বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

টার্কিশ স্বাদের সুজির হালুয়া

ranna banna o beauty tips
টার্কিশ স্বাদের সুজির হালুয়া
সকালের নাস্তায় অনেকেই সুজি-রুটি খেয়ে থাকেন। সুজি এমন একটি খাবার যা রুটি, পরোটা, লুচি সবকিছুর সাথে খাওয়া যায়। সুজির হালুয়া অনেকের বেশ পছন্দের। এই সুজি দিয়ে তুরস্কে একটি মাজাদার খাবার তৈরি করা হয়, যার নাম সেমোলিনা হালুয়া। ঘরে থাকা উপকরণ দিয়ে সহজে তৈরি করা যায় ভিন্নদেশী এই খাবারটি। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সুজির এই ভিন্ন স্বাদের রেসিপিটি।
উপকরণ:


  • ১.৫ কাপ সুজি
  • ১.৫ কাপ চিনি
  • ২ কাপ দুধ
  • ২ টেবিল চামচ বাদাম কুচি
  • ২ টেবিল চামচ মাখন
  • ১/২ কাপ অলিভ অয়েল বা তেল বা ঘি

প্রণালী:

১। একটি পাত্রে তেল এবং মাখন দিয়ে চুলায় গরম করতে দিন।
২। এর মাঝে বাদাম কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজুন।
৩। এরপর এতে সুজি দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে সুজি নাড়তে থাকুন।
৪। সুজি বাদামী রং ধারণ করার আগ পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।
৫। এখন আরেকটি পাত্রে চিনি এবং দুধ ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৬। সুজি বাদামী রং হয়ে আসলে দুধ চিনির মিশ্রণ এতে দিয়ে দিন।
৭। এবার যতক্ষণ না সুজি দুধ সম্পূর্ণ শুষে না নেয় ততক্ষণ রান্না করুন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন।
৮। সুজি হয়ে গেলে বাদাম কুচি, কিশমিশ দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার সেমোলিনা হালুয়া।

আপনাদের বোঝার জন্য একটি ভিডিও দেওয়া হোল।


বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ছানা গাজরের সুস্বাদু হালুয়া

ranna banna o beauty tips
ছানা গাজরের সুস্বাদু হালুয়া
পুষ্টি সমৃদ্ধ রঙ বাহারি গাজর অনেকেরই প্রিয়। শুধু খাওয়া বা নানা রকম রান্নায় গাজরের ব্যবহার চলে। শুধু গাজরের হালুয়া খেতেও বেশ দারুণ। হালুয়ার স্বাদ বাড়াতে যদি ছানা যোগ করা হয় তবে আর কথায় থাকে না। সুস্বাদু এই হালুয়া তৈরি করতে পারেন আপনিও। আজ দেখে নেয়া যাক ছানা গাজরের সুস্বাদু হালুয়ার রেসিপি।

যা যা লাগবে

গাজর কুচি ১ কাপ, ছানা ১ কাপ, কনডেন্স মিল্ক ১ কাপ, চিনি আধা কাপ, কিশমিশ ১ টেবিল চামচ, রোস্টেড কাজু বাদাম গুঁড়া আধা কাপ, এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ, জাফরান ভেজানো পানি ১ টেবিল চামচ, গুঁড়া দুধ ১ কাপ, ঘি ১ কাপ, লিকুইড দুধ ১ কাপ।

যেভাবে করবেন

গাজর দুধ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এবার প্যানে ঘি দিয়ে গাজর দিতে হবে। এরপর এলাচ গুঁড়া ও কিশমিশ দিয়ে নাড়ুন। খেয়াল রাখতে হবে যেন পুড়ে না যায়। গাজর আধা ভাজা হয়ে গেলে ছানা এবং বাকি সব উপকরণ দিয়ে নাড়তে থাকুন। আঠালো হয়ে এলে একটি ডিশে ঘি মাখিয়ে মিশ্রণটি ঢেলে দিন। ঠাণ্ডা হলে ইচ্ছামতো সাজিয়ে বা কেটে পরিবেশন করুন ছানা গাজরের হালুয়া।

সহজ ৭টি কৌশলে ঠিক করে ফেলুন নষ্ট হয়ে যাওয়া মেকআপ

ranna banna o beauty tips
সহজ ৭টি কৌশলে ঠিক করে ফেলুন নষ্ট হয়ে যাওয়া মেকআপ
কোন দাওয়াতে যাবেন, হঠাৎ করে দেখলেন মুখটা তেলে চিটচিটে হয়ে গেছে কিংবা নখটা ভেঙ্গে গেল তখন কি করবেন? হাতে তো এত সময়ও নেই যে মুখে কোন প্যাক ব্যবহার করবেন। তাহলে উপায়? এইরকম সমস্যার সমাধান করে দিবে ছোট ছোট কিছু কৌশল। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু কৌশল।


