recipes লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
recipes লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

নরম মোলায়েম অরেঞ্জ কেক

ranna banna o beauty tips
নরম মোলায়েম অরেঞ্জ কেক
একটু ভিন্ন স্বাদের কেক তৈরি করতে চান? দেখে নিন বীথি জগলুলের এই রেসিপিটি।

যা প্রয়োজন
ময়দা- ১ কাপ
বিপি- ১ চা চামচ
গুঁড়া দুধ- ১/২ কাপ
চিনি- ১/২ কাপ
চিনি গুঁড়া হলে- ১ কাপ
বাটার- ৫০ গ্রাম
ডিম- ২ টা
লিকুইড দুধ- ১ কাপ
অরেঞ্জ জুস- ১/২ কাপ
অরেঞ্জ জেস্ট- ১ চা চামচ
লেমন জুস- ১ চা চামচ

যেভাবে করবেন
-ডিমের কুসুম ও সাদা অংশ আলাদা করে নিন। সাদা অংশ ফোম করে নিন। 
-ময়দা, বিপি ও গুঁড়া দুধ একসাথে মিশিয়ে রাখুন। বাটার গলিয়ে নিয়ে তার সাথে চিনি বিট করে নিন। 
-মসৃণ করে বিট করা হলে একে একে কুসুম, ময়দার মিশ্রণ, অরেঞ্জ-লেমন জুস, যেস্ট ও লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি ভালো করে বিট করে নিন। 
-সবশেষে এই মিশ্রণের সাথে চামচ দিয়ে ফোল্ড করে করে ডিমের সাদা ফোম মিশিয়ে নিন। বেকিং ডিশে বাটার অথবা ঘি ব্রাশ করে ব্যাটার ঢেলে প্রি-হিটেড ওভেনে ১৬০ ডিগ্রি সে তাপমাত্রায় ৩০-৪০ মিনিট বেক করে নিন। 
-সময় শেষ হলে একটি কাঠি ঢুকিয়ে দেখে নিন কাঁচা রয়েছে কিনা। সেক্ষেত্রে সময় আর একটু বাড়িয়ে দেবেন। হয়ে গেলে কেক পুরোপুরি ঠান্ডা করে সারভিং ডিশে উল্টিয়ে বের করে নিন।
-ছুরি দিয়ে কেটে পরিবেশন করুন দারুন মজার অরেঞ্জ কেক।

ভাতের সাথে পেঁয়াজ কলি দিয়ে টমেটো ভুনা

ranna banna o beauty tips
ভাতের সাথে পেঁয়াজ কলি দিয়ে টমেটো ভুনা
বাজারে এখন মিলছে প্রচুর পরিমাণে টমেটো। এই টমেটো আমরা নানান তরকারির স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করি। কিন্তু চলুন, আজ জেনে নিই কেবল টমেটো দিয়েই একটি খাবার তৈরির রেসিপি। মজাদার রেসিপিটি দিচ্ছেন ইসরাত জাহান বিথী।

উপকরণ -
পাকা টমেটো -বড় ২/৩ টি (মোটা করে কুচি করা )
পেঁয়াজ কুচি - আধা কাপ
কাঁচা মরিচ ফালি করে কাটা -২-৩ টি
আস্ত জিরা - আধা চা চামচ থেকে একটু কম 
হলুদ গুঁড়ো - আধা চা চামচ 
মরিচ গুঁড়ো -১ চা চামচ (কম,বেশি দেয়া যাবে )
জিরা গুঁড়ো -আধা চা চামচ 
লবণ -স্বাদমত 
চিনি - ১ চিমটি 
তেল - ৪ টেবিল চামচ 
পিঁয়াজ কলি -আধা কাপ (১ ইঞ্চি লম্বা করে কাটা )
ধনে পাতা কুচি - ১ টেবিল চামচ

প্রণালী -
-কড়াইতে তেল দিয়ে গরম করে প্রথমে আস্ত জিরার ফোড়ন দিতে হবে। 
-তারপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজতে হবে। 
-পেঁয়াজ নরম হয়ে আসলে হলুদ, মরিচ, জিরার গুঁড়ো, লবণ ও অল্প পানি দিয়ে মশলা ভালো করে কষাতে হবে। 
-মশলা কষে তেল উপরে আসলে টমেটো কুচি দিয়ে ৪-৫ মিনিট ভাজতে হবে। তারপর অল্প আঁচে ঢেকে কিছুক্ষণ রান্না করতে হবে। 
-টমেটোর পানি শুকিয়ে,টমেটো প্রায় গলে আসলে, কাঁচা মরিচ ফালি, পিঁয়াজ পাতা ও চিনি দিয়ে আরো ২ মিনিট রান্না করতে হবে। 
-তেল উপরে উঠে আসলে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে ফেলত হবে। এই টমেটো ভুনা গরম ভাত ,পোলাও ও রুটির সাথে খেতে খুবই ভালো লাগে।


