বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

হট থাই চিকেন উইংস

ranna banna o beauty tips
হট থাই চিকেন উইংস
আজকাল রেস্টুরেন্টে গেলে বাচ্চা থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণীরা পর্যন্ত সকলেই একটা খাবার অর্ডার করে থাকেন। আর তা হল চিকেন উইংস। ক্রিপসি, ঝাল, মিষ্টি স্বাদের এই খাবারটি খেতে দারুন। থাই এই খাবারটি আপনি চাইলে ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন। খুব সহজে অল্প কিছু উপাদান দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন হট থাই চিকেন উইংস!

উপকরণ:

  • ১.৫ টেবিল চামচ থাই রেড কারী পেস্ট
  • ৮টি মুরগির পাখনা
  • ১ টেবিল চামচ তেল
  • ১ টেবিল চামচ আদা রসুন পেস্ট
  • লবণ স্বাদমত
  • গোল মরিচ গুঁড়ো স্বাদমত
  • ১/২ কাপ ময়দা
  • ১ টি ডিম
  • ১ টেবিল চামচ রসুন কুচি
  • ১ টি পেঁয়াজ কলির কুচি
  • ১ টেবিল চামচ রেড চিলি সস
  • ১ টেবিল চামচ ফিশ সস
  • ১ টেবিল চামচ টমেটো কেচাপ
  • ৮-১০টি কচি সিম
  • ৬-৮ টি পুদিনা পাতা

প্রণালী:

১। একটি প্যানে তেল গরম করতে দিন।
২। এবার একটি পাত্রে মুরগির পাখনা আদা রসুনের পেস্ট, লবণ এবং গোল মরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মেরিনেইট করে রাখুন।
৩। ময়দা, লবণ, গোল মরিচ গুঁড়ো, ডিম এবং পানি ভাল করে মিশিয়ে বেটার তৈরি করে নিন।
৪। এখন ময়দার ঘোলাটা মুরিগের পাখনার সাথে মিশিয়ে নিন।
৫। প্যানে তেল গরম হয়ে গেলে এতে মুরগির পাখনাগুলো দিয়ে দিন।
৬। মুরগির পাখনাগুলো বাদামী রং হয়ে আসলে নামিয়ে ফেলুন।
৭। এবার সস তৈরি করার জন্য একটি পাত্রে তেল দিন।
৮। এরপর এতে আদা রসুন কুচি, পেঁয়াজ কলি কুচি, থাই রেড কারী পেস্ট এবং পানি দিয়ে নাড়ুন।
৯। তারপর এতে চিলি সস, ফিশ সস, টমেটো কেচাপ এবং পানি দিয়ে অল্প আঁচে রান্না করুন।
১০। ঘন হয়ে আসলে এতে চিকেন উইংসগুলো দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
১১।  এতে সিম, পেঁয়াজ কলি কুচি, পুদিনা পাতা কুচি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নাড়ুন।
১২। ধনেপাতা কুচি, পুদিনা পাতা কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চিকেন উইংস।

কেবল শীতে কেন, বসন্তেও খেয়ে দেখুন হাঁস!

ranna banna o beauty tips
হাঁসের মাংস 
আর কদিন বাদেই কাঠ ফাটা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠবে জীবন। তাই শীতে যদি হাঁস খাওয়া না হয়ে থাকে, এখনোই সময় হাঁসের মাংস চেখে দেখার।, রেসিপি দিচ্ছেন শারমিন হক।    
উপকরণ -  
  • রাজ হাঁসের মাংস ১ কেজি (পরিমানমত) 
  • পেঁয়াজ কুচি হাফ কাপ 
  • পেঁয়াজ বাটা ১ কাপ 
  • রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
  • আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
  • টমেটো পিউরি ২ কাপ
  • হলুদ গুঁড়ো ২ চা চামচ (ইচ্ছানুযায়ী বাড়াতে কমাতে পারেন)
  • মরিচ গুঁড়ো ৩ চা চামচ (ইচ্ছানুযায়ী বাড়াতে কমাতে পারেন)
  • ধনে গুঁড়ো ১ চা চামচ - জিরা গুঁড়ো ১চা চামচ
  • দারুচিনি ৩ টুকরা
  • এলাচ ৩ টুকরা
  • তেজপাতা ১টা
  • টমেটো কুচি ২ কাপ
  • লবণ (পরিমানমত)
  • কাচাঁ মরিচ ফালি ৪ টা
  • আস্ত কাচাঁ মরিচ ৮টা   


প্রস্তুত প্রনালী  
-একটা ডিসে কাচাঁ মরিচ বাদে সব মশলা দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে নিতে হবে। 
 -এবার ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে।  
-১৫ মিনিট পর প্রেশার কুকারে দিয়ে কষাতে হবে।কষানো হলে তাতে রাজ  হাসেঁর মাংশ দিয়ে আবার কষাতে হবে। 
-পানি কমে গেলে একটু পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন।কিছুক্ষণ পর ঢাকনা তুলে দেখুন। পানি কমে গেলে আবার পানি দিয়ে দিন।পানি কমে মাংস সিদ্ধ হলে তাতে আস্ত কাচাঁ মরিচ দিয়ে দিন।  ঝোল মাখা মাখা হলে ফালি করা কাচাঁ মরিচ দিয়ে নেড়ে নামিয়ে গরম ভাত বা পোলাওর সাথে পরিবেশন করুন।    

টিপস হাসেঁর মাংস একটু বেশি কষাতে হয়। সাথে মশলাটাও ভাল করে কষাবেন মাংশ দেয়ার আগে। হাসেঁর মাংশ যত কষাবেন তত মজা হবে। 

শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

পাঙ্গাস মাছ দিয়েই তৈরি করুন মজাদার ফিশ ফিঙ্গার

ranna banna o beauty tips
পাঙ্গাস মাছ দিয়েই তৈরি করুন মজাদার ফিশ ফিঙ্গার
চাষের পাঙ্গাস মাছটা খেতে চান না অনেকেই এর বাজে গন্ধের কারণে। কিন্তু এই চাষের পাঙ্গাস দিয়েই বানানো যায় দারুন মজার ফিঙ্গার। চলুন, আজ বীথি জগলুলের রেসিপি জেনে নেয়া যাক।

যা প্রয়োজনঃ
  • মাছের পেটি- ৫/৬ টুকরা
  • মাঝারি আলু-২টি
  • আদা বাটা- ২ চা চামচ
  • রসুন বাটা- ১ চা চামচ
  • জিরা বাটা- ১/২ চা চামচ
  • হলুদ গুঁড়া-- ১/২ চা চামচ
  • জিরা গুঁড়া-- ২ চা চামচ
  • গরম মসলা গুঁড়া- ১ চা চামচ
  • কাবাব মসলা- ১ চা চামচ
  • লেবুর রস- ১ চা চামচ
  • ধনেপাতা কুচি- ইচ্ছামতো
  • গোলমরিচ গুঁড়া- স্বাদমতো
  • লবণ- স্বাদমতো
  • ফেটানো ডিম- ১টি
  • ব্রেডক্রাম্বস/বিস্কিটের গুঁড়া- যা লাগে
  • তেল- ভাজার জন্যে

যেভাবে করবেন
-আদা-রসুন-জিরা বাটা, হলুদ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে মাছ ও আলু সেদ্ধ করে নিন। মাছের কাঁটা বেছে আলুর সাথে চটকে রাখুন। 
-এবার ব্রেডক্রাম্বস, ডিম ও তেল ছাড়া অন্য উপকরণগুলি মাছের সাথে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন। আঙুলের আকারে বানিয়ে নিন। 
-সব বানানো হলে ফেটানো ডিমে চুবিয়ে বিস্কিটের গুঁড়ায় গড়িয়ে নিন। মাঝারি আঁচে তেল গরম করে ডুবো তেলে সোনালি করে ভেজে নিন।
-গরম গরম পরিবেশন করুন সস দিয়ে অথবা পোলাও দিয়েও পরিবেশন করতে পারেন।


ভ্যালেন্টাইন’স ডে রেসিপি: প্যানা কোটা উইথ স্ট্রবেরি সস

ranna banna o beauty tips
প্যানা কোটা উইথ স্ট্রবেরি সস
ভ্যালেন্টাইন’স ডে আসছে। এই দিনে প্রিয়জনকে নানান রকমের উপহার দেই আমরা। ভাবুন তো, দোকান থেকে কিনে আনা উপহারের চাইতে নিজের হাতে তৈরি উপহার বেশি ভালোবাসা প্রকাহস ক্রএ, তাই না? সেই ভাবনা যদি আপনার মাঝেও থাকে, তবে আপনি তৈরি করে ফেলতে পারেন ভ্যালেন্টাইন’স ডে’র এই বিশেষ ডেজার্ট। সবচাইতে ভালো ব্যাপার হলো, এই ডেজার্ট তৈরিতে দরকার হবে না কোনো বেকিং। রেসিপি অনুসরণ করলে নিতান্ত আনাড়ি রাঁধুনিও এটি তৈরি করতে পারবেন। চলুন, দেখে নিই রেসিপিটি।
উদাহরণ

প্যানা কোটার জন্য
-   ১ টেবিল চামচ পানি
-   দেড় চা চামচ জেলাটিন
-   আধা কাপ ক্রিম
-   ৩ টেবিল চামচ ম্যাপল সিরাপ
-   ৩ টেবিল চামচ ক্যাস্টর সুগার
-   সিকি কাপ হোয়াইট চকলেট চিপস
-   ১ কাপ বাটারমিল্ক
স্ট্রবেরি সসের জন্য
-   ১২টা স্ট্রবেরি, টুকরো করে কাটা
-   ৪ টেবিল চামচ ক্যাস্টর সুগার
-   ১ চা চামচ লেবুর রস
-   ডেকোরেশন তৈরির জন্য কিছুটা চিনি
প্রণালী

