম-গরম পরিবেশন করুন।

পাঁচমিশালি ডালে নরম খিচুড়ি
পাঁচমিশালি ডালে নরম খিচুড়ি
উপকরণ: সেদ্ধ চাল দেড় কাপ, পাঁচমিশালি ডাল ১ কাপ, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, জিরার গুঁড়া আধা চা-চামচ, ধনের গুঁড়া আধা চা-চামচ, তেজপাতা ২টা, এলাচ ৩-৪টা, দারুচিনি ২-৩ টুকরা, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, বাগারের জন্য ঘি দেড় টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি: চাল ও ডাল ধুয়ে আদাবাটা, রসুনবাটা, হলুদ ও মরিচের গুঁড়া, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, পেঁয়াজ, লবণ ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে চুলায় দিন। চাল ও ডাল সেদ্ধ হয়ে ঘন হয়ে এলে ঘিতে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে ঢেলে দিন। কয়েকটা কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে নামিয়ে নিন। গরুর মাংসের সঙ্গে পরিবেশন করুন। 
মুগডালের সাদা খিচুড়ি
মুগডালের সাদা খিচুড়ি
উপকরণ: পোলাওয়ের চাল ৫০০ গ্রাম, মুগডাল ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি দেড় টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, এলাচ, দারুচিনি কয়েকটা, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, কারিপাতা ৮-১০টা, লবণ স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ ৫-৬টা, লবঙ্গ ২-৩টা।
প্রণালি: মুগডাল অল্প আঁচে টেলে নিন। চাল ও ডাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। ঘিতে পেঁয়াজ, লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি ও কারিপাতা ভাজুন। এবার আদাবাটা, রসুনবাটা, চাল ও ডাল দিয়ে কয়েক মিনিট কষান। সাড়ে তিন কাপ-আন্দাজ গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিন। মাঝারি আঁচে রাখুন। পানি কমে এলে নেড়ে কাঁচা মরিচ দিয়ে মৃদু আঁচে ঢেকে দিন। হয়ে গেলে ভাজা ডিমের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
সবজির বিন্নি খিচুড়ি
সবজির বিন্নি খিচুড়ি
উপকরণ: বিন্নি চাল ২ কাপ, মসুর ডাল ১ কাপ, বিভিন্ন রকম সবজি আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, আদাবাটা ১ চ-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা কয়েকটা, ঘি ৩ টেবিল চামচ, পানি সাড়ে তিন কাপ
প্রণালি: বিন্নি চাল ২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ফুলে ওঠার পর ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। ডাল পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। বিভিন্ন রকম সবজি ছোট ছোট টুকরো করে নিন। পাত্রে ঘি গরম করে পেঁয়াজ ও গরম মসলা ভেজে সবজি আদা ও রসুনবাটা দিয়ে সামান্য ভেজে নিন। এবার চাল ও ডাল ঢেলে কয়েক মিনিট ভাজুন। পানি দিয়ে ঢেকে দিন। প্রথমে মাঝারি ও পরে মৃদু আঁচে রান্না করুন।
কলিজার ঝাল খিচুড়ি
কলিজার ঝাল খিচুড়ি
উপকরণ: পোলাওয়ের চাল ২ কাপ, ডাল সিকি কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া আধা চা-চামচ, কলিজা ১ কাপ, মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, ধনের গুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরার গুঁড়া ১ চা-চামচ, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, লবঙ্গ কয়েকটা, কাবাব চিনি ৪টা, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা-চামচ, জায়ফল-জয়ত্রী গুঁড়া আধা চা-চামচ, ঘি বা তেল ৩ টেবিল চামচ ও লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি: চাল ও ডাল পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। কলিজা ছোট ছোট টুকরো করে সেদ্ধ করে নিন। ঘিতে পেঁয়াজ, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, লবঙ্গ, আদা, রসুনবাটা ও সেদ্ধ কলিজা দিয়ে নাড়ুন। চাল ও ডাল দিয়ে কষান, পরিমাণমতো পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে ঢেকে দিন। পানি কিছুটা কমে এলে সব গুঁড়া মসলা দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। মৃদু আঁচে রাখুন। খিচুড়ি হয়ে গেলে সালাদের সঙ্গে গরম-গরম পরিবেশন করুন।

সোমবার, ২৭ জুন, ২০১৬

রেস্তরাঁ স্বাদের পাস্তা

ranna banna o beauty tips
রেস্তরাঁ স্বাদের পাস্তা
বর্তমান সময়ে পাস্তা বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। তরুণ তরুণী থাকে শুরু ছোট শিশু পর্যন্ত ইটালিয়ান খাবারটির ভক্ত। রেস্তরাঁ গুলোতে নানা স্বাদের পাস্তা পাওয়া গেলেও হোয়াইট সস পাস্তা বেশি প্রচলিত। বাসায় অনেকেই এই পাস্তা তৈরি করে থাকেন। কিন্তু তাতে রেস্তরাঁর মত স্বাদ পাওয়া যায় না। রেস্তরাঁ স্বাদের হোয়াইট এবং রেড সস পাস্তাটি আপনি ঘরে তৈরি করতে পারবেন। কীভাবে? জেনে নিন রেসিপিটি।

উপকরণ:

