beauty tips লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
beauty tips লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০১৬

মেক্সিকান নাচোস

ranna banna o beauty tips
মেক্সিকান নাচোস 
দেখতে যেমন লোভনীয়, খেতেও দারুণ। বলছি নাচোসের কথা। সুদূর মেক্সিকোর মুখরোচক জনপ্রিয় খাবারটি এরই মধ্যে তরূণদের মাঝে বেশ প্রিয় হয়ে উঠেছে। তাইতো যে আড্ডাগুলোর প্রাণ ছিলো সিঙ্গারা-সমোচা, এরপরে চটপটি-ফুচকা, এখন সেখানে দেখা যায় নাচোসের রাজত্ব। 

মুচমুচে চিপসের সঙ্গে ক্রিমি ও চিজি চিকেন কিংবা ফ্রেশ টমেটো সালসা তৈরি হয় ভিন্ন স্বাদের নাচোস। 

আজ আপনাদের জন্য মুচমুচে নাচোসের রেসিপি:  

চিপসের উপকরণ: প্রথমেই চিপস তৈরি করে নিন। ভুট্টার আটা ২ কাপ, ময়দা আধা কাপ, পনির গ্রেট-২০০ গ্রাম, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, মাখন ২৫ গ্রাম, কুসুম গরম পানি পরিমাণমতো।

 প্রণালী: ভুট্টার আটা, ময়দা, পনির, কাঁচা মরিচ কুচি, লবণ ও মাখন একসঙ্গে মিশিয়ে পানি দিয়ে ভালো করে মেখে আধাঘণ্টা ঢেকে রাখুন। এবার পাতলা রুটি বেলে তিন কোনা করে কেটে ডুবোতেলে অল্প আঁচে হালকা বাদামি রং করে ভেজে তুলুন।

মাংস: মুরগির কিমা ২ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, আদা কুচি ১ চা-চামচ, রসুন কুচি ১ চা-চামচ, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, ওয়েস্টার সস ২ টেবিল চামচ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, মাখন ৫০ গ্রাম, টমেটো সালসা আধা কাপ, পনির ২০০ গ্রাম, পেঁয়াজ গোল করে কাটা আধা কাপ, ধনেপাতা কুচি আধা কাপ।

প্রণালী: মুরগির কিমা, সয়াসস, ওয়েস্টার সস দিয়ে মেখে ২০মিনিট রাখুন। এবার ফ্রাই প্যানে মাখন গরম করে আদা-রসুন ভেজে তাতে পেঁয়াজ দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে মাখানো কিমা দিয়ে কষিয়ে নিন। টমেটো সস দিয়ে কিছুক্ষণ পরে লেবুর রস ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামাতে হবে। 

টমেটো সালসা: লাল ও সবুজ মরিচ পছন্দমতো, ধনেপাতা কুচি আধা কাপ, রসুন কুচি পোয়া কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লেবুর রস ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, অলিভ ওয়েল ২ টেবিল চামচ, টমেটো কুচি আধা কাপ। সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে ফ্রিজে রাখুন।

কিমা রেখে ওপরে টমেটো সালসা, পনির, ধনেপাতা কুচি, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সাজিয়ে প্রিহিটেড ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। 
সবশেষে কর্নচিপস, চিকেন, সালসা সঙ্গে গলানো ক্রিমি চিজ, পছন্দমতো ক্রিম, মেয়োনেজ দিয়ে পছন্দের পাত্রে লেয়ার করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। 

রূপচাঁদা শুটকির দোপেঁয়াজা


ranna banna o beauty tips
রূপচাঁদা শুটকির দোপেঁয়াজা
উপকরণ: রূপচাঁদা শুটকি ১টি। তেল পরিমাণ মতো। পেঁয়াজকুচি ২ কাপ। রসুনকুচি আধা কাপ। টমেটোকুচি আধা কাপ। সামান্য আদাবাটা। ধনেগুঁড়া আধা চা-চামচ। মরিচগুঁড়া ৩ চা-চামচ। হলুদগুঁড়া দেড় চা-চামচ। কাঁচামরিচ ৬টি। লবণ স্বাদ মতো।

পদ্ধতি: রূপচাঁদা শুটকি দুই ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। নরম হলে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে, ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার প্যানে তেল দিন।

তেল গরম হলে তাতে পেঁয়াজকুচি, রসুনকুচি, সামান্য আদাবাটা, ধনেগুঁড়া, মরিচ, হলুদ, তেল, লবণ, কাঁচামরিচ আর টমেটো-কুচি সব মসলা ভালো করে ভেজে নিন।

পেঁয়াজ নরম হয়ে এলে তাতে মাছ দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজুন। এবার অল্প পানি দিয়ে ভালো করে কষিয়ে ঢেকে দিন। পানি কমে মাখা মাখা হলে তাতে কাঁচামরিচ দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।

গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

স্বাস্থ্যকর রান্নার জন্য ব্যবহার করুন ভিনেগার

ranna banna o beauty tips
স্বাস্থ্যকর রান্নার জন্য ব্যবহার করুন ভিনেগার
রান্নার স্বাদ বাড়ানোর জন্যই ভিনেগার ব্যবহৃত হয় বলে অনেকের ধারণা। তবে এ ধারণাটি মোটেও ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি খাবারের স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও খাবারকে স্বাস্থ্যকর করতে সহায়তা করে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। 

ভিনেগারে রয়েছে উচ্চমাত্রায় এসিটিক এসিড। এটি খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করতে ব্যবহৃত হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসিটিক এসিড পেটের জন্যও উপকারি। ভিনেগার রান্নাঘরে রাখার কিংবা খাবারে ব্যবহার করার প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। এ কারণে আপনার রান্নাঘরে যেন এক বোতল ভিনেগার রাখা হয় এবং নিয়মিত তা বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহৃত হয় এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
 ১. উচ্চমাত্রায় এসিটিক এসিড থাকায় ভিনেগার দেহের জন্য উপকারি। এটি মূলত আপনার দেহের বিভিন্ন খনিজ উপাদান গ্রহণের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এতে দেহের পুষ্টি গ্রহণের হার বৃদ্ধি পায়।
 ২. নারীরা ভিনেগার গ্রহণের মাত্রা বাড়িয়ে দেহের খনিজ উপাদানের ঘাটতি রোধ করতে পারে। এছাড়া ভিনেগারের আরও কিছু উপকারিতা রয়েছে। 
৩. বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভিনেগার ভূমিকা রাখে। 
৪. গবেষকরা বলছেন, হৃদরোগের সমস্যাতেও ভিনেগার উপকার করে। বিভিন্ন খাবারে লবণকে প্রতিস্থাপন করে ভিনেগার। 
৫. ভিনেগারে ক্যালরি কম থাকায় এটি সালাদে ব্যবহার করা সুবিধাজনক। 
৬. গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার আগে ভিনেগার খেলে পেটে পরিপূর্ণতার অনুভূতি হয়, যা পরবর্তীতে ক্ষুধা কমায় এবং বাড়তি খাওয়ার প্রবণতা রোধ করে।

মাছের লোভনীয় কয়েকটি রেসিপি

ranna banna o beauty tips
মাছের লোভনীয় কয়েকটি রেসিপি
গন্ধরাজী পাবদা

উপকরণ: পাবদামাছ ২০০ গ্রাম, কালোজিরে ১/৪ চা-চামচ, কাঁচালঙ্কা চেরা ৪টে, হলুদগুঁড়ো ১/২ চা-চামচ, লঙ্কাগুঁড়ো ১/২ চা-চামচ, হিং ১ চিমটে, গন্ধরাজ লেবুপাতা ৪-৫টা, রসুনকুচি ২টো, টোম্যাটোবাটা ১ টেবলচামচ, নুন স্বাদমতো, তেল পরিমাণমতো।

প্রণালী: পাবদামাছ ভেজে নিন, ওই তেলে কালোজিরে, কাঁচালঙ্কা, হিং, রসুনকুচি দিয়ে নাড়াচাড়া করে টোম্যাটোবাটা, নুন, হলুদগুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে জল দিন। জল ফুটলে মাছগুলো দিয়ে চাপা দিন। মাছ সিদ্ধ হলে লেবুপাতা দিয়ে গ্যাস বন্ধ করুন। ১০ মিনিট ওই অবস্থায় ঢাকা দিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর গরম ভাতের সঙ্গে সার্ভ করুন।

আম বড়ি ফুলকপি দিয়ে মৌরলামাছ

উপকরণ: মৌরলামাছ ২৫০ গ্রাম, ফুলকপি ছোট সাইজের ১টা, বড়ি ৪-৫টা, কাঁচা আম ১টা, আদাবাটা ১ চা-চামচ, জিরেবাটা ১/২ চা-চামচ, কাঁচালঙ্কা ২টো, হলুদগুঁড়ো ১ চা-চামচ, নুন-চিনি স্বাদমতো, লঙ্কাগুঁড়ো ১ চা-চামচ, পাঁচফোড়ন ১/৪ চা-চামচ, সরষের তেল পরিমাণমতো।

