সোমবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৬

টমেটো দিয়ে মাছের দুই পদ

ranna banna o beauty tips
টমেটো দিয়ে মাছের দুই পদ
কাঁচা-পাকা টমেটোয় কইমাছ আর কাঁচাটমেটোয় শুটকি-মাছ ভুনা।

টমেটো দিয়ে কই মাছঃ
উপকরণ: কইমাছ ৯টি। বড় কাঁচাটমেটো ৪টি। মাঝারি পাকাটমেটো ২টি। মটরশুঁটি ১ কাপ। পেঁয়াজকুচি ১ কাপ। রসুনবাটা আধা টেবিল-চামচ। আদাবাটা ১/৪ টেবিল-চামচ। গুঁড়ামরিচ আধা টেবিল-চামচ। হলুদ আধা টেবিল-চামচ। ধনেগুঁড়া ১/৪ চা-চামচ। জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ। তেল আধা কাপ। কাঁচামরিচ ৪,৫টি। ধনেপাতা-কুচি ২ টেবিল-চামচ। লবণ স্বাদ মতো।
পদ্ধতি: কইমাছ ধুয়ে ২০ মিনিট লবণ, মরিচ, একটু হলুদ এবং তেলে দিয়ে মাখিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর মাছগুলো ভেজে ফেলুন৷

কড়াইতে তেল দিয়ে পেঁয়াজ হালকা রং করে ভাজুন। পাকাটমেটো কুচি করে তেলে দিয়ে ভাজতে থাকুন। এরপর একে একে সব মসলা আর অল্প অল্প পানি দিয়ে দুই তিনবার কষাতে হবে।

এখন মাছ, কাঁচাটমেটো, মটরশুঁটি ও কাঁচামরিচ দিয়ে ঢেকে ২০ মিনিট রান্না করুন। পানি শুকিয়ে তেল উপরে উঠে এলে, ধনেপাতা ছিটিয়ে নামিয়ে ফেলুন।

কাঁচাটোমেটো শুটকি ঝাল ভুনা 
উপকরণ: শুটকি ৬টি বড় আকারের। কাঁচাটমেটো ৪টি। পেঁয়াজকুচি ২ কাপ। রসুনকুচি ১ টেবিল-চামচ। রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ। মরিচগুঁড়া ২ টেবিল-চামচ। হলুদগুঁড়া ১ টেবিল-চামচ। আলু ২টি বড় আকারের। কাঁচামরিচ ৩,৪টি। তেল পরিমাণ মতো। লবণ স্বাদ মতো।
পদ্ধতি: শুটকিগুলো ছোট ছোট টুকরা করে নিন এবং শুকনা কড়াইতে টেলে নিন৷ শুটকিগুলো যখন পোড়া পোড়া হয়ে যাবে, টালা বন্ধ করে দিন এবং হালকা গরম পানিতে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট ভিজিয়ে রাখুন৷

ভেজানোর পর শুটকি নরম হয়ে যাবে তখন শুটকির ভেতরের কাঁটা খুলে ফেলে দিন এবং শুটকিগুলো খুব ভালো করে ধুয়ে রাখুন৷ আলুগুলো পাতলা লম্বা করে কেটে রাখুন৷

কড়াইতে তেল গরম করে শুটকি, পেঁয়াজ এবং রসুনকুচি দিয়ে বাদামি করে ভেজে সঙ্গে রসুনবাটা আর অল্প লবণ দিয়ে ভেজে নিন।

একটু পানি, মরিচ ও হলুদ দিয়ে মসলা কষিয়ে নিন। তারপর মসলার সঙ্গে আলু দিয়ে ঢেকে রান্না করুন দুই মিনিট।

এবার কাটা কাঁচাটোমেটো দিয়ে লবণ পরখ করুন। লাগলে লবণ দিতে পারেন স্বাদ মতো। তারপর ঢেকে দিন শুটকিভুনা৷

পাঁচ থেকে ছয় মিনিট পর আলু পুরোপুরি সিদ্ধ আর টমেটো আধা সিদ্ধ হলে শুটকি ভুনা করে নামিয়ে ফেলুন।

