মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

অনিদ্রা সমস্যায় ভুগছেন? প্রতিরাতে পান করুন এই জাদুকরী পানীয়টি

ranna banna o beauty tips
জাদুকরী পানীয়
সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে দেয় ভাল একদফা ঘুম। পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম শারীরিক-মানসিক অনেক সমস্যা দূর করে থাকে। সুস্থ থাকার প্রধান চাবিকাঠি ভাল ঘুম। কিন্তু ইদানিং অনিদ্রা খুব সাধারণ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে উচ্চ রক্তচাপ, হাইপারটেশন, হতাশা, হার্টের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। Institute of Medicine in America এর মতে ৫০ মিলিয়ন আমেরিকান ঘুমের অভাবে নানা শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে।  আর এই ভাল ঘুমের জন্য খাওয়া হয় কত না ঘুমের ওষুধ। ঘুমের ওষুধ সাময়িকভাবে আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করে থাকে। তবে খুব বেশিদিন ঘুমের ওষুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই পানীয়টি পান করুন আর দেখুন এর ম্যাজিক।
উপকরণ:

১টি কলা
১ লিটার পানি
এক চিমটি দারুচিনি
যেভাবে তৈরি করবেন:

১। পানির মধ্যে একটি কলা দিয়ে দিন। এবার সেটি সিদ্ধ করুন।
২। ১০ মিনিট সিদ্ধ করুন।
৩। এবার এটি মগে বা কাপে ঢেলে নিন।
৪। এর সাথে এক চিমটি দারুচিনি দিয়ে দিন।
৫। ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে এটি পান করুন।
যেভাবে কাজ করে:

কলা:

কলাতে ট্রিপটোফেন নামক এক প্রকারে অ্যামিনো অ্যাসিড আছে যা শরীরের সেরোটোনিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে থাকে। যা ঘুমকে নিয়মিত করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি আপনার মুড ঠিক রেখে খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি করে। কলাতে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মত নানা মিনারেল যা আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করে।
দারুচিনি:

দারুচিনির ফ্লেভার এবং সুগন্ধ আপনার শরীরকে রিল্যাক্স করে হজমে সহায়তা করে থাকে। যা আপনার চিন্তা দূর করে ঘুমাতে সাহায্য করে থাকবে।

জেনে নিন বেগুন ভর্তার একেবারেই নতুন একটি রেসিপি

ranna banna o beauty tips
জেনে নিন বেগুন ভর্তার একেবারেই নতুন একটি রেসিপি
ঝাল মশলায় চটপটে কিছু খেতে ভালোবাসেন? তাহলে ইসরাত জাহান বিথীর এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে খুব। চলুন, জেনে নিই গরম ভাতের সাথে একটি দারুণ ভর্তার রেসিপি। 
উপকরণ 
গোল বেগুন -বড় ১ টি  (লম্বা বেগুন দিয়েও করা যায়)
পিঁয়াজ কুচি -আধা কাপ 
রসুন মোটা করে  কুচি - ৪ টেবিল চামচ 
কাঁচা মরিচ ফালি করা -৪-৫ টি
রসুন বাটা - আধা চা চামচ 
হলুদ গুঁড়ো - আধা চামচ থেকে একটু কম
মরিচ গুঁড়ো -১ চা চামচ 
ধনিয়া গুঁড়ো -আধা চা চামচ 
লবণ -স্বাদমত 
আস্ত জিরা - ১ চিমটি 
কালো জিরা - ১ চিমটি 
ধনেপাতা কুচি -২ টেবিল চামচ 
সরিষার তেল  - ৪ টেবিল চামচ 

প্রণালী 
-প্রথমে বেগুন ধুয়ে নিয়ে ,বেগুনের গায়ে একটু তেল মাখিয়ে ,সরাসরি চুলাতে অথবা তাওয়াতে দিয়ে বেগুন পুড়ে নিতে হবে। এরপর ঠান্ডা করে বেগুনের পোড়া খোসা ফেলে দিয়ে হাত দিয়ে চটকে নিতে হবে। 
-কড়াইতে তেল গরম করে আস্ত জিরা ও কালোজিরার ফোড়ন দিতে হবে। তারপর পিঁয়াজ ও রসুন কুচি দিয়ে ভাজতে হবে। 
-পিঁয়াজ-রসুন কুচি নরম হয়ে আসলে অর্ধেক কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে আরো কিছুক্ষণ ভাজতে হবে।
-যখন পিঁয়াজ,রসুন ও কাচা মরিচ হালকা বাদামী হতে শুরু করবে ,তখন এর মধ্যে রসুন বাটা ,মরিচ,হলুদ,ধনিয়া লবন ও অল্প পানি দিয়ে মশলা খুব ভালো করে কষাতে হবে। 
-মশলা ভালো করে কষানো হলে চটকে রাখা বেগুন ও বাকি কাচা মরিচ ফালি দিয়ে নেড়ে চেড়ে ২-৩ মিনিট রান্না করতে হবে। 
-বেগুন ভর্তা ভাজা ভাজা হয়ে তেল উপরে উঠলে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে ফেলতে হবে। 
-এই ভর্তা গরম ভাত ,পোলাউ,রুটি এমনকি পরোটার সাথে খাওয়া যায়। 

