সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

সবজির মাংস!

ranna banna o beauty tips
সবজির মাংস!
বাঙালির খাদ্যাভ্যাসে ‘কমন’ হলেও শহরে টাটকা শাক-সবজি পাওয়া দুষ্কর। তাই খাবারের তালিকায় বেশ ওপরেই থাকে মাংস, বিশেষ করে ব্রয়লার মাংস। কিন্তু চিকিৎসকের বিধি-নিষেধে সাধ তুলে রাখতে হয় অনেকের। তবে এবার পরিবর্তন আনতে পারেন খাবারে। অনায়াসেই খেতে পারেন মাংস। কেননা মাংস তৈরিই হচ্ছে শাক-সবজি থেকে।

ভাবছেন গুল মারছি? একেবারেই না। সত্যি সত্যি শাকসবজি থেকে তৈরি হচ্ছে নকল মাংস বিয়ন্ড মিট। আর এ মাংস খেতে অবিকল চিকেনের মতোই।

এমনকি মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসও বিয়ন্ড মিটসের নকল মাংস খেয়ে বুঝতেই পারেননি। এর স্বাদ, টেক্সচার অবিকল চিকেনের মতো বলেই জানিয়েছেন তিনি। ভবিষ্যত্‍ পৃথিবীর খাদ্য বিয়ন্ড মিট যোগাতে চলেছেও বলে মনে করছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনাঢ্য এই ব্যক্তি।
ইথান ব্রাউন

বিয়ন্ড মিটের চিন্তা প্রথম মাথায় ইথান ব্রাউনের। এই স্টার্টআপের সিইও তিনি। নিজের এই প্রযুক্তির পেটেন্ট নিয়েছেন ইথান ব্রাউন। এই নকল মাংস সাধারণ মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠলে প্রাণী হত্যা অনেক কমে যাবে বলেও মনে করছেন তিনি।

ইথান ব্রাউনের মতে, মাংসের জন্য পশুখামারের পেছনে প্রচুর খরচ করতে হয়। একটি প্রাণী থেকে এক পাউন্ড মাংস পেতে যে পরিমাণ জমি, শক্তি ও জন ব্যবহার করতে হয়, তা বিশাল। একটি প্রাণীর শরীরের মাত্র ৩০ শতাংশ মাংস আমরা খাই। বাকি পুরোটাই নষ্ট হয়। শক-সবজি থেকে প্রস্তুত নকল মাংস খেলে প্রচুর টাকা ও সময় বাঁচবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নিরামিষ খাওয়া মানুষের শরীরের পক্ষে সবচেয়ে ভালো বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররাও। নকল মাংস খেলে স্বাদের সঙ্গে সমঝোতা না করেই স্বাস্থ্য রক্ষা সম্ভব। ইথান ব্রাউন জানিয়েছেন যে মাংস শুধুমাত্র অ্যামিনো অ্যাসিড, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, খনিজ পদার্থ ও জলের সংমিশ্রণ। এই সব জিনিস যে সব গাছে থাকে, তা সংগ্রহ করে সেখানে মাংসের স্বাদ, টেক্সচার ও পুষ্টি কৃত্রিম ভাবে যোগ করেছেন তিনি।

খেজুর গুড়ের মজার পায়েস

ranna banna o beauty tips
খেজুর গুড়ের মজার পায়েস
শীতের এই সময়টাতে পাওয়া যাচ্ছে সুগন্ধি খেজুর গুড়। বাঙালিয়ানা খাবার রীতিতে নতুন খেজুর গুড়ের পায়েস একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। নিজেদের খাওয়ার সঙ্গে অতিথি আপ্যায়নে এই পায়েসের জুড়ি নেই। খেজুর গুড়ের এই পায়েসের স্বাদ অন্য কোনো খাবারে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই সে স্বাদ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতে রাজি নয় কেউ। খুব ঘন ঘন খাওয়া না হলেও প্রতিটি বাঙালি পরিবারে বছরে অন্তত একবার খাওয়া চাই-ই। প্রায় সবাই রান্না করতে পারেন খেজুর গুড়ের পায়েস। কিন্তু পায়েসকে আরও বেশি মজাদার করতে জানা দরকার সামান্য কিছু কৌশল। তাই দেখে নিতে পারেন এক নজরে..

