health tips লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
health tips লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৬

ছুটির দিনের বাহারি খাবার "লাহোরি চিকেন চারগাহ"

ranna banna o beauty tips
লাহোরি চিকেন চারগাহ
আজ ছুটির দিনের ডিনারে বিশেষ কিছু রাঁধতে চান? তাহলে চেখে দেখুন সুমনা সুমির এই দারুণ রেসিপিটি। ভিনদেশি এই খাবারটি তৈরিতে সহজ আর খেতেও দারুণ।
উপকরণ
• আস্ত মুরগী ১ টি
• লেবুর রস ২ টেবিল চামচ 
• টক দই ১/৪ কাপ
• টমেটো সস ২ টেবিল চামচ
• আদা বাটা ১ টেবিল চামচ 
• রসুন বাটা ১ চা চামচ 
• তন্দুরী মসলা ২ টেবিল চামচ
• মরিচ গুঁড়ো ২ চা চামচ
• গরম মশলা পাউডার ১চা চামচ
• ভাজা জিরা গুঁড়ো ১চা চামচ
• চাট মশলা ১ টেবিল চামচ 
• ঘি ১/৪কাপ
প্রনালী
-মুরগী ভাল করে ধুয়ে রান ও বুকে দাগ কেটে দিন যাতে মেরিনেশনের মশলা ভেতরে ঢোকে।
-উপরের সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে মুরগীতে মাখিয়ে নিন।
-কমপক্ষে ৪ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
-স্টিম করার ৩০ মিনিট আগে ফ্রিজ থেকে নামিয়ে নিন।
-একটি পাতিলে স্টিমার দিয়ে পানি ফুটিয়ে নিন। এখন মশলাসহ মুরগিটি স্টিমার এর উপর রেখে ঢেকে দিন। মাঝারি আছে ৩০ মিনিট ভাপে সিদ্ধ করুন।
-পরিবেশনের ৩০ মিনিট আগে কড়াইতে ১/২ লিটারের মত তেল দিন।
-তেল ফুটে উঠলে স্টিম করা মুরগী দিয়ে অল্প আঁচে ক্রিস্পি করে ভেজে তুলুন।
-উপরে ঘি ব্রাশ করুন।
-নান , রায়তা বা সালাদের সাথে পরিবেশন করুন।

তৈরি করে ফেলুন একেবারেই নতুন এই ডিমের স্ন্যাক্স

ranna banna o beauty tips
ডিমের স্ন্যাক্স
ডিম এমন একটা খাবার যেটা বিভিন্ন রূপে, বিভিন্ন উপকরণের সাথে খাওয়া যায় এবং এতে স্বাদ আরও বাড়ে। ডিমের ডেভিল কখনো খেয়েছেন কী? না খেয়ে থাকলে দেরি না করে তৈরি করে ফেলুন মাছের কিমা দিয়ে তৈরি ডিমের ডেভিল। হ্যাঁ, মাছ এবং ডিম দিয়েই তৈরি হবে স্বাস্থ্যকর এই স্ন্যাক্স। দেখে নিন রেসিপি এবং ছবি।
উপকরণ

- ৪০০ গ্রাম ভেটকি অথবা অন্য কোন কাঁটাছাড়া মাছ
- ৩টা আলু সেদ্ধ করে ভর্তা করা
- ১ কাপ পিঁয়াজ কুচি
- ২ টেবিল চামচ আদা-রসুন বাটা
- আধা কাপ ধনেপাতা কুচি
- ৫টা হার্ড বয়েল করা ডিম
- আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- মরিচ গুঁড়ো স্বাদমতো
- ১ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
- ২ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
- ৩টা শুকনো মরিচ ভেঙ্গে নেওয়া
- ১ কাপ বেসন
- ২ কাপ ব্রেড ক্রাম্ব
- ১ টেবিল চামচ চিনি
- লবণ স্বাদমতো
- তেল ভাজার জন্য
এই রেসিপির জন্য আপনি ভেটকি মাছ ছাড়াও অন্য মাছ ব্যবহার করতে পারেন তবে তার জন্য মাছের কাঁটা ছাড়িয়ে নিতে হবে।
প্রণালী

১) নন-স্টিক প্যানে তেল গরম করে নিন। এপিঠ-ওপিঠ করে ভেজে নিন মাছের টুকরোগুলো। এরপর চামচ দিয়ে ভেঙ্গে নিন মাছ। এরপর ভাজা ভাজা হয়ে গেলে মাছটা নামিয়ে নিন। এখন লবণ দেবেন না।
২) ওই একই প্যানে কিছুটা তেল গরম করে নিন। এতে পিঁয়াজ কুচি, আদা-রসুন বাটা, শুকনো মরিচ, চিনি, লবণ, হলুদ, জিরা এবং মরিচ গুঁড়ো দিন। ভালো করে মিশিয়ে ভুনে নিন যতক্ষণ না পিঁয়াজ বাদামি হয়ে আসে। এর মাঝে ভাজা মাছটুকু দিয়ে মিশিয়ে নিন।

বুধবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৬

দিল্লীর জনপ্রিয় চিকেন ম্যাজেসটিক তৈরি করে ফেলুন ঘরেই

ranna banna o beauty tips
চিকেন ম্যাজেসটিক
দিল্লীর খুব বিখ্যাত একটি রান্না চিকেন ম্যাজেসটিক। এটি মূলত দিল্লীর হায়দ্রাবাদ এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে পাওয়া যায়। দিল্লীবাসীদের কাছে এটি বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। চিকেন ম্যাজেসটিক নামটা শুনে কঠিন মনে হলেও এটি তৈরি করা তেমন কঠিন নয়। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক দিল্লীর এই বিখ্যাত খাবার তৈরির রেসিপিটি।
উপকরণ:

৩ টেবিল চামচ টকদই
১ চা চামচ ধনিয়া গুঁড়ো
১/২ গুচ্ছ পুদিনা পাতা কুচি
২টি কারি পাতা
৪টি কাঁচা মরিচ
১ চা চামচ আদা রসুনের পেস্ট
১টি ডিম
লবণ স্বাদমত
২ টেবিল চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার
২৫০ গ্রাম মুরগির মাংস
১/২ চা চামচ সয়াসস
১ চিমটি টেস্টিং সল্ট
ম্যারিনেট করার জন্য বাটার মিল্ক
প্রণালী:

১। প্রথমে মুরগির মাংসগুলোকে বাটার মিল্ক এবং লবণ দিয়ে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা মেরিনেট করতে দিন।
২। এবার একটি পাত্রে মেরিনেট করা মাংসের সাথে কর্ণ ফ্লাওয়ার, লবণ, ডিম, আদা রসুনের পেস্ট, তেল ভাল করে মিশিয়ে ২ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
৩। তারপর তেল গরম করে মাংসগুলো ভেজে নিন।
৪। এখন একটি প্যানে রসুন কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, কারি পাতা, পুদিনা পাতা, হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, ধনিয়া গুঁড়ো, টক দই, সয়া সস এবং লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন।  
৫। এবার এতে টেস্টিং সল্ট এবং ভাজা মাংসগুলো দিয়ে দিন। ভাজা মাংস দিয়ে খুব বেশি রান্না করবেন না।
৬। মাংসগুলো কিছুক্ষণ নেড়ে লেবুর রস এবং ধনে পাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।
৭। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার চিকেন ম্যাজেসটিক।

একই সাথে মজাদার এবং স্বাস্থ্যকর ফুলকপি দিয়ে মুগ ডাল

ranna banna o beauty tips
স্বাস্থ্যকর ফুলকপি দিয়ে মুগ ডাল
তেল চুপচুপে ভাজাভুজি, ঘিয়ের সুবাসে মৌ মৌ করা মোগলাই খাবার অথবা চর্বিতে চকচক করতে থাকা মাংস- এগুলোর রেসিপি দেখতে দেখতে যারা ক্লান্ত তারা আজ দেখে নিন স্বাস্থ্যকর একটি খাবারের রেসিপি। কম তেল-ঘি, লো-ক্যালোরির একেবারে খাস ভেজিটেরিয়ান একটি ডিশ হলো এই ফুলকপি দিয়ে মুগ ডালের রেসিপি। খাবারটি তৈরি এতো সহজ যে আপনি যে কোন দিনই ভাতের সাথে খাবার জন্য তৈরি করে ফেলতে পারেন এই ডাল। চলুন, ছবিতে দেখে নেই রেসিপিটি।
উপকরণ

