মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৬

চুলের আগা ফাটা চিরতরে দূর করুন সহজ এবং কার্যকরী ৫ হেয়ার প্যাকে

ranna banna o beauty tips
চুলের আগা ফাটা চিরতরে দূর করুন
লম্বা চুলের খুব সাধারণ একটি সমস্যা হল চুলের আগা ফাটা। চুলের আগা ফেটে দুই ভাগ হয়ে যাওয়াকে মূলত আগা ফাটা বলে। এর কারণে চুলে কোন হেয়ার স্টাইল যেমন মানায় না তেমনি চুল লম্বা হয় না। বিভিন্ন কারণে চুলের আগা ফাটতে পারে। অতিরিক্ত চুল ধোয়া, সূর্যের রশ্নি, ধুলা বালি, দূষণে চুল থাকা, অতিরিক্ত হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার, গরম পানিতে চুল ধোঁয়া, চুলের যত্ন না নেওয়া, তেল না দেওয়া, কেমিক্যাল পণ্য অতিরিক্ত ব্যবহার করা ইত্যাদি চুলের আগা ফাটার অন্যতম কারণ। চুলের আগা ফাটা রোধ করার জন্য অনেক নামী দামী হেয়ার ট্রিটমেন্ট করে থাকেন, কিন্তু এতেও এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। এই সমস্যার সহজ সমাধান পাবেন আপনার ঘরে! ঘরোয়া কিছু উপায়ে চুলের আগা ফাটা চিরতরে দূর করে ফেলুন।

১। ডিম
চুলের আগা ফাটা রোধে সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী উপায় হল ডিম। ডিম, অলিভ অয়েল অথবা বাদাম তেল, মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলে ভাল করে লাগিয়ে রাখুন। ৩০-৪৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এছাড়া একটি ডিম এক চামচ পানি দিয়ে ফেটে চুলে লাগিয়ে নিন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে একবার করুন।

২। হট অয়েল ডিপ কন্ডিশনার
অলিভ অয়েল, বাদাম তেল, নারকেল তেল অথবা কাস্টার অয়েল কিছুক্ষণ গরম করে নিন। এটি চুলে ভাল করে ম্যাসাজ করে লাগান। ৪৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি সপ্তাহে এক থেকে দুইবার করুন। এটি চুলে পুষ্টি যুগিয়ে চুলের আগা ফাটা রোধ করে দিবে।

৩। পেঁপে
পাকা পেঁপের সাথে আধা কাপ টকদই ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকটি চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। পেঁপেতে অ্যামিনো অ্যাসিড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং আরও অনেক ভিটামিন রয়েছে যা চুলকে নরম কোমল করার পাশাপাশি আগা ফাটা রোধ করে দিবে।

৪। কলা
একটি পাকা কলা, দুই টেবিল চামচ টকদই, গোলাপ জল এবং লেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপর প্যাকটি চুলে লাগিয়ে ফেলুন। এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করুন। কলার পটাশিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন এবং ভিটামিন সি, এ,ই চুলের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে আগা ফাটা রোধ করতে সাহায্য করে।

৫। মধু 
মধু এবং টকদই মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এটি চুলে ভাল করে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। জাদুকরী এই প্যাকটি দ্রুত চুলের আগা ফাটা দূর করে থাকে।

কোকোনাট পুডিং

ranna banna o beauty tips
কোকোনাট পুডিং
উপকরণ: 
ডিম ৬টি। কনডেন্সড মিল্ক ১ টিন। দুধ ৩ কাপ। কর্নস্টার্চ ২ টেবিল-চামচ। কোরানো নারিকেল ৪ টেবিল-চামচ। চিনি আধা কাপ।

পদ্ধতি: 
একটি পাত্রে আধা কাপ চিনি নিয়ে মাঝারি আঁচে জ্বাল দিন। যখন গলে যেতে থাকবে নাড়তে থাকুন। বাদামি রং হলে যে পাত্রে পুডিং বানাবেন তাতে ক্যারামেল ঢেলে চারদিকে ছড়িয়ে দিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। ইচ্ছা হলে কিছুক্ষণ ফ্রিজারে রাখতে পারেন।

