শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১৬

চুলের যত্নে মুলতানি মাটির ব্যবহার

ranna banna o beauty tips
চুলের যত্নে মুলতানি মাটির ব্যবহার
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, দাগ দূর করাসহ ত্বকের যত্নে মুলতানি মাটির ব্যবহার হয়ে আসছে। বহুগুণী এই মাটি ত্বকের যত্ন ছাড়াও চুলের যত্নে ব্যবহার করা যায়। চুলকে খুশকি মুক্ত রেখে চুল মজবুত স্বাস্থ্যজ্বল করতে মুলতানি মাটির জুড়ি নেই। এছাড়া স্কাল্পের অতিরিক্ত তেল শুষে নিয়ে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে। মুলতানি মাটির কিছু কার্যকরী হেয়ার প্যাক জেনে নেওয়া যাক।

১। চুল পড়া রোধে

চার থেকে পাঁচ চা চামচ মুলতানি মাটি, দুই চা চামচ টকদই, এক চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি শুষ্ক চুলের জন্য উপযোগী। তৈলাক্ত অথবা নরমাল চুলের জন্য অ্যালোভেরা জেল, লেবুর রস এবং মুলতানি মাটির গুঁড়ো মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে পার্থক্য দেখতে পারবেন।

২। চুলের গোড়া মজবুত করতে  

এক কাপ মুলতানি মাটি, পাঁচ চামচ চালের গুঁড়া,  একটি  ডিমের সাদা অংশ, অল্প কিছু পানি দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিন। এরপর প্যকটি চুলের গোড়াসহ সম্পূর্ণ চুলে ভাল করে লাগান। প্যাকটি শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করবে।

৩। চুলের আগা ফাটা রোধে

চুলের আগা ফাটা রোধের জন্য প্রথমে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে সারারাত থাকুন। সকালে গরম পানিরে ভেজানো টাওয়েল দিয়ে মাথা পেঁচিয়ে নিন। এক ঘন্টার পর মুলতানি মাটি এবং টকদইয়ের প্যাক চুলে ভাল করে লাগান। কিছুক্ষণ রাখার পর চুল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পরের দিন শ্যাম্পু করুন। এটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন। এক মাসের মধ্যে দেখবেন চুলের আগা ফাটা দূর হয়ে গেছে।

৪। খুশকি দূর করতে

চার টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, দুই টেবিল চামচ কমলার খোসার গুঁড়ো, এবং পানি মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি যেন ঘন হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন।

৫। চুল স্ট্রেইট করতে

এক কাপ মুলতানি মাটি, পাঁচ চা চামচ চালের গুঁড়ো এবং একটি ডিমের সাদা অংশ একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এরসাথে অল্প কিছু পানি মিশিয়ে নিবেন। চুলে লাগিয়ে নিন প্যাকটি। তারপর চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান দুই থেকে তিনবার। ৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন প্যাক শুকানোর জন্য। তারপর চুল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আধা কাপ দুধ স্প্রে বোতলে ভরে চুলে স্প্রে করে নিন। তারপর আবার ৪-৫ বার চুল আঁচড়ান। ১৫-২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই প্যাক ব্যবহার করার আগের রাতে চুলে তেল মাসাজ করতে ভুলবেন না।

স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স সবজির শিঙাড়া

ranna banna o beauty tips
স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স সবজির শিঙাড়া
স্বাস্থ্যকর অথচ মুখরোচক খাবারের তালিকা নিতান্তই ছোট। অনেকে তো ভাবেন স্বাস্থ্যকর খাবার মানেই বিস্বাদ এবং সুস্বাদু মানেই তা অস্বাস্থ্যকর। আসলে কী তাই? আসলে কিন্তু সুস্বাস্থ্য বজায় রেখেও সুস্বাদ পাওয়া যায়। দেখে নিন তেমনি একটি রেসিপি। এই রেসিপিতে ব্যবহৃত উপাদানগুলো থেকে শুরু করে প্রস্তুত প্রণালী পুরোটাই সাধারণ শিঙাড়া-সমুচার চাইতে স্বাস্থ্যকর।

