রবিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৬

ব্রণের দাগমুক্ত ত্বকের জন্য

ranna banna o beauty tips
ব্রণের দাগমুক্ত ত্বকের জন্য
উজ্জ্বল ত্বকের ঝিলিক কার না ভালো লাগে। কিন্তু চাওয়ার সঙ্গে পাওয়ার মিল থাকে না অধিকাংশ সময়। নিয়মিত নামী-দামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী ব্যবহার করেও মুখে থাকা ব্রণের দাগ দূর করা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ খুব সহজেই হাতের কাছে পাওয়া উপাদান দিয়ে আপনার ত্বকের যত্ন নেয়া সম্ভব। এসবের সঠিক ব্যবহারে আপনি পেতে পারেন ব্রণের দাগমুক্ত নরম, কোমল, সুন্দর ত্বক। আর তাই..

- শশার রস, সামান্য চালের গুঁড়া, এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এটি স্ক্রাবারের কাজ করবে। সপ্তাহে মাত্র দুই দিন এই প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার হবে। ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর হয়ে যাবে। খেয়াল রাখতে হবে, ব্রণ থাকলে স্ক্রাব করা যাবে না।

- কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো ব্রণের জন্য খুবই কার্যকর উপাদান। সমপরিমাণ বাটা কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো আর পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করতে হবে। মিশ্রণটি এরপর ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র ব্রণদূর করার কাজ করে না বরং ব্রণের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে।

- আপেল এবং মধুর মিশ্রণ হচ্ছে ব্রণের দাগ দূর করার সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া পদ্ধতি। প্রথমে আপেলের পেষ্ট তৈরি করে তাতে ৪ থেকে ৬ ফোটা মধু মেশাতে হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখে এবং মুখের রঙ উজ্জ্বল করে। সপ্তাহে ৫ থেকে ৬ বার এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি কয়েকদিনের মধ্যে পরিবর্তনটা অনুভব করতে পারবেন।

- ব্রণের জন্য তুলসি পাতার রস খুব উপকারী। শুধুমাত্র তুলসি পাতার রস ব্রণ আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

- প্রথমে চন্দন কাঠের গুড়োঁর সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এরপর তাতে ২ থেকে ৩ ফোটা লেবুর রস মিশাণ। গোলাপ জলের পরিবর্তে মধুও ব্যবহার করতে পারেন। এই মিশ্রণ আপনার ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে। সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন ব্যবহার করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

- গোলাপজলের নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ কমে যায়। দারুচিনি গুঁড়ার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ব্রণের ওপর লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের সংক্রমণ, চুলকানি এবং ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।

কাঁচা হলুদে ত্বকের চর্চা

ranna banna o beauty tips
কাঁচা হলুদে ত্বকের চর্চা
বহু বছর আগে থেকে রান্নার কাজে হলুদের ব্যবহার হয়। মসলার এই উপকরণটি আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার সংস্কৃতি, ধারা, অনুষ্ঠান-পর্বের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। রূপচর্চাতে এর রয়েছে উল্লেখ করার মতো অবদান। হলুদ স্পর্শে সুন্দর হওয়ার এই ধারাও বেশ পুরোনো। বিয়ের আগে বর-কনেকে হলুদ ছোঁয়ার মধ্য দিয়ে একটু সুন্দর দেখানোর চেষ্টা রীতিমতো একটা নিয়মে পরিণত হয়েছে। হলুদকে তাই প্রাকৃতিক প্রসাধনীও বলা যেতে পারে। এটি গায়ের রঙ যেমন উজ্জ্বল করে তেমনি অ্যালার্জি, ব্রণ, র‌্যাশ দূর করে। তাছাড়া বয়সের ছাপ আলজেইমার, ডায়বেটিস, আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি রোগ থেকে উপশম পেতে সাহায্য করে। আজ শিখে নেব কাঁচা হলুদের স্পর্শে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়।