১০০ গ্রাম পাস্তা

১ কাপ দুধ

১ কাপ  টমেটো কিউরি

১ টেবিল চামচ লাল শুকনো মরিচ গুঁড়া

১ টেবিল চামচ রসুনের পেষ্ট

১টি ছোট পেঁয়াজ কুচি

১টি ক্যাপসিকাম কুচি

১.৫ টেবিল চামচ টমেটো সস

১টি ধন্দুল কুচি

২ টেবিল চামচ চিজ বা পনির

১/২ টেবিল চামচ অরিগোনা

১ চা চামচ ধনে পাতা কুচি

লবণ স্বাদমত

১ টেবিল চামচ মাখন

১ চা চামচ ময়দা

প্রণালী:

১। প্রথমে একটি প্যানে মাখন দিয়ে দিন। মাখন গলে গেলে এতে ময়দা দিন।

২। ময়দা, মাখন ভাল করে মিশে গেলে এতে দুধ দিয়ে দিন। দুধ, মাখন, ময়দা ভাল করে নাড়তে থাকুন যতক্ষন না এটি ঘন না হয়।

৩। ঘন হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।

৪। আরেকটি প্যানে মাখন দিন। এর সাথে পেঁয়াজ কুচি, রসুনের পেষ্ট দিয়ে নাড়ুন।

৫। এরপর এতে ক্যাপসিকাম কুচি, ধন্দুল কুচি ( যেকোন সবজি ব্যবহার করতে পারেন ) দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন। যদি মাংস দিতে চান, মাংসও দিয়ে দিতে পারেন।

৬। এবার টমেটোর পেস্ট দিয়ে ৭-৮ মিনিট রান্না করুন।

৭। এরপর একে একে টমেটো কেচাপ, ড্রাই অরিগেনো, শুকনো লাল মরিচের গুঁড়া দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন।

৮। এটি প্যানে লেগে গেলে এতে পানি দিয়ে নাড়ুন।

৯। এবার এতে হোয়াইট সস দিয়ে নাড়ুন।

১০। তারপর এতে চিজ এবং লবণ দিয়ে দিন।

১১। সিদ্ধ করা পাস্তা দিয়ে অল্প কিছুক্ষণ নাড়ুন।

১২। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার হোয়াইট এবং রেড সস পাস্তা।

মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০১৬

মেক্সিকান নাচোস

ranna banna o beauty tips
মেক্সিকান নাচোস 
দেখতে যেমন লোভনীয়, খেতেও দারুণ। বলছি নাচোসের কথা। সুদূর মেক্সিকোর মুখরোচক জনপ্রিয় খাবারটি এরই মধ্যে তরূণদের মাঝে বেশ প্রিয় হয়ে উঠেছে। তাইতো যে আড্ডাগুলোর প্রাণ ছিলো সিঙ্গারা-সমোচা, এরপরে চটপটি-ফুচকা, এখন সেখানে দেখা যায় নাচোসের রাজত্ব। 

মুচমুচে চিপসের সঙ্গে ক্রিমি ও চিজি চিকেন কিংবা ফ্রেশ টমেটো সালসা তৈরি হয় ভিন্ন স্বাদের নাচোস। 

আজ আপনাদের জন্য মুচমুচে নাচোসের রেসিপি:  

চিপসের উপকরণ: প্রথমেই চিপস তৈরি করে নিন। ভুট্টার আটা ২ কাপ, ময়দা আধা কাপ, পনির গ্রেট-২০০ গ্রাম, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, মাখন ২৫ গ্রাম, কুসুম গরম পানি পরিমাণমতো।

 প্রণালী: ভুট্টার আটা, ময়দা, পনির, কাঁচা মরিচ কুচি, লবণ ও মাখন একসঙ্গে মিশিয়ে পানি দিয়ে ভালো করে মেখে আধাঘণ্টা ঢেকে রাখুন। এবার পাতলা রুটি বেলে তিন কোনা করে কেটে ডুবোতেলে অল্প আঁচে হালকা বাদামি রং করে ভেজে তুলুন।

মাংস: মুরগির কিমা ২ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, আদা কুচি ১ চা-চামচ, রসুন কুচি ১ চা-চামচ, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, ওয়েস্টার সস ২ টেবিল চামচ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, মাখন ৫০ গ্রাম, টমেটো সালসা আধা কাপ, পনির ২০০ গ্রাম, পেঁয়াজ গোল করে কাটা আধা কাপ, ধনেপাতা কুচি আধা কাপ।

প্রণালী: মুরগির কিমা, সয়াসস, ওয়েস্টার সস দিয়ে মেখে ২০মিনিট রাখুন। এবার ফ্রাই প্যানে মাখন গরম করে আদা-রসুন ভেজে তাতে পেঁয়াজ দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে মাখানো কিমা দিয়ে কষিয়ে নিন। টমেটো সস দিয়ে কিছুক্ষণ পরে লেবুর রস ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামাতে হবে। 

টমেটো সালসা: লাল ও সবুজ মরিচ পছন্দমতো, ধনেপাতা কুচি আধা কাপ, রসুন কুচি পোয়া কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লেবুর রস ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, অলিভ ওয়েল ২ টেবিল চামচ, টমেটো কুচি আধা কাপ। সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে ফ্রিজে রাখুন।

কিমা রেখে ওপরে টমেটো সালসা, পনির, ধনেপাতা কুচি, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সাজিয়ে প্রিহিটেড ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। 
সবশেষে কর্নচিপস, চিকেন, সালসা সঙ্গে গলানো ক্রিমি চিজ, পছন্দমতো ক্রিম, মেয়োনেজ দিয়ে পছন্দের পাত্রে লেয়ার করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। 