উপকরণ
- ১ কাপ আটা
- ২টা মাঝারি মাপের কাঁচাকলা, সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে কুচিয়ে নেওয়া
- আধা কাপ মটরশুঁটি, সেদ্ধ করা
- দেড় চা চামচ জিরা
- ২ চা চামচ তেল
- লবণ স্বাদমতো
- ১/২টা কাঁচামরিচ কুচি
- ১ ইঞ্চি পরিমাণ আদা মিহি কুচি
- আধা চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
- আধা চা চামচ আমচুর
- পৌনে এক চা চামচ মরিচের গুঁড়ো
- এক চতুর্থাংশ লেবুর রস

উপকরণ
১) একটি পাত্রে আটা নিন। এতে আধা চা চামচ জিরা, ১ চা চামচ তেল এবং লবণ দিয়ে মেশান। প্রয়োজনমতো পানি দিয়ে খামির তৈরি করে নিন।
২) বাকি তেল একটি সসপ্যানে দিয়ে গরম করে নিন। বাকি জিরা দিন। জিরাতে রং ধরলে এতে কাঁচামরিচ, আদা, কাঁচাকলা, গরম মশলা, আমচুর, মরিচ গুঁড়ো, লবণ এবং অল্প করে পানি দিন। মিশিয়ে রান্না করে নিন কিছুক্ষণ। এরপর মটরশুঁটি দিন। এরপর একটু পিষে নিন চামচের উল্টো দিক দিয়ে। চুলা বন্ধ করে দিন।
৩) লেবুর রস মিশিয়ে দিন এই মিশ্রণে। সরিয়ে রাখুন চুলা থেকে।
৪) ১৮০ ডিগ্রিতে প্রিহিট হতে দিন ওভেন।
৫) খামির থেকে রুটি গড়ে নিন। ভিডিওর মতো ভাঁজ করে শিঙাড়ার আকৃতি দিন। কোনের মাঝে কাঁচাকলার মিশ্রণ দিন। পানি দিয়ে একটু ভিজিয়ে বন্ধ করে দিন কোন। এভাবে তৈরি করে নিন কয়েকটি শিঙাড়া।
৬) বেকিং ট্রে-তে কুকিং স্প্রে দিয়ে এতে শিঙাড়াগুলো রাখুন। প্রিহিট করা ওভেনে দিয়ে বেক করে নিন ১৫-১৮ মিনিট।

বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১৬

ঘরে বসেই করুন পার্লারের মত ব্লিচ

ranna banna o beauty tips
ঘরে বসেই করুন পার্লারের মত ব্লিচ
দ্রুত ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে ব্লিচের জুড়ি নেই। বিশেষ কোন অনুষ্ঠানের আগে অনেকেই ব্লিচ করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকেন। সাধারণত পার্লারে ব্লিচিং ক্রিম ব্যবহার করে ব্লিচ করা হয়। তবে ব্লিচিং ক্রিম অথবা ফেসিয়ালের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়, বিধায় এটি ত্বকের ক্ষতি করে। আপনি চাইলে ঘরে করে ফেলতে পারেন ব্লিচিং। সহজে ঘরে থাকা উপাদান দিয়ে ব্লিচিং করা সম্ভব। আসুন তাহলে উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।

১। টকদই

হাতে কিছু পরিমাণ টকদই নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রতিদিন একবার করুন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পার্থ্যক দেখতে পাবেন। এছাড়া এক টেবিল চামচ টকদইয়ের সাথে আধা টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মুখ এবং ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন। এবার ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

২। ওটমিল ব্লিচিং

দুই টেবিল চামচ ওটমিল, এক টেবিল চামচ টকদই, দুই টেবিল চামচ লেবুর রস এবং এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল একসাথে মিশিয়ে নিন। এবার এটি ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে রাখুন। ১৫-২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্যাকটি মুখে সম্পূর্ণভাবে শুকাতে দেবেন না। কিছুটা নরম থাকতেই পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন।

