বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৫

ঝাল ঝাল মঙ্গোলিয়ান প্রনের রেসিপিটি

Ranna Banna o beauty tips
মঙ্গোলিয়ান প্রনের রেসিপিটি
চিংড়ির নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে সবার। আর এই চিংড়ির রান্নাটি যদি হয় ঝাল ঝাল, একই সাথে মুচমুচে এবং সসে মাখামাখা, তাহলে তো কথাই নেই! ঝাল খেতে যারা ভালোবাসেন, তাদের জন্য রইলো দারুণ মঙ্গোলিয়ান প্রনের রেসিপি। মজাদার স্ন্যাক্স হিসেবে যেমন, তেমনি কোনো অনুষ্ঠানে অতিথিদের চমকে দিতেও দারুণ এই খাবারটি।
উপকরণ

    -   ১৬/১৮টি বড় চিংড়ি, পরিষ্কার করা কিন্তু লেজ সহ
    -   ৩/৪ কোয়া রসুন কুচানো
    -   ২ টেবিল চামচ লাল মরিচ পেস্ট
    -   লবণ স্বাদমতো
    -   আধা চা চামচ সাদা গোলমরিচ গুঁড়ো
    -   ডিপ ফ্রাই করার জন্য যথেষ্ট তেল
    -   ১ ইঞ্চি পরিমাণ আদা, কুচানো
    -   ২ টেবিল চামচ টমেটো কেচাপ
    -   ২ চা চামচ পাতলা সয়া সস
    -   ১ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার
    -   ১ চা চামচ চিনি
    -   ১ চা চামচ মল্ট ভিনেগার
    -   দুটো পিঁয়াজকলি কুচানো

প্রণালী

১) চিংড়িগুলোকে একটা বোলে নিয়ে এতে যোগ করুন অর্ধেক পরিমাণ রসুন, এক টেবিল চামচ মরিচ পেস্ট, লবণ এবং সাদা গোলমরিচের গুঁড়োর অর্ধেক। ভালো করে মিশিয়ে ম্যারিনেট হতে রেখে দিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট।

২) এই সময়ের পর এতে কর্ন ফ্লাওয়ার মিশিয়ে নিন।

৩) কড়াইতে ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল গরম করে নিন। চিংড়িগুলোকে মুচমুচে সোনালি করে ভেজে তুলুন।

৪) সস তৈরির জন্য নন স্টিক কড়াইতে অল্প করে তেল গরম করে নিন। এতে বাকি আদা-রসুন দিয়ে দিন এবং রসুন সোনালি হয়ে যাওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এতে বাকি মরিচের পেস্ট দিয়ে সাঁতলে নিন। এরপর টমেটো কেচাপ দিন। এতে যোগ করুন সয়া সস এবং ভাজা চিংড়িগুলো। টস করে মিশিয়ে নিন। স্বাদমতো লবণ, বাকি গোলমরিচ গুঁড়ো, চিনি এবং মল্ট ভিনেগার দিয়ে আবারও টস করে নিন।

ঘরেই তৈরি করে ফেলুন বাজারের সুস্বাদু পিজ্জা সস

Ranna Banna o beauty tips
পিজ্জা সস
পিজ্জা নাম শুনলেই জিবে পানি চলে আসে। রেস্টুরেন্ট তো বটেই, অনেকে বাসায়ও তৈরি করে থাকেন পিজ্জা। পিজ্জা তৈরির অন্যতম একটি উপাদান হল পিজ্জা সস যা বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। পিজ্জাটা যখন ঘরে তৈরি করছেন, তখন পিজ্জা সসটিও ঘরেই তৈরি করে ফেলুন। কীভাবে তৈরি করবেন? জেনে নিন পিজ্জা সস তৈরির সহজ রেসিপিটি।

উপকরণ:

৬টি বড় টমেটো

১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল

১ চা চামচ রসুন কুচি

১/২ কাপ পেঁয়াজ কুচি

১/২ চা চামচ অরিগেনো

১ চা চামচ লাল শুকানো মরিচ

২ টেবিল চামচ টমেটো কেচাপ

১ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো

লবণ স্বাদমত

১/২ চা চামচ চিনি



প্রণালী:

১। টমেটোগুলো মুখ কেটে পানিতে ২-৩ মিনিট সিদ্ধ করতে দিন। সিদ্ধ হয়ে গেলে টমেটোর খোসা ছাড়িয়ে ফেলুন।

২। টমেটোগুলো কেটে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।

৩। এবার প্যান গরম হয়ে এলে এতে অলিভ অয়েল দিন।

৪। অলিভ অয়েল গরম হয়ে আসলে এতে রসুন কুচি দিয়ে দিন।

৫। রসুন লাল হয়ে গেলে এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ১-২ মিনিট ভাজুন।

৬। তারপর এতে টমেটোর পেস্ট, ওরিগেনো, শুকনো মরিচ, টমেটো কেচাপ, লাল মরিচ গুঁড়ো, লবণ দিয়ে ২-৩ মিনিট রান্না করুন।

৭। চিনি দিয়ে মাঝারি আঁচে ১-২ মিনিট রান্না করুন।

৮। ঠান্ডা হয়ে গেলে এয়ার টাইট কনটেইনারে সংরক্ষন করুন।

৯। পিজ্জা তৈরির সময় ব্যবহার করুন পিজ্জা সস।

সহজেই তৈরী করুন পাঞ্জাবী মুঠি কাবাব

Ranna banna o beauty tips
মুঠি কাবাব
 "মুঠি কাবাব" এসেছে পাঞ্জাবী "মুঠঠি কাবাব" থেকে। এটা প্রধানত পাঞ্জাবী একটি খাবার। খাবারটি কিছুটা জালি কাবাব ধরণের হলেও এর আকৃতি এবং কিছু উপাদান ভিন্ন। হাতের মুঠোয় চাপ দিয়ে আকৃতি দেয়া হয় বলে এর নাম হয়েছে মুঠি বা মুঠো কাবাব।

খাবার টেবিলে যে কোনো ধরণের কাবাব থাকলেই পরিবারের সবাই খুশি। আর খুশি হবে নাই বা কেনো? কাবাবের স্বাদ ও ঘ্রাণে সবারই লোভ লেগে যায়। আসুন তাহলে দেখে নেয়া যাক মুঠি কাবাবের সহজ রেসিপি।

পুষ্টিগুণঃ

একটি মাঝারী আকৃতির মুঠো কাবাবে আছে ১৬০ ক্যালোরি, ৪ গ্রাম ফ্যাট, ১০৫ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল, ৩২০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ২৬ গ্রাম প্রোটিন।

উপকরণঃ

- ১/২ কেজি গরুর/খাসির কিমা
- ১ টেবিল চামচ গরম মসলা গুঁড়ো
- পেঁয়াজ কিমা আধা কাপ,
- ১ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
- ১ টেবিল চামচ কাঁচামরিচ কুচি
- ১ চা চামচ আদা বাটা
- ১ চা চামচ রসুন বাটা
- ১/২ চা চামচ চিনি
- ১ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার/ময়দা
- তেল ভাজার জন্য
- সরিষার তেল মাখানোর জন্য
- লবণ স্বাদ অনুযায়ী

প্রস্তুত প্রণালীঃ

- কিমা করা মাংসকে পাটায় আরেকবার ছেঁচে নিন। না নিলেও সমস্যা নেই, তবে নিলে ভালো।

- কিমা ভালো করে ধুয়ে পানি ছেঁকে নিন।

- কিমায় গরম মশলা, আদা বাটা, রসুন বাটা, সরিষার তেল, চিনি, লবণ, পেঁয়াজ, কর্ন ফ্লাওয়ার, ধনেপাতা ও কাঁচামরিচ কুচি মাখিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট রাখুন।