রূপচাঁদা শুটকির দোপেঁয়াজা


ranna banna o beauty tips
রূপচাঁদা শুটকির দোপেঁয়াজা
উপকরণ: রূপচাঁদা শুটকি ১টি। তেল পরিমাণ মতো। পেঁয়াজকুচি ২ কাপ। রসুনকুচি আধা কাপ। টমেটোকুচি আধা কাপ। সামান্য আদাবাটা। ধনেগুঁড়া আধা চা-চামচ। মরিচগুঁড়া ৩ চা-চামচ। হলুদগুঁড়া দেড় চা-চামচ। কাঁচামরিচ ৬টি। লবণ স্বাদ মতো।

পদ্ধতি: রূপচাঁদা শুটকি দুই ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। নরম হলে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে, ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার প্যানে তেল দিন।

তেল গরম হলে তাতে পেঁয়াজকুচি, রসুনকুচি, সামান্য আদাবাটা, ধনেগুঁড়া, মরিচ, হলুদ, তেল, লবণ, কাঁচামরিচ আর টমেটো-কুচি সব মসলা ভালো করে ভেজে নিন।

পেঁয়াজ নরম হয়ে এলে তাতে মাছ দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজুন। এবার অল্প পানি দিয়ে ভালো করে কষিয়ে ঢেকে দিন। পানি কমে মাখা মাখা হলে তাতে কাঁচামরিচ দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।

গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

স্বাস্থ্যকর রান্নার জন্য ব্যবহার করুন ভিনেগার

ranna banna o beauty tips
স্বাস্থ্যকর রান্নার জন্য ব্যবহার করুন ভিনেগার
রান্নার স্বাদ বাড়ানোর জন্যই ভিনেগার ব্যবহৃত হয় বলে অনেকের ধারণা। তবে এ ধারণাটি মোটেও ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি খাবারের স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও খাবারকে স্বাস্থ্যকর করতে সহায়তা করে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। 

ভিনেগারে রয়েছে উচ্চমাত্রায় এসিটিক এসিড। এটি খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করতে ব্যবহৃত হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসিটিক এসিড পেটের জন্যও উপকারি। ভিনেগার রান্নাঘরে রাখার কিংবা খাবারে ব্যবহার করার প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। এ কারণে আপনার রান্নাঘরে যেন এক বোতল ভিনেগার রাখা হয় এবং নিয়মিত তা বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহৃত হয় এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
 ১. উচ্চমাত্রায় এসিটিক এসিড থাকায় ভিনেগার দেহের জন্য উপকারি। এটি মূলত আপনার দেহের বিভিন্ন খনিজ উপাদান গ্রহণের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এতে দেহের পুষ্টি গ্রহণের হার বৃদ্ধি পায়।
 ২. নারীরা ভিনেগার গ্রহণের মাত্রা বাড়িয়ে দেহের খনিজ উপাদানের ঘাটতি রোধ করতে পারে। এছাড়া ভিনেগারের আরও কিছু উপকারিতা রয়েছে। 
৩. বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভিনেগার ভূমিকা রাখে। 
৪. গবেষকরা বলছেন, হৃদরোগের সমস্যাতেও ভিনেগার উপকার করে। বিভিন্ন খাবারে লবণকে প্রতিস্থাপন করে ভিনেগার। 
৫. ভিনেগারে ক্যালরি কম থাকায় এটি সালাদে ব্যবহার করা সুবিধাজনক। 
৬. গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার আগে ভিনেগার খেলে পেটে পরিপূর্ণতার অনুভূতি হয়, যা পরবর্তীতে ক্ষুধা কমায় এবং বাড়তি খাওয়ার প্রবণতা রোধ করে।

মাছের লোভনীয় কয়েকটি রেসিপি

ranna banna o beauty tips
মাছের লোভনীয় কয়েকটি রেসিপি
গন্ধরাজী পাবদা

উপকরণ: পাবদামাছ ২০০ গ্রাম, কালোজিরে ১/৪ চা-চামচ, কাঁচালঙ্কা চেরা ৪টে, হলুদগুঁড়ো ১/২ চা-চামচ, লঙ্কাগুঁড়ো ১/২ চা-চামচ, হিং ১ চিমটে, গন্ধরাজ লেবুপাতা ৪-৫টা, রসুনকুচি ২টো, টোম্যাটোবাটা ১ টেবলচামচ, নুন স্বাদমতো, তেল পরিমাণমতো।

প্রণালী: পাবদামাছ ভেজে নিন, ওই তেলে কালোজিরে, কাঁচালঙ্কা, হিং, রসুনকুচি দিয়ে নাড়াচাড়া করে টোম্যাটোবাটা, নুন, হলুদগুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে জল দিন। জল ফুটলে মাছগুলো দিয়ে চাপা দিন। মাছ সিদ্ধ হলে লেবুপাতা দিয়ে গ্যাস বন্ধ করুন। ১০ মিনিট ওই অবস্থায় ঢাকা দিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর গরম ভাতের সঙ্গে সার্ভ করুন।

আম বড়ি ফুলকপি দিয়ে মৌরলামাছ

উপকরণ: মৌরলামাছ ২৫০ গ্রাম, ফুলকপি ছোট সাইজের ১টা, বড়ি ৪-৫টা, কাঁচা আম ১টা, আদাবাটা ১ চা-চামচ, জিরেবাটা ১/২ চা-চামচ, কাঁচালঙ্কা ২টো, হলুদগুঁড়ো ১ চা-চামচ, নুন-চিনি স্বাদমতো, লঙ্কাগুঁড়ো ১ চা-চামচ, পাঁচফোড়ন ১/৪ চা-চামচ, সরষের তেল পরিমাণমতো।

