বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৬

সহজেই বানিয়ে নিন টকদই

ranna banna o beauty tips
সহজেই বানিয়ে নিন টকদই
ওজন কমানো, হজমশক্তি বাড়ানো এবং দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে টকদইয়ের কদর সব সময়। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেও টকদইয়ের তুলনা হয় না। অপরদিকে দাঁতের গঠনে সাহায্য করা, রক্ত বিশুদ্ধ করা এবং রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপকারী। তাইতো অনেকেরই নিয়মিত খাদ্য তালিকায় টকদইয়ের উপস্থিতি থাকে। এতো গুণে ভরা টকদই খেতে সব সময়ই দোকানের ওপর নির্ভর করতে হবে ।না। খুব সহজেই নিজ হাতে বানিয়ে নিতে পারবেন।

যা যা লাগবে

দুধ ১ লিটার, পানি ১ কাপ, পুরানো দই ১ টেবিল চামচ, মাটির হাঁড়ি ১টি।

যেভাবে করবেন

দুধে ১ কাপ পানি মিশিয়ে মাঝারি আঁচে পাঁচ মিনিট জ্বাল দিন। দুধ ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে অল্প আঁচে আরও ১৫ মিনিট জ্বাল দিন। দুধ ঘন হলে চুলা থেকে নামিয়ে কিছুটা ঠাণ্ডা করতে হবে। এবার মাটির হাঁড়িতে ঢেলে কুসুম গরম থাকা অবস্থায় পুরোনো দইটা দিয়ে নেড়ে দিন। তারপর ভালো করে ঢেকে রাখুন চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা। এবার দেখুন দই জমে গেছে। ব্যাস খুব সহজেই হয়ে গেল ভেজাল মুক্ত টকদই। তাই দেরি না করে আজই বানিয়ে নিতে পারে উপকারী টকদই।

চিকেন টুইস্টারের রেসিপি

ranna banna o beauty tips
 চিকেন টুইস্টারের রেসিপি
কই সাথে মজাদার ও পেট ভরানোর মত স্ন্যাক্স তৈরি করে চান? দেখে নিন ইসরাত জাহান বিথীর একটি দারুণ রেসিপি।
চিকেন স্ট্রিপ এর জন্য যা লাগবে -
মুরগির হাড়ছাড়া বুকের মাংস - ২ টি (ফার্ম এর মুরগির )
রসুন বাটা - ১ চা চামচ
মরিচ গুঁড়ো  - ১ চা চামচ
গোলমরিচ গুঁড়ো - আধা চা চামচ
লবণ -  ১ চা চামচ থেকে একটু কম
মাস্টার্ড পেস্ট /মাস্টার্ড পাউডার - ১ চা চামচ (মাস্টার্ড পেস্ট বা পাউডার না থাকলে সরিষা বাটা দেয়া যাবে )
ভিনেগার - ২ টেবিল চামচ
সয়াসস- ১ চা চামচ
টমেটো সস - ১ টেবিল চামচ
-মুরগির বুকের মাংসকে ফিঙ্গার কাট করে কেটে নিতে হবে (যে ভাবে ফিস ফিঙ্গার এর জন্য মাছ কে লম্বা করে পিস করে সেইভাবে ).৮-১০ পিস হবে।
-তারপর উপরের সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে ৩-৪ ঘন্টা অথবা সারারাত  মেরিনেট করে রাখতে হবে।

এই মাংসের পিস গুলো ভাজার আগে দুইটা মিশ্রনে  কোট করে ভাজতে হবে।
মিশ্রণ (১)-
ডিম - ১ টি
কর্ণ ফ্লাওয়ার -৩ টেবিল চামচ
ঠান্ডা তরল দুধ - ৩-৪ টেবিল চামচ
লবণ - সামান্য
-সব মিশিয়ে একদম মসৃণ গোলা বানিয়ে নিতে হবে। একটু পাতলা হবে।
মিশ্রণ (২)-
ময়দা -  আধা কাপ
কর্ণ ফ্লাওয়ার - ৪ টেবিল চামচ
বেকিং পাউডার - ১ চা চামচ
লবণ - ১ চিমটি
পাপরিকা পাউডার /মরিচ গুঁড়ো - ১ চা চামচ
গোল মরিচ গুঁড়ো -আধা চা চামচ
-সব একসাথে চেলে নিয়ে ,একটা ছড়ানো প্লেট এ রাখতে হবে।

