মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৬

আলু–পালংয়ের অমলেট

ranna banna o beauty tips
আলু–পালংয়ের অমলেট
উপকরণ: ডিম ৪টি, আলু ২টি (বড়), পালংশাক ২ আঁটি, পেঁয়াজ ২টি (বড় আকারের, পাতলা কুচি করা), কাঁচা মরিচ ৩-৪টি (কুচি), লবণ স্বাদমতো, তেল ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি: ফুটন্ত গরম পানিতে পালংশাক (ডাঁটা বাদে) দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তুলে নিন। পানি নিংড়ে ফেলে দিয়ে ছোট করে কেটে রাখুন। আলু ছোট কিউব করে কেটে নিন। ডিমগুলো স্বাদমতো লবণ দিয়ে ভালো করে ফেটে নিন। এখন প্যানে অল্প তেল গরম করে কিউব করে কাটা আলু লবণ মাখিয়ে ছেড়ে দিন। সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। তারপর তাতে পেঁয়াজ কুচি মিশিয়ে দিন। পেঁয়াজ নরম হয়ে এলে পালংশাক আর কুচোনো কাঁচা মরিচ মিশিয়ে ২-৩ মিনিট ভেজে নিন। নামিয়ে মিশ্রণটা একেবারে ঠান্ডা করে নিয়ে ফেটে রাখা ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এরপর ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে মিশ্রণটা ঢেলে দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। অমলেটের ওপরের দিকটা শুকিয়ে এলে সাবধানে উলটে দিয়ে অপর পাশটাও সোনালি করে ভেজে নিন। একটা টুথপিক বা কাঁটা চামচ অমলেটের ভেতরে ঢুকিয়ে দেখে নিন ভেতরে কাঁচা আছে কি না। হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়ে পরিবেশন করুন।

বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৬

লাল পোশাকে নারীরা কেন এত আবেদনময়ী!

ranna banna o beauty tips
লাল পোশাকে নারীরা কেন এত আবেদনময়ী!
লাল রঙ নাকি ভালোবাসার রঙ! নারীরা তবে কি ছেলেদের কাছে ভালোবাসার পাত্রী হয়ে উঠার জন্যই লাল পোশাকে নিজেকে সাজাতে চান। আর না হলে কেন নারীরা লাল লিপস্টিক, লাল শাড়ি, লাল টিপেই বেশি সাজিয়ে তোলেন নিজেকে। 
অনেকেই মনে করেন লাল পোশাক পুরুষদের চোখে নারীদেরকে বেশি আবেদনময়ী করে তোলে।এ কারণেই নারীরা লাল পোশাকে নিজেকে সাজিয়ে তুলতে পছন্দ করেন। আর নারীদের কে না চায় পুরুষদের চোখে নিজেকে আকর্ষণীয় আর আবেদনময়ী করে উপস্তাপন করতে।যদিও এটা সব নারীর জন্য প্রযোজ্য নয়। তবে বেশিরভাগ নারীর মনস্তত্ব প্রায় একই রকম। 
অবশ্য নারীদের এই মনস্তত্বের পেছনে বেশকিছু গবেষণাও রয়েছে। বেশিরভাগ গবেষণাতেই উল্লেখ রয়েছে লাল রঙের সঙ্গে যৌনতার একটি সম্পর্ক রয়েছে। বলা হয় যৌনতার সঙ্গে লাল রঙের রয়েছে প্রত্যক্ষ সংযোগ। আবার এও বলা হয় যে, লাল বর্ণের নারীদের সঙ্গে থাকলেও পুরুষরা সমানভাবে আকর্ষণ বোধ করেন। 
এসব মনগড়া কোন কথা নয়। এসব তথ্য বহু আগেই প্রকাশ করেছেন নিউইয়র্ক সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তারা জানিয়েছেন, লাল রঙের পোশাক আকর্ষণীয় নারীদের যৌন আবেদন আরও বাড়িয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, ইউরোপিয়ান জর্নাল অব সোস্যাল সাইকোলজি’র গবেষক স্টিভেন জি ইয়ং জানিয়েছেন নারী পুরুষের যৌন মিলনের ক্ষেত্রে রঙের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। লাল রঙ এক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা পালন করে। কারণ নারীদের যৌন-উত্তেজনার সঙ্গে তার ঠোঁট, গাল, গলা, বুক ইত্যাদি অঙ্গ রক্তাভ হয়ে ওঠে। এ কারণেই নারীদের লাল পোশাকে পুরুষদের কাছে আরও আবেদনময়ী করে তোলে। 