দারুণ সুস্বাদু খাবার মিটবল ইন নুডলস নেস্ট

ranna banna o beauty tips
মিটবল ইন নুডলস নেস্ট
সাধারণ মিটবল তো অনেক খাওয়া হলো। চলুন এবার নতুন কিছু করা যাক? রসালো মিটবলের সাথে ক্রিস্পি নুডলসের দারুণ এক সমন্বয় পাওয়া যাবে এই মিটবল ইন নুডলস নেস্ট খাবারটিতে। তৈরি করতে সময়টাও লাগবে অনেক কম। দেখে নিন রেসিপিটি।

উপকরণ

-   ১ কাপ মুরগীর মাংসের কিমা
-   ১ কাপ সেদ্ধ নুডলস
-   আধা চা চামচ শুকনো মরিচ
-   লবণ স্বাদমতো
-   ১ টেবিল চামচ+ ওপরে ছেটানোর জন্য কর্ন ফ্লাওয়ার
-   ২ টেবিল চামচ রসুন কুচি
-   ১ ইঞ্চি পরিমাণ আদা, কুচি করা
-   ২-৩টা টাটকা লাল মরিচ, কুচি করা
-   ১ টেবিল চামচ পিঁয়াজকলি কুচি
-   ২ টেবিল চামচ+ ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল
-   ১ ইঞ্চি সেলেরি কুচি করা
-   ১ টেবিল চামচ লাল মরিচ বাটা
-   ১ টেবিল চামচ টমেটো কেচাপ
-   আধা চা চামচ সয়াসস

প্রণালী

১) ওভেন ১৮০ ডিগ্রিতে প্রিহিট করে রাখুন।
২) একটা বোলে সেদ্ধ নুডলস নিন। এতে শুকনো মরিচ, লবণ এবং কর্ন ফ্লাওয়ার দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এক টেবিল চামচ তেল দিয়ে মিশিয়ে নিন।
৩) মাফিনের ছোট ছোট সিলিকন ছাঁচে আলাদা করে নিন নুডলস। মাঝখানে একটু করে গর্ত করে রাখুন। মাফিনের ছাঁচগুলো বেকিং ট্রেতে রেখে ওভেনে দিন এবং ১৫-২০ মিনিট বেক হতে দিন।
৪) কিমা, ১ টেবিল চামচ আদা, রসুন, মরিচের অর্ধেকটা এবং পিঁয়াজকলির অর্ধেকটা মিশিয়ে নিন একটা বোলে।
৫) কড়াইতে বেশি করে তেল গরম করে নিন।
৬) হাতের তালুতে অল্প করে তেল  মাখিয়ে নিন। এরপর কিমার মিশ্রণ থেকে ছোট ছোট বল গড়ে নিন।
৭) একটা পাত্রে অল্প করে কর্ন ফ্লাওয়ার নিয়ে লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিন। এতে মিটবলগুলোকে গড়িয়ে নিন। এরপর ডিপ ফ্রাই করে নিন। সোনালি হয়ে এলে উঠিয়ে তেল ঝরিয়ে নিন।
৮) আরেকটি কড়াইতে ১ টেবিল চামচ তেল গরম করে নিন এতে দিন বাকি রসুন, আদা, সেলেরি এবং মরিচ। এক মিনিট সাঁতলে নিন। এরপর মরিচ বাটা দিয়ে আরও এক মিনিট সাঁতলে নিন। এরপর টমেটো কেচাপ দিন। মিশিয়ে নিন এবং রাখুন ৩০ সেকেন্ড। কিছু পানি দিয়ে মিশিয়ে আরও ৩০ সেকেন্ড থাকুন। এরপর সয়াসস দিয়ে মিশিয়ে নিন। এরপর মিটবল দিয়ে রান্না করুন এক মিনিট।
৯) এ সময়ের মাঝে নুডলস নেস্ট হয়ে যাবে। এগুলোকে মাফিনের ছাঁচ থেকে ঠাণ্ডা করে খুলে নিন।
এবার পরিবেশনের পালা। প্লেটে একটা করে নুডলস নেস্ট রেখে তার মাঝে একটা করে মিটবল দিয়ে দিন। ওপরে পিঁয়াজকলি কুচি দিয়ে সার্ভ করুন গরম গরম!