প্রণালী - 
-কড়াইতে বেশি করে তেল দিয়ে মাঝারি আঁচে গরম করতে হবে।
-এখন মেরিনেট করা মাংসের পিস গুলো একটা একটা করে প্রথমে ডিমের গয়লায় চুবিয়ে নিয়ে ,এরপর শুকনা ময়দার মিশ্রনে রেখে হাত দিয়ে চেপে চেপে ভালো করে মাংসের পিস এর গায়ে শুকনা  ময়দার মিশ্রন লাগাতে হবে।
-তারপর ময়দা থেকে তুলে আলতো করে ঝাকিয়ে বাড়তি ময়দা ফেলে সরাসরি গরম তেল এ ছাড়তে হবে। এইভাবে সব গুলো মাংসের পিস প্রথমে ডিম এর মিশ্রন এ,পরে শুকনা ময়দার মিশ্রন লাগিয়ে ডুবো তেল এ মাঝারি আঁচে সোনালী করে ভেজে কিচেন টিসু তে রাখতে হবে।

রুটির জন্য যা লাগবে -
ময়দা - দেড় কাপ
লবণ - আধা চা চামচ
বেকিং পাউডার -আধা চা চামচ
তেল - ২ টেবিল চামচ
পানি - পরিমান মত
-ময়দা,লবন,বেকিং পাউডার ও তেল একসাথে মিশিয়ে ,পরিমান মত পানি দিয়ে রুটির ডো/খামির বানিয়ে ,ঢেকে ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে।
-৩০ মিনিট পর এই ডো দিয়ে একটু মোটা করে মাঝারি সাইজের রুটি বানিয়ে তাওয়া তে সেঁকে নিতে হবে। (রুটি গুলো ,  চিকেন স্ট্রিপ গুলো ভাজার আগেই বানিয়ে ঢেকে রাখবেন)

টুইস্টার  সস -
মেয়নিজ - আধা কাপ
লেবুর রস/ভিনেগার  - ১ টেবিল চামচ
গোল মরিচ গুঁড়ো - আধা চা চামচ
টমেটো সস - ২ টেবিল চামচ
লবণ - ১ চিমটি
-একটা  বাটিতে সব একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে।

আরও লাগবে
শসা চিকন লম্বা করে কুচি করা ,টমেটো বিচি ফেলে লম্বা করে কুচি করা ও লেটুস পাতা কুচি করা।শসা, টমেটো না দিলেও চলবে। লেটুস লাগবে।

যেভাবে করবেন
-এখন একটা করে রুটি নিয়ে ,রুটির একপাশে কিছু লেটুস কুচি রেখে তারউপর দুই পিস চিকেন স্ট্রিপ রাখতে হবে।
-এখন স্ট্রিপ গুলোর উপরে কিছু শসা ও টমেটো কুচি দিয়ে ,এর উপরে ১ টেবিল চামচ টুইস্টার সস ছড়িয়ে দিয়ে রুটিটা রোল করে নিয়ে, স্যান্ডউইচ রেপার দিয়ে মুড়িয়ে নিতে  হবে। আর  নয়তো  একটা টুথপিক দিয়ে আটকে দিতে হবে।
-চাইলে  গ্রিল প্যান গরম করে টুইস্টার গুলো সেঁকে নিতে পারেন।

মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৬

ফেসপ্যাক লাগানোর আগে করুন এই ৪টি কাজ

ranna banna o beauty tips
ফেসপ্যাক
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, ব্রণ দূর করতে, ত্বকের কালো দাগ দূর করতে নানা কারণে আমরা ফেসপ্যাক ব্যবহার করে থাকি। আপনি জানেন কি ফেসপ্যাক ব্যবহারে আগে আপনাকে কিছু কাজ করার প্রয়োজন? এই কাজগুলো করে ফেসপ্যাক লাগালে ভাল ফল পাওয়া সম্ভব। অনেক সময় আমরা ফেসপ্যাক ময়লা ত্বকের উপর ব্যবহার করে থাকি, এতে করে ভাল ফল পাওয়া সম্ভব হয় না। বরং দেখা যায় ত্বকে ব্রণ বা কালো কালো ভাব চলে এসেছে। তাই ফেসপ্যাক ব্যবহারের আগে কিছু কাজ করে নিন। এতে ফেসপ্যাক অনেক কার্যকরী হবে।
১। গোসলের আগে ফেসপ্যাক ব্যবহার
বেশিরভাগ সময় আমরা ফেসপ্যাক গোসলের আগে ব্যবহার করে থাকি। এতে ফেসপ্যাকের কার্যকারিতা কিছুটা কমে যায়। ফেসপ্যাক গোসলের পর লাগালে ভাল ফল পাওয়া সম্ভব। প্রথমে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখটি ধুয়ে ফেলুন। এতে করে ত্বকের ছিদ্রগুলো খুলে যাবে আর ফেসপ্যাকটি ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে। এছাড়া একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে মুখের উপর দিয়ে দিন। এভাবে কয়েক বার করে ৫ মিনিট করুন। এটিও আপনার ত্বকের ছিদ্রগুলো খুলে ফেলে। লক্ষ্য রাখবেন তোয়ালে যেন বেশি গরম না হয়ে যায়।
২। ম্যাসাজ করে ফেসপ্যাক লাগান
ত্বকেও ফেসপ্যাক ম্যাসাজ করে লাগান। আঙুল দিয়ে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করে ফেসপ্যাক লাগান। এতে করে ফেসপ্যাকটি ত্বকের ভিতরে ভালভাবে প্রবেশ করবে। ১০ মিনিট ম্যাসাজ করে তারপর শুকানোর জন্য অপেক্ষা করুন।
৩। ফেসপ্যাক মুখে খুব বেশি শুকাতে দিবেন না
এই কাজটি কম বেশি সবাই করে থাকেন। ফেসপ্যাক খুব শুকানোর না পর্যন্ত পরিষ্কার করেন না। কিন্তু এই কাজটি করা যাবে না। খুব বেশি শুকিয়ে গেলে ফেসপ্যাক আপনার ত্বককে রুক্ষ করে তুলবে। আর এর জন্য ত্বকে বলিরেখাও দেখা দিতে পারে। ফেসপ্যাক খুব বেশি শুকানোর আগে ধুয়ে ফেলুন।
৪। টোনার ব্যবহার করুন
ফেসপ্যাক ধুয়ে ফেলার পর টোনার ব্যবহার করুন। টোনার হিসেবে গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বক উজ্জ্বল করার পাশাপাশি ত্বক ময়েশ্চারাইজ করবে। এছাড়া গ্রিণ টি, মধু, গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন।
টিপস:
১। চেষ্টা করবেন সাথে সাথে ফেসপ্যাক তৈরি করে নিতে। বাসি ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২। তরল ফেসপ্যাক ব্রাশ দিয়ে লাগান।
৩। হাত দিয়ে ফেসপ্যাক লাগানোর ক্ষেত্রে হাত ভালো করে পরিস্কার করে নিবেন। অনেক সময় হাতের ময়লা ত্বকে প্রবেশ করে ফেসপ্যাকের মাধ্যমে।
৪। সরাসরি পানি দিয়ে মুখ না ধুয়ে একটি তুলা বা তোয়েলা পানিতে ভিজিয়ে ত্বক থেকে ফেসপ্যাক তুলুন। এতে সময় কিছুটা বেশি লাগলেও ত্বকের জন্য অনেক উপকারী হবে।
৫। ফেসপ্যাক ভাল হয় রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্যবহার করলে। এতে ত্বক সারারাত বিশ্রামে থাকে এবং ফেসপ্যাক বেশি কার্যকর হয়।