- মাঝারী আঁচে চুলায় ফ্রাই প্যান দিয়ে মাঝারি আঁচে তেল গরম করুন।

- এবার হাতে একটু তেল মাখিয়ে নিয়ে কিছুটা মিশ্রন হাতের মুঠোয় নিন।

- মুঠোয় চেপে চেপে আকার দিয়ে গরম ডুবো তেলে ছেড়ে দিন।

- কাবাব লাল করে ভেজে তুলে কিচেন টিস্যুতে তুলে নিন।

- পরোটা, সস কিংবা সালাদের সাথে পরিবেশন করুন গরম গরম মুঠি কাবাব।

মসলা মাখা " আলুর দম "

ranna banna o beauty tips
মসলা মাখা " আলুর দম "
রেল গাড়ি ঝমাঝম, পা পিছলে আলুর দম’ এই পঙতিটি তো সবাই শুনেছেন। কিন্তু এই আলুর দম বা দম আলু জিনিসটা খেয়েছেন কখনো? লুচি/পরোটা দিয়ে বা ভাতের সাথে দম আলু খেতে কিন্তু বেশ ভালো লাগে। একটু ঝাল আর মুখরোচক স্বাদের দম আলু খাবারে নিয়ে আসে ভিন্নতা। যারা মাছ মাংস ছাড়া খেতেই পারেন না, তাঁদের মুখেও কিন্তু বেশ লাগবে এর স্বাদ। সহজেই তৈরি করা যায় দম আলু। খুব বেশি সময়ও লাগে না বানাতে। আসুন দেখে নেয়া যাক মজাদার দম আলুর রেসিপি।

পুষ্টিগুণঃ

এক কাপ দম আলুতে আছে ৩৭৭ ক্যালরী, ২১.৭ গ্রাম ফ্যাট, ১০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল, ৮৫ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৫২০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ৩৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১০.৯ প্রোটিন।

উপকরণঃ

- আলু আধা কেজি (ছোট গোল আলু অথবা চারকোনা করে কাটা আলু)
- আদাবাটা ১ চা-চামচ
- জিরা গুঁড়ো ১ চা-চামচ
- হলুদ গুঁড়ো ১ চা-চামচ
- মরিচের গুঁড়ো ১ চা-চামচ
- তেজপাতা ১/২টি
- দারচিনি মাঝারী আকৃতির ৩/৪টি
- এলাচি ২টি
- টমেটো পিউরী ৪ টেবিল চামচ
- কাঁচা মরিচ ৩/৪ টি ফালি করা
- আস্ত জিরা আধা চা চামচ
- চিনি সামান্য
- তেল পরিমাণ মত
- লবণ পরিমাণ মত
- কিশমিশ- ইচ্ছা

প্রণালীঃ

- আলু হালকা সেদ্ধ করে নিন।

- কড়াইয়ে তেল গরম করে সেদ্ধ আলু হালকা ভেজে তুলে নিন।

- এবার আরেকটা কড়াইতে অল্প তেলে গোটা জিরা, এলাচি, দারচিনি একটু ভেজে নিন।

- তারপর তেজপাতা, আদাবাটা, মরিচ গুড়া, জিরা গুড়া, হলুদ গুড়া ও লবণ দিয়ে সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে নিন।

- মসলা কষে উপরে তেল উঠে এলে ভাজা আলু দিয়ে দিন।

- এবার কড়াইয়ে সামান্য পানি, অল্প চিনি, টমেটো পিউরি ও কিশমিশ দিয়ে আরেকটু কষিয়ে নিন।

- এবার কাঁচা মরিচ ফালি দিন।

- খেয়াল রাখুন আলু গলে না যায়। এবার মাখা মাখা ঝোল করে নামিয়ে নিন।

- উপর ধনিয়া পাতা কুচি ছিটিয়ে বিকেলের পরিবেশন করুন মজাদার আলুর দম।

ঘরেই তৈরি করুন সুস্বাদু আচারি মুরগী

ranna banna o beauty tips
সুস্বাদু আচারি মুরগী
 সেই নিয়মিত মুরগী ভুনা খেয়ে যারা বিরক্ত, তাঁদের জন্য আজকের এই ভিন্ন স্বাদের রেসিপি। আচারি মুরগী অত্যন্ত সহজ এবং সুস্বাদু। যারা ছুটির দিনে মুরগী রান্নার কথা ভাবছেন, তারা অবশ্যই আচারি মুরগী রেঁধে খেয়ে দেখুন একবার। আসুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে রাঁধবেন আচারি মুরগী।