প্রণালী: মৌরলামাছে নুন, হলুদ মাখিয়ে ভাল করে ভেজে আলাদা করে রাখুন। ওই তেলে ফুলকপির ছোট টুকরোগুলো সোনালি করে বেজে তুলে নিন। আরও কিছুটা তেল দিয়ে বড়ি ভেজে তুলে রাখুন। এবার পাঁচফোড়ন, জিরেবাটা, হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে হালকা আঁচে কষুন। মশলা থেকে তেল ছাড়লে আদাবাটা, কাঁচা আমবাটা ও কয়েকটা আমকুচি দিয়ে নাড়াচাড়া করে জল দিন। ভাজা ফুলকপির টুকরো ও কাঁচালঙ্কা দিয়ে ঝোল ফুটতে দিন। ঝোলের মধ্যে মাছ ভাজা ও বড়ি ছাড়ুন। নুন, চিনি দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটতে দিন। সিদ্ধ হলে নামিয়ে গরম গরম ভাতের সঙ্গে খান।

তিল ট্যাংরা

উপকরণ: ট্যাংরামাছ ৪টে, সাদা সরষে ২ চা-চামচ, সাদা তিল ৪ চা-চামচ, টক দই ১ টেবলচামচ, কাঁচালঙ্কাবাটা ৩টে, কাঁচালঙ্কা চেরা ৩টে, পাঁচফোড়ন ১/৪ চা-চামচ, নুন স্বাদমতো, হলুদগুঁড়ো ১/২ চা-চামচ, সরষের তেল পরিমাণমতো।

প্রণালী: মাছ কেটে ধুয়ে নুন, হলুদ মাখিয়ে ভেজে নিন। ওই তেলে পাঁচফোড়ন দিন। একটা বাটিতে টক দই ফেটিয়ে তাতে তিলবাটা, সাদা সরষেবাটা, লঙ্কাবাটা, নুন, হলুদ ও সামান্য জল দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে তেলে দিয়ে নাড়তে থাকুন। প্রয়োজনে সামান্য জলও দিতে পারেন। এবার ভেজে রাখা মাছ দিয়ে ফুটতে দিন। মাছ সিদ্ধ হলে চেরা কাঁচালঙ্কা দিন। নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

কাজলিমাছের বাটি চচ্চড়ি

উপকরণ: কাজলিমাছ ২৫০ গ্রাম, আলু মাঝারি মাপের ১টা, পেঁয়াজ মাঝারি মাপের ১টা, হলুদগুঁড়ো ১/২ টেবলচামচ, লঙ্কাগুঁড়ো ১ টেবলচামচ, নুন স্বাদমতো, কাঁচালঙ্কা চেরা ৪টে, টোম্যাটোবাটা ১ টেবলচামচ, সরষেবাটা ১ টেবলচামচ, সরষের তেল পরিমাণমতো, ধনেপাতাকুচি ২ টেবলচামচ।

প্রণালী: মাছে নুন, হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে ১০ মিনিট ম্যারিনেড করে রাখুন। আলু, পেঁয়াজ লম্বা করে কেটে নিন। তাতে চেরা কাঁচালঙ্কা, টোম্যাটো, কাঁচালঙ্কা, সরষেবাটা, নুন, হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো সরষের তেল ধনেপাতাকুচি ও আগে থেকে ভেজে রাখা মাছ দিয়ে গরম জলে টিফিন বক্সে ১৫ মিনিট ভাপিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর ঢাকা খুলে গরম গরম ভাতের সঙ্গে সার্ভ করুন।

পুঁটি পটলের ঝাল

উপকরণ: পুঁটিমাছ ২৫০ গ্রাম, পটল ২টো, পেঁয়াজ ১টা, কাঁচালঙ্কা ৪টে, রসুনবাটা ১/২ চা-চামচ, সরষেবাটা ১ টেবলচামচ, পোস্তবাটা ১ টেবলচামচ, নারকেলবাটা ১ টেবলচামচ, লঙ্কাগুঁড়ো ১ চা-চামচ, কালোজিরে ১ চা-চামচ, সরষের তেল পরিমাণমতো।

প্রণালী: মাছ হালকা করে ভেজে নিন। পটল সরু লম্বা করে কেটে ভেজে নিন। ওই তেলে কালোজিরে, কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজকুচি দিন। পেঁয়াজ সামান্য ভাজা হলে রসুনবাটা, লঙ্কাগুঁড়ো, পোস্ত, সরষে, নারকেলবাটা সব দিয়ে নুন, হলুদগুঁড়ো দিয়ে ভাজা পটলগুলো দিন। সামান্য জল দিয়ে ভাজা মাছগুলো দিয়ে কম আঁচে ১৫ মিনিট রাখুন। ঢাকা খুলে সরষের তেল ছড়িয়ে গরম ভাতের সঙ্গে সার্ভ করুন।

ক্যাপসিকাম পার্শে 

উপকরণ: পার্শেমাছ ৫০০ গ্রাম, ক্যাপসিকাম বড় সাইজের ১টা, টোম্যাটো ১টা, নুন-চিনি স্বাদমতো, ধনেগুঁড়ো ১ চা-চামচ, লঙ্কাগুঁড়ো ১ চা-চামচ, হলুদগুঁড়ো ১/২ চা-চামচ।

প্রণালী: ক্যাপসিকাম একটু পুড়িয়ে নিয়ে পোড়া অংশ চেঁছে নিন ও মিক্সিতে পেস্ট করুন। পার্শেমাছ ভেজে তুলে রাখুন। ওই তেলে শুকনোলঙ্কা দিয়ে তাতে ক্যাপসিকামবাটা, নুন, চিনি, হলুদগুঁড়ো, ধনে, লঙ্কাগুঁড়ো ও টোম্যাটোবাটা দিয়ে কষে জল দিন। ভাজা মাছ দিয়ে নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন। 

অন্য স্বাদে চেনা ইফতারি

ranna banna o beauty tips
অন্য স্বাদে চেনা ইফতারি
ইফতারের আয়োজনে বুট, পেঁয়াজু, বেগুনি, হালিম, শরবত ইত্যাদি তো থাকবেই। ইফতারির এই পদগুলো চাইলে একটু ভিন্নভাবে বানাতে পারেন। তেমন রেসিপি দিয়েছেন জেবুন্নেসা  বেগম।

মুরগির হালিম
উপকরণ: মুরগি ১ কেজি, গম আধা কাপ, মুগ ডাল সিকি কাপ, মসুর ডাল সিকি কাপ, ছোলার ডাল সিকি কাপ, মাষকলাইয়ের ডাল সিকি কাপ, অড়হড় ডাল সিকি কাপ, পোলাওয়ের চাল আধা কাপ, লবণ পরিমাণমতো, এলাচি, দারুচিনি, তেজপাতা কয়েকটা, পেঁয়াজ কুচি সিকি কাপ, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনে গুঁড়া আধা চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ ও জায়ফল-জয়ত্রী গুঁড়া আধা চা-চামচ।
প্রণালি: গম, মাষকলাই ডাল ও মুগ ডাল টেলে নিন। চাল, ডাল ও গম সেদ্ধ করে বেটে নিন। তেলে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে সব মসলা ও মুরগি দিয়ে কষান। সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে দিন। সেদ্ধ হলে বাটা ডালের মিশ্রণ ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে নাড়ুন। হয়ে গেলে নামিয়ে বাটিতে ঢেলে, আদা কুচি, ধনে পাতা, মরিচ, বেরেস্তা ও লেবুর রস দিয়ে পরিবেশন করুন।

ফ্রেঞ্চ ফ্রাই পেঁয়াজু
উপকরণ: ডাল (মসুর, খেসারি বা বুট) ১ কাপ, আদা বাটা আধা চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, রোস্টেড তিল ১ টেবিল চামচ ও বড় আলু ২-৩টা।
প্রণালি: ডাল পরিষ্কার করে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখুন। ২ ঘণ্টা পর ডাল ফুলে উঠলে পানি ঝরিয়ে বেটে নিন। বেশি মিহি করে বাটবেন না। পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ কুচি করে নিন। বাটা ডালের সঙ্গে আদা বাটা, কাঁচা মরিচ কুচি, পেঁয়াজ কুচি, লবণ, রোস্টেড তিল, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া দিয়ে মেখে নিন। আলুর খোসা ফেলে চিকন লম্বা করে কেটে নিন। সামান্য লবণ দিয়ে অল্প সেদ্ধ করে নিন। আলুর মধ্যে ডাল মুড়িয়ে ডুবে তেলে ভেজে নিন। ইফতারের টেবিলে পেঁয়াজুর সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।

ফলের সালাদ
উপকরণ: মাল্টার রস ১ কাপ, আপেল আধা কাপ, আঙুর আধা কাপ, তরমুজ আধা কাপ, কলা ১টা, কাঁচা বা শুকনা মরিচ (টালা) ১টা, চিনি ১ টেবিল চামচ, বিট লবণ আধা চা-চামচ, পুদিনা কুচি ১ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া সামান্য, চাট মসলা আধা চা-চামচ ও লেবুর রস আধা চা-চামচ।
প্রণালি: আপেল টুকরা করে লবণ পানিতে ধুয়ে নিন। কলা টুকরা করে চিনি পানিতে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে নিন। তরমুজ ও আঙুর টুকরা করে নিন। মাল্টা অথবা কমলার রস নিয়ে এতে চাট মসলা, লেবুর রস, পুদিনা কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, গোলমরিচ গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এবার সব ফল একসঙ্গে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। ইফতারের আগে ফ্রিজ থেকে বের করে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।

