বুধবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৬

অন্যরকম স্ন্যাক্স মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় খাবার হামুস এবং ফালাফাল

ranna banna o beauty tips
অন্যরকম স্ন্যাক্স মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় খাবার হামুস এবং ফালাফাল
মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় একটি খাবার ফালাফাল। এর সাথে একটি সস খাওয়া হয়, যার নাম হামুস। হামুস এবং ফালাফাল ছোলার ডাল দিয়ে তৈরি একটি খাবার। একটু ভিন্ন স্বাদের এই খাবারটি খেতে দারুন। আলুর চপ, ডিম চপ, ডালের বড়া খেতে খেতে একঘেয়েমি ধরে গেছে? একঘেয়েমি দূর করে দিবে মধ্যপ্রাচ্যের মজাদার ফালাফাল এবং হামুস।
উপকরণ:

হামুস তৈরির জন্য  
২ কাপ সিদ্ধ ছোলার ডাল
১ কাপ তিল
১ কাপ অলিভ অয়েল
৩-৪ কোয়া রসুনের কোয়া
লবণ
লেবুর রস
ফালাফাল তৈরির জন্য
১ কাপ ভেজা ছোলার ডাল
১/২ কাপ পার্সলি পাতা কুচি
১টি মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ কুচি
৩টি রসুন কুচি
লবণ স্বাদমত
১/২ চা চামচ খাবার সোডা
তেল ভাজার জন্য
সাজানোর জন্য
১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
পাপরিকা বা শুকনা মরিচ গুঁড়ো
কিছু সিদ্ধ ছোলার ডাল
প্রণালী:

১। খুব ভাল করে ছোলার ডাল সিদ্ধ করে নিন।
২। এবার ছোলার ডাল, তিল, অলিভ অয়েল, রসুনের কোয়া, লবণ এবং লেবুর রস দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। আপনি বেশি পাতলা করতে চাইলে পানি দিবেন না, আরও একটু অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিবেন।
৩। তারপর হামুস একটি পাত্রে ঢেলে সামান্য অলিভ অয়েল দিয়ে এক ঘন্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন।
৪। এখন ফালাফাল তৈরি করুন।
৫। সিদ্ধ ছোলার ডাল, পার্সলি পাতা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, ধনে পাতা কুচি, লবণ, জিরা, রসুন কুচি, এবং খাওয়ার সোডা দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
৬। মাঝারি আঁচে তেল গরম করতে দিন। এরপর এতে ডালের মিশ্রণ দিয়ে ছোট ছোট বল বা চ্যাপ্টা বড়ার মত করে তেলে দিয়ে  দিন।
৭। বাদামী রং হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন।
৮। হামুসের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার ফলাফল।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে-

ডিম ছাড়াই হবে ফ্রেঞ্চ টোস্ট

ranna banna o beauty tips
ডিম ছাড়াই হবে ফ্রেঞ্চ টোস্ট 
ব্রেকফাস্টে ঝটপট ফ্রেঞ্চ টোস্ট অথবা বোম্বে টোস্ট পছন্দ করেন অনেকেই। ডিমে ডুবিয়ে হালকা তেলে ভেজে তোলা পাউরুটি নিমেষেই হয়ে পড়ে মুখরোচক একটি নাশতা। কিন্তু যারা ডিম খেতে পারেন না তারা কী করবেন? চলুন, দেখে নেই একেবারে ডিম ছাড়া ফ্রেঞ্চ টোস্ট তৈরির একটি রেসিপি।
উপকরণ

-   ৪ স্লাইস বড় পাউরুটি
-   ১ কাপ দুধ
-   ২ চা চামচ চিনি (অথবা স্বাদমতো)
-   ভাজার জন্য মাখন
-   ২ চা চামচ কাস্টার্ড পাউডার
প্রণালী