যা যা লাগবে

পোলাও চাল ৫০০ গ্রাম, খেজুরের গুড় স্বাদমতো, দুধ ৪ লিটার, এলাচ ৪টি, দারুচিনি ৪ টুকরা, তেজপাতা ২টি, বাদাম-কিশমিশ পছন্দমত।

যেভাবে করবেন

প্রথমে চাল ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। দুধ আর গুড় একটি পাত্রে ঘন করে  জ্বাল দিয়ে নিন। এবার আলাদা পাত্রে চাল ফুটিয়ে দুধ-গুড়ের পাত্রে ঢেলে দিতে হবে। ফুটে ওঠা পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। এবার তাতে এলাচ, দারুচিনি ও তেজপাতা দিয়ে আবারও আস্তে আস্তে নাড়তে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন পাতিলের নিচে পায়েস পুড়ে লেগে না যায়। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে বাদাম-কিশমিশ দিয়ে পছন্দমত সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার খেজুর গুড়ের পায়েস।

রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৫

সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর বিট রুটের টিক্কি

ranna banna o beauty tips
সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর বিট রুটের টিক্কি
সবজি হিসাবে বিট দারুণ স্বাস্থ্যকর হলেও অনেকেই এই সবজিটি খেতে চান না একেবারেই। কেন? কারণ আসলে ঠিক মত রান্না করতে না পারলে বিট খেতে ততটা ভালো লাগে না। চলুন, আজ জেনে নিই নাদিয়া নাতাশার চমৎকার একটি রেসিপি। বিট খেতে এত সুস্বাদু আগে কখনো লাগেনি আপনার!

উপকরণ:
বিট রুট মিহি কুচি ১ কাপ
রোষ্টেট পিনাট ১/২কাপ
আলু সেদ্ধ ১কাপ
পেঁয়াজ কুচি ১/২ কাপ
কাচামরিচ কুচি ৩/৪ টা
লেবুর রস ২/৩ চা চামচ
ধনে পাতা কুচি ২ চা চামচ
আদা বাটা ১/২ চা চামচ
রসুন বাটা ১/২চা চামচ
জিরা গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
গোল মরিচ গুঁড়ো সামান্য
লবণ পরিমান মত
ব্রেড ক্রামব ১ কাপ
ময়দা ১/২ কাপ
পানি ১/২ কাপ
তেল ভাজার জন্য

প্রনালি:

    -বিট রুট কুচি সামান্য লবণ মিশিয়ে রাখুন আধা ঘন্টা।
    -আধা ঘন্টা পর ভালভাবে চেপে রস নিংড়ে নিন।
    -এবার সব মসলা আলু বাদাম পেঁয়াজ কুচি কাঁচামরিচ কুচি ধনে পাতা দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে টিক্কির আকার দিন।
    -ময়দা আর পানি গুলিয়ে পাতলা মিশ্রন তৈরি করুন।
    -এবার টিক্কি ময়দায় চুবিয়ে ব্রেড ক্রামে গড়িয়ে নিন। নরমাল ফ্রিজে রাখুন ১ ঘন্টার জন্য। এবার ডুবো তেলে ভাজুন আর গরম গরম সার্ভ করুন।

ভিন্ন রকম রেসিপি "বিজয় পরোটা"

ranna banna o beauty tips
 "বিজয় পরোটা"
চলে এসেছে আমাদের সবচাইতে আনন্দের উৎসব "বিজয় দিবস"। বিশেষ এই দিনের আনন্দে স্মরণীয় কিছু তৈরি করতে চান? বীথি জগলুলের দারুণ রেসিপিতে তৈরি করে ফেলুন বিজয় পরোটা। চলুন জেনে নিই।