রান্নার পুরো প্রণালী টি দেখতে নীচের ভিডিও টি দেখুন 

ভালোবাসা দিবসে তৈরি করুন মজাদার হার্টশেপ ভেজিটেবল কাটলেট

ranna banna o beauty tips
হার্টশেপ ভেজিটেবল কাটলেট
ভালোবাসা দিবসে প্রিয় মানুষটিকে চমকে দেবার জন্য  অনেক কিছুই রান্না করার পরিকল্পনা করেছেন নিশ্চয়ই। প্রিয় মানুষটির প্রিয় কোন মিষ্টি খাবার তো অবশ্যই রাঁধবেন। ঝাল কিছু কি রান্না করছেন এই দিবসে? হার্ট শেপ ভেজিটেবল কাটলেট তৈরি করতে পারেন ভালোবাসার দিনটিতে। প্রিয় মানুষটি যদি ঝাল খাবার খেতে পছন্দ করে, তবে অবশ্যই এই কাটলেটি পছন্দ করবেন।

উপকরণ:
২টি ছোট বিট
১ টি কাঁচা কলা
২-৩ টেবিলচামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার
৪-৫ টেবিলচামচ বাদামকুচি
১/৪ চাচামচ রসুনের পেস্ট
১ কাপ ব্রেড ক্রাম্বস
তেল
১/৪ চাচামচ গরম মশলা
২টি আলু
১ চাচামচ আদা রসুনের পেস্ট
৪ টেবিলচামচ নারকেল কুচি
লবণ স্বাদমত
ধনেপাতা কুচি
১/২ চাচামচ আমচূর পাউডার

প্রণালী:
১। প্রথমে আলু, বিট, কাঁচা কলা সিদ্ধ করে নিন।
২। এবার সিদ্ধ করা আলু, বিট, কাঁচা কলা ভাল করে ম্যাশ করে নিন।
৩। এবার এর সাথে মটরশুঁটি সিদ্ধ, বেবি কর্ণ সিদ্ধ, বাদামকুচি, নারকেল কুচি, ধনেপাতা কুচি, আদা মরিচের পেস্ট, রসুনের পেস্ট, গরম মশলা, আমচূর পাউডার এবং লবণ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৪। সবজি ভাল করে মেশানোর পর এতে কর্ণ ফ্লাওয়ার দিয়ে আরও ভাল করে মেশান।
৫। এবার হার্টশেপ কাটারে তেল লাগিয়ে নিন।
৬। সেখানে ম্যাশ করা সবজি দিয়ে দিন।
৭। হার্টশেপ হয়ে গেল কাটার থেকে সবজি নিয়ে ব্রেড ক্রাম্বস বা বিস্কুটের গুঁড়োতে গড়িয়ে গরম তেলে দিয়ে দিন।
৮। সস দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার হার্টশেপ ভেজিটেবল কাটলেট।

রান্নার পুরো প্রণালী টি ভালভাবে দেখতে নীচের ভিডিও টি দেখতে পারেন 

বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

মধুর যাদুকরী ৬ টি ব্যবহার

ranna banna o beauty tips
মধুর যাদুকরী ৬ টি ব্যবহার
মধু আমাদের অনেকেরই প্রিয় খাবার। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ এখন চিনির বদলে তাদের রোজকার খাবারে যোগ করছেন মধু। আমরা সাধারণত এক কাপ চায়ে বা গরম পানিতে এক চামচ মধু যোগ করে পান করি মেদ কমানোর জন্য। কিন্তু এটি ছাড়াও মধুর আছে আরো অনেক ব্যবহার। মধুর ঔষধি গুণ অনেক রোগের নিরাময় করতে সক্ষম। আসুন এমনই ১০ টি অজানা ব্যবহার জেনে নিই আজ।

ক্লিনজার হিসেবে

আপনি কি জানেন মধু একটি দারুণ ক্লিনজার? মধুর প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার করে, ব্যাক্টেরিয়া দূর করে। আবার ২ চামচ নারকেল তেলের সাথে ১ চামচ মধু মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন মানসম্পন্ন ফেসিয়াল স্ক্রাব। যা বাড়িয়ে দেবে আপনার ত্বকের সজীবতা।

এন্টিবায়োটিক

মধু শরীরে ব্যক্টেরিয়ার আক্রমণ প্রতিরোধ করে। গবেষণায় দেখা গেছে ক্ষতস্থানে মধু লাগালে তা এন্টিবায়োটিকের মতই ক্ষত সারায়। বাজারে মধু কেনার সময় এর রঙ এর দিকে খেয়াল করুন। মধু যত গাঢ় হবে তত তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকবে।