- কাঁচা হলুদ বাটা, চন্দন গুঁড়া, লেবুর রস মিশিয়ে একটি মাস্ক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তাছাড়া ব্রণের উপর কাঁচা হলুদ বাটা এবং পানি মিশিয়ে দিয়ে ১৫ মিনিটের জন্য রাখুন। ব্রণ তাড়াতাড়ি চলে যাবে। হলুদে এন্টিসেপ্টিক এবং এন্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকে যেটি ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।

- হলুদ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। চন্দন গুঁড়া এস্ট্রিঞ্জেন্ট এর কাজ করে এবং কমলার রস ত্বকের দাগ দূর করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, ১ চামচ চন্দন গুঁড়া এবং ৪ চামচ কমলার রস মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে মুখে লাগান। তৈলাক্ত ত্বকের যেকোনো সমস্যা দূর হবে।

- এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ৩ ফোঁটা লেবুর রস, একটা ডিমের সাদা অংশ, গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে লাগান। নিজেই লক্ষ্য করবেন ত্বকের ইতিবাচক পরিবর্তন। তাছাড়া শরীরে যেসব জায়গা শুষ্ক সেসব জায়গায়ও লাগাতে পারেন। আপনার শুষ্ক ত্বক উজ্জ্বল এবং লাবণ্যময়ী হবে সহজে।

- হলুদ ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া, চালের গুঁড়া, টমেটো রস, কাঁচা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে মাস্ক হিসাবে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের ফাইন লাইন্স এবং ঝুলে পড়া ত্বককে স্বাভাবিক করতে এবং ত্বককে ফর্সা করতে অত্যন্ত কার্যকরী।

- সামান্য হলুদ গুঁড়ার সঙ্গে মাখন মিশিয়ে চোখের নীচে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। এটি চোখের নীচে বলিরেখা সহ কালো দাগও দূর করবে।

৫ মিনিটে তৈরি করে ফেলুন রেড ভেলভেট কেক

ranna banna o beauty tips
রেড ভেলভেট কেক
কেক তৈরির জন্য দরকার হয় অনেক প্রস্তুতি, অনেক উপাদান বের করে ব্যাটার তৈরি করতে হয়, ওভেন প্রি-হিট করতে হয়, আইসিং তৈরি করতে হয় আরও কতো কী! কিন্তু এই রেড ভেলভেট কেক তৈরি করতে আপনার একটুও কষ্ট হবে না। মাইক্রোওয়েভ ওভেনেই তৈরি করে ফেলতে পারবেন দারুণ নরম আর মজাদার কেক। সময়টাও লাগবে খুবই কম। চলুন, দেখে নেই রেসিপিটি।
উপকরণ

-   ৬ টেবিল চামচ দুধ
-   ১ চা চামচ সাদা ভিনেগার
-   আধা কাপ ময়দা
-   সিকি কাপ চিনি
-   ২ চা চামচ কোকো পাউডার
-   আধা চা চামচ বেকিং পাউডার
-   সিকি চা চামচ লবণ
-   ২ টেবিল চামচ তেল
-   ১০ ফোঁটা লাল ফুড কালার
-   সিকি কাপ চকলেট চিপস
-   ১ টেবিল চামচ ক্রিম চিজ
-   পরিবেশনের জন্য আইসিং সুগার
-   পরিবেশনের জন্য স্প্রিঙ্কল বা সুগার বল
প্রণালী

১) বড় একটা সিরামিকের মগে দুধ, ভিনেগার, ময়দা, চিনি, কোকো পাউডার, বেকিং পাউডার, লবণ, তেল এবং লাল ফুড কালার মিশিয়ে নিন। এটাকে বিট করে নিন ভালো করে। ওপরে চকলেট চিপস দিয়ে আরেকবার নেড়ে মিশিয়ে নিন। এরপর মাঝ বরাবর ক্রিম চিজ দিয়ে এটাকে সাবধানে ব্যাটারের ভেতর ঢুকিয়ে দিন, নাড়বেন না।
২) এবার মাইক্রোওয়েভ ওভেনে হাই হিটে বেক হতে দিন ৫ মিনিট।
৩) এবার বের করে নিয়ে ওপরে আইসিং সুগার এবং স্প্রিঙ্কল ছড়িয়ে দিন।
ব্যাস, পরিবেশনের জন্য তৈরি আপনার রেড ভেলভেট কেক। এটা গরম গরমই খেতে ভালো লাগবে। একটু ঠাণ্ডা হলেও খেতে পারেন।