মজাদার চিজি মার্বেল ব্রাউনি

ranna banna o beauty tips
মজাদার চিজি মার্বেল ব্রাউনি
বড় বড় পেস্ট্রি শপগুলোতে কেক, পেস্ট্রির সাথে আরেক ধরণের খাবার দেখতে পাওয়া যায়। তার নাম হল ব্রাউনি। অনেক সময়ে চকলেট ব্রাউনির পাশাপাশি ভ্যানিলা বা স্ট্রবেরি ব্রাউনিও পাওয়া যায়। মার্বেল কেকের মত মার্বেল ব্রাউনি খেয়েছেন কখনও? ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন মজাদার চিজি মার্বেল ব্রাউনি।
উপকরণ:

ব্রাউনি তৈরির জন্য
২/৩ কাপ(১৫০ গ্রাম) মাখন
২০০ গ্রাম হালকা মিষ্টি চকলেট
২/৩ কাপ বা ১৩৫ গ্রাম চিনি
৪টি ডিম
১/৪ কাপ(৫০ মিলিগ্রাম) কফি
১ চা চামচ বা ৫ গ্রাম ভ্যানিলা এসেন্স
১/২ চা চামচ বা ২ গ্রাম আমন্ড এসেন্স
৩ টেবিল চামচ বা ২৪ গ্রাম কোকো পাউডার
১ কাপ বা ১২৫ গ্রাম ময়দা
১ চা চামচ বা ৪ গ্রাম বেকিং পাউডার
১/৪ চা চামচ বা ২ গ্রাম লবণ
ক্রিম চিজ তৈরির জন্য
১২ বা ৩৫০ গ্রাম ক্রিম
১/৩ কাপ বা ৬৫ গ্রাম চিনি
১ ডিম
একটি কমলার খোসা গুঁড়ো
৩ টেবিল চামচ কমলার রস
প্রণালী:

১। প্রথমে ওভেন ৩৫০ ফারেনহাইট বা ১৮০ সেলসিয়াসে গরম করতে দিন।
২। এবার ক্রিম চিজ তৈরি করে নিন। ক্রিম বিট করে এর সাথে একে একে চিনি তারপর কমলার খোসা এবং কমলার রস মিশিয়ে বিট করে নিন।
৩। তারপর ডিম দিয়ে আবার বিট করুন। যতক্ষণ না সবগুলো উপাদান ভাল করে না মিশে যায় ততক্ষণ পর্যন্ত বিট করতে থাকুন।
৪। আরেকটি পাত্রে ময়দা, কোকো পাউডার এবং বেকিং পাউডার দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৫। একটি পাত্রে মাখন এবং চকলেটের টুকরোগুলো নিয়ে মাঝারি আঁচে গরম করতে দেওয়া পানির পাত্রে দিয়ে দিন। যতক্ষণ পর্যন্ত না গলে যায় ততক্ষণ নাড়তে থাকুন।
৬। এরপর নামিয়ে এতে চিনি দিয়ে ভাল করে নাড়ুন।
৭। এবার ডিম দিয়ে আবার নাড়ুন। এরপর এতে গলানো কফি, ভ্যানিলা এসেন্স এবং আমন্ড এসেন্স দিয়ে দিন।
৮। তারপর এতে ময়দা, কোকো পাউডারের মিশ্রণটি আস্তে আস্তে মিশিয়ে নিন।
৯। ওভেন ট্রেতে মাখন লাগিয়ে তাতে ময়দার মিশ্রণটি দিয়ে দিন। তার উপর ক্রিম চিজের মিশ্রণটি দিয়ে দিন।
১০। তারপর চকলেটের মিশ্রণটি কিছুটা দূরত্বে ছোট ছোট বল করে দিয়ে দিন।
১১। চামচের পিছনের অংশ দিয়ে চকলেটের বলগুলো ছড়িয়ে দিন।
১২। ২৫ থেকে ৩০ মিনিট ওভেনে বেক করতে দিন।
১৩। এবার এটি ফ্রিজে সারা রাত অথবা কয়েক ঘন্টা রেখে দিন।
১৪। ঠান্ডা হয়ে গেলে চারকোনা করে কেটে পরিবেশন করুন মজাদার চকলেট চিজি ব্রাউনি।

