বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৬

ত্বকের সমস্যার সমাধান করবে গুঁড়ো দুধের এই ৫টি প্যাক

ranna banna o beauty tips
ত্বকের সমস্যার সমাধান করবে গুঁড়ো দুধের এই ৫টি প্যাক
চা বা কফি তৈরির অন্যতম উপাদান হল গুঁড়ো দুধ। শুধু চা কফি নয় পায়েস, পুডিং, মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় গুঁড়ো দুধ। আপনি কি জানেন ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা যায় এই গুঁড়ো দুধ? ব্ল্যাক হেডসের সমস্যা, ত্বকে কালো দাগ কিংবা ব্রণের কালো দাগ দূর করতে গুঁড়ো দুধের প্যাক ব্যবহার করুন। গুঁড়ো দুধের কার্যকর কিছু প্যাক নিয়ে আজকের এই আয়োজন।

১। গুঁড়ো দুধ এবং লেবুর রস

এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধের সাথে দুই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি মুখ এবং ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।

২। গুঁড়ো দুধ, পেঁপে এবং গোলাপ জল

এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, এক টেবিল চামচ পেঁপের পেস্ট এবং ছয়-সাত ফোঁটা গোলাপ জল একসাথে মিশিয়ে নিন।  এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। গোলাপ জল টোনার হিসেবে কাজ করে। আর গুঁড়ো দুধ এবং পেঁপে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে।

৩। গুঁড়ো দুধ এবং চালের গুঁড়ো

একটি পাত্রে চাল এবং গুঁড়ো দুধ পানিতে গুলিয়ে দুই ঘন্টা রেখে দিন। এরপর এই মিশ্রণটি বেটে পেস্ট করুন। এই পেস্টটি ত্বকে ব্যবহার করুন। আপনি চাইলে এতে লেবুর রস মেশাতে পারেন। এটি ত্বক নরম করার সাথে সাথে স্ক্রার্বেও কাজ করবে।

৪। গুঁড়ো দুধ এবং হলুদ

এক চা চামচ হলুদের গুঁড়োর সাথে কাঁচা দুধ মেশান। দুধ এবং হলুদের পেস্টটি ত্বকে ব্যবহার করুন। ২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে মধু মেশাতে পারেন। প্যাক ব্যবহারের আগে মুখ কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে ত্বকের রোমকূপ খুলে যাবে এবং প্যাক ভালভাবে ত্বকে কাজ করবে।

৫। গুঁড়ো দুধ এবং কমলার খোসা

কমলার খোসা গুঁড়োর সাথে দুধ মিশিয়ে নিন। এই প্যাকটি ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে চক্রাকারে ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্যাকটি তুলে ফেলার পর ত্বকে বরফ ঘষুন পাঁচ মিনিট। তাৎক্ষনিক ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে এই প্যাকটি।

অতিথি আপ্যায়নে ঝটপট আলু রোস্ট

ranna banna o beauty tips
অতিথি আপ্যায়নে ঝটপট আলু রোস্ট
বিপদের সময়ে আলুর বিকল্প নেই। সকালের নাস্তায় দ্রুত আলু ভাজা, দুপুরে ভাতের সাথে আলু ভর্তা, স্ন্যাক্স হিসেবে আলুর চপ, আর মাছ-মাংস বা ডিম রান্নায় আমিষের পাশাপাশি তো আছেই। কিন্তু শুধু আলু দিয়েই যে রোস্ট তৈরি করে ফেলা যায়, তা কখনও ভেবেছেন? খাবার টেবিলে আমিষের অনুপস্থিতি একবারেই ভুলিয়ে দেবে ঝটপট এই আলু মাসালা রোস্ট। চলুন দেখে নিই রেসিপিটি।

রান্নার সময়: ১২ মিনিট

কোটাবাছার সময়: ১৫ মিনিট

পরিবেশন: ৪ জন

উপকরণ
- ৩/৪টি বড় আলু
- দেড় টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো/কর্ন ফ্লাওয়ার
- ১ টেবিল চামচ তেল
- সিকি চা চামচ হিং/কাসুরি মেথি
- ১ চা চামচ জিরা
- সিকি চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- আধা চা চামচ ধনে গুঁড়ো
- সিকি চা চামচ জিরা গুঁড়ো
- পৌনে এক চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
- লবণ ১ চা চামচ
- ১ টেবিল চামচ টাটকা ধনেপাতা কুচি

