মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

মজার পিঠা "জামাই আদর"

ranna banna o beauty tips
মজার পিঠা "জামাই আদর"
একেক অঞ্চলে পিঠার নামগুলো হয় একেক রকম। আর আমাদের এই বাংলাদেশে রকমারি পিঠার নামগুলোও কিন্তু ভারি বাহারি! চলুন, শীত ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই জেনেই নিই দারুণ একটি পিঠার রেসিপি। 

উপকরণ 
 ১. ডিম -২ টা ২. ময়দা -১ কাপ ৩. তরল দুধ -১/২ কাপ ৪. চিনি -১/২ কাপ ৫. তেল - ভাজার জন্য   

প্রনালী 
-প্রথমে পানে ১ টা ডিম পোচ করতে হবে।  
-এবার তেল বাদে বাকি সব উপকরণ এক সাথে মিশিয়ে মসৃন ব্যাটার তৈরি করতে হবে।  
-এবার কড়াইতে তেল গরম করে তাতে ডিম পোচটা ব্যাটারে ডুবিয়ে বাদামী করে ভাজতে হবে। 
- আবার পিঠাটা ব্যাটারে ডুবিয়ে আবার ভাজতে হবে। -
এই ভাবে ৪/৫ বার পিঠাটি ব্যাটারে ডুবিয়ে ভাজতে হবে।  
-এবার পিঠা ঠান্ডা হয়ে গেলে কেটে টুকরা করে পরিবেশন করতে হবে মজাদার জামাই আদর পিঠা ।  

সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

বিভিন্ন ধরনের মজাদার স্যুপ

ক্রিম অব টমেটো স্যুপ

উপকরণ:
চিকেন বা ভেজিটেবল স্টক ৩ কাপ, পাকা টমেটো মাঝারি ৬টি (হাতে কচলে নেওয়া), হেভি ক্রিম ১ কাপ (সুপারশপে পাবেন), লবণ ১ চা-চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, ধনে পাতা ও তুলসী পাতা সাজানোর জন্য ৫-৬টি।
ranna banna o beauty tips
ক্রিম অব টমেটো স্যুপ

প্রণালি: 
সসপ্যানে চিকেন স্টক ও টমেটো মিশিয়ে জ্বাল দিন। ফুটতে শুরু করলে হেভি ক্রিমটুকু ভালো করে মিশিয়ে দিয়ে চুলার জ্বাল কমিয়ে দিন। লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে ১৫ মিনিট অল্প জ্বালেই রাখুন। এবার ব্লেন্ডারে ঢেলে স্যুপ ভালোমতো ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিন এবং আরও ২ মিনিট কম জ্বালে রাখুন। পরিবেশন পাত্রে ঢেলে ধনে পাতা ও তুলসী পাতা সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

ক্যাবেজ অ্যান্ড উইংস স্যুপ

উপকরণ: 
মুরগির পাখনা ৪-৫টি, বাঁধাকপির পাতা ছোট কিউব করে কাটা ১ কাপ, বাটন মাশরুম ৬টি (৪ ভাগ করে নেওয়া), সয়াবিন তেল ১ চা-চামচ, সয়াসস ৩ টেবিল চামচ, লবণ আধা চা-চামচ বা স্বাদ অনুযায়ী, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, পানি ১ লিটার, তেল প্রয়োজনমতো।

ক্যাবেজ অ্যান্ড উইংস স্যুপ

প্রণালি: 
মুরগির পাখনাগুলো লবণ ও গোলমরিচ মাখিয়ে ১০ মিনিট ম্যারিনেট করুন। তারপর বাদামি করে তেলে ভাজুন। তাতে বাঁধাকপি ও মাশরুম দিয়ে দিন এবং ৩-৪ মিনিট মাঝারি আঁচে ভাজুন। এবার পানি ও সয়াসস দিয়ে ১৫ মিনিট ঢাকনাসহ জ্বাল দিন মৃদু আঁচে। লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে দিন। নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

