মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৬

চুলের যত্নে যা করা দরকার

ranna banna o beauty tips
চুলের যত্নে যা করা দরকার
চুলের যত্নে এই প্যাক, সেই প্যাক—আরও নানা কিছু ব্যবহার করছেন, কিন্তু পরিচর্যার একদম প্রাথমিক কিছু ধাপেই যদি থেকে যায় গলদ, তা হলে কি চলে? ‘শ্যাম্পু করা, তেল দেওয়া—এসব তো রোজকার ঘটনা, এতে আর অত মনোযোগের কী প্রয়োজন’—এমন ভেবেছেন তো ভুল করেছেন। চুলের যত্নে খুব সাধারণ কিছু বিষয়ও জেনে নেওয়া জরুরি। কারণ, অনেক ভুল ধারণাও রয়েছে এসব নিয়ে। এ প্রসঙ্গে পরামর্শ দিয়েছেন রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন ও শারমিন কচি।
চুল কি রোজ ধুতে হবে?
রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন বলেন, আমাদের দেশের আবহাওয়ায় প্রতিদিনই শ্যাম্পু করা উচিত। যাঁরা রোজ বাইরে যান, তাঁদের জন্য এটি অবশ্যই করণীয়। বাইরে বের না হলে ধুলাবালুতে চুল তেমন ময়লা হয় না। তাই সে ক্ষেত্রে এক দিন পরপর চুল পরিষ্কার করলেও কোনো ক্ষতি নেই। তবে চুল ও মাথার ত্বক তৈলাক্ত হলে বাইরে বের না হলেও প্রতিদিনই শ্যাম্পু করার পরামর্শ দেন তিনি। এই নিয়ম যেকোনো ঋতুতেই মেনে চলা উচিত। আর শ্যাম্পু কী পরিমাণে নিতে হবে, তা নির্ভর করবে চুলের ঘনত্ব ও দৈর্ঘ্যের ওপর। শ্যাম্পুর সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে নিলে চুল পরিষ্কার করতে সুবিধা হবে। শ্যাম্পু করতে হবে দুবার। অর্থাৎ একবার শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে আবার করতে হবে। শারমিন কচি বলেন, ‘শীতের সময় ধুলাবালুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় খুশকির সমস্যা বৃদ্ধি পায়, এ সময় তাই প্রতিদিন শ্যাম্পু করা উচিত।’
কন্ডিশনিং কয়বার
চুল বেশি শুষ্ক হলে প্রতিবার শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনিং করা উচিত। অবশ্য চুল তেলতেলে হলে কন্ডিশনার এড়িয়ে যাওয়া যায়। মিশ্র ধরনের চুল হলে এক দিন পরপর কন্ডিশনার করলেও চলবে। আর এটি চুলে লাগাতে হবে চুলের আগা থেকে ওপরের দিকে। গোড়ায় কোনোমতেই লাগানো যাবে না। কন্ডিশনার ব্যবহারের পরিমাণও নির্ভর করবে চুলের দৈর্ঘ্যের ওপর। ছোট চুল হলে কম, লম্বা হলে অপেক্ষাকৃত বেশি কন্ডিশনার নিতে হবে।
তেল কত দিন পরপর
চুলের পুষ্টি জোগাতে নিয়মিত তেল ব্যবহার করতে হয়। তবে কি শ্যাম্পুর মতো তেলও রোজ লাগাতে হবে? না, প্রতিদিন চুলে তেল দেওয়াটা জরুরি নয়। তবে চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও ঝলমলে রাখার জন্য সপ্তাহে অন্তত এক দিন চুলের গোড়ায় এবং পুরো চুলে তেল লাগাতেই হবে। চুল শুষ্ক ও ভঙ্গুর হলে দুই দিন পরপর তেল ম্যাসাজ করা ভালো। তেল দিয়ে এক ঘণ্টার মতো রেখেই চুল শ্যাম্পু করে ফেলতে পারেন। অতিরিক্ত তৈলাক্ত চুল হলে এত ঘন ঘন তেল দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