প্রণালী: মৌরলামাছে নুন, হলুদ মাখিয়ে ভাল করে ভেজে আলাদা করে রাখুন। ওই তেলে ফুলকপির ছোট টুকরোগুলো সোনালি করে বেজে তুলে নিন। আরও কিছুটা তেল দিয়ে বড়ি ভেজে তুলে রাখুন। এবার পাঁচফোড়ন, জিরেবাটা, হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে হালকা আঁচে কষুন। মশলা থেকে তেল ছাড়লে আদাবাটা, কাঁচা আমবাটা ও কয়েকটা আমকুচি দিয়ে নাড়াচাড়া করে জল দিন। ভাজা ফুলকপির টুকরো ও কাঁচালঙ্কা দিয়ে ঝোল ফুটতে দিন। ঝোলের মধ্যে মাছ ভাজা ও বড়ি ছাড়ুন। নুন, চিনি দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটতে দিন। সিদ্ধ হলে নামিয়ে গরম গরম ভাতের সঙ্গে খান।

তিল ট্যাংরা

উপকরণ: ট্যাংরামাছ ৪টে, সাদা সরষে ২ চা-চামচ, সাদা তিল ৪ চা-চামচ, টক দই ১ টেবলচামচ, কাঁচালঙ্কাবাটা ৩টে, কাঁচালঙ্কা চেরা ৩টে, পাঁচফোড়ন ১/৪ চা-চামচ, নুন স্বাদমতো, হলুদগুঁড়ো ১/২ চা-চামচ, সরষের তেল পরিমাণমতো।

প্রণালী: মাছ কেটে ধুয়ে নুন, হলুদ মাখিয়ে ভেজে নিন। ওই তেলে পাঁচফোড়ন দিন। একটা বাটিতে টক দই ফেটিয়ে তাতে তিলবাটা, সাদা সরষেবাটা, লঙ্কাবাটা, নুন, হলুদ ও সামান্য জল দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে তেলে দিয়ে নাড়তে থাকুন। প্রয়োজনে সামান্য জলও দিতে পারেন। এবার ভেজে রাখা মাছ দিয়ে ফুটতে দিন। মাছ সিদ্ধ হলে চেরা কাঁচালঙ্কা দিন। নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

কাজলিমাছের বাটি চচ্চড়ি

উপকরণ: কাজলিমাছ ২৫০ গ্রাম, আলু মাঝারি মাপের ১টা, পেঁয়াজ মাঝারি মাপের ১টা, হলুদগুঁড়ো ১/২ টেবলচামচ, লঙ্কাগুঁড়ো ১ টেবলচামচ, নুন স্বাদমতো, কাঁচালঙ্কা চেরা ৪টে, টোম্যাটোবাটা ১ টেবলচামচ, সরষেবাটা ১ টেবলচামচ, সরষের তেল পরিমাণমতো, ধনেপাতাকুচি ২ টেবলচামচ।

প্রণালী: মাছে নুন, হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে ১০ মিনিট ম্যারিনেড করে রাখুন। আলু, পেঁয়াজ লম্বা করে কেটে নিন। তাতে চেরা কাঁচালঙ্কা, টোম্যাটো, কাঁচালঙ্কা, সরষেবাটা, নুন, হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো সরষের তেল ধনেপাতাকুচি ও আগে থেকে ভেজে রাখা মাছ দিয়ে গরম জলে টিফিন বক্সে ১৫ মিনিট ভাপিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর ঢাকা খুলে গরম গরম ভাতের সঙ্গে সার্ভ করুন।

পুঁটি পটলের ঝাল

উপকরণ: পুঁটিমাছ ২৫০ গ্রাম, পটল ২টো, পেঁয়াজ ১টা, কাঁচালঙ্কা ৪টে, রসুনবাটা ১/২ চা-চামচ, সরষেবাটা ১ টেবলচামচ, পোস্তবাটা ১ টেবলচামচ, নারকেলবাটা ১ টেবলচামচ, লঙ্কাগুঁড়ো ১ চা-চামচ, কালোজিরে ১ চা-চামচ, সরষের তেল পরিমাণমতো।

প্রণালী: মাছ হালকা করে ভেজে নিন। পটল সরু লম্বা করে কেটে ভেজে নিন। ওই তেলে কালোজিরে, কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজকুচি দিন। পেঁয়াজ সামান্য ভাজা হলে রসুনবাটা, লঙ্কাগুঁড়ো, পোস্ত, সরষে, নারকেলবাটা সব দিয়ে নুন, হলুদগুঁড়ো দিয়ে ভাজা পটলগুলো দিন। সামান্য জল দিয়ে ভাজা মাছগুলো দিয়ে কম আঁচে ১৫ মিনিট রাখুন। ঢাকা খুলে সরষের তেল ছড়িয়ে গরম ভাতের সঙ্গে সার্ভ করুন।

ক্যাপসিকাম পার্শে 

উপকরণ: পার্শেমাছ ৫০০ গ্রাম, ক্যাপসিকাম বড় সাইজের ১টা, টোম্যাটো ১টা, নুন-চিনি স্বাদমতো, ধনেগুঁড়ো ১ চা-চামচ, লঙ্কাগুঁড়ো ১ চা-চামচ, হলুদগুঁড়ো ১/২ চা-চামচ।

প্রণালী: ক্যাপসিকাম একটু পুড়িয়ে নিয়ে পোড়া অংশ চেঁছে নিন ও মিক্সিতে পেস্ট করুন। পার্শেমাছ ভেজে তুলে রাখুন। ওই তেলে শুকনোলঙ্কা দিয়ে তাতে ক্যাপসিকামবাটা, নুন, চিনি, হলুদগুঁড়ো, ধনে, লঙ্কাগুঁড়ো ও টোম্যাটোবাটা দিয়ে কষে জল দিন। ভাজা মাছ দিয়ে নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন। 