পুষ্টিগুণঃ

প্রতি ১০০ গ্রাম মুরগীতে ১১০ ক্যালরি আছে। এতে আছে প্রোটিন, ফ্যাট, কোলেস্টেরল, সোডিয়াম ও পটাশিয়াম।

উপকরণঃ

- মুরগীর মাংস দেড় কেজি
- আম বা জলপাইয়ের আচার ৩ টেবিল চামচ
- পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ
- আদা বাটা ২ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা ২ চা চামচ
- জিরা বাটা ১ চা চামচ
- সরিষা বাটা ১ টেবিল চামচ
- মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
- হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ
- লবণ পরিমাণমতো
- দারচিনি ৪ টুকরা
- এলাচ ৪টি
- তেজপাতা ৪টি
- মেথি আধা চা চামচ
- তেল ১ কাপ
- কাঁচামরিচ ৫-৬টি
- টকদই আধা কাপ
- চিনি ১ চা চামচ

প্রণালীঃ

- মুরগীর মাংস ধুয়ে সব বাটা মশলা, গুঁড়া মসলা, টকদই ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে।

- তেল গরম করে মেথি ফোড়ন দিয়ে তেল ছেঁকে তুলে ফেলতে হবে।

- পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে নিতে হবে।

- মসলা মাখানো মাংস দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে।

- পরিমাণমতো গরম পানি দিয়ে রান্না করতে হবে।

- পানি শুকিয়ে গেলে কাঁচামরিচ, চিনি, আচার দিয়ে মাংস ভুনা ভুনা করে নামাতে হবে।

- রেসিপি জেনে নিলেন। এবার তাহলে বানিয়ে ফেলুন মজাদার আচারি মাংস। ভাত, পোলাও, বিরিয়ানি অথবা পরোটার সাথে পরিবেশন করুন গরম গরম আচারি মাংস।

বারাহি স্বাদের নিরামিষ

মাংসে অরুচি! নিরামিষের স্বাদ নিন তাহলে। তাতেও বৈচিত্র্যের অভাব নেই। শুভাগতা দেবাশীষ দিয়েছেন নানারকম সবজির রেসিপি। 

ranna banna o beauty tips
বরবটি ঘন্ট
ranna banna o beauty tips
নবরত্ন তরকারিঃ
বরবটি ঘন্ট
উপকরণ: বরবটি ১ কেজি, বড় আলু ২টি, আদা বাটা ২ চা-চামচ, জিরা বাটা ১ চা-চামচ, তেজপাতা ২টি, শুকনো মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি ১ চা-চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, তেল ৩ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৬-৭টি, গরমমসলা বাটা ১ চা-চামচ ও শুকনো মরিচ ২টি।
প্রণালি: বরবটি সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। তেলে আলু ভাজতে হবে এবং আলুর রং বাদামি হলে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলের মধ্যে আস্ত জিরা, তেজপাতা ও শুকনো মরিচ দিয়ে ফোড়ন দিতে হবে। তারপর নেড়েচেড়ে ব্লেন্ড করা বরবটি দিয়ে ভালো করে নাড়তে হবে। পানি শুকিয়ে এলে লবণ, আদা বাটা, জিরাবাটা, শুকনো মরিচের গুঁড়া ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। ২৫ মিনিট আস্তে আস্তে নাড়তে হবে যেন নিচে লেগে না যায়। তারপর ভেজে রাখা আলুগুলো দিতে হবে। আস্ত কাঁচা মরিচ দিতে হবে। আলু দেওয়ার পর ২-৩ মিনিট নেড়ে ঘি, গরমমসলা ও চিনি দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
ranna banna o beauty tips
নারকেল দুধে পটোলের দম

