বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৬

হেয়ারস্প্রে ভিন্ন ব্যবহার


ranna banna o beauty tips
হেয়ারস্প্রে ভিন্ন ব্যবহার
চুলের স্টাইল ধরে রাখার পাশাপাশি আরও কিছু কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে হেয়ারস্প্রে। শুনতে অদ্ভুত শোনালেও পন্থাগুলো বেশ কার্যকর।

রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে হেয়ারস্প্রের এমনই কিছু ভিন্নধর্মী ব্যবহার উল্লেখ করা হয়।

‘হেয়ার চক’য়ের রং দীর্ঘস্থায়ী করা: চুল রাঙাতে যে হেয়ার চক ব্যবহৃত হয়ে থাকে এগুলোর রং সাধারণত চুল ধোয়ার সঙ্গে পানিতে ধুয়ে যায়, এছাড়াও দীর্ঘ সময় চুল রাঙানো থাকলে হাতের ঘষায় এবং বাতাসে রং হালকা হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় রং ঝরে পড়তে পারে। এ সমস্যার চটজলদি সমাধান হতে পারে হেয়ারস্প্রে। চুলে হেয়ার চক লাগানোর পর স্প্রে করে নিলে রং ঝরে পড়ার এবং হালকা হয়ে যাওয়ার বিড়ম্বনা এড়ানো যাবে।

ববি পিন টেকসই করতে: চুল যেন খুলে না যায়, বেণি বা খোঁপা যে কোনো স্টাইল ধরে রাখতে ব্যবহৃত হয় ববি পিন। চিকন আর কালো এই ক্লিপগুলো অনেক সময় ঢিল হয়ে যায়। এ সমস্যা এড়াতে চুলে আটকানোর আগে পিনগুলোতে খানিকটা হেয়ারস্প্রে করে নিলে তা দীর্ঘসময় চুলে আটকে থাকবে।

নেইলপলিশ দীর্ঘস্থায়ী করতে: রং দীর্ঘস্থায়ী করতে উপরে একটি স্বচ্ছ নেইলপলিশ বা টপকোট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে টপকোট না থাকলেও অসুবিধা নাই। দ্রুত নেইলপলিশ শুকিয়ে তা থেবড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমাতে ব্যবহার করা যেতে পারে হেয়ারস্প্রে। নেইলপলিশ লাগানোর পর নখের উপরে কয়েক পাম্প হেয়ারস্প্রে নেইলপলিশের রং দীর্ঘস্থায়ী করবে।

পরিপাটি থাকতে: হেয়ারস্প্রে’র মূল কাজই চুল গোছানো রাখা। তবে এলোমেলো চুলকে গোছানো রাখতে প্রতিদিন তো আর হেয়ারস্প্রে লাগানো সম্ভব না, আবার উচিতও নয়। তবে ছোট চুলগুলো বাতাসে যেন অগোছালো না হয়ে যায় সেজন্য ব্রাশে স্প্রে করে নিলে চুল গোছানো থাকবে। কিছু জামার কাপড় স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশি বাতাসে উড়ে। এ ধরনের কাপড়গুলোর উল্টা পাশে হেয়ারস্প্রে ছড়িয়ে নিলে ওড়ার মাত্রাও কমে আসবে।

ডিওডরেন্টের বিকল্প: ডিওডরেন্ট শেষ। বাসায় বডি স্প্রে আছে! ওতেও হবে। বাহুমূল ঘেমে অস্বস্থিকর পরিস্থিতি এড়াতে বগলে খানিকটা হেয়ারস্প্রে ছড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে। হেয়ারস্প্রে’তে থাকা হালকা সুগন্ধ বেশ দীর্ঘ সময় সুরভিত রাখবে আপনাকে।

পোকামাকড় থেকে মুক্তি: একটি তেলাপোকা বা মাছি বেশ কিছুক্ষণ ধরে বিরক্ত করছে! হাতের কাছে মশা বা তেলাপোকা মাড়ার স্প্রেও পাচ্ছেন না! চটজলদি সমাধান হতে পারে হেয়ারস্প্রে। তেলাপোকার উপর সরাসরি স্প্রে করলে তা তাড়াতে বেশ কার্যকর হবে।

ফুল সংরক্ষণ করতে: তাজা ফুল সাজানোর পর দিনই নেতিয়ে যায়। তবে ফুল সাজানোর পর এর উপর খানিকটা হেয়ারস্প্রে ছড়িয়ে দিলে তা বেশ কিছুদিন তাজা থাকবে।

নিরামিষ ভোজীদের ৫ খাবার

ranna banna o beauty tips
নিরামিষ ভোজীদের ৫ খাবার
সুস্থ শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদান পর্যাপ্ত পরিমানে পাওয়া নিরামিষভোজীদের ক্ষেত্রে অনেক সময় কষ্টকর হয়ে পড়ে।

এই সমস্যা সমাধানে সহায়ক পাঁচটি খাবারের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট।

শুকনা ফল ও বাদাম: কাঠবাদাম, পেস্তা, কিশমিশ, ওয়ালনাট ইত্যাদি আমিষে ভরপুর। বীজজাতীয় খাবার যেমন তিসিও অনেক উপকারী কারণ এতে থাকে আনস্যাচুরেইটেড চর্বি।

প্রতিদিন একমুঠ বাদাম বা বীজ খেলে নিশ্চিত হবে শরীরের জন্য প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় আঁশ, ভিটামিন, আমিষ এবং আয়রন। 

ডিম ও দুগ্ধজাত খাবার: ডিম ও দুধ থেকে তৈরি খাবারে মিলবে আমিষ। যা মাংসবিহীন খাদ্যাভ্যাসে পাওয়া সম্ভব নয়। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে আরও থাকে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি।

ডাল: নিরামিষ খাদ্যাভ্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল মটরশুঁটি, শিমের দানা, ডাল ইত্যাদি। এগুলো আমিষের একটি ভালো উৎস। পাশাপাশি শরীরের প্রয়োজনীয় আঁশ, ভিটামিন ও খনিজও থাকে।

শস্যজাতীয় খাবার: কার্বোহাইড্রেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস শষ্যজাতীয় খাবার। দস্তা, কর্পূর, লৌহ ইত্যাদি প্রয়োজনীয় খনিজের অভাবও মেটায় এই খাবারগুলো। এজন্য যব, সম্পূর্ণ গমের তৈরি রুটি, পাস্তা, বাদামি চাল ইত্যাদি খেতে পারেন।

ফল ও সবজি: ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপূর থাকে ফল ও সবজি। নিরামিষভোজীদের জন্য এগুলো সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ।

ছোটমাছের চচ্চড়ি

ranna banna o beauty tips
ছোটমাছের চচ্চড়ি
উপকরণ: ছোটমাছ ১৫০গ্রাম। পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল-চামচ। পেঁয়াজকুচি আধা কাপ। আদাবাটা আধা চা-চামচ। রসুনবাটা ১ চা-চামচ। হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ। মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ। ধনেগুঁড়া ১/৪ চা-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। তেল ১/৪ কাপ। কাঁচামরিচ ৪টি। ধনেপাতা ইচ্ছামতো। 

পদ্ধতি: মাছগুলো পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন।

কড়াইতে তেল গরম করে, পেঁয়াজকুচি দিয়ে বাদামি রং করে ভাজুন। এখন এতে অল্প গরম পানি সঙ্গে হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া ও ধনেগুঁড়া দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে কষাতে হবে।

কষে আসলে, পেঁয়াজবাটা, রসুনবাটা ও লবণ দিয়ে আরেকটু কষিয়ে মাছগুলো দিয়ে, হালকা করে নেড়ে দিন। প্রয়োজন না হলে পানি দেবেন না।

রান্না হয়ে গেলে, নামিয়ে উপর দিয়ে কাঁচামরিচ আর ধনেপাতা ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।

চিংড়ি ভাজা


ranna banna o beauty tips
চিংড়ি ভাজা
উপকরণ: ১২টি বড় চিংড়িমাছ। ১টি ডিম। ১ টেবিল-চামচ রসুনবাটা। ১ চা-চামচ গোলমরিচ-গুঁড়া। স্বাদ মতো লবণ। আধা চা-চামচ লেবুর রস। ১ কাপ ময়দা। ১ কাপ পাউরুটির গুঁড়া (পাউরুটি একদম গুঁড়া করা যাবে না। একটু গোটা গোটা থাকবে। তেল পরিমাণ মতো।

পদ্ধতি: চিংড়ির খোসা ছাড়িয়ে পরিষ্কার করে নিন। তবে লেজটা রাখতে হবে। কিচেন টিস্যু দিয়ে চেপে চেপে চিংড়িগুলো একদম শুকনা করে নিন।

লবণ, গোলমরিচ, রসুনবাটা, লেবুর রস দিয়ে চিংড়িগুলো মাখিয়ে নিন।

ডুবো তেলে ভাজতে হবে। তাই সেই পরিমাণ তেল কড়াইতে নিয়ে গরম করুন

একটা একটা করে চিংড়ি শুকনা ময়দায় ভালো মতো গড়িয়ে আগেই ফেটিয়ে নেওয়া ডিমে চুবিয়ে নিন। এবার পাউরুটির গুঁড়ায় গড়িয়ে, গরম ডুবো তেলে ভাজুন।
সোনালি রং হলে তুলে পরিবেশন করুন।

নোট: লবণ সামান্য দিতে হবে। তেল ভালো মতো গরম করে নিয়ে তারপর ভাজতে হবে। তেলের পরিমাণ বেশি দিতে হবে, নইলে আকারটা নষ্ট হয়ে যাবে।

তেলাপোকা তাড়ানোর যাদু

ranna banna o beauty tips
তেলাপোকা তাড়ানোর যাদু
কিচেন কেবিনেট থেকে শুরু করে খাটের নিচ, কাপড়ের আলমারি সবখানে তেলাপোকার উপদ্রব। অন্ধকার আর খাবার যেখানে মিলবে, সেখানেই থাকে এই তেলাপোকা। তাই আজ শিখে নিন তেলাপোকা তাড়ানোর দারুণ যাদু। আর এই কাজে আপনার সঙ্গী হবে বেকিং সোডা!

ছোট বাটিতে বেকিং সোডা নিন, তারপর তেলাপোকার আক্রমণ সবচাইতে বেশি হয় যে স্থান গুলোয়, সেখানে দিয়ে রাখুন। বেকিং সোডা তেলাপোকার ভীষণ অপছন্দের বস্তু। ১০ থেকে ১২ দিন পর পর বেকিং সোডা বদলে নতুন করে দিন। কেননা বাতাসের আদ্রর্তার কারণে সোডার কার্যকারিতা কমে যায়। যে কোন সাধারণ মুদীর দোকানেই কিনতে পারবেন বেকিং সোডা। এখন অনেক কোম্পানির বেকিং সোডাও কিনতে পাওয়া যায়। এছাড়াও ঘরের মেঝে পরিস্কার করার সময় পানিতে দুই টেবিল চামচ ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এতে তেলাপোকা এবং পিঁপড়া থেকে রেহাই পাবেন।

বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৬

রূপার গয়নায় নারীর সাজ

ranna banna o beauty tips
রূপার গয়নায় নারীর সাজ
বেশ কিছু বছর আগে গ্রামবাংলার নারীর সাজে শোভা পেত রূপার বাহারি মল, হাতে বাজু আর কোমরে বিছা। স্টাইলিশ নারীদের কাছে স্বর্ণের বিপরীতে এর গুরুত্ব ছিলো কম। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে রূপার গয়নার ডিজাইনে এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। ঐতিহ্যবাহী রূপার গয়না গ্রামবাংলার গণ্ডি পেরিয়ে প্রভাব বিস্তার করেছে হাল ফ্যাশনের জগতে।

রূপার গোল্ডপ্লেটেড পাথর বসানো আংটি, চুড়ি, ব্রেসলেট, রূপার মল, গলার হার ইত্যাদির ব্যবহার বেড়ে চলেছে। বাজারে অক্সিডাইজ রঙের রূপার মলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ফ্যাশন-সচেতন নারীদের কাছে রূপার গয়না এখন পছন্দের তালিকায় প্রথম সারিতে। নারী ক্রেতাদের পাশাপাশি পুরুষের কাছেও রূপার ব্রেসলেট ও কানের রিং পাচ্ছে সমান জনপ্রিয়তা।

এ গয়নার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে হালকা-গাঢ় সব রঙের পোশাকের সঙ্গেই রুপার গয়না মানিয়ে যায়। জমকালো সালোয়ার কামিজ এবং ফতুয়ার সঙ্গেও রুপার বড় দুল বেশ চলছে। শাড়ির সঙ্গে পরার জন্য মেয়েরা রুপার ভারী গয়না বেশি পছন্দ করে।

ব্যবহারের পর গয়না ভালো করে নরম কাপড় বা টিস্যু দিয়ে মুছে নিতে হবে। তারপর ভালো করে টিস্যুতে মুড়িয়ে গয়নার বাক্সে রেখে দিন।  গয়না কালো হয়ে গেলে টুথপেস্ট অথবা তেতুল গোলা দিয়ে হালকা করে ঘষে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন।

ডিজাইন ও আকার ভেদে প্রতিটি রেূপার নাকফুলের দাম পড়বে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। কানের দুল ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা। বালা ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। টিকলি দেড় হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা। ব্রেসলেট ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা, খাড়ু ও বাজু ২ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা, মাদুলি সেট আড়াই হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা। গয়নার সেট কিনতে খরচ হবে দশ হাজার থেকে পনের হাজার টাকার মধ্যে । তবে জাঁকজমকপূর্ণ গয়নার সেট কিনতে হলে খরচ করতে হবে ৫০ হাজার টাকার বেশি।

