মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ছোটমাছের চচ্চড়ি

ranna banna o beauty tips
ছোটমাছের চচ্চড়ি
উপকরণ:
ছোটমাছ ১৫০গ্রাম। পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল-চামচ। পেঁয়াজকুচি আধা কাপ। আদাবাটা আধা চা-চামচ। রসুনবাটা ১ চা-চামচ। হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ। মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ। ধনেগুঁড়া ১/৪ চা-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। তেল ১/৪ কাপ। কাঁচামরিচ ৪টি। ধনেপাতা ইচ্ছামতো। 

পদ্ধতি: 
মাছগুলো পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন।

কড়াইতে তেল গরম করে, পেঁয়াজকুচি দিয়ে বাদামি রং করে ভাজুন। এখন এতে অল্প গরম পানি সঙ্গে হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া ও ধনেগুঁড়া দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে কষাতে হবে।

কষে আসলে, পেঁয়াজবাটা, রসুনবাটা ও লবণ দিয়ে আরেকটু কষিয়ে মাছগুলো দিয়ে, হালকা করে নেড়ে দিন। প্রয়োজন না হলে পানি দেবেন না।

রান্না হয়ে গেলে, নামিয়ে উপর দিয়ে কাঁচামরিচ আর ধনেপাতা ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।

চালকুমড়ার দুই পদ

ranna banna o beauty tis
চালকুমড়ার দুই পদ
ইলিশ চালকুমড়ার ঝোল ও সর্ষে চালকুমড়ার ছেঁচকি।

ইলিশ চালকুমড়ার ঝোল

উপকরণ: 
ইলিশ মাছ ৫ টুকরা। চালকুমড়া ১টি। চালকুমড়ার লম্বালম্বি ৪ ভাগের দেড় ভাগ। পেঁয়াজ ১টি (বড় আকারের, মিহিকুচি করা। হলুদগুঁড়া দেড় চা-চামচ। মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ। ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ। কাঁচামরিচ ৩,৪টি(আস্ত)। লবণ স্বাদ মতো। তেল ৫ টেবিল-চামচ।

পদ্ধতি:
চালকুমড়া লম্বা ভাবে ফালি করে বীজের অংশ (বুক) ফেলে দিয়ে আড়াআড়ি ভাবে আধা ইঞ্চি পুরু করে কেটে নিতে হবে।
প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ দিয়ে তা সোনালি করে ভেজে তুলে রাখতে হবে। সেই তেলেই হলুদগুঁড়া, শুকনা-মরিচগুঁড়া আর লবণ দিয়ে নেড়েচেড়ে ইলিশের টুকরোগুলো ছেড়ে দিয়ে কষিয়ে নিয়ে তুলে রাখতে হবে।
এবার সেই মসলার মধ্যেই চালকুমড়ার টুকরাগুলো ছেড়ে দিয়ে কষিয়ে প্রয়োজন মতো গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
ভেজে রাখা পেঁয়াজ আর ধনেগুঁড়া একসঙ্গে পাতলা করে বেটে রাখতে হবে। চালকুমড়া সিদ্ধ হয়ে গেলে বেটে রাখা মসলা ও কাঁচামরিচ ফালি ছেড়ে দিয়ে তিন থেকে চার মিনিট রেখে নামিয়ে নিতে হবে।

সর্ষে চালকুমড়ার ছেঁচকি

উপকরণ: 
চালকুমড়া অর্ধেকটা। পেঁয়াজ ১টি। কালোসরিষা আধা চা-চামচ। হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ। মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ। রসুনবাটা ১/৪ চা-চামচ। আদাবাটা ১/৩ চা-চামচ। চিনি ১/৩ চা-চামচ। কাঁচামরিচ ৩,৪টি। লবণ স্বাদ মতো। সয়াবিন তেল ৩ টেবিল-চামচ। সরিষার তেল ২ চা-চামচ।


পদ্ধতি: 
ইলিশ চালকুমড়ার তরকারির মতো করেই চালকুমড়া কেটে নিতে হবে। তারপর পেঁয়াজ, সরিষা, আদা, রসুন, হলুদ, মরিচগুঁড়া একসঙ্গে বেটে নিতে হবে।
তারপর চালকুমড়ায় অল্প হলুদ আর লবণ মেখে প্যানে সবটুকু তেল গরম করে হালকা করে ভেঁজে তুলে রাখুন।
একই তেলে বেটে রাখা মসলা দিয়ে কষিয়ে তাতে ভেজে রাখা চালকুমড়া দিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট কষিয়ে প্রয়োজন মতো পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করতে হবে।
চালকুমড়া সিদ্ধ হয়ে গেলে আস্ত কাঁচামরিচ ও চিনি দিয়ে গামাখা ঝোলসহ নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।

