বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০১৬

কোল্ড কফি তৈরির সহজ রেসিপি

ranna banna o beauty tips
কোল্ড কফি তৈরির সহজ রেসিপি
ক্লান্তি, ঘুম দূর করতে কফির তুলনা নেই। এই গরমে প্রাণ জুড়াতে কোল্ড কফি অতুলনীয়। অনেকের পছন্দের পানীয় তালিকায় কোল্ড কফির নাম থাকে সবার প্রথমে। ঘরে কোল্ড কফি তৈরি করলে কেন জানি দোকানের মত হয় না। আবার অনেকে মনে করেন দোকানের মত কফি তৈরি করার জন্য কফি মেকারের প্রয়োজন পড়ে। এখন ঘরে তৈরি করে নিতে পারবেন দোকানের মত কোল্ড কফি তাও কফি মেকার ছাড়া!
উপকরণ:
৪ টেবিল চামচ কফি পাউডার
৪ কাপ ঠান্ডা দুধ
৩/৪ কাপ চিনির গুঁড়ো
৫ থেকে ৬ টি বরফ কুচি
চকলেট সস ( সাজানোর জন্য)
৪ চা চামচ চকলেট সস

প্রণালী:
১। প্রথমে একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ কুসুম গরম পানির সাথে কফির গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।
২। এবার ব্লেন্ডারে দুধ, কফির মিশ্রণ, চিনি এবং বরফের টুকরো দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
৩। ফেনা না উঠা পর্যন্ত ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করতে থাকুন।
৪। এবার কফির কাপে অথবা গ্লাসের গায়ে চকলেট সস দিয়ে গ্লাসটি ঘুরিয়ে গায়ে লাগিয়ে নিন।
৫। ১ চা চামচ চকলেট সস গ্লাসের নিচে দিয়ে ঘুরিয়ে নিন।
৬। এভাবে ৩ থেকে ৪ বার করুন।
৭। এরপর কফি ঢেলে দিন।
৮। কফির উপর এক টুকরো আইসক্রিম দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার ক্লোড কফি।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

গোলাপ পিঠা

ranna banna o beauty tips
গোলাপ পিঠা
পিঠা পুলির দেশ বলা হয় বাংলাদেশকে। নানা স্বাদের নানারকম পিঠা তৈরি করে হয় এখানে। এর মধ্যে গোলাপ পিঠা অন্যতম। গোলাপের আকৃতিতে তৈরি করা হয়, বিধায় এই পিঠার নাম গোলাপ পিঠা। তুরস্কে এই গোলাপ পিঠাটি একটু ভিন্নভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে। সুজি দিয়ে তৈরি করা যায় এই মজাদার পিঠাটি। তাহলে জেনে নেওয়া গোলাপ পিঠা তৈরির ভিন্ন রেসিপিটি।
উপকরণ:
১.৫ কাপ ময়দা
৩ কাপ চিনি
১ কাপ সুজি
১ কাপ টকদই
১/২ কাপ গলানো মাখন
১/২ কাপ তেল
২ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স বা ভ্যানিলা পাউডার
২ চা চামচ বেকিং পাউডার
২০-২৫টি কাঠবাদাম
১/২ টা লেবুর রস
প্রণালী:
১। প্রথমে পানি এবং চিনি দিয়ে সিরা তৈরি করে নিন।
২। পানি এবং চিনি গলানো হয়ে গেলে ময়লা কাটানোর জন্য লেবুর রস দিয়ে দিন। এতে করে চিনির ময়লা দূর হয়ে যাবে।
৩। প্রথমে একটি পাত্রে গলানো মাখন, তেল, টকদই, সুজি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে দিন।
৪। তারপর এতে অল্প করে ময়দা মেশাতে থাকেন। ভ্যানিলা এসেন্স এবং বেকিং পাউডার ডো তে দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৫। বাকী ময়দা দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৬। এবার ডোটি প্লাস্টিকের প্যাকেট দিয়ে ঢেকে ১৫ মিনিট গরম স্থানে রেখে দিন।
৭। এখন ডোটি চার টুকরো করে নিন।
৮। একটি ডো নিয়ে ৩ মিলিমিটার পুরু করে রুটি বেলে নিন।
৯। একটি গ্লাস দিয়ে ৫টি রুটি কেটে নিন। এবার পাঁচটি গোল রুটি একটি অপরটির নিচে নিচে (ভিডিও এর মত করে) সাজিয়ে নিন। প্রথম থেকে রোল করে শেষ পর্যন্ত নিয়ে নিন। দেখবেন গোলাপ আকৃতি হয়ে গেছে। শেষের অংশটুকু ছুরি দিয়ে কেটে ফেলুন।  
১০। গোলাপ পিঠার উপর একটি করে কাঠবাদাম দিয়ে দিন।
১১। ওভেন ১৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াস অথবা ৩৬০ ডিগ্রী ফারেনহাইটে প্রি হিট করে নিন।
১২। প্রি হিট ওভেনে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট বেক করুন।
১৩। এবার বেক করা পিঠাগুলোর উপর চিনির সিরা দিয়ে দিন।
১৪। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার গোলাপ পিঠা।
টিপস:
১। ওভেনের পরিবর্তে তেল গরম করে ভেজে নিতে পারেন গোলাপ পিঠা। বাদামী রং হয়ে আসলে চিনির সিরায় দিয়ে দিন।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে


ঝটপট নাশতা মাসালা ম্যাকারনি

ranna banna o beauty tips
ঝটপট নাশতা মাসালা ম্যাকারনি
নুডলস বা ম্যাকারনি দিয়ে পাস্তা রান্না করে খাওয়া হয় হরহামেশাই। কিন্তু এই ম্যাকারনি রান্নায় কখনো গরম মশলা ব্যবহার করেছেন কি? অনেকেই হয়তো ভাবছেন মাংস রান্নার এই উপাদান ম্যাকারনিতে মটেই মানাবে না। চলুন, দেখে নেই এমন একটি ম্যাকারনি রেসিপি যাতে মানিয়ে যাবে গরম মশলার ঝাঁঝালো স্বাদ। সকাল কিংবা দুপুর, যে কোনো সময়ে পেট ভরাতে এই খাবারটি দারুণ।

উপকরণ
- ১টা বড় পিঁয়াজ মিহি কুচি
- পৌনে এক কাপ ক্যাপসিকাম মিহি কুচি
- দেড় কাপ ম্যাকারনি
- ১ টেবিল চামচ তেল
- ২টা টমেটো
- ১ চা চামচ সরিষা
- কয়েকটা কারী পাতা কুচি
- ৩টা কাঁচামরিচ কুচি
- দেড় চা চামচ আদা কুচি
- ১ চা চামচ কাশ্মিরি মরিচের গুঁড়ো
- আধা চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
- লবণ স্বাদমতো
- ১ চা চামচ লেবুর রস
- ১ টেবিল চামচ টেমেটো কেচাপ
- ১ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি

প্রণালী
১) মাঝারি আকারের একটা সসপ্যানে ৬ কাপ পানি এবং অল্প করে লবণ দিন। পানি ফুটিয়ে নিন। ফুটন্ত পানিতে ম্যাকারনি দিন। নরম হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। বেশি নরম করবেন না। পানি ঝরিয়ে রাখুন।
২) একটা ব্লেন্ডারে টমেটো ব্লেন্ড করে রাখুন।
৩) মাঝারি আকারের একটি ফ্রাইং প্যান গরম করুন। এতে তেল দিন এবং কিছুটা গরম হতে দিন। সরিষা দিয়ে দিন, এগুলো ফুটতে থাকবে। এরপর আদা, কাঁচামরিচ, কারী পাতা এবং পিঁয়াজ দিন। কয়েক মিনিট সাঁতলে নিন যাতে পিঁয়াজ নরম হয়ে আসে।
৪) পিঁয়াজ নরম হয়ে এলে টমেটো পিউরি দিয়ে দিন। আরও দিন মরিচ গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো, টমেটো কেচাপ। ভালো করে মিশিয়ে রান্না করুন ৩ মিনিট।
৫) এবার ক্যাপসিকাম দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে নিন। এরপর সেদ্ধ ম্যাকারনি দিয়ে দিন। ভালো করে মিশিয়ে নিন যাতে পুরো মশলা মেখে যায় এতে। এরপর লেবুর রস এবং ধনেপাতা কুচি দিয়ে দিন। মিশিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন। পরিবেশন করুন গরম গরম।