আধুনিক ডিজাইনের রূপার গয়নার বিশাল সংগ্রহ রয়েছে ফ্যাশন হাউস আড়ং-এ। এখানে রুপার মল, নাকফুল, আংটি, চুড়ি, ব্রেসলেট থেকে শুরু করে গলার হার পর্যন্ত নানা নকশার গয়না পাওয়া যাবে। দাম নির্ভর করবে কী কিনছেন, তার ওপর। ফ্যাশন হাউস অঞ্জন’স- এ পাবেন  আধুনিক ডিজাইনের রূপার গয়না। এই ফ্যাশন হাউসের গয়নার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা মোটিফ ডিজাইনে ব্যবহার করা হয়েছে। বসুন্ধরা শপিং মল-এ পাবেন রূপার গয়না। এছাড়া ঢাকার গাউছিয়া, মেট্রো শপিং মল, ইস্টার্ন মল্লিকাসহ বেশির ভাগ শপিং মলেই রূপার গয়না পাবেন। অনেক গয়নার দোকান থেকেই আপনি নিজের পছন্দমতো নকশায় অর্ডার দিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন রূপার গয়না।

শীতে ঘর গরম রাখার উপায়

ranna banna o beauty tips
শীতে ঘর গরম রাখার উপায়
শীত বইছে পুরোদমে। শহরে শীতের আধিপত্য কম হলেও গ্রাম মুড়ে আছে শীতের চাদরে। কনকনে ঠাণ্ডার ফাঁকে রোদের উঁকি থাকে কখনো, কখনো আবার একেবারেই থাকে না। তাইতো গরম কাপড়ে নিজেকে উষ্ণ রাখার দারুণ প্রচেষ্টা। শীতের দাপুটে হাওয়ায় সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায় অনেক সময়। কোনো মতে বাইরের কাজ শেষ করে নিজের ঘরে আশ্রয় নেয়া। অথচ বাইরের বাতাস ঠেকালেও তীব্র শীতে ঘরের ভেতরে থাকে কনকনে শীত। তাই দরকার ঘরকে উষ্ণ রাখা। কিন্তু কীভাবে-

- এই শীতে ঘর গরম করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন ভারী বা কয়েক পরতের উজ্জ্বল রঙের পর্দা। উজ্জ্বল রঙের পর্দাগুলো যেমন ঘর গরম রাখবে, তেমনি ঘরের সৌন্দর্যে আনবে ভিন্নতা।

- বাইরের বাতাস ঢুঁকে ঘরকে ঠাণ্ডা করে ফেলে। তাই দরজা-জানালার ফাঁকা স্থানগুলো বন্ধ করে দিতে হবে যত দ্রুত সম্ভব। এসব জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন রাবারের বেল্ট, মোটা কাগজ বা কাপড়।

- ঘরে রোদ পড়ার ব্যবস্থা থাকলে আলো ঢোকার সুযোগ রাখতে হবে। দুপুরের দিকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও সূর্যের আলো ঢুঁকতে দরজা-জানালার পর্দা সরিয়ে দিতে পারেন। এতে ঘর কিছুটা হলেও গরম হবে।

- ঘরের দেয়ালে লাগিয়ে নিতে পারেন পাতলা ফয়েল কাগজ। ফয়েল কাগজে মুড়ে রাখলে দেয়াল থেকে ঠাণ্ডা বের হতে বাধা দেয়। গিফট শপে এসব কাগজ কিনতে পাওয়া যায়। পছন্দের রঙ ও ডিজাইনের কাগজ লাগিয়ে নিলেই হল।

- জানালা যদি ঘরে রোদ ঢোকার উৎস হয় তাহলে জানালার কাছেই বসিয়ে দিন বড় একটি আয়না। আয়নায় প্রতিফলিত তাপে আরও উষ্ণ হবে আপনার ঘর।

- প্রয়োজনে রুম হিটারও ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ঘরের তাপমাত্রার সঙ্গে মিলিয়ে হিটারের তাপমাত্রা ঠিক করতে ভুলবেন না।

- শীতের সকালে এবং সন্ধ্যায় বা রাতে রান্নাবান্নার কাজ চালাতে পারেন। এতে ঘর গরম হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। জানালা দরজা ফাঁকা না থাকলে উষ্ণতা বজায় থাকবে।

- শীতের এই সময়ে মেঝেতে কার্পেট বা মাদুর বিছিয়ে নিন। বাজারে নানা ধরণের কার্পেটের পাশাপাশি বেত ও পাটের তৈরি আধুনিক ডিজাইনের চাটাইও পাওয়া যায়। এগুলো মেঝে থেকে ঠাণ্ডা উঠতে বাধা দেয়।

দ্রুত পালাবে রান্নাঘরের কটু গন্ধ

ranna banna o beauty tips
দ্রুত পালাবে রান্নাঘরের কটু গন্ধ
রান্নাঘরের কোথাও কোনো ময়লা রাখেন না, ময়লার ঝুড়ি রাখেন বাইরে, থালা বাসনও পরিষ্কার থাকে। সবকিছু পরিষ্কার থাকার পরেও রান্নাঘরে ঢুঁকলেই একটা কটু গন্ধ নাকে বাধে। একটা বাজে গন্ধে ভারি হয়ে থাকে আপনার রান্নাঘর। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় রহস্যময় এই দুর্গন্ধ আসে সিঙ্কের পাইপ থেকে। পাইপ দিয়ে ময়লাযুক্ত পানি বের হওয়ার সময় কিছু খাবারের উচ্ছিষ্ট সেখানে আটকে থাকে। এতে জন্মানো ব্যাকটেরিয়া দুর্গন্ধ তৈরি করে। রান্নাঘরের দুর্গন্ধ দূর করতে সিঙ্কের পাইপ নিয়মিত পরিষ্কার করা জরুরি। সরু এই পাইপ পরিষ্কার রাখতে-

- বেকিং সোডা গোলানো এক কাপ গরম পানি অথবা এক কাপ সাদা ভিনেগার পাইপের মুখে ঢেলে দিন। ব্যাকটেরিয়া মরে দূর হবে কটু গন্ধ।

- এক কেতলি পানি গরম করে নিন। এবার এই পানি ঢেলে দিন পাইপের মুখে। পাইপ প্লাস্টিকের হলে হালকা গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।

- লেবুর খোসা কুচি করে পাইপের ভেতরে ছেড়ে দিলে দুর্গন্ধের বদলে সুগন্ধ পাবেন।

খুশকি তাড়ানোর স্থায়ী সমাধান

ranna banna o beauty tips
খুশকি তাড়ানোর স্থায়ী সমাধান
শীতের সময়ে ত্বকের পাশাপাশি চুলও রুক্ষ্ম-শুষ্ক হয়ে যায়। মাথার ত্বক এতোটায় রুক্ষ্ম হয় যে ছোট খুশকির আকারে গুড়া হয়ে ঝরতে থাকে। এমনকি আপনার সমস্ত চুলে খুশকি ছড়িয়ে যাচ্ছেতাই অবস্থা হয়। চুল হয়ে যায় নিষ্প্রাণ। কাঁধের ওপর খুশকি জমা হয়ে সবার সামনে স্মার্ট আপনার ইমেজ নষ্ট করে সহজেই। অ্যান্টি ড্যানড্রফ শ্যাম্পুতে সাময়িক মুক্তি দিলেও পরোক্ষণে খুশকি আবার ফিরে আসে। খুশকি তাড়ানোর স্থায়ী সমাধান হিসেবে জেনে নিতে পারেন সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়। এর মধ্যে যেকোনো উপায় অবলম্বন আপনাকে মুক্তি দিতে পারে সহজে।

- রাতে শোবার আগে অলিভ ওয়েল বা তিলের তেল মেখে ঘুমান। সকালে গোসল করার ১ ঘণ্টা আগে চুলের গোড়ায় লেবুর রস লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুশকির উপদ্রব কমে গেছে।

- চুলের খুশকি তাড়াতে ভিনেগার আর পানি সমপরিমাণে মিশিয়ে সারারাত চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রেখে দিন। সকালে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

 - আপেলের রস দিয়ে ভালো করে চুল ম্যাসেজ করুন, খুশকির হাত থেকে মুক্তি পাবেন সহজে।

- খুশকি তাড়াতে বিট মূলের রস, ভিনেগার আর আদার রস একসঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে চুলের স্কাল্পে ম্যাসেজ করুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। দ্রুত খুশকি দূর হবে।

 - ঘৃতকুমারীর রস চুলে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ভালো কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

- চুলে শ্যাম্পু করার সময় এক চা চামচ বেকিং সোডা ভালো করে শ্যাম্পুর সঙ্গে মিশিয়ে তা দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুশকি পালিয়েছে স্বমূলে।

- নিম পাতা বেটে ২০ মিনিট মাথায় লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করলেই, খুশকি দূর হবে।

 - খুশকির উপদ্রব কমাতে রসুন বেশ কার্যকরী। রসুনের পেস্ট বানিয়ে চুলে ৩০ মিনিট রাখার পর কোনো মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুশকি দূর হয়ে গেছে।

মেহেদি প্যাকে রেশম কোমল মজবুত চুল

ranna banna o beauty tips
মেহেদি প্যাকে রেশম কোমল মজবুত চুল
শীত এলেই চুলে দেখা দেয় নানা সমস্যা। খুশকি, চুলের আগা ফাটা সর্বোপরি প্রচুর পরিমাণে চুল উঠে যাওয়া এখন যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। চুল পড়া রোধ করে চুলের গোড়া মজবুত করার কাজে মেহেদি ব্যবহার হয়ে আসছে আদিযুগ থেকে। চুলে মেহেদি অনেকভাবে লাগানো যায়। মেহেদির কিছু প্যাক আছে যা খুশকি দূর করে, গোড়া মজবুত করে এবং রেশম কোমল চুল উপহার দেয়। তাই আসুন জেনে নেয়া যাক এমন কিছু উপকারী মেহেদির প্যাক সম্পর্কে।

- ডিমের সাদা অংশ, অলিভ অয়েল এবং মেহেদি গুঁড়ো মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলের গোড়ায় খুব ভালো করে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ভালো করে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

- একটি লেবুর রস, চার টেবিল চামচ মেহেদির গুঁড়ো এবং পরিমাণমত টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলের গোঁড়া থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ চুলে লাগিয়ে নিন। চুল শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে চুল খুশকিমুক্ত এবং ঝরঝরে হবে।

- মেহেদি গুঁড়ো, লেবুর রস, এক টেবিলচামচ অলিভ অয়েল, সাদা ভিনেগার, মেথি গুঁড়ো এবং দুই টেবিল চামচ টকদই ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার প্যাকটি ১২ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। পরেরদিন সকালে এই প্যাকটি মাথায় ভালো করে লাগিয়ে নিন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই প্যাকটি খুশকি দূর করবে, চুলের গোড়া মজবুত করে চুলকে স্বাস্থ্যোজ্বল করে তুলবে।

- রাতে একটি পাত্রে সরিষা তেল গরম করে নিন। তারপর এতে কিছু তাজা মেহেদি পাতা এবং দুই চা চামচ মেথি দিয়ে রেখে দিন। পরেরদিন এটি ছেঁকে পাতা এবং তেল আলাদা করে নিন। এই তেলটি নিয়মিত চুলে ম্যাসাজ করে লাগান। এক ঘণ্টা এই তেল মাথায় রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এভাবে মেহেদির তেল ব্যবহারে চুল পড়া রোধ করবে এবং খুশকি দূর হবে।

চিতই মজাতে দারুণ ভর্তা

ranna banna o beauty tips
ভর্তা
শীত এলেই নানা রকম পিঠা পুলির ধুম পড়ে যায়। কিন্তু ব্যস্ত নগরিক জীবনে এতো আয়োজন করে খাওয়ার সময় কোথায়। ভরসা রাস্তার ধারে কিনতে পাওয়া পিঠা। তাছাড়া মজার সব ভর্তার সঙ্গে চিতই পিঠার ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের উপস্থিতি মাতিয়ে তোলে যে কাউকে। এভাবে নিজের খাওয়া হলেও পরিবারের সবাইকে নিয়ে খেতে পিঠা তৈরি করতেই হয়। তাছাড়া সবার সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে পরিচ্ছন্ন পরিবেষে নিজ হাতে পিঠা বানানোয় বেশি ভালো। কিন্তু পিঠার আকর্ষণীয় উপকরণ ভর্তা? এটাও হবে আপনারই হাতে। তাই শিখে নিতে পারেন চিতই পিঠাকে আরও বেশি মজাদার করতে কয়েকটি ভর্তা বানানোর পদ্ধতি।

ধনে পাতার চাটনি

যা যা লাগবে

ধনে পাতা ১ কাপ, তেঁতুল ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ২টা, রসুন ৪ থেকে ৫ কোয়া, লবণ স্বাদমতো, সরিষা তেল প্রয়োজনমতো।

যেভাবে করবেন

ধনে পাতা ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার ধনে পাতা, তেঁতুল, কাঁচা মরিচ, রসুন পাটায় বেটে নিতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় লবণ আর সামান্য সরিষা তেল মিশিয়ে নিন।

সরিষা ভর্তা

যা যা লাগবে

সরিষা আধা কাপ, রসুন ২ কোয়া, শুকনো মরিচ ২টি, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতা ১ টেবিল চামচ।

যেভাবে করবেন

নতুন সরিষা ধুয়ে বেটে নিতে হবে। রসুন শুকনো মরিচ তাওয়ায় টেলে নিতে হবে। এবার সরিষার সঙ্গে ধনেপাতা, রসুন, শুকনো মরিচ, লবণ দিয়ে আরও একবার বেটে নিতে হবে। ঠাণ্ডা-সর্দিতেও এই ভর্তা ওষুধের মতো কাজ করে।