২ কাপ মুগ ডাল
২ কাপ ফুলকপি, ছোট টুকরো করে কাটা
৪ টেবিল চামচ মটরশুঁটি
১ কাপ গাজর কুচি
আধা কাপ শিম কুচি
১ চা চামচ জিরা
২/৩টা শুকনো মরিচ
১/২টা তেজপাতা
আধা চা চামচ হলুদ
আধা চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
১/২ চা চামচ চিনি
লবণ স্বাদমতো
১-২ চা চামচ
প্রণালী

১) বেশ আঁচে মিনিট দুয়েক টেলে নিন মুগ ডাল। এরপর ৩ কাপ পানিতে ৩০ মিনিট সেদ্ধ করে নিন ডাল। এছাড়াও ১০ মিনিট প্রেশার কুকারে ডাল ফুটিয়ে নিতে পারেন।

২) এরপর নন-স্টিক কড়াইতে এক চা চামচ তেল গরম করে নিন। এতে আস্ত জিরা দিয়ে দিন। এরপর দিন শুকনো মরিচ এবং তেজপাতা। এরপর দিয়ে দিন ফুলকপি। সাথে দিন মটরশুঁটি বাদে অন্যান্য সবজি। ওপরে ছড়িয়ে দিন হলুদ, মরিচ গুঁড়ো, চিনি এবং লবণ। ২-৩ মিনিট সাঁতলে নিন।
৩) ঢাকনা চাপা দিয়ে রান্না হতে দিন সবজি যতক্ষণ না সব সবজি সেদ্ধ হয়ে যায়। মাঝে মাঝে অল্প করে পানি দিতে পারেন যাতে শুকিয়ে না যায়। একটু নেড়েও দিতে পারেন।

৪) এবার ওপরে ঢেকে দিন সেদ্ধ করে রাখা মুগডাল। এবার দিয়ে দিন মটরশুঁটি। বেশি আঁচে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন ২-৩ মিনিট। লবণ চেখে দেখুন, দরকার হলে ঠিক করে নিন।

ব্যাস, তৈরি হয়ে গেলো দারুণ মজাদার এবং স্বাস্থ্যকর ফুলকপির ডাল। ভাত অথবা রুটি- দুটোর সাথেই পরিবেশন করতে পারেন এই ডাল।
টিপস
এই রেসিপিতে আপনি ফুলকপির পাশাপাশি যে কোন সবজি ব্যবহার করতে পারেন। লাউ, বিট, পালং শাক, কাঁচা পেঁপে সবকিছুই চলে। তবে ফুলকপির পরিমাণটা কম দেবেন না।

শীতের সবজি দিয়েই তৈরি করুন "চাইনিজ" পাকোড়া

ranna banna o beauty tips
"চাইনিজ" পাকোড়া 
শীতকালে একটু ভাজাপোড়া খেতে সবারই ভাল লাগে। আলুর চপ, ফুলকপির চপ, পেঁয়াজু কত রকমের পাকাড়োই তো তৈরি করে থাকেন। এইবার একটু ভিন্নধর্মী পাকোড়া তৈরি করে নিন। সবজি দিয়ে তৈরি এই পাকোড়াটি হতে পারে বিকেলের নাস্তা আবার হতে পারে হুটহাট অতিথির নাস্তাও।  আসুন তাহলে জেনে নিন চাইনিজ স্টাইল পাকোড়ার সহজ রেসিপিটি।
উপকরণ:
১ কাপ বাঁধাকপি কুচি
১ কাপ পেঁয়াজ কলি কুচি
১ টেবিল চামচ আদা রসুনের পেস্ট
৩ টেবিল চামচ ধনে পাতা কুচি
২টি কাঁচা মরিচ কুচি
১ চা চামচ সয়াসস
১/২ চা চামচ ভিনেগার
৩ টেবিল চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার
৬ টেবিল চামচ ময়দা
লবণ
গোলমরিচ গুঁড়ো
তেল ভাঁজার জন্য
সস তৈরির জন্য
২ টেবিল চামচ টমেটো কেচাপ
১ টেবিল চামচ চিলি সস
১ চা চামচ সয়া সস
১ চা চামচ সাদা ভিনেগার
প্রণালী:
১। একটি পাত্রে বাঁধাকপি কুচি, ধনেপাতা কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, আদা রসুনের পেস্ট, পেঁয়াজ কলি কুচি, ভিনেগার, সয়াসস, কর্ণ ফ্লাওয়ার, ময়দা, লবণ এবং গোলমরিচ গুঁড়ো  দিয়ে খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন।
২। এবার এটি ঢাকনা দিয়ে ১০ মিনিট মেরিনেট করে রেখে দিন। এতে সবজি থেকে পানি বের হয়ে যাবে।
৩।  ১০ মিনিট পর সবজিগুলো হাত দিয়ে ছোট ছোট বল তৈরি করে দিন।
৪। প্রয়োজন হলে আরও ময়দা বা পানি মিশিয়ে নিন।
৫। চুলায় মাঝারি আঁচে তেল গরম করতে দিন। এবার পাকোড়াগুলো তেলে দিয়ে দিন।
৬। বাদামী রং হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন।
৭। পাকাড়ো তৈরির সাথে সাথে চাইনিজ সসটি তৈরি করে ফেলুন।
৮। টমেটো কেচাপ, চিলি গার্লিক সস, সয়া সস এবং ভিনেগার দিয়ে তৈরি করে নিন চাইনিজ সস।
৯। চাইনিজ সস দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চাইনিজ পাকোড়া।
টিপস
১। বাঁধাকপি মাঝারি আকৃতিতে কেটে নিন।
২। সবজির মিশ্রণে পানি দিবেন না।
৩। মাঝারি আঁচে পাকাড়ো ভাজি করুন।

পেরি পেরি চিকেন

ranna banna o beauty tips
পেরি পেরি চিকেন
আজকাল চিকেনের একটি খাবারের নাম শোনা যাচ্ছে। সেটি হল পেরি পেরি চিকেন। রেস্টুরেন্টে গেলে অনেকেই এই খাবারটি অর্ডার করে থাকেন। ঝাল ঝাল স্বাদের চিকেনের এই খাবারটি খেতে বেশ মজাদার। বাসায় এই মজাদার খাবারটি তৈরি করে নিতে পারেন খুব সহজেই।
উপকরণ:

৫০০ গ্রাম মুরগির রানের মাংস
১ চা চামচ+১/৪ কাপ+৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল বা তেল
৫-৬টি লাল মরিচ
৬-৮টি রসুনের কোয়া
১টি মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ
২-৩টি ফ্রেশ ওরিগেনো
কয়েকটি পার্সলি পাতা
১ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো বা পাপরিকা পাউডার
লবণ স্বাদমত
১ টেবিল চামচ লাল ভিনেগার
২ টেবিল চামচ লেবুর রস
১ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
১ টেবিল চামচ মাখন
প্রণালী:

১। প্রথমে ওভেন ১৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে প্রি হিট করে নিন।
২। চুলায় প্যান গরম করতে দিয়ে এতে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, লাল মরিচ এবং রসুন কুচি দিয়ে দিন।
৩। রসুন লাল হয়ে এলে এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ৪-৫ মিনিট রান্না করে নামিয়ে রাখুন।
৪। এবার মরিচ, পার্সলি, পাপরিকা, ওরিগেনো, লবণ, লেবুর রস, গোলমরিচ গুঁড়ো, লাল ভিনেগার এবং ৩ টেবিল চাচা মচ অলিভ অয়েল দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। একে পেরিপেরি সস বলা হয়।
৫। তারপর মাংসের টুকরোগুলো একটু করে কেটে নিন।
৬। এবার পেরিপেরি সস দিয়ে মাংসগুলো মাখিয়ে ফেলুন,
৭। মেরিনেট করা মাংসগুলো ২-৩ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
৮। এবার এই মেরিনেট করা মাংসগুলো ওভেনের ট্রেতে সাজিয়ে ওভেনে দিয়ে দিন।
৯। ১৫ থেকে ১৮ মিনিট ওভেনে বেক করুন।
১০। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার পেরিপেরি চিকেন।

