সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৫

সম্পূর্ণ ভিন্নস্বাদের একটি রেসিপি "ফুলকপির টিক্কা মাসালা"

ranna banna o beauty tips
"ফুলকপির টিক্কা মাসালা"
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পোলাওয়ের সাথে সবজি রাখা হয়। আজকাল বিয়ের অনুষ্ঠানেও পোলাও বিরিয়ানির সাথে সবজি রাখাটা রেওয়াজ হয়ে গেছে। অনুষ্ঠানের জন্য রান্না করা সবজিটি একটু ভিন্ন হয়ে থাকে। ঘরোয়া অনুষ্ঠানে পোলাওয়ের সাথে পরিবেশন করতে পারবেন এমন একটি সবজি হল ফুলকপি টিক্কা মাসালা। ফুলকপি দিয়ে তৈরি এই খাবারটি ভাত, পোলাও বা পরোটা সবকিছুর সাথে দারুন লাগে খেতে।

উপকরণ:

৩ কাপ ফুলকপি

২/৩ কাপ ক্যাপসিকাম

১/২ কাপ পেঁয়াজ কুচি

১ কাপ টকদই

১/২ চা চামচ গরম মশলা

১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো

১/২ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো

১ টেবিল চামচ কসরী মেথি পাতা (ইচ্ছা)

১ টেবিল চামচ লেবুর রস

লবণ

গ্রেভির জন্য

১ চা চামচ জিরা

১/২ চা চামচ মৌরি

১টি ছোট এলাচ

১টি বড় এলাচ

২-৩ টি দারুচিনি

২-৩ টি লং

১ টেবিল চামচ আদাকুচি

১ কাপ টমেটো পিউরি

১/২ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো

২ চা চামচা ধনিয়া গুঁড়ো

১ চা চামচ জিরা গুঁড়ো

১ চা চামচ টমেটো কেচাপ

২ চা চামচ মধু

১ চা চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার

১/৪ কাপ ফ্রেশ ক্রিম

তেল

লবণ

১/৪ কাপ পানি

প্রণালী:

১। প্রথমে ফুলকপিগুলো ছোট ছোট টুকরা, ক্যাপসিকাম এবং পেঁয়াজ চারকোণা করে কেটে নিন।

২। এবার টকদই, গরম মশলা, হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, মেথি পাতা, লেবুর রস এবং লবণ দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।

৩। এবার ফুলকপি, ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ পেস্টের সাথে ভাল করে মিশিয়ে ৩-৪ ঘণ্টা ফ্রিজে মেরিনেট জন্য রেখে দিন। 

৪। ৪ ঘণ্টার পর মেরিনেট করা সবজিগুলো বের করে নিন।

৫। এবার তেল গরম করে সবজিগুলো ভাজুন।

৬। প্যানে ঢাকনা দিয়ে কয়েক মিনিট রান্না করুন। বাদামী রং হয়ে এলে সবজিগুলো নামিয়ে ফেলুন।

৭। আরেকটি প্যানে তেল দিয়ে জিরা, মৌরি, ছোট এলাচ, বড় এলাচ, লং, দারুচিনি দিয়ে ভাজুন।

৮। তারপর এতে আদা কুচি দিয়ে ভাজুন। এরপর এতে টমেটো পিউরি দিয়ে রান্না করুন।

৯। টমেটো পিউরির পানি শুকিয়ে গেলে এতে মরিচ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, ধনিয়া গুঁড়ো দিয়ে নাড়ুন।

১০। কিছুক্ষণ নাড়ার পর এতে টমেটো কেচাপ, মধু, কর্ণ ফ্লাওয়ার দিয়ে আবার কিছুক্ষণ রান্না করুন।

১১। গ্রেভি শুকিয়ে গেলে এতে পানি দিয়ে দিন।

১২। পানি শুকিয়ে তেল উঠে আসলে এতে লবণ দিয়ে আবার কিছুক্ষণ রান্না করুন।

১৩। এরপর এতে ক্রিম দিয়ে দিন।

১৪। বলক আসলে এতে সবজিগুলো দিয়ে দিন। সবজিগুলো ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন। খুব বেশি সময় রান্না করবেন না।

১৫। ৫ মিনিট নামিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার ফুলকপি টিক্কা মশলা।