মজার পানীয় দই শরবত

ranna banna o beauty tips
মজার পানীয় দই শরবত
গরমে ঠাণ্ডা পানীয়তে তৃষ্ণা মেটানোর মতো আরামদায়ক কিছু হতে পারে? অনেকে আবার শীতের ভেতরও ঠাণ্ডা পানীয় বেশ উপভোগ করেন। তাছাড়া অতিথি আপ্যায়নে পানীয়র জুড়ি নেই। তাও যদি হয় মজাদার দই শরবত তবে তো কথায় থাকে না। তাই চটজলদি শিখে নিন দই শরবত বানানোর সহজ রেসিপি।

যা যা লাগবে

মিষ্টি দই ১ কাপ, টক দই ১ কাপ, ঠাণ্ডা পানি ৩ কাপ, বরফ কুচি ১ কাপ, লবণ ১ চিমটি, বিট লবণ আধা চা-চামচ, লেবুপাতা ৫ থেকে ৬টি, পুদিনাপাতা ৭ থেকে ৮টি, সরষে গুঁড়া ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১টি, চিনি স্বাদমতো।

যেভাবে করবেন

সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। মিশ্রণটি পাতলা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। এবার সুদৃশ্য গ্লাসে ২ থেকে ৩ টুকরা বরফ ছড়িয়ে ওপর থেকে শরবত ঢেলে দিন। এবার পছন্দমতো সাজিয়ে পরিবেশন করলেই হল।

নিজেই তৈরি করুন চুলের কন্ডিশনার

ranna banna o beauty tips
নিজেই তৈরি করুন চুলের কন্ডিশনার
শীতের এই সময়টাতে সবাই কম বেশি চুলের খুশকি, চুল পড়া, ড্যামেজ হওয়ার মতো নানা সমস্যায় ভুগে থাকেন। চুলের ক্ষতিতে আপনিও থাকেন দারুণ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। মূলত আপনাকে সুন্দর দেখানোর বিষয়টি অনেকাংশেই নির্ভর করে সুন্দর চুলের ওপর।

তাইতো এমন সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ঘরোয়া উপায়ে ব্যবস্থা নিতে পারেন নিজে হাতে। ঘরোয়া উপায়ে তৈরি কন্ডিশনার আপনার ড্যামেজ চুলেকে মসৃণ আর ঝলমলে করে তুলতে পারে সহজেই। প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি কন্ডিশনারে নেই কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এছাড়া চুলের গোড়া থেকে পুষ্টি যুগিয়ে দূর করবে সমস্যা। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক।

রুক্ষ্ম চুলের জন্য

যা যা লাগবে

পাকা কলা ১টি, নারিকেল তেল ৪ টেবিল চামচ, মধু ৪ টেবিল চামচ, গ্লিসারিন ৪ টেবিল চামচ।

যেভাবে করবেন

সব উপকরণ এক সঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেণ্ড করুন। তারপর পরিষ্কার চুলে লাগিয়ে মাথায় শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে ফেলুন। আধা ঘণ্টা পর চুলের উপযোগী শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল নরম ও মোলায়েম হয়ে উঠেছে। শুষ্ক চুলের জন্য এই কন্ডিশনারটি খুবই উপকারী।

প্রাণহীন চুলের জন্য

যা যা লাগবে

পানি ১ কাপ, ডিমের কুসুম ১টি, নারিকেল তেল ১ চা চামচ।

যেভাবে করবেন

একটি বাটিতে ডিমের কুসুম নিয়ে খুব ভালো ভাবে ফেটিয়ে নিতে হবে। ফেনা হয়ে উঠলে নারিকেল তেল মিশিয়ে আরও কিছুক্ষণ ফেটাতে হবে। এবার মিশ্রণটির সঙ্গে পানি মিশিয়ে আবারও ফেটিয়ে নিন। এই কন্ডিশনারটি চুলে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে অপেক্ষা করতে হবে ৩০ মিনিটের মতো। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলের গোড়া মজবুত হওয়াসহ ঝলমলে চুল পাবেন।

চুলে ডিপ কন্ডিশনিং

মেয়োনিজ ১ কাপ, অলিভ অয়েল ২ টেবিল চামচ, বাদামের তেল ১ টেবিল চামচ নিতে হবে। এবার সবগুলো উপকরণ ভালো ভাবে মিশিয়ে মিশ্রণটিকে ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। আবারও ভালো করে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসেজ করে লাগিয়ে নিন। আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে নিন। ব্যাস পেয়ে যান মনের মতো সুন্দর চুল।

