বুধবার, ২২ জুন, ২০১৬

সুজির কচুরি

ranna banna o beauty tips
সুজির কচুরি
পেঁয়াজু, বেগুন, আলুর চপ খেতে খেতে বিরক্ত। একই ধরণের খাবার আর কতই খাওয়া যায়! বিরক্তিকর এই ইফতারিতে আনতে পারেন ভিন্ন স্বাদ। তাও খুব সহজে ঘরে থাকা সুজি দিয়ে! কী অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই। সুজি আর আলু দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন দারুণ স্বাদের সুজি কচুরি।

উপকরণ:
ডো তৈরির জন্য লাগবে-

১/২ কাপ সুজি

১ কাপ পানি

১ টেবিলচামচ জিরা

১ টেবিল চামচ তেল

আলুর পুরের জন্য লাগবে-

১টা আলু সিদ্ধ

২ টা মরিচ

লবণ স্বাদমত

চাট মশলা

প্রণালী:

১। প্রথমে একটি পাত্রে পানিতে সুজি, জিরা, লবণ(সামান্য পরিমাণে)তেল দিয়ে সিদ্ধ করতে দিন। সুজি ঘন হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।

২। অল্প কিছুক্ষণের জন্য সুজি ঠান্ডা হতে দিন। লক্ষ্য রাখবেন খুব বেশি ঠান্ডা যেন না হয়। বেশি ঠান্ডা হয়ে গেলে সুজি গোল হবে না।

৩। আরেকটি বাটিতে সিদ্ধ আলু, মরিচ, চ্যাট মশলা, লবণ ভাল করে মিশিয়ে পুর তৈরি করে নিন।

৪। এবার হাতে একটু তেল লাগিয়ে নিন। তারপর সুজির ডো হাতে নিয়ে কিছুটা চ্যাপ্টা করে তাতে আলুর পুরটা দিয়ে দিন।

৫। সুজির ডো দিয়ে আলুর পুরটা ভাল করে ঢেকে দিন। এমনভাবে ঢাকুন যাতে পুর দেখা না যায়।

৬। তেল গরম হয়ে আসলে এতে সুজির কচুরিগুলো দিয়ে দিন। খুব বেশি কচুরি একসাথে দিবেন না। এতে কচুরি ভেঙ্গে যেতে পারে।

৭। কচুরিগুলো বাদামি রং হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।

৮। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার সুজির কচুরি। সস দিয়ে পরিবেশন করুন।

পেঁয়াজু, বেগুন, আলুর চপ খেতে খেতে বিরক্ত। একই ধরণের খাবার আর কতই খাওয়া যায়! বিরক্তিকর এই ইফতারিতে আনতে পারেন ভিন্ন স্বাদ। তাও খুব সহজে ঘরে থাকা সুজি দিয়ে! কী অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই। সুজি আর আলু দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন দারুণ স্বাদের সুজি কচুরি।

উপকরণ:
ডো তৈরির জন্য লাগবে-

১/২ কাপ সুজি

১ কাপ পানি

১ টেবিলচামচ জিরা

১ টেবিল চামচ তেল

আলুর পুরের জন্য লাগবে-

১টা আলু সিদ্ধ

২ টা মরিচ

লবণ স্বাদমত

চাট মশলা

প্রণালী:

১। প্রথমে একটি পাত্রে পানিতে সুজি, জিরা, লবণ(সামান্য পরিমাণে)তেল দিয়ে সিদ্ধ করতে দিন। সুজি ঘন হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।

২। অল্প কিছুক্ষণের জন্য সুজি ঠান্ডা হতে দিন। লক্ষ্য রাখবেন খুব বেশি ঠান্ডা যেন না হয়। বেশি ঠান্ডা হয়ে গেলে সুজি গোল হবে না।

৩। আরেকটি বাটিতে সিদ্ধ আলু, মরিচ, চ্যাট মশলা, লবণ ভাল করে মিশিয়ে পুর তৈরি করে নিন।

৪। এবার হাতে একটু তেল লাগিয়ে নিন। তারপর সুজির ডো হাতে নিয়ে কিছুটা চ্যাপ্টা করে তাতে আলুর পুরটা দিয়ে দিন।

৫। সুজির ডো দিয়ে আলুর পুরটা ভাল করে ঢেকে দিন। এমনভাবে ঢাকুন যাতে পুর দেখা না যায়।