ছুটির দিনের বাহারি খাবার "লাহোরি চিকেন চারগাহ"

ranna banna o beauty tips
লাহোরি চিকেন চারগাহ
আজ ছুটির দিনের ডিনারে বিশেষ কিছু রাঁধতে চান? তাহলে চেখে দেখুন সুমনা সুমির এই দারুণ রেসিপিটি। ভিনদেশি এই খাবারটি তৈরিতে সহজ আর খেতেও দারুণ।
উপকরণ
• আস্ত মুরগী ১ টি
• লেবুর রস ২ টেবিল চামচ 
• টক দই ১/৪ কাপ
• টমেটো সস ২ টেবিল চামচ
• আদা বাটা ১ টেবিল চামচ 
• রসুন বাটা ১ চা চামচ 
• তন্দুরী মসলা ২ টেবিল চামচ
• মরিচ গুঁড়ো ২ চা চামচ
• গরম মশলা পাউডার ১চা চামচ
• ভাজা জিরা গুঁড়ো ১চা চামচ
• চাট মশলা ১ টেবিল চামচ 
• ঘি ১/৪কাপ
প্রনালী
-মুরগী ভাল করে ধুয়ে রান ও বুকে দাগ কেটে দিন যাতে মেরিনেশনের মশলা ভেতরে ঢোকে।
-উপরের সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে মুরগীতে মাখিয়ে নিন।
-কমপক্ষে ৪ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
-স্টিম করার ৩০ মিনিট আগে ফ্রিজ থেকে নামিয়ে নিন।
-একটি পাতিলে স্টিমার দিয়ে পানি ফুটিয়ে নিন। এখন মশলাসহ মুরগিটি স্টিমার এর উপর রেখে ঢেকে দিন। মাঝারি আছে ৩০ মিনিট ভাপে সিদ্ধ করুন।
-পরিবেশনের ৩০ মিনিট আগে কড়াইতে ১/২ লিটারের মত তেল দিন।
-তেল ফুটে উঠলে স্টিম করা মুরগী দিয়ে অল্প আঁচে ক্রিস্পি করে ভেজে তুলুন।
-উপরে ঘি ব্রাশ করুন।
-নান , রায়তা বা সালাদের সাথে পরিবেশন করুন।