মজার পিঠা "জামাই আদর"

ranna banna o beauty tips
মজার পিঠা "জামাই আদর"
একেক অঞ্চলে পিঠার নামগুলো হয় একেক রকম। আর আমাদের এই বাংলাদেশে রকমারি পিঠার নামগুলোও কিন্তু ভারি বাহারি! চলুন, শীত ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই জেনেই নিই দারুণ একটি পিঠার রেসিপি। 

উপকরণ 
 ১. ডিম -২ টা ২. ময়দা -১ কাপ ৩. তরল দুধ -১/২ কাপ ৪. চিনি -১/২ কাপ ৫. তেল - ভাজার জন্য   

প্রনালী 
-প্রথমে পানে ১ টা ডিম পোচ করতে হবে।  
-এবার তেল বাদে বাকি সব উপকরণ এক সাথে মিশিয়ে মসৃন ব্যাটার তৈরি করতে হবে।  
-এবার কড়াইতে তেল গরম করে তাতে ডিম পোচটা ব্যাটারে ডুবিয়ে বাদামী করে ভাজতে হবে। 
- আবার পিঠাটা ব্যাটারে ডুবিয়ে আবার ভাজতে হবে। -
এই ভাবে ৪/৫ বার পিঠাটি ব্যাটারে ডুবিয়ে ভাজতে হবে।  
-এবার পিঠা ঠান্ডা হয়ে গেলে কেটে টুকরা করে পরিবেশন করতে হবে মজাদার জামাই আদর পিঠা ।  

সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

বিভিন্ন ধরনের মজাদার স্যুপ

ক্রিম অব টমেটো স্যুপ

উপকরণ:
চিকেন বা ভেজিটেবল স্টক ৩ কাপ, পাকা টমেটো মাঝারি ৬টি (হাতে কচলে নেওয়া), হেভি ক্রিম ১ কাপ (সুপারশপে পাবেন), লবণ ১ চা-চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, ধনে পাতা ও তুলসী পাতা সাজানোর জন্য ৫-৬টি।
ranna banna o beauty tips
ক্রিম অব টমেটো স্যুপ

প্রণালি: 
সসপ্যানে চিকেন স্টক ও টমেটো মিশিয়ে জ্বাল দিন। ফুটতে শুরু করলে হেভি ক্রিমটুকু ভালো করে মিশিয়ে দিয়ে চুলার জ্বাল কমিয়ে দিন। লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে ১৫ মিনিট অল্প জ্বালেই রাখুন। এবার ব্লেন্ডারে ঢেলে স্যুপ ভালোমতো ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিন এবং আরও ২ মিনিট কম জ্বালে রাখুন। পরিবেশন পাত্রে ঢেলে ধনে পাতা ও তুলসী পাতা সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

ক্যাবেজ অ্যান্ড উইংস স্যুপ

উপকরণ: 
মুরগির পাখনা ৪-৫টি, বাঁধাকপির পাতা ছোট কিউব করে কাটা ১ কাপ, বাটন মাশরুম ৬টি (৪ ভাগ করে নেওয়া), সয়াবিন তেল ১ চা-চামচ, সয়াসস ৩ টেবিল চামচ, লবণ আধা চা-চামচ বা স্বাদ অনুযায়ী, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, পানি ১ লিটার, তেল প্রয়োজনমতো।

ক্যাবেজ অ্যান্ড উইংস স্যুপ

প্রণালি: 
মুরগির পাখনাগুলো লবণ ও গোলমরিচ মাখিয়ে ১০ মিনিট ম্যারিনেট করুন। তারপর বাদামি করে তেলে ভাজুন। তাতে বাঁধাকপি ও মাশরুম দিয়ে দিন এবং ৩-৪ মিনিট মাঝারি আঁচে ভাজুন। এবার পানি ও সয়াসস দিয়ে ১৫ মিনিট ঢাকনাসহ জ্বাল দিন মৃদু আঁচে। লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে দিন। নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