প্রণালী
১) দ্রুত আলু সেদ্ধ করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন প্রেশার কুকার। কুকারে ২ কাপ পানি দিন। আরেকটি পাত্রে ধোয়া আলু নিয়ে এই পানির ওপর রাখুন। আলু পানিতে দেবেন না। ঢাকনা লাগিয়ে দিন। বেশি আঁচে সেদ্ধ হতে দিন। ২টি হুইসেল আঁচ কমিয়ে রাখুন ৮-১০ মিনিট। এরপর আঁচ বন্ধ করে দিন। প্রেশার কমে এলে ঢাকনা খুলে নিন। চামড়া ছাড়িয়ে কিউব করে কেটে নিন।
২) কিউব করা আলু একটি বড় পাত্রে নিন। এতে চালের গুঁড়ো দিন এবং পাত্রটি সাবধানে টস করুন যাতে আলুর কিউবে সমানভাবে চালের গুঁড়ো মেখে যায়।
৩) একটি ছোট পাত্রে লবণ, হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।
৪) তলাভারি একটি পাত্রে তেল গরম করে নিন। এতে আস্ত জিরা দিন। জিরা ফুটতে থাকলে আঁচ কমিয়ে ফেলুন। এতে মশলার মিশ্রণ দিয়ে দিন। তেলের সাথে নেড়ে মিশিয়ে নিন। কিন্তু সাবধান থাকুন যেন মশলা পুড়ে না যায়।
৫) চালের গুঁড়ো মাখানো আলুর কিউবগুলোকে এবার মশলার মাঝে ছেড়ে দিন। কম আঁচে নেড়েচেড়ে রান্না করুন ৮-১০ মিনিট। ওপরটা মুচমুচে লালচে-সোনালি হলে নামিয়ে নিন।

ওপরে ধনেপাতা কুচি দিয়ে ভাত বা পরোটার সাথে পরিবেশন করুন গরম গরম।

টিপস:
- এক চিমটি গরম মশলা গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন
- মশলা দেবার সময়েই লবণ দিয়ে দিন, পরে দেবেন না
- চালের গুঁড়ো না থাকলে কর্ন ফ্লাওয়ার ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু চালের গুঁড়ো দিলে ক্রিস্পি ভাবটা ভালো আসবে

বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৬

খুশকির কারণে চুল পড়া রোধ করতে চান?

ranna banna o beauty tips
খুশকির কারণে চুল পড়া রোধ করতে চান?
চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিলে মনবল নষ্ট হয়ে যায় অনেকেরই। ভিটামিনের ঘাটতি থেকে শুরু করে জটিল কোন স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে চুল পড়তে পারে। চুল পড়ার আরেকটি কারণ হতে পারে খুশকি। কীভাবে খুশকির কারণে চুল পড়ে যায় এবং এই চুল পড়া প্রতিরোধের উপায় কী- তাই জানবো আজ।

অত্যধিক চুলকানো ও আঁচড়ানো

খুশকি চুল পড়ে যাওয়ার জন্য সরাসরি দায়ী নয়। খুশকির কারণে প্রচন্ড চুলকানি হয়। চুলকানি কমানোর জন্য চুল ঘন ঘন আঁচড়ানোর ফলে মাথার তালু শুষ্ক হয়ে যায় এবং অতিরিক্ত ঘর্ষণে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে চুল পড়া শুরু হয়। মাথার তালুর শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে অলিভ অয়েল এবং চুলকানিও প্রতিরোধ করে।    

ডারমাটাইটিস

মাথার তালুতে ডারমাটাইটিস হতে পারে সাবান, ডিটারজেন্ট বা রাসায়নিকের ব্যবহারের ফলে। ডারমাটাইটিসের কারণেও খুশকি হতে পারে এবং চুল পড়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এই সমস্যাটির সমাধানের জন্য একজন ডারমাটোলজিস্টের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।

ত্বকের কোষের স্খলন

খুশকির কারণে মাথার তালুর কোষ অধিক পরিমাণে ঝরে যায়। যা চুল পড়ে যাওয়া এবং চুলের বৃদ্ধির উপর ও প্রভাব ফেলে। আপনি হয়তো খুশকি দূর করার জন্য অ্যান্টিডেন্ড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করছেন। কিন্তু মাথার তালুর এক্সফলিয়েটিং করার মত গুরুত্বপূর্ণ ধাপটিই হয়তোবা বাদ দিয়ে যাচ্ছেন আপনি। চুল পড়া বন্ধ করা এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য এক্সফলিয়েটিং স্কাল্প মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন।