সুস্বাদু বিফ কালিয়া তৈরির একটি দারুণ রেসিপি

ranna banna o beauty tips
সুস্বাদু বিফ কালিয়া
গরুর মাংস নিঃসন্দেহে আমাদের দেশে ভীষণ জনপ্রিয়। আর তাই এই মাংস দিয়ে তৈরি হরেক রকম খাবারের রেসিপির জন্য আগ্রহী রাঁধুনিরাও। চলুন, আজ বীথি জগলুলের হেঁশেল থেকে জেনে নিই একটি ক্লাসিক রেসিপি "বিফ কালিয়া"।

যা প্রয়োজন
বীফ- ২ কেজি
টকদই- ১ কাপ
পিঁয়াজ কুচি- ১ কাপ
আদা বাটা- ২ টে চামচ
রসুন বাটা- ১ টে চামচ
মরিচ গুঁড়ো- ২ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো- ৩ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো- ১ চা চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো- ২ চা চামচ
জায়ফল/জয়ত্রি গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ
মৌরি বাটা- ২ টে চামচ
টমাটো পিউরি- ১/২ কাপ (টমাটো কুচি করে বেটে নেয়া)
আস্ত জিরা- ১ চা চামচ
আস্ত গরম মসলা- ইচ্ছা
তেজপাতা- ২টি
কেওড়া জল- ১/২ চা চামচ
ধনেপাতা- সাজানোর জন্যে
লবণ- স্বাদমতো
তেল- দেড় কাপ

যেভাবে করবেন

    -হাড় ছাড়া মাংস একটু বড়ো-বড়ো করে পিস করে পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। -টকদই, পিঁয়াজ কুচি, হলুদ-মরিচ-ধনে-জিরা গুঁড়ো, আদা-রসুন বাটা ও অর্ধেক তেল দিয়ে মাংস মাখিয়ে কমপক্ষে আধা ঘন্টার জন্যে রেখে দিন।
    -হাঁড়িতে বাকি তেল গরম করে আস্ত জিরা ও তেজপাতা ফোঁড়ন দিয়ে মাংস ঢেলে দিন। -লবণ মিশিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে রান্না করুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন।
    -মাংস থেকে যে পানি বের হবে, তা প্রায় শুকিয়ে আসলে ঢাকনা খুলে টমাটো পিউরি ও মৌরি বাটা দিয়ে কষাতে থাকুন। কষাতে কষাতেই মাংস সেদ্ধ হয়ে যাবে।
    -আর যদি সেদ্ধ না হয় তবে পরিমাণমতো পানি দিন। আঁচ কমিয়ে দিন। মাংস কালো হয়ে তেল ছেড়ে আসলে কেওড়া জল, জায়ফল-জয়ত্রি গুঁড়া ও গরমমসলা গুঁড়া মিশিয়ে কিছুক্ষন দমে রেখে নামিয়ে ফেলুন।
    -সারভিং ডিশে বেড়ে ধনেপাতা দিয়ে সাজিয়ে নিন।

টিপস
আপনি যদি আলু দিতে চান, তাহলে ডুমো করে আলু কেটে আলাদা করে তেলে ভেজে তারপর দেবেন, টমাটো পিউরি দেয়ার পর। আলু দিলে একটু ঝোল ঝোল থাকতেই নামিয়ে ফেলতে হবে, কারণ ঠান্ডা হলে আলু পানি শোষন করে নেয়।

সকালের নাস্তায় মাত্র ১৫ মিনিটে মজাদার চাপটি পিঠা

ranna banna o beauty tips
সকালের নাস্তায় মাত্র ১৫ মিনিটে মজাদার চাপটি পিঠা
রুটি-ভাজি বা অন্য কোন কিছু তৈরির সময় নেই, এদিকে খেতে ইচ্ছা করছে সুস্বাদু কিছু? তাহলে এই শীতের সকালে হয়ে যাক সুস্বাদু একটি পিঠা। স্বাদে ঝাল, তৈরি করতে ভীষণ সহজ, আর গরম চায়ের সাথে অসাধারণ লাগে খেতে। চলুন, জানি সায়মা সুলতানার সহজ রেসিপিটি।

