মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৬

স্বাদে গন্ধে ভরা সবজি খিচুড়ি

ranna banna o beauty tips
স্বাদে গন্ধে ভরা সবজি খিচুড়ি
সময়টা এখন হরেক রকম তাজা সবজির। এসব সবজির মিশেলে সুস্বাদু খিচুড়ি হলে সকালের নাস্তাটা মন্দ হয় না। ছোট বড় সবার কাছে প্রিয় হতে পারে বিশেষ রেসিপিতে রান্না সবজি খিচুড়ি। স্বাদ আর গন্ধে মোহময় এমন খিচুড়ি রান্না হবে সহজে। এক নজরে দেখে নিতে পারেন তেমনি এক দারুণ রেসিপি।

যা যা লাগবে

বাসমতি চাল ২ কাপ, সবজি (গাজর, বরবটি, মটরশুঁটি, ফুলকপি) ছোট টুকরো সব মিলিয়ে ২ কাপ, আলু আধা কাপ, ভাজা মুগডাল ১ কাপ, আদা বাটা দেড় চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া দেড় চা চামচ, টক দই দুই টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ ১ চা চামচ, চিনি ১ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, এলাচ ২টি, দারুচিনি ২টি, তেজপাতা ২টি, গরম পানি ৬ কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ, তেল আধা কাপ।

যেভাবে করবেন

মুগডাল ২ ঘণ্টা ও চাল আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। মটরশুঁটি ছাড়া সব সবজি একসঙ্গে সেদ্ধ করে নিন। কড়াইয়ে অর্ধেক তেল দিয়ে গরম হতে দিন। এবার তাতে গরম মসলা ও পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে টক দই, চিনি ও আধা চা চামচ লবণ দিন। একটু পর মসলা কষিয়ে সবজি দিন। সবজি কষানো হলে আলাদা পাত্রে তুলে রাখুন। এবার ওই কড়াইয়ে চাল দিয়ে ভাজতে থাকুন। ভাজা হয়ে গেলে গরম পানি ও আধা চা চামচ লবণ দিয়ে ঢেকে দিন। চাল পানি সমান সমান হলে রান্না করা সবজি দিয়ে নেড়ে ঢেকে আঁচ কমিয়ে ১০ মিনিট রান্না করুন। এবার কাঁচামরিচ ও ঘি দিয়ে আরও ১৫ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

মাতোয়ারা স্বাদের ব্রেড পুডিং

Ranna banna o beauty tips
মাতোয়ারা স্বাদের ব্রেড পুডিং
চলে আসলো নতুন বছর। বাসায় আগত অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য রয়েছে কতো না ব্যবস্থা। ঝাল মিষ্টি নানা পদের খাবার আয়োজনের মাঝে মনকাড়া স্বাদের ব্রেড পুডিং হতে পারে আকর্ষণের অন্যতম বিষয়। অনেক সময় বিয়ে বা জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও উপাদেয় ডেজার্ট হিসেবে এর ব্যবহার চলে। ছোটদের সঙ্গে বড়রাও থাকে ব্রেড পুডিং এর স্বাদে মাতোয়ারা। নতুন বছরের খাবার তালিকা যোগ করতে আপনার হাতেও হয়ে যাক ইয়াম্মি স্বাদের ব্রেড পুডিং। 

যা যা লাগবে

কন্ডেন্সড মিল্ক ২০০ গ্রাম, পাউরুটি ৬ পিস, দুধ ২ কাপ, বাটার ২৫ গ্রাম, ডিম ২ টি, কিসমিস ৫০ গ্রাম, জায়ফল গুঁড়া ১ চিমটি।

যেভাবে করবেন

প্রথমেই ওভেন ১৬০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডে প্রি হিট করতে দিন। এরপর পাউরুটিগুলোর চারপাশ থেকে শক্ত অংশ ফেলে দিতে হবে। এবার রুটির দুইপাশে বাটার লাগিয়ে কোণাকুণি করে কেটে নিন। এরপর একটি বেকিং মোল্ডে পাউরুটি স্লাইসগুলো সাজিয়ে নিন কয়েকটি লেয়ারে। প্রতিটি লেয়ারে কিশমিশ দিতে হবে। অপর একটি বাটিতে কন্ডেন্সড মিল্ক, ফেটানো ডিম, দুধ ও জায়ফল গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর বেকিং মোল্ডে সাজানো পাউরুটির উপর মিশ্রণটি ঢেলে দিন। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট কিংবা ব্রেডের ওপর গোল্ডেন ব্রাউন রঙ ধারণ করা পর্যন্ত বেক করে নিন। এরপর বের করে ঠাণ্ডা করে বা নিজের পছন্দে কেটে পরিবেশ করুন।