রাইস অ্যান্ড ফিশ স্যুপ

উপকরণ: 
বাসমতী বা পোলাওয়ের চাল ১ কাপ, পানি ২ কাপ, ১টি লেবুর খোসার সবুজ অংশটুকু কোরানো (লেমন জেস্ট) এবং সেই লেবুটির রস, চিকেন স্টক ৪ কাপ, তেলাপিয়া বা কোরাল মাছের ফিলে আধা কেজি, খোসা ছাড়ানো চিংড়ি আধা কাপ, জুলিয়ান কাট গাজর ১ কাপ, পুদিনা পাতা ৮-১০টি, লবণ ১ চা-চামচ বা স্বাদমতো।
ranna banna o beauty tips
রাইস অ্যান্ড ফিশ স্যুপ

প্রণালি: 
চাল ধুয়ে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন এবং ২ কাপ পানি চুলায় গরম হতে দিন। পানিতে বলক এসে গেলে চালের পানি ছেঁকে ভাত ফুটিয়ে নিন। হয়ে গেলে তাতে লেবুর রস ও লেমন জেস্ট দিয়ে মিশিয়ে ঢেকে রাখুন। গাজর ভাপিয়ে রাখুন।

এবার আলাদা একটি হাঁড়িতে চিকেন স্টক জ্বাল দিন। তাতে ফিশ ফিলে আর চিংড়ি দিয়ে ৪-৫ মিনিট রেখে লবণ দিন। সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন। এবার ৪টি স্যুপের বাটিতে রান্না করা ভাত সাজিয়ে এক পাশে গাজর দিন ও পরিমাণমতো স্যুপ ঢেলে দিন। মাছের ফিলেগুলো চামচ দিয়ে ছোট করে তাতে দিয়ে দিন। ওপরে পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

চিকেন ডাম্পলিং স্যুপ

উপকরণ: 
সয়াবিন তেল ২ টেবিল চামচ, ১টি পেঁয়াজ বড় করে কুচি করা, গাজর ২টি ছোট ছোট কিউব করে কাটা, সেলেরি ছোট ছোট করে কাটা ১ কাপ, ১টি মুরগির বুকের মাংস, তেজপাতা ২টি, মাখন ৪ টেবিল চামচ, পাতলা দুধ আধা কাপ, ময়দা আধা কাপ থেকে পৌনে ১ কাপ ও ১ চামচ, চিকেন স্টক ৪ থেকে ৬ কাপ, মটরশুঁটি আধা কাপ, মাশরুম কুচি আধা কাপ, লবণ ১ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ।
চিকেন ডাম্পলিং স্যুপ

প্রণালি: 
৬ কাপ পানিতে মুরগির মাংস এবং তেজপাতা দিয়ে অন্তত ৪৫ মিনিট ঢেকে সেদ্ধ করে স্টক বানিয়ে রাখুন। স্টক থেকে মাংস উঠিয়ে হাত দিয়ে ছিঁড়ে নিন।
দুধের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ মাখন গরম করে ময়দার সঙ্গে গুলিয়ে খামির বানান। ১ চিমটি লবণ দিতে হবে। এবার সোয়া ইঞ্চি পুরু করে রুটি বেলে নিন। ভেজা পাতলা কাপড় দিয়ে ২৫ মিনিট ঢেকে রাখুন। এরার রুটিটা বরফি আকারে কেটে নিন ১ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য-প্রস্থ করে। এটাকেই বলে ডাম্পলিং।
সসপ্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ, গাজর আর সেলেরি ভেজে নিন ৫ মিনিট। এবার চিকেন স্টক ঢেলে তাতে মটরশুঁটি, মাশরুম, লবণ, গোলমরিচ দিয়ে দিন। ফুটে উঠলে ডাম্পলিংগুলো ছেড়ে ঢেকে দিন। দু মিনিট পর মুরগির মাংস দিয়ে জ্বাল কমিয়ে ঢেকে দিন।

আলাদা প্যানে ২ টেবিল চামচ মাখন গরম করে তাতে ১ চা-চামচ ময়দা দিয়ে ভাজুন। স্যুপের পানি থেকে আধা কাপ তুলে তাতে দিয়ে মিশিয়ে ক্রিম তৈরি করুন। এবার পুরোটা ক্রিম স্যুপের সঙ্গে মিশিয়ে দিন ভালো করে। লেবুর রস দিয়ে দিন। নামিয়ে ধনে পাতা ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।


