রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৫

চিকেন পিক্কাটা

চিকেন পিক্কাটা
উপকরণ :
১. হাড়ছাড়া মুরগির মাংস পাতলা স্লাইস করে কাটা ছয় টুকরা,
২. ধনিয়াপাতা কুচি এক টেবিল চামচ,
৩. পাপরিকা এক চা চামচ,
৪. লেবুর রস দুই চা চামচ,
৫. ডিম একটি,
৬. ব্রেডকাম আধা কাপ,
৭. তেল ভাজার জন্য,
৮. লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি :
> প্রথমে পাতলা করে কাটা মুরগির মাংস লবণ ও লেবুর রস দিয়ে মাখিয়ে মেরিনেটের জন্য ১০ মিনিট রেখে দিন। এবার এতে ধনিয়াপাতা কুচি, পাপরিকা, ডিম ও ব্রেডকাম দিয়ে মাখিয়ে মেরিনেটের জন্য আরো কিছুক্ষণ রেখে দিন। এর পর গরম ডুবো তেলে মুরগির মাংসগুলো ভাজতে থাকুন। বাদামি হয়ে গেলে প্লেটে তুলে সসের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন স্পাইসি চিকেন পিক্কাটা।

রেসিপি : এনটিভি, ছবি : সংগৃহীত

চিকেন ফ্রাই (ভিন্ন স্বাদে)

চিকেন ফ্রাই (ভিন্ন স্বাদে)
উপকরণ :
১. মুরগি - ১টি (৪ টুকরো করে কাটা),
২. হলুদ- ১/২ চা চামচ,
৩. মরিচ গুঁড়ো- ১ চা চামচ,
৪. লবণ- ১/২ চা চামচ (পরিমাণমত),
৫. ময়দা- ২ টেবিল চামচ,
৬. ফুড কালার (রেড অরেঞ্জ)- খুব সামান্য, এক চিমটি থেকেও কম,
৭. লেবুর রস - ২ টেবিল চামচ,
৮. তেল-ভাজা করার জন্য।

প্রণালি :
> মুরগি ৪ টুকরা কেটে পরিষ্কার করে নিন।

> ছুরি দিয়ে একটু কেটে দিন বা কাঁটা চামচ দিয়ে ছিদ্র করে দিন যেন রক্ত বের হয়ে যায়।

> একটি পাত্রে চিকেন, হলুদ, মরিচ, লবণ লেবুর রস মিক্স করুন প্রথমে।

> ফুড কালার একটু পানিতে মিক্স করে তারপর চিকেনে মিক্স করুন।

> শেষে ময়দা দিয়ে ভালো করে মিক্স করে নিন, একটু পানি লাগলে দিতে পারেন।

> ১০ /২০ মিনিট এর জন্য ফ্রিজে রেখে দিন।

> ডুবো তেলে ভাজা করুন মাঝারি আঁচে।

> রঙ বেশী হলে পরে চিকেন লাল হয়ে যাবে তাড়াতাড়ি, কিন্তু ভেতরে রান্না হবে না। তাই রঙ দেবেন একেবারেই সামান্য।



রেসিপি : সাইদুল ইসলাম সাঈদ, প্রিয়.কম

চিকেন স্টাফড ক্যাবিজ রোল

চিকেন স্টাফড ক্যাবিজ রোল
উপকরণ :
১. অর্ধেক মুরগির মাংস,
২. বাঁধাকপির পাতা ৭,৮টি,
৩. আলু সিদ্ধ ১টি (বড়),
৪. গোলমরিচের গুঁড়া স্বাদ মতো,
৫. মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ,
৬. সয়া সস ২,৩ টেবিল-চামচ,
৭. ফিস সস ২,৩ টেবিল-চামচ,
৮. আদা ও রসুন বাটা ২ চা-চামচ করে,
৯. টেম্পুরা পাউডার আধা কাপ,
১০. তেল ভাজার জন্য যতটুকু প্রয়োজন।

প্রণালি :
> আলু সিদ্ধ করে একদম পানি শুকিয়ে ফেলে চটকিয়ে রাখুন। মরুগির সঙ্গে আদা ও রসুন বাটা, গোলমরিচের গুঁড়া, মরিচগুঁড়া,

> সয়া সস ও ফিস সস দিয়ে সিদ্ধ করে নিন।

> মাংস ঠাণ্ডা হলে হাড় থেকে ছাড়িয়ে নিন। তারপর ছিঁড়ে ছিঁড়ে রাখুন।

> ফুটন্ত গরম পানিতে আস্ত বাঁধাকপির পাতা ভাপ দিয়ে কিচেন টাওয়েলের উপর উঠিয়ে রাখুন।

> মাংসের সঙ্গে আলু সিদ্ধ মাখিয়ে সাত থেকে আট ভাগ করে নিন। একেকটি ভাগে একেকটি পাতায় মুড়িয়ে রোল তৈরি করুন।

> পরিমাণ মতো পানি দিয়ে টেম্পুরার ঘন মণ্ড বানিয়ে নিন।

> মাঝারি আঁচে প্যানে তেল গরম করে, রোলগুলি একটা একটা করে টেম্পুরার মণ্ডতে মাখিয়ে ডুবো তেলে সময় নিয়ে সোনালি করে ভেজে তুলুন। পেপার টাওয়েলের উপর রাখুন বাড়তি তেল শোষন করে নেওয়ার জন্যে।

> সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন বিকেলের নাস্তায়।

* নোট :
> টেম্পুরা পাউডার না থাকলে বেসন ও চালের গুঁড়ার মিশ্রণ দিয়ে মণ্ড তৈরি করে নিতে পারেন।


রেসিপি দিয়েছেন বীথি জগলুল
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

চার পদের চিতই পিঠা

উপকরণ
১. আতপ চাল আধা কাপ,
২. সিদ্ধ চাল ১ কাপ,
৩. লবণ সামান্য,
৪. ১ চা-চামচ বেইকিং পাউডার,
৫. ১টি ডিমের সাদা অংশ,
৬. ১ টেবিল-চামচ ময়দা,
৭. কুড়ানো নারিকেল আধা কাপ,
৮. পরিমাণ মতো হালকা গরম পানি এটা দিয়ে চাল ব্লেন্ড করতে হবে,
৯. তাই ডিমের সাদা অংশ একেবারে শেষে মেশাবেন।
আরও লাগবে :
১. একটি বাটিতে অল্প তেল রাখবেন পাশে।
২. সুতির কাপড় দিয়ে তেল লাগিয়ে প্রথমে প্যান মুছে নেবেন।

প্রণালি :
> চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা চাল ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ভেজা অবস্থায় চাল মিহি করে বেটে নিতে হবে বা ব্লেন্ডারে একে একে সব নিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।

> তারপর এক ঘণ্টা ঢেকে রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে গোলা যেন খুব ঘন না হয় আবার বেশি পাতলাও না হয়। লোহার কড়াই বা মাটির পিঠার সাজ চুলায় দিন। গরম হলে, প্রথমবার তেল জড়ানো কাপড় দিয়ে মুছে নিন।

> বড় চামচের এক চামচ গোলা প্যানে দিন। দুতিন সেকেন্ড পর বুদ বুদ উঠলে রুটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এক মিনিট পর নামিয়ে নিন। এভাবে বাকি পিঠাগুলো তৈরি করুন।

> ভর্তা, ভাজি বা মাংসের তরকারি সঙ্গে পরিবেশন করুন মুচমুচে রুটি চিতই পিঠা। .

দুধ চিতই

উপকরণ :
১. আতপ চাল আধা কাপ,
২. সিদ্ধ চাল ১ কাপ,
৩. লবণ সামান্য,
৪. ১ চা-চামচ বেইকিং পাউডার,
৫. ১টি ডিমের সাদা অংশ,
৬. ১ টেবিল-চামচ ময়দা,
৭. কুড়ানো নারিকেল আধা কাপ,
৮. পরিমাণ মতো হালকা গরম পানি এটা দিয়ে চাল ব্লেন্ড করতে হবে,

সিরা তৈরীর উপকরণ :
১. খেজুরের গুড়,
২. নারিকেল-কুচি,
৩. পরিমাণ মতো দুধ।

আরও লাগবে :
১. একটি বাটিতে অল্প তেল রাখবেন পাশে।
২. সুতির কাপড় দিয়ে তেল লাগিয়ে প্রথমে প্যান মুছে নেবেন।

প্রণালি :
> চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা চাল ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ভেজা অবস্থায় চাল মিহি করে বেটে নিতে হবে বা ব্লেন্ডারে একে একে সব নিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।

> তারপর এক ঘণ্টা ঢেকে রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে গোলা যেন খুব ঘন না হয় আবার বেশি পাতলাও না হয়। লোহার কড়াই বা মাটির সাজ চুলায় দিন। গরম হলে, প্রথমবার তেল জড়ানো কাপড় দিয়ে মুছে নিন।

> বড় চামচের এক চামচ গোলা প্যানে দিন। দুতিন সেকেন্ড পর বুদ বুদ উঠলে রুটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এক মিনিট পর নামিয়ে নিন। এভাবে বাকি পিঠাগুলো তৈরি করুন।
.
.
সিরা তৈরীর :
> দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন। একটু ঠাণ্ডা করে খেজুরের গুড় মেশান।

দুধ চিতই তৈরীর প্রণালি :
> গুড় গলে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে কিছুক্ষণ পর, চিতই পিঠাগুলো দিয়ে দিন।

> এভাবে গুড়-দুধের মিশ্রণে এক ঘণ্টা পিঠা ভিজিয়ে রাখার পর পরিবেশন করুন।

ঝাল চিতই পিঠা

উপকরণ :
১. আতপ চাল আধা কাপ,
২. সিদ্ধ চাল ১ কাপ,
৩. লবণ সামান্য,
৪. ১ চা-চামচ বেকিং পাউডার,
৫. ১টি ডিমের সাদা অংশ,
৬. ১ টেবিল-চামচ ময়দা,
৭. পরিমাণ মতো হালকা গরম পানি এটা দিয়ে চাল ব্লেন্ড করতে হবে,
৮. ডিমের সাদা অংশ একেবারে শেষে মেশাবেন,
৯. কাঁচামরিচ কুচি ২,৩টি,
১০. ধনিয়াপাতা কুচি ১ টেবিল-চামচ,

আরও লাগবে :
১. একটি বাটিতে অল্প তেল রাখবেন পাশে।
২. সুতির কাপড় দিয়ে তেল লাগিয়ে প্রথমে প্যান মুছে নেবেন।

প্রণালি :
> চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা চাল ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ভেজা অবস্থায় চাল মিহি করে বেটে নিতে হবে বা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।

> তারপর এক ঘণ্টা ঢেকে রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে গোলা যেন খুব ঘন না হয় আবার বেশি পাতলাও না হয়। কাঁচামরিচ ও ধনিয়াপাতা কুচিমিশিয়ে নিন। লোহার কড়াই বা মাটির সাজ চুলায় দিন। গরম হলে, প্রথমবার তেল জড়ানো কাপড় দিয়ে মুছে নিন।

> বড় চামচের এক চামচ গোলা প্যানে দিন। দুতিন সেকেন্ড পর বুদ বুদ উঠলে রুটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এক মিনিট পর নামিয়ে নিন। এভাবে বাকি পিঠাগুলো তৈরি করুন।।

ডিম চিতই

উপকরণ :

১. আতপ চাল আধা কাপ,
২. সিদ্ধ চাল ১ কাপ,
৩. লবণ সামান্য,
৪. ১ চা-চামচ বেইকিং পাউডার,
৫. ১টি ডিমের সাদা অংশ,
৬. ১ টেবিল-চামচ ময়দা,
৭. কুড়ানো নারিকেল আধা কাপ,
৮. পরিমাণ মতো হালকা গরম পানি দিয়ে চাল ব্লেন্ড করতে হবে,
৯. তাই ডিমের সাদা অংশ একেবারে শেষে মেশাবেন,
১০. যে কয়টি পিঠা, সেই কয়টি ডিম,
১১. গোলমরিচের গুঁড়া।