১) পানিতে জেলাটিন ভিজিয়ে রাখুন।
২) একটা সসপ্যানে ক্রিম, ম্যাপল সিরাপ, ক্যাস্টর সুগার, হোয়াইট চকলেট চিপস দিয়ে দিন এবং কম আঁচে গরম করুন।
৩) একটা বিটার বা হুইস্ক দিয়ে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না চকলেট চিপস গলে মিশে যায়।
৪) এরপর ভেজানো জেলাটিন এতে দিয়ে দিন এবং আবারো নেড়ে মিশিয়ে নিন।
৫) বাটারমিল্ক দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
৬) এবার ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে মিশিয়ে নিন। ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন যাতে একদম মসৃণ একটা তরল পাওয়া যায়।
৭) ১৫ মিনিট বাইরে রেখে ঠাণ্ডা করুন। এরপর ১৫ মিনিটের জন্য ফ্রিজে ঠাণ্ডা হতে দিন।
৮) এবার স্ট্রবেরি সস তৈরির পালা। একটা গরম নন-স্টিক প্যানে স্ট্রবেরি এবং ক্যাস্টর সুগার দিয়ে দিন এবং নাড়তে থাকুন। এটা রান্না করতে থাকুন যতক্ষণ না চিনি গলে যায় এবং স্ট্রবেরি নরম হয়ে আসে। তবে চিনি যেন পুড়ে ক্যারামেলাইজড হয়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। এরপর লেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে নিন এবং নামিয়ে নিন।
৯) এবার ভ্যালেন্টাইন’স ডে এর জন্য কিছু ডেকোরেশন তৈরির পালা। চিনি গলিয়ে নিন একটা নন-স্টিক প্যানে। একটা ট্রে-তে বাটার পেপার নিয়ে তার ওপরে ডিজাইন করে ঢেলে নিন চিনি। এটাকে ঠাণ্ডা হতে দিন, ঠাণ্ডা হলে সেট হয়ে যাবে। সেট হয়ে গেলে কাগজটা উল্টে খুলে নিন ডেকোরেশনগুলো।
এবার প্যানা কোটার বাটিতে স্ট্রবেরি এবং ডেকোরেশন পিস দিয়ে সাজিয়ে নিন। পরিবেশন করুন স্ট্রবেরি সস দিয়ে।

রান্নার পুরো প্রণালীটি ভালভাবে দেখতে নীচের ভিডিও টি দেখতে পারেন 

নরম মোলায়েম অরেঞ্জ কেক

ranna banna o beauty tips
নরম মোলায়েম অরেঞ্জ কেক
একটু ভিন্ন স্বাদের কেক তৈরি করতে চান? দেখে নিন বীথি জগলুলের এই রেসিপিটি।

যা প্রয়োজন
ময়দা- ১ কাপ
বিপি- ১ চা চামচ
গুঁড়া দুধ- ১/২ কাপ
চিনি- ১/২ কাপ
চিনি গুঁড়া হলে- ১ কাপ
বাটার- ৫০ গ্রাম
ডিম- ২ টা
লিকুইড দুধ- ১ কাপ
অরেঞ্জ জুস- ১/২ কাপ
অরেঞ্জ জেস্ট- ১ চা চামচ
লেমন জুস- ১ চা চামচ

যেভাবে করবেন
-ডিমের কুসুম ও সাদা অংশ আলাদা করে নিন। সাদা অংশ ফোম করে নিন। 
-ময়দা, বিপি ও গুঁড়া দুধ একসাথে মিশিয়ে রাখুন। বাটার গলিয়ে নিয়ে তার সাথে চিনি বিট করে নিন। 
-মসৃণ করে বিট করা হলে একে একে কুসুম, ময়দার মিশ্রণ, অরেঞ্জ-লেমন জুস, যেস্ট ও লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি ভালো করে বিট করে নিন। 
-সবশেষে এই মিশ্রণের সাথে চামচ দিয়ে ফোল্ড করে করে ডিমের সাদা ফোম মিশিয়ে নিন। বেকিং ডিশে বাটার অথবা ঘি ব্রাশ করে ব্যাটার ঢেলে প্রি-হিটেড ওভেনে ১৬০ ডিগ্রি সে তাপমাত্রায় ৩০-৪০ মিনিট বেক করে নিন। 
-সময় শেষ হলে একটি কাঠি ঢুকিয়ে দেখে নিন কাঁচা রয়েছে কিনা। সেক্ষেত্রে সময় আর একটু বাড়িয়ে দেবেন। হয়ে গেলে কেক পুরোপুরি ঠান্ডা করে সারভিং ডিশে উল্টিয়ে বের করে নিন।
-ছুরি দিয়ে কেটে পরিবেশন করুন দারুন মজার অরেঞ্জ কেক।

ভাতের সাথে পেঁয়াজ কলি দিয়ে টমেটো ভুনা

ranna banna o beauty tips
ভাতের সাথে পেঁয়াজ কলি দিয়ে টমেটো ভুনা
বাজারে এখন মিলছে প্রচুর পরিমাণে টমেটো। এই টমেটো আমরা নানান তরকারির স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করি। কিন্তু চলুন, আজ জেনে নিই কেবল টমেটো দিয়েই একটি খাবার তৈরির রেসিপি। মজাদার রেসিপিটি দিচ্ছেন ইসরাত জাহান বিথী।

উপকরণ -
পাকা টমেটো -বড় ২/৩ টি (মোটা করে কুচি করা )
পেঁয়াজ কুচি - আধা কাপ
কাঁচা মরিচ ফালি করে কাটা -২-৩ টি
আস্ত জিরা - আধা চা চামচ থেকে একটু কম 
হলুদ গুঁড়ো - আধা চা চামচ 
মরিচ গুঁড়ো -১ চা চামচ (কম,বেশি দেয়া যাবে )
জিরা গুঁড়ো -আধা চা চামচ 
লবণ -স্বাদমত 
চিনি - ১ চিমটি 
তেল - ৪ টেবিল চামচ 
পিঁয়াজ কলি -আধা কাপ (১ ইঞ্চি লম্বা করে কাটা )
ধনে পাতা কুচি - ১ টেবিল চামচ

প্রণালী -
-কড়াইতে তেল দিয়ে গরম করে প্রথমে আস্ত জিরার ফোড়ন দিতে হবে। 
-তারপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজতে হবে। 
-পেঁয়াজ নরম হয়ে আসলে হলুদ, মরিচ, জিরার গুঁড়ো, লবণ ও অল্প পানি দিয়ে মশলা ভালো করে কষাতে হবে। 
-মশলা কষে তেল উপরে আসলে টমেটো কুচি দিয়ে ৪-৫ মিনিট ভাজতে হবে। তারপর অল্প আঁচে ঢেকে কিছুক্ষণ রান্না করতে হবে। 
-টমেটোর পানি শুকিয়ে,টমেটো প্রায় গলে আসলে, কাঁচা মরিচ ফালি, পিঁয়াজ পাতা ও চিনি দিয়ে আরো ২ মিনিট রান্না করতে হবে। 
-তেল উপরে উঠে আসলে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে ফেলত হবে। এই টমেটো ভুনা গরম ভাত ,পোলাও ও রুটির সাথে খেতে খুবই ভালো লাগে।


দারুণ সুস্বাদু খাবার মিটবল ইন নুডলস নেস্ট

ranna banna o beauty tips
মিটবল ইন নুডলস নেস্ট
সাধারণ মিটবল তো অনেক খাওয়া হলো। চলুন এবার নতুন কিছু করা যাক? রসালো মিটবলের সাথে ক্রিস্পি নুডলসের দারুণ এক সমন্বয় পাওয়া যাবে এই মিটবল ইন নুডলস নেস্ট খাবারটিতে। তৈরি করতে সময়টাও লাগবে অনেক কম। দেখে নিন রেসিপিটি।

উপকরণ

-   ১ কাপ মুরগীর মাংসের কিমা
-   ১ কাপ সেদ্ধ নুডলস
-   আধা চা চামচ শুকনো মরিচ
-   লবণ স্বাদমতো
-   ১ টেবিল চামচ+ ওপরে ছেটানোর জন্য কর্ন ফ্লাওয়ার
-   ২ টেবিল চামচ রসুন কুচি
-   ১ ইঞ্চি পরিমাণ আদা, কুচি করা
-   ২-৩টা টাটকা লাল মরিচ, কুচি করা
-   ১ টেবিল চামচ পিঁয়াজকলি কুচি
-   ২ টেবিল চামচ+ ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল
-   ১ ইঞ্চি সেলেরি কুচি করা
-   ১ টেবিল চামচ লাল মরিচ বাটা
-   ১ টেবিল চামচ টমেটো কেচাপ
-   আধা চা চামচ সয়াসস