টুনা সালসা গ্রিলড স্যান্ডউইচ

ranna banna o beauty tips
টুনা সালসা গ্রিলড স্যান্ডউইচ
উপকরণ: পাউরুটি ৮ টুকরা। টুনা মাছের কিমা ২০০ গ্রাম। টমেটো বড় ৪টি। কাঁচামরিচ ৫টি। পেঁয়াজকুচি আধা কাপ। আদাকুচি এক চা-চামচ। ধনেপাতার কুচি ৪ চা-চামচ। তেল ২ টেবিল-চামচ। পনিরের টুকরা ৪টি। পানি আধা কাপ। লবণ স্বাদ মতো।

পদ্ধতি: একটা কড়াইতে অর্ধেক তেল গরম করে তাতে টুনা মাছের কিমা হালকা ভেজে নিন। তারপর সেই তেলেই পেঁয়াজ ভেজে নেবেন। অন্য আরেকটা হাঁড়িতে বাকি তেলটুকু নিয়ে তাতে আদাকুচি ভেজে নিন। এরপর এতেই টমেটোকুচি ও লবণ দিয়ে ভেজে সিদ্ধ করুন।
টমেটো সিদ্ধ হয়ে গেলে হাতে চালানো ব্লেন্ডার দিয়ে টমেটো ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন। ঘন হয়ে আসলে এতে মরিচকুচি এবং ধনেপাতাকুচি দিয়ে অল্প কিছুক্ষণ রেখে নামিয়ে নিন।

এই মিশ্রণ টুনা মাছের কিমা ও পেঁয়াজের কড়াইতে দিয়ে যতক্ষণ টমেটোটা মসলার মতো টুনা মাছের সঙ্গে মেখে না যায় ততক্ষণ রান্না করুন। রান্না হয়ে আসলে তেলটা মিশ্রণ থেকে আলাদা হয়ে যাবে।
পাউরুটির একটি স্লাইসের উপর পনিরের স্লাইস রেখে তার উপর টমেটোতে রান্না করা টুনা মাছের এক স্তর দিয়ে আরেকটি পাউরুটির স্লাইস দিয়ে ঢেকে দিন। এই স্যান্ডউইচ ইলেকট্রিক ওভেন বা স্যান্ডউইচ গ্রিল করার মেশিনে নিয়ে গ্রিল করে নিন।

সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

মুখরোচক মিষ্টান্ন গাজরের লাড্ডু

ranna banna o beauty tips
মুখরোচক মিষ্টান্ন গাজরের লাড্ডু
ছোট বড় সবারই পছন্দ মজাদার লাড্ডু। বাচ্চাদের যখন তখন বায়না মেটাতেও লাড্ডুর তুলনা হয় না। সবার পছন্দ বিবেচনায় বাজারেও পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রকার লাড্ডু। আপনার পরিবারের সদস্যদের এমন মুখরুচি লাড্ডু খাওয়াতে দোকানের ওপর নির্ভর না করলেও চলবে। নিজে বানাতে পারেন গাজরের লাড্ডু। অতিথি আপ্যায়নেও এটি মুখরোচক মিষ্টান্ন হতে পারে। তাই খুব সহজে গাজরের লাড্ডু বানানোর উপায় শিখে নিতে পারেন।

যা যা লাগবে

গাজর কুচি ২ কাপ, গুঁড়ো দুধ ১ কাপ, এলাচ ২টা, ঘি ৪ টেবিল চামচ, চিনি স্বাদমতো, কাজু বাদাম কুচি ১ আধা কাপ।

যেভাবে করবেন

  • প্রথমে গাজর কুচি সেদ্ধ করে নিতে হবে। 
  • এবার বাকি সব উপকরণ মিশিয়ে ভালোভাবে রান্না করতে হবে। 
  • গাজরের মিশ্রণে থাকা পানি একদম শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত মাঝারি আঁচে রান্না করতে থাকুন। 
  • মিশ্রণটি শুকিয়ে এলে নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। 
  • বেশি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে গাজরের মিশ্রণ শক্ত হয়ে যাবে এবং লাড্ডুর আকার দেয়া সম্ভব হবে না। হালকা গরম থাকা অবস্থায় দ্রুত হাতে লাড্ডু বানিয়ে নিতে হবে। 
  • খেতে সুস্বাদু করতে লাড্ডু বানিয়ে আবার গুঁড়ো দুধে গড়িয়ে নিন। 
  • সুন্দর কমলা রঙের লাড্ডু খেতেও অনেক মজার। 