আরও লাগবে :
১. একটি বাটিতে অল্প তেল রাখবেন পাশে।
২. সুতির কাপড় দিয়ে তেল লাগিয়ে প্রথমে প্যান মুছে নেবেন।

প্রণালি :
> চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা চাল ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ভেজা অবস্থায় চাল মিহি করে বেটে নিতে হবে বা ব্লেন্ডারে একে একে সব নিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।

> তারপর এক ঘণ্টা ঢেকে রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে গোলা যেন খুব ঘন না হয় আবার বেশি পাতলাও না হয়। লোহার কড়াই বা মাটির পিঠার সাজ চুলায় দিন। গরম হলে, প্রথমবার তেল জড়ানো কাপড় দিয়ে মুছে নিন।

> বড় চামচের এক চামচ গোলা প্যানে দিন। দুতিন সেকেন্ড পর বুদ বুদ উঠলে রুটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এক মিনিট পর নামিয়ে নিন। এভাবে বাকি পিঠাগুলো তৈরি করুন।

> সাজে গোলা ঢেলে একটু অপেক্ষা করুন। বুদবুদ উঠলেই উপর দিয়ে ডিম ভেঙে দিন। সঙ্গে গোলমরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে সামান্য লবণ দিন।

> ঢেকে, ঢাকনার উপরে সামান্য পানির ছিটা দিন। তিন, চার মিনিট পর হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।

 

রেসিপি : আনার সোহেল
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

চিজি বেকড পাস্তা

চিজি বেকড পাস্তা
উপকরণ :
১. পাস্তা ২৫০ গ্রাম,
২. হাড় ছাড়া মুরগির বুকের মাংস ১ কাপ (সেদ্ধ করা),
৩. টমেটো পিউরি ১ কাপ,
৪. কিউব টমেটো ১/২ কাপ,
৫. তেল ১ টেবিল চামচ,
৬. রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ,
৭. পেঁয়াজ চৌকো করে কাটা ১/৩ কাপ,
৮. অরিগানো ১ চা চামচ,
৯. পাপরিকা মরিচ ১ চা চামচ,
১০. লবণ স্বাদমতো,
১১. গোলমরিচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ,
১২. মোজারেলা চিজ গ্রেট করা ১ কাপ,
১৩. চিনি ১/২ চামচ।

প্রনালি :
> পাস্তা লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে পানি ছেঁকে নিন।

> একটা ফ্রাই প্যানে তেল দিয়ে পেঁয়াজ আর রসুন দিয়ে অল্প নেড়ে একে একে মাংস, টমেটো পিউরি , চিনি,অল্প লবণ,অরিগানো দিয়ে নাড়ুন ২ মিনিট।

> এবার সেদ্ধ পাস্তা আর কিউব টমেটো দিয়ে আরও ১ মিনিট নাড়ুন।

> এবার বেকিং ডিশে পাস্তা ঢেলে তার উপর চীজ ,পাপরিকা মরিচ আর গোলমরিচ গুঁড়া ছিটিয়ে ২০০ ডিগ্রি তে প্রি- হিটেড ওভেনে গোল্ডেন কালার না হওয়া পর্যন্ত বেক করুন।

> চিজ গলে গেলে বের করে গরম গরম পরিবেশন করুন চিজি বেকড পাস্তা।

 
রেসিপি : শারমিন খান জিন্নাতে, প্রিয়.কম

চিকেন র‌্যাপ

চিকেন র‌্যাপ
মূল উপকরণ :
১. ময়দার রুটি,
২. চিকেন ব্রেস্ট ফ্রাই,
৩. ফ্রেঞ্চ ফ্রাই করা আলু,
৪. লেটুস পাতা কুচি,
৫. টমেটো কুচি,
৬. মেয়োনিজ,
৭. হট সস।

ময়দার রুটি তৈরি :
> সাধারণ নিয়মেই ময়দার রুটি তৈরি করে নিন। চাইলে সামান্য ইস্ট মিশিয়ে ডো তৈরি করতে পারেন। একেবারে সাধারণ রুটি হলেও কোন অসুবিধা নেই। রুটির খামিরে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করলে রুটি নরম হয়।

চিকেন ফ্রাই তৈরি :
> চিকেন ব্রেস্ট পাতলা ২ টুকরা করে নিন।

> সামান্য লবণ, মরিচ, হলুদ, একটু অরেঞ্জ ফুড কালার দিয়ে মিক্স করে নিন।

> ১টা দিম ফেটে নিয়ে চিকেনে মিক্স করুন, পরে একটু ময়দা ভালোকরে মিক্স করুন।( ২০ মিনিট ফ্রিজে রাখা ভালো)।

> ফ্রাই করে নিন হালকা আঁচে যেন পুড়ে না যায়।

> ভাজা চিকেন কুচি করে নিন।

চিকেন র‌্যাপ তৈরি :
> রুটিতে হট সস মাখিয়ে নিন। চিকেন কুচি বাকী উপকরণ আপনার স্বাদমতো দিয়ে রোল করে নিন। চিকেনে একটু রঙ ব্যবহার করলে চিকেনের রঙটা সুন্দর হয়। না দিলেও কোন অসুবিধা নেই।

রেসিপি ও ছবি : সাইদুল ইসলাম সাঈদ, প্রিয়.কম

সাবুদানার ক্ষীর

সাবুদানার ক্ষীর
উপকরণ :
১. সাবুদানা এক কাপ,
২. দুধ দুই কাপ,
৩. চিনি অথবা গুড় স্বাদমতো,
৪. এলাচ গুঁড়া এক চা চামচ,
৫. কিশমিশ ১০টি,
৬. বাদাম কুচি ১০টি,
৭. মাখন এক টেবিল চামচ,
৮. জাফরান সামান্য।

প্রণালি : 
প্রথমে সাবুদানা এক ঘণ্টার জন্য পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এবার চুলায় একটি প্যানে দুধ গরম করুন। এর পর এতে চিনি অথবা গুড় দিয়ে দিন। গুড় দিলে আগে থেকেই গুড় পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এর পর গলে গেলে সেটি দুধের মধ্যে দিয়ে দিন। দুই মিনিট পর এতে সাবুদানা দিয়ে নাড়তে থাকুন। ১০ থেকে ১২ মিনিট পর সামান্য মাখন, এলাচ গুঁড়া, বাদাম কুচি ও কিশমিশ দিয়ে অল্প আঁচে রান্না করুন। এবার ওপর দিয়ে সামান্য জাফরান ছিটিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে দিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল সাবুদানার ক্ষীর।

রেসিপি : শায়লা শারমিন, ছবি : বোল্ডস্কাই, এনটিভি

সুইট চিলি সস

সুইট চিলি সস
উপকরণ:
  • শুকনা মরিচ ১০০ গ্রাম
  • সিরকা ৪ কাপ
  • চিনি ১ কাপ
  • লবণ ১ চা চামচ
  • বিটলবণ আধা চা চামচ
  • রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
  • কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ
  • সোডিয়াম বেনজয়েট আধা চা চামচ
  • টেস্টিং সল্ট আধা চা চামচ।
প্রনালী :
১. মরিচ বোঁটা ফেলে কাপড়ে মুছে ১ কাপ সিরকায় ভিজিয়ে
রাখুন ১ ঘণ্টা।
২. মরিচ আধাবাটা করে আরো ১ কাপ সিরকা দিয়ে চালনিতে
চেলে শুধু বিচি আর খোসা নিন।
৩. সসপ্যানে কর্নফ্লাওয়ার আর সোডিয়াম ছাড়া সব উপকরণ
দিয়ে জ্বাল দিন।
৪. ফুটে উঠলে ৩-৪ মিনিট পর সিরকায় কর্নফ্লাওয়ার গুলে সসে
দিয়ে ঘন ঘন নাড়ুন।
৫. সস ঘন হলে নামিয়ে ১ টেবিল চামচ সিরকায় সোডিয়াম গুলে
সসে ভালো করে মিশিয়ে ঠাণ্ডা করে কাচের বোতলে সংরক্ষণ করুন।

*** মেয়েদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট ****

মেয়েদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট
শপিংমলের ড্রেসিং/ট্রায়াল রুমে বোনেরা সতর্ক থাকবেন সেখানে যে আয়না থাকে সেটা আসল নাও হতে পারে, এটিও গোপনক্যামেরার মতই মারাত্মক !

প্রযুক্তির অপব্যবহারে আসল আয়নার মাঝে এখন যুক্ত হয়েছে নকল আয়না, যাকে বলা হয় দ্বিমুখী আয়না । এই আয়নায় আপনি আপনার চেহারা দেখতে পারবেন, কিন্তু ভুলেও বুঝতে পারবেন নাযে অন্যপাশ হতে কেউ আপনাকে দেখছে! অথবা আয়নার অন্য পাশে লাগানো আছে অত্যাধুনিক কোন ক্যামেরা ।

আপনার আঙ্গুল আয়নার উপর রাখুন।যদি আপনার আঙ্গুলের মাথা প্রতিবিম্ব আঙ্গুলের মাথার সাথে না লাগে (মাঝে যদি ফাঁকা থাকে) তাহলে আয়না আসল। আর যদি আঙ্গুলের মাথা প্রতিবিম্বের মাথার সাথে লেগে যায়, তার মানে আয়না নকল! এটা আসল আয়না না, একটা দ্বিমুখী আয়না ! যার অন্যপাশে থেকে আপনাকে দেখা যাবে, কিন্তু আপনি তাকে দেখতে পাবেন না। মানে অন্যপাশে থেকে কেউ আপনাকে দেখছে বা ভিডিও করছে! কারন আসলআয়নার সিলভার প্রলেপ থাকে আয়নার পিছনে, যার জন্য আপনার আঙ্গুল ও প্রতিবিম্বের মাঝে ফাঁকা থাকবে আয়নার পুরুত্বের জন্য।আর নকল আয়নার(দ্বিমুখী) সিলভার প্রলেপ থাকে আয়নার সামনে, যার জন্য আপনার আঙ্গুলের ছাপ আপনার আঙ্গুলের প্রতিবিম্বের সাথে লেগে যাবে কারন মাঝে কোনো বাধা নেই।

(পড়ার পর সবাই শেয়ার অপশনে ক্লিক করে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন, আপনার ১ টি শেয়ারে হয়তো আরও ৫ টি আপু রক্ষা পাবে এমন ফাঁদ থেকে)

শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৫

জেনে নিন অরগানিক খাবার কেন কিনবেন?

ranna banna o beauty tips
অরগানিক খাবার
অরগানিক,কনভেনশনাল ও জিএমও খাদ্যের নাম আমরা অনেকেই শুনেছি। অরগানিক খাদ্যের প্রসঙ্গে অনেকেই ভাবেন কেন এটা ভাল বা তার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আছে কিনা? আবার অনেকেই ভাবেন এটা স্বাস্থ্যকর নাকি অস্বাস্থ্যকর?