যন্ত্রের ব্যবহার
চুল শুকাতে প্রায়ই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া স্টাইলিংয়ের জন্য আয়রন কিংবা কার্লারও ব্যবহার করেন অনেকে। তবে নিয়মিত চুলে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা কি ঠিক? অথবা আয়রন বা হেয়ার কার্লারের মতো সরঞ্জাম ব্যবহার করলে চুলের কোনো ক্ষতি হয় কি না, প্রশ্ন করা হয়েছিল শারমিন কচি ও আফরোজা পারভীনের কাছে। উত্তরে তাঁরা দুজন একই মত জানান, খুব প্রয়োজন না হলে এগুলো ব্যবহার না করাই ভালো, তবে একেবারে বাদও তো দেওয়া যাবে না। তাই চুলের ওপর দিয়ে এসবের ধকল গেলে নিতে হবে বাড়তি যত্ন। নিয়মিত গরম তেল মালিশ এবং চুলের ধরন বুঝে হেয়ার প্যাকের ব্যবহারে চুলের এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। শারমিন কচি বলেন, গরম বাতাসের হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করে ঠান্ডা বাতাসেরটি ব্যবহার করতে হবে। আর আয়রন বা হেয়ার কার্লারের তাপ চুলে লাগানোর পর বাড়ি ফিরে নিবিড় কন্ডিশনিং করতে হবে।

হেয়ার স্প্রে কি ক্ষতিকর?
চুল সেট করতে হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করতে হতেই পারে। ভালো মানের হেয়ার স্প্রে চুলে রোজ ব্যবহার করলেও কোনো ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। তবে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার বেশি এটি চুলে রাখা ঠিক হবে না। তেল দিয়ে স্প্রে তুলে ফেলে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। লক্ষ রাখবেন, ময়লা চুলে স্প্রে লাগাবেন না যেন। একইভাবে মুজ লাগানোর পরেও চুলের যত্ন নিন।

চুল রাঙাব কদিন বাদে?
আফরোজা পারভীনের মতে, যখনই মাথায় সাদা চুল দেখা যায়, তখনই চুলে রং করা যাবে। ফ্যাশনের জন্য হলে বছরে তিনবারের বেশি রং করা উচিত নয় বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, চুলে যেকোনো রাসায়নিকের ব্যবহারের পরেই বাড়তি যত্ন নেওয়া দরকার।’ এ প্রসঙ্গে রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি বলেন, ‘চুলে একবার রং করার পর ছয় মাসের মধ্যে পুনরায় রং করানো উচিত নয়। বছরে দুবারের বেশি রং করার দরকার নেই।’