কিভাবে মেক আপ ছাড়াই অপরুপা হয়ে উঠবেন

ranna banna o beauty tips
কিভাবে মেক আপ ছাড়াই অপরুপা হয়ে উঠবেন
নারীরা সবসময় চায় পুরুষদের চোখে সে হয়ে উঠুক অনন্যা। আর নিজেকে সুন্দরী করার প্রমানে, প্রয়াসের শেষ নেই।  আজকাল বিউটি পার্লারের এতো রমরমা, যে দিনের শেষে বা সপ্তাহের শেষে একবার না একবার যেতেই হবে। নানারকম প্রসাধনীর মাধ্যমে নিজেকে সুন্দর করে তোলার এ এক সুবর্ণ সুযোগ। এখন শীত, নানান সামাজিক অনুষ্ঠান রয়েছে। আর সেই সব দিনগুলোতে নিজেকে অনন্য সাধারণ করে তোলার জন্য মেক আপকেই বেস্ট ফ্রেন্ড বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে। আগেকার দিনের মা খালারা কত সুন্দরী ছিলেন। একরাশ ঘন কালো চুল প্রায় অনেকেরই ছিল। তাঁরা কি তখন এতো প্রসাধনী ব্যবহার করত? একদম না। খুব সাধারন থেকেও তাঁরা ছিল অনন্যা। তাঁদের জীবনেও প্রেম আসত, তাঁদের জীবনেও বন্ধুত্ব ছিল। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।  বর্তমানে প্রসাধনী দ্রব্যের বিরাট ব্যবসার কারনে মানুষও আরও বেশি করে প্রভাবিত হচ্ছে। ভিতরের লাবন্য ক্রমাগত হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ পানি, পুষ্টিকর খাবার, ফলমূল, সবুজ সবজি খেলে ত্বক আপনা থেকেই উজ্জল হযে উঠবে। তাতেই নিজেকে সুন্দর দেখাবে। এবারে বলব মেক আপ ছাড়া নিজেকে কিভাবে সুন্দর দেখানো যাবে। 
রেগুলার কেয়ার: 
এটা সবাই জানে, দিনের বেলার সাজ সবসময় হালকা হবে। রাতের বেলা কড়া। কিন্তু খুব অল্প প্রসাধনী ব্যবহারেও নিজেকে সুন্দর দেখানো যায়। বাড়িতে থাকলে, সপ্তাহে অন্তত দু’দিন ঘরোয়া ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে মাখুন। ঘরোয়া ফেসপ্যাক বলতে দুধের সর ও মুসুর ডালের ফেসপ্যাক বা ময়দা,দুধ,গোলাপ পানির ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। বাইরে থেকে এলে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। রাতে কোনও ভাল নাইট ক্রিম ম্যাসাজ করুন। গোসলের সময় সাবান কম ব্যবহার করুন। রোজ সাবান না দিয়ে একদিন অন্তর সাবান দিন। অলিভ অয়েল গায়ে মাখতে পারেন। শ্যাম্পু করলেও মাঝে মধ্যে মাথায় ডিম বা আমলকী বা হেনা বা টক দই লাগান। তেল ও খুব জরুরি সুন্দর মজবুত চুলের জন্য। হট অয়েল ম্যাসাজ করবেন মাঝেমধ্যে। 
দিনের সাজ: 
এইবার, দিনেরবেলা বাইরে বেরনোর সময় ছাতা আর সানগ্লাস অবশ্যই পড়বেন। রোদ না থাকলে পড়ার প্রয়োজন নেই। রোদের তেজ খুব থাকলে লম্বা হাতার পোশাক পরার চেষ্টা করুন। বাইরে বেরুনোর জন্য সাজ হবে, হালকা কাজল আর ঠোঁটে গ্লস বা বাম। চুল বাধতেও পারেন আবার খোলা চুলও রাখতে পারেন। খুব বেশি জুয়েলারি পরার দরকার নেই। কপালে একটা ছোট্ট টিপ পরতে পারেন। 
রাতের সাজ: 
রাতের বেলা যদি কোনও অনুষ্ঠান বাড়ি থাকে বা কোথাও ঘুরতে যাওয়া থাকে, তবে উদ্দেশ্য অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন করবেন আপনি। এরপর বলব, যাদের লম্বা চুল তাঁরা নানান ফ্যাশনে হেয়ার স্টাইল করতে পারেন। ছোট চুল হলে ছেড়ে রাখতে পারেন বা একটা পনিটেল করে রাখতে পারেন। অনুষ্ঠান থাকলে পছন্দসই জুয়েলারি পরবেন। রাতে একটু ডিপ কালারের জামাকাপড় পরতে পারেন। সাজের ক্ষেত্রে বলব, চোখে কাজল আর আইলাইনার লাগান সরু বা মোটা করে, ঠোঁটে লিপস্টিক লাগান হালকা করে। আর মুখে অন্য কোনও প্রসাধনী নয়। দেখবেন এতেই আপনি মনকাড়া সুন্দরী হয়ে উঠবেন। পারফিউমের ব্যাপারে বলব হালকা মিষ্টি গন্ধের সুগন্ধি ব্যবহার করুন। টিপ পরতে চাইলে, একটু বড় টিপ পরুন। যারা একটু বেশি ঘামেন তাঁরা সবসময় হাতে ওয়েট টিস্যু রাখবেন। ঘামলে টিস্যু দিয়ে হালকা করে ঘামটা মুছে নেবেন। এভাবেই যত কম সাজবেন তত বেশি ন্যাচারাল লুক ফিরবে। ত্বকও ভাল থাকবে। মুখে ব্রণ কম হবে। 