ব্লেন্ডার বা এগ বিটার দিয়ে কনডেন্সড মিল্ক, দুধ ও ডিম দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন। সঙ্গে আবার কর্নস্টার্চ ও নারিকেল দিয়ে ব্লেন্ড করতে হবে।

মিশ্রণটি ক্যারামেলের পাত্রে আস্তে ঢেলে দিন।

পাত্রটি একটু উপর থেকে সমতল জায়গায় ছাড়ুন যাতে বুদবুদগুলো (এয়ার আউট) মিশে যায়।

ওভেনে তৈরির পদ্ধতি: 
একটি বড় ট্রেতে এমন ভাবে পানি ঢালুন যাতে পুডিংয়ের বাটি অর্ধেক ডুবে থাকে পানিতে।

ওভেনে ৩৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা দিয়ে এক ঘণ্টা ঘন্টা বা ভিতরে জমে যাওয়া পর্যন্ত বেইক করতে থাকুন। খেয়াল রাখবেন যদি উপরে বেশি খয়েরি রং হয়ে যায়, ফয়েল পেপার দিয়ে ঢেকে দিতে হবে অথবা ওভেনের তাপ কিছুটা কমিয়ে দিতে হবে।

চুলায় তৈরির পদ্ধতি: 
পুডিং প্যানটি বসানো যায়, এমন একটি পর্যাপ্ত বড় সসপ্যান নিন এবং এতে গরম পানি নিন। সসপ্যানে ততটুকু পরিমাণ পানি নিন যতটুকু পানির মাঝে আপনার পুডিং প্যানটি বসালে প্যানটির অর্ধেক মতো পানিতে ডুবে থাকবে এবং প্যান পানিতে ভাসবে না।

প্যান পানির মাঝে সঠিকভাবে বসানোর জন্য চাইলে একটি স্ট্যান্ড ব্যবহার করতে পারেন বা পাতলা তোয়ালে বিছিয়ে তার উপর বসাতে পারেন।এতে চুলার তাপ সরাসরি পুডিংয়ে লাগে না।

এবার পুডিং প্যানটি সসপ্যানের মাঝে বসিয়ে দুটি প্যানই ঢেকে দিন এবং ৪৫ মিনিট চুলায় রাখতে হবে। মাঝে মাঝে সস প্যানের পানি দেখে নিন। প্রয়োজনে আরও পানি যোগ করুন।

একটি টুথপিক দিয়ে পুডিং হয়েছে কিনা দেখুন। টুথপিক পুডিংয়ের মাঝে হালকা করে ঢোকান। যদি টুথপিক পরিষ্কার বের হয়ে আসে, তাহলে পুডিং তৈরি হয়ে গেছে। আর যদি টুথপিকে আঠালো ডিমের মিশ্রণ লেগে থাকে তাহলে পুডিংটি আরও পাঁচ থেকে ১০ মিনিটের জন্য চুলায় রেখে দিন এবং একই ভাবে টুথপিক দিয়ে পরীক্ষা করুন।

পুডিং তৈরি হয়ে গেলে তা ঠাণ্ডা করে নিন। ফ্রিজে রাখুন। ফ্রিজ থেকে বের করে সাবধানে প্যানের প্রান্ত বরাবর পুরো পুডিংয়ের চারপাশে ছুরি দিয়ে পুডিংটি আলাদা করে নিন। তারপর প্যানের উপর একটি প্লেট বসিয়ে,প্যানটি প্লেটটির উপর উল্টিয়ে পুডিংটি প্লেটে নিয়ে নিন। পরিবেশন করুন ।