অন্য স্বাদে চেনা ইফতারি

ranna banna o beauty tips
অন্য স্বাদে চেনা ইফতারি
ইফতারের আয়োজনে বুট, পেঁয়াজু, বেগুনি, হালিম, শরবত ইত্যাদি তো থাকবেই। ইফতারির এই পদগুলো চাইলে একটু ভিন্নভাবে বানাতে পারেন। তেমন রেসিপি দিয়েছেন জেবুন্নেসা  বেগম।

মুরগির হালিম
উপকরণ: মুরগি ১ কেজি, গম আধা কাপ, মুগ ডাল সিকি কাপ, মসুর ডাল সিকি কাপ, ছোলার ডাল সিকি কাপ, মাষকলাইয়ের ডাল সিকি কাপ, অড়হড় ডাল সিকি কাপ, পোলাওয়ের চাল আধা কাপ, লবণ পরিমাণমতো, এলাচি, দারুচিনি, তেজপাতা কয়েকটা, পেঁয়াজ কুচি সিকি কাপ, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনে গুঁড়া আধা চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ ও জায়ফল-জয়ত্রী গুঁড়া আধা চা-চামচ।
প্রণালি: গম, মাষকলাই ডাল ও মুগ ডাল টেলে নিন। চাল, ডাল ও গম সেদ্ধ করে বেটে নিন। তেলে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে সব মসলা ও মুরগি দিয়ে কষান। সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে দিন। সেদ্ধ হলে বাটা ডালের মিশ্রণ ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে নাড়ুন। হয়ে গেলে নামিয়ে বাটিতে ঢেলে, আদা কুচি, ধনে পাতা, মরিচ, বেরেস্তা ও লেবুর রস দিয়ে পরিবেশন করুন।

ফ্রেঞ্চ ফ্রাই পেঁয়াজু
উপকরণ: ডাল (মসুর, খেসারি বা বুট) ১ কাপ, আদা বাটা আধা চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, রোস্টেড তিল ১ টেবিল চামচ ও বড় আলু ২-৩টা।
প্রণালি: ডাল পরিষ্কার করে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখুন। ২ ঘণ্টা পর ডাল ফুলে উঠলে পানি ঝরিয়ে বেটে নিন। বেশি মিহি করে বাটবেন না। পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ কুচি করে নিন। বাটা ডালের সঙ্গে আদা বাটা, কাঁচা মরিচ কুচি, পেঁয়াজ কুচি, লবণ, রোস্টেড তিল, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া দিয়ে মেখে নিন। আলুর খোসা ফেলে চিকন লম্বা করে কেটে নিন। সামান্য লবণ দিয়ে অল্প সেদ্ধ করে নিন। আলুর মধ্যে ডাল মুড়িয়ে ডুবে তেলে ভেজে নিন। ইফতারের টেবিলে পেঁয়াজুর সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।

ফলের সালাদ
উপকরণ: মাল্টার রস ১ কাপ, আপেল আধা কাপ, আঙুর আধা কাপ, তরমুজ আধা কাপ, কলা ১টা, কাঁচা বা শুকনা মরিচ (টালা) ১টা, চিনি ১ টেবিল চামচ, বিট লবণ আধা চা-চামচ, পুদিনা কুচি ১ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া সামান্য, চাট মসলা আধা চা-চামচ ও লেবুর রস আধা চা-চামচ।
প্রণালি: আপেল টুকরা করে লবণ পানিতে ধুয়ে নিন। কলা টুকরা করে চিনি পানিতে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে নিন। তরমুজ ও আঙুর টুকরা করে নিন। মাল্টা অথবা কমলার রস নিয়ে এতে চাট মসলা, লেবুর রস, পুদিনা কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, গোলমরিচ গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এবার সব ফল একসঙ্গে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। ইফতারের আগে ফ্রিজ থেকে বের করে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।

কিমা বেগুনি
উপকরণ: বেগুন ৩টা, বেসন দেড় কাপ, আদা বাটা আধা চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, ঠান্ডা পানি পৌনে এক কাপ (পরিমাণমতো), লবণ স্বাদমতো, বেকিং পাউডার সিকি চা-চামচ।
স্টাফিংয়ের জন্য: মুরগির কিমা ১ কাপ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ চা-চামচ, অরিগানো ১ চা-চামচ, চিজ কুচি ৩ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ ও তেল ১ চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে মুরগির কিমা, কাঁচা মরিচ কুচি, অরিগানো, গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে ভেজে রাখুন। বেগুন লম্বা ও একটু মোটা করে কাটুন। মাঝখানে পকেটের মতো করে কাটুন। ধুয়ে সামান্য লবণ মেখে রাখুন। এবার বেগুনের ভেতর কিমার পুর ঢুকিয়ে চিজের কুচি দিন। বেসনের সঙ্গে আদা বাটা, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, লবণ, বেকিং পাউডার ও পানি দিয়ে ব্যাটার তৈরি করুন। বেগুন সাবধানে ব্যাটারে ডুবিয়ে নিন। যাতে কিমা বের হয়ে না যায়। ডুবো তেলে ভেজে ইফতারিতে গরম গরম পরিবেশন করুন।

