বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৬

নাস্তায় হয়ে যাক আলু দিয়ে মজাদার মুগডাল ভুনা

ranna banna o beauty tips
নাস্তায় হয়ে যাক আলু দিয়ে মজাদার মুগডাল ভুনা
সকাল সকাল গরম গরম রুটির চাইতে ভালো খেতে কী আছে? স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হলে খেয়ে দেখতে পারেন লাল আটার রুটি। অনেক বাড়িতেই আবার খাওয়া হয় গরম গরম ভাত। রুটি কিংবা ভাত, আপনার সকালের মেন্যুতে যাই থাকুক না কেন, সায়মা সুলতানার এই মুগডালের খাবারটি খেতে লাগবে চমৎকার। চলুন, আলু দিয়ে মজাদার মুগডাল রান্নার রেসিপিটি জেনে নিই।  
যা লাগবে 
  • মুগ ডাল ১ কাপ 
  • সিদ্ধ আলু ১ কাপ 
  • হলুদ হাফ চা চামচ 
  • মরিচ গুঁড়ো ২ চা চামচ
  • ধনিয়া গুঁড়ো ১ চা চামচ 
  • জিরা গুঁড়ো হাফ চা চামচ 
  • আদা বাটা ২ চা চামচ 
  • আস্ত জিরা ১ চা চামচ 
  • আস্ত সরিষা হাফ চা চামচ 
  • আদা মিহি কুচি ১ চা চামচ 
  • মরিচ কুচি  ধনিয়া পাতা কুচি 
  • ঘি ২ টেবিল চামচ
  • লবণ পরিমান মত 
প্রনালি 
প্রথমে একটা প্যানে মুগ ডাল নিয়ে হালকা লাল করে ভেজে নিন। -এবার এই ভাজা ডালের সাথে লবণ , হলুদ-মরিচ-ধনিয়া-জিরা গুঁড়ো,আদা-রশুন বাটা , আড়াই কাপ গরম পানি দিয়ে সিদ্ধ বসিয়ে দিন। -ডাল সিদ্ধ হয়ে আসলে এতে সিদ্ধ আলু গুলিকে হাতে ভেঙে ডালের উপর ছিটিয়ে দিয়ে আরেকটু পানি দিয়ে রান্না করুন আর ১৫ মিনিট। -এবার একটা প্যানে ঘি নিয়ে এতে আস্ত জিরা, সরিষা দিয়ে ফুটে উঠলে ডাল এর উপর ফোঁড়ন দিন। -ফোঁড়ন এর পর আদা কুচি,মরিচ কুচি , বেশি করে ধনিয়া পাতা কুচি ছিটিয়ে দিন। আর ১ থেকে ২ মিনিট কম আঁচে রান্না করে নামিয়ে নিন। -রুটি,নান কিনবা ভাতের সাথে পরিবেশন করুন। 

বুধবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৬

একেবারেই নতুন একটি খাবার হরিয়ালি কোফতা

ranna banna o beauty tips
 হরিয়ালি কোফতা
মাছ মাংসের কোফতা খেয়েছি আমরা সবাই। কিন্তু শাকের কোফতা, তাও আবার দারুন মুখরোচক এক গ্রেভিতে? হ্যা, পালং শাক এবং ধনেপাতার মতো স্বাস্থ্যকর সবুজে তৈরি হবে এই কোফতা। এক ঘণ্টারও কম সময়ে তৈরি হয়ে যাবে এই রান্নাটা, আর স্বাদের তারিফ কুড়োবেন আপনিই!।
উপকরণ