ঝুলে যাওয়া ত্বক টানটান করুন প্রাকৃতিক উপায়ে

ranna banna o beauty tips
ঝুলে যাওয়া ত্বক টানটান করুন প্রাকৃতিক উপায়ে
ময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। বয়সের লক্ষণের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকের ইলাস্টিন ও কোলাজেনের গঠনে পরিবর্তন দেখা দেয় যার ফলে ত্বক স্থিতিস্থাপকতা হারায় এবং ত্বক নিজের ময়েশ্চারাইজিং উপাদান হারায়। তাই ত্বক ঝুলে পড়ে। এছাড়াও বয়স বৃদ্ধির জন্য চেহারার মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে ফলে ত্বক ঝুলে যায়।

ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমে যাওয়ার কারণ হল, সূর্যের আলোতে বেশীক্ষণ থাকা, অতিরিক্ত ধূমপান করা, নিয়মিত অ্যালকোহল পান করা, স্থূলতা, প্রেগনেন্সি, দ্রুত ওজন কমা, কম খাওয়া, ভুল স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করা, পানিশূন্যতা এবং ত্বকে প্রখর রাসায়নিক ব্যবহার করা ইত্যাদি।
ত্বক ঝুলে যাওয়ার সাথে সাথে বিশেষ করে চেহারায় বলিরেখা ও ফাইন লাইন দেখা দেয়। এছাড়াও ত্বক ম্লান এবং স্বচ্ছ দেখায় এবং ত্বক অনেক বেশি স্পর্শকাতর হয়ে পরে। ঝুলে পড়া ত্বকে টানটান করার জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় আছে। আজ সেগুলোই জেনে নেই আসুন।

১। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন ও হাইড্রেটেড থাকুন
প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার আপনার শরীরকে আভ্যন্তরীণ ভাবে হাইড্রেটেড রাখবে এবং ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বক বাহ্যিক ভাবে নমনীয় থাকবে। শিয়া বাটার, আমন্ড তেল, ও অলিভ অয়েল হচ্ছে সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বককে কোমল রাখে।
২। মুখের ব্যায়াম করুন
সবচেয়ে খারাপ জায়গা হচ্ছে মুখের ও ঘাড়ের ত্বক ঝুলে পড়া। সৌভাগ্যক্রমে মুখের কিছু ব্যায়াম আছে যা নিয়মিত করলে মুখের ত্বক টানটান হয়। বিশেষ করে চিবুকের ত্বক ঝুলে পড়তে শুরু করে তাড়াতাড়ি। চিবুকের ত্বক টানটান করার জন্য মুখ ভর্তি করে বাতাস নিন, ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন, তারপর ছেড়ে দিন। ৩০ গুণতে যে সময় লাগে সেই সময় পর্যন্ত দিনে দুইবার করে করুন। এইরকম আরো মুখের ব্যায়াম আছে যেমন- চিবুক উঠিয়ে সিলিং এর দিকে তাকিয়ে থাকুন, ৩০ সেকেন্ড পর নামিয়ে নিন। এভাবে চেহার এক্সারসাইজ করলে আস্তে আস্তে ত্বকের ভাঁজ গুলো দূর হবে।
৩। হেলদি ডায়েট       
হেলদি ডায়েট ত্বক টানটান করতে সাহায্য করে। ত্বক টানটান করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। যদি আপনি প্রতিদিন ফল ও সবজি খান তাহলে আপনার ত্বক আর্দ্র ও সুস্থ থাকবে। উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাদ্য অ্যান্টিএজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। ফ্রি রেডিকেল ড্যামেজ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যখন আপনার খাদ্য তালিকায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকেনা তখনই ত্বকের ঝুলে পড়ার সমস্যাটি দেখা দেয়। আপনার খাদ্য তালিকায় ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার যেমন- গাজর, বিট ইত্যাদি রাখুন। তাহলে ত্বকের ইলাস্টিসিটি পুনরায় ফিরে পাবেন। কোলাজেন বৃদ্ধির জন্য সয়া প্রোডাক্ট খান।
৪। ফেসিয়াল মাস্ক
ত্বক টানটান করার জন্য অন্যতম উপায় হচ্ছে ফেসিয়াল মাস্ক ব্যবহার করা। বিভিন্ন প্রকার মাস্ক আছে যেমন- ডিমের সাদা অংশ, লেবু, অ্যালোভেরা, মধু ও শশা ইত্তাদি।
·         ডিমের সাদা অংশে অ্যাস্ট্রিজেন থাকে যা ঝুলে পড়া ত্বকের মেরামতের জন্য ভালো।
·         ১টি বা ২টি ডিমের সাদা অংশ আলাদা করে নিয়ে ফেটাতে থাকুন যতক্ষণ না ফোমের মত হয়।
·         এবার এটি মুখে ও ঘাড়ে ভালোভাবে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
·         দৃঢ় ত্বকের জন্য সপ্তাহে ২ দিন এটি ব্যবহার করুন। 
৫। অয়েল ম্যাসাজ করুন
মুখে ও ঘাড়ে প্রাকৃতিক তেল যেমন- অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করলে ঝুলে পড়া ত্বক দৃঢ় হয়। অলিভ অয়েলে ভিটামিন এ ও ই থাকে যা অ্যান্টি এজিং হিসেবে কাজ করে।
·         অলিভ অয়েল সামান্য গরম করে মুখে লাগান
·         আঙ্গুল দিয়ে বৃত্তাকারে মুখে ম্যাসাজ করতে খাকুন ১০ মিনিট যাবত
·         প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এটা করুন।
·         এছাড়াও নারিকেল তেল, জোজোবা বা আমন্ড তেল ও ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়াও বাহিরে যাওয়ার ২০ মিনিট আগে ভালো মানের সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন যার SPF 15 বা তার উপরে। ঘুম কম হলে ত্বকের উপর সরাসরি প্রভাব পড়ে যার ফলে বয়সের ছাপ দ্রুত পরে। তাই পর্যাপ্ত সময় ঘুমান প্রয়োজন। প্রচুর পানি পান করুন। ধূমপান বর্জন করুন। হঠাৎ করে ওজন না কমিয়ে এক্সারসাইজের মাধ্যমে ওজন কমান। 