অসাধারণ স্বাদের মাংস পুলি

ranna banna o beauty tips
অসাধারণ স্বাদের মাংস পুলি
বাঙালি পিঠার অধিকাংশই মিষ্টি জাতীয়। কিন্তু সব পিঠা তো মিষ্টি হয় না। আমাদের বাঙালিদের ঝুলিতে এমন কিছু অসাধারণ ঝাল জাতীয় পিঠা রয়েছে যার স্বাদ একবার খেলে দীর্ঘসময় মুখে লেগে থাকে। আজকে এমনই একটি অসাধারণ স্বাদের পিঠা নিয়ে আমাদের আয়োজন। বিকেলের নাস্তায় অতিথি আপ্যায়নে এই পিঠার জুড়ি নেই। আজকে শিখে নিবো খুব সুস্বাদু মাংস পুলির সবচেয়ে সহজ রেসিপি।

পুরের জন্য যা যা লাগবে
ছোট করে কাটা মাংস সেদ্ধ ১ কাপ, আধা কাপ আলু কুচি, আধা কাপ পেঁয়াজ মিহি কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি স্বাদ অনুযায়ী, ১ চা চামচ কাবাব মসলা, ১ চা চামচ আদা-রসুন বাটা, এলাচ ২ টি, দারুচিনি ১ খণ্ড, লবঙ্গ ২ টি, তেল বা ঘি ২ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।

পিঠার জন্য
আটা বা ময়দা ৫০০ গ্রাম, সুজি ৫০ গ্রাম, ঘি দুই টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, পানি পরিমাণ মতো, তেল ভাজার জন্য।

পুর যেভাবে করবেন
অল্প তেলে আদা-রসুন বাটা দিয়ে নেড়ে নিন। একটু লালচে হয়ে এলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নরম করতে থাকুন। গরম মসলা ও কাবাব মসলা দিয়ে লবণ দিয়ে দিন। এরপর তাতে আলু কুচি ও মাংস কুচি দিয়ে ভালো করে নেড়ে ভাজা ভাজা করতে থাকুন। আলু সেদ্ধ ও মাংস ভাজা হলে পুর তৈরি হয়ে যাবে। স্বাদ দেখে নামিয়ে রাখুন।

পুলি তৈরি
প্রথমে আটা বা ময়দার সঙ্গে সুজি ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর সামান্য লবণ এবং ঘি ঢেলে হাত দিয়ে মাখাতে থাকুন। তারপর পানি দিয়ে মেখে ডো তৈরি করে নিন। এরপর ছোট ছোট করে গোল রুটি তৈরি করতে হবে। এরপর ঠিক মাঝে পুর দিয়ে রুটিটি ভাঁজ করলে অর্ধেক চাঁদের মতো হবে। একটি কাটা চামচ দিয়ে রুটির মুখ আটকে ফেলুন, যাতে পুর ভেতর থেকে বেরিয়ে না যায়। তারপর বড় কড়াইয়ে ডুবো লালচে করে ভেজে তুলে নিন। ভাজা হলে একটি কিচেন টিস্যুতে রেখে তেল শুষে ফেলুন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেলো মাংস পুলি। এবার সসের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।


গরমে প্রাণ জুড়ানো শরবত

ranna banna o beauty tips
শরবত
বৈশাখের খরতাপে দিনভর ঘোরাঘুরি আর ঘাম ঝরিয়ে ক্লান্ত হওয়া নিত্যদিনের কাজ। কাঠফাটা রোদ্দুরে যখন গলা শুকিয়ে চৌচির তখন পছন্দের ফলের একগ্লাস শরবত হতে পারে পরম আরাধ্য। তাই ঝটপট শিখে নিন কিছু তাজা ফলের প্রাণ জুড়ানো শরবত বানানোর সহজ রেসিপি।

কাঁচা আমের শরবত
মাঝারি আকারের কাঁচা আম ১টা, চিনি স্বাদমতো, গোল মরিচ ১ চা চামচ, বিটলবণ ১ চা চামচ, ধনে পাতা সামান্য, কাঁচা মরিচ ২টা, লবণ প্রয়োজনমতো, পানি আড়াই কাপ।

যেভাবে করবেন
আম কুচি কুচি করে কেটে সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এবার বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন টক-ঝাল-মিষ্টি কাঁচা আমের শরবত।