অনিয়ন পেস্টের জন্য
-   পৌনে দুই কাপ পিয়াজ কুচি
-   সিকি কাপ কাজু বাদাম
-   ৭ কোয়া রসুন
-   ২ টেবিল চামচ মিষ্টি কুমড়ার বিচি
-   আধা ইঞ্চি আদা
গ্রেভির জন্য
-   ৩ টেবিল চামচ তেল
-   ৩টা এলাচ
-   ৩টা লবং
-   ১ টেবিল চামচ কাচামরিচ কুচি
-   আধা চা চামচ গরম মশলা
-   পৌনে এক কাপ দই
-   ২ টেবিল চামচ ক্রিম
-   লবন স্বাদমতো
কোফতার জন্য
-   দেড় কাপ সেদ্ধ আলু
-   পৌনে এক কাপ ধনেপাতা কুচি
-   পৌনে এক কাপ পালং শাক কুচি
-   ২ চা চামচ কাচামরিচের পেস্ট
-   আধা চা চামচ গরম মশলা
-   ২ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার
-   লবন স্বাদ মতো
-   ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল
অন্যান্য উপকরণ
-   আধা চা চামচ মরিচ গুড়ো
-   ২ টেবিল চামচ ফ্রেশ ক্রিম
-   অল্প একটু জাফরান
-   ১ টেবিল চামচ দুধ
-   ১ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি (গার্নিশের জন্য)
প্রণালী

১) অনিয়ন পেস্টের জন্য সব উপকরণ এবং দেড় কাপ পানি একটা কড়াইতে নিন। ভালো করে মিশিয়ে মাঝারি আচে রান্না করুন ৮-১০ মিনিট। ঠাণ্ডা করে নিন। ব্লেন্ড করে মিহি পেস্ট করে নিন।
২) এবার তৈরি করুন গ্রেভি। কড়াইতে তেল গরম করে এতে এলাচ এবং লবং দিয়ে একটু ভেজে নিন। এরপর কাচামরিচ, অনিয়ন পেস্ট দিয়ে মাঝারি আচে সাঁতলে নিন ২-৩ মিনিট।
৩) গরম মশলা এবং দই দিয়ে নাড়তে থাকুন ১-২ মিনিট। এরপর ক্রিম এবং লবন দিয়ে মিনিটখানেক রান্না করে নামিয়ে ফেলুন।
৪) এবার কোফতা তৈরির পালা। কোফতার সব উপকরণ বোলে মিশিয়ে নিন। ১৬টা ভাগে ভাগ করে কোফতা গড়িয়ে নিন।
৫) ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল গরম করে নিন। মাঝারি আচে সোনালি করে ভেজে তুলুন।
৬) একটা কড়াইতে গ্রেভিটা নিন। এতে যোগ করুন মরিচ গুড়ো, সিকি কাপ গরম পানি এবং মাঝারি আচে রাখুন দুয়েক মিনিট, নাড়তে থাকুন। ক্রিম দিয়ে আবার এক মিনিট রাখুন। এরপর ইচ্ছে হলে দুধে গুলে জাফরান দিয়ে দিতে পারেন। এবার কোফতা দিয়ে দিন। সাবধানে থাকুন যাতে না ভাঙ্গে। হাল্কা আচে কিছুক্ষন রেখে সাবধানে নামিয়ে নিন।
ধনেপাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন হরিয়ালি কোফতা। সাকথে দিতে পারেন মুচমুচে পরোটা।

চিইজি পাপরিকা পটেটো

ranna banna o beauty tips
চিইজি পাপরিকা পটেটো
নাস্তা কিংবা ভারি খাবার হিসেবে দারুন একটি পদ।


উপকরন: 
মাঝারি আকারের আলু ৫,৬টি। রসুনকুচি ২ চা-চামচ। পেঁয়াজকুচি মিহি আধা কাপ। তেল ২ চা-চামচ। পাপরিকা পাউডার ২ চা-চামচ। গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ। অরিগানো আধা চা-চামচ। লবণ পরিমাণ মতো। পেঁয়াজকলি বা স্প্রিং অনিয়ন আধা কাপ। মোৎজারেলা চিজ আধা কাপ।

পদ্ধতি: 
আলু সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিন। টুকরা করে রাখুন। প্যানে তেল দিয়ে তাতে রসুন ও পেঁয়াজ কুচি ভাজুন। সিদ্ধ আলু, পাপরিকা, অরিগানো, কালো গোলমরিচ, লবণ দিন। ভালো করে নেড়ে পেঁয়াজকলি অথবা স্প্রিং অনিয়ন দিয়ে নামিয়ে নিন।

এবার ইলেকট্রিক ওভেন প্রিহিটে দিন।
ওভেন প্রুভ বাটিতে আলু ঢেলে উপরে চিজ কুচি করে ছড়িয়ে পাঁচ থেকে ১০ মিনিটের জন্য ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রায় বেইক করুন। গরম গরম পরিবেশন করুন।