কিমা বেগুনি
উপকরণ: বেগুন ৩টা, বেসন দেড় কাপ, আদা বাটা আধা চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, ঠান্ডা পানি পৌনে এক কাপ (পরিমাণমতো), লবণ স্বাদমতো, বেকিং পাউডার সিকি চা-চামচ।
স্টাফিংয়ের জন্য: মুরগির কিমা ১ কাপ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ চা-চামচ, অরিগানো ১ চা-চামচ, চিজ কুচি ৩ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ ও তেল ১ চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে মুরগির কিমা, কাঁচা মরিচ কুচি, অরিগানো, গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে ভেজে রাখুন। বেগুন লম্বা ও একটু মোটা করে কাটুন। মাঝখানে পকেটের মতো করে কাটুন। ধুয়ে সামান্য লবণ মেখে রাখুন। এবার বেগুনের ভেতর কিমার পুর ঢুকিয়ে চিজের কুচি দিন। বেসনের সঙ্গে আদা বাটা, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, লবণ, বেকিং পাউডার ও পানি দিয়ে ব্যাটার তৈরি করুন। বেগুন সাবধানে ব্যাটারে ডুবিয়ে নিন। যাতে কিমা বের হয়ে না যায়। ডুবো তেলে ভেজে ইফতারিতে গরম গরম পরিবেশন করুন।

দুধ বাদামের শরবত
উপকরণ: দুধ ১ লিটার, বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, পেস্তা বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, চিনি ১ কাপ, গোলাপজল ১ চা-চামচ, বরফ কুচি পরিমাণমতো ও মধু ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি: দুধ ২-৩ বার ফুটে উঠলে ঠান্ডা করে রাখুন। দুধের সঙ্গে বাদাম বাটা, পেস্তাবাদাম বাটা, চিনি, গোলাপজল ও মধু মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

পুদিনায় দই বড়া
উপকরণ: মাষকলাইয়ের ডাল ১ কাপ, পুদিনা পাতা ৩ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ বাটা ১ টেবিল চামচ, টক দই দেড় কাপ, জিরা টালা গুঁড়া ১ চা-চামচ, বিট লবণ আধা চা-চামচ।
প্রণালি: মাষকলাইয়ের ডাল ৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ধুয়ে পানি ঝরিয়ে ১ টেবিল চামচ পুদিনা, অর্ধেকটা (আধা টেবিল চামচ) কাঁচা মরিচ বাটা মিশিয়ে নিন। সামান্য লবণ মেখে বড়া আকারে ভেজে নিন। ভাজা বড়া পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে চেপে পানি ঝরিয়ে নিন। টক দইয়ের সঙ্গে বিট লবণ, রোস্টেড জিরা গুঁড়া, বাকি পুদিনা ও কাঁচা মরিচ বাটা মিশিয়ে নিন। এবার সেটাতে ডালের বড়া দিয়ে পছন্দমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

বুন্দিয়া
উপকরণ: বুটের ডালের বেসন ১ কাপ, লবণ সিকি চা-চামচ (পরিমাণমতো), বেকিং পাউডার সিকি চা-চামচ, বেকিং সোডা সিকি চা-চামচ, খাবার রং কয়েক ফোঁটা, ঘি ও তেল ভাজার জন্য, শিরার জন্য ১ কাপ পানি ও ১ কাপ চিনি।
প্রণালি: বেসনের সঙ্গে বেকিং পাউডার, বেকিং সোডা, খাবার রং ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তেল ও ঘি গরম করে বুন্দিয়া ভেজে নিন। চিনি ও পানি দিয়ে শিরা তৈরি করুন। ভাজা বুন্দিয়া শিরায় ঢেলে দিন। শিরা বুন্দিয়ার ভেতরে ঢুকে গেলে তুলে নিন।

সবজি কিমা বুট
উপকরণ: বুট দেড় কাপ, বিফ কিমা আধা কাপ, বিভিন্ন রকম সবজি (সেদ্ধ) ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা-চামচ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ, সরিষা বাটা আধা চা-চামচ, এলাচি, দারুচিনি তেজপাতা কয়েকটা, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, টমেটো কুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, ধনে পাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া আধা চা-চামচ, ধনে গুঁড়া আধা চা-চামচ।
প্রণালি: বুট পরিষ্কার করে ধুয়ে ৬-৭ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ফুলে ওঠার পর সামান্য হলুদ ও লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। তেল গরম করে গরম মসলা, পেঁয়াজ কুচি, বাটা মসলা, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, কষিয়ে কিমা দিয়ে ভাজুন। সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে দিন। এবার সেদ্ধ সবজি ঢেলে দিন। বুট দিয়ে নাড়ুন। ধনে গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, কাঁচা মরিচ, টমেটো দিন। ধনে পাতা দিয়ে নামিয়ে নিন।

বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৬

আইলাইনারের নজরকাড়া নতুন ২৩টি স্টাইল শিখে নিন

ranna banna o beauty tips
আইলাইনারের নজরকাড়া নতুন ২৩টি স্টাইল
প্রত্যেক নারীর পছন্দের অন্যতম একটি প্রসাধনী হল আইলাইনার। অনেকেই শুধু আইলাইনারের ছোঁয়া দিয়ে মেকআপ শেষ করে থাকেন। আইলাইনার দেওয়া নিয়ে অনেকই সমস্যায় পড়ে থাকেন। হাতে কেঁপে গিয়ে লাইন বাঁকা হয়ে যাওয়া খুব সাধারণ একটি সমস্যা। এছাড়া একই স্টাইলে আইলাইনার দিতে দিতে সাজে চলে আসে একঘেয়েমিতা। এই একঘেয়েমিতা কাটানোর জন্য আইলাইনারের স্টাইলে করা হয় ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইন। আবার সময়ের সাথে ফ্যাশনের তালে তালে পরিবর্তন হয়ে থাকে আইলাইনারে স্টাইল।

একসময় ছিল শুধু একটা লম্বা টান দিয়ে শেষ করা হয় আইলাইনারের সাজ। মাঝে কিছুদিন চল ছিল ঘন মোটা আইলাইনারের। আবার ক্যাট আই বা টানা লাইনার দেওয়াও ফিরে এসেছিল। টানা আইলাইনার দিলে চোখটাকে বেশ বড় দেখায়। এর কারণে যাদের চোখ ছোট তারা টানা আইলাইনার দেওয়াটা পছন্দ করে থাকেন। বড় চোখকে ছোট দেখানোর জন্যও আছে উপায়।
ফ্যাশন সচেতন নারীরা নিত্য নতুন স্টাইলে আইলাইনার দিতে পছন্দ করেন। তাদের এই পছন্দকে মাথায় রেখে আজকের এই ফিচারটি।

নিচের ভিডিওটিতে ২৩ রকম ভিন্ন ভিন্ন স্টাইলে আইলাইনার দেওয়া দেখানো হয়েছে। আপনার চোখের আকৃতি, ধরণ অনুযায়ে বেছে নিন পছন্দের স্টাইলটি। ফ্যাশন সচেতন হলে ভিন্ন দিন ভিন্ন ভিন্ন স্টাইলে সাজিয়ে নিতে পারেন আপনার চোখটি।

তাহলে দেখে নেওয়া যাক ছোট ভিডিওটি

চুলের ৪ সমস্যা দূর করবে টক দইয়ের হেয়ার প্যাক

ranna banna o beauty tips
চুলের ৪ সমস্যা দূর করবে টক দই
চুলের যত্নে নানা রকম হেয়ার প্যাক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে মেহেদি প্যাক অন্যতম। এটি চুল পড়া রোধ করে প্রাকৃতিকভাবে চুল কালার করে থাকে। আরও একটি উপাদান আছে যা চুল নরম-কোমল করে, খুশকি রোধ করে চুলকে মজবুত করে তোলে। তা হল টক দই। অনেকেই জানেন চুলের খুশকি দূর করার জন্য টক দই বেশ কার্যকর। শুধু খুশকি দূর করা নয় চুলের আরও অনেক সমস্যা সমাধান করে দিতে পারে টক দই-এর হেয়ার প্যাক। 

১। চুল নরম কোমল করতে 
টক দই, নারকেল তেল এবং অ্যালোভেরা জেল ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি চুলে ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।  প্রাণহীন, নির্জীব, রুক্ষ চুলকে নরম, কোমল, এবং ময়োশ্চারাইজ করে তুলবে এই প্যাকটি। নিয়মিত ব্যবহারে এই প্যাকটি চুলের রুক্ষতা দ্রুত দূর করে দেবে। 

২। চুল পড়া রোধ
 ১/৪ কাপ মেথি গুঁড়োর তার সাথে ১ কাপ টক দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মাথার তালুসহ সম্পূর্ণ চুলে এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। ২ ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি সপ্তাহে এক বার ব্যবহার করুন।  এই প্যাকটি চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। 

৩। রুক্ষতা দূর করতে 
টকদই, বাদাম তেল এবং একটি ডিম ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি চুলের গোড়া থেকে সম্পূর্ণ চুলে ভাল করে লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন। ডিমের পুষ্টি এবং তেলে চুলের রুক্ষতা দূর করে দিয়ে চুল স্লিকি করে তোলে। 
৪। খুশকি দূর করতে 
মাথার তালুর রুক্ষতা, খুশকি দূর করতে এই প্যাকটি বেশ কার্যকর। তিন টেবিল চামচ অলিভ অয়েল টক দইয়ের সাথে ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি মাথার তালুতে ১০ মিনিট চক্রাকারে ম্যাসাজ করে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে দুই বার ব্যবহার করুন। 

মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৬

চুলের আগা ফাটা চিরতরে দূর করুন সহজ এবং কার্যকরী ৫ হেয়ার প্যাকে

ranna banna o beauty tips
চুলের আগা ফাটা চিরতরে দূর করুন
লম্বা চুলের খুব সাধারণ একটি সমস্যা হল চুলের আগা ফাটা। চুলের আগা ফেটে দুই ভাগ হয়ে যাওয়াকে মূলত আগা ফাটা বলে। এর কারণে চুলে কোন হেয়ার স্টাইল যেমন মানায় না তেমনি চুল লম্বা হয় না। বিভিন্ন কারণে চুলের আগা ফাটতে পারে। অতিরিক্ত চুল ধোয়া, সূর্যের রশ্নি, ধুলা বালি, দূষণে চুল থাকা, অতিরিক্ত হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার, গরম পানিতে চুল ধোঁয়া, চুলের যত্ন না নেওয়া, তেল না দেওয়া, কেমিক্যাল পণ্য অতিরিক্ত ব্যবহার করা ইত্যাদি চুলের আগা ফাটার অন্যতম কারণ। চুলের আগা ফাটা রোধ করার জন্য অনেক নামী দামী হেয়ার ট্রিটমেন্ট করে থাকেন, কিন্তু এতেও এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। এই সমস্যার সহজ সমাধান পাবেন আপনার ঘরে! ঘরোয়া কিছু উপায়ে চুলের আগা ফাটা চিরতরে দূর করে ফেলুন।

১। ডিম
চুলের আগা ফাটা রোধে সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী উপায় হল ডিম। ডিম, অলিভ অয়েল অথবা বাদাম তেল, মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলে ভাল করে লাগিয়ে রাখুন। ৩০-৪৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এছাড়া একটি ডিম এক চামচ পানি দিয়ে ফেটে চুলে লাগিয়ে নিন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে একবার করুন।

২। হট অয়েল ডিপ কন্ডিশনার
অলিভ অয়েল, বাদাম তেল, নারকেল তেল অথবা কাস্টার অয়েল কিছুক্ষণ গরম করে নিন। এটি চুলে ভাল করে ম্যাসাজ করে লাগান। ৪৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি সপ্তাহে এক থেকে দুইবার করুন। এটি চুলে পুষ্টি যুগিয়ে চুলের আগা ফাটা রোধ করে দিবে।

৩। পেঁপে
পাকা পেঁপের সাথে আধা কাপ টকদই ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকটি চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। পেঁপেতে অ্যামিনো অ্যাসিড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং আরও অনেক ভিটামিন রয়েছে যা চুলকে নরম কোমল করার পাশাপাশি আগা ফাটা রোধ করে দিবে।

৪। কলা
একটি পাকা কলা, দুই টেবিল চামচ টকদই, গোলাপ জল এবং লেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপর প্যাকটি চুলে লাগিয়ে ফেলুন। এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করুন। কলার পটাশিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন এবং ভিটামিন সি, এ,ই চুলের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে আগা ফাটা রোধ করতে সাহায্য করে।

৫। মধু 
মধু এবং টকদই মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এটি চুলে ভাল করে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। জাদুকরী এই প্যাকটি দ্রুত চুলের আগা ফাটা দূর করে থাকে।

কোকোনাট পুডিং

ranna banna o beauty tips
কোকোনাট পুডিং
উপকরণ: 
ডিম ৬টি। কনডেন্সড মিল্ক ১ টিন। দুধ ৩ কাপ। কর্নস্টার্চ ২ টেবিল-চামচ। কোরানো নারিকেল ৪ টেবিল-চামচ। চিনি আধা কাপ।

পদ্ধতি: 
একটি পাত্রে আধা কাপ চিনি নিয়ে মাঝারি আঁচে জ্বাল দিন। যখন গলে যেতে থাকবে নাড়তে থাকুন। বাদামি রং হলে যে পাত্রে পুডিং বানাবেন তাতে ক্যারামেল ঢেলে চারদিকে ছড়িয়ে দিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। ইচ্ছা হলে কিছুক্ষণ ফ্রিজারে রাখতে পারেন।

ব্লেন্ডার বা এগ বিটার দিয়ে কনডেন্সড মিল্ক, দুধ ও ডিম দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন। সঙ্গে আবার কর্নস্টার্চ ও নারিকেল দিয়ে ব্লেন্ড করতে হবে।

মিশ্রণটি ক্যারামেলের পাত্রে আস্তে ঢেলে দিন।

পাত্রটি একটু উপর থেকে সমতল জায়গায় ছাড়ুন যাতে বুদবুদগুলো (এয়ার আউট) মিশে যায়।

ওভেনে তৈরির পদ্ধতি: 
একটি বড় ট্রেতে এমন ভাবে পানি ঢালুন যাতে পুডিংয়ের বাটি অর্ধেক ডুবে থাকে পানিতে।

ওভেনে ৩৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা দিয়ে এক ঘণ্টা ঘন্টা বা ভিতরে জমে যাওয়া পর্যন্ত বেইক করতে থাকুন। খেয়াল রাখবেন যদি উপরে বেশি খয়েরি রং হয়ে যায়, ফয়েল পেপার দিয়ে ঢেকে দিতে হবে অথবা ওভেনের তাপ কিছুটা কমিয়ে দিতে হবে।

চুলায় তৈরির পদ্ধতি: 
পুডিং প্যানটি বসানো যায়, এমন একটি পর্যাপ্ত বড় সসপ্যান নিন এবং এতে গরম পানি নিন। সসপ্যানে ততটুকু পরিমাণ পানি নিন যতটুকু পানির মাঝে আপনার পুডিং প্যানটি বসালে প্যানটির অর্ধেক মতো পানিতে ডুবে থাকবে এবং প্যান পানিতে ভাসবে না।

প্যান পানির মাঝে সঠিকভাবে বসানোর জন্য চাইলে একটি স্ট্যান্ড ব্যবহার করতে পারেন বা পাতলা তোয়ালে বিছিয়ে তার উপর বসাতে পারেন।এতে চুলার তাপ সরাসরি পুডিংয়ে লাগে না।

এবার পুডিং প্যানটি সসপ্যানের মাঝে বসিয়ে দুটি প্যানই ঢেকে দিন এবং ৪৫ মিনিট চুলায় রাখতে হবে। মাঝে মাঝে সস প্যানের পানি দেখে নিন। প্রয়োজনে আরও পানি যোগ করুন।

একটি টুথপিক দিয়ে পুডিং হয়েছে কিনা দেখুন। টুথপিক পুডিংয়ের মাঝে হালকা করে ঢোকান। যদি টুথপিক পরিষ্কার বের হয়ে আসে, তাহলে পুডিং তৈরি হয়ে গেছে। আর যদি টুথপিকে আঠালো ডিমের মিশ্রণ লেগে থাকে তাহলে পুডিংটি আরও পাঁচ থেকে ১০ মিনিটের জন্য চুলায় রেখে দিন এবং একই ভাবে টুথপিক দিয়ে পরীক্ষা করুন।

পুডিং তৈরি হয়ে গেলে তা ঠাণ্ডা করে নিন। ফ্রিজে রাখুন। ফ্রিজ থেকে বের করে সাবধানে প্যানের প্রান্ত বরাবর পুরো পুডিংয়ের চারপাশে ছুরি দিয়ে পুডিংটি আলাদা করে নিন। তারপর প্যানের উপর একটি প্লেট বসিয়ে,প্যানটি প্লেটটির উপর উল্টিয়ে পুডিংটি প্লেটে নিয়ে নিন। পরিবেশন করুন ।

অসাধারণ স্বাদের মাংস পুলি

ranna banna o beauty tips
অসাধারণ স্বাদের মাংস পুলি
বাঙালি পিঠার অধিকাংশই মিষ্টি জাতীয়। কিন্তু সব পিঠা তো মিষ্টি হয় না। আমাদের বাঙালিদের ঝুলিতে এমন কিছু অসাধারণ ঝাল জাতীয় পিঠা রয়েছে যার স্বাদ একবার খেলে দীর্ঘসময় মুখে লেগে থাকে। আজকে এমনই একটি অসাধারণ স্বাদের পিঠা নিয়ে আমাদের আয়োজন। বিকেলের নাস্তায় অতিথি আপ্যায়নে এই পিঠার জুড়ি নেই। আজকে শিখে নিবো খুব সুস্বাদু মাংস পুলির সবচেয়ে সহজ রেসিপি।

পুরের জন্য যা যা লাগবে
ছোট করে কাটা মাংস সেদ্ধ ১ কাপ, আধা কাপ আলু কুচি, আধা কাপ পেঁয়াজ মিহি কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি স্বাদ অনুযায়ী, ১ চা চামচ কাবাব মসলা, ১ চা চামচ আদা-রসুন বাটা, এলাচ ২ টি, দারুচিনি ১ খণ্ড, লবঙ্গ ২ টি, তেল বা ঘি ২ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।