১) একটা বোলে মিশিয়ে নিন কাস্টার্ড পাউডার এবং অল্প করে দুধ। ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন, মিশ্রণটা যেন বেশ মসৃণ হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
২) বাকি দুধটুকু গরম করুন। এর সাথে মিশিয়ে নিন চিনি। এরপর কাস্টার্ড পাউডারের পেস্ট এর সাথে মিশিয়ে নিন।
৩) রান্না করতে থাকুন যতক্ষণ না বেশ ঘন হয়ে আসে এই মিশ্রণ। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে রাখুন।
৪) একটা নন-স্টিক কড়াই বা তাওয়া গরম করে নিন। এর ওপরে মাখিয়ে নিন মাখন। পাউরুটির দুই দিকেই সমান করে কাস্টার্ড পেস্ট মাখিয়ে নিন। এরপর তাওয়ায় ভেজে নিন। একদিক ভাজা হলে উল্টে অন্যদিকে ভেজে নিন।
ব্যাস তৈরি হয়ে গেলো আপনার ডিম-ছাড়া ফ্রেঞ্চ টোস্ট। পরিবেশন করুন গরম গরম।
টিপস
-   এটা ডিম দিয়ে তৈরি করা ফ্রেঞ্চ টোস্টের মতো বাদামি হবে না। হলদে-সোনালি হয়ে উঠবে ভাজার পর।
-   সার্ভ করতে পারেন ওপরে চকলেট সস বা ম্যাপল সিরাপ ছড়িয়ে।


প্রেসার কুকারে তৈরি করে ফেলুন মজাদার পাঁচমিশালী খিচুড়ি

ranna banna o beauty tips
পাঁচমিশালী খিচুড়ি
শীতের দিন দুপুরে একটু খিচুড়ি আর গরুর ভুনা খেতে পারলে দারুন লাগে। খিচুড়ি আমরা কম বেশি সবাই রান্না করতে পারি। সাধারণত ডাল, চাল মিশিয়ে আমরা খিচুড়ি রান্না করে থাকি। ডাল, চাল এবং সবজি মিশিয়ে রান্না করে নিতে পারেন, একটু ভিন্ন স্বাদের মজাদার পাঁচমিশালী খিচুড়ি। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মজাদার পাঁচমিশালী খিচুড়ির প্রণালীটি।
উপকরণ:

১.৫ কাপ বাসমতী চাল
১ টেবিল চামচ মসুর ডাল  
১ টেবিল চামচ ছোলার ডাল
১ টেবিল চামচ মুগ ডাল
১ টেবিল চামচ অড়হর ডাল
২ টেবিল চামচ ঘি
১ চা চামচ জিরা
১ চা চামচ আদা কুচি
১/৪ কাপ পেঁয়াজ কিউব করে কাটা
১/২ কাপ বাঁধাকপি কিউব করে কাটা
৩/৪ কাপ ফুলকপি
১/২ কাপ আলু কিউব করে কাটা
১/২ কাপ মটরশুঁটি
১ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো
১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
২ চামচ ধনিয়া জিরা গুঁড়ো
১/২ কাপ টমেটো কুচি
লবণ স্বাদমত
প্রণালী:

১। চাল এবং ডাল ১৫ মিনিট একটি পাত্রে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন।
২। এবার প্রেশার কুকারে ঘি এবং জিরা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।
৩। এরপর এতে আদা রসুন দিয়ে মাঝারি আঁচে ১ মিনিট ভাজুন।
৪। আদা রসুন নরম হয়ে এলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে আবার ১ মিনিট নাড়ুন।
৫। এতে বাঁধাকপি, ফুলকপি, আলু এবং মটরশুঁটি দিয়ে মাঝারি আঁচে ২ মিনিট রান্না করুন।
৬। লাল মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, ধনিয়া-জিরা গুঁড়ো, টমেটো কুচি, চাল, ডাল, লবণ এবং ৩ কাপ গরম পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন। প্রেশার কুকারে ২ বার হুইসেলের জন্য অপেক্ষা করুন।
৭। ব্যস তৈরি হয়ে গেল পাঁচমিশালী খিচুড়ি। ৬ জন মানুষের পরিবেশনযোগ্য।

মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৬

পুঁইপাতা ভাজি

ranna banna o beauty tips
পুঁইপাতা ভাজি
উপকরণ: ছোলার ডালের বেসন দেড় কাপ। চালের গুঁড়া আধা কাপ। মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ। পুঁইশাকের পাতা বড় বড় ৭,৮টি। হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ। বেইকিং পাউডার ১ চা-চামচ। পেঁয়াজবাটা ১ চা-চামচ। রসুনবাটা আধা চা-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। তেল (ভাজার জন্য) পরিমাণ মতো।

পদ্ধতি: সব উপকরণ মিলিয়ে পানিতে দিয়ে থকথকে গোলা করে এক ঘণ্টা ঢেকে রাখতে হবে।

কড়াইয়ে তেল গরম করতে দিন। পুঁইশাকের পাতা দুতিনটি একসঙ্গে নিয়ে বেসনের গোলায় ডুবিয়ে, গরম ডুবো তেলে ছেড়ে দিন। মচমচে বাদামি রং করে ভাজতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে পরিবেশন করুন।

স্প্যানিশ অমলেট

ranna banna o beauty tips
স্প্যানিশ অমলেট
উপকরণ: ২টি মাঝারি আকারের আলু। ৩টি ডিম। ১টি বড় পেঁয়াজ। ১ কাপ অলিভ অয়েল। ১ চা-চামচ গোলমরিচ গুঁড়া। স্বাদ মতো লবণ। সামান্য ধনেপাতা ও গাজরকুচি (ইচ্ছা)।

পদ্ধতি: আলু ছিলে পাতলা ছোট ছোট করে কাটুন। পেঁয়াজ মোটা করে ঝুরি করে নিন। তেল গরম করে, আলুগুলো ভাজতে থাকুন। সামান্য লবণ ছিটিয়ে দিন।

আলু যখন প্রায় সিদ্ধ হয়ে যাবে তখন পেঁয়াজকুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন। দুই মিনিট পর তেল থেকে আলু ও পেঁয়াজ ছেঁকে তুলে নিন।

এবার আলাদা পাত্রে ডিম, লবণ, গাজরকুচি, ধনেপাতা এবং গোলমরিচ ফেটিয়ে এরমধ্যে ভাজাআলু ও পেঁয়াজ মেশান।
কড়াইতে সামান্য তেল গরম করে তাতে মিশ্রণটা ঢেলে দিন। ঢেকে দিয়ে অল্প আঁচে ভাজুন। হয়ে গেলে পছন্দ মতো সালাদ দিয়ে পরিবেশন করুন।

সরষে ভাপা রুই

ranna banna o beauty tips
সরষে ভাপা রুই
উপকরণ: রুই মাছ ৫ টুকরা। পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল-চামচ। আদাবাটা আধা টেবিল-চামচ। রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ। সরিষাবাটা ১ টেবিল-চামচ। কাঁচামরিচ বাটা ২,৩টি। ধনেপাতা-বাটা ১ টেবিল-চামচ। সরিষার তেল ৪ টেবিল-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। কাঁচামরিচ ও ধনেপাতা ইচ্ছা মতো।

পদ্ধতি: মাছ ধুয়ে পরিষ্কার করে ভালো করে পানি ঝরিয়ে রাখুন।

প্যানে তেল দিয়ে গরম হলে, মাছগুলো শুধু লবণ দিয়ে মাখিয়ে দুই পাশে দুই মিনিট ভেজে নিন। তাতে স্বাদ বেড়ে যাবে কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যেন না ভাঙে। এবার উঠিয়ে রাখুন।
 কি তেলে পেঁয়াজবাটা বাদামি করে ভেজে একে একে বাকি সব মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন যেন পানি না থাকে।
এবার প্যানে মাছগুলো ভালো করে বিছিয়ে নিন। কষাণো মশলা আস্তে আস্তে মাছের উপর ছড়িয়ে দিন। উপর দিয়ে কাঁচামরিচ ফালি আর ধনেপাতার কুচি দিয়ে ভালো করে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন, যেন ভাপ বের হতে না পারে।

চুলায় তাওয়া গরম করে তার উপর প্যান বসিয়ে দিন। মাছ হয়ে গেলে নামিয়ে পরিবেশন করুন ।