দাঁতকে চমকানো সাদা করে তুলুন এই ছোট্ট কৌশলে

ranna banna o beauty tips
দাঁতকে চমকানো সাদা করে তুলুন এই ছোট্ট কৌশলে
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই দাঁত ব্রাশ করা, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করা- এইতো শুনেছেন এতদিন দাঁতের যত্ন-আত্নি করার উপায় হিসেবে? বিশেষ করে যাদের দাঁত খানিকটা হলদেটে তারা তো নিয়মটাকে আরো বেশি করে মেনে চলে। সত্যি বলতে কি, সবাই চাই নিজের দাঁতগুলোকে আরো সুন্দর আর চকচকে সাদা রঙের করে তুলে সবাইকে একটা সুন্দর হাসি উপহার দিতে। কিন্তু এক্ষেত্রে সাধারণ এসব নিয়মের পাশাপাশি আপনি ব্যবহার করতে পারেন অন্য একটি উপায়ও। আর খুব সহজেই সাদা করে তুলতে পারেন নিজের দাঁতকে। কীভাবে? না, কোন ওষুধের মাধ্যমে নয়। লিপস্টিকের ছোট্ট একটু ব্যবহারই আপনার দাঁতকে করে তুলতে পারে আরো উজ্জ্বল।

ভাবছেন কীভাবে? না, অন্য কোনভাবে নয়, বরং লিপস্টিক নিজেই নিজের রঙের মাধ্যমে আপনার দাঁতকে অন্যদের কাছে আরো একটু সাদা করে তুলবে। লিপস্টিকের নানারকম রঙ রয়েছে। বাজারো নানা রঙের লিপস্টিক কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু তাদের ভেতরেও কিছু রঙ আছে যেগুলোর ব্যবহার আপনার ঠোঁটকে বিশেষভাবে রাঙিয়ে আপনার দাঁতগুলোকে অন্যদের কাছে করে তুলতে পারে একটু বেশি সাদা। আর সেই রঙগুলো হচ্ছে-
১. উষ্ণ রঙ

রঙ নানারকমের হয়। কোনটা একটু বেশি শীতল ও ঠান্ডা প্রকৃতির। আর কোনটা উষ্ণ। আপনার দাঁত যদি খানিকটা হলদেটে হয় এবং আপনি চান সেটাকে একটু সাদা করে তুলতে তাহলে অন্যান্য প্রসাধনীর পাশাপাশি দোকানে গেলেই ঠোঁটের জন্যে বাছুন উষ্ণ রঙএর লিপস্টিক। দোকানের নানারকম লিপস্টিকের ভেতরে উষ্ণ ও সাহসী অর্থাৎ, গাঢ় লাল, কমলা বা হলদে রঙ এবং শীতল অর্থ্যাত্ নীল রঙ এর লিপস্টিকগুলো ( রিফাইনারি ) আলাদা করেই সাজানো থাকে। তাই খুব সহজেই আপনি ওখান থেকে পেয়ে যেতে পারেন আপনার পছন্দসই জিনিসটি।
২. বেগুনী, গাড় গোলাপী

আপনার দাঁতকে অনেক বেশি সাদা দেখাতে বেগুনী রঙ এর লিপস্টিকের কোন তুলনা হয়না। তবে গোলাপী লিপস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে মনে রাখবেন যে হালকা গোলাপীর চাইতে গাঢ় গোলাপী রঙএর লিপস্টিক অনেক বেশি ধাঁধায় ফেলে দিতে পারে মানুষের চোখকে আর করে তুলতে পারে দাঁতগুলোকে আরো বেশি সাদা ( এলে )।
৩. জাম রং