অনিদ্রা সমস্যায় ভুগছেন? প্রতিরাতে পান করুন এই জাদুকরী পানীয়টি

ranna banna o beauty tips
জাদুকরী পানীয়
সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে দেয় ভাল একদফা ঘুম। পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম শারীরিক-মানসিক অনেক সমস্যা দূর করে থাকে। সুস্থ থাকার প্রধান চাবিকাঠি ভাল ঘুম। কিন্তু ইদানিং অনিদ্রা খুব সাধারণ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে উচ্চ রক্তচাপ, হাইপারটেশন, হতাশা, হার্টের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। Institute of Medicine in America এর মতে ৫০ মিলিয়ন আমেরিকান ঘুমের অভাবে নানা শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে।  আর এই ভাল ঘুমের জন্য খাওয়া হয় কত না ঘুমের ওষুধ। ঘুমের ওষুধ সাময়িকভাবে আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করে থাকে। তবে খুব বেশিদিন ঘুমের ওষুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই পানীয়টি পান করুন আর দেখুন এর ম্যাজিক।
উপকরণ:

১টি কলা
১ লিটার পানি
এক চিমটি দারুচিনি
যেভাবে তৈরি করবেন:

১। পানির মধ্যে একটি কলা দিয়ে দিন। এবার সেটি সিদ্ধ করুন।
২। ১০ মিনিট সিদ্ধ করুন।
৩। এবার এটি মগে বা কাপে ঢেলে নিন।
৪। এর সাথে এক চিমটি দারুচিনি দিয়ে দিন।
৫। ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে এটি পান করুন।
যেভাবে কাজ করে:

কলা:

কলাতে ট্রিপটোফেন নামক এক প্রকারে অ্যামিনো অ্যাসিড আছে যা শরীরের সেরোটোনিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে থাকে। যা ঘুমকে নিয়মিত করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি আপনার মুড ঠিক রেখে খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি করে। কলাতে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মত নানা মিনারেল যা আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করে।
দারুচিনি:

দারুচিনির ফ্লেভার এবং সুগন্ধ আপনার শরীরকে রিল্যাক্স করে হজমে সহায়তা করে থাকে। যা আপনার চিন্তা দূর করে ঘুমাতে সাহায্য করে থাকবে।

জেনে নিন বেগুন ভর্তার একেবারেই নতুন একটি রেসিপি

ranna banna o beauty tips
জেনে নিন বেগুন ভর্তার একেবারেই নতুন একটি রেসিপি
ঝাল মশলায় চটপটে কিছু খেতে ভালোবাসেন? তাহলে ইসরাত জাহান বিথীর এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে খুব। চলুন, জেনে নিই গরম ভাতের সাথে একটি দারুণ ভর্তার রেসিপি। 
উপকরণ 
গোল বেগুন -বড় ১ টি  (লম্বা বেগুন দিয়েও করা যায়)
পিঁয়াজ কুচি -আধা কাপ 
রসুন মোটা করে  কুচি - ৪ টেবিল চামচ 
কাঁচা মরিচ ফালি করা -৪-৫ টি
রসুন বাটা - আধা চা চামচ 
হলুদ গুঁড়ো - আধা চামচ থেকে একটু কম
মরিচ গুঁড়ো -১ চা চামচ 
ধনিয়া গুঁড়ো -আধা চা চামচ 
লবণ -স্বাদমত 
আস্ত জিরা - ১ চিমটি 
কালো জিরা - ১ চিমটি 
ধনেপাতা কুচি -২ টেবিল চামচ 
সরিষার তেল  - ৪ টেবিল চামচ 

প্রণালী 
-প্রথমে বেগুন ধুয়ে নিয়ে ,বেগুনের গায়ে একটু তেল মাখিয়ে ,সরাসরি চুলাতে অথবা তাওয়াতে দিয়ে বেগুন পুড়ে নিতে হবে। এরপর ঠান্ডা করে বেগুনের পোড়া খোসা ফেলে দিয়ে হাত দিয়ে চটকে নিতে হবে। 
-কড়াইতে তেল গরম করে আস্ত জিরা ও কালোজিরার ফোড়ন দিতে হবে। তারপর পিঁয়াজ ও রসুন কুচি দিয়ে ভাজতে হবে। 
-পিঁয়াজ-রসুন কুচি নরম হয়ে আসলে অর্ধেক কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে আরো কিছুক্ষণ ভাজতে হবে।
-যখন পিঁয়াজ,রসুন ও কাচা মরিচ হালকা বাদামী হতে শুরু করবে ,তখন এর মধ্যে রসুন বাটা ,মরিচ,হলুদ,ধনিয়া লবন ও অল্প পানি দিয়ে মশলা খুব ভালো করে কষাতে হবে। 
-মশলা ভালো করে কষানো হলে চটকে রাখা বেগুন ও বাকি কাচা মরিচ ফালি দিয়ে নেড়ে চেড়ে ২-৩ মিনিট রান্না করতে হবে। 
-বেগুন ভর্তা ভাজা ভাজা হয়ে তেল উপরে উঠলে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে ফেলতে হবে। 
-এই ভর্তা গরম ভাত ,পোলাউ,রুটি এমনকি পরোটার সাথে খাওয়া যায়। 