যদি কেউ চিজ ছাড়াই খেতে চান তবে চিজ আর বেইকিং প্রয়োজন নেই। চিজ ছাড়াও খেতে অনেক সুস্বাদু।

মন জুড়ানো গুড়ের পায়েস

ranna banna o beauty tips
মন জুড়ানো গুড়ের পায়েস
শীতের সময় পাওয়া যায় খেজুরের গুড়। সেটা দিয়ে তৈরি করুন মজার মিষ্টান্ন।

উপকরণ: 
দুধ দেড় লিটার। আতপ চাল আধা কাপ। গুড় দেড় কাপ(ছোট ছোট করে কেটে রাখবেন)। চিনি স্বাদমতো। লবণ ১ চিমটি। তেজপাতা, এলাচ ও দারুচিনি ১টি করে।

পদ্ধতি: 
চাল ১০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে।

এবার একটি পাত্রে দুধ জ্বাল দিন। দুধ ফুটে উঠলে লবণ, চিনি ও চাল দিয়ে ভালো করে নাড়তে হবে। সব উপকরণ আস্তে আস্তে মেশাতে হবে আর নাড়তে হবে।

চাল ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে আসলে আগে থেকে ছোট করে কেটে রাখা গুড় মিশিয়ে দিতে হবে আস্তে আস্তে।

এবার নামিয়ে ঠাণ্ডা করে একটি পাত্রে এক টুকরা খেজুরের গুড় দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

নখের ভঙ্গুরতা ঠেকাতে

ranna banna o beauty tips
নখের ভঙ্গুরতা ঠেকাতে
সুন্দর দুটি হাতের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে নিতে নখ বড় রাখার বিকল্প নেই। এটি তরুণীদের একটি প্রিয় অভ্যাসও বটে। আজকাল ফ্যাশন সচেতন অনেক তরুণও নখের মাথা সামান্য বড় রাখতে পছন্দ করেন। নিজেদের সাজকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে পরিচ্ছন্ন নখের আবেদন থাকে সব সময়। তবে কারো কারো নখ একটু বড় হলেই তা ভেঙে যায়। বিশেষ করে শীতের এই সময়টাতে নখ ভঙ্গুরতার হার বেশি দেখা যাচ্ছে। যাদের নখের গঠন কিছুটা নরম প্রকৃতির হয় তাদের এই সমস্যাটি বেশি হয়ে থাকে। নখের ভঙ্গুরতা ঠেকাতে অবলম্বন করা যেতে পারে কিছু কার্যকরী ব্যবস্থা।

- এক চা চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নখে মাখতে হবে। এই মিশ্রণটি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে প্রতিদিন ব্যবহারে আপনার নখ হয়ে উঠবে মজবুত। নখ ভেঙে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে আর আপনি পাবেন পরিচ্ছন্ন স্বাস্থ্যোজ্জ্বল নখ।

- আধা চামচ লবণ, আধা চামচ লেবুর রস এক কাপ পানিতে মিশিয়ে গরম করে নিন। লবণযুক্ত সেই গরম পানিতে নখ ডুবিয়ে রাখতে হবে ১৫ মিনিট। প্রতি সপ্তাহে একবারই যথেষ্ট। এভাবে চর্চা করে গেলে নখ মজবুত হবে।

- বিভিন্ন প্রকার তেল যেমন- তিলের তেল, বাদামের তেল, অলিভ অয়েল হাত পায়ের নখের জন্য বেশ উপকারী। তিনে ৩ বার তুলা ভিজিয়ে এই তেল হাত ও পায়ের নখে মাখলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

- রান্না-বান্না, সবজি কাটা কিংবা পাতিল ধোয়ার সময় গ্লাভস পরে নিলে নখে চোট লাগে কম। বিশেষ করে বাগান করার সময় অবশ্যই গ্লাভস পরে নেয়া উচিৎ। এতে নখে চাপ পড়ে না। তাছাড়া গ্লাভস পরে নিলে বারে বারে ক্ষতিকর ডিটারজেন্ট ও ডিশ ওয়াসার লাগে না। ফলে নখ দূর্বল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

- সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পর পেট্রোলিয়াম জেলি, ক্যাস্টর ওয়েল অথবা অলিভ ওয়েল মাখুন। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্তত একবার এভাবে নখে ও নখের আশেপাশের ত্বক ময়শ্চারাইজ করে নিন। এতে নখের ভঙ্গুরতা কমে এবং রুক্ষ ভাব দূর হয়।

- সব সময় নেইল পলিশ লাগিয়ে রাখা অথবা ঘন ঘন নেইল পলিশ রিমুভার ব্যবহার করলে নখের ভঙ্গুরতা বেড়ে যায়। এধরণের রাসায়নিক পদার্থ গুলো নখের আদ্রতা কেড়ে নেয় এবং নখকে দূর্বল করে দেয়। তাই সব সময়ে নেইল পলিশ লাগিয়ে না রেখে মাঝে মাঝে বিরতি দেয়া ভালো।

- প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যুক্ত খাবার রাখুন। এছাড়াও অন্যান্য ভিটামিন যেমন ভিটামিন এ, সি, ডি ইত্যাদিও নখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খান যেগুলোতে প্রচুর ভিটামিন আছে। খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন ই পর্যাপ্ত না পেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন। এতে শরীরের ভেতর থেকে নখে পুষ্টি পৌছাবে এবং নখ শক্ত ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল হবে।

গোড়ালি ফাটা রোধে কার্যকরী উপায়

ranna banna o beauty tips
গোড়ালি ফাটা রোধে কার্যকরী উপায়
শীতের সকালে কাঁথা কম্বলের আদুরে পরশ থেকে বের হতে একদমই ইচ্ছা করে না। তবু বিছানা ত্যাগ করতে হয় কাজের তাগিদে। আড়মোড়া ছাড়তে ছাড়তে বিছানা থেকে মেঝেতে পা ফেলা। আর তখনই গোড়ালিতে কিঞ্চিৎ ব্যথার অনুভূতি। কেউ এটাকে পাত্তা দেন, কেউ হুড়মুড়িয়ে উঠতে গিয়ে টেরই পান না। শীতে ত্বকের শুষ্কতা পায়ের গোড়ালি ফাটা বা ব্যথা হওয়ার অন্যতম কারণ। দেহের অন্যান্য অংশের চেয়ে পায়ের গোড়ালির ত্বক অত্যান্ত পুরু ও শক্ত হয়। তাই গোড়ালি ফাটার প্রবণতা বেশি থাকে। পায়ের গোড়ালির যত্নে দরকার সচেতনতা। নইলে খুব সুন্দর সাজের সঙ্গে অসামঞ্জস্য পা দুখানা আপনার সম্পূর্ণ ইমেজটিই নষ্ট করে দেবে। জেনে নিতে পারেন পায়ের গোড়ালি ফাটা রোধ এবং নরম ও কোমল রাখার কার্যকরী উপায়।

- প্রথমত পা সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। ধুলাবালি পায়ের সবচেয়ে বড় শত্রু। তাই কাজ শেষে ঘরে ফিরে সামান্য স্ক্রাব বা ঘষে পা ধুয়ে নিন। পায়ে ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার থেকেও বিরত থাকতে হবে। পা ধোয়ার পর পা ভেজা থাকা অবস্থায় মুছে ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভোলা যাবে না।

- সকালে বিছানা থেকে নামার আগেই পায়ের গোড়ালিতে একটু পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। নিয়মিত করতে পারলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন। কারণ পা ফাটার শুরু হয় এসময় থেকেই। তাই ব্যবস্থা শুরুতেই নিলে খুব বেশি ভয় থাকে না।

- গোসলের আগে পায়ে তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বক নরম থাকবে। তিল তেল বা যেকোনো ভেজিটেবল অয়েল পায়ের জন্য খুবই উপকারী। সারা বছর পায়ের ত্বক নরম রাখতে তিল তেল ভালো। ম্যাসাজের আগে সম্ভব হলে তেল অল্প গরম করে নিন।