লইট্টা ভর্তা
যা যা লাগবে

লইট্টা শুটকি, শুকনা মরিচ , পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, সরিষার তেল, লবণ।

যেভাবে করবেন

প্রথমে শুটকি মাছ গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর পানি ঝরিয়ে তাওয়াতে তেল ছাড়া ভালো করে ভাজতে হবে। শুটকিগুলো ভাজা ভাজা হলে পাটায় বেটে নিতে হবে। এরপর ভাজা শুকনা মরিচ, ভাজা পেঁয়াজ কুচি, ভাজা রসুন কুচি সরিষার তেল, লবণ এবং ধনে পাতা দিয়ে মাখিয়ে লেবু দিয়ে পরিবেশন করুন মজার স্বাদের লইট্টা শুটকি ভর্তা।

সহজেই মজাদার চিকেন পাস্তা

ranna banna o beauty tips
সহজেই মজাদার চিকেন পাস্তা
সচারচার সৌখিন নাস্তায় নুডুলসের চল বেশি। তবে ইদানিং ইটালিয়ান খাবার পাস্তারও কদর বেড়েছে বেশ। কিছুটা নুডুলসের স্বাদের এই খাবারে রান্নার কৌশলে আছে সামান্য ভিন্নতা। তাই অনেকে রেস্টুরেন্ট থেকে মজা করে খেলেও বাড়িতে আর রান্নার ঝামেলায় যান না। অথচ খুব সহজে এর আসল স্বাদে পাস্তা রান্না হতে পারে আপনারই হাতে। পাস্তার আসল সসও তৈরি হবে আপনারই হাতে। এক নজরে দেখে নিন সহজেই মজাদার চিকেন পাস্তা রান্নার পদ্ধতি।

যা যা লাগবে

পাস্তা ৫০০ গ্রাম, চীজ আধা কাপ, চিকেন ছোট টুকরা ২ কাপ, অলিভ অয়েল ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ ১ টি (মিহি কুচি), রসুন কোয়া কুচি ১ টেবিল চামচ, টমেটো কুচি ৫০০ গ্রাম, পার্সলে গুড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, গোলমরিচ পরিমাণ মতো।

যেভাবে করবেন

প্যানে অলিভ অয়েল দিয়ে এতে রসুন কুচি হালকা বাদামী করে ভেজে আলাদা করে তুলে রাখুন। এবার পেঁয়াজ ভেজে তারপর টমেটো দিয়ে ১০ মিনিট রান্না করুন। টমেটো গলে গেলে লবণ, গোলমরিচের গুড়া আর পার্সলে গুড়া দিয়ে আরও কয়েক মিনিট রান্না করতে হবে। হয়ে গেল পাস্তায় ব্যবহৃত আসল টমেটো সস।

আলাদা প্যানে অল্প তেলে সামান্য লবণ আর গোল মরিচের গুড়া দিয়ে চিকেন টুকরোগুলো ভেজে নিন। আলাদা পাত্রে পাস্তা সেদ্ধ করে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে আধা চা চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে ভালো করে মাখুন। এতে পাস্তা আঠার মত লেগে থাকবে না। টমেটো সসের মধ্যে পাস্তা আর চিকেন দিয়ে ২ মিনিট বেশি আঁচে ভাজুন। উপরে চীজ, মাংস, মরিচ, রসুন  ছড়িয়ে গরম তাপে রাখুণ কিছুক্ষণ। এবার পরিবেশন করুন মজাদার চিকেন পাস্তা।

সহজেই বানিয়ে নিন টকদই

ranna banna o beauty tips
সহজেই বানিয়ে নিন টকদই
ওজন কমানো, হজমশক্তি বাড়ানো এবং দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে টকদইয়ের কদর সব সময়। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেও টকদইয়ের তুলনা হয় না। অপরদিকে দাঁতের গঠনে সাহায্য করা, রক্ত বিশুদ্ধ করা এবং রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপকারী। তাইতো অনেকেরই নিয়মিত খাদ্য তালিকায় টকদইয়ের উপস্থিতি থাকে। এতো গুণে ভরা টকদই খেতে সব সময়ই দোকানের ওপর নির্ভর করতে হবে ।না। খুব সহজেই নিজ হাতে বানিয়ে নিতে পারবেন।

যা যা লাগবে

দুধ ১ লিটার, পানি ১ কাপ, পুরানো দই ১ টেবিল চামচ, মাটির হাঁড়ি ১টি।

যেভাবে করবেন

দুধে ১ কাপ পানি মিশিয়ে মাঝারি আঁচে পাঁচ মিনিট জ্বাল দিন। দুধ ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে অল্প আঁচে আরও ১৫ মিনিট জ্বাল দিন। দুধ ঘন হলে চুলা থেকে নামিয়ে কিছুটা ঠাণ্ডা করতে হবে। এবার মাটির হাঁড়িতে ঢেলে কুসুম গরম থাকা অবস্থায় পুরোনো দইটা দিয়ে নেড়ে দিন। তারপর ভালো করে ঢেকে রাখুন চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা। এবার দেখুন দই জমে গেছে। ব্যাস খুব সহজেই হয়ে গেল ভেজাল মুক্ত টকদই। তাই দেরি না করে আজই বানিয়ে নিতে পারে উপকারী টকদই।

চিকেন টুইস্টারের রেসিপি

ranna banna o beauty tips
 চিকেন টুইস্টারের রেসিপি
কই সাথে মজাদার ও পেট ভরানোর মত স্ন্যাক্স তৈরি করে চান? দেখে নিন ইসরাত জাহান বিথীর একটি দারুণ রেসিপি।
চিকেন স্ট্রিপ এর জন্য যা লাগবে -
মুরগির হাড়ছাড়া বুকের মাংস - ২ টি (ফার্ম এর মুরগির )
রসুন বাটা - ১ চা চামচ
মরিচ গুঁড়ো  - ১ চা চামচ
গোলমরিচ গুঁড়ো - আধা চা চামচ
লবণ -  ১ চা চামচ থেকে একটু কম
মাস্টার্ড পেস্ট /মাস্টার্ড পাউডার - ১ চা চামচ (মাস্টার্ড পেস্ট বা পাউডার না থাকলে সরিষা বাটা দেয়া যাবে )
ভিনেগার - ২ টেবিল চামচ
সয়াসস- ১ চা চামচ
টমেটো সস - ১ টেবিল চামচ
-মুরগির বুকের মাংসকে ফিঙ্গার কাট করে কেটে নিতে হবে (যে ভাবে ফিস ফিঙ্গার এর জন্য মাছ কে লম্বা করে পিস করে সেইভাবে ).৮-১০ পিস হবে।
-তারপর উপরের সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে ৩-৪ ঘন্টা অথবা সারারাত  মেরিনেট করে রাখতে হবে।

এই মাংসের পিস গুলো ভাজার আগে দুইটা মিশ্রনে  কোট করে ভাজতে হবে।
মিশ্রণ (১)-
ডিম - ১ টি
কর্ণ ফ্লাওয়ার -৩ টেবিল চামচ
ঠান্ডা তরল দুধ - ৩-৪ টেবিল চামচ
লবণ - সামান্য
-সব মিশিয়ে একদম মসৃণ গোলা বানিয়ে নিতে হবে। একটু পাতলা হবে।
মিশ্রণ (২)-
ময়দা -  আধা কাপ
কর্ণ ফ্লাওয়ার - ৪ টেবিল চামচ
বেকিং পাউডার - ১ চা চামচ
লবণ - ১ চিমটি
পাপরিকা পাউডার /মরিচ গুঁড়ো - ১ চা চামচ
গোল মরিচ গুঁড়ো -আধা চা চামচ
-সব একসাথে চেলে নিয়ে ,একটা ছড়ানো প্লেট এ রাখতে হবে।

প্রণালী - 
-কড়াইতে বেশি করে তেল দিয়ে মাঝারি আঁচে গরম করতে হবে।
-এখন মেরিনেট করা মাংসের পিস গুলো একটা একটা করে প্রথমে ডিমের গয়লায় চুবিয়ে নিয়ে ,এরপর শুকনা ময়দার মিশ্রনে রেখে হাত দিয়ে চেপে চেপে ভালো করে মাংসের পিস এর গায়ে শুকনা  ময়দার মিশ্রন লাগাতে হবে।
-তারপর ময়দা থেকে তুলে আলতো করে ঝাকিয়ে বাড়তি ময়দা ফেলে সরাসরি গরম তেল এ ছাড়তে হবে। এইভাবে সব গুলো মাংসের পিস প্রথমে ডিম এর মিশ্রন এ,পরে শুকনা ময়দার মিশ্রন লাগিয়ে ডুবো তেল এ মাঝারি আঁচে সোনালী করে ভেজে কিচেন টিসু তে রাখতে হবে।

রুটির জন্য যা লাগবে -
ময়দা - দেড় কাপ
লবণ - আধা চা চামচ
বেকিং পাউডার -আধা চা চামচ
তেল - ২ টেবিল চামচ
পানি - পরিমান মত
-ময়দা,লবন,বেকিং পাউডার ও তেল একসাথে মিশিয়ে ,পরিমান মত পানি দিয়ে রুটির ডো/খামির বানিয়ে ,ঢেকে ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে।
-৩০ মিনিট পর এই ডো দিয়ে একটু মোটা করে মাঝারি সাইজের রুটি বানিয়ে তাওয়া তে সেঁকে নিতে হবে। (রুটি গুলো ,  চিকেন স্ট্রিপ গুলো ভাজার আগেই বানিয়ে ঢেকে রাখবেন)

টুইস্টার  সস -
মেয়নিজ - আধা কাপ
লেবুর রস/ভিনেগার  - ১ টেবিল চামচ
গোল মরিচ গুঁড়ো - আধা চা চামচ
টমেটো সস - ২ টেবিল চামচ
লবণ - ১ চিমটি
-একটা  বাটিতে সব একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে।

আরও লাগবে
শসা চিকন লম্বা করে কুচি করা ,টমেটো বিচি ফেলে লম্বা করে কুচি করা ও লেটুস পাতা কুচি করা।শসা, টমেটো না দিলেও চলবে। লেটুস লাগবে।

যেভাবে করবেন
-এখন একটা করে রুটি নিয়ে ,রুটির একপাশে কিছু লেটুস কুচি রেখে তারউপর দুই পিস চিকেন স্ট্রিপ রাখতে হবে।
-এখন স্ট্রিপ গুলোর উপরে কিছু শসা ও টমেটো কুচি দিয়ে ,এর উপরে ১ টেবিল চামচ টুইস্টার সস ছড়িয়ে দিয়ে রুটিটা রোল করে নিয়ে, স্যান্ডউইচ রেপার দিয়ে মুড়িয়ে নিতে  হবে। আর  নয়তো  একটা টুথপিক দিয়ে আটকে দিতে হবে।
-চাইলে  গ্রিল প্যান গরম করে টুইস্টার গুলো সেঁকে নিতে পারেন।

মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৬

ফেসপ্যাক লাগানোর আগে করুন এই ৪টি কাজ

ranna banna o beauty tips
ফেসপ্যাক
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, ব্রণ দূর করতে, ত্বকের কালো দাগ দূর করতে নানা কারণে আমরা ফেসপ্যাক ব্যবহার করে থাকি। আপনি জানেন কি ফেসপ্যাক ব্যবহারে আগে আপনাকে কিছু কাজ করার প্রয়োজন? এই কাজগুলো করে ফেসপ্যাক লাগালে ভাল ফল পাওয়া সম্ভব। অনেক সময় আমরা ফেসপ্যাক ময়লা ত্বকের উপর ব্যবহার করে থাকি, এতে করে ভাল ফল পাওয়া সম্ভব হয় না। বরং দেখা যায় ত্বকে ব্রণ বা কালো কালো ভাব চলে এসেছে। তাই ফেসপ্যাক ব্যবহারের আগে কিছু কাজ করে নিন। এতে ফেসপ্যাক অনেক কার্যকরী হবে।
১। গোসলের আগে ফেসপ্যাক ব্যবহার
বেশিরভাগ সময় আমরা ফেসপ্যাক গোসলের আগে ব্যবহার করে থাকি। এতে ফেসপ্যাকের কার্যকারিতা কিছুটা কমে যায়। ফেসপ্যাক গোসলের পর লাগালে ভাল ফল পাওয়া সম্ভব। প্রথমে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখটি ধুয়ে ফেলুন। এতে করে ত্বকের ছিদ্রগুলো খুলে যাবে আর ফেসপ্যাকটি ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে। এছাড়া একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে মুখের উপর দিয়ে দিন। এভাবে কয়েক বার করে ৫ মিনিট করুন। এটিও আপনার ত্বকের ছিদ্রগুলো খুলে ফেলে। লক্ষ্য রাখবেন তোয়ালে যেন বেশি গরম না হয়ে যায়।
২। ম্যাসাজ করে ফেসপ্যাক লাগান
ত্বকেও ফেসপ্যাক ম্যাসাজ করে লাগান। আঙুল দিয়ে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করে ফেসপ্যাক লাগান। এতে করে ফেসপ্যাকটি ত্বকের ভিতরে ভালভাবে প্রবেশ করবে। ১০ মিনিট ম্যাসাজ করে তারপর শুকানোর জন্য অপেক্ষা করুন।
৩। ফেসপ্যাক মুখে খুব বেশি শুকাতে দিবেন না
এই কাজটি কম বেশি সবাই করে থাকেন। ফেসপ্যাক খুব শুকানোর না পর্যন্ত পরিষ্কার করেন না। কিন্তু এই কাজটি করা যাবে না। খুব বেশি শুকিয়ে গেলে ফেসপ্যাক আপনার ত্বককে রুক্ষ করে তুলবে। আর এর জন্য ত্বকে বলিরেখাও দেখা দিতে পারে। ফেসপ্যাক খুব বেশি শুকানোর আগে ধুয়ে ফেলুন।
৪। টোনার ব্যবহার করুন
ফেসপ্যাক ধুয়ে ফেলার পর টোনার ব্যবহার করুন। টোনার হিসেবে গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বক উজ্জ্বল করার পাশাপাশি ত্বক ময়েশ্চারাইজ করবে। এছাড়া গ্রিণ টি, মধু, গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন।
টিপস:
১। চেষ্টা করবেন সাথে সাথে ফেসপ্যাক তৈরি করে নিতে। বাসি ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২। তরল ফেসপ্যাক ব্রাশ দিয়ে লাগান।
৩। হাত দিয়ে ফেসপ্যাক লাগানোর ক্ষেত্রে হাত ভালো করে পরিস্কার করে নিবেন। অনেক সময় হাতের ময়লা ত্বকে প্রবেশ করে ফেসপ্যাকের মাধ্যমে।
৪। সরাসরি পানি দিয়ে মুখ না ধুয়ে একটি তুলা বা তোয়েলা পানিতে ভিজিয়ে ত্বক থেকে ফেসপ্যাক তুলুন। এতে সময় কিছুটা বেশি লাগলেও ত্বকের জন্য অনেক উপকারী হবে।
৫। ফেসপ্যাক ভাল হয় রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্যবহার করলে। এতে ত্বক সারারাত বিশ্রামে থাকে এবং ফেসপ্যাক বেশি কার্যকর হয়।