যা প্রয়োজন
ময়দা- ২ কাপ
সুজি- ৪ টে চামচ
গুঁড়া দুধ- ৪ টে চামচ
লবণ- ১ চা চামচ
তেল- ৬ টে চামচ
জিরা গুঁড়া- ২ চা চামচ
আস্ত জিরা- ১ চা চামচ
চাট মসলা- ২ চা চামচ
গরম মসলা গুঁড়া-- ১ চা চামচ
মরিচ গুঁড়া- ১ চা চামচ

- উপরের সব উপকরণ আলাদা বাটিতে সমান দুইভাগে ভাগ করে একসাথে মিশিয়ে রাখুন।

এছাড়া লাগবে
পালং শাক কুচি- ১ কাপ
গ্রেটেড গাজর- ২-৩টি
তেল- ভাজার জন্যে

যেভাবে করবেন

    -পালং শাক ভাপিয়ে নিয়ে সামান্য পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পিউরি করে নিন। একইভাবে গাজরও পিউরি করে নিন।
    -এবার একভাগ ময়দার মিশ্রণে পরিমাণমতো পালং-এর পিউরি দিয়ে ডো করে নিন। অল্প অল্প করে পিউরি দেবেন। একবারে দিলে ডো নরম হয়ে যেতে পারে।
    -একইভাবে গাজরের পিউরি দিয়ে ডো করুন। ডো করা হলে ঢাকনা দিয়ে ১৫ মিনিটের জন্যে ঢেকে রাখুন।
    -পনেরো মিনিট পর ২ রঙের ডো দিয়ে ১০-১০ করে বিশটি লেচি কেটে নিন। একটি সবুজ ও একটি কমলা/লাল লেচি পাশাপাশি রেখে কয়েলের প্যাঁচের মতো প্যাঁচ দিয়ে গোল করে নিন।
    -এবার এটিকে বেলে গোল পরোটা বানিয়ে নিন। পরোটার সাইজ পুরির চেয়ে কিছুটা বড়ো হবে। সব বানানো হলে মোগলাই পরোটার মতো করে ভেজে নিন।
    -গরম গরম পরিবেশন করুন চিকেন অথবা বীফ ভুনা দিয়ে।

সুস্বাদু নার্গিসি কোফতা তৈরির একটি সহজ রেসিপি

ranna banna o beauty tips
নার্গিসি কোফতা
স্থানীয় ভাজাভুজির দোকানে সিঙ্গারা-সমুচার পাশাপাশি আরও একটা খাবার পাওয়া যায়, সেটা হলো ডিম-চপ। বাড়িতেও অনেকেই ডিম চপ তৈরি করেন অতিথি আপ্যায়নের জন্য। ডিম চপের আরও অভিজাত একটি ধরণ হলো নার্গিসি কোফতা। খুব সহজেই তৈরি করে ফেলতে পারবেন বাড়িতে। অতিথি আপ্যায়ন ছাড়াও বিকেল বেলার স্ন্যাক্স হিসেবে দারুণ লাগবে নার্গিসি কোফতা।
উপকরণ

    -   ৪টা সেদ্ধ ডিম
    -   ২৫০ গ্রাম চিকেন কিমা
    -   ২টা ছোট আলু, সেদ্ধ করে ভর্তা করা
    -   ভাজার জন্য ব্রেড ক্রাম্ব
    -   এক স্লাইস পাউরুটি, ভিজিয়ে পানি চিপে নেওয়া
    -   ৩ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
    -   সিকি চা চামচ গোলমরিচ
    -   ১ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
    -   ১ চা চামচ গরম মশলা
    -   লবণ স্বাদমতো
    -   ১ চা চামচ আদা কুচি
    -   ১ চা চামচ রসুন কুচি
    -   ২টা কাঁচামরিচ কুচি
    -   ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল

প্রণালী

১) একটা বাটিতে মিশিয়ে নিন চিকেন কিমা, আলু ভর্তা, রসুন কুচি, আদা কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, লবণ, জিরা, গরম মশলা, গোলমরিচ গুঁড়ো এবং কিছুটা ধনেপাতা কুচি। এগুলো একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এটাকে মিক্সারে দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।

২) এই মিশ্রণে ভেজানো পাউরুটি এবং আরও কিছুটা ধনেপাতা কুচি দিয়ে মিশিয়ে নিন। এরপর হাতে তেল মাখিয়ে অল্প কিছুটা মিশ্রণ হাতে নিন। প্যাটি বানিয়ে এর মাঝে একটা সেদ্ধ ডিম রেখে চারদিক দিয়ে মুড়ে কোফতার আকৃতি দিন।

৩) কোফতাটাকে ডিমে ডুবিয়ে নিয়ে তারপরে ব্রেড ক্রাম্বে গড়িয়ে নিন। ডিমে না ডুবালেও চলবে। এবার গরম তেলে ডিপ ফ্রাই করে নিন কোফতাটাকে। এভাবে সবগুলো ডিম দিয়ে কোফতা তৈরি করে ভেজে নিন। বেশি কড়া করে ভাজবেন না। সোনালি হয়ে এলে নামিয়ে নিন।

নার্গিসি কোফতা মাঝ বরাবর কেটে গরম গরম সার্ভ করুন। সাথে দিতে পারেন সস অথবা চাটনি।

শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৫

খুদের খিচুড়ি

ranna banna o beauty tips
খুদের খিচুড়ি
চালের কণা দিয়ে করতে পারেন উদরপূর্তি।
উপকরণ: 
খুদ ২ কাপ। মুগডাল আধা কাপ। হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ। পেঁয়াজপাতা কুচি করা ৪,৫টি (না থাকলে পেঁয়াজ দিতে পারেন)। পেঁয়াজকুচি ১টি। রসুনকুচি আস্ত ১টি। কাঁচামরিচ ফালি করা ৭,৮টি। আদাবাটা দেড় টেবিল-চামচ। জিরাবাটা ১ চা-চামচ। রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ। তেজপাতা ২টি। এলাচ ৩টি। দারুচিনি ১ টুকরা। আস্তজিরা দেড় চা-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। তেল পরিমাণ মতো। পানি ৪ কাপ।

পদ্ধতি: 
মুগ ডাল ধুয়ে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। খুদ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে চাল-ডাল মিশিয়ে রাখুন।

হাঁড়িতে তেল গরম করে তেজপাতা, এলাচ, দারুচিনি ও আস্তজিরা ফোঁড়ন দিয়ে চাল-ডালের মিশ্রণ দিয়ে ভেজে নিন।

পোলাওয়ের চালের মতো করে খুদ ভেজে পানি দিন। এবার এর সঙ্গে অন্য সব উপকরণ মিশিয়ে নিন। চাল ও পানি সমান স্তরে আসলে তাওয়ার উপর হাঁড়ি বসিয়ে ঢাকনা দিয়ে দমে রাখুন।

১০ মিনিট পর আর একবার নেড়ে দিয়ে আবার দমে রাখুন। খুদ ফুটে গেলে নামিয়ে নিন। ডিম ভাজা, বিভিন্ন রকম ভর্তা দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

সরিষার তেলে ইলিশ তেহারি

ranna banna o beauty tips
ইলিশ তেহারি
বৃষ্টিভেজা দিনেই ইলিশের যেন বেশি খাতির। ভেজা আবহাওয়ায় আমাদের মন মাতাতেও চায় মোহনীয় গন্ধে ভরা ইলিশ আয়োজন। বাড়িতে অতিথি এলে বিশেষ আপ্যায়নে স্বগর্বে যোগ হতে পারে ইলিশ রেসিপি। সেখানে সরিষা তেলে ইলিশ তেহারি হলে তো কোনো কথায় থাকে না। তাই আজ শিখে নেয়া যাক ইলিশ তেহারি রান্নার সহজ রেসিপি।

