বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৫

সাধারণ মুরগীর মাংসের ভিন্ন স্বাদ "চিকেন মিটবল কারি"

ranna banna o beauty tips
"চিকেন মিটবল কারি"
সেই একঘেয়ে মুরগীর কারি বা কোরমা কতক্ষণ আর ভালো লাগে? স্বাদ বদল চাইলে চলুন আজ জেনে নিই সুমনা সুমির একটি দারুণ রেসিপি। কেবল ভাত নয়, পোলাও বা যে কোন রুটি-পরোটার সাথেও পরিবেশন করতে পারবেন এই কারি। উৎসবের আয়োজনেও মানিয়ে যাবে চমৎকার।


মিটবল তৈরি

মুরগির কিমা ২কাপ
ডিমের সাদা অংশ ২টি
টমেটো সস ১ টেবিল চামচ
লেবুর রস ১টেবিল চামচ
লবণ ১চা চামচ
কর্নফ্লাওয়ার ১টেবিল চামচ
বিস্কুটের গুঁড়ো ১/৪কাপ (প্যানে ১ টেবিলচামচ তেল দিয়ে বিস্কুটের গুঁড়ো একটু ভেজে নিন)
পেঁয়াজ বেরেস্তা ১/৪কাপ
গরম মসলা গুঁড়ো ১চা চামচ
গোলমরিচ বাটা ১চা চামচ
মরিচ গুঁড়ো ১চা চামচ
আদা রসুন বাটা ১চা চামচ করে

    -বিটার দিয়ে কিমা, ডিম,লেবুর রস, সস ও কর্নফ্লাওয়ার ভাল করে ফেটে নিন।
    বাকি সব উপকরণ একসাথে ভাল করে মিশিয়ে নিন। হাতে তেল মেখে নিয়ে আঙ্গুল দিয়ে চেপে চেপে গোল করে বল বানিয়ে নিন।ফ্রিজে ১ঘন্টা রেখে দিন।

গ্রেভী তৈরি

তেল ১/২কাপ
পেঁয়াজ কুচি ১কাপ
লবণ ১চা চা
টকদই ১ টেবিল চামচ
এলাচ ৩টি, দারুচিনি ২টি, তেজ়পাতা ২টি
মরিচ, বাটা ১চা চামচ
গরম মসলা গুঁড়ো ১ চা চামচ
হলুদ বাটা ১চা চামচ
ধনে বাটা ১চা চামচ
কাচামরিচ ৩টি
আদা বাটা ১চা চামচ
রসুন বাটা ১চা চামচ
ভাজা জ়িরা, গুঁড়ো ১চা চামচ
ঘি ২ টেবিল চামচ
চিনি ১ চা চামচ

প্রণালি

    -কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে নরম করে ভেজে চুলা বন্ধ করে দিন। ব্লেন্ডারে নরম পেয়াজের সাথে ১/৪কাপ পানি দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন।
    -এই মিশ্রনটি আবার কড়াইতে ঢেলে সব বাটা ও গুঁড়ো মসলা ,এলাচ, দারচিনি এবং তেজ়পাতা দিয়ে কষিয়ে নিন।
        -ফ্রিজ থেকে নামিয়ে মিটবল দিয়ে মসলার সাথে মিশিয়ে নিয়ে ১ মিনিট ঢেকে রান্না করুন।
        -মিটবলে ১কাপ পানি দিয়ে মিশিয়ে অল্প আছে ঢেকে ১৫ মিনিট রান্না করুন। বেশি নাড়া যাবেনা। কড়াই হাত দিয়ে ধরে নেড়ে দিন।
        -তেলের উপর উঠলে কাঁচা মরিচ,ঘি, চিনি ও ভাজা জিরা গুঁড়ো দিয়ে ২ মিনিট দমে রাখতে হবে।
        -চুলা বন্ধ করে ভাত, পোলাও বা রুটির সাথে পরিবেশন করুন।

রাইস কুকারে ভাপা কাচকি

ranna banna o beauty tips
রাইস কুকারে ভাপা কাচকি
এই শীতের মৌসুমে কিন্তু নতুন সবজি আর ধনেপাতা দিয়ে মাছ খেতে বেশ লাগে। গরম ভাতের সাথে কাচকি মাছের চচ্চড়ি, রসনা বিলাসে আর কিছু চাই কি? না, আজ কাচকির চচ্চড়ি নয়। বরং তৈরি হবে ভাপা কাচকি, তাও আবার রাইস কুকারে! চলুন, জেনে নিই বীথি জগলুলের রেসিপি।