যা লাগবে
চাল বাটা বা চালের গুঁড়ি ১ কাপ
পেঁয়াজ কুচি ৪ টেবল চামচ
মরিচ কুচি ১ চা চামচ
ধনে পাতা কুচি ২ টেবল চামচ
আদা মিহি কুচি ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া হাফ চা চামচ
লবন স্বাদমত
পানি প্রয়োজনমত

প্রণালি

    -উপরের সব উপকরণ অল্প পানি দিয়ে এক সাথে মেখে নিয়ে গোলা তৈরি করুন। গোলাটা ঘন হবে কিন্তু, খুব বেশি পাতলা হবে না।
    -এখন তাওয়াতে হাল্কা তেল মাখিয়ে গরম তাওয়াতে মাখিয়ে রাখা গোলা দিয়ে পাতলা করে ছড়িয়ে দিন এবং ঢাকনা লাগিয়ে ঢেকে রাখুন কিছুক্ষণ ।
    -এবার ঢাকনা তুলে চাপটি উল্টে দিন, রাখুন আরও কিছুক্ষন । লাল লাল হয়ে আসলে নামিয়ে নিন ।

সকালে নাস্তায় কিনবা বিকেলে চা এর সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন ঝাল চাপটি পিঠা ।

বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৫

শীতে আর চুলের আগা ফাটা নয়

ranna banna o beauty tips
শীতে আর চুলের আগা ফাটা নয়
শীতের শুষ্ক হাওয়ায় ত্বকের সঙ্গে চুলও রুক্ষ্ম হয়ে যায়। ঝলমলে মসৃণ চুলগুলো হয়ে ওঠে নিষ্প্রাণ। কিছুদিন পর দেখা দেয় চুলের আগা ফাটার সমস্যা। বছরের অন্যান্য সময় এই সমস্যা একটু কমই দেখা দেয়। সেজন্য শীতের শুরুতেই চুলের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা জরুরি। আগেভাগেই নিতে পারেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।

- একটি ডিমের সঙ্গে এক চা চামচ মধু আর কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুলে লাগান। বিশেষ করে চুলের আগায় বেশি করে লাগাতে হবে। এবার ২০ মিনিট রেখে কোনো মাইল্ড শাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

- চুলে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

- দুটি এভোক্যাডো নিন। এরপর ভালো করে মেশান। অল্প মধু নিন। আর পেস্ট বানিয়ে নিন। চুলে লাগান, বিশেষ করে চুলের আগায়। ২০ মিনিট পরে ধুয়ে নিন।

- শীতের শুরুতে একবার চুল ছাঁটতে পারেন। নিজের পছন্দমতো আকারে হালকা করেও চুল ছেটে নিলে আর ফাটার ভয় থাকে না।

- চুলের আগা ফাটা রোধ করার পাশাপাশি চুলের কোমলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে হট টাওয়েল পদ্ধতি। প্রথমে চুলে ভালো করে তেল লাগান। গরমপানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে চিপে নিতে হবে। এবার এই তোয়ালে গরম থাকা অবস্থায় পুরো মাথায় জড়িয়ে ফেলুন। দশ মিনিট পর খুলে ফেলুন। এভাবে তিন থেকে চারবার করুন। এরপর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

- অলিভ অয়েল চুলের জন্য খুবই উপকারী। চুলের গোড়ার সঙ্গে চুলের আগাতেও অলিভ অয়েল লাগিয়ে নিন। চুলের আগা ফাটার পরিমাণ কমে যাবে।

- চায়ের ঠাণ্ডা লিকার কন্ডিশনার হিসেবে খুবই ভালো। চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধ করতেও এর জুড়ি নেই। একটি পাত্রে চায়ের লিকার নিয়ে চুলের আগা তাতে ডুবিয়ে রাখুন দশ মিনিট। এরপর চুল ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত চায়ের লিকার ব্যবহারে চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধ হবে।

ভাপ ওঠা ভাতে বাহারি ভর্তা

শীতকাল মানেই ভাপ ওঠা সাদা ভাতে বাহারি ভর্তার সখ্য। সকালে রুটি খাওয়ার অভ্যাস থাকলেও শীতের সকালে অনেকেই ভর্তা দিয়ে ভাত খেতে পছন্দ করেন। এসময় বাজারে পাওয়া যায় হরেক রকম তাজা সবজি। ধনেপাতা, পুদিনাপাতাও থাকে তরতাজা। এসব উপকরণের মিশেলে তৈরি ভর্তাগুলো জিভে জল আনবে যে কারো। রঙ বেরঙের শীতকালীন সবজিগুলো যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। তাই আজ শিখে নেয়া যাক তেমনি কিছু মজার ভর্তা বানানোর পদ্ধতি।
ranna banna o beauty tips
ভাপ ওঠা ভাতে বাহারি ভর্তা