অন্যরকম স্ন্যাক্স মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় খাবার হামুস এবং ফালাফাল

ranna banna o beauty tips
অন্যরকম স্ন্যাক্স মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় খাবার হামুস এবং ফালাফাল
মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় একটি খাবার ফালাফাল। এর সাথে একটি সস খাওয়া হয়, যার নাম হামুস। হামুস এবং ফালাফাল ছোলার ডাল দিয়ে তৈরি একটি খাবার। একটু ভিন্ন স্বাদের এই খাবারটি খেতে দারুন। আলুর চপ, ডিম চপ, ডালের বড়া খেতে খেতে একঘেয়েমি ধরে গেছে? একঘেয়েমি দূর করে দিবে মধ্যপ্রাচ্যের মজাদার ফালাফাল এবং হামুস।
উপকরণ:

হামুস তৈরির জন্য  
২ কাপ সিদ্ধ ছোলার ডাল
১ কাপ তিল
১ কাপ অলিভ অয়েল
৩-৪ কোয়া রসুনের কোয়া
লবণ
লেবুর রস
ফালাফাল তৈরির জন্য
১ কাপ ভেজা ছোলার ডাল
১/২ কাপ পার্সলি পাতা কুচি
১টি মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ কুচি
৩টি রসুন কুচি
লবণ স্বাদমত
১/২ চা চামচ খাবার সোডা
তেল ভাজার জন্য
সাজানোর জন্য
১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
পাপরিকা বা শুকনা মরিচ গুঁড়ো
কিছু সিদ্ধ ছোলার ডাল
প্রণালী:

১। খুব ভাল করে ছোলার ডাল সিদ্ধ করে নিন।
২। এবার ছোলার ডাল, তিল, অলিভ অয়েল, রসুনের কোয়া, লবণ এবং লেবুর রস দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। আপনি বেশি পাতলা করতে চাইলে পানি দিবেন না, আরও একটু অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিবেন।
৩। তারপর হামুস একটি পাত্রে ঢেলে সামান্য অলিভ অয়েল দিয়ে এক ঘন্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন।
৪। এখন ফালাফাল তৈরি করুন।
৫। সিদ্ধ ছোলার ডাল, পার্সলি পাতা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, ধনে পাতা কুচি, লবণ, জিরা, রসুন কুচি, এবং খাওয়ার সোডা দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
৬। মাঝারি আঁচে তেল গরম করতে দিন। এরপর এতে ডালের মিশ্রণ দিয়ে ছোট ছোট বল বা চ্যাপ্টা বড়ার মত করে তেলে দিয়ে  দিন।
৭। বাদামী রং হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন।
৮। হামুসের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার ফলাফল।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে-

ডিম ছাড়াই হবে ফ্রেঞ্চ টোস্ট

ranna banna o beauty tips
ডিম ছাড়াই হবে ফ্রেঞ্চ টোস্ট 
ব্রেকফাস্টে ঝটপট ফ্রেঞ্চ টোস্ট অথবা বোম্বে টোস্ট পছন্দ করেন অনেকেই। ডিমে ডুবিয়ে হালকা তেলে ভেজে তোলা পাউরুটি নিমেষেই হয়ে পড়ে মুখরোচক একটি নাশতা। কিন্তু যারা ডিম খেতে পারেন না তারা কী করবেন? চলুন, দেখে নেই একেবারে ডিম ছাড়া ফ্রেঞ্চ টোস্ট তৈরির একটি রেসিপি।
উপকরণ

-   ৪ স্লাইস বড় পাউরুটি
-   ১ কাপ দুধ
-   ২ চা চামচ চিনি (অথবা স্বাদমতো)
-   ভাজার জন্য মাখন
-   ২ চা চামচ কাস্টার্ড পাউডার
প্রণালী

১) একটা বোলে মিশিয়ে নিন কাস্টার্ড পাউডার এবং অল্প করে দুধ। ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন, মিশ্রণটা যেন বেশ মসৃণ হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
২) বাকি দুধটুকু গরম করুন। এর সাথে মিশিয়ে নিন চিনি। এরপর কাস্টার্ড পাউডারের পেস্ট এর সাথে মিশিয়ে নিন।
৩) রান্না করতে থাকুন যতক্ষণ না বেশ ঘন হয়ে আসে এই মিশ্রণ। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে রাখুন।
৪) একটা নন-স্টিক কড়াই বা তাওয়া গরম করে নিন। এর ওপরে মাখিয়ে নিন মাখন। পাউরুটির দুই দিকেই সমান করে কাস্টার্ড পেস্ট মাখিয়ে নিন। এরপর তাওয়ায় ভেজে নিন। একদিক ভাজা হলে উল্টে অন্যদিকে ভেজে নিন।
ব্যাস তৈরি হয়ে গেলো আপনার ডিম-ছাড়া ফ্রেঞ্চ টোস্ট। পরিবেশন করুন গরম গরম।
টিপস
-   এটা ডিম দিয়ে তৈরি করা ফ্রেঞ্চ টোস্টের মতো বাদামি হবে না। হলদে-সোনালি হয়ে উঠবে ভাজার পর।
-   সার্ভ করতে পারেন ওপরে চকলেট সস বা ম্যাপল সিরাপ ছড়িয়ে।


প্রেসার কুকারে তৈরি করে ফেলুন মজাদার পাঁচমিশালী খিচুড়ি

ranna banna o beauty tips
পাঁচমিশালী খিচুড়ি
শীতের দিন দুপুরে একটু খিচুড়ি আর গরুর ভুনা খেতে পারলে দারুন লাগে। খিচুড়ি আমরা কম বেশি সবাই রান্না করতে পারি। সাধারণত ডাল, চাল মিশিয়ে আমরা খিচুড়ি রান্না করে থাকি। ডাল, চাল এবং সবজি মিশিয়ে রান্না করে নিতে পারেন, একটু ভিন্ন স্বাদের মজাদার পাঁচমিশালী খিচুড়ি। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মজাদার পাঁচমিশালী খিচুড়ির প্রণালীটি।
উপকরণ:

১.৫ কাপ বাসমতী চাল
১ টেবিল চামচ মসুর ডাল  
১ টেবিল চামচ ছোলার ডাল
১ টেবিল চামচ মুগ ডাল
১ টেবিল চামচ অড়হর ডাল
২ টেবিল চামচ ঘি
১ চা চামচ জিরা
১ চা চামচ আদা কুচি
১/৪ কাপ পেঁয়াজ কিউব করে কাটা
১/২ কাপ বাঁধাকপি কিউব করে কাটা
৩/৪ কাপ ফুলকপি
১/২ কাপ আলু কিউব করে কাটা
১/২ কাপ মটরশুঁটি
১ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো
১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
২ চামচ ধনিয়া জিরা গুঁড়ো
১/২ কাপ টমেটো কুচি
লবণ স্বাদমত
প্রণালী:

১। চাল এবং ডাল ১৫ মিনিট একটি পাত্রে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন।
২। এবার প্রেশার কুকারে ঘি এবং জিরা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।
৩। এরপর এতে আদা রসুন দিয়ে মাঝারি আঁচে ১ মিনিট ভাজুন।
৪। আদা রসুন নরম হয়ে এলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে আবার ১ মিনিট নাড়ুন।
৫। এতে বাঁধাকপি, ফুলকপি, আলু এবং মটরশুঁটি দিয়ে মাঝারি আঁচে ২ মিনিট রান্না করুন।
৬। লাল মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, ধনিয়া-জিরা গুঁড়ো, টমেটো কুচি, চাল, ডাল, লবণ এবং ৩ কাপ গরম পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন। প্রেশার কুকারে ২ বার হুইসেলের জন্য অপেক্ষা করুন।
৭। ব্যস তৈরি হয়ে গেল পাঁচমিশালী খিচুড়ি। ৬ জন মানুষের পরিবেশনযোগ্য।

মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৬

শীতেও ঝলমলে চুল

ranna banna o beauty tips
শীতেও ঝলমলে চুল
কয়েক দিন ধরেই জেঁকে বসেছে শীত৷ এই সময় ঠান্ডা পানিতে চুল ভেজানো তো এক দুরূহ কাজই বটে৷ গোসল করতে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা হয়, তাতেও চুলের বারোটা বাজতে দেরি হয় না৷ স্বাভাবিকভাবেই চুলের তাপমাত্রার চেয়ে গরম পানির তাপমাত্রা বেশি হয়ে থাকে৷ যে কারণে চুল আরও শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ হয়ে যায়৷ আবার নিয়মিত চুলটা না ধুলেও তো দেখা দেয় নানা সমস্যা৷ এ জন্য গোসলের আগে চুলে শাওয়ার ক্যাপ পরে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন হারমোনি স্পার রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা৷ তিনি বললেন, ‘গোসল শেষে কুসুম গরম পানিটাকে আরেকটু ঠান্ডা করে নিন৷ এবার শাওয়ার ক্যাপ খুলে ভালো করে চুলগুলোকে ধুয়ে নিন৷ সবশেষে এক মগ হালকা কুসুম গরম পানিতে এক চা-চামচ ভিনেগার দিয়ে চুলগুলোকে আবারও ধুয়ে নিন৷ ভিনেগারের গন্ধ যাঁদের পছন্দ নয় তাঁরা অবশ্য লেবুর রসও ব্যবহার করতে পারেন৷ এতে গরম পানিতে গোসল করলেও চুল আর রুক্ষ হওয়ার ভয় থাকবে না৷

যাঁদের চুল প্রকৃতিগতভাবেই একটু শুষ্ক প্রকৃতির শীতের সময়টা তাঁদের একটু বেশিই ঝামেলা পোহাতে হয়৷ কারণ ঠান্ডার সময় চুলে প্যাক লাগালে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ তাই শীতের সময় চুলের রুক্ষতা দূর করতে এমন প্যাক বেছে নিতে হবে যেগুলো ধুতে খুব বেশি পানির প্রয়োজন হয় না৷ শীতে চুলের যত্নে মেহেদির প্যাকগুলো এড়িয়ে যাওয়াই ভালো৷ এর পরিবর্তে যাদের চুল একটু লম্বা তারা সপ্তাহে এক দিন পরিমাণমতো দুধ, মধু আর লেবুর রস মিলিয়ে লাগাতে পারেন৷ একটা কলার সঙ্গে আধা কাপ টক দই ভালো করে পেস্ট করে লাগাতে পারেন মাঝারি দৈর্ঘ্যের চুলে৷ তবে যেকোনো প্যাক ব্যবহারের আগে তা হালকা গরম করে নিন৷ শীতের সময় কোনো প্যাকেই চুলে ২০ মিনিটের বেশি রাখবেন না৷ চুলে তেল লাগিয়ে সারা রাত রাখলে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে৷ তাই তেল গরম করে নিয়ে গোসলের আধা ঘণ্টা আগে চুলে লাগান৷ এরপর শ্যাম্পু করে নিন৷ চুল ধুতে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার-সমৃদ্ধ শ্যাম্পু বেছে নিন৷ শীতকালে চুল রুক্ষ হওয়া ছাড়াও আরেকটা সমস্যা বেশ দেখা দেয় অনেকের৷ তা হলো চুলের ডগা ফেটে যাওয়া৷ এদিকে আবার অনেকেরই ধারণা যে শীতে চুল কাটলে সেই চুল আর লম্বা হবে না৷
রাহিমা সুলতানা জানালেন, এটা একেবারেই একটা ভুল ধারণা৷ বরং শীতে আগা ছাঁটলেই চুল আরও সুন্দর করে বেড়ে ওঠে৷ তাই চুল ফেটে গেলে সঙ্গেই সঙ্গেই ছেঁটে ফেলার পরামর্শ দিলেন এই রূপবিশেষজ্ঞ৷

চুলের যত্নে যা করা দরকার

ranna banna o beauty tips
চুলের যত্নে যা করা দরকার
চুলের যত্নে এই প্যাক, সেই প্যাক—আরও নানা কিছু ব্যবহার করছেন, কিন্তু পরিচর্যার একদম প্রাথমিক কিছু ধাপেই যদি থেকে যায় গলদ, তা হলে কি চলে? ‘শ্যাম্পু করা, তেল দেওয়া—এসব তো রোজকার ঘটনা, এতে আর অত মনোযোগের কী প্রয়োজন’—এমন ভেবেছেন তো ভুল করেছেন। চুলের যত্নে খুব সাধারণ কিছু বিষয়ও জেনে নেওয়া জরুরি। কারণ, অনেক ভুল ধারণাও রয়েছে এসব নিয়ে। এ প্রসঙ্গে পরামর্শ দিয়েছেন রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন ও শারমিন কচি।
চুল কি রোজ ধুতে হবে?
রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন বলেন, আমাদের দেশের আবহাওয়ায় প্রতিদিনই শ্যাম্পু করা উচিত। যাঁরা রোজ বাইরে যান, তাঁদের জন্য এটি অবশ্যই করণীয়। বাইরে বের না হলে ধুলাবালুতে চুল তেমন ময়লা হয় না। তাই সে ক্ষেত্রে এক দিন পরপর চুল পরিষ্কার করলেও কোনো ক্ষতি নেই। তবে চুল ও মাথার ত্বক তৈলাক্ত হলে বাইরে বের না হলেও প্রতিদিনই শ্যাম্পু করার পরামর্শ দেন তিনি। এই নিয়ম যেকোনো ঋতুতেই মেনে চলা উচিত। আর শ্যাম্পু কী পরিমাণে নিতে হবে, তা নির্ভর করবে চুলের ঘনত্ব ও দৈর্ঘ্যের ওপর। শ্যাম্পুর সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে নিলে চুল পরিষ্কার করতে সুবিধা হবে। শ্যাম্পু করতে হবে দুবার। অর্থাৎ একবার শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে আবার করতে হবে। শারমিন কচি বলেন, ‘শীতের সময় ধুলাবালুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় খুশকির সমস্যা বৃদ্ধি পায়, এ সময় তাই প্রতিদিন শ্যাম্পু করা উচিত।’
কন্ডিশনিং কয়বার
চুল বেশি শুষ্ক হলে প্রতিবার শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনিং করা উচিত। অবশ্য চুল তেলতেলে হলে কন্ডিশনার এড়িয়ে যাওয়া যায়। মিশ্র ধরনের চুল হলে এক দিন পরপর কন্ডিশনার করলেও চলবে। আর এটি চুলে লাগাতে হবে চুলের আগা থেকে ওপরের দিকে। গোড়ায় কোনোমতেই লাগানো যাবে না। কন্ডিশনার ব্যবহারের পরিমাণও নির্ভর করবে চুলের দৈর্ঘ্যের ওপর। ছোট চুল হলে কম, লম্বা হলে অপেক্ষাকৃত বেশি কন্ডিশনার নিতে হবে।
তেল কত দিন পরপর
চুলের পুষ্টি জোগাতে নিয়মিত তেল ব্যবহার করতে হয়। তবে কি শ্যাম্পুর মতো তেলও রোজ লাগাতে হবে? না, প্রতিদিন চুলে তেল দেওয়াটা জরুরি নয়। তবে চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও ঝলমলে রাখার জন্য সপ্তাহে অন্তত এক দিন চুলের গোড়ায় এবং পুরো চুলে তেল লাগাতেই হবে। চুল শুষ্ক ও ভঙ্গুর হলে দুই দিন পরপর তেল ম্যাসাজ করা ভালো। তেল দিয়ে এক ঘণ্টার মতো রেখেই চুল শ্যাম্পু করে ফেলতে পারেন। অতিরিক্ত তৈলাক্ত চুল হলে এত ঘন ঘন তেল দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