কনভেনশনাল বা প্রচলিত খাদ্য উৎপাদনে কৃত্রিম রাসায়নিক উপাদান যেমন- সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। মাটি এই রাসায়নিক উপাদানগুলো শোষণ করে নেয় যা কখনো দূর হয় না এবং মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়। তাই খাদ্য স্বাদহীন হয়।

জেনেটিক্যালি মডিফাইড অরগানিজমকে জিএমও ফুড বলা হয়। অর্থাৎ জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে এবং অ্যান্টিবায়োটিক ও হরমোন প্রয়োগের মাধ্যমে যে সকল খাদ্য উৎপাদন করা হয় তাদের জিএমও খাদ্য বলা হয়।

অরগানিক ফুড উর্বর মাটিতে চাষ করা হয় যা কৃত্রিম রাসায়নিক মুক্ত। এগুলো উৎপাদনে অ্যান্টিবায়োটিক ও হরমোন ব্যবহার করা হয়না। বিজ্ঞানীদের মতে অরগানিক ফুড অনেক বেশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। গবেষণায় দেখা গেছে যে জৈব খাদ্য বা অরগানিক ফুড শরীরের চর্বি কমায় এবং পেশীর গঠনে সহায়তা করে। আজ আমরা এমন কিছু জৈব খাদ্যের নাম জেনে নেব যাদেরকে আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।

১। স্ট্রবেরি

সবচেয়ে ভাল সুপারফুড হচ্ছে স্ট্রবেরি। স্ট্রবেরি যদি অরগানিক না হয় তাহলে সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে যায়। স্ট্রবেরির উপরের খোসায় খুব সহজেই কীটনাশক আটকে থাকতে পারে। স্ট্রবেরিকে কীটনাশক মুক্ত করার জন্য ধোয়াও কঠিন। তাই যদি অরগানিক স্ট্রবেরি না কিনা হয় তাহলে আপনার শরীরে কীটনাশক যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সুস্বাস্থ্যের নিশ্চিত করার জন্য অরগানিক স্ট্রবেরি খান।

২। শস্য

ইউএসডিএ পেস্টিসাইড প্রোগ্রামের মতে, কনভেনশনাল শস্যে ১৫ ধরণের কীটনাশক থাকে এবং কারসিনোজেন ও নিউরোটক্সিন থাকে যা বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে। অরগানিক শস্যদানা স্ট্রোক,হার্ট ডিজিজ ও দীর্ঘস্থায়ী অসুখের ঝুঁকি কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে। বেশি পরিমাণে জৈব আস্ত শস্যদানা কিনে সংরক্ষণ করুন এতে খরচ বাঁচবে।

৩। আপেল

আপেল কীটনাশক দিয়ে খুব বেশি কলুষিত হয়। আপেল সতেজ রাখার জন্য এর উপরে মোমের প্রলেপ দেয়া হয় জা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অরগানিক আপেল খান।

৪। দুধ

যেসব ফার্মের গরুকে জিএমও ফুড খাওয়ানো হয়না এবং হরমোন বা অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়না সেই গরুর দুধ পান করুন।

৫। মাংস

অরগানিক মাংস খাওয়া উচিৎ কারণ কনভেনশনাল মাংসে যে হরমোন বা অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাবহার করা হয় তা ক্যান্সার এর ঝুঁকি বাড়ায় ও অন্যান্য ক্ষতিকর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে।অরগানিক মাংসের দাম বেশি হতে পারে কিন্তু এর পুষ্টিগুন অনেক বেশি।

এছাড়াও আরো কিছু খাবার আছে যা অরগানিক হওয়া ভালো, যেমন-আঙ্গুর,পিচ ফল,টমাটো,শশা,আলু ও মরিচ ইত্যাদি।   

লেখক-

সাবেরা খাতুন

থাই স্বাদে গ্রিল চিংড়ি

থাই স্বাদে গ্রিল চিংড়ি
উপকরণ -

মাঝারি থেকে বড় চিংড়ি -১২-১৬ টি
রসুন বাটা - ১ চা চামচ
টম ইয়াম পেস্ট - ২ চা চামচ (সুপার মার্কেট এ কিনতে পাওয়া যায় )
লেমন গ্রাস /থাই পাতা ছেচে নেয়া -৫-৬ টুকরা (২ ইঞ্চি সাইজের )
গোল মরিচ গুঁড়ো -আধা চা চামচ
লবণ - স্বাদমত
লেবুর রস - ৪ টেবিল চামচ
সয়াসস - ২ চা চামচ
ফিস সস - ১ চা চামচ
তেল - ২ চা চামচ
শাশলিক এর কাঠি -৪ টি

প্রণালী -

    -প্রথমে চিংড়ির লেজ রেখে মাথা ও খোসা ফেলে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে।
    (দেশী গলদা চিংড়ি হলে মাথা ও লেজ রেখে খোসা ফেলে দিয়েও করা যায়। আর সামুদ্রিক চিংড়ি হলে ,শুধু লেজ রেখে মাথা ও খোসা ফেলে দিতে হবে )
    -মাথা ও খোসা ফেলে এখন একটা বাটিতে রসুন বাটা, টম ইয়াম পেস্ট , ছেঁচা লেমন গ্রাস , গোল মরিচ গুঁড়ো , লেবুর রস ,সয়াসস ,ফিস সস ,তেল ও সামন্য লবণ একসাথে মিশিয়ে নিয়ে.এর মধ্যে চিংড়ি গুলো দিয়ে মাখিয়ে ৩০ মিনিট মেরিনেট করতে হবে।
    -৩০ মিনিট পর শাশলিক এর কাঠি তে চিংড়ি গুলো গেথে নিতে হবে। একটি কাঠিতে ৪ টি করে চিংড়ি গেথে নিতে হবে।
    -এখন একটি গ্রিল প্যান খুব ভালো করে গরম করে অল্প তেল ছড়িয়ে দিতে হবে।প্যান ভালো মত গরম হলে চুলার আঁচ একটু কমিয়ে , তারপর কাঠি তে লাগানো চিংড়ি গরম গ্রিল প্যান এ দিয়ে গ্রিল করতে হবে। এক পিঠ ৪ মিনিট এর মত গ্রিল করতে হবে। এরপর কাঠি গুলো উল্টে দিয়ে আরো ৪ মিনিট গ্রিল করে ,একটু পোড়া পোড়া হলে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
    -চাইলে চিংড়ি গ্রিল করার সময় অল্প করে টম ইয়াম পেস্ট চিংড়ির উপরে ব্রাশ করে দিতে পারেন।

টিপস

    -৭-৮ মিনিটেই চিংড়ি সুসিদ্ধ হয়ে যায়। চিংড়ি যত বেশি সময় রান্না করা হবে ,তত শক্ত হয়ে যাবে, রাবারের মত।
    -Tom yum পেস্ট হচ্ছে- একটা থাই পেস্ট ,যা খুবই ঝাল লাল মরিচ ও লেমন গ্রাস এর একটা পেস্ট। এর পরিবর্তে শুকনা লাল মরিচ বাটা ও ব্যবহার করা যাবে। লাল মরিচ এর পেস্ট ব্যবহার করলে,সাথে সামান্য চিনি ও দিতে হবে।
    -যেহেতু এখানে ফিস সস ও সয়াসস ব্যবহার করা হয়েছে ,তাই লবণ খুব এ কম দিতে হবে। কারণ ফিস সস ও সয়াসস খুবই লবনাক্ত।
    -টম ইয়াম পেস্ট কম বেশি দেয়া যাবে। যেমন ঝাল চান সেই অনুযায়ী দিলেই হবে।
    -গ্রিল প্যান ছাড়াও ,নরমাল ফ্রাই প্যান/কাঠ কয়লায়/ওভেন এও গ্রিল করা যায়।

সাধারণ সুজি দিয়েই তৈরি করুন মজাদার "মালপোয়া পিঠা”

সাধারণ সুজি দিয়েই তৈরি করুন মজাদার "মালপোয়া পিঠা”
যা প্রয়োজন
সুজি-৫০০ গ্রাম(৩ কাপ)
বেকিং পাউডার- ১/৪ চা চামচ
লবণ- সামান্য
ডিম- ২টি
তেল- ভাজার জন্যে
লিকুইড দুধ- ২ লিটার
গুঁড়া দুধ- ১ কাপ
এলাচ গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
পেস্তা/বাদাম কুচি- সাজানোর জন্যে

যেভাবে করবেন

    -সুজির সাথে বেকিং পাউডার ও লবণ মিশিয়ে নিন। এরপর ডিম মিশিয়ে পরিমান মতো কুসুম গরম দুধ দিয়ে ডো করে নিন।
    -ডো করা হলে গোল গোল করে বলের মতো বানিয়ে একটু চ্যাপটা আকৃতির মালপোয়া বানিয়ে নিন।
    -মাঝারি আঁচে তেল গরম করে মালপোয়াগুলি হালকা বাদামি করে ভেজে রাখুন।
    -আলাদা সসপ্যানে লিকুইড দুধের সাথে গুঁড়া দুধ ও এলাচ গুঁড়া মিশিয়ে জ্বাল দিন। দুধ ঘন হলে ভেজে রাখা মালপোয়া মিশিয়ে ৪-৫ মিনিট জ্বাল করে আঁচ নিভিয়ে ঢাকনা দিয়ে রাখুন।
    -ঠান্ডা করে পেস্তা কুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন দারুন মজার সুজির মালপোয়া পিঠা।

বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৫

শীতের খুশকি দূর করার সহজ উপায়

শীতের খুশকি দূর করার সহজ উপায়
মাথার তালুর সাদা বর্ণের মৃত চামড়াকে খুশকি বলে। মাথার তালু শুষ্ক হলে অথবা সেবোরহেইক ডারমাটাইটিস এর জন্য খুশকি হয়। এছাড়াও এক্সিমা, সোরিয়াসিস বা ম্যালাসেজিয়া নামক ছত্রাকের আক্রমনেও খুশকি হতে পারে। যে কোন বয়সের মানুষেরই খুশকির সমস্যা হতে পারে, তবে টিনএজার ও প্রাপ্তবয়স্কদের বেশি হয়ে থাকে। এটা বিরক্তিকর ও অস্বস্তিকর একটি সমস্যা তবে মারাত্মক কোন সমস্যা নয়। খুশকির পরিমাণ বেশি হলে ব্রণ ও চুলকানির সমস্যা হতে পারে। খুশকি নিয়ন্ত্রণের জন্য সহজ ও কার্যকরী কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি আছে। আসুন সেই পদ্ধতি গুলো জেনে নেই।

১। ভিনেগার

খুশকি দূর করার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী উপাদান হচ্ছে ভিনেগার যা সস্তা ও সহজ লভ্য।আপেল সিডার ভিনেগার বা সাদা ভিনেগার দুইটাই খুশকি নির্মূলের কাজে ব্যাবহার করা যায়।   

    -এক কাপের ৪ভাগের ১অংশ ভিনেগার এবং ৪ভাগের ৩অংশ পরিমাণ পানি    একসাথে মিশিয়ে চুল ধোয়ার পর ব্যাবহার করুন।
    -ভিনেগার দেয়ার পর আর চুল ধোবেন না।তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।চুল শোকানোর সাথে সাথে ভিনেগারের গন্ধও চলে যাবে।
    -যতদিন না খুশকি দূর হচ্ছে নিয়মিত ভিনেগার ব্যবহার করুন। 

২। নিম

নিমে ছত্রাক নাশক ও ব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদান আছে।তাই শুধু খুশকি দূর করার জন্যই না মাথার তালুর অ্যাকনি,চুলকানি এবং চুল পড়া বন্ধ করতেও নিম ব্যাবহার করা হয়।নিমকে ইন্ডিয়ান লাইলাক ও বলা হয়।

    -   চার কাপ পানিতে এক মুঠো নিম পাতা দিয়ে সিদ্ধ করুন
    -   ঠান্ডা করে মিশ্রণটি ছেকে নিন
    -   এই মিশ্রণটি চুলে ব্যবহার করুন সপ্তাহে ২-৩বার।

৩। নারিকেল তেল

ক্রাঞ্চিবেটি ডট কম এর মতে খুশকির চিকিৎসায় নারিকেল তেল প্রয়োগ কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে।