আলু ডিম ভর্তা
ডিম ২ টা, ১ টা মাঝারি সাইজের আলু, ১ টা কাঁচামরিচ কুচি, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ চা চামচ, লবণ পরিমানমতো।

যেভাবে করবেন
আলু ও ডিম সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে আলাদা ভাবে চটকে নিন। এবার পেঁয়াজকুচি, কাচামরিচ কুচি, আধা চা চামচ সরিষার তেল ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিতে হবে। তারপর সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে নিলেই তৈরি মজাদার আলু ডিম ভর্তা।

শিম-আলু-বেগুন ভর্তা
শিম ৮ থেকে ১০টি, মাঝারি আকারের বেগুন ১টা, মাঝারি আকারের আলু ৪টা, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ ৩ থেকে ৪ টা, সরিষার তেল ১ চা চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ চা চামচ ও পরিমানমতো লবণ।

যেভাবে করবেন
শিম ও বেগুন একসঙ্গে ও আলু আলাদা সেদ্ধ করুন। আলু ও বেগুনের খোসা ছাড়িয়ে শিমসহ চটকে নিন। পেঁয়াজ কুচি ও শুকনা মরিচ অল্প তেলে ভেজে নিতে হবে। এবার সব উপকরণ একসঙ্গে করে ভালভাবে পাটায় পিষে মিশিয়ে নিন। হয়ে গেল শিম-আলু-বেগুন ভর্তা।

লাউপাতার ভর্তা
কচি লাউপাতা ১৫ থেকে ২০টি, পেঁয়াজ বাটা আধা কাপ, কাঁচামরিচ বাটা ২ চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, জিরা বাটা ২ চা চামচ, সরিষা বাটা ২ চা চামচ, সরিষার তেল সামান্য, হলুদ গুঁড়া সিকি চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি সিকি কাপ, লবণ পরিমাণমতো, কাঁচামরিচ কুচি সামান্য।

যেভাবে করবেন
লাউপাতা ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। কয়েকটি পাতা বিছিয়ে রাখতে হবে। এবার ওপরের সব মসলা একটি বাটিতে মেখে বিছানো পাতাগুলোর মধ্যে রাখতে হবে এবং পাতা মুড়ে দিতে হবে। এর সঙ্গে বাকি পাতা দিয়ে মুড়ে সুতা দিয়ে বেঁধে দিতে হবে, যাতে মসলা বের না হয়। এবার বসা ভাতের মধ্যে মসলা মোড়ানো লাউপাতা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ভাত হয়ে গেলে ভাত থেকে মসলা মোড়ানো পাতা বের করে নিতে হবে। এবার পাটায় বেটে বা হাত দিয়ে চটকে নিযে কাঁচা সরিষার তেল দিয়ে ভর্তা তৈরি করতে হবে। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন সুস্বাদু লাউপাতা ভর্তা।

টমেটো ভর্তা

টমেটো আধা কেজি, কাঁচামরিচ ৫ থেকে ৬টি, লবণ পরিমাণমতো, পিঁয়াজ কুচি সিকি কাপ, ধনেপাতা কুচি সিকি কাপ।

যেভাবে করবেন
টমেটো ধুয়ে পানি ঝড়িয়ে নিন। চুলায় ফ্রাই প্যানে টমেটোগুলো দিয়ে ঢেকে দিন অল্প আঁচে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর উঠিয়ে দিন। টমেটো সেদ্ধ হয়ে গেলে ফ্রাই প্যান থেকে নামিয়ে নিন। এবার টমেটোগুলোর খোসা ছাড়িয়ে নিন। পাত্রে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি দিন। হাতে মেখে টমেটোগুলো তার সঙ্গে মিশিয়ে ভর্তা করে নিন। তৈরি হয়ে গেল চমৎকার টমেটো ভর্তা।