যা প্রয়োজন

কাচকি মাছ- দেড় কাপ
পিয়াজ কুচি- ১/২ কাপ
কাঁচামরিচ ফালি- ১০-১২টি
আলু মিহি কুচি- ১টি বড়ো
হলুদ গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
জিরা/মরিচ গুঁড়া- ১ চা চামচ করে
ধনেপাতা কুচি- ইচ্ছামতো
বাধাকপির পাতা- ৮-১০টি
সরিষার তেল- পরিমাণমতো
লবণ-স্বাদমতো

যেভাবে করবেন

    -মাছ বেছে ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। আলু খুব মিহি করে কুচি করে নিন, নয়তো গ্রেটারে গ্রেট করে নিন। বাধাকপির পাতা ফুটন্ত গরম পানিতে ভাপ দিয়ে নিন।
    -এবার একটি বাটিতে মাছ ও পাতা ছাড়া সব উপকরণ হাত দিয়ে খুব ভালোভাবে মাখিয়ে নিন। মাখানো হলে এরসাথে আলতো হাতে মাছ মিশিয়ে নিন যেন মাছ ভেঙে না যায়। মাছের এই মিশ্রণটি ৮-১০ ভাগে ভাগ করে পাতা দিয়ে মুড়িয়ে নিন। এবার একটি হাফ প্লেটে পাতায় মোড়ানো মাছের মিশ্রণ সাজিয়ে রাখুন।
    -রাইস কুকারের বাটিতে অল্প পানি দিয়ে ফুটতে নিন। পানি ফুটে উঠলে রাইস কুকারের ছিদ্রওয়ালা বাটির ওপর হাফ প্লেট বসিয়ে দিন। ১০ মিনিট হাই পাওয়ারে রাইস কুকার চালু রাখুন। ১০ মিনিট পর কুকার অফ করে দিন, কিন্তু ঢাকনা খুলবেন না। ১০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে হাফ প্লেট বের করে নিন।
    -গরম সাদা ভাতের সাথে পরিবেশন করুন মজাদার ভাপা কাচকি।

মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৫

নাশতার আয়োজনে

ranna banna o beauty tips
কিমা কর্ন ফ্লেকস রোল
কিমা কর্ন ফ্লেকস রোল
উপকরণ: মাংসের কিমা ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, লবণ ১ চা-চামচ, পাউরুটির গুঁড়া ও কর্ন ফ্লেকস পরিমাণমতো। গোলার জন্য ময়দা আধা কাপ, ডিম ১টা, লবণ স্বাদমতো, পানি পরিমাণমতো, শুকনা মরিচ আধা চা-চামচ।
প্রণালি: রোলের সব উপকরণ পরিমাণমতো পানি দিয়ে গোলা বানিয়ে নিন। কর্ন ফ্লেকস বাদে কিমার সঙ্গে বাকি সব উপকরণ মেখে নিন। হাত দিয়ে লম্বা লম্বা রোল বানিয়ে নিন। কর্ন ফ্লেকস হাত দিয়ে ভেঙে নিন। কিমার রোল গোলায় ডুবিয়ে কর্ন ফ্লেকসে গড়িয়ে নিন। ডুবোতেলে সোনালি করে ভেজে নিন। এবার হট সস দিয়ে গরম-গরম পরিবেশন করুন।