যা যা লাগবে

ইলিশ মাছ ১০ টুকরো, পোলাও চাল ১ কেজি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, টমেটো সস আধা কাপ, সরিষা তেল ১ কাপ, তেজপাতা ২ টা, দারুচিনি ২ টা, এলাচ ৪ টা, লবণ স্বাদমত, জয়ফল ১টা, জয়ত্রী ২ টা, সাদা গোলমরিচ ১ চা চামচ, আস্ত জিরা আধা চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, জিরা বাটা আধা চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ও ধনেপাতা বাটা ১ চা চামচ, শুকনো মরিচ বাটা ১ চা চামচ, সরিষা বাটা ২ চা চামচ, কাঁচা মরিচ ১০টা, সরিষা তেল ২ টেবিল চামচ।

যেভাবে করতে হবে

গরম মশলার সব উপকরন একসঙ্গে টেলে গুঁড়ো করে নিতে হবে। সমস্ত বাটা মসলা একটু পানি দিয়ে একসঙ্গে একটা পাত্রে ভালো করে মেশান। পোলাও চাল ধুয়ে পানি ঝরাতে হবে। দুই লিটার পানি চুলায় গরম হতে দিন। অপর একটি হাঁড়ি চুলায় বসিয়ে গরম হলে আধ কাপ সরিষা তেল দিন। এবার বাটা মশলার মিশ্রণ, টমেটো সস ও ২ চা চামচ লবণ দিয়ে নাড়তে থাকুন। সুগন্ধ বেরোলে ধোয়া মাছ কষিয়ে নিন। এবার পরিমাণমত গরম পানি দিয়ে ১০ মিনিট সেদ্ধ করুন। মাছ সেদ্ধ হওয়ার পর যখন তেল বেরোবে এবং সামান্য ঝোল থাকবে, তখন চুলা বন্ধ করে দিন।

এবার পোলাও

অপর একটি বড় হাঁড়িতে বাকি আধ কাপ সরিষা তেল দিন। তেল গরম হলে আস্ত এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা ছেড়ে দিন। অল্প ভেজে পেঁয়াজ কুচি দিন। পেঁয়াজ নরম হলে চাল দিয়ে ১৫ মিনিট নেড়েচেড়ে ভাজুন। এবার ওই গরম ২ লিটার পানি দিন। পরিমাণমতো লবণ দিয়ে হাঁড়ি ঢেকে দিন। চাল ফুটে পানি যখন প্রায় শুকিয়ে আসবে তখন চুলা বন্ধ করে দিন। একটি পুরু তলার বড় হাড়িতে প্রথমে অর্ধেক পোলাও বিছিয়ে দিন। এবার মাছ গুলো সাবধানে তুলে পোলাওয়ের উপর বিছিয়ে কাঁচা মরিচ আর গরম মসলার গুঁড়া ছড়িয়ে বাকি পোলাওয়ে ঢেকে দিন। ওপরে পেঁয়াজ বেরেস্তা আর ২ চামচ সরিষা তেল ছিটিয়ে দিন। এখন চুলার ওপর তাওয়া রেখে তার ওপর হাঁড়ি রেখে চুলা জ্বেলে দিন। হাঁড়ির মুখ ঢাকনা দিয়ে লাগিয়ে নিন। চাইলে নরম আটা দিয়ে ঢাকনার কিনারে সীল করে দিতে পারেন। এভাবে অল্প আঁচে রাখুন ২০ মিনিট। ব্যস, হয়ে গেল মজাদার সরিষার তেলে ইলিশ তেহারি।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.