৩। বেসন

বেসন ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকর। বেসন এবং গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এটি ত্বকে ব্যবহার করুন। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

৪। আলুর প্যাক       

আলুর খোসা ছড়িয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এরসাথে গোলাপজল, মধু এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এটি ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আলু ত্বকের কালো দাগ দূর করে। এর সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

৫। লেবু, মধু এবং দুধ

এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, এক চা চামচ লেবুর রস,  এক চা চামচ মধু এবং আধা চা চামচ বাদাম তেল ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার এটি ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার ব্যবহার করুন। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য বেশ কার্যকরী।

ব্লিচিং ক্রিম ব্যবহারে টিপস:

১। ব্লিচ হল অ্যামোনিয়া, এমনকি বাজারে যে ক্রিম কিনতে পাওয়া যায় তাতেও এটি ব্যবহার করা হয়। তাই প্রতিদিন ব্যবহার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তিন সপ্তাহে একবার ব্যবহার করা যেতে পারে।

২। ব্লিচিং ক্রিম ব্যবহারের আগে ত্বক ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। তবে ক্লিঞ্জিং মিল্ক ব্যবহার করবেন না।

৩। গাড় ত্বকের অধিকারীরা বেশিক্ষণ ত্বকে ব্লিচিং ক্রিম রাখবেন না। সর্বোচ্চ ১০ মিনিট ত্বকে রাখবেন।

ডিম ছাড়া ঘরেই তৈরি করুন পারফেক্ট চকলেট ব্রাউনি

Ranna banna o beauty tips
ডিম ছাড়া ঘরেই তৈরি করুন পারফেক্ট চকলেট ব্রাউনি
মিষ্টি খাবার খেতে যারা পছন্দ করেন তাদের কাছে ব্রাউনি বেশ পছন্দের একটি খাবার। ব্রাউনিপ্রেমীদের কাছে চকলেট ব্রাউনি বেশ জনপ্রিয়। প্রতিদিন তো আর বেকারীতে গিয়ে চকলেট ব্রাউনি খাওয়া সম্ভব হয় না। ঘরেই যদি তৈরি করা যায় পেস্ট্রিশপের স্বাদের চকলেট ব্রাউনি তাহলে কেমন হয়? দারুন তাই তো? আজ তাহলে শিখে নিন পেস্ট্রিশপের মত পারফেক্ট চকলেট ব্রাউনি তৈরির রেসিপিটি।

উপকরণ:

৮০ গ্রাম মাখন

১৮০ গ্রাম কনডেন্সড মিল্ক

৩০ গ্রাম টকদই

কয়েক ফোঁটা ভ্যানিলা এসেন্স

১৬০ গ্রাম ডার্ক চকলেট

১২৫ গ্রাম ময়দা

১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা

১/২ চা চামচ বেকিং পাউডার

৫০ গ্রাম চকলেট চিপস

প্রণালী:

১। প্রথমে ওভেন ১৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে প্রি হিট করে রাখুন।

২। একটি পাত্রে গলানো মাখন এবং কনডেন্সড মিল্ক ভাল করে মিশিয়ে নিন।

৩। এরসাথে টকদই এবং ভ্যানিলা এসেন্স ভাল করে ফেটে নিন।

৪। এবার এতে গলানো ডার্ক চকলেট ভাল করে মেশান।

৫। একটি পাত্রে ময়দা, বেকিং সোডা এবং বেকিং পাউডার একসাথে মিশিয়ে রাখুন।

৬। একটি চালনিতে আস্তে আস্তে চেলে টকদইয়ের মিশ্রণের সাথে মেশান।

৭। এরপর এতে চকলেটের টুকরো দিয়ে আবার মেশান।

৮। ওভেন ট্রেতে মাখন বা তেল লাগিয়ে নিন। তারউপর কিছুটা ময়দা ছিটিয়ে দিন।

৯। ব্রাউনি মিশ্রণটি ওভেন ট্রেতে ঢেলে ২০ মিনিট বেক করুন। নামানোর আগে টুথপিক দিয়ে পরীক্ষা করুন।