প্রণালী

১) ওভেন ১৮০ ডিগ্রিতে প্রিহিট করে রাখুন।
২) একটা বোলে সেদ্ধ নুডলস নিন। এতে শুকনো মরিচ, লবণ এবং কর্ন ফ্লাওয়ার দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এক টেবিল চামচ তেল দিয়ে মিশিয়ে নিন।
৩) মাফিনের ছোট ছোট সিলিকন ছাঁচে আলাদা করে নিন নুডলস। মাঝখানে একটু করে গর্ত করে রাখুন। মাফিনের ছাঁচগুলো বেকিং ট্রেতে রেখে ওভেনে দিন এবং ১৫-২০ মিনিট বেক হতে দিন।
৪) কিমা, ১ টেবিল চামচ আদা, রসুন, মরিচের অর্ধেকটা এবং পিঁয়াজকলির অর্ধেকটা মিশিয়ে নিন একটা বোলে।
৫) কড়াইতে বেশি করে তেল গরম করে নিন।
৬) হাতের তালুতে অল্প করে তেল  মাখিয়ে নিন। এরপর কিমার মিশ্রণ থেকে ছোট ছোট বল গড়ে নিন।
৭) একটা পাত্রে অল্প করে কর্ন ফ্লাওয়ার নিয়ে লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিন। এতে মিটবলগুলোকে গড়িয়ে নিন। এরপর ডিপ ফ্রাই করে নিন। সোনালি হয়ে এলে উঠিয়ে তেল ঝরিয়ে নিন।
৮) আরেকটি কড়াইতে ১ টেবিল চামচ তেল গরম করে নিন এতে দিন বাকি রসুন, আদা, সেলেরি এবং মরিচ। এক মিনিট সাঁতলে নিন। এরপর মরিচ বাটা দিয়ে আরও এক মিনিট সাঁতলে নিন। এরপর টমেটো কেচাপ দিন। মিশিয়ে নিন এবং রাখুন ৩০ সেকেন্ড। কিছু পানি দিয়ে মিশিয়ে আরও ৩০ সেকেন্ড থাকুন। এরপর সয়াসস দিয়ে মিশিয়ে নিন। এরপর মিটবল দিয়ে রান্না করুন এক মিনিট।
৯) এ সময়ের মাঝে নুডলস নেস্ট হয়ে যাবে। এগুলোকে মাফিনের ছাঁচ থেকে ঠাণ্ডা করে খুলে নিন।
এবার পরিবেশনের পালা। প্লেটে একটা করে নুডলস নেস্ট রেখে তার মাঝে একটা করে মিটবল দিয়ে দিন। ওপরে পিঁয়াজকলি কুচি দিয়ে সার্ভ করুন গরম গরম!

রান্নার পুরো প্রণালী টি দেখতে নীচের ভিডিও টি দেখুন 

ভালোবাসা দিবসে তৈরি করুন মজাদার হার্টশেপ ভেজিটেবল কাটলেট

ranna banna o beauty tips
হার্টশেপ ভেজিটেবল কাটলেট
ভালোবাসা দিবসে প্রিয় মানুষটিকে চমকে দেবার জন্য  অনেক কিছুই রান্না করার পরিকল্পনা করেছেন নিশ্চয়ই। প্রিয় মানুষটির প্রিয় কোন মিষ্টি খাবার তো অবশ্যই রাঁধবেন। ঝাল কিছু কি রান্না করছেন এই দিবসে? হার্ট শেপ ভেজিটেবল কাটলেট তৈরি করতে পারেন ভালোবাসার দিনটিতে। প্রিয় মানুষটি যদি ঝাল খাবার খেতে পছন্দ করে, তবে অবশ্যই এই কাটলেটি পছন্দ করবেন।

উপকরণ:
২টি ছোট বিট
১ টি কাঁচা কলা
২-৩ টেবিলচামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার
৪-৫ টেবিলচামচ বাদামকুচি
১/৪ চাচামচ রসুনের পেস্ট
১ কাপ ব্রেড ক্রাম্বস
তেল
১/৪ চাচামচ গরম মশলা
২টি আলু
১ চাচামচ আদা রসুনের পেস্ট
৪ টেবিলচামচ নারকেল কুচি
লবণ স্বাদমত
ধনেপাতা কুচি
১/২ চাচামচ আমচূর পাউডার

প্রণালী:
১। প্রথমে আলু, বিট, কাঁচা কলা সিদ্ধ করে নিন।
২। এবার সিদ্ধ করা আলু, বিট, কাঁচা কলা ভাল করে ম্যাশ করে নিন।
৩। এবার এর সাথে মটরশুঁটি সিদ্ধ, বেবি কর্ণ সিদ্ধ, বাদামকুচি, নারকেল কুচি, ধনেপাতা কুচি, আদা মরিচের পেস্ট, রসুনের পেস্ট, গরম মশলা, আমচূর পাউডার এবং লবণ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৪। সবজি ভাল করে মেশানোর পর এতে কর্ণ ফ্লাওয়ার দিয়ে আরও ভাল করে মেশান।
৫। এবার হার্টশেপ কাটারে তেল লাগিয়ে নিন।
৬। সেখানে ম্যাশ করা সবজি দিয়ে দিন।
৭। হার্টশেপ হয়ে গেল কাটার থেকে সবজি নিয়ে ব্রেড ক্রাম্বস বা বিস্কুটের গুঁড়োতে গড়িয়ে গরম তেলে দিয়ে দিন।
৮। সস দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার হার্টশেপ ভেজিটেবল কাটলেট।

রান্নার পুরো প্রণালী টি ভালভাবে দেখতে নীচের ভিডিও টি দেখতে পারেন 

দুই রকম মাংসের মিশেলে রান্না করুন মজাদার বিরিয়ানি


দুই রকম মাংসের মিশেলে রান্না করুন মজাদার বিরিয়ানি
বিরিয়ানি তো কতই খাওয়া হয়, দুই রকম মাংসের মিশেল রান্না বিরিয়ানি খেয়েছেন কখনো?  একবার খেয়েই দেখুন, কখনো ভুলতে পারবেন না। জেনে নিন শারমিন হকের রেসিপিতে গরু ও মুরগির মাংস মিশিয়ে বিরিয়ানি রান্না করার প্রনালী।    
উপকরণঃ -  
-গরুর মাংস ১ কেজি ও মুরগির মাংস ১ কেজি 
- পোলাওর  বা বাসমতি চাউল ১ কেজি 
 - তেল পরিমাণ মত
 - পেঁয়াজ কুচি ৩ কাপ
 - টমেটো কুচি ২ কাপ 
- পেঁয়াজ বাটা ১কাপ
 - কাচাঁমরিচ ১৪/১৫টি 
- আলু বোখারা ৪/৫টি 
- দারুচিনি ,এলাচি,তেজপাতা 
 - বড় বড় করে কাটা আলু , 
- বিরিয়ানি মসলা ২ টেবিল চামচ 
- আদা বাটা ১ টেবিল চামচ  
- রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
 - ধনে গুঁড়ো ও জিরা গুঁড়ো, লাল মরিচ গুঁড়ো ২চাচামচ 
- এক কাপ ঘন দুধ ( পাউডার দুধ পানিতে গুলিয়ে নিতে পারেন )  
-এক কাপ টক দই  

প্রস্তুত প্রনালি : -
মাংস ধুয়ে নিন এবার প্রেশার কুকারে তেল দারুচিনি,এলাচ,তেজপাতা, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ ও পেঁয়াজ বাটা এক কাপ,টমেটো কুচি ,টক দই,আদা বাটা,রসুন বাটা, ধনে গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, লবণ,২ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো, বিরিয়ানি মশল্লা সব দিয়ে মাখিয়ে প্রেসার কুকারে রান্না করুন।  -এরপর আলু গুলো দিয়ে দিন।  -ঝোল মাখা মাখা হলে নামিয়ে রাখুন।  -এবার অন্য হাঁড়িতে তেল বাকি এককাপ পেঁয়াজ কুচি, দারুচিনি, এলাচ, তেজপাতা চাল দিয়ে ভাল করে ভেজে আদাবাটা ও রান্নাকরা মাংস ও বিরিয়ানি  মশলা মিশিয়ে পরিমাণ মত গরম পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন।  -পানি কমে এলে চুলার আচঁ কমিয়ে দিন কাচাঁ মরিচ, আলু বোখারা ও দুধ দিয়ে দিন। ঝরঝরে হয়ে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন গরু-মুরগির মিশেল বিরিয়ানি। 

বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

স্ট্রবেরি মুজ তৈরির সবচাইতে সহজ পদ্ধতিটি

ranna banna o beauty tips
স্ট্রবেরি মুজ তৈরির সবচাইতে সহজ পদ্ধতিটি
বাজারে উঠেছে স্ট্রবেরি আর এই টকমিষ্টি ফলটি দিয়ে বিভিন্ন রকমের ডেজার্ট তৈরি করা শুরু হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই। স্ট্রবেরির স্বাদটা ভালোভাবে পাওয়া যায় এবং একটা খাবার হলো স্ট্রবেরি মুজ। কিন্তু মুজ তৈরি কঠিন বলে অনেকেই ওমুখো হন না। চলুন, দেখে নেই মার্শম্যালো দিয়ে স্ট্রবেরি মুজ তৈরির ভীষণ সহজ আর ঝামেলামুক্ত একটি রেসিপি।
উপকরণ

-   ২৫০ গ্রাম স্ট্রবেরি
-   ১৫০ গ্রাম মার্শমেলো
-   ২৫ গ্রাম কাস্টার সুগার অথবা সাধারণ চিনি
-   ১০০ মিলি পানি
-   ২০০ মিলি ডাবল ক্রিম
প্রণালী