পালং–চিংড়ির পোলাও

ranna banna o beauty tips
পালং–চিংড়ির পোলাও
উপকরণ: বাসমতী বা কালিজিরা চাল ২ কাপ, চিংড়ি ১ কাপ (মাঝারি), পালংশাক দেড় কাপ (গরম পানিতে চুবিয়ে তুলে নেওয়া), পেঁয়াজ ৫টা (বড় ১টা বাটা আর ৪টা কুচি), আদা ১ টেবিল চামচ (কুচি), রসুনবাটা চা-চামচের তিন ভাগের এক ভাগ, টমেটো পেস্ট ১ কাপ (গরম পানিতে ডুবিয়ে তুলে খোসা ও বিচি ফেলে পেস্ট করে নিতে হবে), কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, চিনি আধা চা-চামচ (টমেটো টক হলে পরিমাণে বেশি দিতে হবে), গরম মসলা (এক চিমটি জায়ফল, জয়ত্রীসহ) আধা চা-চামচ, কাঁচা মরিচ পাঁচ-ছয়টা (আস্ত), লবণ স্বাদমতো, তেল ১ কাপ, ঘি ৪ টেবিল চামচ, পানি প্রয়োজনমতো।
প্রণালি: চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। পালংশাক কেটে নিন। প্যানে অল্প ঘি গরম করে পেঁয়াজ বেরেস্তা করে তুলে রাখুন। তারপর সেই ঘির সঙ্গে প্রয়োজনমতো তেল মিশিয়ে গরম করে তাতে লবণ-হলুদ মাখানো চিংড়ি হালকা করে নিন। তারপর বাটা পেঁয়াজ, টমেটো পেস্ট, রসুনবাটা, কাশ্মীরি মরিচবাটা, শুকনা মরিচ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে কষান। এবার অল্প গরম পানি দিয়ে ভাজা চিংড়িগুলো দিয়ে স্বাদমতো চিনি দিয়ে দিন। চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিয়ে চার-পাঁচ মিনিট রান্না করে ঘন ঝোলসহ নামান।
অন্য একটি প্যানে তেল গরম করে তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ আর আদাকুচি সোনালি করে ভেজে নিন। তাতে চাল দিয়ে তিন-চার মিনিট ভেজে প্রয়োজনমতো ফুটন্ত গরম পানি আর স্বাদমতো লবণ দিয়ে ঢেকে দিন। পানি চালের সমান হয়ে এলে প্যানের নিচে তাওয়া দিয়ে পোলাও দমে বসান। পানি পুরো শুকিয়ে গেলে আস্ত কাঁচা মরিচগুলো দিয়ে ঢেকে দিন।
এবার অন্য একটি প্যানে প্রথমে পোলাওয়ের স্তর, তারপর চিংড়ির স্তর, তারপর অল্প পালংয়ের স্তর দিয়ে কিছু বেরেস্তা ছড়িয়ে দিন। একইভাবে আরও দুটি স্তর সাজিয়ে আবারও দমে বসান পাঁচ-সাত মিনিটের জন্য। বেশিক্ষণ দমে রাখলে পালংয়ের রং নষ্ট হয়ে যাবে। তারপর পরিবেশন পাত্রে নামিয়ে ওপরে বেরেস্তা ছড়িয়ে দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

পালং পায়েস

ranna banna o beauty tips
পালং পায়েস
উপকরণ: ডাঁটা বাদে পালংপাতা ১ কাপ, গাজর ২টি, পোলাওয়ের চাল ৩ টেবিল চামচ, তরল দুধ ১ লিটার, কনডেন্সড মিল্ক ১ টিন, ঘি ২ টেবিল চামচ, এলাচি গুঁড়া চা-চামচের তিন ভাগের এক ভাগ, গোলাপজল ১ চা-চামচ, বাদাম-আমন্ড-চেরি ৮-১০টি (সাজানোর জন্য)।
প্রণালি: পোলাওয়ের চাল ধুয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন দুই ঘণ্টা। পালংপাতা সেদ্ধ করে ব্লেন্ডারে দিয়ে পিউরি করে নিন। গাজর মিহি করে গ্রেট করে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে একটা বলক উঠলে পানি ঝরানো পোলাওয়ের চাল হালকা ভেঙে দুধে দিয়ে দিন। অন্য একটি পাত্রে ঘি গরম করে গাজর দিয়ে বেশি আঁচে হালকা ভেজে (গাজরের কাঁচা গন্ধটা চলে গেলেই হবে) দুধের মধ্যে দিয়ে দিন। গাজর ভাজার সেই পাত্রে অল্প ঘি দিয়ে পালং পিউরি দিয়ে হালকা ভেজে নামিয়ে নিন। দুধের মধ্যে দেওয়া চাল আর গাজর ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে থকথকে হয়ে এলে প্রয়োজনমতো কনডেন্সড মিল্ক আর এলাচি গুঁড়া মিশিয়ে দিন। গোলাপ পানিটাও এ সময় মিশিয়ে দিতে হবে। চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে তারপর অল্প অল্প করে পালং পিউরি মেশান। পিউরি সবটা না-ও লাগতে পারে। হালকা সবুজ ভাব এলে পরিবেশন পাত্রে ঢেলে বাদাম কুচি, লাল চেরি বা ভাজা গাজর কুচি দিয়ে সাজিয়ে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে তারপর পরিবেশন করুন।