    -গোসলের আগে ৩-৫ টেবিল চামুচ নারিকেল তেল মাথার তালুতে লাগান এবং এক ঘন্টা রাখুন
    -তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

৪। মাউথওয়াশ

খুশকির সমস্যা দূর করার জন্য মাউথ ওয়াশ ব্যাবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। খুশকির সমস্যা অনেক বেশি হলে চুল ধোয়ার পর মাথার তালুতে মাউথ ওয়াশ লাগান। এভাবে ৫-১০মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।চোখে যেন না লাগে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। সপ্তাহে একবার এটা করতে পারেন।

৫। লেবু

খুশকি দূর করতে লেবু চমৎকার কাজ করে। গোসলের আগে মাথার তালুতে ভালো ভাবে লেবু ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। লেবু খুশকি দূর করার পাশাপাশি চুলের আঠালো ভাব দূর করে এবং উজ্জ্বলতা দান করে। 

নিয়মিত চুল আঁচড়ান, এতে মাথার তালুর রক্ত চলাচল বাড়বে এবং তেল এর নিঃসরণ বাড়বে। স্ট্রেস এর কারনে খুশকি বাড়তে পারে।তাই স্ট্রেস মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।স্বাস্থ্যকর খাবার খান।অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- ফাস্ট ফুড ও চিনি সমৃদ্ধ খাবার কম খান।ভিটামিন বি৬ ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার খান,কারণ এগুলো চুল ও তালুর ত্বক ভালো রাখে।পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
লিখেছেন-

সাবেরা খাতুন


দারুণ সুস্বাদু ভারতীয় খাবার পনির টিক্কা মাসালা।

ranna banna o beauty tips
দারুণ সুস্বাদু ভারতীয় খাবার পনির টিক্কা মাসালা।
পনির দিয়ে করা রান্নাগুলোয় অন্যরকম এক মজা পাওয়া যায়। মাংস রান্নার ঝক্কি কম, আবার ভেজিটেরিয়ানদের জন্যেও পোয়াবারো। নভেম্বরের এই হালকা হালকা শীতের আমেজে একটু ঝাল আর একটু স্মোকি ফ্লেভারের স্বাদ নিতে তৈরি করে ফেলতে পারেন পনির টিক্কা মাসালা। বাড়িতেই পাবেন একদম রেস্টুরেন্টের মতো চমক।
উপকরণ:

টিক্কার জন্য

    -   ২৫০ গ্রাম পনির, দুই ইঞ্চি লম্বা করে ও ২ সেন্টিমিটার পুরু করে টুকরো করা
    -   এক কাপ পিঁয়াজ ও ক্যাপসিকাম চৌকো করে কাটা
    -   দুই টেবিল চামচ বেসন
    -   সিকি কাপ টক দই
    -   লবণ স্বাদমতো
    -   আধা চা চামচ চাট মশলা
    -   এক চা চামচ লেবুর রস
    -   দেড় চা চামচ গরম মশলা
    -   দেড় চা চামচ আদা কুচি
    -   দেড় চা চামচ রসুন কুচি
    -   দেড় চা চামচ জিরা গুঁড়ো
    -   দুই চা চামচ কাশ্মিরি মরিচ গুঁড়ো
    -   আধা চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
    -   চার টেবিল চামচ তেল

মশলার জন্য

    -   ৫টা টমেটো সেদ্ধ করে পেস্ট করা
    -   ৩টা পিঁয়াজ হালকা সাঁতলে পেস্ট করা
    -   ৫ টেবিল চামচ তেল
    -   আধা কাপ ধনেপাতা কুচি
    -   তিনটা কাঁচামরিচ মাঝখান থেকে ফাঁড়া
    -   লবণ স্বাদমতো
    -   এক চা চামচ লেবুর রস
    -   এক চা চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার (এক টেবিল চামচ পানিতে গুলে নেওয়া)
    -   চারটা এলাচ, থেঁতো করা
    -   এক চা চামচ ধনে গুঁড়ো
    -   সিকি চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
    -   দেড় চা চামচ কাশ্মিরি মরিচ গুঁড়ো
    -   আধা চা চামচ করে আদা ও রসুন বাটা
    -   এক চা চামচ ফ্রেশ ক্রিম
    -   লাল ফুড কালার (ইচ্ছে হলে দিতে পারেন)
    -   সিকি চা চামচ চিনি (ইচ্ছে হলে দিতে পারেন)

অন্যান্য

    -   দুই কাপ কয়লা
    -   কাঠের শিক ৫টা, আধা ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখা (শাসলিকের কাঠি বা লম্বা টুথপিক ব্যবহার করতে পারেন)

প্রণালী:

১) একটি বোলে মিশিয়ে নিন টিক্কার জন্য সব শুকনো মশলা এবং বেসন। এতে অল্প অল্প করে টক দই মিশিয়ে নিন যাতে ঘন একটা পেস্ট হয়।

২) এতে মিশিয়ে নিন আদা, রসুন, লেবুর রস। একটা কড়াইতে দিন দুই টেবিল চামচ তেল। তেলটা থেকে ধোঁয়া ওঠা শুরু করলে চুলা নিভিয়ে দিন। এই স্মোকি গন্ধওয়ালা তেলটা ম্যারিনেটে মিশিয়ে নিন।

৩) ম্যারিনেটে দিয়ে দিন পিঁয়াজ, ক্যাপসিকাম এবং পনির। হাত দিয়ে ভালো করে ম্যারিনেট মাখিয়ে নিন সবকিছুতে। এরপর এর ওপরে প্লাস্টিক র‍্যাপার/ক্লিং ফিল্ম দিয়ে ঢেকে ফ্রিজে রেখে দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট।

৪) স্টিলের গ্যাস তন্দুর/বটি মেকার (ভিডিওতে দেখুন) এর ভেতরে কয়লা নিন। এর ওপরে গ্রিল র‍্যাক দিয়ে গরম করে নিন ১৫ মিনিট।

৫) ম্যারিনেট হওয়া পনির, পিঁয়াজ এবং ক্যাপসিকাম কাঠের শিকে লাগিয়ে এগুলোকে গ্রিল র‍্যাকের ওপরে রাখুন। ঢাকনা দিয়ে ২-৩ মিনিট গ্রিল হতে দিন।

৬) ম্যারিনেট যেটুকু বাকি থাকবে, তাতে ২ টেবিল চামচ তেল মিশিয়ে এগুলোকে পনিরের ওপরে একটু ব্রাশ করে দিতে পারেন। এরপর আরও ৩-৪ মিনিট গ্রিল করুন।

৭) এগুলোকে উল্টে দিতে পারেন সাবধানে। এরপর ঢাকনা খুলে রেখে আরও ২-৩ মিনিট রান্না করুন। এরপর এগুলোকে বের করে শিক থেকে খুলে প্লেটে রেখে দিন।

৮) এবার গ্রেভি তৈরি করার পালা। কড়াইতে তেল দিয়ে দিন। গরম হয়ে গেলে এতে এলাচ দিন। এরপর আদা-রসুন বাটা দিয়ে মশলাটা কষে নিন। এতে পিঁয়াজ বাটা দিয়ে ২-৩ মিনিট রান্না করে নিন। স্বাদমতো লবণ দিয়ে নিন এবং টমেটো পেস্ট যোগ করুন।

৯) তেল ওপরে ওঠা পর্যন্ত রান্না করুন। এরপর কাশ্মিরি মরিচের গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো দিয়ে মিশিয়ে নিন। মিনিট দুয়েক রান্না হতে দিন।

১০) এরপর দিতে পারেন ফুড কালারটুকু। ম্যারিনেটের মশলা বাদ থাকলে সেটুকুই দিয়ে দিন। চিনিটুকুও দিতে পারেন। এরপর ভালো করে মিশিয়ে কর্ন ফ্লাওয়ারের অর্ধেকটা দিয়ে মিশিয়ে নিন। এতে মিশ্রণটি মসৃণ হয়ে আসবে। আরও সুন্দর গ্রেভি চাইলে পুরো কর্ন ফ্লাওয়ারটা দিতে পারেন। এটাকে ভালো করে নেড়ে আরও কিছুক্ষণ রান্না হতে দিন।

১১) এক চা চামচ ফ্রেশ ক্রিম, ধনেপাতা কুচি, কাঁচামরিচ এবং লেবুর রস দিয়ে নেড়ে নিন। এতে টিক্কাগুলো দিয়ে দিন এবং আলতো হাতে নাড়ুন। বেশি ঘন গ্রেভি হয়ে থাকলে সিকি কাপ পানি দিন। ঢাকনা দিয়ে দুই মিনিট রান্না করুন। ব্যাস, কাজ শেষ!

পনির টিক্কা মাসালা পরিবেশন করতে পারেন ভাত, রুটি, নান, পরোটার সাথে যে কোনো সময়ে।

পিজ্জা তৈরি করুন আটা দিয়েই!

পিজ্জা তৈরি করুন আটা দিয়েই!
বিভিন্ন রকমের পিজ্জা খেতে যেমন মজা, তেমনি এটা তৈরি করারও রয়েছে বিভিন্ন পদ্ধতি। পিজ্জার ওপরে টপিংগুলো যেমন পরিবর্তন করা যায়, তেমনি পিজ্জার বেসটাও কিন্তু আপনি ইচ্ছে করলে ময়দার বদলে আটা দিয়েই তৈরি করতে পারবেন। যারা স্বাস্থ্যগত কারণে ময়দার বদলে আটা খেতে পছন্দ করেন, তারা সহজেই তৈরি করে ফেলতে পারবেন এই আটার পিজ্জা।
 
উপকরণ:

    -   এক কাপ আটা
    -   আধা কাপ কুসুম গরম পানি
    -   তিন টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
    -   এক টেবিল চামচ পিজ্জার মশলা
    -   আধা চা চামচ চিনি
    -   লবণ স্বাদমতো
    -   আধা টেবিল চামচ ইস্ট
    -   সিকি কাপ পিঁয়াজ কুচি
    -   সিকি কাপ ক্যাপসিকাম কুচি
    -   সিকি কাপ ভুট্টাদানা (পানিতে আধাসেদ্ধ করা)
    -   ৩ টেবিল চামচ পিজ্জা সস
    -   আধা কাপ পনির

প্রণালী:

১) একটা বাটিতে হালকা গরম পানিতে চিনি এবং ইস্ট মিশিয়ে নিন। ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন।

২) আটা, লবণ এবং মশলা একসাথে মিশিয়ে নিন। এর সাথে ইস্টের মিশ্রণটি দিয়ে ভালো করে খামির করে নিন। আঠালো একটি মিশ্রণ হবে। দরকার হলে আরও কিছুটা কুসুম গরম পানি দিতে পারেন। একটি বোলে তেল মাখিয়ে তাতে রেখে দিন এই খামির এবং এবং একটা ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে উষ্ণ কোনো জায়গায় রেখে দিন ঘণ্টাখানেক। ফ্রিজে রাখবেন না অবশ্যই।

৩) এক ঘন্টা পর একটা প্রেশার কুকারে দুই কাপ লবণ দিয়ে এর ওপরে একটা র্যাক এবং পারফোরেটেদ প্লেট রাখুন। কুকার মাঝারি আঁচে গরম হতে দিন। গ্যাস তন্দুরেও তৈরি করতে পারেন। অথবা ওভেন ১০ মিনিট প্রি-হিট করে নিতে পারেন ২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

৪) হাতে আটা মেখে নিয়ে এক মিনিট ধরে খামিরটাকে মাখান। এরপর এটাকে ইচ্ছেমত পুরুত্বে বেলে নিন। এটাকে বসিয়ে নিন একটা পিজ্জা প্যানে।

৫)  পিজ্জা প্যানটাকে প্রেশার কুকারের ভেতরে দিয়ে বেক করে নিন ২ মিনিট। ভালোভাবে হয়েছে কিনা দেখে নিন। কারণ ভেতরে কাঁচা কাঁচা গন্ধ থেকে যেতে পারে।

৬) এটাকে বের করে নিয়ে ওপরে ছড়িয়ে দিন সস, পনির, পিঁয়াজ, ক্যাপসিকাম, ভুট্টা এবং লবণ। পাশে দিয়ে তেল মাখিয়ে নিন। এটাকে আবারো প্রেশার কুকার/তন্দুর/ওভেনে দিয়ে ১০ মিনিট বেক করুন। 

তৈরি হয়ে গেলো পিজ্জা। ওপরে মশলা ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম।

বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৫

পুদিনা পাতা কেন খাবেন???