স্বাদে গন্ধে ভরা পোলাও জর্দা

ranna banna o beauty tips
স্বাদে গন্ধে ভরা পোলাও জর্দা
জর্দা মানেই অতি পরিচিত সুস্বাদু ডিজার্ড। অতিথি আপ্যায়নে এর জুড়ি মেলা দায়। স্বাদ আর গন্ধে ভরা পোলাও জর্দা ছোট বড় সবার পছন্দ। রান্নার কৌশল জানা না থাকায় সুস্বাদু এই খাবারটি যখন তখন খাওয়া জোটে না। আজ আমরা জেনে নেব কীভাবে খুব সহজে বাসায় রান্না করা যায় বিয়ে বাড়ির মজাদার পোলাও জর্দা।

যা যা লাগবে

পোলাও চাল ২ কাপ, গরম পানি ২ লিটার, দারুচিনি ২ টি, এলাচ ২ টি, তেজপাতা ২ টি, লবঙ্গ ৩ টি, জাফরান এক চিমটি, বাটার আধা কাপ, চিনি ২ স্বাদমতো, বাদাম কুচি ২ কাপ, ড্রাই ফ্রুটস দেড় কাপের একটু বেশি, দুধ ২ কাপ।

যেভাবে করবেন

পানি গরম হয়ে এলে পানিতে চাল, দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, তেজপাতা, খাবার রঙ বা দুধে ভিজানো জাফরান ছেড়ে দিতে হবে। এবার চাল প্রায় সেদ্ধ হয়ে এলে পানি ঝরিয়ে ফেলুন। প্যানে বাটার গরম হলে বাকি তেজপাতা, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ দিয়ে দিন। এক মিনিট ভেজে বাদাম কুচি দিয়ে হালকা ভাজতে হবে। চিনি আর দুধ দিয়ে দিন, চিনি গলে যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। এবার তাতে ড্রাই ফ্রুটস আর পানি ঝরানো চাল দিয়ে দিন। মাঝারি আছে পানি শুকানো পর্যন্ত রান্না করুন, খুব তাড়াতাড়ি পানি শুকিয়ে আঠালো হয়ে যাবে। তারপর নামিয়ে পছন্দমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার পোলাও জর্দা।

ঘরেই তৈরি করে ফেলুন রেস্টুরেন্ট স্বাদের চিকেন অন্থন

ranna banna o beauty tips
রেস্টুরেন্ট স্বাদের চিকেন অন্থন
চাইনিজে স্যুপের সাথে একটি খাবার প্রায় সবাই অর্ডার দিয়ে থাকেন, তা হল অন্থন। মচমচে এই খাবারটি স্যুপ ছাড়াও খেতে দারুন লাগে। অন্থন মূলত চিকেনের হয়, কিন্তু এটি সবজি দিয়েও তৈরি করতে পারেন। বাসায় অনেকেই অন্থন তৈরির চেষ্টা করে থাকে, কিন্তু রেস্টুরেন্টের মত হয় না। আসুন আজ জেনে নিই রেস্টুরেণ্টের মত মচমচে চিকেন অন্থন তৈরির রেসিপিটি।
উপকরণ:

১ কাপ ময়দা
১/২ কাপ কর্ণ ফ্লাওয়ার
২ চা চামচ মাখন
লবণ
৩/৪ কাপ গরম পানি
১ কাপ মুরগির কিমা
১ চা চামচ তিলের তেল
১/২ কাপ বাঁধাকপি
২টি ডিমের কুসুম
১ চা চামচ সয়াসস
১ টেবিল চামচ হয়সিন সন (ইচ্ছা)
১ গুচ্ছ ধনে পাতা
১ টেবিল চামচ পেঁয়াজ পাতা কুচি
১ টেবিল চামচ গাজর
১ চা চামচ কাঁচামরিচ কুচি
১ চা চামচ আদাকুচি
১ চা চামচ রসুন কুচি
তেল
১/২ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
প্রণালী:

১। প্রথমে ময়দা, কর্ণ ফ্লাওয়ার, মাখন, লবণ এবং গরম পানি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে ডো তৈরি করে নিন।
২। এখন একটি পাত্রে মুরগির মাংস বাটা, তিলের তেল, লবণ, বাঁধাকপি কুচি, দুটি ডিমের কসুম, সয়া সস, হইসিন সস, ধনে পাতা কুচি, পেঁয়াজ পাতা কুচি, গোলমরিচ গুঁড়ো, গাজর কুচি, কাঁচামরিচ, আদা কুচি, রসুন কুচি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৩। এখন মাংসের কিমার মাঝে অল্প একটু পানি দিয়ে মিশিয়ে নিন।
৪। এখন ময়দার ডো দিয়ে ছোট ছোট রুটির মত পাতলা অন্থন শিট তৈরি করে নিন।
৫। শিটের মাঝখানে মুরগির কিমা দিয়ে আঙ্গুলে পানি নিয়ে শিটের চারপাশে লাগিয়ে দিন।
৬। এবার শিট একপাশ থেকে ভাঁজ করে কিমার অংশটুকু ঢেকে মুড়িয়ে নিন।
৭। এরপর শিটের মাথা দুটোর মুখ মাঝখানে এনে লাগিয়ে দিন।
৮। তারপর গরম তেলে চিকেন অন্থন দিয়ে দিন।
৯। সোনালী রং হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন।

সোমবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৬

টমেটো দিয়ে মাছের দুই পদ

ranna banna o beauty tips
টমেটো দিয়ে মাছের দুই পদ
কাঁচা-পাকা টমেটোয় কইমাছ আর কাঁচাটমেটোয় শুটকি-মাছ ভুনা।

টমেটো দিয়ে কই মাছঃ
উপকরণ: কইমাছ ৯টি। বড় কাঁচাটমেটো ৪টি। মাঝারি পাকাটমেটো ২টি। মটরশুঁটি ১ কাপ। পেঁয়াজকুচি ১ কাপ। রসুনবাটা আধা টেবিল-চামচ। আদাবাটা ১/৪ টেবিল-চামচ। গুঁড়ামরিচ আধা টেবিল-চামচ। হলুদ আধা টেবিল-চামচ। ধনেগুঁড়া ১/৪ চা-চামচ। জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ। তেল আধা কাপ। কাঁচামরিচ ৪,৫টি। ধনেপাতা-কুচি ২ টেবিল-চামচ। লবণ স্বাদ মতো।
পদ্ধতি: কইমাছ ধুয়ে ২০ মিনিট লবণ, মরিচ, একটু হলুদ এবং তেলে দিয়ে মাখিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর মাছগুলো ভেজে ফেলুন৷

কড়াইতে তেল দিয়ে পেঁয়াজ হালকা রং করে ভাজুন। পাকাটমেটো কুচি করে তেলে দিয়ে ভাজতে থাকুন। এরপর একে একে সব মসলা আর অল্প অল্প পানি দিয়ে দুই তিনবার কষাতে হবে।

এখন মাছ, কাঁচাটমেটো, মটরশুঁটি ও কাঁচামরিচ দিয়ে ঢেকে ২০ মিনিট রান্না করুন। পানি শুকিয়ে তেল উপরে উঠে এলে, ধনেপাতা ছিটিয়ে নামিয়ে ফেলুন।

কাঁচাটোমেটো শুটকি ঝাল ভুনা 
উপকরণ: শুটকি ৬টি বড় আকারের। কাঁচাটমেটো ৪টি। পেঁয়াজকুচি ২ কাপ। রসুনকুচি ১ টেবিল-চামচ। রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ। মরিচগুঁড়া ২ টেবিল-চামচ। হলুদগুঁড়া ১ টেবিল-চামচ। আলু ২টি বড় আকারের। কাঁচামরিচ ৩,৪টি। তেল পরিমাণ মতো। লবণ স্বাদ মতো।
পদ্ধতি: শুটকিগুলো ছোট ছোট টুকরা করে নিন এবং শুকনা কড়াইতে টেলে নিন৷ শুটকিগুলো যখন পোড়া পোড়া হয়ে যাবে, টালা বন্ধ করে দিন এবং হালকা গরম পানিতে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট ভিজিয়ে রাখুন৷