১) স্ট্রবেরিগুলোর বোঁটা ছাড়িয়ে ধুয়ে নিন। মার্শম্যালো বেশি বড় হলে কেটে ছোট টুকরো করে নিন।
২) মিডিয়াম হিটে একটা নন-স্টিক সসপ্যান চড়ান। এতে স্ট্রবেরি, পানি এবং চিনি দিয়ে দিন।
৩) ৩-৪ মিনিটের মাঝে স্ট্রবেরিগুলো নরম হতে শুরু করবে। জ্বাল বন্ধ করে চামচ দিয়ে পিষে নিন এগুলোকে।
৪) এরপর এর মাঝে দিয়ে দিন মার্শম্যালোগুলোকে। চামচ দিয়ে নাড়তে থাকুন, দেখবেন স্ট্রবেরির গরম এগুলো গলে যাচ্ছে। নেড়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। পুরোপুরি না গললে আরেকবার একটু চুলা জ্বালিয়ে গরম করে নিন কিন্তু অবশ্যই কয়েক সেকেন্ডের বেশি নয়। মার্শম্যালো গলে স্ট্রবেরির সাথে মিশে যাবে এবং সুন্দর একটা ক্রিম তৈরি হবে। এটাকে ঠাণ্ডা হতে দিন।
৫) এবার ডাবল ক্রিম হুইপ করার পালা। একটা বোলে ঢেলে নিন ২০০ মিলি ডাবল ক্রিম এবং একটা ইলেকট্রিক বিটার দিয়ে এটাকে হুইস্ক করুন যতক্ষণ না হুইপড ক্রিমের মতো নরম ও ফ্লাফি হয়।
৬) একটা বোলে ঢেলে নিন স্ট্রবেরি এবং মার্শম্যালোর মিশ্রণ। এবার এটাকে ফোল্ড করে মিশিয়ে নিন ডাবল ক্রিমের সাথে।
এবার এই মুজ আপনি ঢেলে নিতে পারেন পরিবেশনের গ্লাস অথবা বাটিতে এবং রেখে দিন ফ্রিজে। এটাকে অন্তত দুই ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন সেট হবার জন্য। এরপর বের করে ওপরে একটা করে স্ট্রবেরি দিয়ে পরিবেশন করুন স্ট্রবেরি মুজ।

রান্নার পুরো প্রণালী টি দেখতে নীচের ভিডিও টি দেখতে পারেন 

শীতের বিকেলে তৈরি করে ফেলুন মজাদার বাঁধাকপির রোল

ranna banna o beauty tips
মজাদার বাঁধাকপির রোল
শীতকালের জনপ্রিয় একটি সবজি হল বাঁধাকপি। এই বাঁধাকপি দিয়ে রোল কমবেশি সবাই তৈরি করে থাকে। হালকা শীতের বিকেলে বাঁধাকপির রোল খেতে দারুন লাগে। বাঁধাকপি রোল বিভিন্নভাবে তৈরি করা যায়। কিন্তু চিংড়ি এবং মুরগির মাংস দিয়ে বাঁধাকপি রোল কখনও তৈরি করেছেন কি? সঞ্জীব কাপুরের রেসিপিতে জেনে নিন চিংড়ি এবং মুরগির মাংস দিয়ে ভিন্নস্বাদের বাঁধাকপি রোল।
উপকরণ:

৮টি বাঁধাকপির পাতা
২০০ গ্রাম মুরগির মাংসের কিমা
২০০ গ্রাম চিংড়ির কিমা
২টি পেঁয়াজকলির কুচি
১/২ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো
লবণ স্বাদমত
২টি লাল শুকনো মরিচ
১/২ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
৪-৫ টি রসুনকুচি
১ টেবিল চামচ তেল
১টি পেঁয়াজ কলির সাদা অংশ
প্রণালী:

১। প্রথমে গরম পানিতে অল্প পরিমাণে লবণ দিয়ে সিদ্ধ করুন। এরপর এতে বাঁধাকপির পাতাগুলো দিয়ে দিন।
২। দুই তিন মিনিট সিদ্ধ করার পর পাতাগুলো পানি থেকে তুলে ফেলুন।
৩। এখন চিংড়ি, মুরগির মাংস, লাল মরিচ গুঁড়ো, লবণ, পেঁয়াজকলি কুচি, লাল শুকনো মরিচ, গোলমরিচ গুঁড়ো, রসুনের পেস্ট এবং তেল দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
৪। আপনি চাইলে চিংড়ির কিমা, মুরগির কিমার সাথে সবগুলো উপাদান হাত দিয়ে মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে লক্ষ্য রাখবেন খুব ভাল ভাবে উপাদানগুলো মিশিয়ে নিবেন।
৫। একটি বাঁধাকপির পাতায় দুই টেবিল চামচ কিমা দিয়ে দিন। তারপর এটিকে ভাঁজ করে পেঁচিয়ে নিন। এভাবে সবগুলো রোল তৈরি করে নিন।
৬। এখন স্টিমারে বাঁধাকপির রোলগুলো দিয়ে ১০ মিনিট সিদ্ধ করতে দিন।
৭। স্টিমারের পরিবর্তে একটি পাত্রে গরম পানি এবং তার মধ্যে একটি পাত্র দিয়ে তার মধ্যে বাঁধাকপির রোলগুলো দিয়ে সিদ্ধ করতে পারেন।
৮। এখন আরেকটি পাত্রে তেল দিয়ে তার মধ্যে রসুন কুচি, পেঁয়াজের সাদা অংশ কুচি, লাল শুকনো মরিচ কুচি দিয়ে দুই মিনিট নাড়ুন। এর মধ্যে লবণ এবং গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে আবার কিছুক্ষণ নাড়ুন।
৯। এর মধ্যে পেঁয়াজকলি এবং সামান্য পানি দিয়ে নাড়ুন।
১০। গরম গরম বাঁধাকপি রোলের সাথে পেঁয়াজকলি ভাজা দিয়ে পরিবেশন করুন।

রান্নার পুরো প্রণালী টি ভালভাবে দেখতে নীচের ভিডিও টি দেখতে পারেন 

জেনে নিন স্মুদি তৈরির ছোট্ট উপায়

ranna banna o beauty tips
জেনে নিন স্মুদি তৈরির ছোট্ট উপায়
স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট হিসেবে অনেকেই স্মুদি পছন্দ করেন। অন্যান্য পানীয়ের সাথে স্মুদির পার্থক্য হলো এতে সাধারণত চিনি থাকে না এবং থাকে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। এ কারণেই সাধারণ চিনিযুক্ত এবং আঁশ-ছাড়া জুস, কোক-পেপসির চাইতে অনেক স্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে স্মুদি। আজ দেখে নিন টাটকা ফল দিয়ে তৈরি দারুণ একটি স্মুদির রেসিপি। দারুণ মজার এই স্মুদি পেট ভরাও রাখবে বেশ কিছুক্ষণ।
উপকরণ

-   ২টি কলা, খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে নেওয়া
-   ৮/১০ টি স্ট্রবেরি, ভেতরের বীজ ছাড়ানো
-   সিকি কাপ ব্লু বেরি
-   ১ টেবিল চামচ মধু
-   ১ কাপ দই, ঠাণ্ডা
-   স্ট্রবেরি সস
-   সাজানোর জন্য কিছু স্ট্রবেরি এবং ব্লুবেরি
প্রণালী

১) একসাথে ব্লেন্ড করে নিন স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, কলা, মধু এবং দই। একদম মিহি না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। তৈরি হলো স্মুদি।
২) লম্বা গ্লাসে কিছুটা করে স্ট্রবেরি সস দিয়ে ডিজাইন করে দিন এবং ওপরে ঢেলে দিন স্মুদি।
৩) ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন। গার্নিশ করে দিন স্ট্রবেরি এবং ব্লুবেরি দিয়ে।

রান্নার পুরো প্রণালীটি ভালভাবে দেখতে নীচের ভিডিও টি দেখতে পারেন 

পেশওয়ারি নান

ranna banna o beauty tips
পেশওয়ারি নান
মুখরোচক এবং পেট ভরানোর মতো দারুণ একটা খাবার হলো নানরুটি। কিন্তু সাধারণ নান আর কতো? আজ দেখে নিন একদম শাহী ধাঁচের এক নানের রেসিপি। কোনো তরকারি বা ঝোল ছাড়াও এই নান খেতে লাগবে দারুণ। আর তৈরি করে ফেলতে পারবেন আপনার ওভেনেই! চলুন দেখে নেই রেসিপিটি।
উপকরণ

-   ৩ কাপ ময়দা
-   ১ চা চাম ইস্ট
-   ৩ চা চামচ ক্যাস্টর সুগার
-   ১ চা চামচ বেকিং পাউডার
-   ১ চা চামচ লবণ
-   ১ কাপ দুধ
-   ২ টেবিল চামচ মাখন+ ব্রাশ করার জন্য মাখন
-   সিকি কাপ পেস্তাবাদাম গুঁড়ো
-   সিকি কাপ সাদা তিল
-   সিকি কাপ পিঁয়াজের বীজ (কালঞ্জি)
-   সিকি কাপ মিষ্টিকুমড়ার বীজ
-   আধা কাপ মোজারেলা চিজ
প্রণালী

১) ওভেন ১৮০ ডিগ্রিতে প্রি-হিট করে নিন।
২) ময়দা, ইস্ট, লবণ, চিনি এবং বেকিং পাউডার একটা বোলে নিন। ভালো করে মিশিয়ে নিন এই শুকনো উপকরণগুলো। এর পর দুধ যোগ করে সুন্দর করে খামির তৈরি করুন। নরম একটা ডো তৈরি হলে ১৫ মিনিট রেখে দিন।
৩) ১৫ মিনিট পর ডোটাকে সমান আটভাগে ভাগ করে নিন এবং বল তৈরি করে নিন। প্রতিটা বল চ্যাপ্টা করে নিন। এরপর হাত দিয়ে টেনে টেনে তেকোনা একটা আকৃতি দিন।
৪) রুটিটার একপাশে মাখন ব্রাশ করে নিন। এর ওপর ছড়িয়ে দিন কিছু তিল, কালঞ্জি, পেস্তাবাদাম গুঁড়ো এবং মিষ্টিকুমড়ার বীজ।
৫) এবার রুটি বেলার বেলন দিয়ে রুটিটাকে বেলে নিন। এতে বীজগুলো রুটিতে আটকে যাবে। এরপর সবগুলো রুটি একটা বেকিং ট্রেতে রেখে ওভেনে দিন ৫-১০ মিনিটের জন্য।
৬) এই সময়ের মাঝে নান তৈরি হয়ে যাবে। বের করে ওপরে চিজ গ্রেট করে দিন। এরপর আবার বেকিং ট্রে-তে দিন যতক্ষণ না চিজ গলে যায়।
এবার ওভেন থেকে বের করে নিন নানগুলোকে। বাটার ব্রাশ করে দিন ওপরে। টুকরো করে কেটে পরিবেশন করুন গরম গরম।