অনিদ্রা কাটাতে

যাদের অনিদ্রা সমস্যা রয়েছে তারা ঘুমাতে যাওয়ার আগে মধু খাওয়ার অভ্যাস করে দেখুন। গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। অথবা মধু উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এমন খাবারও খেতে পারেন। যেমন, ফালুদায় মধু ব্যবহার করলেন অথবা আইসক্রিমের উপর ১ লেয়ার মধু দিয়ে নিলেন। মধু থেকে নিঃসৃত চিনি মস্তিষ্ককে প্রশান্ত করে আপনার অনিদ্রা দূর করে দেবে।

অবাঞ্চিত দাগ দূর করতে

শরীরের অবাঞ্চিত দাগ দূর করতে মধু খুবই কার্যকরি। আমাদের শরীরে বিভিন্ন কাটা দাগ, পোড়া দাগ, মোটা শরীরের ফাটা দাগ থাকে। এই দাগ দূর করতে মধুর চেয়ে ভাল সমাধান আর নেই। ১ চামচ নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সাথে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে দাগের উপর নিয়মিত প্রলেপ দিন। ১ সপ্তাহেই ফলাফল দেখতে পাবেন।

মুখের দূর্গন্ধ দূর করতে

মধুর ব্যবহার আপনাকে দিতে পারে মুখের বিব্রতকর দূর্গন্ধ থেকে মুক্তি। বিভিন্ন কেমিক্যাল যুক্ত মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহার করেও হয়ত উপকার পাচ্ছেন না, কিন্তু টাকা নষ্ট হচ্ছে, একই সাথে মুখের মাড়ির, দাঁতের ক্ষতিও হচ্ছে। এর পরিবর্তে ১/৮ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো আর মধু গরম পানিতে মিশিয়ে নিয়মিত গার্গল করলে আপনি অচিরেই উপকার পাবেন।

ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে

শীতে আমাদের ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। ফেটে যায় কনুই, পায়ের গোড়ালি। এই সমস্যা দূর করতে প্রতি বছর আমরা দামী দামী লোশন, ময়েশ্চারাইজার কিনে অনেক টাকা ব্যয় করি। প্রাকৃতিক উপায়ে এর সমাধান করে মধু। গোসলের পর শুষ্ক ত্বকে মধু মেখে রাখুন। ১৫/২০ মিনিট পর গরম পানিতে টাওয়াল ভিজিয়ে মুছে ফেলুন। কয়েকদিন নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ত্বক আবার উজ্জ্বলতা ফিরে পাবে।
খাঁটি মধু পাওয়া খুব কঠিন। বাজারে যেসব মধু পাওয়া যায় তাতে প্রচুর পরিমাণে চিনি মিশ্রিত থাকে। সতর্কতার সাথে মধু কিনুন, ব্যবহার করে উপকৃত হোন।

টার্কিশ স্বাদের সুজির হালুয়া

ranna banna o beauty tips
টার্কিশ স্বাদের সুজির হালুয়া
সকালের নাস্তায় অনেকেই সুজি-রুটি খেয়ে থাকেন। সুজি এমন একটি খাবার যা রুটি, পরোটা, লুচি সবকিছুর সাথে খাওয়া যায়। সুজির হালুয়া অনেকের বেশ পছন্দের। এই সুজি দিয়ে তুরস্কে একটি মাজাদার খাবার তৈরি করা হয়, যার নাম সেমোলিনা হালুয়া। ঘরে থাকা উপকরণ দিয়ে সহজে তৈরি করা যায় ভিন্নদেশী এই খাবারটি। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সুজির এই ভিন্ন স্বাদের রেসিপিটি।
উপকরণ:


  • ১.৫ কাপ সুজি
  • ১.৫ কাপ চিনি
  • ২ কাপ দুধ
  • ২ টেবিল চামচ বাদাম কুচি
  • ২ টেবিল চামচ মাখন
  • ১/২ কাপ অলিভ অয়েল বা তেল বা ঘি

প্রণালী:

১। একটি পাত্রে তেল এবং মাখন দিয়ে চুলায় গরম করতে দিন।
২। এর মাঝে বাদাম কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজুন।
৩। এরপর এতে সুজি দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে সুজি নাড়তে থাকুন।
৪। সুজি বাদামী রং ধারণ করার আগ পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।
৫। এখন আরেকটি পাত্রে চিনি এবং দুধ ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৬। সুজি বাদামী রং হয়ে আসলে দুধ চিনির মিশ্রণ এতে দিয়ে দিন।
৭। এবার যতক্ষণ না সুজি দুধ সম্পূর্ণ শুষে না নেয় ততক্ষণ রান্না করুন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন।
৮। সুজি হয়ে গেলে বাদাম কুচি, কিশমিশ দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার সেমোলিনা হালুয়া।