দাঁতকে চমকানো সাদা করে তুলুন এই ছোট্ট কৌশলে

ranna banna o beauty tips
দাঁতকে চমকানো সাদা করে তুলুন এই ছোট্ট কৌশলে
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই দাঁত ব্রাশ করা, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করা- এইতো শুনেছেন এতদিন দাঁতের যত্ন-আত্নি করার উপায় হিসেবে? বিশেষ করে যাদের দাঁত খানিকটা হলদেটে তারা তো নিয়মটাকে আরো বেশি করে মেনে চলে। সত্যি বলতে কি, সবাই চাই নিজের দাঁতগুলোকে আরো সুন্দর আর চকচকে সাদা রঙের করে তুলে সবাইকে একটা সুন্দর হাসি উপহার দিতে। কিন্তু এক্ষেত্রে সাধারণ এসব নিয়মের পাশাপাশি আপনি ব্যবহার করতে পারেন অন্য একটি উপায়ও। আর খুব সহজেই সাদা করে তুলতে পারেন নিজের দাঁতকে। কীভাবে? না, কোন ওষুধের মাধ্যমে নয়। লিপস্টিকের ছোট্ট একটু ব্যবহারই আপনার দাঁতকে করে তুলতে পারে আরো উজ্জ্বল।

ভাবছেন কীভাবে? না, অন্য কোনভাবে নয়, বরং লিপস্টিক নিজেই নিজের রঙের মাধ্যমে আপনার দাঁতকে অন্যদের কাছে আরো একটু সাদা করে তুলবে। লিপস্টিকের নানারকম রঙ রয়েছে। বাজারো নানা রঙের লিপস্টিক কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু তাদের ভেতরেও কিছু রঙ আছে যেগুলোর ব্যবহার আপনার ঠোঁটকে বিশেষভাবে রাঙিয়ে আপনার দাঁতগুলোকে অন্যদের কাছে করে তুলতে পারে একটু বেশি সাদা। আর সেই রঙগুলো হচ্ছে-
১. উষ্ণ রঙ

রঙ নানারকমের হয়। কোনটা একটু বেশি শীতল ও ঠান্ডা প্রকৃতির। আর কোনটা উষ্ণ। আপনার দাঁত যদি খানিকটা হলদেটে হয় এবং আপনি চান সেটাকে একটু সাদা করে তুলতে তাহলে অন্যান্য প্রসাধনীর পাশাপাশি দোকানে গেলেই ঠোঁটের জন্যে বাছুন উষ্ণ রঙএর লিপস্টিক। দোকানের নানারকম লিপস্টিকের ভেতরে উষ্ণ ও সাহসী অর্থাৎ, গাঢ় লাল, কমলা বা হলদে রঙ এবং শীতল অর্থ্যাত্ নীল রঙ এর লিপস্টিকগুলো ( রিফাইনারি ) আলাদা করেই সাজানো থাকে। তাই খুব সহজেই আপনি ওখান থেকে পেয়ে যেতে পারেন আপনার পছন্দসই জিনিসটি।
২. বেগুনী, গাড় গোলাপী

আপনার দাঁতকে অনেক বেশি সাদা দেখাতে বেগুনী রঙ এর লিপস্টিকের কোন তুলনা হয়না। তবে গোলাপী লিপস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে মনে রাখবেন যে হালকা গোলাপীর চাইতে গাঢ় গোলাপী রঙএর লিপস্টিক অনেক বেশি ধাঁধায় ফেলে দিতে পারে মানুষের চোখকে আর করে তুলতে পারে দাঁতগুলোকে আরো বেশি সাদা ( এলে )।
৩. জাম রং

লিপস্টিক কেনার সময় খানিকটা নীলচে অথবা ঠান্ডা ধরনের আন্ডারটোন নিন। এক্ষেত্রে সেলসম্যানকে বললে সেই আপনাকে বুঝিয়ে দেবে কোন লিপস্টিক কোন ধরনের। লিপস্টিকের রঙ হিসেবে খুব বেশি হলদে বা কমলা রঙ এর দিকে না গিয়ে মাঝারি থেকে গাঢ়র দিকে যান। এছাড়া সামান্য জাম রঙ এর লিপস্টিকও আপনার দাঁতকে স্বাভাবিকের চাইতে বেশি উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করবে

মাত্র ৩০ মিনিটে মুচমুচে পালং-পনির বল

ranna banna o beauty tips
মুচমুচে পালং-পনির বল
পালং শাক খাবারটা আমাদের দেশের তরকারি, ভাজি বা ডাল রান্না করে খাওয়া হলেও ভারতীয় রান্নায় কিন্তু পালং শাকের সাথে মাঝে মাঝেই জুড়ে দেওয়া হয় অন্যরকম একটি উপকরণ, আর তা হলো পনির। পালং পনির খাবারটা তরকারি হসেবে বেশ জনপ্রিয়। স্ন্যাক্স হিসেবে খাওয়া যায়, এমন একটি খাবার হলো পালং-পনির বল। স্বাস্থ্যকর তো বটেই, হাত নষ্ট না করে খাওয়া যায় বলে এই শীতে বাইরে বেড়াতে গেলেও সাথে করে নিয়ে যেতে পারেন খাবারটি। তৈরি করতে সময় লাগবে মাত্র আধাঘন্টা!
উপকরণ

-   আধা কাপ পালং শাক কুচানো
-   ১২ টুকরো প্রক্রিয়াজাত পনিরের আধা ইঞ্চি টুকরো
-   আধা কাপ পনির ভেঙ্গে নেওয়া(কটেজ চিজ) 
-   ১ কাপ আলু সেদ্ধ
-   লবণ স্বাদমতো
-   ১ চা চামচ কাঁচামরিচের পেস্ট
-   সিকি কাপ হোল হুইট ব্রেড ক্রাম্ব
-   গড়িয়ে নেবার জন্য আরও কিছুটা ব্রেড ক্রাম্ব
-   ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল
-   সার্ভ করার জন্য সস
প্রণালী

১) একটা বোলে ভালো করে মাখিয়ে নিন আলু সেদ্ধ, পালং শাক, লবণ, কাঁচামরিচের পেস্ট, ব্রেড ক্রাম্ব এবং কটেজ চিজ।
২) এই মিশ্রণ ১২টা ভাগে ভাগ করে ছোট ছোট বল তৈরি করে নিন। প্রতিটা বল চ্যাপ্টা করে মাঝখানে পনিরের টুকরো দিয়ে দিন। এরপর এটাকে বলের মাঝে ভালো করে মুড়িয়ে দিন।
৩) প্রতিটা বল গড়িয়ে নিন ব্রেড ক্রাম্বে।
৪) কড়াইতে তেল গরম করে নিন। একসাথে ৩-৪টা করে বল সোনালি করে ভেজে নিন।
এরপর তেল ঝরিয়ে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে পারেন টমেটো সস অথবা চিলি সসের সাথে।

তৈরি করে ফেলুন স্বাস্থ্যকর সয়া ক্ষীর

ranna banna o beauty tips
স্বাস্থ্যকর সয়া ক্ষীর
বাঙালীর ঘরে যখন তখন ডেজার্ট মানেই হলো ক্ষীর। এই ক্ষীর তৈরিতে যদি আনা যায় একটু অন্যরকম স্বাদ, তাহলে কেমন হয় বলুন তো? ইদানিং সয়া প্রোটিন দিয়ে অনেকেই অনেক খাবার তৈরি করছেন। সয়া গ্র্যানিউলস দিয়ে তৈরি করে ফেলতে পারেন এই স্বাস্থ্যকর সয়া ক্ষীর। মাত্র ১৫ মিনিটে খুব সহজে তৈরি হয়ে যাবে এই খাবারটি।
উপকরণ:

-   পৌনে এক কাপ সয়া গ্র্যানিউলস
-   আড়াই কাপ দুধ
-   ৫ টেবিল চামচ চিনি
-   ১ চা চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার, ১ টেবিল চামচ পানিতে গুলানো
-   সিকি চা চামচ এলাচি গুঁড়ো
-   আধা চা চামচ জাফরান, ২ চা চামচ দুধে গোলানো
-   ১ চা চামচ কাঠবাদাম কুচি গার্নিশের জন্য
-   এই রেসিপি অনুযায়ী ৪ বাটি ক্ষীর হবে। প্রতি বাটি ক্ষীরের পুষ্টিগুণ:
-   এনার্জি- ২৬৪ কিলো ক্যালোরি
-   প্রোটিন- ১০.৪ গ্রাম
-   কার্বোহাইড্রেট- ২৬.৪ গ্রাম
-   ফ্যাট- ১০.২ গ্রাম
-   ফাইবার- ২.৩ গ্রাম
-   ভিটামিন এ- ২৪১.৯ মাইক্রোগ্রাম
-   ক্যালসিয়াম- ২৯৪.৬ মিলিগ্রাম
-   আয়রন- ১.৫ মিলিগ্রাম
প্রণালী

১) সয়া গ্র্যানিউলগুলোকে গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ঢাকনা চাপা দিয়ে রেখে দিন ৫ মিনিট।
২) ৫ মিনিট পর পানি ঝরিয়ে ধুয়ে নিন ২-৩ বার।
৩) বড় একটা প্যানে দুধ ফুটিয়ে নিন। ক্রমাগত নাড়তে থাকুন।
৪) এতে সয়া গ্র্যানিউল, চিনি এবং কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে দিন। ভালো করে মিশিয়ে নিন। মাঝারি আঁচে নাড়তে থাকুন। ৪-৫ মিনিট অথবা ক্ষীর ঘন হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।
৫) ওপরে এলাচ গুঁড়ো এবং জাফরান দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিনিটখানেক পর নামিয়ে নিন।
তৈরি হয়ে গেলো দারুণ স্বাস্থ্যকর সয়া ক্ষীর। এটাকে ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে রেখে দিন। খাওয়ার সময় হলে ওপরে বাদাম কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।

সহজে ঝটপট ব্রাউনি

ranna banna o beauty tips
সহজে ঝটপট ব্রাউনি
ব্রাউনি খেতে ভালোবাসেন? তাহলে দেখে নিন নাজিয়া ফারহানার ঝটপট ব্রাউনির রেসিপি। বলাই বাহুল্য যে খুবই সহজ এই রেসিপিটি।
উপকরণ
১.ময়দা -৩/৪ কাপ
২.কোকো পাউডার -১/৪ কাপ
৩.চকো চিপস -১ কাপ
৪.মাখন - ২৫০ গ্রাম
৬.চিনি -১ কাপ
৭. ডিম -৩ টা
প্রনালী
-প্রথমে ডবল বয়েলারে মাখন আর চিনিটা গলাতে হবে।
-এবার এতে কোকো পাউডার আর চকো চিপসটা দিয়ে নাড়তে হবে।
-সব গলে ভালো মতো মিশে গেলে ডবল বয়েলার থেকে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিতে হবে।
-ঠান্ডা হয়ে এতে ১ টা ১টা করে ডিম দিয়ে মেশাতে হবে।
-সবশেষে ময়দা দিয়ে ভালো মতো মিশিয়ে মোল্ডে ঢালতে হবে।
-ওভেন ১৭০ এ প্রিহিট করে ৪০ মিনিট বেক করতে হবে।
-ব্যস হয়ে গেলো মজাদার ব্রাউনি। ঠান্ডা হলে টুকরা করে কেটে পরিবেশন করতে হবে।