নবরত্ন তরকারিঃ 
ranna banna o beauty tips
নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল
ranna banna o beauty tips
আমড়ার চাটনি
উপকরণ: বরবটি ২৫০ গ্রাম, আলু ও গাজর ২৫০ গ্রাম, ফুলকপি ২টি, ক্যাপসিকাম বড় ১টি, টমেটো ২টি, পেঁয়াজবাটা ১ কাপ, কাজু বাদামবাটা ২ টেবিল চামচ, এলাচি ৫-৬টি, দারুচিনি ৩টি, তেজপাতা ২টি, ধনেপাতা পরিমাণ মতো, পেঁয়াজ বেরেস্তা আধা কাপ, পেঁয়াজ ৪ টুকরা করে নিতে হবে আধা কাপ, মাখন ৫০ গ্রাম, রসুন কুচি ১ চা-চামচ, সাদা তেল ৩ টেবিল চামচ, হলুদ-মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, আস্ত কাঁচা মরিচ ৩-৪টি, লবণ ও চিনি স্বাদ অনুসারে, আদা ও রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ এবং ফ্রেশ ক্রিম ১ কৌটা।
প্রণালি: সবজিগুলো চৌকা করে কেটে আধা সেদ্ধ করে ঠান্ডা পানিতে রাখতে হবে কিছুক্ষণ। তেলের মধ্যে এলাচি ও দারুচিনি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন থেকে সুগন্ধ বেরোলে পেঁয়াজবাটা কষাতে হবে। তারপর একে একে আদা, রসুন, হলুদ এবং মরিচের গুঁড়া দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষাতে হবে। কাজু বাদামবাটা দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ মৃদু আঁচে নাড়তে হবে। অনবরত নাড়তে হবে যেন লেগে না যায়। তেল ছাড়লে নামিয়ে ফেলতে হবে। কড়াইতে মাখন দিয়ে রসুন কুচি ফোড়ন দিতে হবে। রসুন বাদামি রং হলে সেদ্ধ করে রাখা সবজিগুলো দিয়ে ভালো করে নাড়তে হবে।
এরপর প্রস্তুতকৃত মসলা সেদ্ধ সবজিতে দিতে হবে। টুকরা করে কাটা টমেটো, ক্যাপসিকাম ও পেঁয়াজ দিতে হবে এবং নাড়াচাড়া করতে হবে। সবজি দেখে লবণ দিয়ে তারপর কাঁচা মরিচ ও চিনি দিতে হবে। ফ্রেশ ক্রিম দিয়ে ধনেপাতা কুচি আর পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

নারকেল দুধে পটোলের দম
পনিরের তরকারি
আলু পোস্ত
উপকরণ: পটোল আদা কেজি (ছিলে সেদ্ধ করে নেওয়া), পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল চামচ, আদাবাটা ১ চা–চামচ, ছোট এলাচি ৩/৪ টি, ঘি ও সরষের তেল একসঙ্গে ৪ টেবিল চামচ, নারকেলের দুধ দেড় কাপ, হলুদ আধা চা–চামচ, শুকনো মরিচের গুঁড়া আদা চা–চামচ, চিনি সিকি চা–চামচ, কাঁচা মরিচ ৭/৮টি ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: কড়াইতে তেল ও ঘি একসঙ্গে দিতে হবে। এলাচি থেঁতো করে ফোড়ন দিতে হবে। পেঁয়াজবাটা দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে হলুদ ও শুকনো মরিচের গুঁড়া দিয়ে কষাতে হবে। তেল ছাড়লে পটোলগুলো দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষাতে হবে। তারপরে নারকেলের দুধ দিয়ে মৃদু আঁচে ঢেকে রাখতে হবে। পটোল সেদ্ধ হয়ে মাখা মাখা হলে কাঁচা মরিচ দিতে হবে। সবশেষে ঘি এবং চিনি দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল
উপকরণ: ছোলার ডাল আধা কেজি, আদা বাটা ১ চা-চামচ, নারকেল কোরানো ১ কাপ, তেজপাতা ২-৩টি, ঘি ২ টেবিল চামচ, আস্ত জিরা ১ চা-চামচ, শুকনো মরিচ ৩-৪টি, সাদা তেল ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া সিকি চা-চামচ, দারুচিনি ৩-৪টি, এলাচি ৫-৬টি, লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: ডালের মধ্যে আদা বাটা, তেজপাতা, লবণ ও হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। যেন গলে না যায়। অন্য কড়াইয়ে তেলে আস্ত জিরা, শুকনো মরিচ ও তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে সুগন্ধ বেরোলে ডাল দিতে হবে। তারপর ঘিয়ে ভাজা নারকেল দিতে হবে। সবশেষে ঘি দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