১০। ঠান্ডা হয়ে গেলে পছন্দমত আকৃতিতে কেটে নিন। আইসক্রিম দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চকলেট ব্রাউনি।

বুধবার, ২০ জুলাই, ২০১৬

বর্ষাকালে চুলের যত্ন

ranna banna o beauty tips
বর্ষাকালে চুলের যত্ন
বর্ষাকালে বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতা থাকে বলে ত্বক ও চুলের ক্ষতি হয় বেশি। অনেকেই মনে করেন যে গ্রীষ্মকালে চুলের ক্ষতি অধিক। কিন্তু না, বর্ষাকালে চুলের বাহিরের কিউটিক্যাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে চুল হয়ে পরে ভঙ্গুর, রুক্ষ ও শুষ্ক। বর্ষাকালে চুলের সুরক্ষায় বিশেষজ্ঞের মতামত জেনে নিই চলুন।

১। চুল শুষ্ক রাখুন 

বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজতে কার না ভালো লাগে! কিন্তু বৃষ্টিতে বার বার আপনার চুল ভেজানোটা মোটেও উপকারী নয়। বৃষ্টির পানি এসিডিক হয় এবং অতিরিক্ত আর্দ্রতা আপনার চুলের দুর্দশাই কেবল বৃদ্ধি করবে। বর্ষায় বাহিরে যাওয়ার পূর্বে আপনার চুল শুকিয়ে নিন। ভেজা চুল আঁচড়াবেন না।

২। সপ্তাহে ২ বার শ্যাম্পু করুন

চুল ও মাথার তালুর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সপ্তাহে ২ বার শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। বৃষ্টিতে ভেজার পরে গোসল করে নিন। বৃষ্টির পানি দীর্ঘক্ষণ আপনার মাথায় থাকলে তা চুলকানির সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি আপনার চুলে ব্যাকটেরিয়াল বা ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এবং খুশকিও হতে পারে। অনেক ধরণের হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার না করাই উচিৎ এবং হেয়ার স্প্রে এড়িয়ে চলুন।

৩। অয়েল ম্যাসাজ

আপনার ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে চুলে তেল ম্যাসাজ করুন। আপনার পছন্দের যেকোন তেল আপনার চুলের গোঁড়ায় ভালোভাবে ম্যসাজ করে লাগান এবং একটি শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন বা একটি গরম তোয়ালে পেঁচিয়ে নিন মাথায়। এতে  আপনার চুল প্রাকৃতিকভাবে আর্দ্র হবে এবং চুলের শুষ্কতা দূর হবে।

৪। হেয়ার স্টাইল করা এড়িয়ে চলুন

বর্ষাকালে হেয়ার স্টাইল চুলের শুধু ক্ষতিই করে। বর্ষায় খুব শক্ত করে চুল বাঁধতে অনুৎসাহিত করা হয় কারণ এতে বৃষ্টির পানি মাথায় পড়লে তা আবদ্ধ হয়ে থাকে এবং চলের আর্দ্রতাও বৃদ্ধি পায়। এতে চুলে গন্ধ হয় এবং চুল নিস্তেজ হয়ে পড়ে। হালকা করে চুল বাঁধুন। বর্ষায় চুল ছেটে ছোট করে রাখতে পারেন, এতে চুল পরিষ্কার করা ও যত্ন নেয়া সহজ হবে।

৫। অয়াটারপ্রুফ জ্যাকেট কিনুন হুডিসহ  

বর্ষায় যেকোন সময় বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হবেনা এমন মনে হলেও বাহিরে যাওয়ার সময় সাথে হুডিসহ অয়াটারপ্রুফ জ্যাকেট রাখুন। অনেকেই এটা পছন্দ করেন না। সেক্ষেত্রে সাথে একটি ছাতা রাখুন। আজকাল অনেক ধরণের রঙ্গিন ও ছোট ছাতা পাওয়া যায় যা ব্যাগে রাখা সম্ভব।