চিকেন দিয়েই তৈরি করে ফেলুন অন্যরকম এক সুইস রোল

ranna banna o beauty tips
সুইস রোল
ছোটবেলা থেকেই সুইস রোলের সাথে পরিচিত সবাই। সচরাচর সুইস রোল বলতে আমরা বুঝি ক্রিম মাখানো কেকের রোল। কিন্তু ঝাল ঝাল সুইস রোল তৈরি করে ফেলতে পারলে কেমন হয়? হ্যাঁ, বাড়িতে চিকেন আর পাউরুটি থাকলেই আপনিও তৈরি করে ফেলতে পারবেন এই চিকেন সুইস রোল। তৈরি করে ফেলতে পারবেন অনেক কম সময়ে, কম ঝামেলায়। যে কোন পার্টিতে ফিঙ্গার ফুড হিসেবে ছোট্ট ছোট্ট এই সুইস রোল হয়ে উঠবে অতিথিদের প্রিয়।
উপকরণ

-   ১টা হাড় ছাড়া চিকেন ব্রেস্ট
-   ৬টা পাউরুটির স্লাইস
-   ১ চা চামচ আদা-রসুন বাটা
-   ১ চা চামচ ধনেপাতা কুচি
-   ১ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
-   আধা চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
-   ১ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
-   আধা চা চামচ জিরা গুঁড়ো
-   লবণ স্বাদমতো
-   তেল ডিপ ফ্রাই করার জন্য
প্রণালী

১) খুব পাতলা করে কেটে নিন মুরগীর মাংস। এরপর এগুলোকে আরও ছোট করে কেটে একটা বোলে রেখে দিন। এতে মিশিয়ে নিন লবণ, আদা-রসুন বাটা, ধনেপাতা কুচি, মরিচ গুঁড়ো, গরম মশলা, ধনে এবং জিরা গুঁড়ো। ভালো করে মাখিয়ে মেরিনেট হতে রেখে দিন ১০-১৫ মিনিট।
২) পাউরুটির পাশের বাদামি অংশ কেটে বাদ দিয়ে দিন। পাউরুটি অর্ধেক করে কেটে রুটি বেলার বেলন দিয়ে চ্যাপ্টা করে নিন। এই রুটির টুকরোর মাঝে এক টুকরো চিকেন রাখুন। রোল করে টুথপিক দিয়ে আটকে নিন।
৩) কড়াইতে তেল গরম করে নিন। ডুবোতেলে ভেজে সোনালি করে তুলুন রোলগুলোকে। কিচেন পেপারে তেল ঝরিয়ে নিন।

ঘরেই তৈরি করে ফেলুন মজাদার পিজ্জা পরোটা

ranna banna o beauty tips
ঘরেই তৈরি করে ফেলুন মজাদার পিজ্জা পরোটা
সকালের নাস্তায় অনেকের পরোটা ছাড়া চলে না। পরোটা অনেকরমকভাবে তৈরি করা যায়। আলু পরোটা, ফুলকপির পরোটা, ডালের পরোটা কত রকমের পরোটা আমরা তৈরি করি। কিন্তু পিজ্জা পরোটা অন্য পরোটা থেকে কিছুটা ভিন্ন। এটি সকালের নাস্তায় খেতে পারেন। আবার চাইলে বিকেলের নাস্তায়ও এটি পরিবেশন করা যায়।
উপকরণ:

২ কাপ আটা
১.১/৪ কাপ চিজ
১/২ কাপ ক্যাপসিকাম কুচি
১/২ কাপ পেঁয়াজ কুচি
১/৪ কাপ বেবি কর্ণ
৮-১০ টি অলিভ কুচি
লাল শুকনো মরিচ গুঁড়ো
পিজ্জা সস
পেস্ত সস
তেল
লবণ
পানি
প্রণালী:

১। প্রথমে আটা, লবণ এবং পানি মিশিয়ে ডো তৈরি করে নিন।
২। ডোটিতে অল্প তেল দিয়ে মাখিয়ে ঢাকনা দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন।
৩। এখন আরেকটি প্যানে মোজারেলা চিজ, ক্যাপসিকাম কুচি, পেঁয়াজ কুচি, বেবি কর্ণ ( যা মাইক্রোওয়েবে ২০ সেকেন্ড গরম করা), অলিভ কুচি, লবণ, ইটালিয়ান সিজলিন, দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৪। এখন ডো থেকে লেচী কেটে বড় একটা রুটি তৈরি করুন।
৫। এখন রুটির চারপাশে পিজ্জা সস ভাল করে লাগিয়ে নিন।
৬। তারপর চিজের পুরটি অর্ধেক পরোটার একপাশে ছড়িয়ে দিন।
৭। এবার পরোটা অপর পাশ থেকে ভাঁজ করে পুরটা ঢেকে দিন।
৮। এখন কাটা চামচের বিপরীত পাশ দিয়ে পরোটার মুখটি চাপ দিয়ে দিন।
৯। এবার আরেকটি পরোটায় পস্তো সস এবং চিজের পুর দিয়ে দিন।
১০। তারপর প্যানে অল্প তেল দিয়ে ভাজুন।
১১। বাদামী রং  হয়ে গেলে পরিবেশন করুন মজাদার পিজ্জা পরোটা।

রবিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৬

রান্নাঘর ঝকঝকে রাখবে এই ৩ টি লিকুইড ক্লিনার

ranna banna o beauty tips
৩ টি লিকুইড ক্লিনার
রান্নাঘর হলো এমন একটা জায়গা, প্রতিদিন পরিষ্কার না করলে নিমিষেই ভীষণ নোংরা হয়ে যায়। কিন্তু নানান রকমের কেমিক্যাল ক্লিনার ব্যবহার করলে তার কটু গন্ধ রয়ে যায় রান্নাঘরে, আর এগুলো স্বাস্থ্যের জন্যও খুব একটা ভালো নয়। এর বদলে আপনি নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন কিছু প্রাকৃতিক লিকুইড ক্লিনার। একদম ঘরোয়া কিছু উপাদান তৈরি এই ক্লিনারগুলো আপনার রান্নাঘর যেমন রাখবে পরিষ্কার তেমনি স্বাস্থ্যেরও কোন ক্ষতি করবে না মোটেই। দেখে নিন রান্নাঘর ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত পরিষ্কারের এসব ক্লিনার তৈরির উপায়।
খুব সাধারণ কিছু উপাদান দরকার হবে এই ক্লিনারগুলো তৈরি করতে। এগুলো হলো:
১) ভিনেগার: এটা তেল কাটতে সাহায্য করে, দাগ তুলে ফেলে এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান হিসেবে কাজ করে।
২) বেকিং সোডা: পরিষ্কার করার পাশাপাশি এটা দুর্গন্ধ দূর করে থাকে।
৩) ক্যাসটাইল সোপ বা গ্লিসারিন সোপ:  এটা প্রাকৃতিক সাবান হিসেবে কাজ করে।
৪) লেবু বা কমলা: এগুলোর খোসায় লিমোনিন নামের এক ধরণের প্রাকৃতিক উপাদান থাকে যা তেল কাটে এবং খুব সুন্দর সুগন্ধ ছড়ায়।
লেবুর সুগন্ধে ভিনেগার

এর জন্য আপনার লাগবে ঢাকনা সহ একটা কাঁচের জার, ভিনেগার এবং পাকা লেবু। লেবু ধুয়ে শুকিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। খোসাগুলোকে জারের ভেতর রেখে বাকিটা ভিনেগার দিয়ে ভরে দিন। এবার ঢাকনা লাগিয়ে একটা অন্ধকার, শুকনো জায়গায় রেখে দিন দুই সপ্তাহ। বেশিদিন রাখলে এর কার্যকারিতাও বাড়বে। এরপর বের করে ভিনেগারটা ছেঁকে নিন। এই ভিনেগার আপনি এমনিই ব্যবহার করতে পারেন টেবিল, সিঙ্ক এগুলো মোছার জন্য অথবা তৈরি করতে পারেন এই ক্লিনারগুলো-
তেল কাটানোর ক্লিনার

-   ২/৩ ভাগ পানি
-   ১/৩ ভাগ ভিনেগার
-   ৩ চা চামচ বেকিং সোডা
-   ৪ চা চামচ ক্যাসটাইল সোপ
-   স্প্রে বোতল
পানি ও এসেনশিয়াল অয়েল ছাড়া উপকরণগুলো একসাথে ঝাঁকিয়ে মিশিয়ে নিন এবং স্প্রে বোতলে ভরে নিন, কয়েক মিনিট পর পানিটুকু দিয়ে দিন। আরও কয়েক মিনিট পর ইচ্ছে হলে দিতে পারেন এসেনশিয়াল অয়েল। এটা ব্যবহার করা যাবে মাইক্রোওেভের ভেতরের তেলতেলেভাব দূর করতে অথবা চুলের আশেপাশের তেলতেলে ময়লা দূর করতে।
ফ্লোর ক্লিনার