পিঠার জন্য
আটা বা ময়দা ৫০০ গ্রাম, সুজি ৫০ গ্রাম, ঘি দুই টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, পানি পরিমাণ মতো, তেল ভাজার জন্য।

পুর যেভাবে করবেন
অল্প তেলে আদা-রসুন বাটা দিয়ে নেড়ে নিন। একটু লালচে হয়ে এলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নরম করতে থাকুন। গরম মসলা ও কাবাব মসলা দিয়ে লবণ দিয়ে দিন। এরপর তাতে আলু কুচি ও মাংস কুচি দিয়ে ভালো করে নেড়ে ভাজা ভাজা করতে থাকুন। আলু সেদ্ধ ও মাংস ভাজা হলে পুর তৈরি হয়ে যাবে। স্বাদ দেখে নামিয়ে রাখুন।

পুলি তৈরি
প্রথমে আটা বা ময়দার সঙ্গে সুজি ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর সামান্য লবণ এবং ঘি ঢেলে হাত দিয়ে মাখাতে থাকুন। তারপর পানি দিয়ে মেখে ডো তৈরি করে নিন। এরপর ছোট ছোট করে গোল রুটি তৈরি করতে হবে। এরপর ঠিক মাঝে পুর দিয়ে রুটিটি ভাঁজ করলে অর্ধেক চাঁদের মতো হবে। একটি কাটা চামচ দিয়ে রুটির মুখ আটকে ফেলুন, যাতে পুর ভেতর থেকে বেরিয়ে না যায়। তারপর বড় কড়াইয়ে ডুবো লালচে করে ভেজে তুলে নিন। ভাজা হলে একটি কিচেন টিস্যুতে রেখে তেল শুষে ফেলুন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেলো মাংস পুলি। এবার সসের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।


গরমে প্রাণ জুড়ানো শরবত

ranna banna o beauty tips
শরবত
বৈশাখের খরতাপে দিনভর ঘোরাঘুরি আর ঘাম ঝরিয়ে ক্লান্ত হওয়া নিত্যদিনের কাজ। কাঠফাটা রোদ্দুরে যখন গলা শুকিয়ে চৌচির তখন পছন্দের ফলের একগ্লাস শরবত হতে পারে পরম আরাধ্য। তাই ঝটপট শিখে নিন কিছু তাজা ফলের প্রাণ জুড়ানো শরবত বানানোর সহজ রেসিপি।

কাঁচা আমের শরবত
মাঝারি আকারের কাঁচা আম ১টা, চিনি স্বাদমতো, গোল মরিচ ১ চা চামচ, বিটলবণ ১ চা চামচ, ধনে পাতা সামান্য, কাঁচা মরিচ ২টা, লবণ প্রয়োজনমতো, পানি আড়াই কাপ।

যেভাবে করবেন
আম কুচি কুচি করে কেটে সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এবার বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন টক-ঝাল-মিষ্টি কাঁচা আমের শরবত।

তরমুজের শরবত
তরমুজের শরবত
তরমুজ ২০০ গ্রাম, আদা ৫ গ্রাম, লেবুর রস সামান্য, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, চিনি স্বাদমতো, পানি ১০০ মিলি।

যেভাবে করবেন
প্রথমে তরমুজ কেটে খোসা ফেলে টুকরো করে নিন। এবার সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। হয়ে গেল তরমুজের মজাদার শরবত।

বাঙ্গির শরবত
বাঙ্গির শরবত
বাঙ্গি কুচি ১ কাপ, চিনি ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, বরফ কিউব পরিমাণমতো, লবণ এক চিমটি ( না দিলেও হবে)।

যেভাবে করবেন
বরফ বাদে বাঙ্গি কুচির সঙ্গে সব উপকরণ দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। ব্যাস হয়ে গেল সুস্বাদু এক গ্লাস শরবত। এবার বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।


পান্তার সঙ্গে ইলিশ তন্দুরী

ranna banna o beauty tips
ইলিশ তন্দুরী
বৈশাখী রান্নার কথা ভাবতেই প্রথমেই আসে ইলিশ পান্তা। বছরের প্রথম দিনে জাতীয় মাছ ইলিশের অসাধারণ স্বাদ উপভোগ যেন বাঙালিত্বের হালনাগাদ করায়। একসময় বাঙালির সকালের তৃপ্তিকর নাস্তা ছিল ইলিশ পান্তা। বৈশাখ বরণে সেই রীতিকে স্বরণ করা এখন আমাদের সংস্কৃতিতে দাঁড়িয়েছে। ইলিশ দিয়ে অনেক রকমের রান্না করা হয়। তবে আজ আপনাদের জন্য রয়েছে একটা ভিন্ন স্বাদের রেসিপি। বৈশাখী রান্নায় আজ দেখে নেয়া যাক ইলিশ তন্দুরী।

যা যা লাগবে
মাছের টুকরা ৫টি
তন্দুরী মসলা ১ টেবিল চামচ
লেবুর রস ২ চা চামচ
লবণ পরিমাণমতো
আদা ও রসুন বাটা আধা চা চামচ
তেল ১ টেবিল চামচ
পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ

যেভাবে করবেন

মাছ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। মাছের সঙ্গে সব উপকরণ মাখিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এবার ফ্রাইপ্যানে তেল মাখিয়ে চুলায় দিয়ে মাছ সাজিয়ে ১০ মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে। তারপর সেই মাছ তুলে একটি একটি করে আগুনে ঝলসিয়ে নিন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল মজাদার ইলিশ তন্দুরী। পান্তা ভাতের সঙ্গে দারুণ উপযোগী তন্দুরী ইলিশ। গরম ভাতের সঙ্গেও কম যায় না।

জেনে নিন বাটারস্কচ আইসক্রিম তৈরির সহজ প্রণালীটি


ranna banna o beauty tips
বাটারস্কচ আইসক্রিম
এই  কাঠফাটা গরমে প্রাণ জুড়াতে আইসক্রিমের তুলনা নেই। বাজারের আইসক্রিম কত আর খেতে ভাল লাগে বলুন। ঘরে যদি বাজারের মত মজাদার ফ্লেভারের আইসক্রিম তৈরি করা যায় কেমন হয় বলুন তো? দারুন তাই তো! আইসক্রিমের অনেকগুলো ফ্লেভারের মধ্যে বাটারস্কচ অন্যতম। অনেকের পছন্দের ফ্লেভার এটি। কিন্তু এই মজাদার ফ্লেভারটি সব স্থানে পাওয়া যায় না। তাই ইচ্ছা হলেই খেতে পারেন না প্রিয় ফ্লেভারের আইসক্রিমটি। এখন ইচ্ছা করলেই খেতে পারবেন যখন তখন বাটারস্কচ আইসক্রিম। তাও নিজে তৈরি করে। ভাবছেন কিভাবে? তাহলে জেনে নিন বাটারস্কচ আইসক্রিম তৈরির রেসিপিটি।

উপকরণ:
  • ৪ টেবিল চামচ চিনি
  • ২ টেবিল চামচ কাজুবাদাম
  • ১ টেবিল চামচ মাখন
  • ১.৫ কাপ লো ফ্যাট ক্রিম
  • ১/৩ কাপ চিনির গুঁড়ো
  • ১/২ কাপ দুধ
  • ১.৫ চা চামচ বাটারস্কচ এসেন্স  


প্রণালী:
১। প্রথমে একটি প্যানে চিনি দিয়ে ক্যারামেল তৈরি করে নিন।
২। তারপর চুলার আঁচ কমিয়ে এতে মাখন, কাজুবাদাম কুচি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৩। এটি নামিয়ে একটি পাত্রে ঢেলে ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিন।
৪। ঠান্ডা হয়ে গেলে এটির উপর কিচেন টাওয়েল রেখে বেলুন দিয়ে বেলে নিন।
৫। আরেকটি পাত্রে বরফ কুচির সাথে কিছু পানি দিয়ে তার উপর ঠান্ডা (ফ্রিজে রাখা) আরেকটি পাত্র রেখে দিন।
৬। এবার পাত্রের উপর ক্রিম বিটার দিয়ে ভাল করে বিট করুন।
৭। এটি দ্বিগুণ হয়ে গেলে এতে চিনির গুঁড়ো দিয়ে আবার বিট করুন। এরপর এতে দুধ, বাটারস্কচ এসেন্স, ক্যারামেল বাদাম কুচি, লেমন কালার মিশিয়ে আবার বিট করুন।  
৮। এবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ফ্রিজে রেখে দিন কয়েক ঘন্টা।
৯। বাদাম কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার বাটারস্কচ আইসক্রিম।

সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৬

গরম প্রাণ জুড়াতে ঝটপট ম্যাঙ্গো ডিলাইট

ranna banna o beauty tips
ম্যাঙ্গো ডিলাইট
বাজারে খুঁজলে এখনই পাওয়া যাবে কিছু কিছু পাকা আম। একেবারে প্যাচপ্যাচে এই গরমের এই দিনে আপনি যদি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা কোনো ডেজার্ট খেতে চান, তাহলে তৈরি করে নিতে পারেন মৌসুমের স্বাদে ম্যাঙ্গো ডিলাইট। সহজ এই রেসিপিতে খাবার তৈরির জন্য আপনাকে পাকা রাঁধুনি হতে হবে না। একদম অল্প কিছু উপাদানে খুব কম সময়ে তৈরি হয়ে যাবে চোখ জুড়ানো ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা এই ডেজার্ট।