ranna banna o beauty tips
স্প্রিং বিফ
স্প্রিং বিফহান্টার বিফ
স্প্রিং বিফ
স্প্রিং বিফহান্টার বিফ
উপকরণ (ক): গরুর মাংস আধা কেজি গোটা টুকরা, সিরকা ৩ টেবিল চামচ, লেবুর রস ৩ টেবিল চামচ, ক্যারামেল (চুলায় পাত্রে চিনি ও পানি দিয়ে, পোড়া পোড়া করে ক্যারামেল বানিয়ে নিন) ১ টেবিল চামচ, খাওয়ার সোডা আধা চা-চামচ, লবণ ৩ টেবিল চামচ, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ।
প্রণালি: মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন, তারপর কাপড় দিয়ে মুছে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। একটি পাত্রে সিরকা, লেবুর রস, গুড় ও ক্যারামেল মিশিয়ে নিন। মাংসের টুকরার এপিঠ-ওপিঠ কাঁটাচামচ দিয়ে কেঁচে নিন। এবার মাংসে সিরকার মিশ্রণ মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন। মাংস যেন মিশ্রণে ডুবে থাকে। এবার ভালো করে ধুয়ে ডুবো পানিতে প্রায় ১ ঘণ্টা সেদ্ধ করুন। মাংস সেদ্ধ হলে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে খোলা বাতাসে রেখে ঠান্ডা করে নিন। পাতলা শিটের মতো কেটে নিন।
উপকরণ (খ): হান্টার বিফ পাতলা টুকরা ১০-১২টি, ময়দা আধা কাপ, বেসন সিকি কাপ, বেকিং পাউডার ১ চা-চামচ, ডিম ১টি, গোলমরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, ঘি পরিমাণমতো, লবণ পরিমাণমতো, আলুভাজা পরিমাণমতো।
প্রণালি: ময়দা, বেসন, বেকিং পাউডার, ডিম, গোলমরিচ গুঁড়া ও লবণ সামান্য পানি দিয়ে মিশিয়ে ব্যাটার তৈরি করে নিন। মিশ্রণটা একটু ঘন হবে। এবার ফ্রাইপ্যানে ঘি দিন। গরম হলে মাংসের টুকরা ব্যাটারে ডুবিয়ে বাদামি করে ভেজে নিন। আলুভাজা দিয়ে পরিবেশন করুন।
ranna banna o beauty tips
পাঁচমিশালি নুডলস

পাঁচমিশালি নুডলস
উপকরণ: নুডলস ২ কাপ, চিংড়ি কুচি আধা কাপ, ডিম ২টি, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, পনির আধা কাপ, তেল ৬ টেবিল চামচ, ধনেপাতা পরিমাণমতো, লবণ পরিমাণমতো, সয়া সস ১ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, নানা রকম সবজি হালকা
সেদ্ধ ১ কাপ।
প্রণালি: নুডলস সেদ্ধ করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন, খেয়াল রাখবেন যেন না ভাঙে। ডিম ওমলেট করে কুচি করে নিন। চুলায় পাত্রে তেল দিয়ে, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে একটু নেড়ে নিন। এতে চিংড়ি কুচি দিয়ে কাঁচা মরিচ কুচি, সয়া সস ও লবণ দিন। ডিমের কুচি অর্ধেকটা দিন। এবার নুডলস দিয়ে নেড়েচেড়ে ধনেপাতা দিন। সবশেষে সবজি ও বাকি ডিমের কুচি দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
ranna banna o beauty tips
সবজির প্যানকেক

সবজির প্যানকেক
 উপকরণ: ময়দা ১ কাপ, ডিম ১টা, দুধ দেড় কাপ, ঝিঙে ১ কাপ (পাতলা কুচি), ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, বিচি ফেলা কাঁচা মরিচ কুচি পরিমাণমতো।
প্রণালি: বাটিতে দুধ ও ডিম বিট করে নিন। এরপর ময়দা, লবণ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে বিট করে মসৃণ ডো বানিয়ে নিন। এতে ঝিঙে ও ধনেপাতা কুচি মিলিয়ে ঢেকে রেখে দিন। ১৫ মিনিট পরে ফ্রাইপ্যান চুলায় দিন। নরম কাপড়ে তেল একটু মেখে ফ্রাইপ্যানে বুলিয়ে নিন। প্যানকেক বানাতে বেশি তেল লাগবে না। এতে প্যানকেক একটা করে দিয়ে সেঁকে নিন। সব বানানো হয়ে গেলে ওপরে মুরগির টপিং দিয়ে পরিবেশন করুন।

মুরগির টপিং:
উপকরণ: সেদ্ধ মুরগির মাংসের কুচি ১ কাপ, চিনি আধা চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ২টা (বিচি বাদ দিয়ে কুচি করা), মেয়োনেজ আধা কাপ, লেবুর রস ২ চা-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ। সব উপকরণ একসঙ্গে চামচ দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে স্বাদ দেখে প্যানকেকের ওপরে দিয়ে পরিবেশন করুন।