দুধ বাদামের শরবত
উপকরণ: দুধ ১ লিটার, বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, পেস্তা বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, চিনি ১ কাপ, গোলাপজল ১ চা-চামচ, বরফ কুচি পরিমাণমতো ও মধু ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি: দুধ ২-৩ বার ফুটে উঠলে ঠান্ডা করে রাখুন। দুধের সঙ্গে বাদাম বাটা, পেস্তাবাদাম বাটা, চিনি, গোলাপজল ও মধু মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

পুদিনায় দই বড়া
উপকরণ: মাষকলাইয়ের ডাল ১ কাপ, পুদিনা পাতা ৩ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ বাটা ১ টেবিল চামচ, টক দই দেড় কাপ, জিরা টালা গুঁড়া ১ চা-চামচ, বিট লবণ আধা চা-চামচ।
প্রণালি: মাষকলাইয়ের ডাল ৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ধুয়ে পানি ঝরিয়ে ১ টেবিল চামচ পুদিনা, অর্ধেকটা (আধা টেবিল চামচ) কাঁচা মরিচ বাটা মিশিয়ে নিন। সামান্য লবণ মেখে বড়া আকারে ভেজে নিন। ভাজা বড়া পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে চেপে পানি ঝরিয়ে নিন। টক দইয়ের সঙ্গে বিট লবণ, রোস্টেড জিরা গুঁড়া, বাকি পুদিনা ও কাঁচা মরিচ বাটা মিশিয়ে নিন। এবার সেটাতে ডালের বড়া দিয়ে পছন্দমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

বুন্দিয়া
উপকরণ: বুটের ডালের বেসন ১ কাপ, লবণ সিকি চা-চামচ (পরিমাণমতো), বেকিং পাউডার সিকি চা-চামচ, বেকিং সোডা সিকি চা-চামচ, খাবার রং কয়েক ফোঁটা, ঘি ও তেল ভাজার জন্য, শিরার জন্য ১ কাপ পানি ও ১ কাপ চিনি।
প্রণালি: বেসনের সঙ্গে বেকিং পাউডার, বেকিং সোডা, খাবার রং ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তেল ও ঘি গরম করে বুন্দিয়া ভেজে নিন। চিনি ও পানি দিয়ে শিরা তৈরি করুন। ভাজা বুন্দিয়া শিরায় ঢেলে দিন। শিরা বুন্দিয়ার ভেতরে ঢুকে গেলে তুলে নিন।

সবজি কিমা বুট
উপকরণ: বুট দেড় কাপ, বিফ কিমা আধা কাপ, বিভিন্ন রকম সবজি (সেদ্ধ) ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা-চামচ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ, সরিষা বাটা আধা চা-চামচ, এলাচি, দারুচিনি তেজপাতা কয়েকটা, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, টমেটো কুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, ধনে পাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া আধা চা-চামচ, ধনে গুঁড়া আধা চা-চামচ।
প্রণালি: বুট পরিষ্কার করে ধুয়ে ৬-৭ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ফুলে ওঠার পর সামান্য হলুদ ও লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। তেল গরম করে গরম মসলা, পেঁয়াজ কুচি, বাটা মসলা, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, কষিয়ে কিমা দিয়ে ভাজুন। সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে দিন। এবার সেদ্ধ সবজি ঢেলে দিন। বুট দিয়ে নাড়ুন। ধনে গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, কাঁচা মরিচ, টমেটো দিন। ধনে পাতা দিয়ে নামিয়ে নিন।

সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৬

ঢেঁড়সের একটি ভিন্ন স্বাদের রান্না

ranna banna o beauty tips
ঢেঁড়সের একটি ভিন্ন স্বাদের রান্না
স্বাস্থ্যকর মজাদার সবজি ঢেঁড়স। এই সবজিটি অনেকে বাচ্চারা খেতে চায় না। বাচ্চাদের এই সবজিটি খাওয়ানো যায় খুব সহজে। ভাবছেন কীভাবে? ঢেঁড়স ফ্রাই করে! অবাক হচ্ছেন? মুড়মুড়ে ক্রিসপি এই খাবারটি ছোট বড় সবাই অনেক পছন্দ করে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক মজাদার ক্রিসপি ঢেঁড়স ফ্রাইয়ের রেসিপিটি। 

উপকরণ: 
৩৫০ গ্রাম ঢেঁড়স 
২ টেবিল চামচ বেসন 
১ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো 
১/৩ চা চামচ মৌরি 
১/৩ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো 
১/২ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো 
১/২ চা চামচ আমচূর গুঁড়ো 
১/৩ চা চামচ জিরা গুঁড়ো 
লবণ স্বাদমত 

তেল প্রণালী: 
১। প্রথমে ঢেঁড়সগুলো পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। 
২। তারপর ঢেঁড়সের মাঝের অংশ বীচিসহ কেটে ফেলে দিন। ঢেঁড়স চিকন চিকন করে (ভিডিও অনুযায়ী) কাটুন। 
৩। একটি পাত্রে ঢেঁড়স, বেসন, চালের গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, আমচূর গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, মৌরি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। 
৪। ভাজার আগে লবণ দিয়ে আবার ভাল করে মিশিয়ে ফেলুন। 
৫। তারপর চুলায় তেল গরম হয়ে গেলে এতে ঢেঁড়সগুলো অল্প করে দিয়ে দিন। 
৬। ২ মিনিট ভাঁজুন। হালকা বাদামি রং হয়ে আসলে মাঝারি আঁচে আরও কিছুক্ষণ ভাঁজুন। 
৭। গাঢ় বাদামী রং হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। 
৮। ব্যস তৈরি হয়ে গেলে মজাদার ঢেঁড়স ফ্রাই। ভাতের সাথে পরিবেশন করতে পারেন ঢেঁড়স ফ্রাই।

পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

সোমবার, ২১ মার্চ, ২০১৬

তোভার ডাল

ranna banna o beauty tips
তোভার ডাল
নিত্যদিনের খাবারগুলোর মধ্যে ডাল অন্যতম। অনেকেই ডাল ছাড়া খাবার খেতেই পারেন না। সাধারণত মসুরির ডালটা বেশি রান্না  করা হয়। অনেকে মুগ ডাল রান্না করে থাকেন মসুরি ডালের পরিবর্তে। অড়হর ডাল ঝামেলার কারণে অনেকেই রান্না করতে চান না। অথচ এই ডাল খেতে কিন্তু দারুণ। ভারতে গুজরাটে এই অড়হর ডাল দিয়ে একটি রান্না করা হয় "তোভার ডাল"। ভাত, রুটি সবকিছুর সাথে খেতে দারুন লাগে এই খাবারটি।
উপকরণ:
১/২ কাপ অড়হর ডাল
১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
২ টি কাঁচা মরিচ
১/৪ চা চামচ আদা কুচি
১/৪ কাপ টমেটো কুচি
১/৪ কাপ গুঁড়
লবণ স্বাদমত
১ টেবিল চামচ তেল
১ চা চামচ সরিষা
১/২ চা চামচ জিরা
২টি লবঙ্গ
১ টি ছোট দারুচিনি
৪-৫টি কারি পাতা
১/৪ চা চামচ হিং
১/২ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
২ চা চামচ লেবুর রস
২ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি

প্রণালী:
১। অড়হরের ডাল ১.৫ কাপ পানি দিয়ে প্রেশার কুকারে দিয়ে দিন। ৩টি শিষ দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। সিদ্ধ হয়ে এলে প্রেশার কুকারের ঢাকনা খুলে ফেলুন।
২। রান্না করা ডালের সাথে ১ কাপ পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
৩। এবার একটি প্যানে ব্লেন্ড করা ডাল, হলুদ গুঁড়ো, কাঁচা মরিচ, আদা, টমেটো, গুঁড়, ১.৫ কাপ পানি এবং লবণ দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট রান্না করুন।
৪। ডাল মাঝে মাঝে নাড়ুন।
৫। এখন আরেকটি প্যানে তেল গরম হয় এলে সরিষা, জিরা দিয়ে দিন। জিরা ফুটে আসলে এতে লবঙ্গ, দারুচিনি, কারি পাতা দিয়ে মাঝারি আঁচে কয়েক সেকেন্ড ভাঁজুন।
৬। এটি ফুটন্ত ডালে এটি দিয়ে দিন। এর সাথে হিং, মরিচ গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে মাঝারি আঁচে ৪ থেকে ৫ মিনিট রান্না করুন।
৭। সবশেষে লেবুর রস এবং ধনে পাতা কুচি দিয়ে ১-২ মিনিট নেড়ে নামিয়ে ফেলুন।
৮। ভাত অথবা রুটির সাথে পরিবেশন করুন মজাদার তভার ডাল।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে


বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৬

সুস্বাদু চিলি প্রন হয়ে যাক বাড়িতেই

ranna banna o beauty tips
সুস্বাদু চিলি প্রন
বছরের এই সময়টায় পিঁয়াজকলি খুব পাওয়া যায়। আর বিভিন্ন রকমের চাইনিজ ধাঁচের খাবার রান্নার মজা এই সময়েই পাওয়া যায়। আপনিও যদি চাইনিজ খাবারের ফ্যান হয়ে থাকেন, তবে রান্না করে ফেলতে পারেন চিলি প্রন। চিংড়ি আর পিঁয়াজকলির স্বাদে ঝাল ঝাল এই রান্নাটি হয়ে যাবে খুব কম সময়েই।  
উপকরণ:

-   ১০টি মাঝারি চিংড়ি খোসা ছাড়ানো ও পরিষ্কার করা
-   ২টি কাঁচামরিচ কুচি
-   ২ টেবিল চামচ সয়া সস
-   লবণ স্বাদমতো
-   ২ টেবিল চামচ ময়দা
-   ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল
-   ২/৩টা পিঁয়াজকলি
-   ৪/৫ কোয়া রসুন, মিহি কুচি করা
-   ১ ইঞ্চি পরিমাণ আদা, মিহি কুচি করা
-   ১টা সবুজ ক্যাপসিকাম, চৌকো করে কাটা
-   ২ টেবিল চামচ রেড চিলি সস
-   ১ কাপ চিকেন স্টক
-   ২ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার
-   ১ টেবিল চামচ ভিনেগার
প্রণালী