উপকরণ

- ১ কাপ হেভি হুইপিং ক্রিম
- ১ চা চামচ ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট
- ৩ টেবিল চামচ অথবা স্বাদমতো গুঁড়ো চিনি
- ১ কাপ পাকা আমের পাল্প
- কয়েক টুকরো আম গার্নিশের জন্য
- পুদিনা পাতা গার্নিশের জন্য

প্রণালী
১) একটা পরিষ্কার, ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করা বোলে হেভি ক্রিম নিন এবং মিডিয়াম স্পিডে আধা মিনিট হুইপ করে নিন যাতে ঘন হয়ে আসে।
২) ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট এবং গুঁড়ো চিনি মিশিয়ে বিট করুন যতক্ষণ না “স্টিফ পিক” তৈরি হয়।
৩) সার্ভিং গ্লাস বা বাটিতে বড় এক চামচ হুইপড ক্রিম দিন। গ্লাসটা ধীরে ধীরে টেবিলে ঠুকে সমান করে নিন ক্রিম। এবার ওপরে এক স্তর আমের পাল্প দিয়ে নিন। আবারও সমান করে নিন।
৪) এবার ওপরে অল্প করে হুইপড ক্রিম দিন। একটু পুদিনা এবং কয়েক টুকরো আম দিয়ে পরিবেশন করুন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা!

ওভেন ছাড়াই তৈরি করে ফেলুন সুস্বাদু গার্লিক ব্রেড

ranna banna o beauty tips
সুস্বাদু গার্লিক ব্রেড
প্রতিদিন সকালের নাস্তায় যে খাবারটি প্রায় সব বাসায়ই খাওয়া হয়, তা হল পাউরুটি। বাজারের অস্বাস্থ্যকর পাউরুটি খাওয়াটা অনেকেরই অপছন্দের। আবার পাউরুটি ওভেন ছাড়া তৈরি করা যায় না বলে, ইচ্ছা থাকলেও পাউরুটি ঘরে তৈরি করতে পারেন না। এই সমস্যার সমাধান করে দেবে আজকের এই রেসিপি। ওভেন ছাড়াই তৈরি করে নিতে পারবেন গার্লিক ব্রেড।

উপকরণ:
  • ২ কাপ ময়দা
  • ১ চা চামচ ইস্ট
  • ৩/৪ কাপ গরম পানি
  • ১ টেবিল চামচ চিনি
  • ৩/৪ চা চামচ লবণ
  • ২ টেবিল চামচ তেল
  • গার্লিক বাটার তৈরির জন্য
  • ২ টেবিল চামচ মাখন
  • ৪ কোয়া রসুন কুচি
  • লবণ স্বাদমত
  • গোলমরিচ গুঁড়ো
  • ১ চা চামচ ওরিগেনো, বেসলি এবং পার্সলি পাতা গুঁড়ো


প্রণালী:

১। একটি পাত্রে ১/২ কাপ গরম পানি, চিনি এবং ইস্ট মিশিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিন।
২। ৫ মিনিট পর পানিতে বুদবুদ উঠলে এতে ময়দা, তেল, লবণ এবং বাকী ১/৪ কাপ পানি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।  
৩। ডো নরম হয়ে গেলে একটি প্লাস্টিকের প্যাকেট অথবা সুতির কাপড় দিয়ে ২ ঘন্টা ঢেকে রাখুন।
৪। আরেকটি পাত্রে রসুন কুচি, মাখন, ওরিগেনো, ব্রাসলি,পার্সলি পাতা গুঁড়ো, লবণ এবং গোল মরিচ গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৫। এবার ডোটিকে দুই ভাগ করে নিন। এবার একটি ভাগ নিয়ে বড় রুটির মত বেলে নিই।
৬। রুটির মাঝে মাখন রসুনের মিশ্রণটি দিন। এবার রুটিটি রোল করুন।
৭। রোল করা রুটিটি ছুড়ি দিয়ে কয়েক টুকরো করে নিন।
৮। এখন নন-স্টিক প্যানে তেল দিয়ে কাটা ডোর টুকরোগুলো দিন।
৯। একটি কাপড় দিয়ে প্যানের ঢাকনাটি পেঁচিয়ে নিন, তারপর সেটি দিয়ে প্যানটি ঢেকে দিন।
১০। এবার প্যানটি গরম কোন স্থানে এক ঘন্টা রেখে দিন। এক ঘন্টা পর দেখবেন ডোটি ফুলে ডাবল হয়ে গেছে।
১১। এবার অল্প আঁচে প্যানটি ১০-১২ মিনিট চুলায় রাখুন।
১২। ১০ মিনিট পর পাউরুটির পাশ পরিবর্তন করে ৫-৬ মিনিট রান্না করুন।
১৩। দুই পাশ সোনালী রং হয়ে আসলে চুলা বন্ধ করুন।
১৪। পাউরুটির উপরে মাখন ব্রাশ এবং ধনেপাতা কুচি করে নামিয়ে ফেলুন।
১৫। ব্যস তৈরি হয়ে গেল গার্লিক ব্রেড।

পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

ঢেঁড়সের একটি ভিন্ন স্বাদের রান্না

ranna banna o beauty tips
ঢেঁড়সের একটি ভিন্ন স্বাদের রান্না
স্বাস্থ্যকর মজাদার সবজি ঢেঁড়স। এই সবজিটি অনেকে বাচ্চারা খেতে চায় না। বাচ্চাদের এই সবজিটি খাওয়ানো যায় খুব সহজে। ভাবছেন কীভাবে? ঢেঁড়স ফ্রাই করে! অবাক হচ্ছেন? মুড়মুড়ে ক্রিসপি এই খাবারটি ছোট বড় সবাই অনেক পছন্দ করে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক মজাদার ক্রিসপি ঢেঁড়স ফ্রাইয়ের রেসিপিটি। 

উপকরণ: 
৩৫০ গ্রাম ঢেঁড়স 
২ টেবিল চামচ বেসন 
১ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো 
১/৩ চা চামচ মৌরি 
১/৩ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো 
১/২ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো 
১/২ চা চামচ আমচূর গুঁড়ো 
১/৩ চা চামচ জিরা গুঁড়ো 
লবণ স্বাদমত 

তেল প্রণালী: 
১। প্রথমে ঢেঁড়সগুলো পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। 
২। তারপর ঢেঁড়সের মাঝের অংশ বীচিসহ কেটে ফেলে দিন। ঢেঁড়স চিকন চিকন করে (ভিডিও অনুযায়ী) কাটুন। 
৩। একটি পাত্রে ঢেঁড়স, বেসন, চালের গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, আমচূর গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, মৌরি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। 
৪। ভাজার আগে লবণ দিয়ে আবার ভাল করে মিশিয়ে ফেলুন। 
৫। তারপর চুলায় তেল গরম হয়ে গেলে এতে ঢেঁড়সগুলো অল্প করে দিয়ে দিন। 
৬। ২ মিনিট ভাঁজুন। হালকা বাদামি রং হয়ে আসলে মাঝারি আঁচে আরও কিছুক্ষণ ভাঁজুন। 
৭। গাঢ় বাদামী রং হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। 
৮। ব্যস তৈরি হয়ে গেলে মজাদার ঢেঁড়স ফ্রাই। ভাতের সাথে পরিবেশন করতে পারেন ঢেঁড়স ফ্রাই।

পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৬

চুলের রুক্ষতা দূর করতে ৫টি সহজ ও কার্যকরী হেয়ার প্যাক

হেয়ার প্যাক
চুলের যত্নে অথবা ত্বক পরিচর্যায় ঘরে তৈরি প্যাক ব্যবহার করা নিরাপদ এবং কার্যকরী। বিশেষত চুলে নানা স্টাইল করার জন্য রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার করে অনেক ক্ষতি করে ফেলি আমরা নিজের অজান্তেই। চুল আয়রন, রং করা, ব্লো ড্রাই ইত্যাদি কত কিছু না করা হয়। এতসব হেয়ার স্টাইলের কারণে চুল পড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে, চুল হয়ে যাচ্ছে রুক্ষ, মলিন। এই রুক্ষতা দূর করুন রান্নাঘরে থাকা কিছু সাধারণ উপাদান দিয়ে। এই প্যাকগুলো নামী দামী হেয়ার ট্রিটমেন্ট থেকে অনেক নিরাপদ এবং কার্যকরী।

১। ডিম এবং অলিভ অয়েল

২-৩ টি ডিম খুব ভাল করে ফেটে নিন। এবার এর সাথে ৫-৬ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে ভাল করে মেশান। এটি চুলে ভাল করে লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। এটি চুলের গোঁড়ায় পৌঁছে চুলের রুক্ষতা ভিতর থেকে দূর করে দিয়ে থাকে।

২। ক্যামোমিল চা এবং আপেল সাইডার ভিনেগার

৩টি ক্যামোমিল টি ব্যাগ গরম পানিতে দিয়ে ২০-৩০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এরসাথে ১/৪ চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এবার এটি চুলে লাগিয়ে নিন। এটি চুলে ব্যবহার করুন। এই প্যাকটি চুলকে নরম কোমল করার পাশাপাশি চুলকে হাইলাইট করে তুলবে।