তরমুজের শরবত
তরমুজের শরবত
তরমুজ ২০০ গ্রাম, আদা ৫ গ্রাম, লেবুর রস সামান্য, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, চিনি স্বাদমতো, পানি ১০০ মিলি।

যেভাবে করবেন
প্রথমে তরমুজ কেটে খোসা ফেলে টুকরো করে নিন। এবার সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। হয়ে গেল তরমুজের মজাদার শরবত।

বাঙ্গির শরবত
বাঙ্গির শরবত
বাঙ্গি কুচি ১ কাপ, চিনি ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, বরফ কিউব পরিমাণমতো, লবণ এক চিমটি ( না দিলেও হবে)।

যেভাবে করবেন
বরফ বাদে বাঙ্গি কুচির সঙ্গে সব উপকরণ দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। ব্যাস হয়ে গেল সুস্বাদু এক গ্লাস শরবত। এবার বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।


পান্তার সঙ্গে ইলিশ তন্দুরী

ranna banna o beauty tips
ইলিশ তন্দুরী
বৈশাখী রান্নার কথা ভাবতেই প্রথমেই আসে ইলিশ পান্তা। বছরের প্রথম দিনে জাতীয় মাছ ইলিশের অসাধারণ স্বাদ উপভোগ যেন বাঙালিত্বের হালনাগাদ করায়। একসময় বাঙালির সকালের তৃপ্তিকর নাস্তা ছিল ইলিশ পান্তা। বৈশাখ বরণে সেই রীতিকে স্বরণ করা এখন আমাদের সংস্কৃতিতে দাঁড়িয়েছে। ইলিশ দিয়ে অনেক রকমের রান্না করা হয়। তবে আজ আপনাদের জন্য রয়েছে একটা ভিন্ন স্বাদের রেসিপি। বৈশাখী রান্নায় আজ দেখে নেয়া যাক ইলিশ তন্দুরী।

যা যা লাগবে
মাছের টুকরা ৫টি
তন্দুরী মসলা ১ টেবিল চামচ
লেবুর রস ২ চা চামচ
লবণ পরিমাণমতো
আদা ও রসুন বাটা আধা চা চামচ
তেল ১ টেবিল চামচ
পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ

যেভাবে করবেন

মাছ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। মাছের সঙ্গে সব উপকরণ মাখিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এবার ফ্রাইপ্যানে তেল মাখিয়ে চুলায় দিয়ে মাছ সাজিয়ে ১০ মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে। তারপর সেই মাছ তুলে একটি একটি করে আগুনে ঝলসিয়ে নিন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল মজাদার ইলিশ তন্দুরী। পান্তা ভাতের সঙ্গে দারুণ উপযোগী তন্দুরী ইলিশ। গরম ভাতের সঙ্গেও কম যায় না।

জেনে নিন বাটারস্কচ আইসক্রিম তৈরির সহজ প্রণালীটি


ranna banna o beauty tips
বাটারস্কচ আইসক্রিম
এই  কাঠফাটা গরমে প্রাণ জুড়াতে আইসক্রিমের তুলনা নেই। বাজারের আইসক্রিম কত আর খেতে ভাল লাগে বলুন। ঘরে যদি বাজারের মত মজাদার ফ্লেভারের আইসক্রিম তৈরি করা যায় কেমন হয় বলুন তো? দারুন তাই তো! আইসক্রিমের অনেকগুলো ফ্লেভারের মধ্যে বাটারস্কচ অন্যতম। অনেকের পছন্দের ফ্লেভার এটি। কিন্তু এই মজাদার ফ্লেভারটি সব স্থানে পাওয়া যায় না। তাই ইচ্ছা হলেই খেতে পারেন না প্রিয় ফ্লেভারের আইসক্রিমটি। এখন ইচ্ছা করলেই খেতে পারবেন যখন তখন বাটারস্কচ আইসক্রিম। তাও নিজে তৈরি করে। ভাবছেন কিভাবে? তাহলে জেনে নিন বাটারস্কচ আইসক্রিম তৈরির রেসিপিটি।