ওটমিলের ফেসপ্যাক   

খুশকি মুক্ত হতে এবং চুল পড়া প্রতিরোধে সাহায্য করে ওটমিলের হেয়ার প্যাক। ওটমিলের হেয়ার প্যাক তৈরি করতে যা যা প্রয়োজন এবং লাগানোর উপায় :

-   ৪ টেবিলচামচ ওটমিলের সাথে দুই টেবিলচামচ দুধ এবং দুই টেবিলচামচ আমন্ড অয়েল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।

-   আপনার চুলগুলোকে জটমুক্ত করে নিন এবং ওটমিলের প্যাকটি মাথার তালুতে ও চুলে লাগান। ১৫-২০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

-   সপ্তাহে ১ দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। অত্যধিক তেলের উৎপাদন ও খুশকি মুক্ত হতে সাহায্য করবে ওটমিলের প্যাকটি।  

ভারতীয় জনপ্রিয় খাবার ঝিঙ্গা আলু পোস্ত

ranna banna o beauty tips
ভারতীয় জনপ্রিয় খাবার ঝিঙ্গা আলু পোস্ত 
ঝিঙ্গা বেশ জনপ্রিয় একটি সবজি। ভাজি অথবা তরকারি হিসেবে ঝিঙ্গা অনেকেই রান্না করে থাকেন। ঝিঙ্গা দিয়ে একটি রান্না হল ঝিঙ্গা আলু পোস্ত। ভাত, রুটি, পোলাও যেকোন খাবারের সাথে এই সবজিটি খেতে দারুন লাগে। ভিন্নধর্মী সবজিটি রান্না করতে পারেন খুব সহজে।

উপকরণ:

২টি মাঝারি আকৃতির আলু ( ছোট করে কাটা)

১টি মাঝারি আকৃতির ঝিঙ্গা

১/২ মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ কুচি

১/২ চা চামচ কালোজিরা

১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো

কাঁচামরিচ কুচি

২ টেবিল চামচ পোস্ত বাটা

লবণ

প্রণালী:

১। প্রথমে চুলায় প্যান গরম হয়ে আসলে এতে তেল দিয়ে দিন। এরপর এতে কালোজিরা, কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।

২। কিছুক্ষণ পর এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন।

৩। পেঁয়াজ কুচি নরম হয়ে আসলে এতে আলু দিয়ে দিন।

৪। এরপর এতে লবণ, হলুদ গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।

৫। আলু নরম হয়ে আসলে এতে ঝিঙ্গা দিয়ে দিন।

৬। আলু, ঝিঙ্গা ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন।

৭। তারপর এতে পোস্ত দানা বাটা দিয়ে দিন। কিছুটা ঘন হয়ে আসলে সামান্য পানি দিয়ে দিন।

৮। কাঁচামরিচ দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার ঝিঙ্গা আলু পোস্ত।

মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৬

পার্লারের মত হেয়ার স্পা ঘরে করে ফেলুন ৫টি উপায়ে।

Hair Spa
পার্লারের মত হেয়ার স্পা
চুলের যত্নে হেয়ার স্পা বেশ জনপ্রিয় এবং প্রচলিত একটি ট্রিটমেন্ট। যারা নিয়মিত পার্লারে সেবা নিয়ে থাকেন, তারা প্রায়ই হেয়ার স্পা করেন। রুক্ষ, প্রাণহীন চুলকে ঝলমল উজ্জ্বল করে তুলতে হেয়ার স্পার তুলনা নেই। কিন্তু সব সময় পার্লারে গিয়ে স্পা করানো সম্ভব হয় না। এখন আপনি বাসায় বসেই খুব সহজে হেয়ার স্পা করে নিতে পারেন।    

১। তেলের ম্যাসাজ

বিশুদ্ধ অলিভ অয়েল অথবা নারকেল তেল কিছুটা গরম করে নিন। তারপর এটি মাথার তালুতে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার গরম পানিতে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে ১০ মিনিট পুরো মাথা ঢেকে রাখুন। তোয়ালের গরম ভাব চুলে স্টিমের কাজ করে। এবার মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। তেলের ম্যাসাজ করলে আপনি চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার এড়িয়ে যেতে পারেন। অন্যান্য তেলের তুলনায় অলিভ অয়েল বেশি কার্যকর।

হট অয়েল ম্যাসাজের পর নিচের যেকোন একটি প্যাক চুলে ব্যবহার করতে পারেন।

১। অ্যাভোকাডো এবং মধুর হেয়ার প্যাক

অ্যাভোকাডো নতুন চুল গজাতে সাহায্য করার পাশাপাশি চুলকে মসৃণ কোমল করে থাকে। একটি আভাকাডো চটকে নিয়ে এর মধ্যে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এবার চুলে এই প্যাক মাখুন। ২০ মিনিট এর পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