শীতেও ঝলমলে চুল

ranna banna o beauty tips
শীতেও ঝলমলে চুল
কয়েক দিন ধরেই জেঁকে বসেছে শীত৷ এই সময় ঠান্ডা পানিতে চুল ভেজানো তো এক দুরূহ কাজই বটে৷ গোসল করতে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা হয়, তাতেও চুলের বারোটা বাজতে দেরি হয় না৷ স্বাভাবিকভাবেই চুলের তাপমাত্রার চেয়ে গরম পানির তাপমাত্রা বেশি হয়ে থাকে৷ যে কারণে চুল আরও শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ হয়ে যায়৷ আবার নিয়মিত চুলটা না ধুলেও তো দেখা দেয় নানা সমস্যা৷ এ জন্য গোসলের আগে চুলে শাওয়ার ক্যাপ পরে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন হারমোনি স্পার রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা৷ তিনি বললেন, ‘গোসল শেষে কুসুম গরম পানিটাকে আরেকটু ঠান্ডা করে নিন৷ এবার শাওয়ার ক্যাপ খুলে ভালো করে চুলগুলোকে ধুয়ে নিন৷ সবশেষে এক মগ হালকা কুসুম গরম পানিতে এক চা-চামচ ভিনেগার দিয়ে চুলগুলোকে আবারও ধুয়ে নিন৷ ভিনেগারের গন্ধ যাঁদের পছন্দ নয় তাঁরা অবশ্য লেবুর রসও ব্যবহার করতে পারেন৷ এতে গরম পানিতে গোসল করলেও চুল আর রুক্ষ হওয়ার ভয় থাকবে না৷

যাঁদের চুল প্রকৃতিগতভাবেই একটু শুষ্ক প্রকৃতির শীতের সময়টা তাঁদের একটু বেশিই ঝামেলা পোহাতে হয়৷ কারণ ঠান্ডার সময় চুলে প্যাক লাগালে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ তাই শীতের সময় চুলের রুক্ষতা দূর করতে এমন প্যাক বেছে নিতে হবে যেগুলো ধুতে খুব বেশি পানির প্রয়োজন হয় না৷ শীতে চুলের যত্নে মেহেদির প্যাকগুলো এড়িয়ে যাওয়াই ভালো৷ এর পরিবর্তে যাদের চুল একটু লম্বা তারা সপ্তাহে এক দিন পরিমাণমতো দুধ, মধু আর লেবুর রস মিলিয়ে লাগাতে পারেন৷ একটা কলার সঙ্গে আধা কাপ টক দই ভালো করে পেস্ট করে লাগাতে পারেন মাঝারি দৈর্ঘ্যের চুলে৷ তবে যেকোনো প্যাক ব্যবহারের আগে তা হালকা গরম করে নিন৷ শীতের সময় কোনো প্যাকেই চুলে ২০ মিনিটের বেশি রাখবেন না৷ চুলে তেল লাগিয়ে সারা রাত রাখলে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে৷ তাই তেল গরম করে নিয়ে গোসলের আধা ঘণ্টা আগে চুলে লাগান৷ এরপর শ্যাম্পু করে নিন৷ চুল ধুতে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার-সমৃদ্ধ শ্যাম্পু বেছে নিন৷ শীতকালে চুল রুক্ষ হওয়া ছাড়াও আরেকটা সমস্যা বেশ দেখা দেয় অনেকের৷ তা হলো চুলের ডগা ফেটে যাওয়া৷ এদিকে আবার অনেকেরই ধারণা যে শীতে চুল কাটলে সেই চুল আর লম্বা হবে না৷
রাহিমা সুলতানা জানালেন, এটা একেবারেই একটা ভুল ধারণা৷ বরং শীতে আগা ছাঁটলেই চুল আরও সুন্দর করে বেড়ে ওঠে৷ তাই চুল ফেটে গেলে সঙ্গেই সঙ্গেই ছেঁটে ফেলার পরামর্শ দিলেন এই রূপবিশেষজ্ঞ৷

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.