আমড়ার চাটনি
উপকরণ: আমড়া ১ কেজি, চিনি ১ কাপ, শুকনোর মরিচ ২-৩টি, মরিচের গুঁড়া সিকি চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, আনারসের টুকরা ২ কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, আস্ত সরিষা আধা চামচের কম ও টেলে রাখা মৌরি গুঁড়া আধা চা-চামচ।
প্রণালি: লবণ ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে আমড়াগুলো ভালোমতো সেদ্ধ করে নিতে হবে। তারপর হাত দিয়ে চটকিয়ে নিতে হবে। সরিষার তেলে সরিষা ও শুকনো মরিচ ফোড়ন দিয়ে তাতে চটকিয়ে রাখা আমড়া দিতে হবে। হলুদ ও মরিচের গুঁড়া দিয়ে মৃদু আঁচে আস্তে আস্তে নাড়তে হবে। মাখা মাখা হয়ে গেলে চিনি দিতে হবে। ভালো করে নাড়াচাড়া করে নামানোর আগে ঘি দিয়ে ভেজে রাখা আনারসের টুকরাগুলো দিতে হবে। ওপরে মৌরি গুঁড়া ছড়িয়ে নামিয়ে নিতে হবে।

পনিরের তরকারি
উপকরণ: ২ কেজি দুধের ছানা, পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ চা-চামচ, টমেটো পিউরি ২ টেবিল চামচ, কাজু বাদামবাটা ২ টেবিল চামচ, ফ্রেশ ক্রিম আধা কৌটা, হলুদ ও মরিচের গুঁড়া ২ চা-চামচ, মাখন ৫০ গ্রাম, রসুন কুচি ১ চা-চামচ, এলাচি, দারুচিনি ও লবঙ্গ পরিমাণ মতো এবং লবণ ও চিনি স্বাদমতো।
প্রণালি: তেলে এলাচি, দারুচিনি ও লবঙ্গ দিয়ে ফোড়ন দিতে হবে। এরপর পেঁয়াজবাটা দিতে হবে এবং তা বাদামি রং ধারণ করলে আদা বাটা, রসুন বাটা ও টমেটো পিউরি দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কাজুবাদাম দিয়ে ভালো করে অনেকক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে। ছানাগুলো চৌকা করে কেটে নিতে হবে। অন্য কড়াইতে মাখন দিয়ে তার মধ্যে রসুন কুচি দিতে হবে। তারপর কষানো মসলা দিয়ে আরও একটু পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে তখন কেটে রাখা পনিরগুলো দিতে হবে। পরিমাণমতো লবণ ও চিনি দিতে হবে এবং সবশেষে ফ্রেশ ক্রিম দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

আলু পোস্ত
উপকরণ: আলু চাক করে কাটা ১ কাপ, আদা বাটা ২ চা-চামচ, জিরাবাটা ১ চা-চামচ, তেজপাতা ২টি, শুকনো মরিচ ২-৩টি, হলুদ আধা চা-চামচের একটু কম, পোস্ত বাটা ৩০০ গ্রাম, লবণ স্বাদ অনুসারে, চিনি ১ চা-চামচ, ঘি ৩ টেবিল চামচ, তেল ৩ টেবিল চামচ, শুকনো মরিচের গুঁড়া সিকি চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি ও আস্ত জিরা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: পোস্ত আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে বেটে নিতে হবে। কড়াইতে তেল ও ঘি একসঙ্গে দিয়ে জিরা, তেজপাতা ও শুকনো মরিচ দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে। এরপর একে একে আদা বাটা, জিরাবাটা, শুকনো মরিচের গুঁড়া ও সামান্য হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। মসলা থেকে তেল ছাড়লে আলুগুলো দিতে হবে। এরপর পাঁচ মিনিট কষাতে হবে। তারপর পোস্ত বাটা দিয়ে অল্প আঁচে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট নাড়তে হবে। এরপর চিনি দিতে হবে। শেষে ঘি দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