যন্ত্রের ব্যবহার
চুল শুকাতে প্রায়ই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া স্টাইলিংয়ের জন্য আয়রন কিংবা কার্লারও ব্যবহার করেন অনেকে। তবে নিয়মিত চুলে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা কি ঠিক? অথবা আয়রন বা হেয়ার কার্লারের মতো সরঞ্জাম ব্যবহার করলে চুলের কোনো ক্ষতি হয় কি না, প্রশ্ন করা হয়েছিল শারমিন কচি ও আফরোজা পারভীনের কাছে। উত্তরে তাঁরা দুজন একই মত জানান, খুব প্রয়োজন না হলে এগুলো ব্যবহার না করাই ভালো, তবে একেবারে বাদও তো দেওয়া যাবে না। তাই চুলের ওপর দিয়ে এসবের ধকল গেলে নিতে হবে বাড়তি যত্ন। নিয়মিত গরম তেল মালিশ এবং চুলের ধরন বুঝে হেয়ার প্যাকের ব্যবহারে চুলের এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। শারমিন কচি বলেন, গরম বাতাসের হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করে ঠান্ডা বাতাসেরটি ব্যবহার করতে হবে। আর আয়রন বা হেয়ার কার্লারের তাপ চুলে লাগানোর পর বাড়ি ফিরে নিবিড় কন্ডিশনিং করতে হবে।

হেয়ার স্প্রে কি ক্ষতিকর?
চুল সেট করতে হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করতে হতেই পারে। ভালো মানের হেয়ার স্প্রে চুলে রোজ ব্যবহার করলেও কোনো ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। তবে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার বেশি এটি চুলে রাখা ঠিক হবে না। তেল দিয়ে স্প্রে তুলে ফেলে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। লক্ষ রাখবেন, ময়লা চুলে স্প্রে লাগাবেন না যেন। একইভাবে মুজ লাগানোর পরেও চুলের যত্ন নিন।

চুল রাঙাব কদিন বাদে?
আফরোজা পারভীনের মতে, যখনই মাথায় সাদা চুল দেখা যায়, তখনই চুলে রং করা যাবে। ফ্যাশনের জন্য হলে বছরে তিনবারের বেশি রং করা উচিত নয় বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, চুলে যেকোনো রাসায়নিকের ব্যবহারের পরেই বাড়তি যত্ন নেওয়া দরকার।’ এ প্রসঙ্গে রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি বলেন, ‘চুলে একবার রং করার পর ছয় মাসের মধ্যে পুনরায় রং করানো উচিত নয়। বছরে দুবারের বেশি রং করার দরকার নেই।’

মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৬

দাঁতকে চমকানো সাদা করে তুলুন এই ছোট্ট কৌশলে

ranna banna o beauty tips
দাঁতকে চমকানো সাদা করে তুলুন এই ছোট্ট কৌশলে
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই দাঁত ব্রাশ করা, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করা- এইতো শুনেছেন এতদিন দাঁতের যত্ন-আত্নি করার উপায় হিসেবে? বিশেষ করে যাদের দাঁত খানিকটা হলদেটে তারা তো নিয়মটাকে আরো বেশি করে মেনে চলে। সত্যি বলতে কি, সবাই চাই নিজের দাঁতগুলোকে আরো সুন্দর আর চকচকে সাদা রঙের করে তুলে সবাইকে একটা সুন্দর হাসি উপহার দিতে। কিন্তু এক্ষেত্রে সাধারণ এসব নিয়মের পাশাপাশি আপনি ব্যবহার করতে পারেন অন্য একটি উপায়ও। আর খুব সহজেই সাদা করে তুলতে পারেন নিজের দাঁতকে। কীভাবে? না, কোন ওষুধের মাধ্যমে নয়। লিপস্টিকের ছোট্ট একটু ব্যবহারই আপনার দাঁতকে করে তুলতে পারে আরো উজ্জ্বল।

ভাবছেন কীভাবে? না, অন্য কোনভাবে নয়, বরং লিপস্টিক নিজেই নিজের রঙের মাধ্যমে আপনার দাঁতকে অন্যদের কাছে আরো একটু সাদা করে তুলবে। লিপস্টিকের নানারকম রঙ রয়েছে। বাজারো নানা রঙের লিপস্টিক কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু তাদের ভেতরেও কিছু রঙ আছে যেগুলোর ব্যবহার আপনার ঠোঁটকে বিশেষভাবে রাঙিয়ে আপনার দাঁতগুলোকে অন্যদের কাছে করে তুলতে পারে একটু বেশি সাদা। আর সেই রঙগুলো হচ্ছে-
১. উষ্ণ রঙ

রঙ নানারকমের হয়। কোনটা একটু বেশি শীতল ও ঠান্ডা প্রকৃতির। আর কোনটা উষ্ণ। আপনার দাঁত যদি খানিকটা হলদেটে হয় এবং আপনি চান সেটাকে একটু সাদা করে তুলতে তাহলে অন্যান্য প্রসাধনীর পাশাপাশি দোকানে গেলেই ঠোঁটের জন্যে বাছুন উষ্ণ রঙএর লিপস্টিক। দোকানের নানারকম লিপস্টিকের ভেতরে উষ্ণ ও সাহসী অর্থাৎ, গাঢ় লাল, কমলা বা হলদে রঙ এবং শীতল অর্থ্যাত্ নীল রঙ এর লিপস্টিকগুলো ( রিফাইনারি ) আলাদা করেই সাজানো থাকে। তাই খুব সহজেই আপনি ওখান থেকে পেয়ে যেতে পারেন আপনার পছন্দসই জিনিসটি।
২. বেগুনী, গাড় গোলাপী

আপনার দাঁতকে অনেক বেশি সাদা দেখাতে বেগুনী রঙ এর লিপস্টিকের কোন তুলনা হয়না। তবে গোলাপী লিপস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে মনে রাখবেন যে হালকা গোলাপীর চাইতে গাঢ় গোলাপী রঙএর লিপস্টিক অনেক বেশি ধাঁধায় ফেলে দিতে পারে মানুষের চোখকে আর করে তুলতে পারে দাঁতগুলোকে আরো বেশি সাদা ( এলে )।
৩. জাম রং

লিপস্টিক কেনার সময় খানিকটা নীলচে অথবা ঠান্ডা ধরনের আন্ডারটোন নিন। এক্ষেত্রে সেলসম্যানকে বললে সেই আপনাকে বুঝিয়ে দেবে কোন লিপস্টিক কোন ধরনের। লিপস্টিকের রঙ হিসেবে খুব বেশি হলদে বা কমলা রঙ এর দিকে না গিয়ে মাঝারি থেকে গাঢ়র দিকে যান। এছাড়া সামান্য জাম রঙ এর লিপস্টিকও আপনার দাঁতকে স্বাভাবিকের চাইতে বেশি উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করবে

সোমবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৬

ঘরেই তৈরি করে রাখুন সারা বছরের টমেটো সস

ranna banna o beauty tips
টমেটো সস
কমতে শুরু করেছে টমেটোর দাম। কিছুদিন বাদেই হয়ে উঠবে আরও সস্তা। হ্যাঁ, এটাই সুযোগ কিন্তু সারা বছরের জন্য টমেটো সস তৈরি করে রাখার। চলুন, তাহলে জেনে নিই সুমনা সুমির টমেটো সস তৈরির রেসিপি।
উপকরণ
  • পাকা টমেটো ১কেজি
  • অলিভ ওয়েল ১/৪কাপ
  • শুকনো মরিচ টালা গুঁড়ো ১ টেবিলচামচ
  • রসুন কুচি ২ টেবিলচামচ
  • পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিলচামচ
  • ওরিগেনো ১চা চামচ
  • বেসিল লিভস ১/২ চা চামচ
  • পারসলে কুচি ১/২কাপ
  • গোল মরিচ গুঁড়ো ১/২চা চামচ
  • চিনি ১/২কাপ
  • ভিনেগার ১/৪কাপ
  • ফিস সস ১টেবিলচামচ ও ফুড কালার ১/২ চা চামচ (এই দুটো ঐচ্ছিক)
প্রনালি
-টমেটোর গায়ে কাঁটা চামচ বা ছুরি দিয়ে একটু কেঁচে নিন।
-হাঁড়িতে ২ লিটার পানি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। টমেটো দিয়ে ১মিনিট রাখুন। ১মিনিট পরে টমেটো উঠিয়ে খোসা ছিলে নিন। টমেটো কুচি করে নিন।
-অন্য একই সস প্যানে তেল দিয়ে পেঁয়াজ, রসুন দিয়ে নরম করে ভাজুন। ভিনেগার ও ফিস সস বাদে বাকি সব উপকরণ ও টমেটো কুচি দিয়ে নাড়ুন। ফুটতে থাকলে চুলার আঁচ একদম কমিয়ে ঢেকে ১ ঘন্টা রান্না করুন। চুলা বন্ধ করে মিশ্রনটি ঠান্ডা করে নিন।
-এখন মিশ্রনটি ব্লেন্ডারে দিয়ে মিহি পেস্ট করে নিন। এই মিশ্রনটি আবার চুলাতে দিন। ভিনেগার ও সস দিন। চাইলে ফুড কালার দিতে পারেন। সসের মত ঘন করে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে এটি আরও ঘন হবে।
-বোতলে ভরে ফ্রিজে রাখুন। ৩ মাস পর্যন্ত ভাল থকবে এটি। ডিপ ফ্রিজে রেখে দিলে ভালো থাকবে সারা বছর। যখন প্রয়োজন অল্প করে বের করে নেবেন।

বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৬

সহজলভ্য নারিকেল তেলের ৪টি কার্যকরী ফেসপ্যাক

ranna banna o beauty tips
নারিকেল তেলের ৪টি কার্যকরী ফেসপ্যাক
নারিকেল তেলের নাম শুনলে মনে হয় চুলের কথা। আদিকাল থেকে চুলের যত্নে নারিকেল তেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু আপনি জানেন কি, নারিকেল তেল শুধু চুলের জন্য নয় ত্বকের জন্যও বেশ উপকারী? শুষ্ক প্রাণহীন ত্বককে নরম, কোমল, প্রাণবন্ত করতে নারিকেল তেলের জুড়ি নেই। শুধু তাই নয় ফেসপ্যাক তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় নারিকেল তেল।

 লেবুর রস, মধু এবং নারিকেল তেলের ফেসপ্যাক 

১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল, ২ চা চামচ বিশুদ্ধ মধু এবং ১/২ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। মুখ পরিস্কার করে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। একটি নরম তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। 

২। নারিকেল তেল এবং হলুদ 

১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল এবং এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এই প্যাকটি মুখ এবং ঘাড়ে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।  এটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে থাকবে।

 ৩। হলুদ গুঁড়ো, কলা এবং নারিকেল তেল 

১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল, ১/২ পাকা কলা এবং এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। ত্বক পরিষ্কার করে প্যাকটি লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। পাকা বা খুব বেশি পাকা কলা হলে ভালভাবে ম্যাশ করা যায়। 

৪। নারিকেল তেল, টক দই এবং জায়ফল 

১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল, ১ চা চামচ জায়ফল এবং ১ টেবিল চামচ টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এবার এই প্যাকটি ম্যাসাজ করে ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানি বা ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বক আদ্র করে বলিরেখা দূর করে থাকে। নারিকেল তেলের এই প্যাকগুলো আপনার ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে ব্রণের দূর করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের কালো দাগও দূর করে থাকে।

বুধবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৬

নখের ভঙ্গুরতা ঠেকাতে

ranna banna o beauty tips
নখের ভঙ্গুরতা ঠেকাতে
সুন্দর দুটি হাতের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে নিতে নখ বড় রাখার বিকল্প নেই। এটি তরুণীদের একটি প্রিয় অভ্যাসও বটে। আজকাল ফ্যাশন সচেতন অনেক তরুণও নখের মাথা সামান্য বড় রাখতে পছন্দ করেন। নিজেদের সাজকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে পরিচ্ছন্ন নখের আবেদন থাকে সব সময়। তবে কারো কারো নখ একটু বড় হলেই তা ভেঙে যায়। বিশেষ করে শীতের এই সময়টাতে নখ ভঙ্গুরতার হার বেশি দেখা যাচ্ছে। যাদের নখের গঠন কিছুটা নরম প্রকৃতির হয় তাদের এই সমস্যাটি বেশি হয়ে থাকে। নখের ভঙ্গুরতা ঠেকাতে অবলম্বন করা যেতে পারে কিছু কার্যকরী ব্যবস্থা।

- এক চা চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নখে মাখতে হবে। এই মিশ্রণটি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে প্রতিদিন ব্যবহারে আপনার নখ হয়ে উঠবে মজবুত। নখ ভেঙে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে আর আপনি পাবেন পরিচ্ছন্ন স্বাস্থ্যোজ্জ্বল নখ।

- আধা চামচ লবণ, আধা চামচ লেবুর রস এক কাপ পানিতে মিশিয়ে গরম করে নিন। লবণযুক্ত সেই গরম পানিতে নখ ডুবিয়ে রাখতে হবে ১৫ মিনিট। প্রতি সপ্তাহে একবারই যথেষ্ট। এভাবে চর্চা করে গেলে নখ মজবুত হবে।

- বিভিন্ন প্রকার তেল যেমন- তিলের তেল, বাদামের তেল, অলিভ অয়েল হাত পায়ের নখের জন্য বেশ উপকারী। তিনে ৩ বার তুলা ভিজিয়ে এই তেল হাত ও পায়ের নখে মাখলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

- রান্না-বান্না, সবজি কাটা কিংবা পাতিল ধোয়ার সময় গ্লাভস পরে নিলে নখে চোট লাগে কম। বিশেষ করে বাগান করার সময় অবশ্যই গ্লাভস পরে নেয়া উচিৎ। এতে নখে চাপ পড়ে না। তাছাড়া গ্লাভস পরে নিলে বারে বারে ক্ষতিকর ডিটারজেন্ট ও ডিশ ওয়াসার লাগে না। ফলে নখ দূর্বল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

- সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পর পেট্রোলিয়াম জেলি, ক্যাস্টর ওয়েল অথবা অলিভ ওয়েল মাখুন। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্তত একবার এভাবে নখে ও নখের আশেপাশের ত্বক ময়শ্চারাইজ করে নিন। এতে নখের ভঙ্গুরতা কমে এবং রুক্ষ ভাব দূর হয়।

- সব সময় নেইল পলিশ লাগিয়ে রাখা অথবা ঘন ঘন নেইল পলিশ রিমুভার ব্যবহার করলে নখের ভঙ্গুরতা বেড়ে যায়। এধরণের রাসায়নিক পদার্থ গুলো নখের আদ্রতা কেড়ে নেয় এবং নখকে দূর্বল করে দেয়। তাই সব সময়ে নেইল পলিশ লাগিয়ে না রেখে মাঝে মাঝে বিরতি দেয়া ভালো।

- প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যুক্ত খাবার রাখুন। এছাড়াও অন্যান্য ভিটামিন যেমন ভিটামিন এ, সি, ডি ইত্যাদিও নখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খান যেগুলোতে প্রচুর ভিটামিন আছে। খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন ই পর্যাপ্ত না পেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন। এতে শরীরের ভেতর থেকে নখে পুষ্টি পৌছাবে এবং নখ শক্ত ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল হবে।

গোড়ালি ফাটা রোধে কার্যকরী উপায়

ranna banna o beauty tips
গোড়ালি ফাটা রোধে কার্যকরী উপায়
শীতের সকালে কাঁথা কম্বলের আদুরে পরশ থেকে বের হতে একদমই ইচ্ছা করে না। তবু বিছানা ত্যাগ করতে হয় কাজের তাগিদে। আড়মোড়া ছাড়তে ছাড়তে বিছানা থেকে মেঝেতে পা ফেলা। আর তখনই গোড়ালিতে কিঞ্চিৎ ব্যথার অনুভূতি। কেউ এটাকে পাত্তা দেন, কেউ হুড়মুড়িয়ে উঠতে গিয়ে টেরই পান না। শীতে ত্বকের শুষ্কতা পায়ের গোড়ালি ফাটা বা ব্যথা হওয়ার অন্যতম কারণ। দেহের অন্যান্য অংশের চেয়ে পায়ের গোড়ালির ত্বক অত্যান্ত পুরু ও শক্ত হয়। তাই গোড়ালি ফাটার প্রবণতা বেশি থাকে। পায়ের গোড়ালির যত্নে দরকার সচেতনতা। নইলে খুব সুন্দর সাজের সঙ্গে অসামঞ্জস্য পা দুখানা আপনার সম্পূর্ণ ইমেজটিই নষ্ট করে দেবে। জেনে নিতে পারেন পায়ের গোড়ালি ফাটা রোধ এবং নরম ও কোমল রাখার কার্যকরী উপায়।