৬। হেয়ার মাস্ক

ঘরে তৈরি প্রাকৃতিক কোন হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন সপ্তাহে অন্তত একদিন। এতে আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।  

৭। প্রোটিন খান

ডারমাটোলজিস্ট ও কসমেটোলজিস্ট ডা. অপর্ণা সান্তারাম বলেন, “বর্ষায় চুলকে রুক্ষতার হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান”।

এছাড়াও প্রতিদিন তাজা ফল, বাদান ও সবুজ শাকসবজি এবং ৬-৮ গ্লাস পানি পান করুন। চুলে  কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কন্ডিশনার লাগানোর পর বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান যতে সব জায়গায় কন্ডিশনার পৌঁছে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিলে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।


মজাদার ও স্বাস্থ্যকর "আপেলের চিপস"

ranna banna o beauty tips
মজাদার ও স্বাস্থ্যকর "আপেলের চিপস"
একটু বৃষ্টি বৃষ্টি দিনে চিপস খাওয়ার মজাই আলাদা। কিন্তু কী চিপস খাবেন? দোকান থেকে কেনা চিপসে কী কী উপাদান থাকে তা নিশ্চিত হবার কোনো উপায় নেই। বাড়িতেও পটেটো চিপস তৈরি করলে তাতে থাকে অনেকটা কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাট। স্বাস্থ্যকর চিপস খেতে চাইলে তৈরি করে নিন দারুণ সুস্বাদু আপেলের চিপস।

উপকরণ
- ২টা বড় লাল আপেল
- আধা কাপ কাস্টর সুগার
- ১ টেবিল চামচ লেবুর রস
- অল্প করে দারুচিনি গুঁড়ো

প্রণালী
১) প্রথমে সুগার সিরাপ তৈরি করুন। একটি নন-স্টিক প্যানে গরম করে নিন কাস্টর সুগার। আধা কাপ পানি দিন। মিশিয়ে গরম করুন যতক্ষণ না চিনি গলে যায়। আঁচ কমিয়ে ৪-৫ মিনিট রাখুন যাতে ঘন হয়ে আসে। আঁচ থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন।
২) আপেলগুলোকে চিকন করে স্লাইস করে নিন।
৩) আপেলের স্লাইসের ওপর অল্প করে লেবুর জুস মাখিয়ে নিন। এরপর চিনির সিরাপে ফেলে দিন। ভালো করে আপেলের স্লাইসে মাখিয়ে নিন সিরাপ। এভাবে সিরাপে ভিজতে দিন ১০-১৫ মিনিট।
৪) ওভেন প্রিহিট করে নিন ১৮০ ডিগ্রিতে। একটা বেকিং ট্রে তে সিলিকন ম্যাট মেলে নিন। এর ওপর আপেলের স্লাইসগুলোকে রাখুন। ওপরে দারুচিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে নিন।
৫) আপেলের স্লাইসগুলোকে বেক করে নিন ৩০-৪০ মিনিট।

মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০১৬

নেইল পলিশ রিমুভারে সতর্কতা

ranna banna o beauty tips
নেইল পলিশ রিমুভারে সতর্কতা
রং-বেরঙের নেইল পলিশ দিয়ে বেশ তো নখ রাঙাচ্ছেন! কখনো পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে, কখনও-বা ইচ্ছেমতো তুলির আঁচড়ে সেজে উঠছে নখ। রোজ তো আর এক পোশাকে বাইরে যাওয়া যায় না। তাই পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় নখের সাজও। ইন্টারনেট বলছে চীন দেশ থেকেই উদ্ভাবন হয়েছিল এই নখ রাঙানোর চল। এই যে একটার পর একটা রং দিয়ে নখের ক্যানভাসে নকশা করা, সেটার জন্য তো আগে নখটা পরিষ্কার থাকা চাই। নখে নেইল পলিশ দেওয়ার আগে তাই নখটা একেবারে সাদা করে নিতে হয়। একটা রং তুলে তারপর নতুন রং দেওয়ার জন্য ব্যবহার হয় নেইল পলিশ রিমুভার। নিয়মিত রিমুভার ব্যবহারে নখের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না তো?