রান্নার পুরো প্রণালীটি দেখতে নীচের ভিডিও টি দেখতে পারেন 

বিস্কুট দিয়ে তৈরি করে ফেলুন মজাদার চিজকেক

ranna banna o beauty tips
বিস্কুট দিয়ে তৈরি করে ফেলুন মজাদার চিজকেক
চিজ কেক নামটা শুনলে জিভে পানি চলে আসে! মজাদার এই কেকটি খেতে চাইলেও সবসময় খাওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না। কারণ সবসময় সব দোকানে এই কেক পাওয়া যায় না। কিছু কিছু বেকারিতে এই কেক কিনতে পাওয়া যায়। তাই যখন তখন খেতে ইচ্ছা করলেও চিজ কেক খাওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না। এখন আর চিজকেক তৈরি করা কঠিন কিছু না। খুব সহজে ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন মজাদার এই চিজকেক।
উপকরণ:

২৫০ গ্রাম বা ৯টি ডাইজেস্টিভ বিস্কুট
৬ টেবিল চামচ গলানো মাখন
২ পাউন্ড ক্রিম চিজ
১ কাপ টক ক্রিম
১ কাপ চিনি
১ চা চামচ ভ্যানিলা
৫টি ডিম
১ টেবিল চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার
এক চিমটি লবণ
১টি লেবুর খোসা
প্রণালী:

১। প্রথমে বিস্কুটগুলো ভেঙ্গে গুঁড়ো করে নিন। এবার এর সাথে গলানো মাখন মিশিয়ে নিন। বিস্কুটের গুঁড়ো এবং মাখন খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। সম্ভব হলে ফুড প্রসেসর বা ব্লেন্ডার ব্যবহার করুন।
২। এরপর এটি ওভেন ট্রেতে ঢেলে দিন। চামচের পিছনের অংশ দিয়ে সমান করে বিছিয়ে দিন।
৩। ৩৫০ ফারেনহাইট বা ১৮০ সেলসিয়াসে ওভেন প্রিহিট করুন। ওভেন ট্রেটি প্রি হিট ওভেনে ১৩-১৫ মিনিট ব্রেক করুন।
৪। এবার কেকটি বের করে ওভেনকে ৩০০ ফারেনহাইট বা ১৫০ সেলসিয়াসে প্রি হিট করতে দিন।
৫। এখন একটি পাত্রে ক্রিম চিজ নিয়ে বিটার দিয়ে বিট করে নিন। বিট ততক্ষণ করুন যতক্ষন না ক্রিম নরম হয়।
৬। এবার এর সাথে চিনি মিশিয়ে আবার বিট করুন।
৭। তারপর কর্ণ ফ্লাওয়ার, লবণ দিয়ে বিট করুন। এরপর এতে একটি একটি করে ডিম দিন এবং বিট করুন।
৮। লেবুর খোসা, ভ্যানিলা এসেন্স এবং সাওয়ার ক্রিম দিয়ে বিট করুন।
৯। এবার এটি বিস্কুট কেকের উপর দিয়ে দিন।
১০। ৩০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা ১৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস প্রিহিট করা ওভেনে ৪৫-৫৫ মিনিট ব্রেক করতে দিন।  
১১। রুম তাপমাত্রায় ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে দিন সারারাত।
১২। পছন্দের কোন ফল বা কিশমিশ দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চিজকেক।

রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

"ক্লিয়ার চিকেন সুপ উইথ ভেজিটেবলস"

ranna banna o beauty tips
"ক্লিয়ার চিকেন সুপ উইথ ভেজিটেবলস"
চাইনিজ রেস্তরাঁর স্যুপের বাইরে একেবারেই ভিন্ন কিছু খেতে চান? তাহলে আজ চেখে দেখুন সায়মা সুলতানার এই রেসিপিটি। যারা কিনা ডায়েট করছেন ওজন কমানর লক্ষ্যে, তাঁদের জন্যেও দারুণ হবে এই রেসিপিটি!

লা লাগবে 

  • চিকেন কিমা হাফ কাপ
  • চিকেন / ভেজিটেবল স্টক ২ কাপ
  • সিদ্ধ সবজি পছন্দ মত
  • রশুন কুচি
  • লেবুর রস ২ টেবিল চামচ
  • অল্প ধনিয়া পাতা কুচি
  • লেমন গ্রাস স্টিক ( থাই পাতা ) কয়েকটা
  • লবন স্বাদ মত
  • অল্প অলিভ অয়েল

প্রনালি

-এই সুপের এর প্রধান উপকরণ হল চিকেন / ভেজিটেবল স্টক।
-এর জন্য ৩ কাপ পানিতে ২ কাপ পরিমাণ মুরগির হাড্ডি (মাংস সহ নিতে পারেন, হাড্ডি গুলো একটু ছেঁচে দিবেন), পেঁয়াজ টুকরো,রশুন কয়েক কোয়া, আদা টুকরা আস্ত গোলমরিচ, অল্প লবণ দিয়ে কম আঁচে রান্না করুন।
-পানিটা ১ কাপ এর আরেকটু বেশি থাকা অবস্থায় নামিয়ে নিন।শুধু পানিটা ছেঁকে নিবেন । 
(বাকি বেঁচে যাওয়া মাংস দিয়ে আপনি অন্য যেকোনো নাস্তা যেমন চিকেন সমুচাতে অথবা নুডুলস এ দিতে পারেন।ভেজিটেবল স্টকও একই ভাবে বানাতে পারেন।)
-এবার একটা হাঁড়িতে অল্প তেল দিয়ে তাতে চিকেন কিমা দিন। নাড়াচাড়া করে রান্না করুন ৫ থেকে ৭ মিনিট।
- এবার ১ কাপ স্টক দিন।সাথে সিদ্ধ সবজি পছন্দ মত, রশুন কুচি,লেবুর রস,অল্প ধনিয়া পাতা কুচি,লেমন গ্রাস স্টিক ( থাই পাতা ) কয়েকটা,লবন স্বাদ মত দিয়ে ৫ মিনিট রান্না করুন। সুপ রেডি!
-নামিয়ে বাটিতে নিয়ে উপরে হালকা অলিভ অয়েল ছিটিয়ে দিন।উপরে ধনিয়া পাতা কুচি আর টালা গোল মরিচ দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন এই সুপ।

বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

মধুর যাদুকরী ৬ টি ব্যবহার

ranna banna o beauty tips
মধুর যাদুকরী ৬ টি ব্যবহার
মধু আমাদের অনেকেরই প্রিয় খাবার। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ এখন চিনির বদলে তাদের রোজকার খাবারে যোগ করছেন মধু। আমরা সাধারণত এক কাপ চায়ে বা গরম পানিতে এক চামচ মধু যোগ করে পান করি মেদ কমানোর জন্য। কিন্তু এটি ছাড়াও মধুর আছে আরো অনেক ব্যবহার। মধুর ঔষধি গুণ অনেক রোগের নিরাময় করতে সক্ষম। আসুন এমনই ১০ টি অজানা ব্যবহার জেনে নিই আজ।

ক্লিনজার হিসেবে

আপনি কি জানেন মধু একটি দারুণ ক্লিনজার? মধুর প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার করে, ব্যাক্টেরিয়া দূর করে। আবার ২ চামচ নারকেল তেলের সাথে ১ চামচ মধু মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন মানসম্পন্ন ফেসিয়াল স্ক্রাব। যা বাড়িয়ে দেবে আপনার ত্বকের সজীবতা।

এন্টিবায়োটিক

মধু শরীরে ব্যক্টেরিয়ার আক্রমণ প্রতিরোধ করে। গবেষণায় দেখা গেছে ক্ষতস্থানে মধু লাগালে তা এন্টিবায়োটিকের মতই ক্ষত সারায়। বাজারে মধু কেনার সময় এর রঙ এর দিকে খেয়াল করুন। মধু যত গাঢ় হবে তত তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকবে।

অনিদ্রা কাটাতে

যাদের অনিদ্রা সমস্যা রয়েছে তারা ঘুমাতে যাওয়ার আগে মধু খাওয়ার অভ্যাস করে দেখুন। গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। অথবা মধু উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এমন খাবারও খেতে পারেন। যেমন, ফালুদায় মধু ব্যবহার করলেন অথবা আইসক্রিমের উপর ১ লেয়ার মধু দিয়ে নিলেন। মধু থেকে নিঃসৃত চিনি মস্তিষ্ককে প্রশান্ত করে আপনার অনিদ্রা দূর করে দেবে।

অবাঞ্চিত দাগ দূর করতে

শরীরের অবাঞ্চিত দাগ দূর করতে মধু খুবই কার্যকরি। আমাদের শরীরে বিভিন্ন কাটা দাগ, পোড়া দাগ, মোটা শরীরের ফাটা দাগ থাকে। এই দাগ দূর করতে মধুর চেয়ে ভাল সমাধান আর নেই। ১ চামচ নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সাথে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে দাগের উপর নিয়মিত প্রলেপ দিন। ১ সপ্তাহেই ফলাফল দেখতে পাবেন।