কীভাবে আবিষ্কার হলো আপনার প্রিয় সানগ্লাসটি

কীভাবে আবিষ্কার হলো আপনার প্রিয় সানগ্লাসটি
পোশাকের সাথে মিলিয়ে বিভিন্ন রঙের সানগ্লাস  পরা এখন চলতি সময়ের জনপ্রিয় ফ্যাশন। নানান ডিজাইনের, রঙের সানগ্লাস পাওয়া যায় এখন বাজারে। সাদামাটা একটা পোশাকের সঙ্গে সানগ্লাস সহজেই এনে দেয় ফ্যাশনেবল লুক, যার ভক্ত কিশোর, তরুণ সবাই। আসুন জেনে নেই প্রিয় এই সানগ্লাস আবিষ্কারের গল্প।
সানগ্লাসের বাংলা নাম রোদচশমা, যদিও বাংলাটা আমাদের তেমন ব্যবহার করা হয় না। রোদচশমা নামটা শুনলে প্রথমেই মনে হবে যেন রোদে পরার জন্য যে চশমা ব্যবহার করা হয় তাকেই সানগ্লাস বা রোদচশমা বলা হয়। কিন্তু তা নয়। রোদকে আটকানোর জন্য রোদচশমার প্রচলন হয়নি। একটি বিশেষ কারণেই চৈনিক নির্মাতারা ধোঁয়াচ্ছন্ন লেন্সের চশমা প্রথম তৈরী করেন।
বিচারকদের চোখ ঢাকতে
১৩০০ সালের দিকে এই চশমা প্রথম তৈরী করা হয়। চোখের দৃষ্টির ত্রুটি অথবা রোদ প্রতিহত করতে নয় চীনের বিচারালয়ের জজ সাহেবদের চোখের দৃষ্টিকে আড়াল করতে এই চশমা ব্যবহার করা হয়।
বিচারকদের চোখ ঢাকার জন্য তারা ধোঁয়াচ্ছন্ন চশমা তৈরী করে ফেললেন। চীনাদের উদ্ভাবনী শক্তি সবসময়ই অসাধারণ। একশত বছর ধরে সানগ্লাসের ব্যবহার শুধু বিচারালয়ে হতে থাকলো। ১৪৩০ সালের দিকে রোদচশমা চীন থেকে ইতালীতে পাড়ি জমালো। তারাও বিচারিক কাজে রোদচশমা ব্যবহার করত।
নির্দিষ্ট দৃষ্টি ত্রুটি নিরাময় করতে
আঠারো শতকের মধ্যভাগে জেমস আয়ুসকফ চশমার অস্বচ্ছ লেন্স নিয়ে গবেষনা শুরু করলেন। আয়ুসকফ বিশ্বাস করতেন নীল অথবা সবুজ অস্বচ্ছ কাঁচ নির্দিষ্ট দৃষ্টি ত্রুটি নিরাময় করতে সক্ষম হবে। সূর্যালোককে প্রতিহত করার কোন চিন্তা ভাবনা তার মাথায় ছিলো না।
আমেরিকান মিলিটারিদের জন্য
বিংশ শতাব্দীতে এসে রোদচশমা রোদচশমা হিসেবে প্রাণ পায়। আমেরিকার মিলিটারি সানগ্লাস টেকনোলজির উন্নয়ন ও ব্যবহারে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। ১৯২৯ সালে আধুনিক ধরনের রোদচশমার আবির্ভাব ঘটে।
আধুনিক রোদচশমা
১৯৩০ সালে ফস্টার গ্রান্ট কোম্পানীর প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ফস্টার আটলান্টিক সিটিতে ফস্টার গ্রান্ট সানগ্লাসের প্রথম জোড়া বিক্রি করেন। সত্তর দশকে হলিউড তারকারা রোদ- চশমা ব্যবহারের জন্য রীতিমত বিখ্যাত ছিলেন।
এখন রোদচশমা বা সানগ্লাস যা ই বলি না কেন তা পুরোপুরি একটি ফ্যাশনের উপকরন, দৈনন্দিন সাজসজ্জার উপকরন। রোদ না থাকলেও এমন কি রাতেও আমরা গ্লাস পরি নাইটগ্লাস নাম দিয়ে। যেভাবেই হোক প্রিয় চশমা থাকুক সাথে সবসময়।

তৈরি করে ফেলুন একেবারেই নতুন এই ডিমের স্ন্যাক্স

ranna banna o beauty tips
ডিমের স্ন্যাক্স
ডিম এমন একটা খাবার যেটা বিভিন্ন রূপে, বিভিন্ন উপকরণের সাথে খাওয়া যায় এবং এতে স্বাদ আরও বাড়ে। ডিমের ডেভিল কখনো খেয়েছেন কী? না খেয়ে থাকলে দেরি না করে তৈরি করে ফেলুন মাছের কিমা দিয়ে তৈরি ডিমের ডেভিল। হ্যাঁ, মাছ এবং ডিম দিয়েই তৈরি হবে স্বাস্থ্যকর এই স্ন্যাক্স। দেখে নিন রেসিপি এবং ছবি।
উপকরণ