-   ১ কাপ পানি
-   ১ কাপ ভিনেগার
-   ৪ টেবিল চামচ ক্যাসটাইল সোপ
-   ১০ ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল
এটা রান্নাঘরের টাইলের মেঝে থেকে ময়লা ও তেল চিটচিটেভাব দূর করবে।
অল পারপাস ক্লিনার

- এক কাপ পানি
- এক কাপ ভিনেগার
- এসেনশিয়াল অয়েল
- স্প্রে বোতল
যে কোনও ময়লা দূর করতে এই স্প্রে কাজে আসবে চটজলদি।
এসব ক্লিনার শুধু যে নিরাপদ এবং কার্যকরী তাই নয়, বরং এগুলো টাকা বাঁচাতেও কাজে আসে।

নতুন বছরে তৈরি করে ফেলুন মজাদার মশলা ডাক রোস্ট

ranna banna o beauty tips
মজাদার মশলা ডাক রোস্ট
শীত চলে এসেছে আর হাঁস খাওয়া হবে না, তা কি করে হয়? হাঁস খাওয়ার সবচেয়ে পারফেক্ট সময় হল শীতকাল। হাঁস রান্নাটি অন্য দশটি রান্না থেকে কিছুটা ভিন্ন। একটু মশালাদার, ঝাল না হলে খেতে ভাল লাগে না। সাধারণত আমরা হাঁস রান্না করতে নারকেল এবং নারকেলের দুধ ব্যবহার করে থাকি। অনেকের নারকেল খাওয়া নিষেধ থাকে, তারা নারকেল হাঁস খেতে পারেন না। নারকেল ব্যবহার না করেও ডাক রোস্ট তৈরি করা সম্ভব। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মশলা ডাক রোস্ট রেসিপি।
উপকরণ:
৫০০ গ্রাম হাঁসের মাংস
১০-১৫ কোয়া রসুনের কোয়া
২ ইঞ্চি আদা কুচি  
৮-১০ টি লাল মরিচ
২টি বড় আকৃতির পেঁয়াজ কুচি
১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
লবণ স্বাদমত
১/২ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
১ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
১ চাচামচ চিনি
১ টেবিল চামচ কিশমিশ
তেল
২টি মাঝারি আকৃতির আলু
পানি
প্রণালী:
১। প্রথমে আদা কুচি, রসুন কুচি, লবণ, হলুদ গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো, গোল মরিচ গুঁড়ো, লাল মরিচ, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করে নিন।
২। এখন একটি প্যানে হাঁসের মাংস,তেল, মশলার পেস্ট দিয়ে মিশিয়ে নিন।
৩। এবার এটি ৩০ মিনিটের জন্য ম্যারিনেট করতে দিন।
৪। এখন আরেকটি প্যান চুলায় গরম করতে দিন। এতে কিউব করে কাটা আলুর টুকরোগুলো দিয়ে দিন।
৫। হালকা করে ভাজুন।
৬। আরেকটি প্যানে ম্যারিনেট করা মাংস চুলায় দিয়ে ৫ মিনিট জ্বাল দিন।
৭। এবার এতে চিনি, কিশমিশ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।
৮। তারপর পানি দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।
৯। ঢাকনা দিয়ে অল্প আঁচে ২০ মিনিট রান্না করুন।
১০।  এরপর ভাজা আলু, ধনে পাতা কুচি দিয়ে নাড়ুন।
১১। ঢাকনা দিয়ে ১০ মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করুন।
১২। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মশালাদার ডাক রোস্ট।
১৩। পরোটা, পোলাও, সাদা ভাত সবকিছুর সাথে খেতে পারেন এই মজাদার খাবারটি।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.