পছন্দের পোলাও-বিরিয়ানি

আবহাওয়া ঠান্ডার দিকে। বাড়িতে অতিথি আপ্যায়ন বা আড্ডার আয়োজন তো চলবেই। নিমন্ত্রণে পরিবেশনের জন্য পোলাও-বিরিয়ানির কিছু রেসিপি দিয়েছেন কল্পনা রহমান। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। 
ranna banna o beauty tips
কারিপাতা রাইস

কারিপাতা রাইসঃ
 উপকরণ: পোলাওয়ের চাল আধা কেজি, হলুদ গুঁড়া ১ চিমটি, নারিকেল কোরানো ১ কাপ, কারিপাতা ১ মুঠ, গোটা সরিষা ১ টেবিল চামচ, লবণ ১ চা-চামচ ও তেল আধা কাপ।
প্রণালি: পোলাওয়ের চাল লবণ দিয়ে ঝরঝরে করে সেদ্ধ করে নিন। প্যানে তেল গরম করে তাতে সরিষা কারিপাতার ফোড়ন দিয়ে হলুদ দিন। এবার তাতে সেদ্ধ করা ভাত ও নারিকেল কোরা দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে মেশান। এবার নামিয়ে গরম-গরম পরিবেশন করুন।
ranna banna o beauty tips
মুরগির বিরিয়ানি

মুরগির বিরিয়ানি
মুরগির বিরিয়ানিউপকরণ: দেশি মুরগি ৪ টি, পোলাওয়ের চাল ১ কেজি, আদার রস সিকি কাপ, রসুনের রস ১ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, মিষ্টি দই আধা কাপ, চিনি ১ চা-চামচ, কেওড়া জল ৪ টেবিল চামচ, পোস্তদানা বাটা ১ টেবিল চামচ, বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা দেড় কাপ, গুঁড়া দুধ ৪ টেবিল চামচ, ঘি ১ কাপ, তেল আধা কাপ, টমেটো সস সিকি কাপ, জয়ফল-জয়ত্রী-এলাচ-দারুচিনি ৪টি করে, জর্দার রং সামান্য, জাফরান ১ চিমটি, আলু বোখারা ৭/৮ টি, মাওয়া আধা কাপ, গোটা শাহি জিরা ১ চা-চামচ, আলু আধা কেজি, লবণ পরিমাণমতো ও আটা আধা কেজি।
প্রণালি: 
মুরগি ৪ টুকরা করে কেটে ধুয়ে ২ টেবিল চামচ লবণ, আধা কাপ টক দই ও ১ কাপ পানি দিয়ে ভিজিয়ে রেখে দিন ১৫ মিনিট। এরপর দইয়ের মিশ্রণ থেকে তুলে নিন। ওই মাংসে আধা কাপ মিষ্টি দই, মরিচ গুঁড়া, আদা-রসুনের রস, গুঁড়া দুধ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া, কেওড়া জল, টমেটো সস, পোস্তদানা বাটা, বাদাম বাটা ও প্রয়োজনমতো লবণ দিয়ে মেখে ৩০ মিনিট ঢেকে রেখে দিন।

চাল ১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। হাঁড়িতে চালের ৪ গুণ পানি দিয়ে ফুটিয়ে ভেজানো চাল ও প্রয়োজনমতো লবণ দিয়ে দিন। সঙ্গে আধা চা-চামচ শাহি জিরা ও এলাচ দারুচিনি
৪টি করে দিয়ে দিন। চাল প্রায় সেদ্ধ হয়ে এলে ছেঁকে ফ্যানের নিচে ছড়িয়ে দিন। চাল পুরোপুরি সেদ্ধ হবে না।
আলুগুলো আধা কাপ তেলে পরিমাণমতো লবণ দিয়ে ভেজে নিন। একটু পর ২ টেবিল চামচ বেরেস্তা ও ১ চা-চামচ চিনি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন। যে পাত্রে বিরিয়ানি রাঁধবেন সেই পাত্রে প্রথমে মেরিনেট করা মাংস দিন। তার ওপর ভাজা আলু ও তেল দিন। মাওয়া ও বেরেস্তা ১ টেবিল চামচ চিনি দিয়ে ভেঙে আলুর ওপর ছড়িয়ে দিতে হবে। মাংসের ওপর রান্না চালগুলো বিছিয়ে দিয়ে তার ওপর ঘি ছড়িয়ে দিন। চালের মাঝে মাঝে আলু বোখারা গুঁজে দিন। বাকি আধা চা-চামচ, শাহি জিরা ও কেওড়া জল ছড়িয়ে দিন।
আধা কাপ দুধে কেশর ভিজিয়ে চালে ছড়িয়ে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন। আটা গুলিয়ে কাই বানিয়ে পাতিলের মুখ বন্ধ করে দিন। তবে একটি চায়ের চামচ দিয়ে ২টি জায়গায় ছোট ফাঁকা রাখুন। চুলায় তাওয়া বসিয়ে তার ওপর পাতিল বসিয়ে দিন। প্রথম ১০ মিনিট বেশি জ্বালে তারপর মৃদু আঁচে ১ ঘণ্টা চুলায় রেখে আঁচ বন্ধ করে দিন। এভাবে আরও ১৫ মিনিট চুলার ওপর রেখে নামিয়ে গরম-গরম পরিবেশন করুন।
ranna banna o beauty tips
কোর্মা বিরিয়ানি