হেয়ারস্প্রে ভিন্ন ব্যবহার


ranna banna o beauty tips
হেয়ারস্প্রে ভিন্ন ব্যবহার
চুলের স্টাইল ধরে রাখার পাশাপাশি আরও কিছু কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে হেয়ারস্প্রে। শুনতে অদ্ভুত শোনালেও পন্থাগুলো বেশ কার্যকর।

রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে হেয়ারস্প্রের এমনই কিছু ভিন্নধর্মী ব্যবহার উল্লেখ করা হয়।

‘হেয়ার চক’য়ের রং দীর্ঘস্থায়ী করা: চুল রাঙাতে যে হেয়ার চক ব্যবহৃত হয়ে থাকে এগুলোর রং সাধারণত চুল ধোয়ার সঙ্গে পানিতে ধুয়ে যায়, এছাড়াও দীর্ঘ সময় চুল রাঙানো থাকলে হাতের ঘষায় এবং বাতাসে রং হালকা হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় রং ঝরে পড়তে পারে। এ সমস্যার চটজলদি সমাধান হতে পারে হেয়ারস্প্রে। চুলে হেয়ার চক লাগানোর পর স্প্রে করে নিলে রং ঝরে পড়ার এবং হালকা হয়ে যাওয়ার বিড়ম্বনা এড়ানো যাবে।

ববি পিন টেকসই করতে: চুল যেন খুলে না যায়, বেণি বা খোঁপা যে কোনো স্টাইল ধরে রাখতে ব্যবহৃত হয় ববি পিন। চিকন আর কালো এই ক্লিপগুলো অনেক সময় ঢিল হয়ে যায়। এ সমস্যা এড়াতে চুলে আটকানোর আগে পিনগুলোতে খানিকটা হেয়ারস্প্রে করে নিলে তা দীর্ঘসময় চুলে আটকে থাকবে।

নেইলপলিশ দীর্ঘস্থায়ী করতে: রং দীর্ঘস্থায়ী করতে উপরে একটি স্বচ্ছ নেইলপলিশ বা টপকোট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে টপকোট না থাকলেও অসুবিধা নাই। দ্রুত নেইলপলিশ শুকিয়ে তা থেবড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমাতে ব্যবহার করা যেতে পারে হেয়ারস্প্রে। নেইলপলিশ লাগানোর পর নখের উপরে কয়েক পাম্প হেয়ারস্প্রে নেইলপলিশের রং দীর্ঘস্থায়ী করবে।

পরিপাটি থাকতে: হেয়ারস্প্রে’র মূল কাজই চুল গোছানো রাখা। তবে এলোমেলো চুলকে গোছানো রাখতে প্রতিদিন তো আর হেয়ারস্প্রে লাগানো সম্ভব না, আবার উচিতও নয়। তবে ছোট চুলগুলো বাতাসে যেন অগোছালো না হয়ে যায় সেজন্য ব্রাশে স্প্রে করে নিলে চুল গোছানো থাকবে। কিছু জামার কাপড় স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশি বাতাসে উড়ে। এ ধরনের কাপড়গুলোর উল্টা পাশে হেয়ারস্প্রে ছড়িয়ে নিলে ওড়ার মাত্রাও কমে আসবে।