- সপ্তাহে এক দিন পায়ের বিশেষ যত্ন নিতে পারেন। সেজন্য রাতে শোবার আগে উষ্ণ গরম পানিতে লবণ, শ্যাম্পু মিশিয়ে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখতে হবে। গরম পানির স্পর্শে গোড়লির মরা ত্বক নরম হলে স্ক্রাবার বা পা ঘষার পাথর দিয়ে গোড়ালি ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। এতে মরা ত্বক ঝরে পড়বে, ফাটাও দূর হবে।

- পায়ের যেকোনো পরিচর্যায় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে ত্বক কোমল হয়। অপরদিকে ঠাণ্ডা পানি ত্বককে আরও শক্ত করে ফেলে। বাইরে থেকে ফিরে সামান্য গরম পানিতে পা ধুয়ে নিয়ে আলতো করে ময়েশ্চারাইজার ও গ্লিসারিন মালিশ করে নিলেও উপকার পাবেন।

- পায়ের ত্বকের কোমলতার জন্য ময়দা, হলুদের গুঁড়া, লেবুর রস ও টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক হিসেবে লাগালে উপকার পাবেন।

- পায়ে মুলতানি মাটি, শসার রস, কমলার রস ও টকদই একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।

- নিয়মিত পরার জুতাটি শক্ত হলেও পা ফাটতে পারে। এ জন্য সব সময় পায়ের পক্ষে আরামদায়ক জুতা পরার চেষ্টা করুন। শীতে পায়ের গোড়ালি ঢাকা জুতা পরাই ভালো।

- যারা বাইরে নিয়মিত বের হন ও বেশি হাঁটাহাঁটি করেন তারা মোজাসহ পা-বন্ধ জুতা পরতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, পা যেন না ঘামে। প্রতিদিন পরিষ্কার মোজা পরুন।

- পায়ে ঘাম ও ধুলোময়লা জমে অনেকেরই ছত্রাক সংক্রমণের সমস্যা দেখা যায়। এতে অতিরিক্ত পা ফাটার প্রবণতাও থাকে। সে ক্ষেত্রে জটিলতা বেশি হলে বা সংক্রমণ হয়েছে মনে হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

নাস্তায় মুচমুচে নুডুলস বল

ranna banna o beauty tips
নাস্তায় মুচমুচে নুডুলস বল
ঝটপট নাস্তা তৈরিতে প্রথমেই মনে আসে নুডুলসের কথা। ডিম, সবজি বা মাংসের মিশেলে মজাদার নুডুলস খেতে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু মাঝে মাঝে এর ভিন্নতা ঘটলে মন্দ কি? নিজেদের খাওয়াসহ অতিথি আপ্যায়নে দ্রুত তৈরি করা যায় নুডুলস বল। পছন্দের সসের সঙ্গে মুচমুচে নুডুলস বল হয়ে উঠতে পারে বিকেলে নাস্তার সঙ্গী। বাড়ির ছোট সদস্যদের যখন তখন রকমারি খাবারের বায়না মেটাতেও দারুণ উপযোগী। তাই এক নজরে দেখে নিন মুচমুচে নুডুলস বলের সহজ রেসিপি।

যা যা লাগবে

ম্যাগি নুডুলস ২ প্যাকেট, ডিম ১ টি, পেঁয়াজ কুচি ২ টি, কর্ন ফ্লাওয়ার পরিমাণ মতো, ম্যাগি মসলা, আলু বা গাজর কুচি অল্প করে, লবণ পরিমাণমতো, তেল ভাজার জন্য।

যেভাবে করবেন

নুডুলস হালকা সেদ্ধ করে তার সঙ্গে সব উপকরণ মেখে নিতে হবে। মিশ্রণটি আঠালো করতে প্রয়োজনীয় কর্ন ফ্লাওয়ার দিয়ে দিন। এবার বলের আকারে করে তেলে ভাজতে হবে। বাদামী রঙ হলে তুলে কিচেন টিস্যুতে মুড়ে রাখুন। বাড়তি তেল টিস্যুতে চুষে নেবে। ব্যাস, হয়ে গেল নুডুলস বল। এবার পছন্দের টমেট সস দিয়ে খেতে পারেন মুচমুচে নুডলস বল।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.