৬। তেল গরম হয়ে আসলে এতে সুজির কচুরিগুলো দিয়ে দিন। খুব বেশি কচুরি একসাথে দিবেন না। এতে কচুরি ভেঙ্গে যেতে পারে।

৭। কচুরিগুলো বাদামি রং হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।

৮। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার সুজির কচুরি। সস দিয়ে পরিবেশন করুন।

মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০১৬

শিশুদের কি চা পান করতে দেওয়া উচিৎ ?

ranna banna o beauty tips
শিশুদের কি চা পান করতে দেওয়া উচিৎ ?
অনেক পরিবারেই শিশুদের চা পান করতে দেয়া হয়। বিশ্বাস করা হয় যে চা হজমে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়, মৌসুমি রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। চায়ের উপকারিতা সম্পর্কে কম বেশি আমরা সবাই জানি। কিন্তু বড়দের মত ছোটরাও একইভাবে উপকৃত হবে ভাবলে ভুল করবেন। এমনকি অনেক বেশি দুধ যোগ করে অথবা বিস্কুটের সাথে পান করতে দিলেও শিশুর শরীরের উপর চায়ের ক্ষতিকর দিকগুলোকে আড়াল করা যাবে না। চা শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যকর পানীয় নয় কেন তা বলেন ন্যাচারোপ্যাথিক নিউট্রোশনিস্ট ও “ডোন্ট জাস্ট ফিড....নারিশ ইয়োর চাইল্ড” বইটির লেখক ধাওয়ানি শাহ। আসুন তাহলে কারণগুলো জেনে নিই।

চা বড়দের পানীয়। চায়ের উপাদান শিশু-কিশোরদের ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়াশীলভাবে কাজ করে। চা পানে শিশুদের ক্যালসিয়ামের শোষণ ব্যাহত হয়। যার ফলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়। নিয়মিত চা গ্রহণে শিশুর মস্তিষ্ক, পেশী, স্নায়ুতন্ত্র এবং বৃদ্ধি প্রভাবিত হয়। শিশুকাল থেকে চা পান করলে যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো দেখা যায় তা হল-

-   হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া

-   শরীর ব্যথা বিশেষ করে নিম্নবাহুতে ব্যথা হওয়া

-   মনোযোগের ঘাটতি যার ফলে বিরক্তি ও অন্যান্য আচরণগত সমস্যা দেখা দেয়

-   পেশীর শক্তি কমে যাওয়া

চায়ের সাথে বেশি দুধ মেশালে কি ভালো?

অনেক মা মনে করেন চায়ের সাথে বেশি দুধ মেশালে শিশুদের দুধ খাওয়ানো জন্য চাপাচাপি করতে হয়না এবং এর মাধ্যমে শিশুর ক্যালসিয়াম গ্রহণ চিশ্চিত করা যায়। কিন্তু তারা যেটি বুঝতে পারেন না সেটি হচ্ছে দুধের মধ্যে কয়েকফোঁটা চা মেশালে তা দুধের গুনাগুণ নষ্ট করে দেয়। দুধের প্রোটিন কেসিন চায়ের প্রোটিন ক্যাটেচিনের উপস্থিতিতে জটিল আকার ধারণ করে। এই জটিল উপাদান স্নায়ুতন্ত্রের উপর আফিমের মত কাজ করে। যার ফলে চায়ের প্রতি আসক্তি তৈরি হয়। যেকোন বয়সের জন্যই আসক্তি ভালো কিছু নয়।

চায়ের সাথে বিস্কুট যোগ করলে কি স্বাস্থ্যকর খাবার হয়?

চায়ের সাথে বিস্কুট খাওয়া বিশেষ করে শিশু ও কিশোরদের জন্য খুবই মারাত্মক। বাড়ন্ত শিশুদের জন্য দিনের প্রথম খাবারটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন যা শিশুর দেহের বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। এজন্য রুটি বা পরোটা, ডিম, দুধ ও ফল খাওয়াতে হবে। বিস্কুট তৈরিতে অতিরিক্ত চিনি, স্বাদ ও সুগন্ধি সৃষ্টিকারী উপাদান, ইউরিয়া, অ্যাডিটিভস ও প্রিজারভেটিভ যুক্ত করা হয়। তাই সকালের নাশতায় চা-বিস্কুট খেলে তা শিশুর পেশী ও স্নায়ুর বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে।  