মুখের দূর্গন্ধ দূর করতে

মধুর ব্যবহার আপনাকে দিতে পারে মুখের বিব্রতকর দূর্গন্ধ থেকে মুক্তি। বিভিন্ন কেমিক্যাল যুক্ত মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহার করেও হয়ত উপকার পাচ্ছেন না, কিন্তু টাকা নষ্ট হচ্ছে, একই সাথে মুখের মাড়ির, দাঁতের ক্ষতিও হচ্ছে। এর পরিবর্তে ১/৮ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো আর মধু গরম পানিতে মিশিয়ে নিয়মিত গার্গল করলে আপনি অচিরেই উপকার পাবেন।

ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে

শীতে আমাদের ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। ফেটে যায় কনুই, পায়ের গোড়ালি। এই সমস্যা দূর করতে প্রতি বছর আমরা দামী দামী লোশন, ময়েশ্চারাইজার কিনে অনেক টাকা ব্যয় করি। প্রাকৃতিক উপায়ে এর সমাধান করে মধু। গোসলের পর শুষ্ক ত্বকে মধু মেখে রাখুন। ১৫/২০ মিনিট পর গরম পানিতে টাওয়াল ভিজিয়ে মুছে ফেলুন। কয়েকদিন নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ত্বক আবার উজ্জ্বলতা ফিরে পাবে।
খাঁটি মধু পাওয়া খুব কঠিন। বাজারে যেসব মধু পাওয়া যায় তাতে প্রচুর পরিমাণে চিনি মিশ্রিত থাকে। সতর্কতার সাথে মধু কিনুন, ব্যবহার করে উপকৃত হোন।

টার্কিশ স্বাদের সুজির হালুয়া

ranna banna o beauty tips
টার্কিশ স্বাদের সুজির হালুয়া
সকালের নাস্তায় অনেকেই সুজি-রুটি খেয়ে থাকেন। সুজি এমন একটি খাবার যা রুটি, পরোটা, লুচি সবকিছুর সাথে খাওয়া যায়। সুজির হালুয়া অনেকের বেশ পছন্দের। এই সুজি দিয়ে তুরস্কে একটি মাজাদার খাবার তৈরি করা হয়, যার নাম সেমোলিনা হালুয়া। ঘরে থাকা উপকরণ দিয়ে সহজে তৈরি করা যায় ভিন্নদেশী এই খাবারটি। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সুজির এই ভিন্ন স্বাদের রেসিপিটি।
উপকরণ:


  • ১.৫ কাপ সুজি
  • ১.৫ কাপ চিনি
  • ২ কাপ দুধ
  • ২ টেবিল চামচ বাদাম কুচি
  • ২ টেবিল চামচ মাখন
  • ১/২ কাপ অলিভ অয়েল বা তেল বা ঘি

প্রণালী:

১। একটি পাত্রে তেল এবং মাখন দিয়ে চুলায় গরম করতে দিন।
২। এর মাঝে বাদাম কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজুন।
৩। এরপর এতে সুজি দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে সুজি নাড়তে থাকুন।
৪। সুজি বাদামী রং ধারণ করার আগ পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।
৫। এখন আরেকটি পাত্রে চিনি এবং দুধ ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৬। সুজি বাদামী রং হয়ে আসলে দুধ চিনির মিশ্রণ এতে দিয়ে দিন।
৭। এবার যতক্ষণ না সুজি দুধ সম্পূর্ণ শুষে না নেয় ততক্ষণ রান্না করুন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন।
৮। সুজি হয়ে গেলে বাদাম কুচি, কিশমিশ দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার সেমোলিনা হালুয়া।

আপনাদের বোঝার জন্য একটি ভিডিও দেওয়া হোল।


বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ছানা গাজরের সুস্বাদু হালুয়া

ranna banna o beauty tips
ছানা গাজরের সুস্বাদু হালুয়া
পুষ্টি সমৃদ্ধ রঙ বাহারি গাজর অনেকেরই প্রিয়। শুধু খাওয়া বা নানা রকম রান্নায় গাজরের ব্যবহার চলে। শুধু গাজরের হালুয়া খেতেও বেশ দারুণ। হালুয়ার স্বাদ বাড়াতে যদি ছানা যোগ করা হয় তবে আর কথায় থাকে না। সুস্বাদু এই হালুয়া তৈরি করতে পারেন আপনিও। আজ দেখে নেয়া যাক ছানা গাজরের সুস্বাদু হালুয়ার রেসিপি।

যা যা লাগবে

গাজর কুচি ১ কাপ, ছানা ১ কাপ, কনডেন্স মিল্ক ১ কাপ, চিনি আধা কাপ, কিশমিশ ১ টেবিল চামচ, রোস্টেড কাজু বাদাম গুঁড়া আধা কাপ, এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ, জাফরান ভেজানো পানি ১ টেবিল চামচ, গুঁড়া দুধ ১ কাপ, ঘি ১ কাপ, লিকুইড দুধ ১ কাপ।

যেভাবে করবেন

গাজর দুধ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এবার প্যানে ঘি দিয়ে গাজর দিতে হবে। এরপর এলাচ গুঁড়া ও কিশমিশ দিয়ে নাড়ুন। খেয়াল রাখতে হবে যেন পুড়ে না যায়। গাজর আধা ভাজা হয়ে গেলে ছানা এবং বাকি সব উপকরণ দিয়ে নাড়তে থাকুন। আঠালো হয়ে এলে একটি ডিশে ঘি মাখিয়ে মিশ্রণটি ঢেলে দিন। ঠাণ্ডা হলে ইচ্ছামতো সাজিয়ে বা কেটে পরিবেশন করুন ছানা গাজরের হালুয়া।

সহজ ৭টি কৌশলে ঠিক করে ফেলুন নষ্ট হয়ে যাওয়া মেকআপ

ranna banna o beauty tips
সহজ ৭টি কৌশলে ঠিক করে ফেলুন নষ্ট হয়ে যাওয়া মেকআপ
কোন দাওয়াতে যাবেন, হঠাৎ করে দেখলেন মুখটা তেলে চিটচিটে হয়ে গেছে কিংবা নখটা ভেঙ্গে গেল তখন কি করবেন? হাতে তো এত সময়ও নেই যে মুখে কোন প্যাক ব্যবহার করবেন। তাহলে উপায়? এইরকম সমস্যার সমাধান করে দিবে ছোট ছোট কিছু কৌশল। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু কৌশল।


১। তেল চিটচিটে ত্বকের জন্য

তৈলাক্ত ত্বকের সবচেয়ে বেশি এই সমস্যাটা হয়ে থাকে। একটি স্প্রে বোতলে গোলাপজল এবং স্কিন টোনার মিশিয়ে নিন। এটি মুখে স্প্রে করুন। তারপর একটি টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। দেখবেন ত্বক ফ্রেশ এবং ক্লিন হয়ে গেছে। তার সাথে মুখের তেল চিটচিটে ভাবও দূর হয়ে গেছে। সাদা ভিনেগার এবং পানি দিয়ে টোনার তৈরি করে নিতে পারেন।
২। ভাঙ্গা নখ

হঠাৎ করে নখ ভেঙ্গে গেলে নেইল ফাইল বা নেইল কাটারের পিছনের অংশ দিয়ে কিছুটা ঘষে নখ সমান করে নিন। খুব বেশি ভেঙ্গে গেলে হাতের বাকী নখগুলো এক সমান করে কেটে নিতে পারেন। এতে সবকয়টি নখ সমান দেখাবে।
৩। অতিরিক্ত পাউডারের ব্যবহার

আপনি যদি মুখে অতিরিক্ত পাউডার দিয়ে থাকেন, তবে মুখ ফ্ল্যাট দেখাবে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মুখে মেপআপ সেটিং স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। এটি অতিরিক্ত পাউডার শুষে নিয়ে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে তুলবে।
৪। ছড়িয়ে যাওয়া লিপস্টিক

লিপস্টিক লাগানোর পর অনেক সময় তা ছড়িয়ে ঠোঁটের চারপাশে লেগে যায়। একটি টিস্যু দিয়ে হালকা করে লিপস্টিক মুছে ফেলুন। ভাল হয় টিস্যুতে কিছুটা ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিলে। তারপর লিপস্টিক লেগে যাওয়া স্থানে কনসিলার লাগিয়ে নিন। দেখবেন আবার আগের মত হয়ে গেছে।
৫। এলোমেলো আগোছালো চুল

চুল যদি খুব বেশি এলোমেলো আগোছালো থাকে এবং চুল গোছানোর সময় না থাকে তবে সামনের চুলগুলো কিছুটা পাফ করে পিছনের চুলগুলো নিয়ে একটি পনিটেইল করে নিন। এলোমেলো চুলের সবচেয়ে সহজ সমাধান এটি।
৬। মুখের দুর্গন্ধ দূর