ওটস-পালং পাকোড়া

ranna banna o beauty tips
ওটস-পালং পাকোড়া
উপকরণ: পালংশাক ১ কাপ (মিহিকুচি), ওটস ৪ টেবিল চামচ (প্রয়োজনে কমবেশি করা যেতে পারে), কর্নফ্লাওয়ার ৪ টেবিল চামচ, ডিম ১টা, চিকেন স্টকের কিউব ১টা, পেঁয়াজ ১টা (কুচি), আদা ১ চা-চামচ (কুচি), কাঁচা মরিচ তিন-চারটা (কুচি), লবণ স্বাদমতো, তেল ভাজার জন্য।
প্রণালি: একটা পাত্রে সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন গোলা তৈরি করে নিন। প্যানে গরম তেলে প্রয়োজনমতো গোলা ঢেলে কম আঁচে দুই দিক সোনালি করে ভেজে নিন। পছন্দমতো সস বা চাটনির সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।

মুরগি-পালং সালাদ

ranna banna o beauty tips
মুরগি-পালং সালাদ
উপকরণ: পালংশাক ২ আঁটি (ছোট পালং হলে ভালো), কর্ন (ভুট্টার দানা) আধা কাপ, সেদ্ধ মুরগি অথবা চিকেন সসেজ আধা কাপ, আনার দানা সিকি কাপ, জলপাই তেল ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ চা-চামচ, চিলি ফ্লেক্স ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ১ চা-চামচ, চিনি আধা চা-চামচ।
প্রণালি: ডাঁটা বাদ দিয়ে পালংশাক বেছে নিয়ে ফুটন্ত পানিতে ছেড়ে দিয়ে এক মিনিট রেখে তুলে নিন। এবার বরফ পানিতে কিছুক্ষণ রেখে তুলে নিয়ে কিচেন টিস্যুতে ভালো করে মুছে হাত দিয়ে ছিঁড়ে রাখুন। কচি ভুট্টার দানা অল্প লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। মুরগি ব্যবহার করলে হাড় ছাড়ানো মুরগি ছোট টুকরা করে অল্প লবণ-হলুদ দিয়ে তেলে হালকা করে ভেজে নিন। চাইলে গ্রিল করা মুরগিও ব্যবহার করা যাবে। আর চিকেন সসেজ ব্যবহার করলে তাও ছোট ছোট টুকরা করে তেলে হালকা ভেজে নিন।
এবার ড্রেসিং তৈরির পালা। একটা পাত্রে অলিভ অয়েল, চিলি ফ্লেক্স, লেবুর রস, চিনি ও স্বাদমতো লবণ খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর এতে ভুট্টার দানা, মুরগি অথবা চিকেন সসেজ মিশিয়ে নিন। হালকা হাতে পালংশাক আর আনার দানা ছড়িয়ে মিলিয়ে নিলেই সালাদ তৈরি। সেদ্ধ ডিম বা খোসা ছাড়ানো কমলা ওপরে ছড়িয়ে পরিবেশন করলে দেখতে ভালো দেখাবে। সালাদ সব সময় পরিবেশনের একদম আগ দিয়ে তৈরি করা উচিত নাহলেপানি ছেড়ে দিয়ে নরম হয়ে যায়। এ ছাড়া
মুরগি বা সসেজের পরিবর্তে চিংড়িও ব্যবহার করা যেতে পারে।