- ৪০০ গ্রাম ভেটকি অথবা অন্য কোন কাঁটাছাড়া মাছ
- ৩টা আলু সেদ্ধ করে ভর্তা করা
- ১ কাপ পিঁয়াজ কুচি
- ২ টেবিল চামচ আদা-রসুন বাটা
- আধা কাপ ধনেপাতা কুচি
- ৫টা হার্ড বয়েল করা ডিম
- আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- মরিচ গুঁড়ো স্বাদমতো
- ১ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
- ২ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
- ৩টা শুকনো মরিচ ভেঙ্গে নেওয়া
- ১ কাপ বেসন
- ২ কাপ ব্রেড ক্রাম্ব
- ১ টেবিল চামচ চিনি
- লবণ স্বাদমতো
- তেল ভাজার জন্য
এই রেসিপির জন্য আপনি ভেটকি মাছ ছাড়াও অন্য মাছ ব্যবহার করতে পারেন তবে তার জন্য মাছের কাঁটা ছাড়িয়ে নিতে হবে।
প্রণালী

১) নন-স্টিক প্যানে তেল গরম করে নিন। এপিঠ-ওপিঠ করে ভেজে নিন মাছের টুকরোগুলো। এরপর চামচ দিয়ে ভেঙ্গে নিন মাছ। এরপর ভাজা ভাজা হয়ে গেলে মাছটা নামিয়ে নিন। এখন লবণ দেবেন না।
২) ওই একই প্যানে কিছুটা তেল গরম করে নিন। এতে পিঁয়াজ কুচি, আদা-রসুন বাটা, শুকনো মরিচ, চিনি, লবণ, হলুদ, জিরা এবং মরিচ গুঁড়ো দিন। ভালো করে মিশিয়ে ভুনে নিন যতক্ষণ না পিঁয়াজ বাদামি হয়ে আসে। এর মাঝে ভাজা মাছটুকু দিয়ে মিশিয়ে নিন।

বুধবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৬

দিল্লীর জনপ্রিয় চিকেন ম্যাজেসটিক তৈরি করে ফেলুন ঘরেই

ranna banna o beauty tips
চিকেন ম্যাজেসটিক
দিল্লীর খুব বিখ্যাত একটি রান্না চিকেন ম্যাজেসটিক। এটি মূলত দিল্লীর হায়দ্রাবাদ এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে পাওয়া যায়। দিল্লীবাসীদের কাছে এটি বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। চিকেন ম্যাজেসটিক নামটা শুনে কঠিন মনে হলেও এটি তৈরি করা তেমন কঠিন নয়। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক দিল্লীর এই বিখ্যাত খাবার তৈরির রেসিপিটি।
উপকরণ:

৩ টেবিল চামচ টকদই
১ চা চামচ ধনিয়া গুঁড়ো
১/২ গুচ্ছ পুদিনা পাতা কুচি
২টি কারি পাতা
৪টি কাঁচা মরিচ
১ চা চামচ আদা রসুনের পেস্ট
১টি ডিম
লবণ স্বাদমত
২ টেবিল চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার
২৫০ গ্রাম মুরগির মাংস
১/২ চা চামচ সয়াসস
১ চিমটি টেস্টিং সল্ট
ম্যারিনেট করার জন্য বাটার মিল্ক
প্রণালী:

১। প্রথমে মুরগির মাংসগুলোকে বাটার মিল্ক এবং লবণ দিয়ে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা মেরিনেট করতে দিন।
২। এবার একটি পাত্রে মেরিনেট করা মাংসের সাথে কর্ণ ফ্লাওয়ার, লবণ, ডিম, আদা রসুনের পেস্ট, তেল ভাল করে মিশিয়ে ২ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
৩। তারপর তেল গরম করে মাংসগুলো ভেজে নিন।
৪। এখন একটি প্যানে রসুন কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, কারি পাতা, পুদিনা পাতা, হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, ধনিয়া গুঁড়ো, টক দই, সয়া সস এবং লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন।  
৫। এবার এতে টেস্টিং সল্ট এবং ভাজা মাংসগুলো দিয়ে দিন। ভাজা মাংস দিয়ে খুব বেশি রান্না করবেন না।
৬। মাংসগুলো কিছুক্ষণ নেড়ে লেবুর রস এবং ধনে পাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।
৭। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার চিকেন ম্যাজেসটিক।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.