সংগ্রহ ঃ প্রথম আলো


৭টি কৌশলে হয়ে উঠুন পারফেক্ট গৃহিণী

ranna banna o beauty tips
৭টি কৌশলে হয়ে উঠুন পারফেক্ট গৃহিণী
অনেকের ধারণা গৃহিণী হওয়া অনেক সহজ কাজ। যে কেউই ভাল গৃহিণী হতে পারেন। কিন্তু এটি আসলে ভীষণ ভুল ধারণা। একজন গৃহিণীকে অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়, অনেক কিছু একসাথেই সামাল দিতে হয়।  একজন সুগৃহিণী সব সময় চাইবেন সঠিকভাবে তার পরিবার ও ঘর সামলাতে। কিন্তু নানা ঝামেলার কারণে ইচ্ছা থাকার সত্ত্বেও সব সময় সব কাজ করা ঠিকমত হয়ে উঠে না। যদি পারফেক্ট গৃহিণী হওয়ার কোন ফর্মুলা থাকতো তাহলে দারুন হতো, তাই না? ঠিক ফর্মুলা না হলেও কিছু কৌশলের কথা জানিয়েছে myshaadi, youngwifesguide. এবং virtuedigest থেকে।

১। মনস্থির করুন

“সবকিছুর আগে পরিবার তারপর আপনার অন্য কাজ”- এই কথাটি মনে গেঁথে নিন। তারপর আপনার সারাদিনের পরিকল্পনাগুলো করুন।

২। একটি লিস্ট তৈরি করুন 

প্রতিদিনকার কাজের লিস্ট তৈরি করে নিন। রান্না করা, পরিস্কার করা, কেনাকাটা এমনকি বাচ্চাদের ঘুরতে নিয়ে  যাওয়াসহ সকল কাজের  একটি লিস্ট তৈরি করে নিন। আপনার যদি নতুন বিয়ে হয়ে থাকে তবে, কী কী কাজ করতে হবে এবং কী কী কাজ আপনি শিখতে আগ্রহী তার একটি লিস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। এটি আপনাকে কাজের  কথা মনে করিয়ে দেওয়ার সাথে সাথে আপনার কাজকে সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ করতে সাহায্য করবে। কাজের সময় নির্দিষ্ট করে নিতে পারেন। যেমন আপনি ঠিক করে রাখতে পারেন ১৫ মিনিটে শোবার ঘরটি গোছাবেন। এতে কাজ করা সহজ হবে সাথে সময় ম্যানেজ করা হয়ে যাবে।

৩। ঘর গোছানো

ঘর প্রতিনিয়ত আগোছালো হয়ে থাকে। বিশেষ করে যদি ঘরে বাচ্চা থাকে তবে তো কোন কথা নেই! বাচ্চা হোক বড় ঘর অনেক বেশি আগোছালো থাকে। আপনাকে ঘর কোন জিনিসটি কোথায় রাখবেন তা আগে পরিকল্পনা করে রাখুন। এছাড়া ঘর আগোছালো হলে দ্রুত গোছানোর চেষ্টা করুন। পরে করব বলে রেখে দিলে দেখা যাবে ঘরটি আর গোছানো হয়ে উঠছে না। 

৪। ঘর পরিষ্কার রাখা

ঘর সবসময় পরিষ্কার রাখুন। একজন মানুষের পক্ষে একা ঘর পরিস্কার করা কঠিন। তাই ঘর পরিষ্কার করতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাহায্য নিন। বয়স অনুযায়ী ঘরের সদস্যদের মধ্যে কাজ ভাগ করে দিন। ঘর পরিষ্কার করার সাথে সাথে ঘর সাজানোর দিকে লক্ষ্য রাখবেন। তবে খেয়াল রাখবেন ঘর যেন অতিরিক্ত সাজানো না হয়ে যায়।

৫। নিজেকে সময় দিন

সংসারের কাজ করতে করতে নিজের কথা ভুলে গেলে চলবে না। একজন পারফেক্ট গৃহিণী ঘরে সব কাজ করে নিজের জন্য কিছু সময় বের করে রাখেন। দিনে কিছুটা সময় নিজেকে দিন। ত্বকের যত্ন করুন বা চুলের যত্ন। সম্ভব হলে কোন পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল করে আসতে পারেন। মনে রাখবেন আপনি যদি সুস্থ সুন্দর থাকেন, তবে আপনার পরিবারও সুস্থ সুন্দর থাকবে। তারা আপনার উপর নির্ভরশীল।