আপনাদের বোঝার জন্য একটি ভিডিও দেওয়া হোল।


বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ছানা গাজরের সুস্বাদু হালুয়া

ranna banna o beauty tips
ছানা গাজরের সুস্বাদু হালুয়া
পুষ্টি সমৃদ্ধ রঙ বাহারি গাজর অনেকেরই প্রিয়। শুধু খাওয়া বা নানা রকম রান্নায় গাজরের ব্যবহার চলে। শুধু গাজরের হালুয়া খেতেও বেশ দারুণ। হালুয়ার স্বাদ বাড়াতে যদি ছানা যোগ করা হয় তবে আর কথায় থাকে না। সুস্বাদু এই হালুয়া তৈরি করতে পারেন আপনিও। আজ দেখে নেয়া যাক ছানা গাজরের সুস্বাদু হালুয়ার রেসিপি।

যা যা লাগবে

গাজর কুচি ১ কাপ, ছানা ১ কাপ, কনডেন্স মিল্ক ১ কাপ, চিনি আধা কাপ, কিশমিশ ১ টেবিল চামচ, রোস্টেড কাজু বাদাম গুঁড়া আধা কাপ, এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ, জাফরান ভেজানো পানি ১ টেবিল চামচ, গুঁড়া দুধ ১ কাপ, ঘি ১ কাপ, লিকুইড দুধ ১ কাপ।

যেভাবে করবেন

গাজর দুধ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এবার প্যানে ঘি দিয়ে গাজর দিতে হবে। এরপর এলাচ গুঁড়া ও কিশমিশ দিয়ে নাড়ুন। খেয়াল রাখতে হবে যেন পুড়ে না যায়। গাজর আধা ভাজা হয়ে গেলে ছানা এবং বাকি সব উপকরণ দিয়ে নাড়তে থাকুন। আঠালো হয়ে এলে একটি ডিশে ঘি মাখিয়ে মিশ্রণটি ঢেলে দিন। ঠাণ্ডা হলে ইচ্ছামতো সাজিয়ে বা কেটে পরিবেশন করুন ছানা গাজরের হালুয়া।

সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

বাধাকপি দিয়ে বুটের ডাল

ranna banna o beauty tips
বাধাকপি দিয়ে বুটের ডাল 
শীতের অন্যতম একটি সবজি হল বাঁধাকপি। শীতকালে প্রায় সব বাসায় বাঁধাকপি ভাজি করা হয়। এমনকি বাঁধাকপি দিয়ে তরকারিও রান্না করা হয়ে থাকে! বাঁধাকপি কখনও বুটের ডাল দিয়ে ভাজি করেছেন? একটু ভিন্ন স্বাদের এই ভারতীয় ভাজি করে দেখতে পারেন। ভাত, পোলাও বা রুটি সবকিছুর সাথে খেতে দারুন লাগবে এই ভাজিটি।
উপকরণ:
২৫০ গ্রাম বাঁধাকপি কুচি
১/২ কাপ ভেজানো বুটের ডাল
২-৩ টেবিল চামচ তেল
১/২ চা চামচ সরিষা
১ চা চামচ জিরা
১ চিমটি হিং
৬-৮ টি কারিপাতা
১/৪ চা চামচ হলুদের গুঁড়ো
১ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
২ চা চামচ ধনিয়া-জিরা গুঁড়ো
লবণ স্বাদমত
১/২ চা চামচ চিনি
২ টেবিল চামচ নারকেল কুচি
প্রণালী:
১। বুটের ডাল ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। কিংবা সারারাতও ভিজিয়ে রাখতে পারেন।
২। একটি  প্যানে তেল গরম করতে দিন।
৩। তেল গরম হয়ে এলে এতে সরিষা দিয়ে দিন। সরিষা ফুটে উঠলে এতে জিরা, হিং এবং কারি পাতা দিয়ে কয়েক সেকেন্ড নাড়ুন।
৪। এবার এতে ভেজানো বুটের ডাল দিয়ে দুই-তিন মিনিট নাড়ুন।
৫। তারপর এতে হলুদের গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, ধনিয়া-জিরা গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে নাড়ুন।
৬। এবার এতে বাঁধাকপি কুচি দিয়ে অল্প আঁচে ২ থেকে ৩ মিনিট রান্না করুন।
৭। লবণ এবং চিনি ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৮। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করুন।
৯। ডাল সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত অল্প আঁচে রান্না করুন।
১০। নারকেল কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার বাঁধাকপি বুটের ডাল ভাজি।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.