১। তেল চিটচিটে ত্বকের জন্য

তৈলাক্ত ত্বকের সবচেয়ে বেশি এই সমস্যাটা হয়ে থাকে। একটি স্প্রে বোতলে গোলাপজল এবং স্কিন টোনার মিশিয়ে নিন। এটি মুখে স্প্রে করুন। তারপর একটি টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। দেখবেন ত্বক ফ্রেশ এবং ক্লিন হয়ে গেছে। তার সাথে মুখের তেল চিটচিটে ভাবও দূর হয়ে গেছে। সাদা ভিনেগার এবং পানি দিয়ে টোনার তৈরি করে নিতে পারেন।
২। ভাঙ্গা নখ

হঠাৎ করে নখ ভেঙ্গে গেলে নেইল ফাইল বা নেইল কাটারের পিছনের অংশ দিয়ে কিছুটা ঘষে নখ সমান করে নিন। খুব বেশি ভেঙ্গে গেলে হাতের বাকী নখগুলো এক সমান করে কেটে নিতে পারেন। এতে সবকয়টি নখ সমান দেখাবে।
৩। অতিরিক্ত পাউডারের ব্যবহার

আপনি যদি মুখে অতিরিক্ত পাউডার দিয়ে থাকেন, তবে মুখ ফ্ল্যাট দেখাবে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মুখে মেপআপ সেটিং স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। এটি অতিরিক্ত পাউডার শুষে নিয়ে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে তুলবে।
৪। ছড়িয়ে যাওয়া লিপস্টিক

লিপস্টিক লাগানোর পর অনেক সময় তা ছড়িয়ে ঠোঁটের চারপাশে লেগে যায়। একটি টিস্যু দিয়ে হালকা করে লিপস্টিক মুছে ফেলুন। ভাল হয় টিস্যুতে কিছুটা ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিলে। তারপর লিপস্টিক লেগে যাওয়া স্থানে কনসিলার লাগিয়ে নিন। দেখবেন আবার আগের মত হয়ে গেছে।
৫। এলোমেলো আগোছালো চুল

চুল যদি খুব বেশি এলোমেলো আগোছালো থাকে এবং চুল গোছানোর সময় না থাকে তবে সামনের চুলগুলো কিছুটা পাফ করে পিছনের চুলগুলো নিয়ে একটি পনিটেইল করে নিন। এলোমেলো চুলের সবচেয়ে সহজ সমাধান এটি।
৬। মুখের দুর্গন্ধ দূর

লেবুর রস এবং ১ টেবিল চামচ ভিনেগার ১ গ্লাস পানিতে মিশিয়ে নিন। এবার এটি দিয়ে কুলি করে ফেলুন। এটি মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করে এক নিমিষে মুখের দুর্গন্ধ দূর করে দিবে।
৭। মাশকারা সমস্যা
অনেক সময় চোখের পাঁপড়িতে মাশকারা দেওয়া সময় পাঁপড়িগুলো একটি আরেটির সাথে লেগে যায়। এই সমস্যা সমাধান করে দিবে একটি টুথপিক। টুথপিক দিয়ে চোখের পাঁপড়িগুলো প্রতিটি আলদা আলদা করে নিন। এতে আপনার মাশকরাও নষ্ট হবে না আবার চোখের পাঁপড়িগুলো আলাদা আলাদা হয়ে যাবে।
এছাড়াও আরও কিছু সমস্যা সচরাচর দেখতে পাওয়া যায়। অনেক সময় লিপস্টিক দাঁতে লেগে যায়। সেটা এড়ানোর জন্য লিপস্টিকের উপর হালকা করে পাউডার লাগিয়ে নিন। তারপর আবার লিপস্টিক লাগিয়ে ফেলুন। লিপস্টিক আর ছড়াবে না। মেকআপের সময় ত্বকে ফাউন্ডেশন বেশি পড়ে গেলে ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে চেপে দিন ত্বকের সাথে।