৩। কলা, লেবু এবং মধু

পাকা কলা, লেবু এবং মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি খুব ভাল প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে থাকে।

৪। কলা এবং বাদাম তেল

একটি পাকা কলা ম্যাশ করে নিন এবং এর সাথে ৩ ফোঁটা বাদাম তেল মিশিয়ে নিন। বাদাম তেল এবং পাকা কলার প্যাক চুলে ২৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ২৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই প্যাকটি চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলকে সাইনি এবং ঝলমলে করে তোলে।

৫। স্ট্রবেরি এবং মেয়নিজ হেয়ার প্যাক

একটি পাত্রে ৭-৯ টি স্ট্রবেরি ম্যাশ করে এতে ১ টেবিল চামচ মেয়নিজ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এইবার এই প্যাকটি চুলে লাগিয়ে নিন। ২৫ মিনিট অপেক্ষা করুন, তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। লক্ষ্য রাখবেন স্ট্রবেরিগুলো যেন পাকা হয়।

ব্রণ দূর করতে যে ৪টি উপাদান কার্যকর, যে ৪টি অকার্যকর

ব্রণ দূর করতে যে ৪টি উপাদান কার্যকর, যে ৪টি অকার্যকর 
ত্বকের সমস্যাগুলোর মাঝে অন্যতম হলো ব্রণ। খুব সহজেই এরা ত্বকে দাগ ফেলে দিতে পারে। কিন্তু সাধারণ একটা ব্রণের জন্য তো আর ডাক্তারের কাছে যাওয়া যায় না। এ কারণে আমরা বাড়িতেই এটাসেটা ব্যবহার করে ব্রণের উপদ্রব থেকে মুক্তি পাবার চেষ্টা করি। কিন্তু এসব উপায় কী সবসময় কাজ করে? ডার্মাটোলজিস্টদেড় মতে কিছু কিছু উপায় আসলেই কাজ করে, কিছু আবার উল্টো ত্বকের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। চলুন জেনে নেই এগুলোর ব্যপারে।

কার্যকরী উপাদান- টি ট্রি অয়েল

গবেষণাতেই দেখা গেছে হালকা থেকে মাঝারি ধরণের ব্রণ দূর করতে এটি বেশ কার্যকরী। জ্বালাপড়া করতে থাকা, লালচে ব্রণের উপশম করতে পারে টি ট্রি অয়েল। এই অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে ব্রণ দূর করতে পারে। এটা ব্যবহার করার জন্য ৫ পার্সেন্ট টি-ট্রি অয়েল সলিউশন নিয়ে সমপরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে নিন। এই পানিতে একটা কটন বল ভিজিয়ে দিনে এক-দুইবার প্রয়োগ করুন ব্রণের ওপর।

কার্যকরী উপাদান- অ্যাসপিরিন

অ্যাসপিরিন মূলত ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডসের ক্ষেত্রে কাজ করে ভালোভাবে। এটা এক ধরণের স্যালিসাইলিক এসিড, যা কিনা অনেক ব্রণ দূর করার ক্রিমে থাকে। এটা পোর খুলে দিতে সাহায্য করে এবং ব্ল্যাকহেড বা হোয়াইটহেড দূর করে দেয়। এটা কীভাবে ব্যবহার করবেন? দুটো অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট গুঁড়ো করে নিন, ২ টেবিল চামচ পানির সাথে মেশান এবং এই পেস্ট ব্রণে দিয়ে রাখুন এক-দুই মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন।

কার্যকরী উপাদান- অ্যাপল সাইডার ভিনেগার

ত্বকের ওপর অ্যাপল সাইডার ভিনেগারের প্রভাব নিয়ে কোনো গবেষণা হয়নি কিন্তু এটার অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য ব্রণ দূর করতে উপকারী হতে পারে। এটা অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট, এ কারণে তেল কমাতেও কার্যকরী। টি ট্রি অয়েলের মতোই সমপরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে এটা ব্যবহার করতে হবে। এই মিশ্রণ তুলোয় ভিজিয়ে এক-দুই মিনিট ব্রণের ওপর রাখতে হবে।

কার্যকরী উপাদান- গ্রিন টি

গ্রিন টিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে বলে এটা ব্রণের যন্ত্রণা কমায় আর ব্যাকটেরিয়াও দূর করে। কিছুটা গ্রিন টি তৈরি করে এটা ঠাণ্ডা করে একটা কাপড় ভিজিয়ে মুখে দিতে পারেন। অথবা টি ব্যাগটাকে ঠাণ্ডা করে সরাসরি ব্রণের ওপর রাখতে পারেন ২০ মিনিট পর্যন্ত।

এ তো গেলো কার্যকরী উপাদানের কথা। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে আমরা এমন কিছু উপাদানও ব্যবহার করে থাকি যা আদতে ত্বকে প্রয়োগ করা মোটেই উচিৎ নয়। বরং এগুলোর ব্যবহারে ব্রণের উপদ্রব আরও বেড়ে যেতে পারে। দূরে থাকুন এসব উপাদান থেকে-

সবচাইতে খারাপ- রাবিং স্পিরিট

কারণ এটি ত্বক থেকে উপকারী তেল এবং প্রোটিন শুষে নেয়। ফলে ত্বকের অবস্থা আগের চাইতেও খারাপ হয়ে যায়।

বেশ খারাপ- টুথপেস্ট

ব্রণ দেখা দিলেই সাথে সাথে টুথপেস্ট লাগাতে হবে সেখানে, এমনটা যারা ভাবেন তারা ভুল। কারণ আমাদের দাঁতের মতো শক্তি জিনিসে প্রয়োগের জন্য টুথপেস্ট তৈরি করা হয়, ত্বকের মতো কোমল জায়গায় নয়। এটা ত্বক শুকিয়ে এবং জ্বালাপোড়া তৈরি করে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে।

মোটামুটি খারাপ- লেবুর রস

লেবুর রস খারাপ, কারণ এটাও তেল শুষে নেয় ত্বক থেকে। আর এতে থাকা ফ্রুট এসিড ত্বকে জ্বালাপোড়া তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে এটা দেবার পর যদি আপনি রৌদ্রে যান তাহলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে, হতে পারে র‍্যাশ।

তেমন ক্ষতিকর না হলেও অকার্যকর- মধু

মধু ত্বকের জন্য কোমল, এটা তেমন কোন ক্ষতি না করলেও আসলে ব্রণ দূর করতে তেমন কার্যকরী নয়। আর মধু ভারি হওয়ার কারণে এটা ত্বকের পোর বন্ধ করে উল্টো নতুন নতুন ব্রণ তৈরি করতে পারে।

শুধু এগুলোই নয়। ডাক্তারের দেওয়া ব্রণের ওষুধ ব্যবহার করেও দেখা যায় অনেকে ফল পান না, ব্রণ থেকেই যায়। যেসব ভুলের কারণে আপনার ব্রণ দূর হচ্ছে না তা হলো-
- মুখ পরিষ্কার না করেই ওষুধ দেওয়া
- আপনি বেশি স্ট্রেসে আছেন
- আপনার পোর বন্ধ হয়ে আছে
- আপনি বেশি ঘন ঘন মুখ ধুয়ে থাকেন
- আপনি অতিরিক্ত এক্সফলিয়েট করেন
- আপনি খুব বেশি বা খুব কম পরিমাণে ওষুধ ব্যবহার করেন

প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণ দূর না হলে আপনি ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন অবশ্যই। নিজে নিজে ত্বকে বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করা থেকে বিরত থাকুন, ইনফেকশন হয়ে গেলে দাগ বসে যেতে পারে।