ভেজানোর পর শুটকি নরম হয়ে যাবে তখন শুটকির ভেতরের কাঁটা খুলে ফেলে দিন এবং শুটকিগুলো খুব ভালো করে ধুয়ে রাখুন৷ আলুগুলো পাতলা লম্বা করে কেটে রাখুন৷

কড়াইতে তেল গরম করে শুটকি, পেঁয়াজ এবং রসুনকুচি দিয়ে বাদামি করে ভেজে সঙ্গে রসুনবাটা আর অল্প লবণ দিয়ে ভেজে নিন।

একটু পানি, মরিচ ও হলুদ দিয়ে মসলা কষিয়ে নিন। তারপর মসলার সঙ্গে আলু দিয়ে ঢেকে রান্না করুন দুই মিনিট।

এবার কাটা কাঁচাটোমেটো দিয়ে লবণ পরখ করুন। লাগলে লবণ দিতে পারেন স্বাদ মতো। তারপর ঢেকে দিন শুটকিভুনা৷

পাঁচ থেকে ছয় মিনিট পর আলু পুরোপুরি সিদ্ধ আর টমেটো আধা সিদ্ধ হলে শুটকি ভুনা করে নামিয়ে ফেলুন।

কিভাবে মেক আপ ছাড়াই অপরুপা হয়ে উঠবেন

ranna banna o beauty tips
কিভাবে মেক আপ ছাড়াই অপরুপা হয়ে উঠবেন
নারীরা সবসময় চায় পুরুষদের চোখে সে হয়ে উঠুক অনন্যা। আর নিজেকে সুন্দরী করার প্রমানে, প্রয়াসের শেষ নেই।  আজকাল বিউটি পার্লারের এতো রমরমা, যে দিনের শেষে বা সপ্তাহের শেষে একবার না একবার যেতেই হবে। নানারকম প্রসাধনীর মাধ্যমে নিজেকে সুন্দর করে তোলার এ এক সুবর্ণ সুযোগ। এখন শীত, নানান সামাজিক অনুষ্ঠান রয়েছে। আর সেই সব দিনগুলোতে নিজেকে অনন্য সাধারণ করে তোলার জন্য মেক আপকেই বেস্ট ফ্রেন্ড বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে। আগেকার দিনের মা খালারা কত সুন্দরী ছিলেন। একরাশ ঘন কালো চুল প্রায় অনেকেরই ছিল। তাঁরা কি তখন এতো প্রসাধনী ব্যবহার করত? একদম না। খুব সাধারন থেকেও তাঁরা ছিল অনন্যা। তাঁদের জীবনেও প্রেম আসত, তাঁদের জীবনেও বন্ধুত্ব ছিল। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।  বর্তমানে প্রসাধনী দ্রব্যের বিরাট ব্যবসার কারনে মানুষও আরও বেশি করে প্রভাবিত হচ্ছে। ভিতরের লাবন্য ক্রমাগত হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ পানি, পুষ্টিকর খাবার, ফলমূল, সবুজ সবজি খেলে ত্বক আপনা থেকেই উজ্জল হযে উঠবে। তাতেই নিজেকে সুন্দর দেখাবে। এবারে বলব মেক আপ ছাড়া নিজেকে কিভাবে সুন্দর দেখানো যাবে। 
রেগুলার কেয়ার: 
এটা সবাই জানে, দিনের বেলার সাজ সবসময় হালকা হবে। রাতের বেলা কড়া। কিন্তু খুব অল্প প্রসাধনী ব্যবহারেও নিজেকে সুন্দর দেখানো যায়। বাড়িতে থাকলে, সপ্তাহে অন্তত দু’দিন ঘরোয়া ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে মাখুন। ঘরোয়া ফেসপ্যাক বলতে দুধের সর ও মুসুর ডালের ফেসপ্যাক বা ময়দা,দুধ,গোলাপ পানির ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। বাইরে থেকে এলে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। রাতে কোনও ভাল নাইট ক্রিম ম্যাসাজ করুন। গোসলের সময় সাবান কম ব্যবহার করুন। রোজ সাবান না দিয়ে একদিন অন্তর সাবান দিন। অলিভ অয়েল গায়ে মাখতে পারেন। শ্যাম্পু করলেও মাঝে মধ্যে মাথায় ডিম বা আমলকী বা হেনা বা টক দই লাগান। তেল ও খুব জরুরি সুন্দর মজবুত চুলের জন্য। হট অয়েল ম্যাসাজ করবেন মাঝেমধ্যে। 
দিনের সাজ: 
এইবার, দিনেরবেলা বাইরে বেরনোর সময় ছাতা আর সানগ্লাস অবশ্যই পড়বেন। রোদ না থাকলে পড়ার প্রয়োজন নেই। রোদের তেজ খুব থাকলে লম্বা হাতার পোশাক পরার চেষ্টা করুন। বাইরে বেরুনোর জন্য সাজ হবে, হালকা কাজল আর ঠোঁটে গ্লস বা বাম। চুল বাধতেও পারেন আবার খোলা চুলও রাখতে পারেন। খুব বেশি জুয়েলারি পরার দরকার নেই। কপালে একটা ছোট্ট টিপ পরতে পারেন। 
রাতের সাজ: 
রাতের বেলা যদি কোনও অনুষ্ঠান বাড়ি থাকে বা কোথাও ঘুরতে যাওয়া থাকে, তবে উদ্দেশ্য অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন করবেন আপনি। এরপর বলব, যাদের লম্বা চুল তাঁরা নানান ফ্যাশনে হেয়ার স্টাইল করতে পারেন। ছোট চুল হলে ছেড়ে রাখতে পারেন বা একটা পনিটেল করে রাখতে পারেন। অনুষ্ঠান থাকলে পছন্দসই জুয়েলারি পরবেন। রাতে একটু ডিপ কালারের জামাকাপড় পরতে পারেন। সাজের ক্ষেত্রে বলব, চোখে কাজল আর আইলাইনার লাগান সরু বা মোটা করে, ঠোঁটে লিপস্টিক লাগান হালকা করে। আর মুখে অন্য কোনও প্রসাধনী নয়। দেখবেন এতেই আপনি মনকাড়া সুন্দরী হয়ে উঠবেন। পারফিউমের ব্যাপারে বলব হালকা মিষ্টি গন্ধের সুগন্ধি ব্যবহার করুন। টিপ পরতে চাইলে, একটু বড় টিপ পরুন। যারা একটু বেশি ঘামেন তাঁরা সবসময় হাতে ওয়েট টিস্যু রাখবেন। ঘামলে টিস্যু দিয়ে হালকা করে ঘামটা মুছে নেবেন। এভাবেই যত কম সাজবেন তত বেশি ন্যাচারাল লুক ফিরবে। ত্বকও ভাল থাকবে। মুখে ব্রণ কম হবে। 