পুদিনা পাতা কেন খাবেন???
পুদিনা পাতা প্রাচীনকাল থেকেই বেশ জনপ্রিয় ওষুধ হিসেবে পরিচিত। বহু রোগের আরোগ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পুদিনা পাতা এক ধরনের সুগন্ধি গাছ। এই গাছের পাতা তরি-তরকারির সঙ্গে সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই পুদিনার গাছ জন্মে। এর পাতা সুগন্ধি হিসেবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য স্থানীয় নাম— Mint, nana। এর বৈজ্ঞানিক নাম Mentha Spicata। এটি Lamiaceae পরিবারের অন্তর্গত।

পেটের পীড়ায় : এটি ইরেটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (আইবিএস) এবং দীর্ঘস্থায়ী বদহজমের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকর। এছাড়াও পুদিনা কোলনের পেশি সঙ্কোচন নিয়ন্ত্রণ করে।

অ্যাজমা : পুদিনায় রোজমেরিক এসিড নামের এক ধরনের উপাদান থাকে। এটি প্রাকপ্রদাহী পদার্থ তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে অ্যাজমা হয় না। এছাড়াও এ ঔষধি প্রোস্টসাইক্লিন তৈরিতে বাধা দেয়। তাতে শাসনালী পরিষ্কার থাকে।

এন্টিক্যান্সার : পুদিনায় আছে মনোটারপিন নামক উপাদান। যা স্তন, লিভার এবং প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। নিয়মিত খেলে ফুসফুস, কোলন এবং ত্বকের ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

পুদিনার ভেষজগুণ

পুদিনা খুবই উপকারী একটি উদ্ভিদ। আমাদের শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। মুখের স্বাদ বাড়াতেও এটি খুব কার্যকর। আরও যেসব ক্ষেত্রে পুদিনার পাতা ব্যবহার করা যায়, তা হলো :

১. পুদিনার তাজা পাতা পিষে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর যদি তা ধুয়ে ফেলা যায়, তাহলে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যায়। ব্রণ ওঠাও বন্ধ হয়।
২. পুদিনার পাতা পিষে রস করে তার ভেতর দু’তিন ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে তা পান করলে ক্লান্তিভাবও দূর হয়।
৩. কোনো কারণে কোনো ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার নাকের কাছে কিছু তাজা পুদিনা পাতা ধরুন। দেখবেন, লোকটি জ্ঞান ফিরে পেয়েছে।
৪. পুদিনার পাতা ভালো করে পিষে তার রস ভালো করে মাথায় ব্যবহার করুন। যাদের চুলে উকুন আছে তারা খুব উপকার পাবেন।
৫. শরীরের ব্যথা দূর করতে পুদিনা পাতার চা খুব কাজে দেয়।
৬. মাথা ও পেট ব্যথা নিরাময়েও পুদিনার পাতা খুব উপকারী।
৭. যাদের মাঝে মধ্যে হেঁচকি ওঠে, তারা পুদিনা পাতার সঙ্গে গোল মরিচ পিষে তা ছেঁকে নিয়ে রসটুকু পান করুন। দেখবেন হেঁচকি বন্ধ হয়ে গেছে।

তাহলে এবার থাকে বেশি করে “পুদিনা পাতা” ব্যবহার করুন আর নিজে ঠিক থাকুন।

ভেজিটেবল স্প্রিং রোল ও অনিয়ন রিং

ভেজিটেবল স্প্রিং রোল ও অনিয়ন রিং
ভেজিটেবল স্প্রিং রোল যা লাগবে

  • পেঁপে কুঁচি
  • গাজর কুঁচি
  • পেয়াজ কলি কুঁচি
  • সয়া সস ২ চা চামুচ
  • আদা ,রসুন কুঁচি ১ চা চামচ
  • তেল ভাজার জন্য
প্রেস্ট্রি সিট( রেডি মেড কেনা ) যদি না পান তাহলে ময়দা,ডিম,লবন আর পানি গুলে অনেক পাতলা করে রুটি বানিয়ে নিয়ে করতে পারেন। প্রথমে প্যান এ অল্প তেল দিয়ে তাতে সবজি এর সাথে সয়া সস দিয়ে বেশি আঁচে রান্না করে নিন। বেশি রান্না করার প্রয়োজন নেই। রান্না হলে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এবার প্রেস্ট্রি সিট এ সবজির পুর ভরে গরম ডুবো তেলে ভেজে নিন ।

অনিয়ন রিং বানাতে যা লাগবে

  • হাফ কাপ ময়দা
  • ১ চা চামচ বেকিং পাউডার
  • পাপরিকা পাউডার / ( আপনি চাইলে লাল মরিচ গুড়া দিতে পারেন )
  • লবন স্বাদমত
  • গোল মরিচ গুড়া খানিকটা
  • ১ টা বড় পেয়াজ রিং মত গোল করে কেটে রিং গুলোকে আলাদা করে নিতে হবে।
পানি পেয়াজ এর রিং গুলো ছাড়া সব উপকরণ পানি দিয়ে মসৃন করে মিশিয়ে নিন। এটা বেশি ঘন হবে না আবার পাতলাও হবে না. এবার এই মিশ্রন টা তে পেয়াজ এর রিং গুলো কাটা চামচ এর সাহায্যে ডুবিয়ে ডুবো তেলে লাল করে ভেজে তুলুন। গরম গরম পরিবেশন করুন ।

সহজে ঘরে বসে তৈরি করুন সুস্বাদু ভ্যানিলা কেক

সহজে ঘরে বসে তৈরি করুন সুস্বাদু ভ্যানিলা কেক
স্পঞ্জ এর উপকরণ:

ডিম ৩ টা,
আইসিং সুগার ১ কাপ,
ভ্যানিলা এসেন্স ১ চা চামচ,
ময়দা ১ কাপ
বেকিং পাউডার ১ চা চামচ।

স্পঞ্জ প্রস্তুত প্রণালি:

ময়দা, বেকিং পাউডার একসঙ্গে চেলে নিতে হবে।
বোলে ডিমের সাদা অংশ খুব করে বিট করে ফোম তুলে (ডিম এমন ভাবে বিট করতে হবে যেন বোল উল্টালে ফোম না পরে) চিনি দিয়ে ডিমের হলুদ অংশ দিয়ে আবার বিট করে নিতে হবে।
এতে হালকা হাতে ময়দার মিশ্রণ মিলিয়ে নিতে হবে। পরে এসেন্স মিলিয়ে বেকিং ডিশে ঢেলে প্রিহিটেড ওভেনে বেক করতে হবে মাঝারি আঁচে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট।
অথবা মাইক্রো ওভেন এ ৪-৫ মিনিট বেক করতে হবে। কেক হয়ে গেলে সুতা দিয়ে কেটে ৩ লেয়ার করে ঠাণ্ডা করতে হবে।

ক্রিম এর উপকরণ:

মাখন ৪০০ গ্রাম,
আইস সুগার ২০০ গ্রাম (চেলে নিতে হবে).
আইসকিউব ৪-৫টা। (বরফ কুচি করে নিতে হবে)
ভ্যানিল এসেন্স ১ চা চামচ।
স্প্রাইট ১/৩ বোতল ( 200 ml)

ক্রিম প্রস্তুত প্রণালি:

৫ মিনিট বিট করে ৫ মিনিট বিটার বন্ধ রাখতে হবে। সবশেষে এসেন্স দিয়ে বিট করতে হবে।
এখন (প্রয়োজনমতো রং মিলিয়ে) আইসিং তৈরি করতে হবে।
এরপর কেক এর উপর স্প্রাইট ব্রাশ করে ক্রিমের স্তর দিয়ে ওপরে অন্য টুকরা রাখুন।
এবার সাদা ক্রিম দিয়ে কেকটা ঢেকে দিন।
পছন্দ মত সাজান।

মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৫

টমেটোর চাটনী

টমেটোর চাটনী
উপকরণ কি কি লাগবেঃ

টমেটো – ৫ টা (মাঝারী সাইজের)
পেয়াঁজ কুচি – ১ টেবিল চামচ (যত কুচি করা যায় ভাল লাগবে দেখতে-খেতে)
শুকনা মরিচ – ৩ টা (ভেঙ্গে বা চটকে নিতে হবে)
ধনেপাতা কুচি – ১ চা চামচ (চাইলে আরো বেশি দিতে পারেন, যেমন আপনার পছন্দ)
লবণ পরিমাণমতো
সরিষার তেল – আধা চা চামচ (স্বাদ বাড়িয়ে দিবে নিঃসন্দেহে)

কিভাবে করবেনঃ
ধোয়া টমেটোগুলো প্রথমে টেলে (ভেজে) নিন গরম-শুকনো তাওয়া’র উপর দিয়ে, খেয়াল রাখবেন তাওয়া যেন খুব গরম হয়ে না ওঠে। টালা টমেটোর খোসা ছাড়িয়ে টমেটোগুলো চটকে নিন। একটি বাটিতে পেয়াঁজ কুচি , শুকনা মরিচ , ধনেপাতা কুচি ও লবণ ভাল করে মেখে রাখুন। এবার বাটিতে মাখানো উপকরণেগুলোর সাথে চটকানো টমেটো মেশান, সরিষার তেল দিয়ে আরেকটু মেখে নিন, ভাল করে মিশে যাবে।

হয়ে গেলো টমেটোর চাটনী।

মিনি স্যান্ডউইচ

মিনি স্যান্ডউইচ
উপকরণ: স্যান্ডউইচ ব্রেড প্রয়োজনমতো, শসা ও গাজর কুচি করা প্রয়োজনমতো। স্যান্ডউইচ ফিলারের জন্য: ব্রয়লার মুরগির বুকের মাংস ২ টুকরা। পেঁয়াজ মোটা কুচি ১টা, আদা কুচি আধা চা-চামচ, লবণ সিকি চা-চামচ, পানি ১ কাপ।

প্রণালী: ওপরের সব উপকরণ দিয়ে মাংস সেদ্ধ করে নিন। মাংস হাড় থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে লম্বা কুচি করুন। মাংসকুচিতে মেয়োনেজ (স্বাদমতো) ও কাঁচা মরিচ (বিচি ফেলে দেওয়া) দিয়ে মেখে রাখুন। কুচি করা গাজর ও শসায় মেয়োনেজ মেখে নিন।
রুটিতে ১ স্তর মাংস, ১ স্তর গাজর ও শসা দিয়ে স্যান্ডউইচ বানিয়ে তিন কোনা করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

রেশমি জিলাপি

রেশমি জিলাপি
উপকরণ: ময়দা ২ কাপ, খাওয়ার সোডা সিকি চা চামচ, মাষকলাই ডাল ২৫০ গ্রাম, চালের গুঁড়া সিকি কাপ , চিনি ৩ কাপ, পানি দেড় কাপ( প্রয়োজনে কম বা বেশি) , গোলাপজল ১ টেবিল-চামচ, ঘি বা তেল (ভাজার জন্য) পরিমাণমতো।