- প্রথমত পা সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। ধুলাবালি পায়ের সবচেয়ে বড় শত্রু। তাই কাজ শেষে ঘরে ফিরে সামান্য স্ক্রাব বা ঘষে পা ধুয়ে নিন। পায়ে ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার থেকেও বিরত থাকতে হবে। পা ধোয়ার পর পা ভেজা থাকা অবস্থায় মুছে ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভোলা যাবে না।

- সকালে বিছানা থেকে নামার আগেই পায়ের গোড়ালিতে একটু পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। নিয়মিত করতে পারলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন। কারণ পা ফাটার শুরু হয় এসময় থেকেই। তাই ব্যবস্থা শুরুতেই নিলে খুব বেশি ভয় থাকে না।

- গোসলের আগে পায়ে তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বক নরম থাকবে। তিল তেল বা যেকোনো ভেজিটেবল অয়েল পায়ের জন্য খুবই উপকারী। সারা বছর পায়ের ত্বক নরম রাখতে তিল তেল ভালো। ম্যাসাজের আগে সম্ভব হলে তেল অল্প গরম করে নিন।

- সপ্তাহে এক দিন পায়ের বিশেষ যত্ন নিতে পারেন। সেজন্য রাতে শোবার আগে উষ্ণ গরম পানিতে লবণ, শ্যাম্পু মিশিয়ে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখতে হবে। গরম পানির স্পর্শে গোড়লির মরা ত্বক নরম হলে স্ক্রাবার বা পা ঘষার পাথর দিয়ে গোড়ালি ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। এতে মরা ত্বক ঝরে পড়বে, ফাটাও দূর হবে।

- পায়ের যেকোনো পরিচর্যায় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে ত্বক কোমল হয়। অপরদিকে ঠাণ্ডা পানি ত্বককে আরও শক্ত করে ফেলে। বাইরে থেকে ফিরে সামান্য গরম পানিতে পা ধুয়ে নিয়ে আলতো করে ময়েশ্চারাইজার ও গ্লিসারিন মালিশ করে নিলেও উপকার পাবেন।

- পায়ের ত্বকের কোমলতার জন্য ময়দা, হলুদের গুঁড়া, লেবুর রস ও টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক হিসেবে লাগালে উপকার পাবেন।

- পায়ে মুলতানি মাটি, শসার রস, কমলার রস ও টকদই একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।

- নিয়মিত পরার জুতাটি শক্ত হলেও পা ফাটতে পারে। এ জন্য সব সময় পায়ের পক্ষে আরামদায়ক জুতা পরার চেষ্টা করুন। শীতে পায়ের গোড়ালি ঢাকা জুতা পরাই ভালো।

- যারা বাইরে নিয়মিত বের হন ও বেশি হাঁটাহাঁটি করেন তারা মোজাসহ পা-বন্ধ জুতা পরতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, পা যেন না ঘামে। প্রতিদিন পরিষ্কার মোজা পরুন।

- পায়ে ঘাম ও ধুলোময়লা জমে অনেকেরই ছত্রাক সংক্রমণের সমস্যা দেখা যায়। এতে অতিরিক্ত পা ফাটার প্রবণতাও থাকে। সে ক্ষেত্রে জটিলতা বেশি হলে বা সংক্রমণ হয়েছে মনে হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৬

রেইনবো কেক

ranna banna o beauty tips
রেইনবো কেক
একটু রঙিন কেক খেতে বাচ্চারা কিন্তু বেশ ভালোবাসে। চলুন, জেনে নিই নাজিয়া ফারহানার রেইনবো কেক রেসিপি। 
উপকরণ  
  • ডিম ৪ টা (নরমাল তাপমাত্রা)  
  • ময়দা ১ কাপ 
  • বেকিং পাউডার ১ চা চামচ 
  • চিনি গুঁড়ো করা ১ কাপ 
  • তেল ১/২ কাপ 
  • পাওডার দুধ ১/২ কাপ 
  • লাল রং ১ চা চামচ 
  • নীল রং ১ চা চামচ 
  • হলুদ রং ১ চা চামচ 
  • সবুজ রং ১ চা চামচ 
  • ভ্যানিলা এসেন্স ১ চা চামচ  
প্রনালি :
 প্রথমে ডিমের সাদা অংশ ভাল করে বিট করে ফোম করে নিন। -চিনি দিয়ে বিট করুন ২/৩ মিনিট। ডিমের কুসুম দিয়ে বিট করুন ২/৩ মিনিট। তেল দিয়ে বিট করুন।   -ময়দা + দুধ + বেকিং পাউডার একসাথে চেলে নিয়ে ডিমে দিয়ে আস্তে আস্তে দিয়ে বিট করুন। -essence দিয়ে বিট করুন। -এবার ব্যাটারটা সমান ৫ ভাগে ভাগ করুন। একেকটা ভাগে একেকটা রং মেশান।  -তারপর কেকের ডাইসে প্রথমে এক চামচ রং দিয়ে , তার উপর অন্য একটা রং দিতে হবে. এভাবে সব রং এর ব্যাটার গুলা ডাইসে দিয়ে দিন।  -তারপর ইলেকট্রিক ওভেন এ ৪০/৪৫ মিনিট ২০০ ডিগ্রী তে বেক করব। হয়ে যাবে মজাদার রেইন বো কেক। 

রুমালী রুটি

ranna banna o beauty tips
রুমালী রুটি
রেস্টুরেন্টে সকালের নাস্তায় যে খাবারগুলো বেশি খাওয়া হয় তার মধ্যে পরোটা অন্যতম। পরোটার পরই রয়েছে রুমালি রুটির চাহিদা। তেলের কারণে অনেকই পরোটা খেতে চান না, তেল ছাড়া তৈরি করা হয় বলে এই রুমালি রুটি সবার বেশ পছন্দের। চলুন, জেনে নিই রেস্টুরেণ্টের মত রুমালী রুটি তৈরির সহজ রেসিপিটি।
উপকরণ:
১ কাপ আটা
২ কাপ ময়দা
১/২ চা চামচ (২-৩ চিমটি) বেকিং সোডা
১ চা চামচ লবণ
১-২ চা চামচ তেল
১.৫ কাপ পানি
প্রণালী:
১। প্রথমে আটা, ময়দা, লবণ, বেকিং সোডা এবং তেল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
২। এবার এতে অল্প একটু পানি মিশিয়ে আটা নরম করে নিন।
৩। এবার এতে বাকী পানিটুকু দিয়ে ভাল করে ডো তৈরি করুন।
৪। ডোটি একটি সুতির পাতলা কাপড় দিয়ে ১৫-২০ মিনিট ঢেকে রাখুন।
৫। ২০ মিনিট পর হাতের তালুতে কিছু তেল নিয়ে ডোটি আবার মাখুন।
৬। এখন ডোটি থেকে অল্পএকটু ছিড়ে নিয়ে গোল করে পাতলা রুটি তৈরি করে নিন।
৭। রুটিটি যেন অনেক পাতলা হয়
৮। এখন তাওয়াটি উল্টো করে চুলায় গরম করতে দিন।
৯। তাওয়া গরম হয়ে গেলে এতে রুটিটি দিয়ে দিন। রুমালী রুটি হতে বেশি সময় লাগে না।
১০। একপাশ হয়ে গেলে রুটি উল্টিয়ে দিন।
১১। রুটি কিছুটা পোড়া পোড়া দাগ হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন।
১২। ব্যস তৈরি হয়ে গেল রেস্টুরেন্টের মত রুমালী রুটি।
টিপস:
রুমালী রুটি অনেক পাতলা হওয়ার কারণে খুব দ্রুত এটি শক্ত হয়ে যায়। তাই রুটি তৈরির সাথে সাথে বক্সে প্যাক করে ফেলুন।
সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