১) একটা বড় বোলে চিংড়িগুলোকে নিয়ে নিন। এতে এক টেবিল চামচ সয়া সস, লবণ, ২ টেবিল চামচ ময়দা দিয়ে মেশান। ভালো করে মিশিয়ে পাঁচ মিনিট ম্যারিনেট হতে দিন।
২) নন-স্টিক প্যানে ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল গরম করতে দিন। এ সময়ে পিঁয়াজকলিগুলোকে টুকরো করে কেটে নিন। পিঁয়াজকলির নিচের অংশটা বড় করে কাটুন এবং সবুজ অংশটা কুচি করে নিন। তেল গরম হয়ে এলে ম্যরিনেট করা চিংড়িগুলোকে ডিপ ফ্রাই করে নিন কিন্তু পুরোপুরী ভাজবেন না, তার আগেই উঠিয়ে নিয়ে তেল ঝরিয়ে ফেলুন।
৩) আরেকটি কড়াইতে ২ টেবিল চামচ তেল গরম করে নিন। এতে রসুন এবং আদা দিয়ে বেশি আঁচে সাঁতলে নিন এক মিনিট। এতে পিঁয়াজকলির পিঁয়াজের টুকরোগুলো এবং ক্যাপসিকাম দিয়ে টস করে নিন। এতে কাঁচামরিচ, ১ টেবিল চামচ সয়াসস, রেড চিলি সস দিয়ে মিশিয়ে নিন ভালো করে। এরপর এতে চিংড়িগুলো দিয়ে লবণ ছিটিয়ে নিন। টস করে নিন যাতে সব মশলা চিংড়িতে লেগে যায়। দুই মিনিট রান্না হতে দিন।
৪) ২ টেবিল চামচ চিকেন স্টকের সাথে ২ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার মিশিয়ে এটা রান্নায় মিশিয়ে নিন। নেড়ে নিন ভালো করে। এটা মিশে গেলে বাকি স্টকটাও রান্নায় দিয়ে দিন। তিন মিনিট রান্না হতে দিন।
৫) ১ টেবিল চামচ ভিনেগার এবং পিঁয়াজকলির সবুজ অংশ কুচি দিয়ে দিন। টস করে নিয়ে নামিয়ে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন।

বিকালের নাস্তায় হট রেড পাসতা

ranna banna o beauty tips
বিকালের নাস্তায় হট রেড পাসতা
পাস্তা খেতে খুব ভালোবাসেন? চলুন, জেনে নিই নাদিয়া নাতাশার হেঁসেল হতে একটি ঝটপট মজাদার পাস্তা রেসিপি।
উপকরণ:
পাস্তা ২ কাপ রসুন কুচি ১ চা চামচ আদা কুচি ১ চা চামচ আস্ত জিরা ১/২চা চামচ পেঁয়াজ কুচি ১/২ কাপ শুকনা মরিচ বাটা ১ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ গোল মরিচ গুঁড়ো ১/২চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো ১/২ চা চামচ টমেটো কুচি ১ কাপ মিহি গাজর কুচি ১/২ কাপ মিহি ফুলকপি কুচি ১/২ কাপ পেঁয়াজ কলি কুচি ১/২ কাপ টমেটো সস ১/২ কাপ ধনে পাতা (ইচ্ছা হলে) তেল ২/৩চা চামচ লবণ পরিমানমত  
প্রনালি: 
পাসতা গরম পানিতে সামান্য লবণ ও তেল দিয়ে সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে রাখুন। -এবার প্যানে তেল দিয়ে আস্ত জিরা রসুন আদা দিয়ে সামান্য ভাজুন, পেঁয়াজ কুচি দিন। -বাদামি হলে টমেটো কুচি দিন। ফুল কপি,গাজর কুচি, মরিচ পেষ্ট,দিয়ে সামান্য পানি দিয়ে সেদ্ধ করুন। -সেদ্ধ হলে লবন,গোল মরিচ,মরিচ গুঁড়ো,গরম মশলা গুঁড়ো দিয়ে আরেকটু রান্না করুন। -এবার পাসতা দিয়ে ভাল করে নেড়ে নিন। -পেঁয়াজ কলি ও ধনে পাতা দিয়ে নামিয়ে গরম গরম হট রেড পাসতা পরিবেশন করুন শীতের দিনে বিকেলের নাস্তায়। 

টিফিনে মজাদার ক্রিপসি পটেটো বল

ranna banna o beauty tips
টিফিনে মজাদার ক্রিপসি পটেটো বল
বাচ্চাদের টিফিনে নিত্যনতুন খাবার তৈরি করতেই হয়। কিন্তু সবসময় কি নতুন নতুন খাবারের আইটেম তৈরি করা সম্ভব? আবার হুট করে মেহমান চলে এলেও পড়তে হয় মহা চিন্তায়। এর সহজ সমাধান আছে, তা হল পটেটো বল। আলু প্রায় সবার বাসাতে থাকে। এই আলু দিয়ে আমরা ফেঞ্চ ফ্রাই, আলুর চিপস, আলুর চপ কত খাবারই না তৈরি করে থাকি। এই আলু দিয়েই এবার তৈরি করে ফেলুন পটেটো বল। খুব সহজ এবং ঝটপট তৈরি করা যায় এই খাবারটি। ছোটদের তো দারুন প্রিয় আর বড়রাও পছন্দ করবে।
উপকরণ:
২টি বড় আকৃতির আলু
মাখন
লবণ (সামান্য পরিমাণে)
গোলমরিচ স্বাদমত
২টি ডিমের কুসুম
ময়দা
ব্রেড ক্রাম
তেল
প্রণালী:
১। প্রথমে আলু সিদ্ধ করে নিন।
২। আলুর খোসা ছাড়িয়ে আলু ম্যাশ করে নিন।
৩। ম্যাশ করা আলুর সাথে ডিমের কুসুম, মাখন, লবণ, গোল মরিচের গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৪। এবার মিশ্রণটি ২ ঘণ্টা ম্যারিনেট করার জন্য রেখে দিন।
৫। তারপর আলুর মিশ্রণটি দিয়ে গোল বলের মত করে প্রথমে ময়দার উপর গড়িয়ে নিন। তারপর ডিমের মিশ্রণে ডুবিয়ে নিন।
৬। এখন আলুর বলটি ব্রেড ক্রামের উপর জড়িয়ে গরম তেলে দিয়ে দিন।
৭। বাদামী রং হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন।
৮। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার ক্রিপসি পটেটো বল।
৯। সস দিয়ে পরিবেশন করুন পটেটো বল।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.