প্রণালি: ডাল ৪-৫ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে, যেন খোসা না থাকে। ডাল মিহি করে বেটে নিতে হবে। চালের গুঁড়া ও ময়দা পানি দিয়ে ঘন করে গুলে ডালের সঙ্গে মিশিয়ে ৫-৬ ঘণ্টা ঢেকে রাখতে হবে। মিশ্রণকে ভালোভাবে ফেটিয়ে চিকন ফানেলে ভরে বা একটি মোটা কাপড় ছিদ্র করে বড় ফ্রাইপ্যানে ঘি ও তেল গরম করে আড়াই প্যাঁচে দিয়ে জিলাপি মাঝারি আঁচে মচমচে করে ভেজে সিরায় দিতে হবে।
জিলাপি টসটসে হলে ঝাঁজরিতে করে উঠিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

চুলের যত্নে মেহেদী

চুলের যত্নে মেহেদী
বহুকাল পেরিয়ে গিয়েছে, কিন্তু এখনো মেহেদী পাতার কদর কমেনি একটুও। এখনো সৌন্দর্য সচেতন নারীরা নিজের চুল গুলোকে সুন্দর ও ঝলমলে রাখার জন্য ব্যবহার করেন মেহেদী পাতা। জেনে নিন চুলের যত্নে মেহেদী পাতার কিছু ব্যবহার সম্পর্কে।

চুল পড়া কমাতে

অনেকেই চুল পড়া সমস্যায় ভুগছেন। যাদের চুল পড়ে যাচ্ছে তারা চুল পড়া কমানোর জন্য মেহেদী ব্যবহার করতে পারেন। মাসে দুই বার মেহেদী বাটা পুরো চুলে লাগিয়ে ঘন্টাখানেক রেখে ধুয়ে ফেলুন। মেহেদীর সাথে আমলকীর গুড়া বা আমলকী বাঁটা মিশিয়ে নিলে আরো বেশি উপকার পাওয়া যাবে।

কন্ডিশনার হিসেবে

কন্ডিশনার হিসেবে মেহেদীর জুড়ি নেই। দুই সপ্তাহ পরপর মেহেদী বাটার সাথে ডিমের সাদা অংশ ও কলা মিশিয়ে নিন। এরপর মিশণটি পুরো চুলে ভালো করে মেখে নিন। মাথায় শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। এভাবে একঘন্টা রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। নিয়ম মেনে দুই সপ্তাহ পরপর ব্যবহার করলে চুলের ভঙ্গুর ভাব দূর হবে এবং চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

চুল রাঙাতে

যাদের চুল পেকে গিয়েছে অথবা একটু একটু পাকা শুরু করেছে তারা বেশ দুশ্চিন্তায় থাকেন সাদা চুলগুলো নিয়ে। কিভাবে সাদা চুল ঢাকবেন তা নিয়ে চিন্তার শেষ থাকে না। চুলের রং ব্যবহারেরও আছে নানান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই চুলের রঙও ব্যবহার করতে ইচ্ছে করে না। যারা এমন সমস্যায় আছেন তারা চুল রাঙাতে ব্যবহার করতে পারেন মেহেদী। মেহেদী পাতা বেঁটে চায়ের ঘন লিকার অথবা কফির লিকার মিশিয়ে নিন। এতে রং ভালো হবে।

খুশকির থেকে মুক্তি পেতে

খুশকির সমস্যা থেকে রেহাই পেতেও মেহেদীর জুড়ি নেই। যারা খুশকি সমস্যাতে আছেন তারা খুব সহজেই মেহেদী পাতা ব্যবহার করে খুশকির থেকে রেহাই পেতে পারবেন। মেহেদী বাঁটার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পুরো মাথায় মেখে রাখুন এক ঘন্টা। এরপর চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। মাসে দুইবার ব্যবহার করলে খুশকি থাকবে না।

আমাদের টিপস গুলো অবহেলা করবেন না। লাইক দিয়ে সব সময় এক্টিভ থাকুন।
আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।

ডিম চপ

ডিম চপ
উপকরণ : সেদ্ধ ডিম ৪টি, সেদ্ধ আলু ৩ কাপ, কাচা ডিম ২টি, টোস্ট গুঁড়া ১কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, আদা কুচি ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, টেস্টিং সল্ট আধা চা চামচ, সাধারণ লবণ পরিমাণ মতো, তেল পরিমাণ মতো।
যেভাবে তৈরি করবেন : প্রথমে কড়াইয়ে তেল গরম করে নিন। গরম তেলে পেঁয়াজ কুচি, আদা বাদামি রং করে ভেজে কাঁচামরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামিয়ে নিন। তেল ঝরিয়ে সেদ্ধ আলুগুলো পেঁয়াজের সঙ্গে মেখে নিন। এরপর আলুর সঙ্গে গোলমরিচ ও জিরা গুঁড়া মাখিয়ে আটটি ভাগ করে নিন। দ্বিতীয় পর্বে ৪টি সেদ্ধ ডিম লম্বা করে দুই ভাগে কেটে আটটি ভাগ করে নিন। অর্ধেক করে কাটা ডিমের পিস আলুর মধ্যে ভরে চপের মতো আকার করুন। এবার অন্য একটি পাত্রে কাচা ডিম দটি ফেটিয়ে চপগুলো ডিমে ডুবিয়ে টোস্টের গুঁড়া মেঘে ডুবো তেলে ছেড়ে দিন। ভাজা হয়ে গেলে তুলে ফেলুন। হয়ে গেলো ডিম চপ। এবার টমেটো সস বা তেঁতুলের চাটনি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

টক ঝাল মিষ্টিতে ভরপুর আপেলের চাটনি

টক ঝাল মিষ্টিতে ভরপুর আপেলের চাটনি
যা লাগবে
আপেল চাক করে কাটা ৮০০ গ্রাম
আস্ত সরিষা ২ চা চামচ
শুকনা মরিচ ফাঁকি ২ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো ১/৪ চা চামচ
লেবুর রস ১/৪ কাপ
চিনি ১/৪ কাপ
সরিষার তেল ৩ টেবল চামচ
লবণ ১ চিমটি

 



প্রণালি

-প্রথমে হাড়িতে তেল দিয়ে তেল গরম হলে আস্ত সরিষা দিন ।
-ফুটে উঠলেই এতে হলুদ গুঁড়া আর চাক করে কাটা আপেল দিয়ে নাড়াচাড়া করুন ১ মিনিট।
-এখন এতে বাকি সব উপকরণ আর হাফ কাপ পানি দিয়ে রান্না করুন ১০ মিনিট।
-ঝোল টা যখন ঘন হয়ে আসবে আর আপেল্গুলু সিদ্ধ হয়ে নরম হয়ে গেলেই বুঝবেন হয়ে গেছে ।
-নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন। এবার কাঁচের বয়মে ভরে নিন। ফ্রিজে রেখে দেড় থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারেন এই চাটনি !
-ডাল ভাত,পোলাও কিনবা পরোটার সাথে দারুন জমে এই চাটনি !

গরুর মাংসের সুস্বাদু কালো ভুনা

গরুর মাংসের সুস্বাদু কালো ভুনা
এক কেজি মাংস রান্না করতে প্রয়োজন হবে ১ কাপ তেল, পিঁয়াজ কুচি মোটা করে ১ কাপ, হলুদ ১ চা চামচ, মরিচের গুঁড়ো, আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা বাটা ১ টেবিল চামচ করে। সাথে ৩/৪টা এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, গোলমরিচ, তেজপাতা আর সবশেষে লবণ পরিমাণমতো।

প্রথমেই মাংস মাঝারি আকার করে কেটে নিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর একটা চালুনিতে নিয়ে মাংস থেকে পানি ঝরান। এবার একটা পাত্রে সব মসলা ও মাংস মিশিয়ে ভালোমতো কষান।

ভালোভাবে কষানোর পর মাংসের ওপর তেল উঠে আসবে। এরপর আবার ২/৩ কাপ পানি ঢেলে দিন। এতে মাংস সেদ্ধ হতে সহজ হবে। সবার শেষে আরেকটি পাত্রে অল্প করে তেল ঢেলে নিয়ে অল্প আঁচে মাংস কালো করে ভেজে নিন। কালো কালো হয়ে যাওয়ার পর চুলা থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

চিংড়ির কাবাব

চিংড়ির কাবাব
উপকরণ : চিংড়ির কিমা এক কাপ, কাঁচামরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, সিদ্ধ আলু পরিমাণমতো, কর্নফ্লাওয়ার পরিমাণমতো, ডিম ২টি, ব্রেডক্রাম পরিমাণমতো, টমেটো সস পরিমাণমতো, লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি : ডিম, ব্রেডক্রাম ও তেল বাদে সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার পছন্দমতো আকারে গড়ে ডিমে ডুবিয়ে ব্রেডক্রাম মেখে ডুবো তেলে বাদামি করে ভাজতে হবে।

চিকেন নাগেট

চিকেন নাগেট
উপকরণঃ
মুরগির মাংসের কিমা-৫০০গ্রাম
পেঁয়াজ (কেটে নেয়া) – ১টি
ডিম-১টি
পাউরুটির স্লাইস- ৬টি
ব্রেডক্রাম্ব- ১কাপ
ময়দা- ১কাপ
পানি- ১/২ কাপ
রসুনবাটা- ১চা চামচ
লবণ- ১চা চামচ
গোলমরিচ গুঁড়ো- ১/৪ চা চামচ
তেল- ভাজার জন্য
পদ্ধতিঃ
মুরগির মাংসের কিমা, পাউরুটির স্লাইস, রসুন, গোলমরিচ গুঁড়ো, লবণ ও পেঁয়াজ একসাথে নিয়ে একটি ফুড প্রসেসরে মিক্স করে নিন। এই মিশ্রণটি একটি বাটিতে নিন এবং ১ টেবিল চামচ করে মিশ্রণ নিয়ে নাগেটের আকৃতি দিন। আরেকটি পাত্রে ডিম ফেটিয়ে নিন এবং পানি মেশান। এবার অপর একটি পাত্রে ব্রেড ক্রাম্ব নিন। এখন নাগেট গুলো এক এক করে নিয়ে পর্যায়ক্রমে ময়দা, ডিম এবং ব্রেডক্রাম্ব মেখে নিন। কয়েকটি করে নাগেট নিয়ে ৫-৬ মিনিট ডুবো তেলে ভাজুন, সোনালি-বাদামি রঙ না আসা পর্যন্ত। টমেটো সসের সাথে উপভোগ করুন মজাদার চিকেন নাগেট।

স্বাস্থ্যকর খাবার এগ টমেটো স্যুপ তৈরি করুন খুব সহজেই!