রাইস অ্যান্ড ফিশ স্যুপ

উপকরণ: 
বাসমতী বা পোলাওয়ের চাল ১ কাপ, পানি ২ কাপ, ১টি লেবুর খোসার সবুজ অংশটুকু কোরানো (লেমন জেস্ট) এবং সেই লেবুটির রস, চিকেন স্টক ৪ কাপ, তেলাপিয়া বা কোরাল মাছের ফিলে আধা কেজি, খোসা ছাড়ানো চিংড়ি আধা কাপ, জুলিয়ান কাট গাজর ১ কাপ, পুদিনা পাতা ৮-১০টি, লবণ ১ চা-চামচ বা স্বাদমতো।
ranna banna o beauty tips
রাইস অ্যান্ড ফিশ স্যুপ

প্রণালি: 
চাল ধুয়ে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন এবং ২ কাপ পানি চুলায় গরম হতে দিন। পানিতে বলক এসে গেলে চালের পানি ছেঁকে ভাত ফুটিয়ে নিন। হয়ে গেলে তাতে লেবুর রস ও লেমন জেস্ট দিয়ে মিশিয়ে ঢেকে রাখুন। গাজর ভাপিয়ে রাখুন।

এবার আলাদা একটি হাঁড়িতে চিকেন স্টক জ্বাল দিন। তাতে ফিশ ফিলে আর চিংড়ি দিয়ে ৪-৫ মিনিট রেখে লবণ দিন। সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন। এবার ৪টি স্যুপের বাটিতে রান্না করা ভাত সাজিয়ে এক পাশে গাজর দিন ও পরিমাণমতো স্যুপ ঢেলে দিন। মাছের ফিলেগুলো চামচ দিয়ে ছোট করে তাতে দিয়ে দিন। ওপরে পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

চিকেন ডাম্পলিং স্যুপ

উপকরণ: 
সয়াবিন তেল ২ টেবিল চামচ, ১টি পেঁয়াজ বড় করে কুচি করা, গাজর ২টি ছোট ছোট কিউব করে কাটা, সেলেরি ছোট ছোট করে কাটা ১ কাপ, ১টি মুরগির বুকের মাংস, তেজপাতা ২টি, মাখন ৪ টেবিল চামচ, পাতলা দুধ আধা কাপ, ময়দা আধা কাপ থেকে পৌনে ১ কাপ ও ১ চামচ, চিকেন স্টক ৪ থেকে ৬ কাপ, মটরশুঁটি আধা কাপ, মাশরুম কুচি আধা কাপ, লবণ ১ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ।
চিকেন ডাম্পলিং স্যুপ

প্রণালি: 
৬ কাপ পানিতে মুরগির মাংস এবং তেজপাতা দিয়ে অন্তত ৪৫ মিনিট ঢেকে সেদ্ধ করে স্টক বানিয়ে রাখুন। স্টক থেকে মাংস উঠিয়ে হাত দিয়ে ছিঁড়ে নিন।
দুধের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ মাখন গরম করে ময়দার সঙ্গে গুলিয়ে খামির বানান। ১ চিমটি লবণ দিতে হবে। এবার সোয়া ইঞ্চি পুরু করে রুটি বেলে নিন। ভেজা পাতলা কাপড় দিয়ে ২৫ মিনিট ঢেকে রাখুন। এরার রুটিটা বরফি আকারে কেটে নিন ১ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য-প্রস্থ করে। এটাকেই বলে ডাম্পলিং।
সসপ্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ, গাজর আর সেলেরি ভেজে নিন ৫ মিনিট। এবার চিকেন স্টক ঢেলে তাতে মটরশুঁটি, মাশরুম, লবণ, গোলমরিচ দিয়ে দিন। ফুটে উঠলে ডাম্পলিংগুলো ছেড়ে ঢেকে দিন। দু মিনিট পর মুরগির মাংস দিয়ে জ্বাল কমিয়ে ঢেকে দিন।

আলাদা প্যানে ২ টেবিল চামচ মাখন গরম করে তাতে ১ চা-চামচ ময়দা দিয়ে ভাজুন। স্যুপের পানি থেকে আধা কাপ তুলে তাতে দিয়ে মিশিয়ে ক্রিম তৈরি করুন। এবার পুরোটা ক্রিম স্যুপের সঙ্গে মিশিয়ে দিন ভালো করে। লেবুর রস দিয়ে দিন। নামিয়ে ধনে পাতা ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।