২। ডিম এবং তেলের প্যাক

ডিমের প্রোটিন নতুন চুল গোঁড়া মজবুত করে তোলে। যেকোন ভিটামিন ই যুক্ত তেলের সাথে ডিম ভাল করে মিশিয়ে নিন। এই প্যাক সম্পূর্ণ চুলে মেখে ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এই প্যাকটি চুলকে নরম ও মসৃণ করে তুলবে।

৩। কলার প্যাক

একটি পাকা কলা চটকে নিয়ে এতে অলিভ অয়েল এবং ডিম মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এবার প্যাকটি চুলে মেখে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৪। শসার প্যাক

একটি ডিমের সাদা অংশ ভাল করে ফেটে নিন এরসাথে দুই টেবিল চামচ ভিটামিন ই অয়েল এবং চার পাঁচ টুকরো শসার টুকরো করে রস বের করুন। সবগুলো উপাদান একসাথে মিশিয়ে নিন। চুলে এই প্যাকটি ভাল করে লাগান। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৫। দুধ ও মধুর প্যাক

খুব সহজ এবং কার্যকরী একটি স্পা হল দুধ মধুর প্যাক। এক গ্লাস দুধের সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ফেলুন। এরপর এটি চুলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে চুল অনেক বেশি ঝরঝরে ও প্রাণবন্ত হবে।

ভারতীয় "ধোকলা" এইবার তৈরি করুন পাউরুটি দিয়ে।

bread dhokla sandwich
ভারতীয় "ধোকলা"
পাউরুটি দিয়ে নানান নাস্তা তৈরি করা যায়। পাউরুটি টোস্ট, ব্রেড পাকোড়া, স্যান্ডউইচ আরও কত কী! এই পাউরুটি দিয়ে তৈরি করতে পারেন আরেকটি মজাদার ভারতীয় খাবার। ধোকলা খাবারটির নাম কম বেশি সবাই শুনেছেন। এই ধোকলা স্যান্ডউইচ তৈরি করতে পারবেন  পাউরুটি দিয়ে।

উপকরণ:

৮টি পাউরুটির টুকরো
১ কাপ বেসন

১/২ কাপ সুজি

লবণ

তেল

১ চা চামচ চিনি

১ চা চামচ ইনো (ফ্রুট সল্ট)

পুরের জন্য:

১/৪ কাপ পেঁয়াজ কুচি

১/৪ কাপ গাজর কুচি

১/৪ কাপ শিম কুচি

১/৪ কাপ লাল ক্যাপসিকাম কুচি

তেল

১/২ চা চামচ সরিষা

এক চিমটি হিং

১/৪ চা চামচ গরম মশলা

১/৪ চা চামচ মরিচ গুড়ো

লেবুর রস

১/৪ চা চামচ গোল মরিচের গুড়ো

২ চা চামচ টমেটো কেচাপ

প্রণালী:

১। একটি পাত্রে বেসন, সুজি, টকদই, লবণ, চিনি, তেল এবং সামান্য পানি দিয়ে ভাল করে মেশান। কিছুটা ঘন হওয়ার জন্য প্রয়োজনমত পানি মেশান।

২। এই মিশ্রণটি ঢাকনা দিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন।

৩। একটি নন-স্টিক প্যানে তেল দিন। এতে সরিষা দিয়ে নাড়ুন। এরপর এতে হিং, পেঁয়াজ কুচি, ক্যাপসিকাম কুচি, গাজর কুচি, শিম কুচি ইত্যাদি সবজি দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে রান্না করুন।

৪। খুব বেশি রান্না করবেন না। সবজি কিছুটা নরম হয়ে আসলে এতে মরিচ গুড়ো, টমেটো কেচাপ, লেবুর রস, গরম মশলা, এবং গোল মরিচের গুড়ো দিয়ে দিন।

৫। এবার পাউরুটিগুলোকে গোল করে কেটে নিন।

৬। ইডলি বা পিঠা বানানোর ছাঁচে কিছুটা তেল ব্রাশ করে পাউরুটি দিয়ে দিন।

৭। চুলায় ১.৫ গ্লাস পানি জ্বাল হতে দিন। পানি বলক আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

৮। পিঠা তৈরি ছাঁচে পাউরুটি তার উপর সবজির মিশ্রণ এবং সবশেষে বেসনের মিশ্রণটি দিয়ে দিন।

৯। এবার ফুটন্ত পানিতে ছাঁচটি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। ৩-৪ মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করুন।