স্বাস্থ্যকর খাবার এগ টমেটো স্যুপ তৈরি করুন খুব সহজেই!
বিকেল বেলা হালকা ক্ষুধা লাগে। আর এই সময়টাতে কি খাবেন আর কি খাবেন না সেটা নিয়ে অনেকেই বেশ দ্বিধায় ভোগেন। বিকেলের নাস্তায় স্বাস্থ্যকর কিছু খেতে চাইলে এগ টমেটো স্যুপ তৈরি করতে পারেন।

খুব সামান্য তেলে রাঁধা যায় এবং ডিমের কুসুম ও কর্ণফ্লাওয়ার ব্যবহার করা হয়না বলে যারা ডায়েট করছেন তাদের জন্যও এটা হতে পারে আদর্শ খাবার। জেনে নিন এগ টমেটো স্যুপের সহজ রেসিপিটি।

উপকরণঃ

টমেটো বড় ৩ টি
ভিনেগার ২ চা চামচ
পেঁয়াজ কুচি ১ টি
সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১/৪ চা চামচ
তেল ১ টেবিল চামচ
ডিমের সাদা অংশ ৩ টি
চিকেন স্টক ৫ কাপ
চিনি ১/২ চা চামচ
লবণ পরিমাণমত
সয়াসস ১ টেবিল চামচ
ধনেপাতা কুচি
প্রস্তুত প্রণালি –

ফুটানো পানিতে টমেটো দিয়ে দিন। পাতলা খোসা ফেটে গেলে টমেটো তুলে খোসা ছাড়িয়ে নিন। টমেটোগুলোকে টুকরা করে নিন।
একটি পাত্রে তেল গরম করে নিন।
তেলে পেঁয়াজ ভাজুন। পেয়াজ সেদ্ধ হয়ে গেলে চিকেন স্টক, সয়াসস, ভিনেগার,গোলমরিচ এবং পরিমানমতো লবণ ও চিনি দিয়ে দিন।
ফুটে উঠার পরে মৃদু আঁচে ১০ মিনিট চুলায় রেখে দিন।
ডিমের সাদা অল্প ফেটে নিন। এরপর উপর থেকে ধীরে ধীরে স্যুপে ডিমের সাদা ঢেলে দিন। ডিম নেড়ে দিন
স্যুপে টমেটো দিয়ে ৩ মিনিট মৃদু আঁচে ফুটিয়ে নিন।
চুলা থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার এগ টমেটো স্যুপ।

'বেবি ব্লুজ' বা 'প্রসব পরবর্তীকালীন বিষন্নতা'

'বেবি ব্লুজ' বা 'প্রসব পরব্ররতীকালীন বিষন্নতা'
কিছুদিন আগে এক দাওয়াতে গিয়ে 'বেবি ব্লুজ' বা 'প্রসব প্রসব পরবর্তীকালীন বিষন্নতা' নিয়ে কথা ঊঠেছিলো।
টেবিলে বসা পুরুষদের একাংশের ধারণা এটা মর্ডান মেয়ে / মায়েদের হয় যেহেতু তারা ক্যারিয়ার / শপিং / স্টাইলিং ইত্যাদিকে জীবনে অত্যাধিক প্রাধান্য দিয়ে থাকে যা আগের যুগের মায়েদের বেলায় হতনা ।
সেই রাত থেকেই মনে হচ্ছে একজন ডাক্তার ও মা হিসেবে আমার উচিত আমার বন্ধুদের কিছু জানানো যা আমি জানি;

বেবি ব্লুজ : বই অনুযায়ী ৭০% - ৮০% মায়েদেরই হয় । আমার ধারণা আরো বেশি সংখ্যায় হয়ে থাকে কিন্তু ডাক্তারের কাছে 'কেস' খুব কম আসে বলেই বইএ ডকুমেন্টেড কম আছে।

হওয়ার কারণ :
প্রেগন্যান্সির সময় প্রয়োজনীয়  হরমোন ১০০ - ১০০০ গুন (100- 10000 fold decrease) কমে যাওয়া
এবং MAO - A হরমোনের হঠাত বেড়ে যাওয়া যা ব্রেইন সেলে বিষন্নতা উতপন্নকারী হরমোন বাড়িয়ে দেয় ।

সময় : প্রসবের পর থেকে শুরু হয় এবং ২-৩ সপ্তাহ স্থায়ী হয় সাধারণত ।
দিনে কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টা হতে পারে এর স্থায়ীত্বকাল ।

স্টেজ: মোটা দাগে তিন ভাগে ভাগ করা যায় ।
(লক্ষণ সমূহ হিসেব করলে ডাক্তারী হিসেব মতে মোট ৬ টা স্টেজ , কিন্তু যারা ডাক্তার নন আবার সচেতন থাকতে চান তারা তিনটা জানলেই চলবে )
ক) বেবি ব্লুজ
মন খারাপ হয় কারণ ছাড়া, শুধু শুধুই কান্না পায় ( weeping ), খুব বেশি গূরুতর কারণ ছাড়াই বিরক্তি লাগে , মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে , বাচ্চা ও বাচ্চার যত্ন নিয়ে অতিরিক্ত টেনশন হয় (বাচ্চার বাবার কোলে বাচ্চা দিতেও টেনশন হয় )
এর প্রতিকার :
শুধু মিস্টি ব্যাবহার , সহানুভূতীপূর্ণ কথা ও ব্যাবহার ( তুমি ঠিক পারবে , সবারি এরকম অসুবিধা হয় আর এটাই স্বাভাবিক ) বাচ্চা সামলাতে সহানুভূতিশীল সাহায্যই যথেস্ট '
'আমরা তো অমুক করেছি' বা 'আমরা যেন আর বাচ্চা সামলাই নাই ' টাইপ কথা বলা মানুষজনকে ১০০ x ২ = ২০০ হাত দূরে রাখা খুব দরকারী।

খ) পোস্টপারটাম ডিপ্রেশন :
বাচ্চা হবার তিন মাস পরেও যখন লক্ষণসমূহ থেকেই যায় বরং আগের সমস্ত লক্ষণ আরো প্রকট হয় , নিজের ছোট্ট বাচ্চাকে সহ্য করতে না পারা , নিজের উপরে নিজের অসন্তোস , নিজের ক্যারিয়ার + নিজের রূপ সবকিছু নিয়ে হিনমন্যতায় ভোগা, নিজের জীবনের প্রতি মায়া চলে যাওয়া
এর প্রতিকার :
কোন এমন মানুষের সাথে মনের কথা বলা যার উপরে মা পূর্ণ বিশ্বাস রাখেন , বাচ্চা সামলানোর জন্যে সাহায্যকারী যাতে মা অন্য কিছু করেও নিজেকে ভুলিয়ে রাখতে পারেন, একটু কোথাও ঘুড়ে আসা তা পাশের পার্কেও হতে পারে

গ) পোস্টপারটাম সাইকোসিস :
মা মনে করতে থাকেন শুধু তিনি মরে গেলেই মানুষ বুঝবে যে তিনি তার শিশুকে কত্ত ভালোবাসতেন , আত্মহত্যার প্রচেষ্টা এবং শিশুকে মেরে ফেলার ঘটনাও লিপিবদ্ধ আছে ।

পরিশেষে বলবো , এরকম আগেও হত ( ঘরে ছোট ভাইবোন আসার পরে মায়ের পিট্টি খাওয়া বা অতিরিক্ত কাজের চাপ নিয়ে মায়ের খিটখিটে হয়ে যাওয়া বা মা- বাবার / মা- দাদীর ঝগড়া বেড়ে যাওয়ার স্মৃতি মনে করে দেখুন ) আর এর সাথে 'MODERNISM' কোন সম্পর্ক নেই ।

' উত্তম ব্যাবহারেই উন্নত বংশের পরিচয় ' আর 'সৃস্টিকর্তাও একজন প্রসবিনীর প্রসব-পূর্ব সমস্ত পাপ মাফ করে দেন ' এগুলো তো অনেক প্রচলিত জানা কথা ।
কাজেই একটু ধৈর্য ধরে সহানুভূতীশীল ব্যাবহার করুন কারণ প্রতিটি মা-ই তার সন্তানকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসেন । তাকে মন ও শরীরে সম্পূর্ণ সুস্থ একজন মা হয়ে ওঠার সময়টুকু দিন প্লিজ

সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৫

উৎসবের আগ মুহূর্তের রূপচর্চা

উৎসব-পার্বণের সাথে সাজগোজ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর বাঙ্গালির উৎসব হলে তো কথাই নেই। তবে শুধু কস্মেটিক্স ব্যাবহার করলেই সুন্দর হওয়া যায় না। অর্থাৎ, আপনি পুরো মাস জুড়ে ত্বকের/চুলের যত্ন নিবেন না, অথচ বিশেষ দিনটিতে হয়ে উঠবেন অপরুপা, এই ধারনা কিন্তু ঠিক নয়। তাই বিশেষ দিনটিতে নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্য আজ থেকেই রূপচর্চা শুরু করুন। এ কাজটিতে সাহায্য করার জন্য আপনাদের জন্য আমার কিছু টিপস থাকল। যারা চাকুরীজীবী তারাও এগুলো আনায়সে অনুসরণ করতে পারেন নিজের জন্য নির্দিষ্ট সময় বের করে।

পার্লারে যেয়ে সেবা নেয়া একদিকে যেমন সময়সাপেক্ষ, অন্যদিকে এক্ষেত্রে খরচের অঙ্কটাও একটু বেশি। তাই ঘরেই হাতের কাছে রাখুন কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট যেগুলো আপনি আপনার সুবিধামত ব্যাবহার করতে পারবেন। আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে কিছু প্রোডাক্টের নাম লিখলাম যেগুলো হাতের কাছেই পাবেন কম খরচে এবং মানও মোটামটি ভালো।

Young Chin Facial Scrub
Ayur/Shahnaz herbal massage cream
Meena Miracle Mask
Meena Moharani Face Pack
Meena Multani Powder

উৎসবের আগের এ কটা দিন রূপচর্চার জন্য দিনে অন্তত ৩০-৪৫ মিনিট সময় বের করুন। যাদের সময় বের করা মুশকিল তারা রাতে ঘুমাবার আগে রূপচর্চা করতে পারেন।

ত্বকের চর্চা ঃ

প্রথমেই মুখ পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন।
Face scrub দিয়ে ৫ মিনিট আপ-ওয়ার্ড স্ট্রোকে ম্যাসেজ করে মুখ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।
এবার মুখ মুছে ম্যাসেজ ক্রিম দিয়ে আরও ৫ মিনিট একইভাবে মেসেজ করুন এবং ধুয়ে ফেলুন।
এরপর মুখ ভালমত মুছে ভালো কোন মাস্ক বা ফেস প্যাক, যা আপনার ত্বকে অবশই স্যুইট করে, সেটি লাগান। চাইলে উপরের উল্লেখিত প্রোডাক্ট গুলো ব্যাবহার করে দেখতে পারেন।
মাস্ক/ফেস প্যাক শুকিয়ে গেলে পানির ঝাপ্টা দিয়ে খুব ভালো করে ধুবেন এবং মুখ মুছে Moisturizer cream লাগান।

হাত-পা এর চর্চাঃ

হাত পা এর উজ্জলতার জন্য ২ দিন পর পর প্রথমে একটি বোলে হাল্কা গরম পানি, শ্যাম্পু, লবন এবং ভিনিগার মিশিয়ে তাতে হাত পা ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন।
এর পর ভালমত হাত পা মুছে নিন। একটি বাটিতে মুলতানি মাটি, সামান্য লেবুর রস এবং পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং হাতে পায়ে লাগিয়ে না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
শুকিয়ে গেলে খুব ভালো মত ধুয়ে এবং মুছে ভালো কোন বডি লোশন লাগান। বর্তমান আবহাওয়ার জন্য Vaseline Healthy White আমার প্রথম পছন্দ।

চুলের যত্নঃ

চুল ই যদি নির্জীব থাকে তাহলে উৎসবের সাজে কি পূর্ণতা আসবে বলুন? ঝলমলে চুলের জন্য এ সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন মাথায় তেল দিন। নারিকেল তেলের সাথে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে দিলে ভালো ফল পাবেন।
উৎসবের ঠিক ১ দিন আগে (আগের দিন নয় কিন্তু) আপনার চুলে আগে হট অয়েল ম্যাসেজ করুন, তারপর আমলা পাউডার ও ১/২ টি ডিম একসাথে মিশিয়ে পেস্ট করে চুলে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা লাগিয়ে রাখুন। এরপর খুব ভালো করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন এবং কন্ডিশনার লাগান।