ডিওডরেন্টের বিকল্প: ডিওডরেন্ট শেষ। বাসায় বডি স্প্রে আছে! ওতেও হবে। বাহুমূল ঘেমে অস্বস্থিকর পরিস্থিতি এড়াতে বগলে খানিকটা হেয়ারস্প্রে ছড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে। হেয়ারস্প্রে’তে থাকা হালকা সুগন্ধ বেশ দীর্ঘ সময় সুরভিত রাখবে আপনাকে।

পোকামাকড় থেকে মুক্তি: একটি তেলাপোকা বা মাছি বেশ কিছুক্ষণ ধরে বিরক্ত করছে! হাতের কাছে মশা বা তেলাপোকা মাড়ার স্প্রেও পাচ্ছেন না! চটজলদি সমাধান হতে পারে হেয়ারস্প্রে। তেলাপোকার উপর সরাসরি স্প্রে করলে তা তাড়াতে বেশ কার্যকর হবে।

ফুল সংরক্ষণ করতে: তাজা ফুল সাজানোর পর দিনই নেতিয়ে যায়। তবে ফুল সাজানোর পর এর উপর খানিকটা হেয়ারস্প্রে ছড়িয়ে দিলে তা বেশ কিছুদিন তাজা থাকবে।

নিরামিষ ভোজীদের ৫ খাবার

ranna banna o beauty tips
নিরামিষ ভোজীদের ৫ খাবার
সুস্থ শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদান পর্যাপ্ত পরিমানে পাওয়া নিরামিষভোজীদের ক্ষেত্রে অনেক সময় কষ্টকর হয়ে পড়ে।

এই সমস্যা সমাধানে সহায়ক পাঁচটি খাবারের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট।

শুকনা ফল ও বাদাম: কাঠবাদাম, পেস্তা, কিশমিশ, ওয়ালনাট ইত্যাদি আমিষে ভরপুর। বীজজাতীয় খাবার যেমন তিসিও অনেক উপকারী কারণ এতে থাকে আনস্যাচুরেইটেড চর্বি।

প্রতিদিন একমুঠ বাদাম বা বীজ খেলে নিশ্চিত হবে শরীরের জন্য প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় আঁশ, ভিটামিন, আমিষ এবং আয়রন। 

ডিম ও দুগ্ধজাত খাবার: ডিম ও দুধ থেকে তৈরি খাবারে মিলবে আমিষ। যা মাংসবিহীন খাদ্যাভ্যাসে পাওয়া সম্ভব নয়। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে আরও থাকে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি।

ডাল: নিরামিষ খাদ্যাভ্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল মটরশুঁটি, শিমের দানা, ডাল ইত্যাদি। এগুলো আমিষের একটি ভালো উৎস। পাশাপাশি শরীরের প্রয়োজনীয় আঁশ, ভিটামিন ও খনিজও থাকে।

শস্যজাতীয় খাবার: কার্বোহাইড্রেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস শষ্যজাতীয় খাবার। দস্তা, কর্পূর, লৌহ ইত্যাদি প্রয়োজনীয় খনিজের অভাবও মেটায় এই খাবারগুলো। এজন্য যব, সম্পূর্ণ গমের তৈরি রুটি, পাস্তা, বাদামি চাল ইত্যাদি খেতে পারেন।

ফল ও সবজি: ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপূর থাকে ফল ও সবজি। নিরামিষভোজীদের জন্য এগুলো সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ।

ছোটমাছের চচ্চড়ি

ranna banna o beauty tips
ছোটমাছের চচ্চড়ি
উপকরণ: ছোটমাছ ১৫০গ্রাম। পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল-চামচ। পেঁয়াজকুচি আধা কাপ। আদাবাটা আধা চা-চামচ। রসুনবাটা ১ চা-চামচ। হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ। মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ। ধনেগুঁড়া ১/৪ চা-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। তেল ১/৪ কাপ। কাঁচামরিচ ৪টি। ধনেপাতা ইচ্ছামতো। 