লেবুর রস এবং ১ টেবিল চামচ ভিনেগার ১ গ্লাস পানিতে মিশিয়ে নিন। এবার এটি দিয়ে কুলি করে ফেলুন। এটি মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করে এক নিমিষে মুখের দুর্গন্ধ দূর করে দিবে।
৭। মাশকারা সমস্যা
অনেক সময় চোখের পাঁপড়িতে মাশকারা দেওয়া সময় পাঁপড়িগুলো একটি আরেটির সাথে লেগে যায়। এই সমস্যা সমাধান করে দিবে একটি টুথপিক। টুথপিক দিয়ে চোখের পাঁপড়িগুলো প্রতিটি আলদা আলদা করে নিন। এতে আপনার মাশকরাও নষ্ট হবে না আবার চোখের পাঁপড়িগুলো আলাদা আলাদা হয়ে যাবে।
এছাড়াও আরও কিছু সমস্যা সচরাচর দেখতে পাওয়া যায়। অনেক সময় লিপস্টিক দাঁতে লেগে যায়। সেটা এড়ানোর জন্য লিপস্টিকের উপর হালকা করে পাউডার লাগিয়ে নিন। তারপর আবার লিপস্টিক লাগিয়ে ফেলুন। লিপস্টিক আর ছড়াবে না। মেকআপের সময় ত্বকে ফাউন্ডেশন বেশি পড়ে গেলে ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে চেপে দিন ত্বকের সাথে।

কনট্যুরিং মেকআপে বদলে ফেলুন আপনার চেহারা

ranna banna o beauty tips
কনট্যুরিং মেকআপে বদলে ফেলুন আপনার চেহারা
আজকাল সাজে মেকআপের একটি কৌশল ব্যবহার হতে দেখা যায়, সেটি হল ‘কনট্যুরিং’। ভরাট গালটা কেটে কিছুটা চ্যাপ্টা করে দেওয়া, কিন্তু নাকটা আরোও একটু খাড়া করে দেওয়া হল কনট্যুরিং এর কাজ। হলিউড, বলিউডের অনেক তারকাকেই কনট্যুরিং মেকআপ নিতে দেখা যায়। এর মঝে জনপ্রিয় হলিউড নায়িকা কিম কারদাশিয়ানও আছেন। নিত্যদিনের মেকআপে আপনার কনট্যুরিং করার প্রয়োজন নেই, কিন্তু পার্টি বা বিয়ের অনুষ্ঠানে করে নিতে পারেন এইরকম ভিন্নধর্মী মেকআপটি। সবসময় তো আর মেকআপ করার জন্য পার্লারে যাওয়া সম্ভব নয়। বাসায় নিজে করে নিতে পারেন কনট্যুরিং মেকআপ। এটি খুব বেশি কঠিন কাজ নয়। কিছু কৌশল জানা থাকলে আপনি নিজেই করে নিতে পারেন কনট্যুরিং মেকআপ। মুখের ধরণ অনুযায়ী কনট্যুরিং মেকআপে রয়েছে ভিন্নতা। মুখের ধরণ অনুযায়ী কেমন ধরণের কনট্যুরিং মেকআপ করবেন তা দেখে নিন ছোট এই ভিডিওতে।
যা যা লাগবে:

১টি লাইট ফাউন্ডেশন বা কনসিলার
১টি ডার্ক ফাউন্ডেশন বা কনসিলার
মিনারেল ব্রোঞ্জ পাউডার বা ব্রোঞ্জ ফেইস পাউডার বা ম্যাট পাউডার
মেকআপ ব্রাশ
মোটা ভালো মানের স্পঞ্জ বা বিউটি ব্লেন্ডার
যেভাবে করবেন:

১। প্রথমে মুখে ফাউন্ডেশন এবং কনসিলার দিয়ে বেস মেকআপ করে নিন।
২। এবার চিবুক, নাক, কপাল যেসব স্থানে কনট্যুর করতে চান সেখানে গাঢ় রঙের ফাউন্ডেশন বা কনসিলার দিয়ে দাগ দিন।
৩। এবার যেসব ব্রাশ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে দিন।
৪। তারপর মিনারেল ব্রোঞ্জ পাউডার স্পঞ্জ দিয়ে ভাল করে ত্বকে মিশিয়ে নিন।
৫।  ব্যস হয়ে গেল কনট্যুর মেকআপ সম্পূর্ণ। আপনি চাইলে কনট্যুরিং ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন।

ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করেই স্ট্রেইট করুন আপনার চুল

ranna banna o beauty tips
ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করেই স্ট্রেইট করুন আপনার চুল
বেশির ভাগ মানুষই সোজা বা স্ট্রেইট চুল পছন্দ করে কারণ সোজা চুলে যে কোন ধরণের হেয়ার স্টাইল ভালো লাগে। সবাই সোজা চুল নিয়ে জন্মগ্রহণ করেনা। একেক জনের চুলের ধরণ একেক রকম হয়। বর্তমানে স্ট্রেইট চুলের ট্রেন্ড চলছে। তাই চুল স্ট্রেইট করার জন্য অনেকেই অনেক ধরণের রাসায়নিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করেন। স্থায়ী ভাবে চুল সোজা করলেও সেটা এক বছর পর্যন্ত ঠিক থাকে। এক বছর পর চুলের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়, চুলের আগা ফেটে যায় ও শক্ত হয়ে যায়। কিন্তু আপনার রান্নাঘরেই এমন কিছু উপাদান আছে যা প্রাকৃতিকভাবে ও স্থায়ীভাবে আপনার চুলকে স্ট্রেইট করতে পারে। ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক উপাদান আপনার চুলের কোন ক্ষতি করেনা। তাই ঘরেই ঝলমলে, উজ্জ্বল, স্বাস্থ্যবান ও সোজা চুল পেতে তৈরি হয়ে যান, প্রচুর অর্থ খরচ করা ছাড়াই।
১। দুধ
দুধের প্রোটিন চুলকে মসৃণ ও সোজা করে এবং চুলের কোঁকড়ানো ভাব দূর করে। তাই সোজা চুল পেতে চাইলে দুধ দিয়ে চুল ভেজান এবং দুধে ভেজা চুল চিরুনি দিয়ে আঁচড়ান যাতে সব চুলে দুধ পৌঁছাতে পারে ও চুলকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে শক্তিশালী করতে পারে। আধাঘন্টা এভাবে রেখে দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ভাবে চুলে দুধ ব্যবহার ও সতর্কতার সাথে চুল আঁচড়ানোর ফলে পার্লারের মতই স্ট্রেইট চুল পাবেন।
২। কুসুম গরম তেল
মাথার তালুতে তেল ম্যাসাজ করলে রক্তনালীর মধ্য দিয়ে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। এতে চুলের মধ্য দিয়ে পুষ্টির প্রবাহও ঠিক ভাবে হয়। এর ফলে চুল চকচকে ও শক্তিশালী হয় এবং চুল জমাট বাঁধেনা। নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল গরম করে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করলে এই সুফলগুলো পাওয়া যায়। অলিভ অয়েল চুলকে আর্দ্রতা প্রদান করে ও এটি খুব ভালো কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত কুসুম গরম তেল মাথার তালুতে ম্যাসাজ করলে ও চুল আঁচড়ালে চুল সোজা হয়।
৩। লেবুর রস ও নারিকেলের দুধ
লেবুর রস ও নারিকেলের দুধ প্রাকৃতিক ভাবে চুল সোজা করার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। লেবুর রসের সাথে নারিকেলের দুধ মিশালে ক্রিম কন্ডিশনার তৈরি হয় যা চুলকে সোজা করতে সাহায্য করে।  লেবুর রসের সাথে নারিকেলের দুধ মিশিয়ে ক্রিম তৈরি করে চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে কয়েক মিনিট রেখে দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই দিন এই প্রক্রিয়াটির পুনরাবৃত্তি করুন। আপনি নিজেই পরিবর্তন লক্ষ করবেন।
৪। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার
সবচাইতে ক্ষমতাশালী চুল স্ট্রেইট করার উপাদান আছে আপেল সাইডার ভিনেগারে । চুলের স্বাভাবিক pH  স্তর পুনরুদ্ধার করার মাধ্যমে চুলকে স্ট্রেইট করে আপেল সাইডার ভিনেগার। এছাড়াও এটি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং মাথার তালুর ইনফেকশন দূর করে।
৫। দুধ ও মধু
ছাগলের দুধ চুল ও ত্বকের জন্য চমৎকার কাজ করে। ছাগলের দুধ পুষ্টিকর ও উপকারী উপাদানে ভরপুর। ছাগলের দুধের সাথে মধু মিশিয়ে চুলে লাগালে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং চুলকে উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় করার পাশাপাশি চুলকে সোজা করে।
৬। কাঠ বাদামের তেল
চুলের জন্য চমৎকার ভাবে কাজ করে কাঠ বাদামের তেল। এটি চুলকে শক্তিশালী, জড়তাহীন, মসৃণ ও উজ্জল করে। এতে প্রচুর ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। আপনার ব্যবহৃত কন্ডিশনারের সাথে ৩-৪ ফোঁটা কাঠ বাদামের তেল মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন। সপ্তাহে তিনদিন এটি ব্যবহার করলে আপনার চুল ঝলমলে ও স্ট্রেইট হবে।
৭। ডিম ও চালের গুঁড়ো
ডিমের সাদা অংশের সাথে চালের গুঁড়ো মিশিয়ে এর সাথে এক কাপ মুলতানি মাটি ভালো ভাবে মিশান। এই মাস্কটি চুলকে সোজা করে। মাস্কটি ভালোভাবে চুলে লাগিয়ে চুল আঁচড়ান ও এক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহের মধ্যেই পরিবর্তন লক্ষ করবেন।
এছাড়াও চুল সোজা করার জন্য আরো যে উপাদান গুলো কাজ করে সেগুলো হল- অ্যালোভেরা, কলা ও পেঁপের মাস্ক, মিল্ক হেয়ার স্প্রে যা ঘরেই তৈরি করা যায়, সয়াবিন তেল, ক্যাস্টর অয়েল, মুলতানি মাটি ইত্যাদি।     

এবার কাবাব হবে বেগুন দিয়েই!