ময়দা ছাড়াই তৈরি করে ফেলুন মজাদার চকলেট কেক

চকলেট কেক
আচ্ছা কেক তৈরি করতে কোন উপাদান লাগে? সবার আগে নিশ্চয় ময়দার নামটা মাথায় আসবে, তাই না? কিন্তু ময়দা ছাড়াও কেক তৈরি করা সম্ভব! কি, শুনে অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ ময়দা ছাড়াও কেক তৈরি করা সম্ভব। আসুন তাহলে জেনে নিন ময়দা ছাড়া কেক তৈরির রেসিপিটি।
উপকরণ:
  • ১/২ কাপ(১১০ গ্রাম) মাখন
  • ৫টি (১১০ গ্রাম) হালকা মিষ্টি চকলেট
  • ৩টি ডিম
  • ১/২ কাপ(১০০ গ্রাম) চিনি
  • ১ টেবিল চামচ ( ৮ গ্রাম) চিনিছাড়া কোকো পাউডার
  • এক চিমটি লবণ
  • কফি মুজ
  • ২ টিডিমের কুসুম
  • ১/২ কাপ (১০০গ্রাম) চিনি
  • ১.৫ (১২ গ্রাম) কর্ণ ফ্লাওয়ার
  • ২/৩ কাপ (১৬০ মিলিগ্রাম) গরম দুধ
  • ১/২ চা চামচ (৪ গ্রাম) ইন্সট্যান্ট কফি
  • ১/২ চা চামচ (৫ গ্রাম) জেলেটিন পাউডার
  • ২ টেবিল চামচ ঠান্ডা পানি
  • ১ কাপ (২৪০ গ্রাম) হুইপড ক্রিম
প্রণালী:
১। একটি প্যানে গরম পানিতে একটি পাত্রে মাখন এবং চকলেট গুলিয়ে নিন। ভাল করে মিশে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করতে দিন।
২। এখন ডিম থেকে কুসুম আলাদা করে নিন।
৩। একটি ডিমের কুসুম, কোকো পাউডার এবং লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিন।
৪। ডিমের সাদা অংশ ভাল করে ফেটে নিন। এর সাথে চিনি যোগ করে আবার ফেটে নিন। এমনভাবে ফাটুন যাতে ফেনা উঠে।
৫। তারপর ডিমের ফেনা উঠানো ফোম অল্প অল্প করে চকলেট মিক্সের সাথে মিশিয়ে নিন।
৬। এইবার মিশ্রণটি একটি প্যানে ঢেলে ফেলুন। এবার এটি ৩৫০ ফারেনহাইট বা ১৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে ২৫ মিনিট ওভেনে ব্রেক করতে দিন।
৭। ডিমের কুসুম এবং চিনি খুব ভাল ফেটে নিন।
৮। তারপর এতে কর্ণ ফ্লাওয়ার, গরম দুধ মিশিয়ে নিন।
৯। অল্প আঁচে মিশ্রণটি জ্বাল দিতে থাকুন। জ্বাল দেওয়ার সময় আস্তে আস্তে নাড়ুন।
১০। ঘন হয়ে গেলে এটি চুলা থেকে নামিয়ে এতে ভ্যানিলা এসেন্স, ইন্সট্যান্ট কফি পাউডার দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
১১। এরপর জেলেটিন পাউডার এবং ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে নিন।
১২। ৫-১০ মিনিট পর এটি চুলায় দিয়ে দিন। ১৩। অল্প আঁচে এটি চুলায় জ্বাল দিন। ১৪। জেলেটিনটি কফির মিশ্রণের সাথে মিশিয়ে নিন।
১৫। হুইপড ক্রিম ভাল করে বিট করে নিন। ১৬। প্রথমে হুইপড ক্রি্মের কিছু অংশ জেলেটিনের সাথে মিশিয়ে নিন।
১৭। তারপর সম্পূর্ণ অংশটুকু হুইপড ক্রিমের সাথে মিশিয়ে ফেলুন।
১৮। এই হুইপড ক্রিমের মিশ্রণটি কেকের উপর ভাল করে লাগিয়ে ফেলুন।
১৯। এবার কেকটি ২-৪ ঘন্টা বা সারারাত ফ্রিজে রাখুন।
২০। কেকটি সাবধানে প্লেটে সাজিয়ে নিন।
২১। কেকটির উপর কোকো পাউডার ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।

সুস্বাদু কাশ্মীরী আলুর দম তৈরি করুন সহজেই

ranna banna o beauty tips
কাশ্মীরী আলুর দম
রেলগাড়ি ঝমাঝম, পা পিছলে আলুর দম- ছোটবেলায় কে না কেটেছে এই ছড়া? কিন্তু এই আলুর দম আসলে খাওয়ার সৌভাগ্য সবার হয় না। বেশিরভাগ বাড়িতে রান্নায় হরদম আলুর যাওয়া-আসা। মাছ, মাংস, সবজি এবং ভাজিতে আলুর কমতি না থাকলেও শুধুই আলুকে কেন্দ্র করে দারুন মুখরোচক আলুর দমের স্বাদ নিয়েছেন কম মানুষই। আবার সেই রান্নাটায় যদি থাকে কাশ্মীরী ধাঁচ, তাহলে কেমন হয়? হ্যাঁ, ছবিতে ছবিতে আজ দেখে নিন কাশ্মীরী আলুর দমের রেসিপি।
উপকরণ

  • - ৭/৮টা বড় আলু
  • - ২ কাপ পিঁয়াজ কুচি
  • - আধা ইঞ্চি আদা
  • - ৬/৭ কোয়া রসুন
  • - ২ কাপ টমেটো কুচি
  • - ২ টেবিল চামচ কাজুবাদাম
  • - ২ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
  • - ১ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
  • - সিকি চা চামচ গরম মশলা
  • - ১ চা চামচ আস্ত জিরা
  • - ৪/৫টা শুকনো মরিচ
  • - ৩/৪টা তেজপাতা
  • - সিকি কাপ টক দই
  • - ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
  • - আধা চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
  • - ১ চা চামচ কাশ্মীরী মরিচ গুঁড়ো
  • - ২ টেবিল চামচ কাসুরি মেথি
  • - ১ চা চামচ চিনি
  • - লবণ স্বাদমতো
আলুগুলোকে ছিলে কাঁটাচামচ বা ছুরি দিয়ে কেঁচে নিন। এরপর এগুলোকে পানিতে সেদ্ধ করে নিন যাতে নরম হয়ে যায়। পিঁয়াজ এবং টমেটোগুলোকে কুচি করে নিন। ২ টেবিল চামচ কাজুবাদামের সাথে ২ টেবিল চামচ পানির পেস্ট তৈরি করে নিন।
 প্রথম ধাপ: কিছুটা তেল গরম করে নিন তাওয়ায়। এতে জিরা এবং তেজপাতা দিন। এতে কুচি করা পিঁয়াজ দিয়ে সোনালি করে ভেজে তুলুন। আদা-রসুন থেঁতো করে দিয়ে দিন এই তেলে। অল্প একটু চিনি এবং লবণ দিন, এতে রসুনের বেরেস্তা হবার প্রক্রিয়া ভালোমতো হবে।
দ্বিতীয় ধাপ: এবার এতে দিয়ে দিন হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, কাশ্মীরী মরিচ গুঁড়ো, আস্ত শুকনো মরিচ, কাজুবাদামের পেস্ট, টমেটো কুচি এবং স্বাদ অনুযায়ী লবন। মাঝারি আঁচে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিন ৩-৪ মিনিট।
তৃতীয় ধাপ: এরপর দিয়ে দিন জিরা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো এবং গরম মশলা গুঁড়ো, ঢেকে দিয়ে রান্না করুন ১৫ মিনিট। যদি গ্রেভি আঠা আঠা হয়ে যায় তাহলে আরেকটু পানি দিতে পারেন।
চতুর্থ ধাপ : সেদ্ধ আলুগুলোকে অর্ধেক করে কেটে নিন। হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো এবং কাশ্মীরী মরিচ গুঁড়ো মেখে নিন।
পঞ্চম ও ষষ্ঠ ধাপ: পাত্রটি ঢেকে রান্না করুন যাতে পিঁয়াজ এবং টমেটো একেবারে নরম হয়ে যায়। টক দইয়ের সাথে একটু পানি মিশিয়ে পেস্টের মতো করে নিন। চুলা বন্ধ করে দিন এবং গ্রেভি ঠাণ্ডা হতে দিন ৫ মিনিট। এরপর দই দিয়ে দিন এতে। এরপর এতে আলুগুলো দিয়ে দিন এবং ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার ঢেকে রান্না করুন ১৫ মিনিট। এর পর ওপরে দিয়ে দিন কাসুরি মেথি এবং কিছুটা মাখন।
তৈরি হয়ে গেলো কাশ্মীরী আলুর দম। এবার রুটি বা পরোটার সাথে পরিবেশন করুন একে। ওপরে ধনেপাতা কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন। দিতে পারেন একটু ফ্রেশ ক্রিমও।
 
 

গরম ভাতের স্বাদে ভিন্নধর্মী শুঁটকি ভর্তা

ranna banna o beauty tips
গরম ভাতের স্বাদে ভিন্নধর্মী শুঁটকি ভর্তা
শুঁটকি খেতে ভালোবাসেন? একটু নতুন কোন রেসিপি চাই? তাহলে জেনে নিন বীথি জগলুলের এই রেসিপি। দুই রকম মাছ মিলিয়ে মজাদার একটি ভর্তা তৈরি করেছেন তিনি। 
যা প্রয়োজন
  • দুই রকম শুঁটকি- দেড় কাপ
  • পিঁয়াজ- বড়ো ২টি
  • রসুন- বড়ো ২টি
  • শুকনামরিচ- ৭-৮টি
  • কাঁচামরিচ- ৪-৫টি
  • হলুদ গুঁড়া- সামান্য
  • লবণ- স্বাদমতো
  • ধনেপাতা- ইচ্ছা

যেভাবে করবেন
-শুকনা তাওয়ায় শুঁটকি টেলে খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে সামান্য হলুদ-লবণ ও পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিন।
-সেদ্ধ করা পানি শুকিয়ে ফেলুন।
-শিল-পাটায় মিহি করে শুঁটকি বেটে নিন। শুকনামরিচ টেলে রাখুন।
-পিঁয়াজ-রসুন একটু মোটা কুচি করে টেলে নিন। এবার বেটে রাখা শুঁটকির সাথে অন্যান্য সব উপকরণ হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিন।
-গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

সোমবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৬

ঘরেই তৈরি করে রাখুন সারা বছরের টমেটো সস

ranna banna o beauty tips
টমেটো সস
কমতে শুরু করেছে টমেটোর দাম। কিছুদিন বাদেই হয়ে উঠবে আরও সস্তা। হ্যাঁ, এটাই সুযোগ কিন্তু সারা বছরের জন্য টমেটো সস তৈরি করে রাখার। চলুন, তাহলে জেনে নিই সুমনা সুমির টমেটো সস তৈরির রেসিপি।
উপকরণ
  • পাকা টমেটো ১কেজি
  • অলিভ ওয়েল ১/৪কাপ
  • শুকনো মরিচ টালা গুঁড়ো ১ টেবিলচামচ
  • রসুন কুচি ২ টেবিলচামচ
  • পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিলচামচ
  • ওরিগেনো ১চা চামচ
  • বেসিল লিভস ১/২ চা চামচ
  • পারসলে কুচি ১/২কাপ
  • গোল মরিচ গুঁড়ো ১/২চা চামচ
  • চিনি ১/২কাপ
  • ভিনেগার ১/৪কাপ
  • ফিস সস ১টেবিলচামচ ও ফুড কালার ১/২ চা চামচ (এই দুটো ঐচ্ছিক)
প্রনালি
-টমেটোর গায়ে কাঁটা চামচ বা ছুরি দিয়ে একটু কেঁচে নিন।
-হাঁড়িতে ২ লিটার পানি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। টমেটো দিয়ে ১মিনিট রাখুন। ১মিনিট পরে টমেটো উঠিয়ে খোসা ছিলে নিন। টমেটো কুচি করে নিন।
-অন্য একই সস প্যানে তেল দিয়ে পেঁয়াজ, রসুন দিয়ে নরম করে ভাজুন। ভিনেগার ও ফিস সস বাদে বাকি সব উপকরণ ও টমেটো কুচি দিয়ে নাড়ুন। ফুটতে থাকলে চুলার আঁচ একদম কমিয়ে ঢেকে ১ ঘন্টা রান্না করুন। চুলা বন্ধ করে মিশ্রনটি ঠান্ডা করে নিন।
-এখন মিশ্রনটি ব্লেন্ডারে দিয়ে মিহি পেস্ট করে নিন। এই মিশ্রনটি আবার চুলাতে দিন। ভিনেগার ও সস দিন। চাইলে ফুড কালার দিতে পারেন। সসের মত ঘন করে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে এটি আরও ঘন হবে।
-বোতলে ভরে ফ্রিজে রাখুন। ৩ মাস পর্যন্ত ভাল থকবে এটি। ডিপ ফ্রিজে রেখে দিলে ভালো থাকবে সারা বছর। যখন প্রয়োজন অল্প করে বের করে নেবেন।

বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৬

সহজলভ্য নারিকেল তেলের ৪টি কার্যকরী ফেসপ্যাক

ranna banna o beauty tips
নারিকেল তেলের ৪টি কার্যকরী ফেসপ্যাক
নারিকেল তেলের নাম শুনলে মনে হয় চুলের কথা। আদিকাল থেকে চুলের যত্নে নারিকেল তেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু আপনি জানেন কি, নারিকেল তেল শুধু চুলের জন্য নয় ত্বকের জন্যও বেশ উপকারী? শুষ্ক প্রাণহীন ত্বককে নরম, কোমল, প্রাণবন্ত করতে নারিকেল তেলের জুড়ি নেই। শুধু তাই নয় ফেসপ্যাক তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় নারিকেল তেল।

 লেবুর রস, মধু এবং নারিকেল তেলের ফেসপ্যাক 

১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল, ২ চা চামচ বিশুদ্ধ মধু এবং ১/২ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। মুখ পরিস্কার করে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। একটি নরম তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। 

২। নারিকেল তেল এবং হলুদ 

১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল এবং এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এই প্যাকটি মুখ এবং ঘাড়ে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।  এটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে থাকবে।