ঝুলে যাওয়া ত্বক টানটান করুন প্রাকৃতিক উপায়ে

ranna banna o beauty tips
ঝুলে যাওয়া ত্বক টানটান করুন প্রাকৃতিক উপায়ে
ময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। বয়সের লক্ষণের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকের ইলাস্টিন ও কোলাজেনের গঠনে পরিবর্তন দেখা দেয় যার ফলে ত্বক স্থিতিস্থাপকতা হারায় এবং ত্বক নিজের ময়েশ্চারাইজিং উপাদান হারায়। তাই ত্বক ঝুলে পড়ে। এছাড়াও বয়স বৃদ্ধির জন্য চেহারার মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে ফলে ত্বক ঝুলে যায়।

ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমে যাওয়ার কারণ হল, সূর্যের আলোতে বেশীক্ষণ থাকা, অতিরিক্ত ধূমপান করা, নিয়মিত অ্যালকোহল পান করা, স্থূলতা, প্রেগনেন্সি, দ্রুত ওজন কমা, কম খাওয়া, ভুল স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করা, পানিশূন্যতা এবং ত্বকে প্রখর রাসায়নিক ব্যবহার করা ইত্যাদি।
ত্বক ঝুলে যাওয়ার সাথে সাথে বিশেষ করে চেহারায় বলিরেখা ও ফাইন লাইন দেখা দেয়। এছাড়াও ত্বক ম্লান এবং স্বচ্ছ দেখায় এবং ত্বক অনেক বেশি স্পর্শকাতর হয়ে পরে। ঝুলে পড়া ত্বকে টানটান করার জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় আছে। আজ সেগুলোই জেনে নেই আসুন।

১। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন ও হাইড্রেটেড থাকুন
প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার আপনার শরীরকে আভ্যন্তরীণ ভাবে হাইড্রেটেড রাখবে এবং ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বক বাহ্যিক ভাবে নমনীয় থাকবে। শিয়া বাটার, আমন্ড তেল, ও অলিভ অয়েল হচ্ছে সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বককে কোমল রাখে।
২। মুখের ব্যায়াম করুন
সবচেয়ে খারাপ জায়গা হচ্ছে মুখের ও ঘাড়ের ত্বক ঝুলে পড়া। সৌভাগ্যক্রমে মুখের কিছু ব্যায়াম আছে যা নিয়মিত করলে মুখের ত্বক টানটান হয়। বিশেষ করে চিবুকের ত্বক ঝুলে পড়তে শুরু করে তাড়াতাড়ি। চিবুকের ত্বক টানটান করার জন্য মুখ ভর্তি করে বাতাস নিন, ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন, তারপর ছেড়ে দিন। ৩০ গুণতে যে সময় লাগে সেই সময় পর্যন্ত দিনে দুইবার করে করুন। এইরকম আরো মুখের ব্যায়াম আছে যেমন- চিবুক উঠিয়ে সিলিং এর দিকে তাকিয়ে থাকুন, ৩০ সেকেন্ড পর নামিয়ে নিন। এভাবে চেহার এক্সারসাইজ করলে আস্তে আস্তে ত্বকের ভাঁজ গুলো দূর হবে।
৩। হেলদি ডায়েট       
হেলদি ডায়েট ত্বক টানটান করতে সাহায্য করে। ত্বক টানটান করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। যদি আপনি প্রতিদিন ফল ও সবজি খান তাহলে আপনার ত্বক আর্দ্র ও সুস্থ থাকবে। উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাদ্য অ্যান্টিএজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। ফ্রি রেডিকেল ড্যামেজ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যখন আপনার খাদ্য তালিকায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকেনা তখনই ত্বকের ঝুলে পড়ার সমস্যাটি দেখা দেয়। আপনার খাদ্য তালিকায় ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার যেমন- গাজর, বিট ইত্যাদি রাখুন। তাহলে ত্বকের ইলাস্টিসিটি পুনরায় ফিরে পাবেন। কোলাজেন বৃদ্ধির জন্য সয়া প্রোডাক্ট খান।
৪। ফেসিয়াল মাস্ক
ত্বক টানটান করার জন্য অন্যতম উপায় হচ্ছে ফেসিয়াল মাস্ক ব্যবহার করা। বিভিন্ন প্রকার মাস্ক আছে যেমন- ডিমের সাদা অংশ, লেবু, অ্যালোভেরা, মধু ও শশা ইত্তাদি।
·         ডিমের সাদা অংশে অ্যাস্ট্রিজেন থাকে যা ঝুলে পড়া ত্বকের মেরামতের জন্য ভালো।
·         ১টি বা ২টি ডিমের সাদা অংশ আলাদা করে নিয়ে ফেটাতে থাকুন যতক্ষণ না ফোমের মত হয়।
·         এবার এটি মুখে ও ঘাড়ে ভালোভাবে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
·         দৃঢ় ত্বকের জন্য সপ্তাহে ২ দিন এটি ব্যবহার করুন। 
৫। অয়েল ম্যাসাজ করুন
মুখে ও ঘাড়ে প্রাকৃতিক তেল যেমন- অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করলে ঝুলে পড়া ত্বক দৃঢ় হয়। অলিভ অয়েলে ভিটামিন এ ও ই থাকে যা অ্যান্টি এজিং হিসেবে কাজ করে।
·         অলিভ অয়েল সামান্য গরম করে মুখে লাগান
·         আঙ্গুল দিয়ে বৃত্তাকারে মুখে ম্যাসাজ করতে খাকুন ১০ মিনিট যাবত
·         প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এটা করুন।
·         এছাড়াও নারিকেল তেল, জোজোবা বা আমন্ড তেল ও ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়াও বাহিরে যাওয়ার ২০ মিনিট আগে ভালো মানের সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন যার SPF 15 বা তার উপরে। ঘুম কম হলে ত্বকের উপর সরাসরি প্রভাব পড়ে যার ফলে বয়সের ছাপ দ্রুত পরে। তাই পর্যাপ্ত সময় ঘুমান প্রয়োজন। প্রচুর পানি পান করুন। ধূমপান বর্জন করুন। হঠাৎ করে ওজন না কমিয়ে এক্সারসাইজের মাধ্যমে ওজন কমান। 

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.