কনট্যুরিং মেকআপে বদলে ফেলুন আপনার চেহারা

ranna banna o beauty tips
কনট্যুরিং মেকআপে বদলে ফেলুন আপনার চেহারা
আজকাল সাজে মেকআপের একটি কৌশল ব্যবহার হতে দেখা যায়, সেটি হল ‘কনট্যুরিং’। ভরাট গালটা কেটে কিছুটা চ্যাপ্টা করে দেওয়া, কিন্তু নাকটা আরোও একটু খাড়া করে দেওয়া হল কনট্যুরিং এর কাজ। হলিউড, বলিউডের অনেক তারকাকেই কনট্যুরিং মেকআপ নিতে দেখা যায়। এর মঝে জনপ্রিয় হলিউড নায়িকা কিম কারদাশিয়ানও আছেন। নিত্যদিনের মেকআপে আপনার কনট্যুরিং করার প্রয়োজন নেই, কিন্তু পার্টি বা বিয়ের অনুষ্ঠানে করে নিতে পারেন এইরকম ভিন্নধর্মী মেকআপটি। সবসময় তো আর মেকআপ করার জন্য পার্লারে যাওয়া সম্ভব নয়। বাসায় নিজে করে নিতে পারেন কনট্যুরিং মেকআপ। এটি খুব বেশি কঠিন কাজ নয়। কিছু কৌশল জানা থাকলে আপনি নিজেই করে নিতে পারেন কনট্যুরিং মেকআপ। মুখের ধরণ অনুযায়ী কনট্যুরিং মেকআপে রয়েছে ভিন্নতা। মুখের ধরণ অনুযায়ী কেমন ধরণের কনট্যুরিং মেকআপ করবেন তা দেখে নিন ছোট এই ভিডিওতে।
যা যা লাগবে:

১টি লাইট ফাউন্ডেশন বা কনসিলার
১টি ডার্ক ফাউন্ডেশন বা কনসিলার
মিনারেল ব্রোঞ্জ পাউডার বা ব্রোঞ্জ ফেইস পাউডার বা ম্যাট পাউডার
মেকআপ ব্রাশ
মোটা ভালো মানের স্পঞ্জ বা বিউটি ব্লেন্ডার
যেভাবে করবেন:

১। প্রথমে মুখে ফাউন্ডেশন এবং কনসিলার দিয়ে বেস মেকআপ করে নিন।
২। এবার চিবুক, নাক, কপাল যেসব স্থানে কনট্যুর করতে চান সেখানে গাঢ় রঙের ফাউন্ডেশন বা কনসিলার দিয়ে দাগ দিন।
৩। এবার যেসব ব্রাশ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে দিন।
৪। তারপর মিনারেল ব্রোঞ্জ পাউডার স্পঞ্জ দিয়ে ভাল করে ত্বকে মিশিয়ে নিন।
৫।  ব্যস হয়ে গেল কনট্যুর মেকআপ সম্পূর্ণ। আপনি চাইলে কনট্যুরিং ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন।

ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করেই স্ট্রেইট করুন আপনার চুল