আলু–পালংয়ের অমলেট

ranna banna o beauty tips
আলু–পালংয়ের অমলেট
উপকরণ: ডিম ৪টি, আলু ২টি (বড়), পালংশাক ২ আঁটি, পেঁয়াজ ২টি (বড় আকারের, পাতলা কুচি করা), কাঁচা মরিচ ৩-৪টি (কুচি), লবণ স্বাদমতো, তেল ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি: ফুটন্ত গরম পানিতে পালংশাক (ডাঁটা বাদে) দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তুলে নিন। পানি নিংড়ে ফেলে দিয়ে ছোট করে কেটে রাখুন। আলু ছোট কিউব করে কেটে নিন। ডিমগুলো স্বাদমতো লবণ দিয়ে ভালো করে ফেটে নিন। এখন প্যানে অল্প তেল গরম করে কিউব করে কাটা আলু লবণ মাখিয়ে ছেড়ে দিন। সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। তারপর তাতে পেঁয়াজ কুচি মিশিয়ে দিন। পেঁয়াজ নরম হয়ে এলে পালংশাক আর কুচোনো কাঁচা মরিচ মিশিয়ে ২-৩ মিনিট ভেজে নিন। নামিয়ে মিশ্রণটা একেবারে ঠান্ডা করে নিয়ে ফেটে রাখা ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এরপর ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে মিশ্রণটা ঢেলে দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। অমলেটের ওপরের দিকটা শুকিয়ে এলে সাবধানে উলটে দিয়ে অপর পাশটাও সোনালি করে ভেজে নিন। একটা টুথপিক বা কাঁটা চামচ অমলেটের ভেতরে ঢুকিয়ে দেখে নিন ভেতরে কাঁচা আছে কি না। হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়ে পরিবেশন করুন।

বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৬

লাল পোশাকে নারীরা কেন এত আবেদনময়ী!

ranna banna o beauty tips
লাল পোশাকে নারীরা কেন এত আবেদনময়ী!
লাল রঙ নাকি ভালোবাসার রঙ! নারীরা তবে কি ছেলেদের কাছে ভালোবাসার পাত্রী হয়ে উঠার জন্যই লাল পোশাকে নিজেকে সাজাতে চান। আর না হলে কেন নারীরা লাল লিপস্টিক, লাল শাড়ি, লাল টিপেই বেশি সাজিয়ে তোলেন নিজেকে। 
অনেকেই মনে করেন লাল পোশাক পুরুষদের চোখে নারীদেরকে বেশি আবেদনময়ী করে তোলে।এ কারণেই নারীরা লাল পোশাকে নিজেকে সাজিয়ে তুলতে পছন্দ করেন। আর নারীদের কে না চায় পুরুষদের চোখে নিজেকে আকর্ষণীয় আর আবেদনময়ী করে উপস্তাপন করতে।যদিও এটা সব নারীর জন্য প্রযোজ্য নয়। তবে বেশিরভাগ নারীর মনস্তত্ব প্রায় একই রকম। 
অবশ্য নারীদের এই মনস্তত্বের পেছনে বেশকিছু গবেষণাও রয়েছে। বেশিরভাগ গবেষণাতেই উল্লেখ রয়েছে লাল রঙের সঙ্গে যৌনতার একটি সম্পর্ক রয়েছে। বলা হয় যৌনতার সঙ্গে লাল রঙের রয়েছে প্রত্যক্ষ সংযোগ। আবার এও বলা হয় যে, লাল বর্ণের নারীদের সঙ্গে থাকলেও পুরুষরা সমানভাবে আকর্ষণ বোধ করেন। 
এসব মনগড়া কোন কথা নয়। এসব তথ্য বহু আগেই প্রকাশ করেছেন নিউইয়র্ক সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তারা জানিয়েছেন, লাল রঙের পোশাক আকর্ষণীয় নারীদের যৌন আবেদন আরও বাড়িয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, ইউরোপিয়ান জর্নাল অব সোস্যাল সাইকোলজি’র গবেষক স্টিভেন জি ইয়ং জানিয়েছেন নারী পুরুষের যৌন মিলনের ক্ষেত্রে রঙের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। লাল রঙ এক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা পালন করে। কারণ নারীদের যৌন-উত্তেজনার সঙ্গে তার ঠোঁট, গাল, গলা, বুক ইত্যাদি অঙ্গ রক্তাভ হয়ে ওঠে। এ কারণেই নারীদের লাল পোশাকে পুরুষদের কাছে আরও আবেদনময়ী করে তোলে। 

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.