ভালো করে বুঝতে দেখে নিন রেসিপির ভিডিও

মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০১৬

দোকানের মত পারফেক্ট জিলাপি তৈরির পদ্ধতিটি আপনি জানেন কি?

ranna banna o beauty tips
জিলাপি তৈরির পদ্ধতি
বাঙ্গালী মাত্রই মিষ্টি পছন্দ করে। রসগোল্লা, চমচম, কালোজাম, রসমালাই, সন্দেশ নানা স্বাদের মিষ্টি পাওয়া যায় এই দেশে। এই মজার মজার মিষ্টির মধ্যে জিলাপি অন্যতম। জিলাপি ছোট বড় সবার বেশ পছন্দ। এই মাজাদার মিষ্টিটি ঘরে তৈরি করা গেলে কেমন হয় বলুন তো? দারুন না? আসুন তাহলে জিলাপি তৈরির পারফেক্ট রেসিপিটি জেনে নেওয়া যাক।
উপকরণ:
১ কাপ ময়দা
২ কাপ চিনি
১/২ চা চামচ বেকিং পাউডার
১/৪ চা চামচ লেবুর রস অথবা ২-৩টি লেবুর খোসা
১ চিমটি হাইড্রো বা রানক্যাট
তেল
জাফরণ
ফুড কালার
জাফরান অল্প পরিমাণে
১/৩ কাপ পানি
প্রণালী:
১। প্রথমে সিরা তৈরি করার জন্য পানি এবং চিনি চুলায় দিয়ে জ্বাল দিন।
২। কিছুটা ঘন হয়ে আসলে সিরার ময়লা কাটার জন্য ২-৩ টেবিল চামচ দুধ দিয়ে দিন। যদি সিরায় ময়লা না থাকে, তবে দুধ মেশানোর প্রয়োজন নেি।
৩। চিনির ময়লা সিরায় উঠে আসলে চামচ দিয়ে উল্টিয়ে ফেলুন।
৪। এরপর এতে পছন্দমত ফুড কালার যোগ করুন। আপনি চাইলে ফুড কালার ব্যবহার নাও করতে পারেন।
৫। লক্ষ্য রাখবেন চিনির সিরা খুব বেশি ঘন বা পাতলা যেন না হয়।
৬। চিনির সিরার রংটি হালকা সোনালী করার জন্য এতে অল্প পরিমাণে লেবুর রস অথবা লেবুর খোসা দিয়ে দিতে পারেন।
৭। একটি পাত্রে ১/৩ কাপ পানি দিয়ে এতে এক চিমটি হাইড্রো বা র‍্যানক্যাট দিয়ে দিন।
৮। এরপর এতে ময়দা দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপর এতে অল্প পরিমাণে পানি দিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট ভাল করে ময়দা মিশিয়ে নিন। লক্ষ্য রাখবেন পানি যেন খুব বেশি না হয়ে যায়।
৯। ঘন হয়ে গেলে এতে বেকিং পাউডার দিয়ে দিন।
১০। এবার একটি কাগজের কোণ বানিয়ে তাতে জিলাপির ঘোলা দিয়ে দিন।
১১। তেল গরম হয়ে আসলে এতে ঘোলা করে জিলাপি আকৃতি করে দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে জিলাপিগুলো ভাজুন।
১২। জিলাপিগুলো ভাজা হয়ে গেলে সাথে সাথে চিনির সিরায় দিয়ে দিন। তেল থেকে উল্টিয়ে সাথে সাথে চিনির সিরায় দিয়ে দিবেন। দেরী করলে জিলাপি সোনালী রং ধারণ করবে না।
১৩। ব্যস তৈরি হয়ে গেলে দোকানের মত পারফেক্ট জিলাপি।
টিপস:
১। কাগজের কোণ তৈরি করতে না চাইলে বাজারে খালি সসের প্লাস্টিকের বোতল কিনতে পাওয়া যায়। জিলাপির শেইপ তৈরির জন্য সেটি ব্যবহার করতে পারেন।
২। হাইড্রো বা রানক্যাট বা হাইড্রো রানক্যাট যেকোন সুপার শোপগুলতে পাবেন।
রেছিপি টি ভাল্ভাবে দেখতে নীচের ভিডিও টি দেখতে পারেন 