লিপস্টিক কেনার সময় খানিকটা নীলচে অথবা ঠান্ডা ধরনের আন্ডারটোন নিন। এক্ষেত্রে সেলসম্যানকে বললে সেই আপনাকে বুঝিয়ে দেবে কোন লিপস্টিক কোন ধরনের। লিপস্টিকের রঙ হিসেবে খুব বেশি হলদে বা কমলা রঙ এর দিকে না গিয়ে মাঝারি থেকে গাঢ়র দিকে যান। এছাড়া সামান্য জাম রঙ এর লিপস্টিকও আপনার দাঁতকে স্বাভাবিকের চাইতে বেশি উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করবে

মাত্র ৩০ মিনিটে মুচমুচে পালং-পনির বল

ranna banna o beauty tips
মুচমুচে পালং-পনির বল
পালং শাক খাবারটা আমাদের দেশের তরকারি, ভাজি বা ডাল রান্না করে খাওয়া হলেও ভারতীয় রান্নায় কিন্তু পালং শাকের সাথে মাঝে মাঝেই জুড়ে দেওয়া হয় অন্যরকম একটি উপকরণ, আর তা হলো পনির। পালং পনির খাবারটা তরকারি হসেবে বেশ জনপ্রিয়। স্ন্যাক্স হিসেবে খাওয়া যায়, এমন একটি খাবার হলো পালং-পনির বল। স্বাস্থ্যকর তো বটেই, হাত নষ্ট না করে খাওয়া যায় বলে এই শীতে বাইরে বেড়াতে গেলেও সাথে করে নিয়ে যেতে পারেন খাবারটি। তৈরি করতে সময় লাগবে মাত্র আধাঘন্টা!
উপকরণ

-   আধা কাপ পালং শাক কুচানো
-   ১২ টুকরো প্রক্রিয়াজাত পনিরের আধা ইঞ্চি টুকরো
-   আধা কাপ পনির ভেঙ্গে নেওয়া(কটেজ চিজ) 
-   ১ কাপ আলু সেদ্ধ
-   লবণ স্বাদমতো
-   ১ চা চামচ কাঁচামরিচের পেস্ট
-   সিকি কাপ হোল হুইট ব্রেড ক্রাম্ব
-   গড়িয়ে নেবার জন্য আরও কিছুটা ব্রেড ক্রাম্ব
-   ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল
-   সার্ভ করার জন্য সস
প্রণালী

১) একটা বোলে ভালো করে মাখিয়ে নিন আলু সেদ্ধ, পালং শাক, লবণ, কাঁচামরিচের পেস্ট, ব্রেড ক্রাম্ব এবং কটেজ চিজ।
২) এই মিশ্রণ ১২টা ভাগে ভাগ করে ছোট ছোট বল তৈরি করে নিন। প্রতিটা বল চ্যাপ্টা করে মাঝখানে পনিরের টুকরো দিয়ে দিন। এরপর এটাকে বলের মাঝে ভালো করে মুড়িয়ে দিন।
৩) প্রতিটা বল গড়িয়ে নিন ব্রেড ক্রাম্বে।
৪) কড়াইতে তেল গরম করে নিন। একসাথে ৩-৪টা করে বল সোনালি করে ভেজে নিন।
এরপর তেল ঝরিয়ে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে পারেন টমেটো সস অথবা চিলি সসের সাথে।

তৈরি করে ফেলুন স্বাস্থ্যকর সয়া ক্ষীর

ranna banna o beauty tips
স্বাস্থ্যকর সয়া ক্ষীর
বাঙালীর ঘরে যখন তখন ডেজার্ট মানেই হলো ক্ষীর। এই ক্ষীর তৈরিতে যদি আনা যায় একটু অন্যরকম স্বাদ, তাহলে কেমন হয় বলুন তো? ইদানিং সয়া প্রোটিন দিয়ে অনেকেই অনেক খাবার তৈরি করছেন। সয়া গ্র্যানিউলস দিয়ে তৈরি করে ফেলতে পারেন এই স্বাস্থ্যকর সয়া ক্ষীর। মাত্র ১৫ মিনিটে খুব সহজে তৈরি হয়ে যাবে এই খাবারটি।
উপকরণ:

-   পৌনে এক কাপ সয়া গ্র্যানিউলস
-   আড়াই কাপ দুধ
-   ৫ টেবিল চামচ চিনি
-   ১ চা চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার, ১ টেবিল চামচ পানিতে গুলানো
-   সিকি চা চামচ এলাচি গুঁড়ো
-   আধা চা চামচ জাফরান, ২ চা চামচ দুধে গোলানো
-   ১ চা চামচ কাঠবাদাম কুচি গার্নিশের জন্য
-   এই রেসিপি অনুযায়ী ৪ বাটি ক্ষীর হবে। প্রতি বাটি ক্ষীরের পুষ্টিগুণ:
-   এনার্জি- ২৬৪ কিলো ক্যালোরি
-   প্রোটিন- ১০.৪ গ্রাম
-   কার্বোহাইড্রেট- ২৬.৪ গ্রাম
-   ফ্যাট- ১০.২ গ্রাম
-   ফাইবার- ২.৩ গ্রাম
-   ভিটামিন এ- ২৪১.৯ মাইক্রোগ্রাম
-   ক্যালসিয়াম- ২৯৪.৬ মিলিগ্রাম
-   আয়রন- ১.৫ মিলিগ্রাম
প্রণালী

১) সয়া গ্র্যানিউলগুলোকে গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ঢাকনা চাপা দিয়ে রেখে দিন ৫ মিনিট।
২) ৫ মিনিট পর পানি ঝরিয়ে ধুয়ে নিন ২-৩ বার।
৩) বড় একটা প্যানে দুধ ফুটিয়ে নিন। ক্রমাগত নাড়তে থাকুন।
৪) এতে সয়া গ্র্যানিউল, চিনি এবং কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে দিন। ভালো করে মিশিয়ে নিন। মাঝারি আঁচে নাড়তে থাকুন। ৪-৫ মিনিট অথবা ক্ষীর ঘন হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।
৫) ওপরে এলাচ গুঁড়ো এবং জাফরান দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিনিটখানেক পর নামিয়ে নিন।
তৈরি হয়ে গেলো দারুণ স্বাস্থ্যকর সয়া ক্ষীর। এটাকে ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে রেখে দিন। খাওয়ার সময় হলে ওপরে বাদাম কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।

সহজে ঝটপট ব্রাউনি

ranna banna o beauty tips
সহজে ঝটপট ব্রাউনি
ব্রাউনি খেতে ভালোবাসেন? তাহলে দেখে নিন নাজিয়া ফারহানার ঝটপট ব্রাউনির রেসিপি। বলাই বাহুল্য যে খুবই সহজ এই রেসিপিটি।
উপকরণ
১.ময়দা -৩/৪ কাপ
২.কোকো পাউডার -১/৪ কাপ
৩.চকো চিপস -১ কাপ
৪.মাখন - ২৫০ গ্রাম
৬.চিনি -১ কাপ
৭. ডিম -৩ টা
প্রনালী
-প্রথমে ডবল বয়েলারে মাখন আর চিনিটা গলাতে হবে।
-এবার এতে কোকো পাউডার আর চকো চিপসটা দিয়ে নাড়তে হবে।
-সব গলে ভালো মতো মিশে গেলে ডবল বয়েলার থেকে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিতে হবে।
-ঠান্ডা হয়ে এতে ১ টা ১টা করে ডিম দিয়ে মেশাতে হবে।
-সবশেষে ময়দা দিয়ে ভালো মতো মিশিয়ে মোল্ডে ঢালতে হবে।
-ওভেন ১৭০ এ প্রিহিট করে ৪০ মিনিট বেক করতে হবে।
-ব্যস হয়ে গেলো মজাদার ব্রাউনি। ঠান্ডা হলে টুকরা করে কেটে পরিবেশন করতে হবে।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.