অতিথি আপ্যায়ন বা নিজেদের খাওয়ার জন্য বেশ উপযোগী মিষ্টান্ন হতে পারে আপনার হাতে তৈরি গাজরের লাড্ডু।

স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করবে এই ৭টি খাবার

ranna banna o beauty tips
স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করবে এই ৭টি খাবার
ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। হলিউড কাঁপানো বিশ্বখ্যাত নায়িকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। স্তন ক্যান্সার মূলত দুটি কারণে হয়ে থাকে- পরিবর্তনযোগ্য কারণসমূহ এবং অপরিবর্তনযোগ্য কারণসমূহ। জেনেটিক কারণ, বংশগত কারণ, ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাব ইত্যাদি অপরিবর্তনযোগ্য কারণ।  বক্ষবন্ধনী বা ব্রা সর্বক্ষণ পড়ে থাকা, ভুল সাইজের বক্ষবন্ধনী পড়া, দেরী করে সন্তান জন্মদান, অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া, শারীরিক পরিশ্রম একেবারেই না করা ইত্যাদি পরিবর্তনযোগ্য কারণসমূহের মধ্যে পড়ে। কিছু খাবার আছে যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই খাবারগুলো রাখুন।
১। ব্রোকলি

ব্রোকলিতে সালফ্রোফেইন নামক উপাদান আছে যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। এটি স্তনে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে প্রতিরোধ করে থাকে। প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় ব্রোকলি রাখুন।
২। মাশরুম

মাশরুম খাবারটি অনেকে পছন্দ করেন আবার অনেকে অপছন্দ করে। কিন্তু Nutrition and Cancer in 2010 সালের প্রকাশিত সমীক্ষায় দেখা গেছে মাশরুম খাওয়া স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকখানি হ্রাস করে থাকে। মাশরুমে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্টসমূহ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
৩। ডালিম

যুক্তরাষ্ট্রের City of Hope’s Beckman Research Institute বৈজ্ঞানিকদের মতে ডালিমে এ্যালাজিক অ্যাসিড, অ্যান্টি অক্সিডেন্টসমূহ যা ক্যান্সার সৃষ্টি করা এনজাইমকে প্রতিরোধ করে থাকে। ডালিম শুধু ক্যান্সার নয় হৃদরোগের ঝুঁকিও হ্রাস করে থাকে। প্রতিদিন ২৫০ মিলিলিটার ডালিমের রস পান বা অর্ধেকটি ডালিম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৪। পালং শাক

মেনোপজের আগে নারীরা স্তন ক্যান্সার হওয়ার সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন। পালং শাকে হজমযোগ্য আঁশ আছে যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
৫। ডিম

ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে কারো কোন সন্দেহ নেই। এই ডিম স্তন ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে থাকে। কোলিন নামক উপাদান ২৪% পর্যন্ত ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের জরিপ অনুসারে ডিমের কুসুমে থাকা উপাদানটি স্তন কোষের কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করে থাকে। U.S. Institute of Medicine এর মতে প্রতিটি নারীর ৪২৫ মিলিগ্রাম কোলিন খাওয়া উচিত, একটি বড় ডিমে ১২৬ মিলিগ্রাম কোলিন থাকে।
। দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার

ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার দুধ। এই দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার ১৯% পর্যন্ত স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
৭। স্যামন মাছ

স্যামন মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় স্যামন মাছ রাখুন। শুধু স্যামন মাছই নয় বরং সবরকমের সামুদ্রিক মাছ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
সচেতনতাই পারে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে। একটু সচেতন হন আর দূরে থাকুন মরণব্যাধি স্তন ক্যান্সার থেকে।