বুধবার, ২ মার্চ, ২০১৬

ঝাল ঝাল স্বাদে "মাশরুম মাসালা"

ranna banna o beauty tips
ঝাল ঝাল স্বাদে "মাশরুম মাসালা"
প্রচুর প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরা স্বাস্থ্যকর একটা খাবার মাশরুম। কিন্তু সাধারণ স্যুপ বা পাকোড়া ছাড়া মাশরুম কী করে রান্না করতে হয় তা অনেকেই জানেন না। আর দেশি খাবারের মতো করে রান্না করা যায় না বলে অনেকেই আগ্রহ দেখান না। আজ দেখে নিন মাশরুম দিয়ে তৈরি ঝাল ঝাল একটা সবজি রেসিপি। একদম দেখি খাবারের মতোই কাঁচামরিচ এবং মশলা দিয়ে রান্না করে ফেলতে পারবেন আপনিও। দেখে নিন সহজ রেসিপিটি।

উপকরণ

- ২৫০ গ্রাম মাশরুম, মোটা করে স্লাইস করা
- সিকি চা চামচ সরিষা
- আধা কাপ টমেটো পিউরি
- ১টা মাঝারি পিঁয়াজ, মিহি কুচি করা
- ২ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
- ৪টা অথবা স্বাদমতো কাঁচামরিচ, মাঝখান থেকে চেরা
- লবণ স্বাদমতো
- ১ চা চামচ জিরা
- কয়েকটা কারী পাতা
- ১ চা চামচ জিরা গুরপ
- ১ চা চামচ গরম মশলা
- ২ চা চামচ অথবা স্বাদমতো মরিচ গুঁড়ো
- সিকি চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- ৩ টেবিল চামচ তেল
- ১টা কিউব করা ক্যাপসিকাম
- ২ টেবিল চামচ কুচি করা ধনেপাতা
- ২ চা চামচ আদা-রসুন বাটা
- লেবুর রস অল্প
- গোলমরিচ গুঁড়ো স্বাদমতো
- ৩টা রসুনের কোয়া কুচি
- ১ টেবিল চামচ মাখন