 ৩। হলুদ গুঁড়ো, কলা এবং নারিকেল তেল 

১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল, ১/২ পাকা কলা এবং এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। ত্বক পরিষ্কার করে প্যাকটি লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। পাকা বা খুব বেশি পাকা কলা হলে ভালভাবে ম্যাশ করা যায়। 

৪। নারিকেল তেল, টক দই এবং জায়ফল 

১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল, ১ চা চামচ জায়ফল এবং ১ টেবিল চামচ টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এবার এই প্যাকটি ম্যাসাজ করে ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানি বা ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বক আদ্র করে বলিরেখা দূর করে থাকে। নারিকেল তেলের এই প্যাকগুলো আপনার ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে ব্রণের দূর করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের কালো দাগও দূর করে থাকে।

নাস্তায় হয়ে যাক আলু দিয়ে মজাদার মুগডাল ভুনা

ranna banna o beauty tips
নাস্তায় হয়ে যাক আলু দিয়ে মজাদার মুগডাল ভুনা
সকাল সকাল গরম গরম রুটির চাইতে ভালো খেতে কী আছে? স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হলে খেয়ে দেখতে পারেন লাল আটার রুটি। অনেক বাড়িতেই আবার খাওয়া হয় গরম গরম ভাত। রুটি কিংবা ভাত, আপনার সকালের মেন্যুতে যাই থাকুক না কেন, সায়মা সুলতানার এই মুগডালের খাবারটি খেতে লাগবে চমৎকার। চলুন, আলু দিয়ে মজাদার মুগডাল রান্নার রেসিপিটি জেনে নিই।  
যা লাগবে 
  • মুগ ডাল ১ কাপ 
  • সিদ্ধ আলু ১ কাপ 
  • হলুদ হাফ চা চামচ 
  • মরিচ গুঁড়ো ২ চা চামচ
  • ধনিয়া গুঁড়ো ১ চা চামচ 
  • জিরা গুঁড়ো হাফ চা চামচ 
  • আদা বাটা ২ চা চামচ 
  • আস্ত জিরা ১ চা চামচ 
  • আস্ত সরিষা হাফ চা চামচ 
  • আদা মিহি কুচি ১ চা চামচ 
  • মরিচ কুচি  ধনিয়া পাতা কুচি 
  • ঘি ২ টেবিল চামচ
  • লবণ পরিমান মত 
প্রনালি 
প্রথমে একটা প্যানে মুগ ডাল নিয়ে হালকা লাল করে ভেজে নিন। -এবার এই ভাজা ডালের সাথে লবণ , হলুদ-মরিচ-ধনিয়া-জিরা গুঁড়ো,আদা-রশুন বাটা , আড়াই কাপ গরম পানি দিয়ে সিদ্ধ বসিয়ে দিন। -ডাল সিদ্ধ হয়ে আসলে এতে সিদ্ধ আলু গুলিকে হাতে ভেঙে ডালের উপর ছিটিয়ে দিয়ে আরেকটু পানি দিয়ে রান্না করুন আর ১৫ মিনিট। -এবার একটা প্যানে ঘি নিয়ে এতে আস্ত জিরা, সরিষা দিয়ে ফুটে উঠলে ডাল এর উপর ফোঁড়ন দিন। -ফোঁড়ন এর পর আদা কুচি,মরিচ কুচি , বেশি করে ধনিয়া পাতা কুচি ছিটিয়ে দিন। আর ১ থেকে ২ মিনিট কম আঁচে রান্না করে নামিয়ে নিন। -রুটি,নান কিনবা ভাতের সাথে পরিবেশন করুন। 

বুধবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৬

একেবারেই নতুন একটি খাবার হরিয়ালি কোফতা

ranna banna o beauty tips
 হরিয়ালি কোফতা
মাছ মাংসের কোফতা খেয়েছি আমরা সবাই। কিন্তু শাকের কোফতা, তাও আবার দারুন মুখরোচক এক গ্রেভিতে? হ্যা, পালং শাক এবং ধনেপাতার মতো স্বাস্থ্যকর সবুজে তৈরি হবে এই কোফতা। এক ঘণ্টারও কম সময়ে তৈরি হয়ে যাবে এই রান্নাটা, আর স্বাদের তারিফ কুড়োবেন আপনিই!।
উপকরণ

অনিয়ন পেস্টের জন্য
-   পৌনে দুই কাপ পিয়াজ কুচি
-   সিকি কাপ কাজু বাদাম
-   ৭ কোয়া রসুন
-   ২ টেবিল চামচ মিষ্টি কুমড়ার বিচি
-   আধা ইঞ্চি আদা
গ্রেভির জন্য
-   ৩ টেবিল চামচ তেল
-   ৩টা এলাচ
-   ৩টা লবং
-   ১ টেবিল চামচ কাচামরিচ কুচি
-   আধা চা চামচ গরম মশলা
-   পৌনে এক কাপ দই
-   ২ টেবিল চামচ ক্রিম
-   লবন স্বাদমতো
কোফতার জন্য
-   দেড় কাপ সেদ্ধ আলু
-   পৌনে এক কাপ ধনেপাতা কুচি
-   পৌনে এক কাপ পালং শাক কুচি
-   ২ চা চামচ কাচামরিচের পেস্ট
-   আধা চা চামচ গরম মশলা
-   ২ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার
-   লবন স্বাদ মতো
-   ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল
অন্যান্য উপকরণ
-   আধা চা চামচ মরিচ গুড়ো
-   ২ টেবিল চামচ ফ্রেশ ক্রিম
-   অল্প একটু জাফরান
-   ১ টেবিল চামচ দুধ
-   ১ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি (গার্নিশের জন্য)
প্রণালী

১) অনিয়ন পেস্টের জন্য সব উপকরণ এবং দেড় কাপ পানি একটা কড়াইতে নিন। ভালো করে মিশিয়ে মাঝারি আচে রান্না করুন ৮-১০ মিনিট। ঠাণ্ডা করে নিন। ব্লেন্ড করে মিহি পেস্ট করে নিন।
২) এবার তৈরি করুন গ্রেভি। কড়াইতে তেল গরম করে এতে এলাচ এবং লবং দিয়ে একটু ভেজে নিন। এরপর কাচামরিচ, অনিয়ন পেস্ট দিয়ে মাঝারি আচে সাঁতলে নিন ২-৩ মিনিট।
৩) গরম মশলা এবং দই দিয়ে নাড়তে থাকুন ১-২ মিনিট। এরপর ক্রিম এবং লবন দিয়ে মিনিটখানেক রান্না করে নামিয়ে ফেলুন।
৪) এবার কোফতা তৈরির পালা। কোফতার সব উপকরণ বোলে মিশিয়ে নিন। ১৬টা ভাগে ভাগ করে কোফতা গড়িয়ে নিন।
৫) ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল গরম করে নিন। মাঝারি আচে সোনালি করে ভেজে তুলুন।
৬) একটা কড়াইতে গ্রেভিটা নিন। এতে যোগ করুন মরিচ গুড়ো, সিকি কাপ গরম পানি এবং মাঝারি আচে রাখুন দুয়েক মিনিট, নাড়তে থাকুন। ক্রিম দিয়ে আবার এক মিনিট রাখুন। এরপর ইচ্ছে হলে দুধে গুলে জাফরান দিয়ে দিতে পারেন। এবার কোফতা দিয়ে দিন। সাবধানে থাকুন যাতে না ভাঙ্গে। হাল্কা আচে কিছুক্ষন রেখে সাবধানে নামিয়ে নিন।
ধনেপাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন হরিয়ালি কোফতা। সাকথে দিতে পারেন মুচমুচে পরোটা।

চিইজি পাপরিকা পটেটো

ranna banna o beauty tips
চিইজি পাপরিকা পটেটো
নাস্তা কিংবা ভারি খাবার হিসেবে দারুন একটি পদ।


উপকরন: 
মাঝারি আকারের আলু ৫,৬টি। রসুনকুচি ২ চা-চামচ। পেঁয়াজকুচি মিহি আধা কাপ। তেল ২ চা-চামচ। পাপরিকা পাউডার ২ চা-চামচ। গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ। অরিগানো আধা চা-চামচ। লবণ পরিমাণ মতো। পেঁয়াজকলি বা স্প্রিং অনিয়ন আধা কাপ। মোৎজারেলা চিজ আধা কাপ।

পদ্ধতি: 
আলু সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিন। টুকরা করে রাখুন। প্যানে তেল দিয়ে তাতে রসুন ও পেঁয়াজ কুচি ভাজুন। সিদ্ধ আলু, পাপরিকা, অরিগানো, কালো গোলমরিচ, লবণ দিন। ভালো করে নেড়ে পেঁয়াজকলি অথবা স্প্রিং অনিয়ন দিয়ে নামিয়ে নিন।

এবার ইলেকট্রিক ওভেন প্রিহিটে দিন।
ওভেন প্রুভ বাটিতে আলু ঢেলে উপরে চিজ কুচি করে ছড়িয়ে পাঁচ থেকে ১০ মিনিটের জন্য ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রায় বেইক করুন। গরম গরম পরিবেশন করুন।

যদি কেউ চিজ ছাড়াই খেতে চান তবে চিজ আর বেইকিং প্রয়োজন নেই। চিজ ছাড়াও খেতে অনেক সুস্বাদু।

মন জুড়ানো গুড়ের পায়েস

ranna banna o beauty tips
মন জুড়ানো গুড়ের পায়েস
শীতের সময় পাওয়া যায় খেজুরের গুড়। সেটা দিয়ে তৈরি করুন মজার মিষ্টান্ন।

উপকরণ: 
দুধ দেড় লিটার। আতপ চাল আধা কাপ। গুড় দেড় কাপ(ছোট ছোট করে কেটে রাখবেন)। চিনি স্বাদমতো। লবণ ১ চিমটি। তেজপাতা, এলাচ ও দারুচিনি ১টি করে।

পদ্ধতি: 
চাল ১০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে।

এবার একটি পাত্রে দুধ জ্বাল দিন। দুধ ফুটে উঠলে লবণ, চিনি ও চাল দিয়ে ভালো করে নাড়তে হবে। সব উপকরণ আস্তে আস্তে মেশাতে হবে আর নাড়তে হবে।

চাল ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে আসলে আগে থেকে ছোট করে কেটে রাখা গুড় মিশিয়ে দিতে হবে আস্তে আস্তে।

এবার নামিয়ে ঠাণ্ডা করে একটি পাত্রে এক টুকরা খেজুরের গুড় দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

নখের ভঙ্গুরতা ঠেকাতে

ranna banna o beauty tips
নখের ভঙ্গুরতা ঠেকাতে
সুন্দর দুটি হাতের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে নিতে নখ বড় রাখার বিকল্প নেই। এটি তরুণীদের একটি প্রিয় অভ্যাসও বটে। আজকাল ফ্যাশন সচেতন অনেক তরুণও নখের মাথা সামান্য বড় রাখতে পছন্দ করেন। নিজেদের সাজকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে পরিচ্ছন্ন নখের আবেদন থাকে সব সময়। তবে কারো কারো নখ একটু বড় হলেই তা ভেঙে যায়। বিশেষ করে শীতের এই সময়টাতে নখ ভঙ্গুরতার হার বেশি দেখা যাচ্ছে। যাদের নখের গঠন কিছুটা নরম প্রকৃতির হয় তাদের এই সমস্যাটি বেশি হয়ে থাকে। নখের ভঙ্গুরতা ঠেকাতে অবলম্বন করা যেতে পারে কিছু কার্যকরী ব্যবস্থা।

- এক চা চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নখে মাখতে হবে। এই মিশ্রণটি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে প্রতিদিন ব্যবহারে আপনার নখ হয়ে উঠবে মজবুত। নখ ভেঙে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে আর আপনি পাবেন পরিচ্ছন্ন স্বাস্থ্যোজ্জ্বল নখ।

- আধা চামচ লবণ, আধা চামচ লেবুর রস এক কাপ পানিতে মিশিয়ে গরম করে নিন। লবণযুক্ত সেই গরম পানিতে নখ ডুবিয়ে রাখতে হবে ১৫ মিনিট। প্রতি সপ্তাহে একবারই যথেষ্ট। এভাবে চর্চা করে গেলে নখ মজবুত হবে।

- বিভিন্ন প্রকার তেল যেমন- তিলের তেল, বাদামের তেল, অলিভ অয়েল হাত পায়ের নখের জন্য বেশ উপকারী। তিনে ৩ বার তুলা ভিজিয়ে এই তেল হাত ও পায়ের নখে মাখলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

- রান্না-বান্না, সবজি কাটা কিংবা পাতিল ধোয়ার সময় গ্লাভস পরে নিলে নখে চোট লাগে কম। বিশেষ করে বাগান করার সময় অবশ্যই গ্লাভস পরে নেয়া উচিৎ। এতে নখে চাপ পড়ে না। তাছাড়া গ্লাভস পরে নিলে বারে বারে ক্ষতিকর ডিটারজেন্ট ও ডিশ ওয়াসার লাগে না। ফলে নখ দূর্বল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

- সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পর পেট্রোলিয়াম জেলি, ক্যাস্টর ওয়েল অথবা অলিভ ওয়েল মাখুন। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্তত একবার এভাবে নখে ও নখের আশেপাশের ত্বক ময়শ্চারাইজ করে নিন। এতে নখের ভঙ্গুরতা কমে এবং রুক্ষ ভাব দূর হয়।

- সব সময় নেইল পলিশ লাগিয়ে রাখা অথবা ঘন ঘন নেইল পলিশ রিমুভার ব্যবহার করলে নখের ভঙ্গুরতা বেড়ে যায়। এধরণের রাসায়নিক পদার্থ গুলো নখের আদ্রতা কেড়ে নেয় এবং নখকে দূর্বল করে দেয়। তাই সব সময়ে নেইল পলিশ লাগিয়ে না রেখে মাঝে মাঝে বিরতি দেয়া ভালো।