নিজেই তৈরি করে ফেলুন ত্বকের উপযোগী সানস্ক্রিন লোশন

ranna banna o beauty tips
সানস্ক্রিন লোশন
এই গরমে কোন প্রসাধনীটা মেয়েরা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকে? হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন, সানস্ক্রিন লোশন। সানস্ক্রিন লোশন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ার কথা চিন্তাই করা যায় না। বিশেষত যাদের দিনের অনেকটা সময় বাইরে থাকতে হয়, তাদের জন্য সানস্ক্রিন একটি অপরিহার্য প্রসাধনীর নাম। বাজারে নানা ব্র্যান্ডের সানস্ক্রিন কিনতে পাওয়া যায়। অনেকেই বাজারের কেমিক্যাল যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে চান না। বিশেষত যারা
সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারী তাঁদেরকে বাজারের সানস্ক্রিন ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হয়। আপনি চাইলে ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন সানস্ক্রিন লোশন। কেমিক্যালমুক্ত সম্পূর্ণ পার্শপ্রতিক্রিয়া ছাড়া এই লোশন আপনার ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নি থেকে রক্ষা করে থাকবে।
যা যা লাগবে:
নারকেল তেল- এসপিএফ উপাদন সমৃদ্ধ
শিয়া বাটার- ত্বককে সূর্যের রশ্মি থেকে রক্ষা করে থাকে।
জোজবা অয়েল, সানফ্লাওয়ার অয়েল অথবা তিলের তেল- এই তেলগুলো খুব সহজে ত্বকে মিশে যায় এবং ত্বককে রক্ষা করে থাকে।
ইউক্যালিপ্টাস তেল এবং ল্যাভেন্ডার তেল- ইউক্যালিপ্টাস তেলে খুব অল্প পরিমাণে এসপিএফ থাকে এবং ল্যাভেন্ডার তেল ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তবে লেবু বা লেমন এ্যাসেন্সিয়াল অয়েল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
ভিটামিন ই অয়েল- ত্বককে ময়োশ্চারাইজ এবং পুষ্টি দিয়ে থাকে।
জিংক অক্সাইড (নন ন্যানো)- এটি সূর্যের ইউভিএ এবং ইউভিবি রশ্নি থেকে ত্বককে রক্ষা করে থাকে। তবে খেয়াল রাখবেন জিংক অক্সাইড যেন নন-ন্যানো অর্থ্যাৎ টক্সিন মুক্ত হয়।
যেভাবে তৈরি করবেন
১। নারকেল তেল, শিয়া বাটার এবং জোজোবা/তিল/ সান ফ্লাওয়ার তেল একটি পাত্রে মিশিয়ে নিন। একটি বড় পাত্রে পানি দিয়ে চুলায় দিন।
২। এবার এই পাত্রটির ভিতরে নারকেল তেলের পাত্রটি দিয়ে দিন।
৩। যতক্ষণ পর্যন্ত না শিয়া বাটার গলে যায়, ততক্ষণ এটি চুলায় রাখুন।
৪। চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। এবার এতে জিঙ্ক অক্সাইড, ভিটামিন ই এবং অন্যান্য এসেন্সিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন।
৫। জারে ঢেলে ফ্রিজে রেখে দিন। এটি ৬ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন। ব্যবহারের পর অব্যশই সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজে রাখুন।
যে পরিমাণে জিঙ্ক অক্সাইড ব্যবহার করবেন
এসপিএফ ২-৫:৫% জিঙ্ক অক্সাইড
এসপিএফ ৫-১১: ১০% জিঙ্ক অক্সাইড
এসপিএফ ১২-১৯: ১৫% জিঙ্ক অক্সাইড
এসপিএফ ২০ এর উপর: ২০% জিঙ্ক অক্সাইড

টিপস:
·       দিনের মধ্যভাগ সময়ে সূর্যের আলোতে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন।
·       রোদে ছাতা ব্যবহার করুন।
·       এছাড়া বড় কোন হ্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
·       হালকা রং এর ঢোলাঢালা পোশাক ব্যবহার করুন।

যেভাবে কিচেন সাজালে কমবে আপনার ওজন!

ranna banna o beauty tips
যেভাবে কিচেন সাজালে কমবে আপনার ওজন!
অনেকের জন্যই ওজন কমানোর প্রক্রিয়াটি একটি অনন্ত প্রক্রিয়া। দেখা যায় কোনো একটি ব্যায়াম বা ডায়েট অনুসরণ করে কিছুদিনের জন্য ওজন কমলেও দ্রুতই তারা আবার ওজনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। সবসময় খাওয়া দাওয়ার ওপর নজর রাখার মতো মানসিক শক্তি সবার থাকেও না। এমন একটি কৌশল আছে যাতে নিজের সচেতন ইচ্ছে ছাড়াই আপনার খাওয়া থাকবে নিয়ন্ত্রণে। আর তার জন্য আপনার কিচেনে আনতে হবে ছোট্ট কিছু পরিবর্তন। চলুন, দেখে নেই ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এসব পরিবর্তনের কথা।

১) স্ন্যাকজাতীয় খাবার রাখুন চোখের আড়ালে

আমরা সহজেই মিষ্টি কেক, বিস্কুট, চানাচুর এসবের দিকে হাত বাড়াই কারণ এগুলো থাকে টেবিল বা শেলফে, হাতের নাগালেই। এগুলো চোখের সামনে থাকার কারণে নারী-পুরুষ উভয়ের BMI বেড়ে যেতে পারে। অপরদিকে, স্বাস্থ্যকর খাবারগুলোকে চোখের সামনে রাখার ফলে সুস্থ ও ছিপছিপে শরীর ধরে রাখা সম্ভব হয়। যারা রান্নাঘরে ফল সাজিয়ে রাখেন তাদের BMI অন্যদের তুলনায় কম হতে দেখা যায়।

২) সুন্দর ডেজার্টের বাটি ব্যবহার বন্ধ করুন

অন্যরকম, সুন্দর ডিজাইনের মিষ্টি বা আইসক্রিম খাওয়ার বাটি বা চামচ আপনার এসব খাবার খাওয়ার ইচ্ছে অবধারিতভাবেই বাড়িয়ে দেবে। ডেজার্টের জন্য আলাদা বাটি না রেখে সাধারণ বাটি ও চামচ ব্যবহার করুন।

৩) ছোট প্লেট ব্যবহার করুন

স্বাভাবিক আকারের প্লেট ব্যবহারের বদলে খাওয়ার সময়ে ব্যবহার করুন হাফ প্লেট বা সালাদ প্লেট। তবে সাধারণ প্লেটের চাইতে খুব বেশি ছোট প্লেট ব্যবহার করবেন না। তাতে দেখা যাবে আপনি বারবার খাবার বেড়ে নিচ্ছেন এবং শেষতক খাওয়া কমার বদলে বেড়ে যাবে। ভাতের প্লেটের বদলে একটু ছোট একটা হাফ প্লেটে খাবার খান। এতে আপনার মনে হবে প্লেটটা বেশি ভোরে আছে এবং আপনার তৃপ্তির পরিমাণটাও বেশি হবে।

৪) টেবিলে বেশি খাবার রাখবেন না

খাবার আলাদা করে বোল-বাটিতে বেড়ে খাওয়ার টেবিলে রাখবেন না। এতে এক প্রস্থ খাওয়া হলে আপনি সহজেই খাবার তুলে নিয়ে আবার খেতে থাকবেন। বরং রান্নাঘর থেকে খাবার প্লেটে তুলে নিয়ে ডাইনিং রুমে চলে আসুন। এতে খাবার নিয়ে আসতে আপনার আবার উঠতে হবে। এই চিন্তা থেকেও আপনার খাওয়া কম হবে। আরেকটা কাজ করতে পারেন। অসাস্থ্যকর, ভারি খাবারগুলো রান্নাঘরে রাখত পারেন, কিন্তু স্বাস্থ্যকর সালাদটা রাখতে পারেন টেবিলে।

৫) বড় আকারের স্ন্যাক্সের প্যাকেট কিনবেন না

ফ্যামিলি সাইজের চিপস, বিস্কুট, চানাচুর ইত্যাদির প্যাকেট যদিও কেনা হয়, দেখা যায় আপনি একাই পুরোটা শেষ করে ফেলছেন, পরিবারের কেউ আর ভাগ বসাতে আসছে না। এমন জিনিস বাসায় পড়ে থাকলেও আপনার বারবার খেতে ইচ্ছে করবে। নিজেকে যতই বোঝান না কেন একটু খেয়ে রেখে দেবেন, দেখা যায় অনেকটাই খাওয়া হয়ে যায়। ফলে আপনার ডায়েটের বারোটা বাজে। ছোট আকারের স্ন্যাক্সের প্যাকেট কিনুন। অথবা বড় প্যাকেট কিনে বাড়িতে এনেই ছোট ছোট জিপলক ব্যাগে আলাদা করে রাখুন অল্প অল্প পরিমাণে।

৬) ফ্রিজ সাজান বুদ্ধি করে

রেফ্রিজারেটরগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা থাকে যাতে সবজি থাকে একদম নিচে, যা চোখেই পড়ে না সহজে। আপনি মোটেও এই ডিজাইন অনুসরণ করতে যাবেন না। বরং ফল ও সবজি রাখুন এমন জায়গায় যাতে সহজেই চোখে পড়ে, ফ্রিজ খুললেই যেন দেখা যায় অনেকগুলো রঙ্গিন ফল-সবজি।

৭) ব্যবহার করুন চিকন গ্লাস ও সবুজ প্লেট

ছোট, মোটা গ্লাস বা মগে আপনি যতই পান করুন না কেন মনে হবে কম হয়ে গেলো। কিন্তু লম্বা, সরু গ্লাসে পানীয় পান করলে অল্পেই মনে হবে অনেকটা পান করা হয়েছে। অস্বাস্থ্যকর পানীয় যেমন কোক, পেপসি, অন্যান্য সফট ড্রিঙ্কস, মিল্কশেক এসব পান করার ক্ষেত্রে এই কৌশল কাজে আসবে। তবে অবশ্যই পানি পান করবেন প্রচুর পরিমাণে। আর প্লেটের রং কেন সবুজ করতে বলে হচ্ছে? কারণ সবুজ রঙের প্লেটে আপনি বেশি করে সবুজ সালাদ খেতে পারবেন। কিন্তু সাদাটে ধরণের খাবার যেমন শর্করা বা প্রোটিন খেতে গেলে তার রং এই সবুজের মাঝে বেশি বোঝা যাবে, ফলে এগুলো আপনি বেশি খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হয়ে যাবেন।

এছাড়াও যেসব কাজ করতে পারেন তা হলো-
- স্বচ্ছ কন্টেইনারে রাখুন স্বাস্থ্যকর খাবার
- খাবার ঘরটাকে রাখুন গরম, কারণ ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় মানুষ বেশি খায়
- চিনির বদলে ব্যবহার করুন খেজুর
- সল্ট শেকার ব্যবহার না কর একটা বাটিতে লবণ রাখুন, হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.