বাধাকপি দিয়ে বুটের ডাল

ranna banna o beauty tips
বাধাকপি দিয়ে বুটের ডাল 
শীতের অন্যতম একটি সবজি হল বাঁধাকপি। শীতকালে প্রায় সব বাসায় বাঁধাকপি ভাজি করা হয়। এমনকি বাঁধাকপি দিয়ে তরকারিও রান্না করা হয়ে থাকে! বাঁধাকপি কখনও বুটের ডাল দিয়ে ভাজি করেছেন? একটু ভিন্ন স্বাদের এই ভারতীয় ভাজি করে দেখতে পারেন। ভাত, পোলাও বা রুটি সবকিছুর সাথে খেতে দারুন লাগবে এই ভাজিটি।
উপকরণ:
২৫০ গ্রাম বাঁধাকপি কুচি
১/২ কাপ ভেজানো বুটের ডাল
২-৩ টেবিল চামচ তেল
১/২ চা চামচ সরিষা
১ চা চামচ জিরা
১ চিমটি হিং
৬-৮ টি কারিপাতা
১/৪ চা চামচ হলুদের গুঁড়ো
১ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
২ চা চামচ ধনিয়া-জিরা গুঁড়ো
লবণ স্বাদমত
১/২ চা চামচ চিনি
২ টেবিল চামচ নারকেল কুচি
প্রণালী:
১। বুটের ডাল ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। কিংবা সারারাতও ভিজিয়ে রাখতে পারেন।
২। একটি  প্যানে তেল গরম করতে দিন।
৩। তেল গরম হয়ে এলে এতে সরিষা দিয়ে দিন। সরিষা ফুটে উঠলে এতে জিরা, হিং এবং কারি পাতা দিয়ে কয়েক সেকেন্ড নাড়ুন।
৪। এবার এতে ভেজানো বুটের ডাল দিয়ে দুই-তিন মিনিট নাড়ুন।
৫। তারপর এতে হলুদের গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, ধনিয়া-জিরা গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে নাড়ুন।
৬। এবার এতে বাঁধাকপি কুচি দিয়ে অল্প আঁচে ২ থেকে ৩ মিনিট রান্না করুন।
৭। লবণ এবং চিনি ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৮। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করুন।
৯। ডাল সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত অল্প আঁচে রান্না করুন।
১০। নারকেল কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার বাঁধাকপি বুটের ডাল ভাজি।

রবিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৬

ব্রণের দাগমুক্ত ত্বকের জন্য

ranna banna o beauty tips
ব্রণের দাগমুক্ত ত্বকের জন্য
উজ্জ্বল ত্বকের ঝিলিক কার না ভালো লাগে। কিন্তু চাওয়ার সঙ্গে পাওয়ার মিল থাকে না অধিকাংশ সময়। নিয়মিত নামী-দামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী ব্যবহার করেও মুখে থাকা ব্রণের দাগ দূর করা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ খুব সহজেই হাতের কাছে পাওয়া উপাদান দিয়ে আপনার ত্বকের যত্ন নেয়া সম্ভব। এসবের সঠিক ব্যবহারে আপনি পেতে পারেন ব্রণের দাগমুক্ত নরম, কোমল, সুন্দর ত্বক। আর তাই..

- শশার রস, সামান্য চালের গুঁড়া, এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এটি স্ক্রাবারের কাজ করবে। সপ্তাহে মাত্র দুই দিন এই প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার হবে। ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর হয়ে যাবে। খেয়াল রাখতে হবে, ব্রণ থাকলে স্ক্রাব করা যাবে না।

- কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো ব্রণের জন্য খুবই কার্যকর উপাদান। সমপরিমাণ বাটা কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো আর পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করতে হবে। মিশ্রণটি এরপর ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র ব্রণদূর করার কাজ করে না বরং ব্রণের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে।

- আপেল এবং মধুর মিশ্রণ হচ্ছে ব্রণের দাগ দূর করার সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া পদ্ধতি। প্রথমে আপেলের পেষ্ট তৈরি করে তাতে ৪ থেকে ৬ ফোটা মধু মেশাতে হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখে এবং মুখের রঙ উজ্জ্বল করে। সপ্তাহে ৫ থেকে ৬ বার এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি কয়েকদিনের মধ্যে পরিবর্তনটা অনুভব করতে পারবেন।

- ব্রণের জন্য তুলসি পাতার রস খুব উপকারী। শুধুমাত্র তুলসি পাতার রস ব্রণ আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

- প্রথমে চন্দন কাঠের গুড়োঁর সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এরপর তাতে ২ থেকে ৩ ফোটা লেবুর রস মিশাণ। গোলাপ জলের পরিবর্তে মধুও ব্যবহার করতে পারেন। এই মিশ্রণ আপনার ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে। সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন ব্যবহার করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

- গোলাপজলের নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ কমে যায়। দারুচিনি গুঁড়ার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ব্রণের ওপর লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের সংক্রমণ, চুলকানি এবং ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.