- প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যুক্ত খাবার রাখুন। এছাড়াও অন্যান্য ভিটামিন যেমন ভিটামিন এ, সি, ডি ইত্যাদিও নখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খান যেগুলোতে প্রচুর ভিটামিন আছে। খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন ই পর্যাপ্ত না পেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন। এতে শরীরের ভেতর থেকে নখে পুষ্টি পৌছাবে এবং নখ শক্ত ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল হবে।

গোড়ালি ফাটা রোধে কার্যকরী উপায়

ranna banna o beauty tips
গোড়ালি ফাটা রোধে কার্যকরী উপায়
শীতের সকালে কাঁথা কম্বলের আদুরে পরশ থেকে বের হতে একদমই ইচ্ছা করে না। তবু বিছানা ত্যাগ করতে হয় কাজের তাগিদে। আড়মোড়া ছাড়তে ছাড়তে বিছানা থেকে মেঝেতে পা ফেলা। আর তখনই গোড়ালিতে কিঞ্চিৎ ব্যথার অনুভূতি। কেউ এটাকে পাত্তা দেন, কেউ হুড়মুড়িয়ে উঠতে গিয়ে টেরই পান না। শীতে ত্বকের শুষ্কতা পায়ের গোড়ালি ফাটা বা ব্যথা হওয়ার অন্যতম কারণ। দেহের অন্যান্য অংশের চেয়ে পায়ের গোড়ালির ত্বক অত্যান্ত পুরু ও শক্ত হয়। তাই গোড়ালি ফাটার প্রবণতা বেশি থাকে। পায়ের গোড়ালির যত্নে দরকার সচেতনতা। নইলে খুব সুন্দর সাজের সঙ্গে অসামঞ্জস্য পা দুখানা আপনার সম্পূর্ণ ইমেজটিই নষ্ট করে দেবে। জেনে নিতে পারেন পায়ের গোড়ালি ফাটা রোধ এবং নরম ও কোমল রাখার কার্যকরী উপায়।

- প্রথমত পা সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। ধুলাবালি পায়ের সবচেয়ে বড় শত্রু। তাই কাজ শেষে ঘরে ফিরে সামান্য স্ক্রাব বা ঘষে পা ধুয়ে নিন। পায়ে ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার থেকেও বিরত থাকতে হবে। পা ধোয়ার পর পা ভেজা থাকা অবস্থায় মুছে ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভোলা যাবে না।

- সকালে বিছানা থেকে নামার আগেই পায়ের গোড়ালিতে একটু পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। নিয়মিত করতে পারলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন। কারণ পা ফাটার শুরু হয় এসময় থেকেই। তাই ব্যবস্থা শুরুতেই নিলে খুব বেশি ভয় থাকে না।

- গোসলের আগে পায়ে তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বক নরম থাকবে। তিল তেল বা যেকোনো ভেজিটেবল অয়েল পায়ের জন্য খুবই উপকারী। সারা বছর পায়ের ত্বক নরম রাখতে তিল তেল ভালো। ম্যাসাজের আগে সম্ভব হলে তেল অল্প গরম করে নিন।

- সপ্তাহে এক দিন পায়ের বিশেষ যত্ন নিতে পারেন। সেজন্য রাতে শোবার আগে উষ্ণ গরম পানিতে লবণ, শ্যাম্পু মিশিয়ে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখতে হবে। গরম পানির স্পর্শে গোড়লির মরা ত্বক নরম হলে স্ক্রাবার বা পা ঘষার পাথর দিয়ে গোড়ালি ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। এতে মরা ত্বক ঝরে পড়বে, ফাটাও দূর হবে।

- পায়ের যেকোনো পরিচর্যায় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে ত্বক কোমল হয়। অপরদিকে ঠাণ্ডা পানি ত্বককে আরও শক্ত করে ফেলে। বাইরে থেকে ফিরে সামান্য গরম পানিতে পা ধুয়ে নিয়ে আলতো করে ময়েশ্চারাইজার ও গ্লিসারিন মালিশ করে নিলেও উপকার পাবেন।

- পায়ের ত্বকের কোমলতার জন্য ময়দা, হলুদের গুঁড়া, লেবুর রস ও টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক হিসেবে লাগালে উপকার পাবেন।

- পায়ে মুলতানি মাটি, শসার রস, কমলার রস ও টকদই একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।

- নিয়মিত পরার জুতাটি শক্ত হলেও পা ফাটতে পারে। এ জন্য সব সময় পায়ের পক্ষে আরামদায়ক জুতা পরার চেষ্টা করুন। শীতে পায়ের গোড়ালি ঢাকা জুতা পরাই ভালো।

- যারা বাইরে নিয়মিত বের হন ও বেশি হাঁটাহাঁটি করেন তারা মোজাসহ পা-বন্ধ জুতা পরতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, পা যেন না ঘামে। প্রতিদিন পরিষ্কার মোজা পরুন।

- পায়ে ঘাম ও ধুলোময়লা জমে অনেকেরই ছত্রাক সংক্রমণের সমস্যা দেখা যায়। এতে অতিরিক্ত পা ফাটার প্রবণতাও থাকে। সে ক্ষেত্রে জটিলতা বেশি হলে বা সংক্রমণ হয়েছে মনে হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

নাস্তায় মুচমুচে নুডুলস বল

ranna banna o beauty tips
নাস্তায় মুচমুচে নুডুলস বল
ঝটপট নাস্তা তৈরিতে প্রথমেই মনে আসে নুডুলসের কথা। ডিম, সবজি বা মাংসের মিশেলে মজাদার নুডুলস খেতে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু মাঝে মাঝে এর ভিন্নতা ঘটলে মন্দ কি? নিজেদের খাওয়াসহ অতিথি আপ্যায়নে দ্রুত তৈরি করা যায় নুডুলস বল। পছন্দের সসের সঙ্গে মুচমুচে নুডুলস বল হয়ে উঠতে পারে বিকেলে নাস্তার সঙ্গী। বাড়ির ছোট সদস্যদের যখন তখন রকমারি খাবারের বায়না মেটাতেও দারুণ উপযোগী। তাই এক নজরে দেখে নিন মুচমুচে নুডুলস বলের সহজ রেসিপি।

যা যা লাগবে

ম্যাগি নুডুলস ২ প্যাকেট, ডিম ১ টি, পেঁয়াজ কুচি ২ টি, কর্ন ফ্লাওয়ার পরিমাণ মতো, ম্যাগি মসলা, আলু বা গাজর কুচি অল্প করে, লবণ পরিমাণমতো, তেল ভাজার জন্য।

যেভাবে করবেন

নুডুলস হালকা সেদ্ধ করে তার সঙ্গে সব উপকরণ মেখে নিতে হবে। মিশ্রণটি আঠালো করতে প্রয়োজনীয় কর্ন ফ্লাওয়ার দিয়ে দিন। এবার বলের আকারে করে তেলে ভাজতে হবে। বাদামী রঙ হলে তুলে কিচেন টিস্যুতে মুড়ে রাখুন। বাড়তি তেল টিস্যুতে চুষে নেবে। ব্যাস, হয়ে গেল নুডুলস বল। এবার পছন্দের টমেট সস দিয়ে খেতে পারেন মুচমুচে নুডলস বল।

চকলেটের স্বাদে মজাদার বিবিখানা পিঠা

ranna banna o beauty tips
বিবিখানা পিঠা
মজাদার এই বিবিখানা পিঠা তৈরি করে থাকেন অনেকেই। চলুন, আজ জেনে নিই একই পিঠার ভিন্ন স্বাদের একটি রেসিপি। চকলেটের স্বাদে বিবিখানা পিঠার রেসিপি দিচ্ছেন বীথি জগলুল।
যা প্রয়োজন
চালের গুঁড়া-২ কাপ
ঘি- ১/২ কাপ
গুঁড়া দুধ-১ কাপ
কোকো পাউডার- ২ টে চামচ
গুড়- ২ কাপ
ডিম- ৩টি
কোড়ানো নারকেল- ১ কাপ
এলাচ গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
লবণ- ১ চিমটি
পানি- ১ কাপ
বাদাম/কিসমিস- ইচ্ছা
প্রণালী
-চালের গুঁড়া হালকা করে টেলে নিন। কেনা গুঁড়া হলে টালার দরকার নেই ।
-গুড় পানিতে জ্বাল দিয়ে ছেঁকে নিন। কোকো পাউডার, এলাচ গুঁড়া, গুঁড়া দুধ আর ডিম ভালো করে মিশিয়ে তারপর গুঁড়ের পানির সাথে মেশান।
-এইবার এই মিশ্রণের সাথে চালের গুঁড়া এবং ঘি মিলিয়ে নিন। সবশেষে নারকেল মিলিয়ে নিন।
-বেকিং ডিশে ঘি ব্রাশ করে খামির ঢেলে প্রি-হিটেড ওভেনে ১৬০' ডিগ্রী তাপে ৪০-৪৫ মিনিট বেক করুন ।
-৪৫ মিনিট পর একটি কাঠি বা টুথপিক ঢুকিয়ে দেখে নিন,কাঠিতে কিছু না লেগে থাকলে বুঝতে হবে পিঠা হয়ে গেছে। ৪০-৪৫ মিনিটের বেশী সময় লাগার কথা নয়।
-পিঠা পুরোপুরি ঠান্ডা হলে কেটে টুকরা করে পরিবেশন করুন।

নাস্তায় হয়ে যাক মজাদার স্প্যাগেটি

ranna banna o beauty tips
স্প্যাগেটি
রোজ রোজ সেই একই রুটি পরোটা খেয়ে হাঁপিয়ে উঠেছেন? স্বাদ বদলে চলুন আজ হয়ে যাক গার্লিক ফ্লেভারের সুস্বাদু স্প্যাগেটি। সকাল সকাল ভিন্ন স্বাদের এই খাবারটির রেসিপি নিয়ে এসেছেন শারমিন হক।

উপকরণ
- স্প্যাগেটি ১ প্যাকেট
- রসুন কুচি ৪ কোয়া
- এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ ওয়েল ৩ টেবিল চামচ
- শুকনা মরিচকুচি ২টা
- ওরিগানো হাফ চা চামচ (না দিলেও হয়)
- ধনেপাতা কুচি
- ওয়েস্টার সস ১ টেবিল চামচ (না দিয়েও হয়)
- লবণ পরিমানমত


প্রস্তুত প্রণালি
-হাঁড়িতে পানি ফুটে উঠলে সামান্য লবণ দিয়ে স্প্যাগেটি সিদ্ধ করে নিন।
-এবার ফ্রাইপ্যানে তেল, রসুনকুচি, মরিচকুচি, লবণ দিয়ে কিছুক্ষন ভেজে তাতে স্প্যাগেটি দিয়ে দিন।
-ভাল নেড়ে তাতে অয়েস্টার সস ও ওরিগানো,ধনেপাতা দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন। এবার গরম গরম পরিবেশন করুন।

মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৬

রেইনবো কেক

ranna banna o beauty tips
রেইনবো কেক
একটু রঙিন কেক খেতে বাচ্চারা কিন্তু বেশ ভালোবাসে। চলুন, জেনে নিই নাজিয়া ফারহানার রেইনবো কেক রেসিপি। 
উপকরণ  
  • ডিম ৪ টা (নরমাল তাপমাত্রা)  
  • ময়দা ১ কাপ 
  • বেকিং পাউডার ১ চা চামচ 
  • চিনি গুঁড়ো করা ১ কাপ 
  • তেল ১/২ কাপ 
  • পাওডার দুধ ১/২ কাপ 
  • লাল রং ১ চা চামচ 
  • নীল রং ১ চা চামচ 
  • হলুদ রং ১ চা চামচ 
  • সবুজ রং ১ চা চামচ 
  • ভ্যানিলা এসেন্স ১ চা চামচ  
প্রনালি :
 প্রথমে ডিমের সাদা অংশ ভাল করে বিট করে ফোম করে নিন। -চিনি দিয়ে বিট করুন ২/৩ মিনিট। ডিমের কুসুম দিয়ে বিট করুন ২/৩ মিনিট। তেল দিয়ে বিট করুন।   -ময়দা + দুধ + বেকিং পাউডার একসাথে চেলে নিয়ে ডিমে দিয়ে আস্তে আস্তে দিয়ে বিট করুন। -essence দিয়ে বিট করুন। -এবার ব্যাটারটা সমান ৫ ভাগে ভাগ করুন। একেকটা ভাগে একেকটা রং মেশান।  -তারপর কেকের ডাইসে প্রথমে এক চামচ রং দিয়ে , তার উপর অন্য একটা রং দিতে হবে. এভাবে সব রং এর ব্যাটার গুলা ডাইসে দিয়ে দিন।  -তারপর ইলেকট্রিক ওভেন এ ৪০/৪৫ মিনিট ২০০ ডিগ্রী তে বেক করব। হয়ে যাবে মজাদার রেইন বো কেক। 