৬। ইতিবাচক থাকুন

আপনি সব সময় ইতিবাচক মত পোষণ করুন। কারণ আপনার কাছ থেকে অন্যরা অনুপ্রাণিত হবে। তাই আপনাকে নেতিবাচক মনোভাব দূর করতে হবে।

৭। মজার কিছু রান্না জানুন

কথিত আছে ছেলেদের হৃদয়ের রাস্তা পেট দিয়ে যায়। এই কথাটি আপনার বর এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য প্রযোজ্য। নতুন কিছু খাবারের রেসিপি শিখে নিন। এই খাবারগুলো তৈরি করে চমকে দিন প্রিয় মানুষদেরকে।

 একজন পারফেক্ট গৃহিণী হওয়া খুব কঠিন কিছু নয়। এর জন্য প্রয়োজন শুধু ইচ্ছা, পরিবারের প্রতি ভালোবাসা আর মমতা।

লম্বা ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার আগে যে ৯টি বিষয় লক্ষ্য করা প্রয়োজন

ranna banna o beauty tips
দীর্ঘ ছুটিতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার মজাই আলাদা। এই দিনটার জন্যই হয়তো অপেক্ষা করছেন অনেক দিন। কিন্তু বেড়াতে যাওয়ার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি হয়ে যাওয়ার পরও বাসার এমন কিছু বিষয় থাকে যা আবার চেক করে নেয়া উচিৎ। নাহলে বেড়ানোর আনন্দটাই মাটি হয়ে যেতে পারে যখন বাসায় ফিরে দেখবেন যে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটে গেছে। তাই আসুন কিছু টিপস জেনে নিই যেগুলো অনুসরণ করলে বেড়াতে যাওয়ার পরও আপনার বাড়ির সুরক্ষা নিশ্চিত থাকবে।

১। আপনার রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা খুব বেশি বা খুব কম যেন না হয়। নষ্ট হয়ে যাওয়ার মত কোন দুধ জাতীয় খাবার থাকলে তা কাউকে দিয়ে দিন।

২। বাসার সব পানির কল গুলো ভালোভাবে বন্ধ করুন। যদি কোনটা ভুলে খোলা থাকে তাহলে বাসার জিনিসপত্র পানিতে ভেসে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৩। সমস্ত ইলেক্ট্রনিক্সের সুইচ বন্ধ করুন বা স্ট্যান্ড বাই মোডে রাখুন। টিভি ও  ডিভিডি প্লাগটি খুলে রাখুন।

৪। বাসার ঘড়িতে অ্যালার্ম দেয়া থাকলে সেটি বন্ধ করুন, নাহলে প্রতিবেশীদের সমস্যা হবে।

৫। আপনি ফিরে আসার আগেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে এমন কোন জিনিস থাকলে তা কাউকে দিয়ে দিন।

৬। পত্রিকার হকারকে তার বিল দিয়ে দিন এবং কিছুদিন পত্রিকা দিতে নিষেধ করুন অথবা প্রতিবেশীকে আপনার পত্রিকাটি রাখার কথা বলুন।

৭। আপনার আত্মীয়, প্রতিবেশী ও বন্ধুদের জানিয়ে যান এবং তাদের কাউকে বলুন আপনার বাসাটিকে দেখে রাখার জন্য।

৮। বাসার ভিতরে টাইমার সেট করে কম আলোর একটি ভাল্ব জালিয়ে রাখতে পারেন।

৯। সব বারান্দার দরজা ভালো করে বন্ধ করুন। বেরিয়ে যাওয়ার সময় বাহিরের দরজা ভালো ভালো বন্ধ করে তালা লাগান এবং চেক করুন ঠিক মত লেগেছে কিনা।

ওভেন ছাড়া ঘরে বসেই তৈরি করুন "সুস্বাদু চকলেট বাদাম বিস্কুট"

ranna banna o beauty tips
"সুস্বাদু চকলেট বাদাম বিস্কুট" 
উপকরণ:

১/২ কাপ মাখন

১/২ কাপ গুঁড়ো চিনি

১ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স

২ টেবিল চামচ তরল দুধ

১/২ কাপ বা ৫-৬ টেবিল চামচ কাজুবাদাম কুচি

১ এবং ১/৪ কাপ ময়দা ( দেড় কাপ থেকে কিছুটা বেশি)