শীতের দিনে উষ্ণ মাটন মিটবল স্যুপ

ranna banna o beauty tips
মাটন মিটবল স্যুপ
গত কিছুদিন ধরে শীতটা একটু কমতির দিকে। কিন্তু তারপরেও সন্ধ্যার দিকে হিমেল হাওয়ায় কাঁপুনি আসে ঠিকই। এ সময়ে কি খাওয়া যায় বলুন তো? হ্যাঁ, সবচাইতে ভালো লাগবে ধোঁয়া ওঠা এক বাটি স্যুপ। আর তাতে যদি ভাসতে থাকে কয়েকটা মিটবল, তাহলে তো আরও ভালো! শীত যাবার সাথে সাথে উদরপূর্তিও হবে নিশ্চিন্তে। চলুন, দেখে নেওয়া যাক রেসিপিটি।
উপকরণ

মিটবলের জন্য
-   ১ পাউন্ড খাসির মাংসের কিমা
-   ৩টি কাঁচামরিচ
-   ৪ কোয়া রসুন, মিহি কুচি
-   ২ ইঞ্চি আদা, মিহি কুচি
-   ২ টেবিল চামচ ধনেপাতা মিহি কুচি
-   আধা চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
-   আধা চা চামচ লবণ
-   ১ চা চামচ ভেজিটেবল অয়েল
-   ১টা মাঝারি ডিম
স্যুপের জন্য
-   দেড় টেবিল চামচ তেল
-   সিকি কাপ পিঁয়াজ বাটা
-   ১ টেবিল চামচ আদা রসুন বাটা
-   এক ইঞ্চি পরিমাণ দারুচিনি
-   ১টা তেজপাতা
-   ২য়া লবঙ্গ
-   আধা চা চামচ গোলমরিচ
-   ১ চা চামচ ধনিয়া
-   সিকি চা চামচ জিরা
-   পৌনে এক চা চামচ কাশ্মিরি মরিচ পাউডার অথবা পাপরিকা
-   ২ মাঝারি টমেটো, ব্লেন্ডারে পিউরি করা
-   ৩ টেবিল চামচ ঘন দই
-   ৪ কাপ পানি
-   লবণ স্বাদমতো
-   গার্নিশ করার জন্য ধনেপাতা এবং লেবুর রস (ইচ্ছা)
প্রণালী

১) একটা বোলে মিটবলের সব উপকরণ নিন। হাতে মাখিয়ে নিন ভালো করে। এরপর হাতে অল্প করে তেল মেখে এটাকে ছোট ছোট মিটবলের আকৃতি দিন। এগুলোকে একটা প্লেট অথবা ট্রেতে রেখে প্লাস্টিক শিট বা ক্লিং ফিল্ম দিয়ে ঢেকে ফ্রিজে রেখে দিন। এরপর স্যুপ তৈরি করা শুরু করুন।
২) হামানদিস্তায় গুঁড়ো করে নিন গোলমরিচ, লবঙ্গ, ধনে এবং জিরা। একটা বড় প্যান গরম করে নিন মাঝারি আঁচে। এরপর তেল দিন। তেল থেকে ধোঁয়া উঠতে শুরু করলে এতে দিয়ে দিন দারুচিনি এবং তেজপাতা। ১০ সেকেন্ড পর এতে দিয়ে দিন পিঁয়াজ, আদা-রসুনের পেস্ট এবং আঁচ কমিয়ে দিন। মশলা ভুনে নিন যাতে রঙ পরিবর্তন হয়ে যায়। ৫-৭ মিনিটের মাঝে হয়ে যাবে এবং মশলা থেকে সুন্দর গন্ধ আসবে।
৩) আঁচ কম রেখেই এতে দিয়ে দিন গুঁড়ো করা মশলা, টমেটো পিউরি, দই এবং লবণ। সবকিছু নেড়ে মিশিয়ে নিন। ৮-১০ মিনিট রান্না করুন। তেল ওপরে উঠে এলে পানি দিয়ে দিন। স্যুপ চেখে দেখুন লবণ ঠিক আছে কিনা। মাঝারি আঁচে এটাকে ফুটিয়ে নিন।
৪) স্যুপ ফুটতে শুরু করলে আবার আঁচ কমিয়ে দিন। এরপর ফ্রিজ থেকে মিটবল বের করে স্যুপে দিয়ে দিন। ওপরে ঢাকনা দিয়ে রান্না হতে দিন ১০-১২ মিনিট।
রান্না হয়ে গেলে ঢাকনা চাপা দিয়ে রেখে দিন দেড় থেকে দুই ঘন্টা। খাবার সময়ে আরেকবার কম আঁচে গরম করে নিন। তেজপাতা এবং দারুচিনি বের করে ফেলে দিন। ওপরে ধনেপাতা কুচি এবং একটু লেবুর রস চিপে দিয়ে পরিবেশন করুন।
শুনে মনে হতে পারে এই স্যুপ রান্নায় অনেক বেশি সময় লাগছে। কিন্তু এটা আগে থেকে তৈরি করে রাখা যায়, ফলে দরকারের সময়ে আসলে শুধু গরম করে নিলেই হয়।
টিপস
-   শুধু খাসির মাংস নয়, এটা তৈরি করতে পারেন চিকেন কিমা দিয়েও। চিকেন কিমা রান্না করতে সময় আরো কম লাগবে।
-   রুটির সাথে পরিবেশন করলে এই স্যুপ আপনি ব্রেকফাস্ট হিসেবেও খেতে পারেন।

সোমবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৬

ঘরেই তৈরি করে ফেলুন হারবাল শ্যাম্পু

ranna banna o beauty tips
হারবাল শ্যাম্পু
চুলের ময়লা দূর করে চুলকে পরিষ্কার রাখতে শ্যাম্পু ব্যবহার করা হয়। শ্যাম্পু চুল পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি চুলকে নরম কোমল স্বাস্থ্যজ্জ্বল করে তোলে। বাজারের নানা ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু কিনতে পাওয়া যায়। সবাই সাধারণত সেইসব শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি বলে এই শ্যাম্পুগুলো আছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। চুল পড়া বৃদ্ধি, খুশকি, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া সহ নানা সমস্যা দেখা দিতে বাজারের শ্যাম্পু ব্যবহার করে। খুব সহজে ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন হারবাল শ্যাম্পু। এই শ্যাম্পু সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি বিধায় এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। চুল পরিষ্কার করে চুলকে করে তুলবে সিল্কি, সুন্দর।
যা যা লাগবে:

রিঠা
শিকাকাই
আমলকি
যেভাবে তৈরি করবেন:

১। ৫০০ মিলিলিটার পানিতে ৬-৭টি শিকাকাই, ৫-৬টি রিঠা এবং কয়েকটি আমলকি সারারাত ভিজিয়ে রাখুন।
২। পরের দিন সকালে এই মিশ্রণটি চুলায় দিন। বলক আসলে চুলা নিভিয়ে দিন।
৩। এটি ঠান্ডা হয়ে গেলে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
৪। এটি করার সময় খেয়াল করবেন উপাদানগুলো থেকে প্রচুর ফেনা তৈরি হয়েছে।
৫। এবার এই মিশ্রণটি শ্যাম্পুর মত ব্যবহার করুন।
৬। এত ঝামেলায় যেতে না চাইলে আমলকি, রিঠা এবং শিকাকাই সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন, পরের দিন এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটিও শ্যাম্পুর মত কাজ করবে।
৭। রিঠা সারা রাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে সেটির পেস্ট তৈরি করে নিন। এর সাথে শিকাকাই গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি চুলে ব্যবহার করুন, আপনি চাইলে এর সাথে শ্যাম্পু মিশিয়ে নিতে পারেন।
যেভাবে কাজ করে:

আমলকি চুল পড়া রোধ করে। এর সাথে বিভিন্ন ফ্যাটি অ্যাসিড চুলকে নরম, কোমল করে তোলে। এর ফ্ল্যাভোনয়েড, ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন  নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে। রিঠা খুব ভাল পরিষ্কারক, ময়লা দূর করে ইনফেকশন রোধ করে থাকে। শিকাকাই চুলের জন্য খাদ্যস্বরূপ। এতে পিএচ লেভেল অনেক কম যার কারণে এটি চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হতে দেয় না। এরসাথে এটি চুল মজবুত করে তোলে।  এমনি খুশকি সমস্যাও সমাধান করে থাকে।
হারবাল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন আর পেয়ে যান সুন্দর স্বাস্থ্যজ্বল ঝলমলে চুল।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.