টুনা সালসা গ্রিলড স্যান্ডউইচ

ranna banna o beauty tips
টুনা সালসা গ্রিলড স্যান্ডউইচ
উপকরণ: পাউরুটি ৮ টুকরা। টুনা মাছের কিমা ২০০ গ্রাম। টমেটো বড় ৪টি। কাঁচামরিচ ৫টি। পেঁয়াজকুচি আধা কাপ। আদাকুচি এক চা-চামচ। ধনেপাতার কুচি ৪ চা-চামচ। তেল ২ টেবিল-চামচ। পনিরের টুকরা ৪টি। পানি আধা কাপ। লবণ স্বাদ মতো।

পদ্ধতি: একটা কড়াইতে অর্ধেক তেল গরম করে তাতে টুনা মাছের কিমা হালকা ভেজে নিন। তারপর সেই তেলেই পেঁয়াজ ভেজে নেবেন। অন্য আরেকটা হাঁড়িতে বাকি তেলটুকু নিয়ে তাতে আদাকুচি ভেজে নিন। এরপর এতেই টমেটোকুচি ও লবণ দিয়ে ভেজে সিদ্ধ করুন।
টমেটো সিদ্ধ হয়ে গেলে হাতে চালানো ব্লেন্ডার দিয়ে টমেটো ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন। ঘন হয়ে আসলে এতে মরিচকুচি এবং ধনেপাতাকুচি দিয়ে অল্প কিছুক্ষণ রেখে নামিয়ে নিন।

এই মিশ্রণ টুনা মাছের কিমা ও পেঁয়াজের কড়াইতে দিয়ে যতক্ষণ টমেটোটা মসলার মতো টুনা মাছের সঙ্গে মেখে না যায় ততক্ষণ রান্না করুন। রান্না হয়ে আসলে তেলটা মিশ্রণ থেকে আলাদা হয়ে যাবে।
পাউরুটির একটি স্লাইসের উপর পনিরের স্লাইস রেখে তার উপর টমেটোতে রান্না করা টুনা মাছের এক স্তর দিয়ে আরেকটি পাউরুটির স্লাইস দিয়ে ঢেকে দিন। এই স্যান্ডউইচ ইলেকট্রিক ওভেন বা স্যান্ডউইচ গ্রিল করার মেশিনে নিয়ে গ্রিল করে নিন।

সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

মুখরোচক মিষ্টান্ন গাজরের লাড্ডু

ranna banna o beauty tips
মুখরোচক মিষ্টান্ন গাজরের লাড্ডু
ছোট বড় সবারই পছন্দ মজাদার লাড্ডু। বাচ্চাদের যখন তখন বায়না মেটাতেও লাড্ডুর তুলনা হয় না। সবার পছন্দ বিবেচনায় বাজারেও পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রকার লাড্ডু। আপনার পরিবারের সদস্যদের এমন মুখরুচি লাড্ডু খাওয়াতে দোকানের ওপর নির্ভর না করলেও চলবে। নিজে বানাতে পারেন গাজরের লাড্ডু। অতিথি আপ্যায়নেও এটি মুখরোচক মিষ্টান্ন হতে পারে। তাই খুব সহজে গাজরের লাড্ডু বানানোর উপায় শিখে নিতে পারেন।

যা যা লাগবে

গাজর কুচি ২ কাপ, গুঁড়ো দুধ ১ কাপ, এলাচ ২টা, ঘি ৪ টেবিল চামচ, চিনি স্বাদমতো, কাজু বাদাম কুচি ১ আধা কাপ।

যেভাবে করবেন

  • প্রথমে গাজর কুচি সেদ্ধ করে নিতে হবে। 
  • এবার বাকি সব উপকরণ মিশিয়ে ভালোভাবে রান্না করতে হবে। 
  • গাজরের মিশ্রণে থাকা পানি একদম শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত মাঝারি আঁচে রান্না করতে থাকুন। 
  • মিশ্রণটি শুকিয়ে এলে নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। 
  • বেশি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে গাজরের মিশ্রণ শক্ত হয়ে যাবে এবং লাড্ডুর আকার দেয়া সম্ভব হবে না। হালকা গরম থাকা অবস্থায় দ্রুত হাতে লাড্ডু বানিয়ে নিতে হবে। 
  • খেতে সুস্বাদু করতে লাড্ডু বানিয়ে আবার গুঁড়ো দুধে গড়িয়ে নিন। 
  • সুন্দর কমলা রঙের লাড্ডু খেতেও অনেক মজার। 

অতিথি আপ্যায়ন বা নিজেদের খাওয়ার জন্য বেশ উপযোগী মিষ্টান্ন হতে পারে আপনার হাতে তৈরি গাজরের লাড্ডু।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.