কোর্মা বিরিয়ানি
উপকরণ: খাসির মাংস ছোট করে কাটা ১ কেজি, বাসমতি চাল আধা কেজি, টক দই আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ ধনে গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, ভাজা জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ, ছোট এলাচ ৪ টি, কিশমিশ সিকি কাপ, আলুবোখারা ৭/৮ টি, পুদিনা পাতা ২ টেবিল চামচ, ধনে পাতা ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৫/৬ টি, শাহি জিরা আধা চা-চামচ, জর্দার রং সামান্য, সিরকা ১ টেবিল চামচ, ঘি-তেল দেড় কাপ, কেওড়া জল ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো। কোর্মার মসলা (ছোট এলাচ ৬ টি, বড় এলাচ ৩ টির বিচি, লবঙ্গ ৪ টি, সাদা গোলমরিচ ৬টি ও দারুচিনি ৪/৫টা। এই মসলাগুলো চুলার পাশে রেখে মচমচে করে গুঁড়া করে
নিতে হবে)।
প্রণালি: দই, আদা-রসুন বাটা, ধনে গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া ভাজা, জিরা, লবণ, সিকি কাপ তেল, ২ টেবিল চামচ ঘি,১ টেবিল চামচ কেওড়াজল ও কোর্মার মসলা অর্ধেক দিয়ে মাংস মেখে রাখুন। পাত্রের ১ কাপ তেল ও ঘি দিয়ে বেরেস্তা করে অর্ধেক তুলে নিন। বাকি অর্ধেক বেরেস্তার মধ্যে মাংস দিয়ে কোর্মার মতো রান্না করুন। নামানোর আগে বাকি অর্ধেক মসলা দিয়ে দিন।
চাল ২০ মিনিট ভিজিয়ে পানি ছেঁকে নিন। অন্য পাত্রে চালের ৪ গুণ গরম পানি করে তাতে কাঁচামরিচ ৫/৬ টি, এলাচ ৪/৫ টি, পুদিনাপাতা ২ টেবিল চামচ, ধনে পাতা ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, দারুচিনি ২/৩ টুকরা ও শাহি জিরা আধা চা-চামচ দিন। পানি ফুটে গেল ভেজানো চাল দিন। চাল আধা সেদ্ধ হলে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
এবার বিরিয়ানি রান্নার পাত্রে ১ টেবিল চামচ ঘি ছড়িয়ে দিন। এবার কিছুটা আধা সেদ্ধ চাল ছড়িয়ে অর্ধেক পরিমাণ মাংস ঢেলে দিন। এর ওপর বেরেস্তা ও কিশমিশ ছড়িয়ে দিন। মাংসের ওপর আবার একইভাবে রান্না করা ভাত ও মাংসের স্তর সাজান। ওপরে আবার চাল দিন। এখানে ভাতের স্তর হবে তিনটি এবং মাংসের স্তর হবে দুটি। সবার ওপরে বাকি ঘি এবং দুধে ভেজানো কেওড়া ছড়িয়ে দিয়ে আলু বোখারা গুজে দিন। এবার ঢাকনা দিয়ে ২০ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.