চায়ের ক্যাফেইন উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন গাছের পাতা ও বীজ থেকে ক্যাফেইন তৈরি করা হয়। কৃত্রিমভাবেও ক্যাফেইন তৈরি করা যায় এবং বিভিন্ন খাবারে যোগ করা হয়। ক্যাফেইনকে ড্রাগ হিসেবেও সংজ্ঞায়িত করা হয় কারণ এটি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে। অল্পমাত্রার ক্যাফেইন মানুষকে অনেক বেশি সতর্ক ও এনার্জেটিক করে তুলতে পারে। কিন্তু বেশি মাত্রার ক্যাফেইন শিশু ও বয়স্ক উভয়ের মাঝেই যে সমস্যাগুলো সৃষ্টি করতে পারে তা হল – নার্ভাসনেস, পেটের অসুখ, মাথাব্যথা, মনোযোগের সমস্যা, ঘুমের সমস্যা, হৃদস্পন্দন বেরে যাওয়া ও রক্তচাপ বৃদ্ধি পাওয়া ইত্যাদি। তাই শিশুদের এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্ত রাখতে শিশু-কিশোরদের ক্যাফেইন গ্রহণের মাত্রা সীমিত করুন বা বাদ দিন।    

মজাদার খেজুরের মিল্কশেক

মজাদার খেজুরের মিল্কশেক
সারাদিন রোজা রাখার পর প্রাণ জুড়াতে এক গ্লাস ঠান্ডা শরবতের জুড়ি নেই। শরবতের পরিবর্তে অনেকেই বিভিন্ন ফলের জুস পান  করে থাকেন। প্রতিদিন একইরকম পানীয় পান করতে করতে একঘেয়ামি চলে আসে। তাই পানীয়তে চাই ভিন্ন কিছু, নতুন কিছু। আমের জুস, কলার জুস অথবা কমলার জুস অনেক তো হল, এইবার তৈরি করুন মজাদার খেজুরের মিল্কশেক। মজাদার এই মিল্কশেকটি অল্প কিছু উপাদান দিয়ে তৈরি করা সম্ভব। ইফতারিতে ঝটপট তৈরি করুন খেজুর মিল্কশেক।

উপকরণ:  

১৫ থেকে ২০টি খেজুর

৩ থেকে ৪ কাপ দুধ

৭-৮টি দারুচিনি গুঁড়ো

বরফের টুকরো

প্রণালী:

১। প্রথমে খেজুরের ভিতর থেকে বীচি আলাদা করে নিন। এলাচের খোসা ছাড়িয়ে গুঁড়ো করে নিন।

২। এইবার ব্লেন্ডারে খেজুর, এলাচ গুঁড়ো, দুধ এবং বরফের টুকরো দিয়ে ব্লেন্ড করুন।

৩। খেজুর, দুধ ভাল করে ব্লেন্ড না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করতে থাকুন।

৪। পরিবেশন পাত্রে ঢেলে বাদাম কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন ভিন্ন স্বাদের মজাদার খেজুরের মিল্কশেক।

টিপস:

১। আপনি চাইলে খেজুরের সাথে একটি পাকা কলা, কাঠবাদাম কুচিও যোগ করতে পারেন। এটি মিল্কশেকের স্বাদ বৃদ্ধির সাথে সাথে এর পুষ্টিগুণ করে দেবে দ্বিগুণ।

সোমবার, ২০ জুন, ২০১৬

চায়ের দাগ তোলার ৬ টি সহজ উপায়

ranna banna o beauty tips
চায়ের দাগ তোলার ৬ টি সহজ উপায় 
কম বেশি সবাই চা পান করে থাকেন। পছন্দের পানীয়ের মধ্যে চা অন্যতম। চা পান করতে গিয়ে অনেক সময় অসাবধানতাবশত কাপড়ে চা পড়ে যায়। চায়ের দাগ সাথে সাথে পরিষ্কার করা না গেলে তা কাপড়ে স্থায়ীভাবে বসে। চায়ের এই জেদী দাগ সাধারণ ডিটারজেন্ট দিয়ে দূর করা সম্ভব হয় না। ঘরোয়া কিছু উপায়ে এই দাগ দূর করা সম্ভব। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক জাদুকরী উপায়গুলো।

১। ভিনেগার

কয়েক কাপ পানিতে এক চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এটি স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। চায়ের দাগের উপর এটি স্প্রে করুন। এরপর কিছক্ষণ ঘষুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন দাগ দূর হয়ে গেছে।