মজাদার চিজি মার্বেল ব্রাউনি

ranna banna o beauty tips
মজাদার চিজি মার্বেল ব্রাউনি
বড় বড় পেস্ট্রি শপগুলোতে কেক, পেস্ট্রির সাথে আরেক ধরণের খাবার দেখতে পাওয়া যায়। তার নাম হল ব্রাউনি। অনেক সময়ে চকলেট ব্রাউনির পাশাপাশি ভ্যানিলা বা স্ট্রবেরি ব্রাউনিও পাওয়া যায়। মার্বেল কেকের মত মার্বেল ব্রাউনি খেয়েছেন কখনও? ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন মজাদার চিজি মার্বেল ব্রাউনি।
উপকরণ:

ব্রাউনি তৈরির জন্য
২/৩ কাপ(১৫০ গ্রাম) মাখন
২০০ গ্রাম হালকা মিষ্টি চকলেট
২/৩ কাপ বা ১৩৫ গ্রাম চিনি
৪টি ডিম
১/৪ কাপ(৫০ মিলিগ্রাম) কফি
১ চা চামচ বা ৫ গ্রাম ভ্যানিলা এসেন্স
১/২ চা চামচ বা ২ গ্রাম আমন্ড এসেন্স
৩ টেবিল চামচ বা ২৪ গ্রাম কোকো পাউডার
১ কাপ বা ১২৫ গ্রাম ময়দা
১ চা চামচ বা ৪ গ্রাম বেকিং পাউডার
১/৪ চা চামচ বা ২ গ্রাম লবণ
ক্রিম চিজ তৈরির জন্য
১২ বা ৩৫০ গ্রাম ক্রিম
১/৩ কাপ বা ৬৫ গ্রাম চিনি
১ ডিম
একটি কমলার খোসা গুঁড়ো
৩ টেবিল চামচ কমলার রস
প্রণালী:

১। প্রথমে ওভেন ৩৫০ ফারেনহাইট বা ১৮০ সেলসিয়াসে গরম করতে দিন।
২। এবার ক্রিম চিজ তৈরি করে নিন। ক্রিম বিট করে এর সাথে একে একে চিনি তারপর কমলার খোসা এবং কমলার রস মিশিয়ে বিট করে নিন।
৩। তারপর ডিম দিয়ে আবার বিট করুন। যতক্ষণ না সবগুলো উপাদান ভাল করে না মিশে যায় ততক্ষণ পর্যন্ত বিট করতে থাকুন।
৪। আরেকটি পাত্রে ময়দা, কোকো পাউডার এবং বেকিং পাউডার দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৫। একটি পাত্রে মাখন এবং চকলেটের টুকরোগুলো নিয়ে মাঝারি আঁচে গরম করতে দেওয়া পানির পাত্রে দিয়ে দিন। যতক্ষণ পর্যন্ত না গলে যায় ততক্ষণ নাড়তে থাকুন।
৬। এরপর নামিয়ে এতে চিনি দিয়ে ভাল করে নাড়ুন।
৭। এবার ডিম দিয়ে আবার নাড়ুন। এরপর এতে গলানো কফি, ভ্যানিলা এসেন্স এবং আমন্ড এসেন্স দিয়ে দিন।
৮। তারপর এতে ময়দা, কোকো পাউডারের মিশ্রণটি আস্তে আস্তে মিশিয়ে নিন।
৯। ওভেন ট্রেতে মাখন লাগিয়ে তাতে ময়দার মিশ্রণটি দিয়ে দিন। তার উপর ক্রিম চিজের মিশ্রণটি দিয়ে দিন।
১০। তারপর চকলেটের মিশ্রণটি কিছুটা দূরত্বে ছোট ছোট বল করে দিয়ে দিন।
১১। চামচের পিছনের অংশ দিয়ে চকলেটের বলগুলো ছড়িয়ে দিন।
১২। ২৫ থেকে ৩০ মিনিট ওভেনে বেক করতে দিন।
১৩। এবার এটি ফ্রিজে সারা রাত অথবা কয়েক ঘন্টা রেখে দিন।
১৪। ঠান্ডা হয়ে গেলে চারকোনা করে কেটে পরিবেশন করুন মজাদার চকলেট চিজি ব্রাউনি।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.