রুমালী রুটি

ranna banna o beauty tips
রুমালী রুটি
রেস্টুরেন্টে সকালের নাস্তায় যে খাবারগুলো বেশি খাওয়া হয় তার মধ্যে পরোটা অন্যতম। পরোটার পরই রয়েছে রুমালি রুটির চাহিদা। তেলের কারণে অনেকই পরোটা খেতে চান না, তেল ছাড়া তৈরি করা হয় বলে এই রুমালি রুটি সবার বেশ পছন্দের। চলুন, জেনে নিই রেস্টুরেণ্টের মত রুমালী রুটি তৈরির সহজ রেসিপিটি।
উপকরণ:
১ কাপ আটা
২ কাপ ময়দা
১/২ চা চামচ (২-৩ চিমটি) বেকিং সোডা
১ চা চামচ লবণ
১-২ চা চামচ তেল
১.৫ কাপ পানি
প্রণালী:
১। প্রথমে আটা, ময়দা, লবণ, বেকিং সোডা এবং তেল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
২। এবার এতে অল্প একটু পানি মিশিয়ে আটা নরম করে নিন।
৩। এবার এতে বাকী পানিটুকু দিয়ে ভাল করে ডো তৈরি করুন।
৪। ডোটি একটি সুতির পাতলা কাপড় দিয়ে ১৫-২০ মিনিট ঢেকে রাখুন।
৫। ২০ মিনিট পর হাতের তালুতে কিছু তেল নিয়ে ডোটি আবার মাখুন।
৬। এখন ডোটি থেকে অল্পএকটু ছিড়ে নিয়ে গোল করে পাতলা রুটি তৈরি করে নিন।
৭। রুটিটি যেন অনেক পাতলা হয়
৮। এখন তাওয়াটি উল্টো করে চুলায় গরম করতে দিন।
৯। তাওয়া গরম হয়ে গেলে এতে রুটিটি দিয়ে দিন। রুমালী রুটি হতে বেশি সময় লাগে না।
১০। একপাশ হয়ে গেলে রুটি উল্টিয়ে দিন।
১১। রুটি কিছুটা পোড়া পোড়া দাগ হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন।
১২। ব্যস তৈরি হয়ে গেল রেস্টুরেন্টের মত রুমালী রুটি।
টিপস:
রুমালী রুটি অনেক পাতলা হওয়ার কারণে খুব দ্রুত এটি শক্ত হয়ে যায়। তাই রুটি তৈরির সাথে সাথে বক্সে প্যাক করে ফেলুন।
সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

শীতের দিনে উষ্ণ মাটন মিটবল স্যুপ

ranna banna o beauty tips
মাটন মিটবল স্যুপ
গত কিছুদিন ধরে শীতটা একটু কমতির দিকে। কিন্তু তারপরেও সন্ধ্যার দিকে হিমেল হাওয়ায় কাঁপুনি আসে ঠিকই। এ সময়ে কি খাওয়া যায় বলুন তো? হ্যাঁ, সবচাইতে ভালো লাগবে ধোঁয়া ওঠা এক বাটি স্যুপ। আর তাতে যদি ভাসতে থাকে কয়েকটা মিটবল, তাহলে তো আরও ভালো! শীত যাবার সাথে সাথে উদরপূর্তিও হবে নিশ্চিন্তে। চলুন, দেখে নেওয়া যাক রেসিপিটি।
উপকরণ

মিটবলের জন্য
-   ১ পাউন্ড খাসির মাংসের কিমা
-   ৩টি কাঁচামরিচ
-   ৪ কোয়া রসুন, মিহি কুচি
-   ২ ইঞ্চি আদা, মিহি কুচি
-   ২ টেবিল চামচ ধনেপাতা মিহি কুচি
-   আধা চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
-   আধা চা চামচ লবণ
-   ১ চা চামচ ভেজিটেবল অয়েল
-   ১টা মাঝারি ডিম
স্যুপের জন্য
-   দেড় টেবিল চামচ তেল
-   সিকি কাপ পিঁয়াজ বাটা
-   ১ টেবিল চামচ আদা রসুন বাটা
-   এক ইঞ্চি পরিমাণ দারুচিনি
-   ১টা তেজপাতা
-   ২য়া লবঙ্গ
-   আধা চা চামচ গোলমরিচ
-   ১ চা চামচ ধনিয়া
-   সিকি চা চামচ জিরা
-   পৌনে এক চা চামচ কাশ্মিরি মরিচ পাউডার অথবা পাপরিকা
-   ২ মাঝারি টমেটো, ব্লেন্ডারে পিউরি করা
-   ৩ টেবিল চামচ ঘন দই
-   ৪ কাপ পানি
-   লবণ স্বাদমতো
-   গার্নিশ করার জন্য ধনেপাতা এবং লেবুর রস (ইচ্ছা)
প্রণালী

১) একটা বোলে মিটবলের সব উপকরণ নিন। হাতে মাখিয়ে নিন ভালো করে। এরপর হাতে অল্প করে তেল মেখে এটাকে ছোট ছোট মিটবলের আকৃতি দিন। এগুলোকে একটা প্লেট অথবা ট্রেতে রেখে প্লাস্টিক শিট বা ক্লিং ফিল্ম দিয়ে ঢেকে ফ্রিজে রেখে দিন। এরপর স্যুপ তৈরি করা শুরু করুন।
২) হামানদিস্তায় গুঁড়ো করে নিন গোলমরিচ, লবঙ্গ, ধনে এবং জিরা। একটা বড় প্যান গরম করে নিন মাঝারি আঁচে। এরপর তেল দিন। তেল থেকে ধোঁয়া উঠতে শুরু করলে এতে দিয়ে দিন দারুচিনি এবং তেজপাতা। ১০ সেকেন্ড পর এতে দিয়ে দিন পিঁয়াজ, আদা-রসুনের পেস্ট এবং আঁচ কমিয়ে দিন। মশলা ভুনে নিন যাতে রঙ পরিবর্তন হয়ে যায়। ৫-৭ মিনিটের মাঝে হয়ে যাবে এবং মশলা থেকে সুন্দর গন্ধ আসবে।
৩) আঁচ কম রেখেই এতে দিয়ে দিন গুঁড়ো করা মশলা, টমেটো পিউরি, দই এবং লবণ। সবকিছু নেড়ে মিশিয়ে নিন। ৮-১০ মিনিট রান্না করুন। তেল ওপরে উঠে এলে পানি দিয়ে দিন। স্যুপ চেখে দেখুন লবণ ঠিক আছে কিনা। মাঝারি আঁচে এটাকে ফুটিয়ে নিন।
৪) স্যুপ ফুটতে শুরু করলে আবার আঁচ কমিয়ে দিন। এরপর ফ্রিজ থেকে মিটবল বের করে স্যুপে দিয়ে দিন। ওপরে ঢাকনা দিয়ে রান্না হতে দিন ১০-১২ মিনিট।
রান্না হয়ে গেলে ঢাকনা চাপা দিয়ে রেখে দিন দেড় থেকে দুই ঘন্টা। খাবার সময়ে আরেকবার কম আঁচে গরম করে নিন। তেজপাতা এবং দারুচিনি বের করে ফেলে দিন। ওপরে ধনেপাতা কুচি এবং একটু লেবুর রস চিপে দিয়ে পরিবেশন করুন।
শুনে মনে হতে পারে এই স্যুপ রান্নায় অনেক বেশি সময় লাগছে। কিন্তু এটা আগে থেকে তৈরি করে রাখা যায়, ফলে দরকারের সময়ে আসলে শুধু গরম করে নিলেই হয়।
টিপস
-   শুধু খাসির মাংস নয়, এটা তৈরি করতে পারেন চিকেন কিমা দিয়েও। চিকেন কিমা রান্না করতে সময় আরো কম লাগবে।
-   রুটির সাথে পরিবেশন করলে এই স্যুপ আপনি ব্রেকফাস্ট হিসেবেও খেতে পারেন।

সোমবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৬

ঘরেই তৈরি করে ফেলুন হারবাল শ্যাম্পু

ranna banna o beauty tips
হারবাল শ্যাম্পু
চুলের ময়লা দূর করে চুলকে পরিষ্কার রাখতে শ্যাম্পু ব্যবহার করা হয়। শ্যাম্পু চুল পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি চুলকে নরম কোমল স্বাস্থ্যজ্জ্বল করে তোলে। বাজারের নানা ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু কিনতে পাওয়া যায়। সবাই সাধারণত সেইসব শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি বলে এই শ্যাম্পুগুলো আছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। চুল পড়া বৃদ্ধি, খুশকি, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া সহ নানা সমস্যা দেখা দিতে বাজারের শ্যাম্পু ব্যবহার করে। খুব সহজে ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন হারবাল শ্যাম্পু। এই শ্যাম্পু সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি বিধায় এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। চুল পরিষ্কার করে চুলকে করে তুলবে সিল্কি, সুন্দর।
যা যা লাগবে:

রিঠা
শিকাকাই
আমলকি
যেভাবে তৈরি করবেন:

১। ৫০০ মিলিলিটার পানিতে ৬-৭টি শিকাকাই, ৫-৬টি রিঠা এবং কয়েকটি আমলকি সারারাত ভিজিয়ে রাখুন।
২। পরের দিন সকালে এই মিশ্রণটি চুলায় দিন। বলক আসলে চুলা নিভিয়ে দিন।
৩। এটি ঠান্ডা হয়ে গেলে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
৪। এটি করার সময় খেয়াল করবেন উপাদানগুলো থেকে প্রচুর ফেনা তৈরি হয়েছে।
৫। এবার এই মিশ্রণটি শ্যাম্পুর মত ব্যবহার করুন।
৬। এত ঝামেলায় যেতে না চাইলে আমলকি, রিঠা এবং শিকাকাই সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন, পরের দিন এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটিও শ্যাম্পুর মত কাজ করবে।
৭। রিঠা সারা রাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে সেটির পেস্ট তৈরি করে নিন। এর সাথে শিকাকাই গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি চুলে ব্যবহার করুন, আপনি চাইলে এর সাথে শ্যাম্পু মিশিয়ে নিতে পারেন।
যেভাবে কাজ করে:

আমলকি চুল পড়া রোধ করে। এর সাথে বিভিন্ন ফ্যাটি অ্যাসিড চুলকে নরম, কোমল করে তোলে। এর ফ্ল্যাভোনয়েড, ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন  নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে। রিঠা খুব ভাল পরিষ্কারক, ময়লা দূর করে ইনফেকশন রোধ করে থাকে। শিকাকাই চুলের জন্য খাদ্যস্বরূপ। এতে পিএচ লেভেল অনেক কম যার কারণে এটি চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হতে দেয় না। এরসাথে এটি চুল মজবুত করে তোলে।  এমনি খুশকি সমস্যাও সমাধান করে থাকে।
হারবাল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন আর পেয়ে যান সুন্দর স্বাস্থ্যজ্বল ঝলমলে চুল।

সুস্বাদু ভারতীয় খাবার ফুলকপি বাটার মাসালা

ranna banna o beauty tips
ফুলকপি বাটার মাসালা
বাটার চিকেন খেয়েছেন? ভারতীয় খুব জনপ্রিয় একটি খাবার এটি। বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। বাটার চিকেনের মত একটি খাবার হল ফুলকপি বাটার মসালা। ফুলকপি অনেকেরই পছন্দের সবজি। আর এই সবজিটি অনেকেই অনেকভাবে রান্না করে থাকেন। ফুলকপি দিয়ে এইবার রান্না করে ফেলুন ফুলকপি বাটার মাসালা।
উপকরণ:
  • ৩৫০ গ্রাম পেঁয়াজ
  • ১/৪ কাপ কাজুবাদাম
  • ১৫০ গ্রাম কাশ্মেরী মরিচ গুঁড়ো
  • লবণ
  • ১/২ কাপ মাখন
  • ১৫০০ গ্রাম টমেটো
  • ২ চা চামচ চিনি
  • ৮টি দারুচিনি
  • ৮টি লবঙ্গ
  • ৮টি এলাচ
  • ১টি তেজপাতা
  • ১ টেবিল চামচ আদা রসুনের পেস্ট
  • ১/৮ কাপ কাসরি মেথি
  • তেল
  • ১ চা চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার
  • ১ চা চামচ ময়দা
  • ২টি ফুলকপি
  • ১/২ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো

প্রণালী:
১। প্রথমে প্রেসার কুকারে মাখন দিয়ে দিন।
২। একটি সুতির পরিস্কার কাপড়ে দারচিনি, এলাচ, তেজপাতা, লবঙ্গ ভাল করে বেঁধে নিন। এখন এই কাপড়ের পুটলিটি প্রেসার কুকারে দিয়ে দিন।
৩। এবার এতে পেঁয়াজ কুচি, কাজুবাদাম, দিয়ে ৫ মিনিট নাড়ুন।
৪। এবার এতে লবণ, আদা রসুনের পেস্ট দিয়ে ১ মিনিট নাড়ুন।
৫। আদা রসুন নরম হয়ে গেলে এতে কাশ্মেরী লাল মরিচ, কাঁচা মরিচ, টমেটো কুচি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ১৫-২০ মিনিট রান্না করুন। প্রেসার কুকারে ৫-৬টি শিষ দিলে চুলা কমিয়ে দিবেন।
৬। এবার মিশ্রণটি ছেঁকে পানি ফেলে দিয়ে পেস্ট করে নিন।
৭। টমেটোর পেস্টটি ২০ মিনিট রান্না করুন। তারপর এতে লবণ, চিনি, কাসুরী মেথি দিয়ে দিন।
৮। বলক আসলে নামিয়ে ফেলুন। এই গ্রেভিটি আপনি ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন। পরবর্তীতে যেকোন রান্নায় এটি ব্যবহার করতে পারবেন।
৯। এখন ফুলকপি কিছুটা বড় আকৃতি করে কেটে লবণ পানিতে সিদ্ধ করে নিন।
১০। কর্ণ ফ্লাওয়ার, ময়দা, গোল মরিচ, ধনিয়া গুঁড়ো, লবণ, পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।
১১। ফুলকপির টুকরোগুলো এই পেস্টে ডুবিয়ে ভেজে নিন।
১২। বাদামী রং হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন।
১৩। এখন প্যানে টমেটো, পেঁয়াজের পেস্ট, মাখন, ক্রিম দিয়ে ১-২ মিনিট রান্না করুন।
১৪। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার ফুলকপি বাটার মশলা।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.