বাঁধাকপির মচমচে রোল

শীতের আগমনে বাজারে এসেছে নানা রকম তরতাজা সবজি। সবজি হিসেবে রান্না করে খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। তাইতো এগুলো নানা ভাবে খাওয়ার বাহানা চলে। শীতের সময়টা আসলে সবজি দিয়ে তৈরি হয় মুখরোচক অনেক খাবার। বাড়ির সদস্যদের নতুন কিছুর স্বাদ দিতে রাধুনীরা তৈরি করে নেন নতুন সব রেসিপি। ঠিক তেমনি তৈরি হতে পারে বাঁধাকপির মচমচে রোল। আসুন তবে একনজরে দেখে নেয়া যাক।
ranna banna o beauty tips
বাঁধাকপির মচমচে রোল


যা যা লাগবে

বাঁধাকপির বড় পাতা ৮ থেকে ১০টি (ভাপ দেওয়া), রান্না করা কিমা ১ কাপ, ময়দা ১ কাপ, ডিম ১টি, ভাজার জন্য তেল।

কিমার উপকরণ

কিমা ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, কাঁচামরিচ কুচি ১ চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, হলুদ সামান্য, তেল ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, এলাচ ১টি, দারুচিনি ২ টুকরো।

যেভাবে করতে হবে

এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ একটু ভেজে কিমা দিয়ে ভেজে সব মসলা দিয়ে কষাতে হবে। সামান্য পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নামানোর আগে ১ চা চামচ টমেটো সস দিয়ে নামিয়ে নিন। ময়দা, ডিম, একটু পানি ও লবণ দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে রাখুন আলাদা একটি বাটিতে। কপির একটি পাতা নিয়ে তার মধ্যে কিমার পুর ভরে রোল করুন। এবার ময়দার মিশ্রণে চুবিয়ে ডুবতেলে মচমচে করে ভেজে সস দিয়ে পরিবেশন। ব্যস হয়ে গেল বাঁধাকপির মচমচে রোল।

জলপাইয়ের বল আচার

চলছে টক স্বাদের জলপাইয়ের ভরা মৌসুম। ঠিক এই সময়টাতে প্রত্যেক আচার প্রেমী ব্যস্ত থাকেন নানা স্বাদের আর নানা ঢং এর আচার বানাতে। পাশাপাশি থাকা মা-চাচীদের মাঝে সুস্বাদু এসব আচার বানানোর মাঝে মৃদু প্রতিযোগিতাও চলে। কে কত প্রকার এবং কত মজার আচার বানাতে পারে তার পরখ হয়ে যায় অবসর সময়ে। তারপর খাওয়া চলে ভাজি, ভর্তা বা খিচুড়ির সঙ্গে। আপনি কেন পিছিয়ে থাকবেন জলপাইয়ের বল আচারের মজার স্বাদ নেয়া থেকে? তাই আজই শিখে নিন খুব সহজে জলপাইয়ের বল আচার বানানোর পদ্ধতি।  
ranna banna o beauty tips
জলপাইয়ের বল আচার


যা যা লাগবে

জলপাই ১ কেজি, সরিষা বাঁটা ৩ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, পাঁচ ফোড়ন ৩ টেবিল চামচ, সরিষার তেল আধা কেজি, গুড় বা চিনি ১ কাপ, রসুন বাটা আধা কাপ, ভিনেগার কোয়ার্টার কাপ, লবণ পরিমাণ মতো।

যেভাবে করবেন

প্রথমে জলপাইগুলো ধুয়ে তিন ফালি করে কেটে সেদ্ধ করে নিতে হবে। এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে রসুন দিয়ে হালকা ভেজে সব মসলা দিয়ে দিন। তারপর গুড় বা চিনি দিয়ে ভালো করে নেড়ে জলপাইগুলো দিতে হবে। আঠালো হওয়া পর্যন্ত মাঝারি আঁচে জ্বালাতে হবে। তারপর ভিনেগার দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিন। এবার হাতের তালুতে নিয়ে বিচিগুলো মাঝখানে দিয়ে গোল গোল করে বল বানিয়ে বোতলের ভেতর তেলে ডুবিয়ে রাখুন। ব্যাস হয়ে গেল জলপাইয়ের বল আচার। কেউ কেউ বাড়তি ঘ্রাণের জন্য ধনে পাতাও দিয়ে থাকেন।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.