পদ্ধতি: মাছগুলো পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন।

কড়াইতে তেল গরম করে, পেঁয়াজকুচি দিয়ে বাদামি রং করে ভাজুন। এখন এতে অল্প গরম পানি সঙ্গে হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া ও ধনেগুঁড়া দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে কষাতে হবে।

কষে আসলে, পেঁয়াজবাটা, রসুনবাটা ও লবণ দিয়ে আরেকটু কষিয়ে মাছগুলো দিয়ে, হালকা করে নেড়ে দিন। প্রয়োজন না হলে পানি দেবেন না।

রান্না হয়ে গেলে, নামিয়ে উপর দিয়ে কাঁচামরিচ আর ধনেপাতা ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।

চিংড়ি ভাজা


ranna banna o beauty tips
চিংড়ি ভাজা
উপকরণ: ১২টি বড় চিংড়িমাছ। ১টি ডিম। ১ টেবিল-চামচ রসুনবাটা। ১ চা-চামচ গোলমরিচ-গুঁড়া। স্বাদ মতো লবণ। আধা চা-চামচ লেবুর রস। ১ কাপ ময়দা। ১ কাপ পাউরুটির গুঁড়া (পাউরুটি একদম গুঁড়া করা যাবে না। একটু গোটা গোটা থাকবে। তেল পরিমাণ মতো।

পদ্ধতি: চিংড়ির খোসা ছাড়িয়ে পরিষ্কার করে নিন। তবে লেজটা রাখতে হবে। কিচেন টিস্যু দিয়ে চেপে চেপে চিংড়িগুলো একদম শুকনা করে নিন।

লবণ, গোলমরিচ, রসুনবাটা, লেবুর রস দিয়ে চিংড়িগুলো মাখিয়ে নিন।

ডুবো তেলে ভাজতে হবে। তাই সেই পরিমাণ তেল কড়াইতে নিয়ে গরম করুন

একটা একটা করে চিংড়ি শুকনা ময়দায় ভালো মতো গড়িয়ে আগেই ফেটিয়ে নেওয়া ডিমে চুবিয়ে নিন। এবার পাউরুটির গুঁড়ায় গড়িয়ে, গরম ডুবো তেলে ভাজুন।
সোনালি রং হলে তুলে পরিবেশন করুন।

নোট: লবণ সামান্য দিতে হবে। তেল ভালো মতো গরম করে নিয়ে তারপর ভাজতে হবে। তেলের পরিমাণ বেশি দিতে হবে, নইলে আকারটা নষ্ট হয়ে যাবে।

তেলাপোকা তাড়ানোর যাদু

ranna banna o beauty tips
তেলাপোকা তাড়ানোর যাদু
কিচেন কেবিনেট থেকে শুরু করে খাটের নিচ, কাপড়ের আলমারি সবখানে তেলাপোকার উপদ্রব। অন্ধকার আর খাবার যেখানে মিলবে, সেখানেই থাকে এই তেলাপোকা। তাই আজ শিখে নিন তেলাপোকা তাড়ানোর দারুণ যাদু। আর এই কাজে আপনার সঙ্গী হবে বেকিং সোডা!

ছোট বাটিতে বেকিং সোডা নিন, তারপর তেলাপোকার আক্রমণ সবচাইতে বেশি হয় যে স্থান গুলোয়, সেখানে দিয়ে রাখুন। বেকিং সোডা তেলাপোকার ভীষণ অপছন্দের বস্তু। ১০ থেকে ১২ দিন পর পর বেকিং সোডা বদলে নতুন করে দিন। কেননা বাতাসের আদ্রর্তার কারণে সোডার কার্যকারিতা কমে যায়। যে কোন সাধারণ মুদীর দোকানেই কিনতে পারবেন বেকিং সোডা। এখন অনেক কোম্পানির বেকিং সোডাও কিনতে পাওয়া যায়। এছাড়াও ঘরের মেঝে পরিস্কার করার সময় পানিতে দুই টেবিল চামচ ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এতে তেলাপোকা এবং পিঁপড়া থেকে রেহাই পাবেন।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.