২। গরম পানি 

সূতির কাপড় থেকে চায়ের দাগ উঠানোর খুব সহজ একটি উপায় হল গরম পানির ব্যবহার। চায়ের দাগের ওপর গরম পানি ঢালুন। দাগের জায়গাটুকু কয়েকবার ঘষুন। তারপর ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৩। বেকিং সোডা

চায়ের দাগের ওপর এক চা চামচ বেকিং সোডা দিয়ে দিন। এরপর সেটি ঘষুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৪। গ্লিসারিন

চায়ের দাগ কিছুটা পুরাতন হয়ে গেলে তা দূর করা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে থাকে। চায়ের দাগে কিছুটা গ্লিসারিন  আঙ্গুল দিয়ে ঘষে লাগান। এভাবে এটি রেখে দিন ১০ ঘন্টা। গরম পানিতে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে তাতে কাপড়টি ভিজিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চায়ের দাগ গায়েব হয়ে গেছে।

৫। ডিমের সাদা অংশ

ডিমের সাদা অংশ ফেটে নিন। এরপর সেটি দাগের ওপর লাগান। ১ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঘষে ঘষে ভাল করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রথম ধোয়ায় দাগ দূর না হলে আরেকবার করুন।

৬। টুথপেষ্ট

দাঁত পরিষ্কার করার পাশাপাশি চায়ের দাগ দূর করতে বেশ কার্যকর টুথপেস্ট। চায়ের দাগের ওপর কিছু পরিমাণে টুথপেষ্ট দিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি কাপড়ের কোন ক্ষতি ছাড়াই দাগ দূর করে দিবে।

ইফতারে মিষ্টিমুখ হোক আম সেমাইয়ে

ranna banna o beauty tips
আম সেমাইয়ে
সারাদিন পার করে ইফতারে একটু মিষ্টি খাবার খেতে ভালোবাসেন সবাই। ফলমূলের পাশাপাশি তাই ডেজার্টের কদরটাও কম নয়। আমের এই মৌসুমে চলুন দেখে নিই আমের স্বাদে দারুণ একটি সেমাইয়ের রেসিপি। খুব কম উপকরণের সহজেই তৈরি হবে এই খাবারটি। যারা সাধারণ দুধ-সেমাই তৈরি করতে পারেন, তারা এটাও তৈরি করতে পারবেন অনায়াসে।

উপকরণ
- ১ কাপ আমের পাল্প
- ১ লিটার দুধ
- পৌনে এক কাপ সেমাই
- ১ টেবিল চামচ ঘি
- পৌনে এক চা চামচ এলাচি গুঁড়ো
- ৬ টেবিল চামচ চিনি
- কাঠবাদাম ও পেস্তাবাদাম কুচি
- গার্নিশ করার জন্য আমের টুকরো

প্রণালী
১) প্যান গরম করে ঘি দিন এতে। ঘি গরম হয়ে এলে এতে সেমাই দিয়ে নেড়েচেড়ে ভেজে নিন। সেমাইয়ের রং পরিবর্তন হয়ে এলে এতে দুধ দিয়ে ফুটিয়ে নিন।
২) দুধ ফুটে গেলে এতে চিনি দিয়ে দিন। চিনি গলে গেলে চুল বন্ধ করে এলাচি গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হয়ে এলে আমের পাল্প দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
৩) ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে রাখুন। পরিবেশন করুন ওপরে বাদাম কুচি এবং আমের টুকরো দিয়ে।

বুধবার, ৮ জুন, ২০১৬

চাইনিজ স্টাইলে ফিশ ফিঙ্গার

ranna banna o beauty tips
চাইনিজ স্টাইলে ফিশ ফিঙ্গার
ফাস্ট ফুড মানে কি শুধুই মাংস? না, মাছ দিয়েও হয় কিছু ফাস্ট ফুড। এদের মাঝে সবচাইতে পরিচিত হলো ফিশ ফিঙ্গার। মাছের কিমা দিয়ে নয়, আজ চলুন দেখে নিই মাছের টুকরো অর্থাৎ ফিলে দিয়ে তৈরি অন্যরকম একটি ফিশ ফিঙ্গারের রেসিপি। চাইনিজ স্বাদের এই ফিশ ফিঙ্গার তৈরি করতে পারবেন কম কাঁটাওয়ালা যেকোনো মাছ দিয়ে। আপনার ঝামেলাটাও হবে কম।