ranna banna o beauty tips
ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করেই স্ট্রেইট করুন আপনার চুল
বেশির ভাগ মানুষই সোজা বা স্ট্রেইট চুল পছন্দ করে কারণ সোজা চুলে যে কোন ধরণের হেয়ার স্টাইল ভালো লাগে। সবাই সোজা চুল নিয়ে জন্মগ্রহণ করেনা। একেক জনের চুলের ধরণ একেক রকম হয়। বর্তমানে স্ট্রেইট চুলের ট্রেন্ড চলছে। তাই চুল স্ট্রেইট করার জন্য অনেকেই অনেক ধরণের রাসায়নিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করেন। স্থায়ী ভাবে চুল সোজা করলেও সেটা এক বছর পর্যন্ত ঠিক থাকে। এক বছর পর চুলের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়, চুলের আগা ফেটে যায় ও শক্ত হয়ে যায়। কিন্তু আপনার রান্নাঘরেই এমন কিছু উপাদান আছে যা প্রাকৃতিকভাবে ও স্থায়ীভাবে আপনার চুলকে স্ট্রেইট করতে পারে। ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক উপাদান আপনার চুলের কোন ক্ষতি করেনা। তাই ঘরেই ঝলমলে, উজ্জ্বল, স্বাস্থ্যবান ও সোজা চুল পেতে তৈরি হয়ে যান, প্রচুর অর্থ খরচ করা ছাড়াই।
১। দুধ
দুধের প্রোটিন চুলকে মসৃণ ও সোজা করে এবং চুলের কোঁকড়ানো ভাব দূর করে। তাই সোজা চুল পেতে চাইলে দুধ দিয়ে চুল ভেজান এবং দুধে ভেজা চুল চিরুনি দিয়ে আঁচড়ান যাতে সব চুলে দুধ পৌঁছাতে পারে ও চুলকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে শক্তিশালী করতে পারে। আধাঘন্টা এভাবে রেখে দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ভাবে চুলে দুধ ব্যবহার ও সতর্কতার সাথে চুল আঁচড়ানোর ফলে পার্লারের মতই স্ট্রেইট চুল পাবেন।
২। কুসুম গরম তেল
মাথার তালুতে তেল ম্যাসাজ করলে রক্তনালীর মধ্য দিয়ে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। এতে চুলের মধ্য দিয়ে পুষ্টির প্রবাহও ঠিক ভাবে হয়। এর ফলে চুল চকচকে ও শক্তিশালী হয় এবং চুল জমাট বাঁধেনা। নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল গরম করে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করলে এই সুফলগুলো পাওয়া যায়। অলিভ অয়েল চুলকে আর্দ্রতা প্রদান করে ও এটি খুব ভালো কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত কুসুম গরম তেল মাথার তালুতে ম্যাসাজ করলে ও চুল আঁচড়ালে চুল সোজা হয়।
৩। লেবুর রস ও নারিকেলের দুধ
লেবুর রস ও নারিকেলের দুধ প্রাকৃতিক ভাবে চুল সোজা করার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। লেবুর রসের সাথে নারিকেলের দুধ মিশালে ক্রিম কন্ডিশনার তৈরি হয় যা চুলকে সোজা করতে সাহায্য করে।  লেবুর রসের সাথে নারিকেলের দুধ মিশিয়ে ক্রিম তৈরি করে চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে কয়েক মিনিট রেখে দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই দিন এই প্রক্রিয়াটির পুনরাবৃত্তি করুন। আপনি নিজেই পরিবর্তন লক্ষ করবেন।
৪। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার
সবচাইতে ক্ষমতাশালী চুল স্ট্রেইট করার উপাদান আছে আপেল সাইডার ভিনেগারে । চুলের স্বাভাবিক pH  স্তর পুনরুদ্ধার করার মাধ্যমে চুলকে স্ট্রেইট করে আপেল সাইডার ভিনেগার। এছাড়াও এটি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং মাথার তালুর ইনফেকশন দূর করে।
৫। দুধ ও মধু
ছাগলের দুধ চুল ও ত্বকের জন্য চমৎকার কাজ করে। ছাগলের দুধ পুষ্টিকর ও উপকারী উপাদানে ভরপুর। ছাগলের দুধের সাথে মধু মিশিয়ে চুলে লাগালে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং চুলকে উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় করার পাশাপাশি চুলকে সোজা করে।
৬। কাঠ বাদামের তেল
চুলের জন্য চমৎকার ভাবে কাজ করে কাঠ বাদামের তেল। এটি চুলকে শক্তিশালী, জড়তাহীন, মসৃণ ও উজ্জল করে। এতে প্রচুর ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। আপনার ব্যবহৃত কন্ডিশনারের সাথে ৩-৪ ফোঁটা কাঠ বাদামের তেল মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন। সপ্তাহে তিনদিন এটি ব্যবহার করলে আপনার চুল ঝলমলে ও স্ট্রেইট হবে।
৭। ডিম ও চালের গুঁড়ো
ডিমের সাদা অংশের সাথে চালের গুঁড়ো মিশিয়ে এর সাথে এক কাপ মুলতানি মাটি ভালো ভাবে মিশান। এই মাস্কটি চুলকে সোজা করে। মাস্কটি ভালোভাবে চুলে লাগিয়ে চুল আঁচড়ান ও এক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহের মধ্যেই পরিবর্তন লক্ষ করবেন।
এছাড়াও চুল সোজা করার জন্য আরো যে উপাদান গুলো কাজ করে সেগুলো হল- অ্যালোভেরা, কলা ও পেঁপের মাস্ক, মিল্ক হেয়ার স্প্রে যা ঘরেই তৈরি করা যায়, সয়াবিন তেল, ক্যাস্টর অয়েল, মুলতানি মাটি ইত্যাদি।     

এবার কাবাব হবে বেগুন দিয়েই!