উপকরণ:
  • ৪ টেবিল চামচ চিনি
  • ২ টেবিল চামচ কাজুবাদাম
  • ১ টেবিল চামচ মাখন
  • ১.৫ কাপ লো ফ্যাট ক্রিম
  • ১/৩ কাপ চিনির গুঁড়ো
  • ১/২ কাপ দুধ
  • ১.৫ চা চামচ বাটারস্কচ এসেন্স  


প্রণালী:
১। প্রথমে একটি প্যানে চিনি দিয়ে ক্যারামেল তৈরি করে নিন।
২। তারপর চুলার আঁচ কমিয়ে এতে মাখন, কাজুবাদাম কুচি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৩। এটি নামিয়ে একটি পাত্রে ঢেলে ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিন।
৪। ঠান্ডা হয়ে গেলে এটির উপর কিচেন টাওয়েল রেখে বেলুন দিয়ে বেলে নিন।
৫। আরেকটি পাত্রে বরফ কুচির সাথে কিছু পানি দিয়ে তার উপর ঠান্ডা (ফ্রিজে রাখা) আরেকটি পাত্র রেখে দিন।
৬। এবার পাত্রের উপর ক্রিম বিটার দিয়ে ভাল করে বিট করুন।
৭। এটি দ্বিগুণ হয়ে গেলে এতে চিনির গুঁড়ো দিয়ে আবার বিট করুন। এরপর এতে দুধ, বাটারস্কচ এসেন্স, ক্যারামেল বাদাম কুচি, লেমন কালার মিশিয়ে আবার বিট করুন।  
৮। এবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ফ্রিজে রেখে দিন কয়েক ঘন্টা।
৯। বাদাম কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার বাটারস্কচ আইসক্রিম।

সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৬

গরম প্রাণ জুড়াতে ঝটপট ম্যাঙ্গো ডিলাইট

ranna banna o beauty tips
ম্যাঙ্গো ডিলাইট
বাজারে খুঁজলে এখনই পাওয়া যাবে কিছু কিছু পাকা আম। একেবারে প্যাচপ্যাচে এই গরমের এই দিনে আপনি যদি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা কোনো ডেজার্ট খেতে চান, তাহলে তৈরি করে নিতে পারেন মৌসুমের স্বাদে ম্যাঙ্গো ডিলাইট। সহজ এই রেসিপিতে খাবার তৈরির জন্য আপনাকে পাকা রাঁধুনি হতে হবে না। একদম অল্প কিছু উপাদানে খুব কম সময়ে তৈরি হয়ে যাবে চোখ জুড়ানো ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা এই ডেজার্ট।

উপকরণ

- ১ কাপ হেভি হুইপিং ক্রিম
- ১ চা চামচ ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট
- ৩ টেবিল চামচ অথবা স্বাদমতো গুঁড়ো চিনি
- ১ কাপ পাকা আমের পাল্প
- কয়েক টুকরো আম গার্নিশের জন্য
- পুদিনা পাতা গার্নিশের জন্য

প্রণালী
১) একটা পরিষ্কার, ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করা বোলে হেভি ক্রিম নিন এবং মিডিয়াম স্পিডে আধা মিনিট হুইপ করে নিন যাতে ঘন হয়ে আসে।
২) ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট এবং গুঁড়ো চিনি মিশিয়ে বিট করুন যতক্ষণ না “স্টিফ পিক” তৈরি হয়।
৩) সার্ভিং গ্লাস বা বাটিতে বড় এক চামচ হুইপড ক্রিম দিন। গ্লাসটা ধীরে ধীরে টেবিলে ঠুকে সমান করে নিন ক্রিম। এবার ওপরে এক স্তর আমের পাল্প দিয়ে নিন। আবারও সমান করে নিন।
৪) এবার ওপরে অল্প করে হুইপড ক্রিম দিন। একটু পুদিনা এবং কয়েক টুকরো আম দিয়ে পরিবেশন করুন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা!

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.