১০। ৩-৪ মিনিট পর সস বা চাটনি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার পাউরুটি ধোকলা।

টিপস:

১। বেসনের মিশ্রণটি খুব ভাল করে ফেটে নিবেন যাতে কোন প্রকার দানা দানা ভাব না থাকে।

২। বেসনের মিশ্রণে ইনো ফ্রুট সল্ট মিশিয়ে তারপর পাউরুটির উপর দিবেন।

বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০১৬

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হারবাল বিউটি টিপস

ranna banna o beauty tips
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হারবাল বিউটি টিপস
বেশিরভাগ নারীই উজ্জ্বল ত্বকের জন্য বিভিন্ন ধরণের কসমেটিক পণ্য ব্যবহার করেন। যদিও এর দ্বারা উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া হয়না। আপনার ত্বকের জন্য ভেতর থেকে এবং বাহির থেকে পুষ্টি প্রয়োজন। কেমিক্যাল কসমেটিক এই পুষ্টি সরবরাহ করতে পারেনা এবং এরা কেবল বাহিরের ত্বকেই কাজ করে। প্যাকেটজাত পণ্য দীর্ঘদিন ব্যবহার করাও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। তাই উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার জন্য হারবাল পণ্য ব্যবহার করুন। এই হারবাল উপাদানগুলো আপনার রান্নাঘরেই পাবেন এবং এরা দীর্ঘমেয়াদে ত্বকের উপর ভালো প্রভাব ফেলে। চলুন তাহলে জেনে নিই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্যকারী ভেষজ উপাদানগুলো সম্পর্কে।

১। আঙ্গুর

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য আঙ্গুর ব্যবহার করতে পারেন। কয়েকটি আঙ্গুর থেঁতলে নিয়ে আপনার মুখের ত্বকে লাগান।

২। শশা, গ্লিসারিন ও গোলাপজল

শশা থেঁতলে রস বের করে এর সাথে গ্লিসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। বাহিরে যাওয়ার পূর্বে ও বাসায় ফেরার পরে এই ফেস মাস্কটি ব্যবহার করতে পারলে উপকার পাবেন।

৩। চন্দন, হলুদ এবং দুধ

চন্দনের মিহি গুঁড়োর সাথে সামান্য হলুদ গুঁড়ো এবং দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট মুখে লাগিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল ও সতেজ হবে।

৪। মধু ও দুধের সর

দুধের সরের সাথে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হয়, বিশেষ করে শীতের দিনে।

৫। টাটকা দুধ, লবণ ও লেবুর রস

টাটকা দুধের সাথে এক চিমটি লবণ ও সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার হয় এবং ত্বকের ছিদ্রগুলো উন্মুক্ত হয়।

৬। টমেটোর জুস

টমেটোর জুসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হয়।

৭। হলুদ গুঁড়ো, আটা ও তিলের তেল

হলুদ গুঁড়ো, আটা ও তিলের তেল একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের অবাঞ্ছিত লোম দূর হয়, সেইসাথে ত্বকের উজ্জলতাও বৃদ্ধি পায়।

৮। বাঁধাকপির জুস ও মধু

বাঁধাকপির কিছুটা অংশ থেঁতলে রস বের করুন। এই রসের সাথে মধু মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং বলিরেখা প্রতিরোধ করা যায়।

৯। গাজরের জুস

ত্বকের উজ্জ্বলতা প্রাকৃতিকভাবে বৃদ্ধি করার জন্য গাজরের জুস চমৎকার কাজ করে। গাজর ছোট ছোট টুকরা করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে জুস তৈরি করে নিতে পারেন।

১০। মধু ও দারচিনি গুঁড়ো

মধু ও দারুচিনি গুঁড়া ৩ : ১ অনুপাতে মিশিয়ে ব্রণ আক্রান্ত ত্বকে লাগিয়ে সারারাত রাখুন। এতে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর হয়।

১১। অ্যালোভেরা জুস

অ্যালোভেরা জুস ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের দাগ দূর হয় এবং ত্বক হাইড্রেটেড থাকে। অ্যালোভেরা জেল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে চমৎকার কাজ করে।

১২। মুলতানি মাটি, গোলাপের পাপড়ি, নিম, তুলসি ও গোলাপজল

মুলতানি মাটির সাথে গোলাপের পাপড়ি, নিম পাতার গুঁড়ো, তুলসি পাতার গুঁড়ো ও গোলাপ জল বা লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং সুস্থ ত্বক পাওয়া যায়।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.