ranna banna o beauty tips
এবার কাবাব হবে বেগুন দিয়েই!
বেগুন ভর্তা নাম শুনলে জিভে জল চলে আসে। খিচুড়ির সাথে বেগুন ভাজি হলে তো কোন কথাই নেই! এই বেগুন দিয়ে তৈরি করা যায় নানা মজাদার রান্না। ঠিক সেইরকমই একটি রান্না হল বেগুন কাবাব! নাম শুনে অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই তুরস্কে এই খাবারটি বেশ জনপ্রিয়। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বেগুন কাবাবের রেসিপি।
উপকরণ:
  • ৩টি বেগুন
  • ৪৫০ গ্রাম গরুর কিমা
  • ১টি পেঁয়াজ
  • ২ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
  • ২ চা চামচ লাল শুকনো মরিচ গুঁড়ো
  • ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
  • ১ টেবিল চামচ টমেটো পেস্ট
  • ২-৩ টমেটো
  • ৭টি রসুনের কোয়া
  • ৬টি গোলমরিচ

প্রণালী:
১। প্রথমে বেগুনকে গোল গোল করে কেটে ২ চা চামচ লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
২। তারপর একটি পাত্রে গরুর কিমা, পেঁয়াজ কুচি, লাল শুকনো মরিচের গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো, লবণ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৩। এরপর কাবাবের মত চ্যাপ্টা চ্যাপ্টা করে ৩০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন।
৪। এখন ওভেনের ট্রেতে দুটি বেগুনের মাঝে একটি কাবাব দিয়ে দিন। এভাবে সম্পূর্ণ ওভেন ট্রেটি ভরে ফেলুন।
৫। এখন কাবাব সস তৈরি করে নিন। টমেটোর পেস্ট, গোলমরিচ গুঁড়ো, লবণ এবং এক কাপ গরম পানি মিশিয়ে নিন। এর সাথে অলিভ অয়েল দিয়ে দিন।
৬। সম্পূর্ণ সসটি বেগুন এবং কাবাবের উপর ঢেলে দিন।
৭। টমেটো এবং ক্যাপসিকাম টুকরো করে কেটে কাবাবের পাশে দিয়ে দিন। চাইলে ফ্লেভারের জন্য কয়েক কোয়া রসুন দিয়ে দিন।
৮। ওভেনে ৪০০ ফারেনহাইট অথবা ২০০ সেলসিয়াসে প্রিহিট করে নিন। এতে ওভেন ট্রেটি ৪৫ মিনিট বেক করুন।
৯। ৪৫ মিনিট পর পেয়ে যান মজাদার বেগুন কাবাব।

সরিষা বাটায় "ভেজিটেবল চিকেন"

ranna banna o beauty tips
সরিষা বাটায় "ভেজিটেবল চিকেন"
একই ধাঁচের মুরগী রান্না আর ভালো লাগছে না? তাহলে আজ জেনে নিন শারমিন হকের একটি নতুন রেসিপি আর সবজির সাথে মিলিয়ে সরিষার স্বাদে রেঁধে ফেলুন মুরগী।  

 উপকরণ -  
মুরগির  মাংস ১ কেজি - তেল পরিমান মত - পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ  - পেঁয়াজ বাটা ১কাপ  - দারুচিনি ,এলাচি,তেজপাতা  - সরিষা বাটা ২চা চামচ - ছোট  আলু  ১০ টা - ফুলকপি ১ কাপ - ব্রকলি ১কাপ - বরবটি হাফ কাপ - পেঁয়াজ কলি হাফ কাপ - মটরশুঁটি হাফ কাপ  - আদা বাটা ১ টেবিল চামচ  - রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ - ধনে গুঁড়ো ও জিরা গুঁড়ো,  - হলুদ গুঁড়ো ২চা চামচ - লাল মরিচ গুঁড়ো ৩ চা চামচ - কাচাঁ মরিচ ৫টা - লবণ

প্রস্তুত প্রনালি  -
মাংস ধুয়ে নিন।  -এবার হাড়িতে  এ তেল দারুচিনি,এলাচ,তেজপাতা, পেঁয়াজ কুচি ২কাপ ও পেঁয়াজ বাটা এককাপ,আদা বাটা,রসুন বাটা,সরিষা বাটা, ধনে গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, লবণ, ২ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে কষিয়ে রান্না করুন।  -এরপর মাংসগুলো দিয়ে দিন। ভাল করে কষান। কষানো হলে পানি দিন ও সবজি গুলো দিন।  -সবজি সিদ্ধ হলে,ঝোল মাখা মাখা হলে কাচাঁ মরিচ দিয়ে নামিয়ে গরম গরম ভাত বা পোলাওর সাথে পরিবেশন করুন মজাদার সরিষার স্বাদে "চিকেন ভেজিটেবল"। 

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.