প্রণালী

১) একটা প্যান গরম করে এতে দিন দুই টেবিল চামচ তেল। তেল গরম হয়ে এলে এতে দিন সিকি চা চামচ সরিষা। সরিষা ফুটতে শুরু করলে এতে জিরা দিয়ে দিন। এরপর দিন ৪-৫টা কারী পাতা, কাঁচামরিচ, হলুদ গুঁড়ো এবং পিঁয়াজ কুচি। এর ওপর দিন আদা-রসুন বাটা এবগ্ন অল্প করে লবণ। এগুলোকে কষে নিন যতক্ষণ না আদা-রসুন বাটা ভালো করে রান্না হয়ে যায় এবং কাঁচা গন্ধটা চলে যায়। ৫ মিনিটের মতো লাগতে পারে।
২) এই মশলার মাঝে দিন জিরা গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো এবং মরিচ গুঁড়ো। একই সাথে দিয়ে দিন ক্যাপসিকাম এবং টমেটো পিউরি। ভালো করে মিশিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর দিয়ে দিতে পারেন মাশরুমগুলোও। ভালো করে নেড়ে নিন যাতে মাশরুম এবং ক্যাপসিকামে সব মশলা মেখে যায়। ঢেকে রান্না হতে দিন।
৩) মাশরুম এবং ক্যাপসিকাম রান্না হয়ে যাবে ৫ মিনিটের মাঝে। এ সময়ে লবণ চেখে দেখুন। খুব কম আঁচে চুলায় রাখুন তরকারিটা।
৪) এ সময়ে তৈরি করে নিন বাগার দেবার কিছু উপকরণ। ছোট একটা প্যানে মাখন গলিয়ে নিন। গলে গেলে এতে কয়েকটা কাঁচামরিচ, রসুনের কোয়া দিয়ে দিন। সুন্দর একটা ফ্লেভার উঠলে কারী পাতা, ধনেপাতা কুচি, লবণ এবং গোলমরিচ দিয়ে দিন। একটু নেড়েচেড়ে সুগন্ধ উঠলে বুঝবেন এটা তৈরি।
৫) এবার কম আঁচে রাখা মাশরুমের তরকারীর ওপরে এটা ঢেলে মিশিয়ে নিন। নামানোর আগে ওপরে দিয়ে দিতে পারেন টাটকা লেবুর রস।
তৈরি হয়ে গেলো মাশরুম মাসালা। একে পরিবেশন করতে পারেন রুটি, পরোটা এবং নানের সাথে।
রান্নার পুরো প্রণালী টি ভালভাবে দেখতে নীচের ভিডিও টি দেখতে পারেন 

স্পঞ্জ রসগোল্লা

ranna banna o beauty tips
স্পঞ্জ রসগোল্লা
বাঙালি মাত্রই “মিষ্টি” খেতে ভালোবাসে। আর মিষ্টির নাম শুনলে চোখের সামনে ভেসে উঠে গোল গোল রসে টুই টুম্বর রসগোল্লা। ডায়াবেটিসের কারণে অনেকেই রসগোল্লা খেতে পারেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে স্পঞ্জ রসগোল্লা। একটু হালকা মিষ্টি বলে সকলেই এটা খেতে ভালোবাসেন। বাসায় যতই চেষ্টা করেন না কেন দোকানের মত স্পঞ্জ রসগোল্লা কেন জানি হতে চায় না। দোকানের স্পঞ্জ মিষ্টির রহস্যটা তাহলে কি? আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক দোকানের স্পঞ্জ মিষ্টির রহস্যটি।

উপকরণ:

১ লিটার দুধ
২ কাপ চিনি
২-৩ টেবিল চামচ লেবুর রস

প্রণালী:

১। চুলায় দুধ গরম করতে দিন। গরম করার সময় বার বার নাড়তে থাকুন।
২। লেবুর রসের সাথে ২ টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে সেটি দুধে দিয়ে দিন।
৩। দুধ ফেটে ছানা হয়ে গেলে একটি পাতলা সুতির কাপড়ে পানি ঢেলে ছেঁকে নিন।
৪। এবার ঠান্ডা পানি দিয়ে ছানা ধুয়ে ফেলুন। এটি শুধু ছানাকে নরম করবে না, লেবুর ময়লাও দূর করে দেবে।
৫। এবার ছানা থেকে ভাল করে পানি বের করে নিন। আরও ভাল করে পানি বের করার জন্য ৩০ মিনিট কাপড়টি পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখুন। লক্ষ্য রাখবেন ছানা যেন খুব বেশি ড্রাই না হয়ে যায়।
৬। এখন ১০ কাপ পানিতে দুই কাপ চিনি দিয়ে সিরা তৈরি করে নিন।
৭। ছানা কাপড় থেকে বের করে নিয়ে ভাল করে মথে নিন।
৮। লক্ষ্য রাখবেন ছানাতে যেন পানি না থাকে আবার খুব বেশি ড্রাইও যেন না হয়ে যায়।
৯। এবার ছানাগুলো দিয়ে ছোট ছোট রসগোল্লা তৈরি করে নিন।
১০। চিনির সিরা বলক আসলে এতে রসগোল্লাগুলো দিয়ে দিন।
১১। চিনির সিরা প্রেসারে কুকারে করলে উচ্চ তাপে ১৫ মিনিট সময় ঠিক করে নিন। ৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে নাড়া দিন। তারপর আবার ঢাকনা দিয়ে দিন।
১২। ১৫ মিনিট পর রসগোল্লাগুলো রসসহ একটি পাত্রে ঢেলে দিন।
১৩। এভাবে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা রেখে দিন।
১৪। ৬-৭ ঘন্টা পর তৈরি হয়ে যাবে নরম নরম স্পঞ্জ রসগোল্লা।
রেছিপি টি ভালভাবে দেখতে নীচের ভিডিও টি ভালভাবে দেখতে পারেন 


শিখে নিন মহারাষ্ট্রের এই টমেটো রেসিপিটি

ranna banna o beauty tips
শিখে নিন মহারাষ্ট্রের এই টমেটো রেসিপিটি
শীত শেষ এই সময় টমেটো কিছুটা সস্তা এবং সহজলভ্য। টমেটো কেচাপ, টমেটো চাটনি, টমেটোর টক তৈরির সবচেয়ে ভাল সময় এখন। অনেকেই টমেটো কেচাপ তৈরি করে সংরক্ষণ করে থাকে। এই গরমে  ভাতের সাথে কোন টক জাতীয় খাবার থাকলে খেতে দারুন লাগে। টমেটোর টক অনেকেই অনেকভাবে রান্না করে থাকেন। সঞ্জীব কাপুরের এই টমেটোর টকের একটি ভিন্ন রেসিপি দিয়েছেন। সাধারণত মহারাষ্ট্রে এই রান্নাটি করা হয়ে থাকে।  আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মহারাষ্ট্রের এই  রেসিপিটি।

উপকরণ:
  • ৪টি সিদ্ধ টমেটো
  • ৮-১০ ধনেপাতা
  • ৭-৮টি রসুনের কোয়া
  • ১-২টি কাঁচা মরিচ
  • ১ টেবিল চামচ ঘি
  • ১ চা চামচ সরিষা
  • ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
  • ১ ইঞ্চি আদা
  • ১ চা চামচ জিরা
  • ১ চিমটি হিং
  • ৭-৯ টি কারি পাতা
  • ১ টেবিল চামচ চিনি
  • লবণ স্বাদমত
প্রণালী:
১। প্রথমে ধনেপাতা, রসুনের কোয়া, আদা, কাঁচা মরিচ এবং কিছু পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
২। এবার সিদ্ধ টমেটো ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। টমেটো ছেঁকে পিউরি আলদা করে রাখুন।
৩। তারপর টমেটো পিউরি, ধনেপাতা, রসুনের মিশ্রণ এবং পানি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৪। এখন একটি নন-স্টিক প্যানে ঘি দিয়ে দিন। এতে আস্ত সরিষা দিয়ে নাড়ুন।
৫। তারপর এতে জিরা, কারি পাতা, হিং দিয়ে দিন।
৬। এরপর এতে টমেটোর মিশ্রণটি ঢেলে দিন। কিছুক্ষণ পর এতে চিনি এবং লবণ দিয়ে দিন।
৭। চুলার আঁচ কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৫ থেকে ৭ মিনিট জ্বাল দিন।  
৮। পাত্রে ঢেকে পরিবেশন করুন মজাদার টমেটো সার।
রেছিপি টি ভালভাবে তৈরি করতে নীচের ভিডিও টি দেখতে পারেন 

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.