এ টিপসগুলো ফলো করুন এবং এ কয়েকদিনে নিজের পরিবর্তন নিজেই দেখুন। নিজের শরীরেরও যত্ন নিন। দিনে অন্তত ২০ মিনিট হাঁটুন অথবা কোন ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন। প্রচুর পানি, ফলমূল এবং শাকসবজি খান কেননা উৎসবে ভাজা পোড়া, তেল মশলা এবং রিচ ফুড স্বভাবতই বেশি খাওয়া হয়। মনকে প্রফুল্ল রাখুন এবং নিজে কনফিডেন্ট থাকুন। দেখুন তো, আয়নার সামনে দাঁড়ানো স্মার্ট এবং সুন্দর মেয়েটি আপনি কি না।

শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৫

চাইনিজ ফ্রাইড রাইস

উপকরণ:
চাইনিজ ফ্রাইড রাইস
চাল (বাসমতি) ৪ কাপ
মুরগি টুকরা ৪৫০ গ্রাম
সোয়াবিন তেল হাফ কাপ
চিংড়ি মাছ (মাঝারি সাইজ) ১২০ গ্রাম
টমেটো ১ কাপ (ইচ্ছা)
পেঁয়াজ ১ কাপ
গাজর ১ কাপ
ক্যাপসিকাম ১৫০ গ্রাম
ডিম ৪টি
লবণ পরিমাণ মতো
গোলমরিচ গুড়া কোয়ার্টার চামচ
সয়াসস ৩ টেবিল চামচ
কাঁচা মরিচ ৪/৫টি
টেস্টিং সল্ট পরিমাণ মতো
চিনি ১ চা চামচ
সামান্য পরিমাণ ঘি
পানি পরিমাণ মতো


প্রস্তুত প্রণালী

প্রথমে ২ চামচ সয়াসস দিয়ে এবং একটু লবণ মাংস ১০ মিনিট মেরিনেট করে রাখুন। তারপর একটি পাত্রে চুলায় দিয়ে তাতে তেল, চিংড়ি, মাংস, পেঁয়াজ, গাজর, ক্যাপসিকাম, কাঁচা মরিচ কুচি, টমেটো ও একটু লবণ দিয়ে ভেজে নিন। এবার ডিমগুলো ফেটিয়ে নিয়ে ফ্রাইপেনে হালকা তেল দিয়ে ডিমগুলো ছড়িয়ে দিয়ে পাতলা করে ভেজে নিয়ে চাকু দিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে রাখুন।
এবার বাসমতি চাল গরম পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। এরপর চালনিতে ছেকে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার বড় একটি ফ্রাইপেনে একটু তেল/ঘি দিয়ে, চালনি থেকে চাল ঢেলে, ভাজা সবজি-মাংস, ভাজা ডিমগুলো, গোলমরিচ গুড়া, টেস্টিং সল্ট, সয়াসস, চিনি ও লবণ দিয়ে ভাজতে থাকুন। এভাবে উল্টে-পাল্টে ৫/৬ মিনিট ভাজুন। এবার চুলো থেকে নামিয়ে ফেলুন। হয়ে গেলো ফ্রাইড রাইস। এবার গরম গরম পরিবশেন করুন।


জেনে নিন গ্রিন টি কেন খাবেন

সাধারণ চা আর গ্রিন টি’র মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে প্রক্রিয়াজাতকরণে। অন্যান্য চা তৈরি করতে ‘ফারমেনটেইশন’ বা গাঁজন প্রক্রিয়া চালানো হয়ে, গ্রিন টি’র ক্ষেত্রে তা করা হয় না। ফলে অন্যান্য চা থেকে গ্রিন টি’তে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান ও পলি-ফেনলস বেশি থাকে। তাই অন্যান্য চা থেকে গ্রিন টি’র উপকারিতা বেশি। চা গাছের সবুজ পাতাই মূলত গ্রিন টি। এই চায়ে রয়েছে ভিটামিন এ, ই ওসি। এছাড়াও রয়েছে ক্যালমিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও বিভিন্ন মিনারেল।
.
চলুন জেনে নিই, গ্রিন টি`র কিছু উপকারিতা-
.
△ গ্রিন টি হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। গ্রিন টি শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ কাপ সবুজ চা খেলে অতিরিক্ত ৬৭ ক্যালোরি পোড়ানো যায়।
.
△ খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে, যা প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে গ্রিন টি। ফলে দেহে অতিরিক্ত চর্বি জমতে পারে না।
.
△ গ্রিন টি খাদ্যনালীর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও ভালো কোষগুলোর কোনো ক্ষতি না করে সার্বিকভাবে ক্যান্সারের কোষ নির্মূল করে।
.
△ গ্রিন টি শরীরের ক্ষতিকর কলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণও বাড়ায়।
.
△ গ্রিন টি’র ‘ক্যাটেকাইন’ নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুখের ভিতরের বিভিন্ন ব্যকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংস করে। যা গলার ইনফেকশনসহ দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা কমিয়ে আনে।
.
△ নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে যায়।
.
△ প্রকৃতিকভাবেই ‘থিয়ানিন’ নামের অ্যামাইনো এসিড চা পাতায় পাওয়া যায়। এই উপাদান দুশ্চিন্তা ও হতাশা কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
.
△ চায়ের ক্যাটেকাইন উপাদান অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে বেশ কার্যকর। ফলে ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত সব রকমের রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে অনেক রোগ বিস্তারেও বাধা দেয় গ্রিন টি।
.
△ মুখে বয়সের ছাপ ও বলিরেখা দূর করতে গ্রিন টি’র জুড়ি নেই। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামাটরি উপাদান ত্বকে বলি রেখা পড়তে দেয় না।
.
তাছাড়া এটি ত্বকের রোদে পোড়াভাব কমাতে ও ব্ল্যাক হেডস দূর করতে সাহায্য করে।
ক্যান্সারের জন্য দায়ী কোষ জন্মাতে বাধা দেয় গ্রিন টি, পাশাপাশি উপকারী কোষকে উজ্জীবিত করে।
.
.
.
ফেসবুক থেকে পেজের পোস্টের অর্গানিক রিচ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ি যে সব ফ্যান পেজের ৭৫%
পোস্টে লাইক/কমেন্ট না করবে তাদের হোম পেজে সেই পেজের পোস্ট শো করবেনা।

ইটালিয়ান স্ক্র্যাম্বল্ড এগ

ইটালিয়ান স্ক্র্যাম্বল্ড এগ
উপকরণ : ডিম ৪টি, দুধ ২ টেবিল চামচ, লবণ ১/২ চা চামচ, কুচি পেঁয়াজ ১/২ চা চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১/২ চা চামচ, তেল ১ টেবিল চামচ, বাটার ১ টেবিল চামচ, পনির গ্রেট ২ টেবিল চামচ, গোল মরিচ গুঁড়া ১/৪ চা চামচ, গাজর গ্রেট সিদ্ধ করা ৩ টেবিল চামচ।
প্রণালি : ডিম, দুধ, লবণ ও গোলমরিচ এক সাথে বিট করুন বিটার দিয়ে। চুলায় প্যান বসিয়ে দিন মাঝারি আঁচে। এরপর পেঁয়াজ, মরিচ কুচি ও গাজর ৫ মিনিট ভাজুন। জ্বালটা মাঝারি থেকে কমিয়ে ডিম দিয়ে দুই মিনিট ভাজুন। এবার পনির দিয়ে ৩০ সেকেন্ড ভেজে মাখন দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন। ব্রেড টোস্ট দিয়ে পরিশেন করুন।

ছানার সন্দেশ

ছানার সন্দেশ
উপকরণ : ছানা ২ কাপ, ব্রাউন সুগার পরিমাণমতো, সাদা চিনি ১ চা-চামচ, মাখন ২ টেবিল চামচ, ক্রিম ২ থেকে ৩ টেবিল চামচ, হোয়াইট কুকিং চকলেট আধা কাপ (কোরানো), তরল দুধ ১ টেবিল চামচ ও ডার্ক কুকিং চকলেট পরিমাণমতো।
প্রণালি : চুলায় ছানা ও মাখন দিয়ে কিছুক্ষণ ভুনে নিন। এতে ব্রাউন সুগার ও সাদা চিনি দিয়ে ভুনতে থাকুন। এবার ক্রিম দিয়ে মিষ্টি পরখ করে নামিয়ে একটি গোলাকার পাত্রে পুরু করে চেপে চেপে বিছিয়ে দিন। ঠান্ডা হলে বরফি বা অন্য আকারে সন্দেশ কেটে নিন। এবার হোয়াইট চকলেট ও দুধ মাইক্রোওয়েভ ওভেনে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে কিছুক্ষণ দিয়ে গলিয়ে নিন। এটি সন্দেশের ওপর ঢেলে দিয়ে ফ্রিজে রাখুন। ৩০ মিনিট পর ডার্ক চকলেট একইভাবে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গলিয়ে ওপরে দিয়ে পরিবেশন করুন।

কোর্মা বিরিয়ানি

উপকরণ : খাসির মাংস ছোট করে কাটা ১ কেজি, বাসমতি চাল আধা কেজি, টক দই আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ ধনে গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, ভাজা জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ, ছোট এলাচ ৪ টি, কিশমিশ সিকি কাপ, আলুবোখারা ৭/৮ টি, পুদিনা পাতা ২ টেবিল চামচ, ধনে পাতা ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৫/৬ টি, শাহি জিরা আধা চা-চামচ, জর্দার রং সামান্য, সিরকা ১ টেবিল চামচ, ঘি-তেল দেড় কাপ, কেওড়া জল ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো। কোর্মার মসলা (ছোট এলাচ ৬ টি, বড় এলাচ ৩ টির বিচি, লবঙ্গ ৪ টি, সাদা গোলমরিচ ৬টি ও দারুচিনি ৪/৫টা। এই মসলাগুলো চুলার পাশে রেখে মচমচে করে গুঁড়া করে
নিতে হবে)।

প্রণালি : দই, আদা-রসুন বাটা, ধনে গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া ভাজা, জিরা, লবণ, সিকি কাপ তেল, ২ টেবিল চামচ ঘি,১ টেবিল চামচ কেওড়াজল ও কোর্মার মসলা অর্ধেক দিয়ে মাংস মেখে রাখুন। পাত্রের ১ কাপ তেল ও ঘি দিয়ে বেরেস্তা করে অর্ধেক তুলে নিন। বাকি অর্ধেক বেরেস্তার মধ্যে মাংস দিয়ে কোর্মার মতো রান্না করুন। নামানোর আগে বাকি অর্ধেক মসলা দিয়ে দিন। চাল ২০ মিনিট ভিজিয়ে পানি ছেঁকে নিন। অন্য পাত্রে চালের ৪ গুণ গরম পানি করে তাতে কাঁচামরিচ ৫/৬ টি, এলাচ ৪/৫ টি, পুদিনাপাতা ২ টেবিল চামচ, ধনে পাতা ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, দারুচিনি ২/৩ টুকরা ও শাহি জিরা আধা চা-চামচ দিন। পানি ফুটে গেল ভেজানো চাল দিন। চাল আধা সেদ্ধ হলে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার বিরিয়ানি রান্নার পাত্রে ১ টেবিল চামচ ঘি ছড়িয়ে দিন। এবার কিছুটা আধা সেদ্ধ চাল ছড়িয়ে অর্ধেক পরিমাণ মাংস ঢেলে দিন। এর ওপর বেরেস্তা ও কিশমিশ ছড়িয়ে দিন। মাংসের ওপর আবার একইভাবে রান্না করা ভাত ও মাংসের স্তর সাজান। ওপরে আবার চাল দিন। এখানে ভাতের স্তর হবে তিনটি এবং মাংসের স্তর হবে দুটি। সবার ওপরে বাকি ঘি এবং দুধে ভেজানো কেওড়া ছড়িয়ে দিয়ে আলু বোখারা গুজে দিন। এবার ঢাকনা দিয়ে ২০ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.