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বেশিমাত্রায় রিমুভার ব্যবহারের কারণে আমাদের নখের এনামেলের পাশাপাশি চামড়ায়ও ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। নেইল পেইন্ট রিমুভারগুলোতে সাধারণত অ্যাসিটোন নামের একধরনের রাসায়নিক উপাদান থাকে। এ ছাড়া রিমুভার তৈরিতে অনেক সময় ইথাইল অ্যাসিটেট ব্যবহার করা হয়। তবে অ্যাসিটোনোর চাইতে ইথাইল অ্যাসিটেট কম সংবেদনশীল হওয়ায় ইথাইল অ্যাসিটেট দিয়ে তৈরি রিমুভার ব্যবহার করা ভালো। তাই রিমুভার কেনার সময় উপাদানের দিকেও খেয়াল করা উচিত।

বেশি বেশি রিমুভার ব্যবহার করলে আমাদের নখ ও চামড়ায় কী কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে, সে সম্পর্কে বললেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্মরোগ বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুল ওয়াহাব। তিনি জানালেন, মাত্রাতিরিক্ত নেইল পলিশ ও নেইল পলিশ রিমুভার ব্যবহারের কারণে নখের স্বাভাবিক রং পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে নখের এনামেল, যার প্রভাবে পাতলা হয়ে যেতে পারে হাত-পায়ের নখ। পাশাপাশি নখের পাশের ত্বকে প্রদাহজনিত রোগ ‘প্যারোনিকিয়া’ হতে পারে। ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক ও শক্ত। অনেক সময় হাত-পায়ের চামড়া উঠতে পারে।

বারবার রিমুভার ও নেইল পলিশ দেওয়ায় হারায় স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা। কেননা, রিমুভারে ময়েশ্চারাইজিং উপাদান হিসেবে যা থাকে, সেটা নখের স্বাভাবিক মসৃণতা বা উজ্জ্বলতা, কোনোটাই ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট নয়।
রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন বললেন, ‘নখের শুভ্রতা ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে হলে প্রতিবার রিমুভার ব্যবহারের পরে অবশ্যই কুসুম গরম পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে ভালোভাবে হাত-পা ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থগুলো চামড়া থেকে দূর হয়ে যাবে। ভালো করে হাত-পা পরিষ্কার করার পর পেট্রোলিয়াম জেলি, ঘৃতকুমারী (অ্যালোভেরা) বা জলপাইয়ের তেল লাগাতে পারেন। ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে যায় এমন কোনো ভালো ময়েশ্চারাইজিং লোশন লাগাতে হবে। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের ময়েশ্চারাইজিং ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।’
নেইল পলিশ রিমুভারের ব্যবহার নিয়ে আফরোজা পারভীনের পরামর্শ হলো:
* মাসে দুবারের বেশি রিমুভার ব্যবহার করা উচিত নয়। যদি বেশি প্রয়োজন পড়ে সেটা যেন ছয়বারের বেশি না হয়।
* একই ব্র্যান্ডের নেইল পলিশ ও রিমুভার ব্যবহার করতে পারলে খুবই ভালো হয়।
* যত ভালো ব্র্যান্ডই ব্যবহার করা হোক না কেন, তা প্রতি তিন মাস অন্তর পরিবর্তন করতে হবে। এতে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে আসে।
* রিমুভার লাগিয়ে কটন-বাড বা কটন-বলের সাহায্যে খুবই আলতো করে ঘষে নেইল পলিশ তুলতে হবে।
* সতর্কতার সঙ্গে যে বিষয়টি লক্ষ রাখতে হবে, তা হলো রিমুভার ব্যবহারের সময় যেন তা নখের পাশের চামড়ায় না লাগে।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.