৩ টেবিল চামচ কোক পাউডার

১/২ চা চামচ বেকিং পাউডার

প্রণালী:

১। প্রথমে মাখন এবং চিনি ভাল করে মিশিয়ে নিন। যতক্ষন পর্যন্ত না ক্রিমি হচ্ছে, ততক্ষণ মিশিয়ে নিন।

২। তারপর এতে ভ্যানিলা এসেন্স এবং দুধ দিয়ে ভাল করে মিশান।

৩। এরপর এতে কাজুবাদাম কুচি দিয়ে দিন।

৪। এবার ময়দা, বেকিং পাউডার এবং কোক পাউডার ছাঁকনি দিয়ে চেলে চেলে মিশ্রণের সাথে মিশিয়ে নিন।

৫। খুব ভাল করে হাত দিয়ে ডো তৈরি করে নিন।

৬। ডোটি পাতলা সুতির কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে ৩০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। 

৭। এবার প্রেসার কুকারে দুই কাপ লবণ দিন।

৭। লবণের উপর এবার কুকারের প্লেটটি বা ওয়্যার স্ট্যান্ড দিয়ে ১০ মিনিট গরম করতে দিন। মনে রাখবেন প্রেশার কুকারের হুইসেলটা যেন খোলা থাকে। আপনি যদি ওভেনে বিস্কুট তৈরি করতে চান তবে ১৬০ সেন্ট্রিগ্রেডে ১০ মিনিট ওভেন গরম করতে দিন। 

৮। এবার ডোটি মোটা করে প্রায় ১/২ ইঞ্চি মোটা করে বেলে নিন।

৯। কাটার দিয়ে পছন্দ মত শেপের বিস্কুট কেটে নিন।

১০। বিস্কুটের উপর কাজুবাদাম কুচি ছিটিয়ে দিন। হালকা চাপ দিয়ে বাদাম কুচি বিস্কুটের উপর বসিয়ে দিন।

১১। এবার একটি ট্রে বা অ্যালুমিনিয়ামের প্লেটে কাগজ দিয়ে তার ওপর বিস্কুটগুলো দিন।

১২। এবার ট্রেটি মাঝারি আঁচে ১৫-১৮ মিনিটের জন্য প্রেসার কুকারে দিয়ে দিন।

১৩। ওভেনে ১৬০ সেণ্ট্রিগ্রেড সেলসিয়াসে ২০ মিনিটের জন্য বেক করতে হবে।

১৪। ব্যস তৈরি হয়ে গেল বেকারির মত চকো বাদাম বিস্কুট।

শীতের ফুলকপি দিয়ে অসাধারণ সুস্বাদু "ফুলকপির রোস্ট"

ranna banna o beauty tips
"ফুলকপির রোস্ট"
উপকরণ :
ফুলকপি বড় বড় টুকরো করে কাটা ১ টি
মটরশুটি ১ কাপ
নারকেল বাটা ৩ টে চামচ
কাজু বাটা ২ টে চামচ
টক দই ৫ টে চামচ
আদা বাটা ১ টে চামচ
দারুচিনি ১ টুকরা
এলাচ ৪ টি
তেজপাতা ১ টি
গরম মশলা গুঁড়ো ১/৪ চা চামচ
তেল ১/৪ কাপ
ঘি ৬ টে চামচ
মরিচ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
কাঁচা মরিচ ৪-৫ টি
চিনি ১ চা চামচ
লবণ পরিমান মত

প্রণালী :

    - ফুলকপি কেটে ধুয়ে তেলে হালকা করে ভেজে নিন। চাইলে গোটা ফুলকপির রোস্ট করতে পারেন।
    -এবার ওই তেলে ঘি দিয়ে দারুচিনি ,এলাচ ,তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে গরম মশলা গুঁড়ো বাদে বাকি সব মশলা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন।
    -কষানো হলে ১ কাপ মত পানি দিন। পানি ফুটে উঠতেই ফুলকপি ও মটরশুটি দিয়ে তাপ কমিয়ে দিন।
    -ফুলকপি সেদ্ধ হয়ে মশলা গা মাখা হলে গরম মশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
    লুচি , পোলাও , ভাত , পরোটা সবকিছুর সাথেই ভীষণ ভালো লাগবে এই ফুলকপির রোস্ট।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.