উপকরণ
- মাছের কাঁটা ছাড়া টুকরো লম্বা আঙ্গুলের মতো করে কাটা
- ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল
- ১ টেবিল চামচ রসুন কুচি
- ১/২টা টাটকা লাল মরিচ কুচি
- গোলমরিচ গুঁড়ো স্বাদমতো
- লবণ স্বাদমতো
- ১ চা চামচ সয়াসস
- ২/৩ চা চামচ অয়েস্টার সস
- ৬/৮টা টাটকা তুলসি পাতা/বেসিল পাতা
- ব্রেড ক্রাম্ব পরিমাণমতো
- ১টা ডিম
- গার্নিশ করার জন্য পিঁয়াজপাতা কুচি

প্রণালী
১) ভাজার জন্য প্রয়োজনমত তেল প্যানে গরম হতে দিন।
২) মাছ লম্বা করে কেটে নিন। এগুলোকে একটা বোলে নিয়ে এতে দিন রসুন, মরিচ, গোলমরিচ, লবণ, সয়াসস এবং অয়েস্টার সস। সব উপকরণ ভালো করে মাখিয়ে নিন। এরপর বেসিল পাতা ছিঁড়ে এতে দিয়ে আবার মেশান। ম্যারিনেট হতে দিন কিছুক্ষণ।
৩) ব্রেডক্রাম্বে গড়িয়ে নিন ফিশ ফিঙ্গারগুলোকে।
৪) ডিম ফেটিয়ে নিন এবং এতে ফিশ ফিঙ্গার ডুবিয়ে নিন। এরপর আবার ব্রেডক্রাম্বে গড়িয়ে নিন।
৫) তেল গরম হলে ডিপ ফ্রাই করে নিন ফিশ ফিঙ্গারগুলো। মুচমুচে সোনালি করে ভেজে তুলুন। কিচেন টাওয়েলে তেল ঝরিয়ে নিন।

মজাদার চিকেন ব্রেড পিজ্জা

ranna banna o beauty tips
মজাদার চিকেন ব্রেড পিজ্জা
এই রোজায় ইফতারে কি খাচ্ছেন? সেই সবসময়ের মতো পিঁয়াজু-বেগুনি-আলুর চপ? একটু স্বাদ বদলে চমকপ্রদ কিছু তৈরি করতে চাইলে দেখে নিন আজকের চিকেন ব্রেড পিজ্জার রেসিপিটি। মাংস, পনির এবং ক্যাপসিকামের দারুণ স্বাদে ইফতারে আপনার মনটাই ভালো হয়ে যাবে। পেট ভরাতে সহায়ক এই স্ন্যাক্সটি ইফতার পার্টিতে পরিবেশন করতে পারেন, আবার প্রতিদিনের ইফতারেও রাখতে পারেন। চলুন দেখে নিই সহজ রেসিপিটি।

উপকরণ
- ২টা গ্রিলড চিকেন ব্রেস্ট, শ্রেড করা
- ৮টা পাউরুটির স্লাইস
- পিজ্জা সস প্রয়োজনমতো
- ২ টেবিল চামচ মাখন
- ১ চা চামচ রসুন কুচি
- আধা চা চামচ শুকনো মরিচ
- ৩/৪টা ফ্রেশ বেসিল পাতা
- ১ কাপ বিভিন্ন রঙের ক্যাপসিকামের লম্বা টুকরো
- ২০০ গ্রাম মোজারেলা চিজ, ছোট কিউব করে কাটা
- ফ্রেশ অরিগানো প্রয়োজনমতো

প্রণালী
১) ওভেন ১৮০ ডিগ্রিতে প্রিহিট হতে দিন।
২) একটি পাত্রে মাখন নিন। এতে শুকনো মরিচ ভেঙ্গে নিন। রসুন এবং বেসিল পাতা ছিঁড়ে দিন। ভালো করে মিশিয়ে নিন।
৩) মাখনের মিশ্রণ প্রতিটি রুটির স্লাইসের ওপরে মাখিয়ে নিন এবং একটি বেকিং ট্রেতে রাখুন। এবার প্রিহিটেড ওভেনে দিয়ে ৪-৬ মিনিট বা মুচমুচে হওয়া পর্যন্ত বেক করে নিন।
৪) মুচমুচে এই ব্রেড স্লাইসের ওপরে পিজ্জা সস দিয়ে নিন। এর ওপরে চিকেন, ক্যাপসিকামের টুকরো, মোজারেলার টুকরো এবং কিছু অরিগানো দিয়ে দিন। এবার প্রিহিটেড ওভেনে আবার দিয়ে দিন। চিজ গলে যাওয়া পর্যন্ত বেক করে নিন।


 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.