ranna banna o beauty tips
এবার কাবাব হবে বেগুন দিয়েই!
বেগুন ভর্তা নাম শুনলে জিভে জল চলে আসে। খিচুড়ির সাথে বেগুন ভাজি হলে তো কোন কথাই নেই! এই বেগুন দিয়ে তৈরি করা যায় নানা মজাদার রান্না। ঠিক সেইরকমই একটি রান্না হল বেগুন কাবাব! নাম শুনে অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই তুরস্কে এই খাবারটি বেশ জনপ্রিয়। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বেগুন কাবাবের রেসিপি।
উপকরণ:
  • ৩টি বেগুন
  • ৪৫০ গ্রাম গরুর কিমা
  • ১টি পেঁয়াজ
  • ২ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
  • ২ চা চামচ লাল শুকনো মরিচ গুঁড়ো
  • ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
  • ১ টেবিল চামচ টমেটো পেস্ট
  • ২-৩ টমেটো
  • ৭টি রসুনের কোয়া
  • ৬টি গোলমরিচ

প্রণালী:
১। প্রথমে বেগুনকে গোল গোল করে কেটে ২ চা চামচ লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
২। তারপর একটি পাত্রে গরুর কিমা, পেঁয়াজ কুচি, লাল শুকনো মরিচের গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো, লবণ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৩। এরপর কাবাবের মত চ্যাপ্টা চ্যাপ্টা করে ৩০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন।
৪। এখন ওভেনের ট্রেতে দুটি বেগুনের মাঝে একটি কাবাব দিয়ে দিন। এভাবে সম্পূর্ণ ওভেন ট্রেটি ভরে ফেলুন।
৫। এখন কাবাব সস তৈরি করে নিন। টমেটোর পেস্ট, গোলমরিচ গুঁড়ো, লবণ এবং এক কাপ গরম পানি মিশিয়ে নিন। এর সাথে অলিভ অয়েল দিয়ে দিন।
৬। সম্পূর্ণ সসটি বেগুন এবং কাবাবের উপর ঢেলে দিন।
৭। টমেটো এবং ক্যাপসিকাম টুকরো করে কেটে কাবাবের পাশে দিয়ে দিন। চাইলে ফ্লেভারের জন্য কয়েক কোয়া রসুন দিয়ে দিন।
৮। ওভেনে ৪০০ ফারেনহাইট অথবা ২০০ সেলসিয়াসে প্রিহিট করে নিন। এতে ওভেন ট্রেটি ৪৫ মিনিট বেক করুন।
৯। ৪৫ মিনিট পর পেয়ে যান মজাদার বেগুন কাবাব।

সরিষা বাটায় "ভেজিটেবল চিকেন"

ranna banna o beauty tips
সরিষা বাটায় "ভেজিটেবল চিকেন"
একই ধাঁচের মুরগী রান্না আর ভালো লাগছে না? তাহলে আজ জেনে নিন শারমিন হকের একটি নতুন রেসিপি আর সবজির সাথে মিলিয়ে সরিষার স্বাদে রেঁধে ফেলুন মুরগী।  

 উপকরণ -  
মুরগির  মাংস ১ কেজি - তেল পরিমান মত - পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ  - পেঁয়াজ বাটা ১কাপ  - দারুচিনি ,এলাচি,তেজপাতা  - সরিষা বাটা ২চা চামচ - ছোট  আলু  ১০ টা - ফুলকপি ১ কাপ - ব্রকলি ১কাপ - বরবটি হাফ কাপ - পেঁয়াজ কলি হাফ কাপ - মটরশুঁটি হাফ কাপ  - আদা বাটা ১ টেবিল চামচ  - রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ - ধনে গুঁড়ো ও জিরা গুঁড়ো,  - হলুদ গুঁড়ো ২চা চামচ - লাল মরিচ গুঁড়ো ৩ চা চামচ - কাচাঁ মরিচ ৫টা - লবণ

প্রস্তুত প্রনালি  -
মাংস ধুয়ে নিন।  -এবার হাড়িতে  এ তেল দারুচিনি,এলাচ,তেজপাতা, পেঁয়াজ কুচি ২কাপ ও পেঁয়াজ বাটা এককাপ,আদা বাটা,রসুন বাটা,সরিষা বাটা, ধনে গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, লবণ, ২ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে কষিয়ে রান্না করুন।  -এরপর মাংসগুলো দিয়ে দিন। ভাল করে কষান। কষানো হলে পানি দিন ও সবজি গুলো দিন।  -সবজি সিদ্ধ হলে,ঝোল মাখা মাখা হলে কাচাঁ মরিচ দিয়ে নামিয়ে গরম গরম ভাত বা পোলাওর সাথে পরিবেশন করুন মজাদার সরিষার স্বাদে "চিকেন ভেজিটেবল"। 

মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ছোটমাছের চচ্চড়ি

ranna banna o beauty tips
ছোটমাছের চচ্চড়ি
উপকরণ:
ছোটমাছ ১৫০গ্রাম। পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল-চামচ। পেঁয়াজকুচি আধা কাপ। আদাবাটা আধা চা-চামচ। রসুনবাটা ১ চা-চামচ। হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ। মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ। ধনেগুঁড়া ১/৪ চা-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। তেল ১/৪ কাপ। কাঁচামরিচ ৪টি। ধনেপাতা ইচ্ছামতো। 

পদ্ধতি: 
মাছগুলো পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন।

কড়াইতে তেল গরম করে, পেঁয়াজকুচি দিয়ে বাদামি রং করে ভাজুন। এখন এতে অল্প গরম পানি সঙ্গে হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া ও ধনেগুঁড়া দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে কষাতে হবে।

কষে আসলে, পেঁয়াজবাটা, রসুনবাটা ও লবণ দিয়ে আরেকটু কষিয়ে মাছগুলো দিয়ে, হালকা করে নেড়ে দিন। প্রয়োজন না হলে পানি দেবেন না।

রান্না হয়ে গেলে, নামিয়ে উপর দিয়ে কাঁচামরিচ আর ধনেপাতা ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।

চালকুমড়ার দুই পদ

ranna banna o beauty tis
চালকুমড়ার দুই পদ
ইলিশ চালকুমড়ার ঝোল ও সর্ষে চালকুমড়ার ছেঁচকি।

ইলিশ চালকুমড়ার ঝোল

উপকরণ: 
ইলিশ মাছ ৫ টুকরা। চালকুমড়া ১টি। চালকুমড়ার লম্বালম্বি ৪ ভাগের দেড় ভাগ। পেঁয়াজ ১টি (বড় আকারের, মিহিকুচি করা। হলুদগুঁড়া দেড় চা-চামচ। মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ। ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ। কাঁচামরিচ ৩,৪টি(আস্ত)। লবণ স্বাদ মতো। তেল ৫ টেবিল-চামচ।

পদ্ধতি:
চালকুমড়া লম্বা ভাবে ফালি করে বীজের অংশ (বুক) ফেলে দিয়ে আড়াআড়ি ভাবে আধা ইঞ্চি পুরু করে কেটে নিতে হবে।
প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ দিয়ে তা সোনালি করে ভেজে তুলে রাখতে হবে। সেই তেলেই হলুদগুঁড়া, শুকনা-মরিচগুঁড়া আর লবণ দিয়ে নেড়েচেড়ে ইলিশের টুকরোগুলো ছেড়ে দিয়ে কষিয়ে নিয়ে তুলে রাখতে হবে।
এবার সেই মসলার মধ্যেই চালকুমড়ার টুকরাগুলো ছেড়ে দিয়ে কষিয়ে প্রয়োজন মতো গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
ভেজে রাখা পেঁয়াজ আর ধনেগুঁড়া একসঙ্গে পাতলা করে বেটে রাখতে হবে। চালকুমড়া সিদ্ধ হয়ে গেলে বেটে রাখা মসলা ও কাঁচামরিচ ফালি ছেড়ে দিয়ে তিন থেকে চার মিনিট রেখে নামিয়ে নিতে হবে।

সর্ষে চালকুমড়ার ছেঁচকি

উপকরণ: 
চালকুমড়া অর্ধেকটা। পেঁয়াজ ১টি। কালোসরিষা আধা চা-চামচ। হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ। মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ। রসুনবাটা ১/৪ চা-চামচ। আদাবাটা ১/৩ চা-চামচ। চিনি ১/৩ চা-চামচ। কাঁচামরিচ ৩,৪টি। লবণ স্বাদ মতো। সয়াবিন তেল ৩ টেবিল-চামচ। সরিষার তেল ২ চা-চামচ।


পদ্ধতি: 
ইলিশ চালকুমড়ার তরকারির মতো করেই চালকুমড়া কেটে নিতে হবে। তারপর পেঁয়াজ, সরিষা, আদা, রসুন, হলুদ, মরিচগুঁড়া একসঙ্গে বেটে নিতে হবে।
তারপর চালকুমড়ায় অল্প হলুদ আর লবণ মেখে প্যানে সবটুকু তেল গরম করে হালকা করে ভেঁজে তুলে রাখুন।
একই তেলে বেটে রাখা মসলা দিয়ে কষিয়ে তাতে ভেজে রাখা চালকুমড়া দিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট কষিয়ে প্রয়োজন মতো পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করতে হবে।
চালকুমড়া সিদ্ধ হয়ে গেলে আস্ত কাঁচামরিচ ও চিনি দিয়ে গামাখা ঝোলসহ নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।

মজার পানীয় দই শরবত

ranna banna o beauty tips
মজার পানীয় দই শরবত
গরমে ঠাণ্ডা পানীয়তে তৃষ্ণা মেটানোর মতো আরামদায়ক কিছু হতে পারে? অনেকে আবার শীতের ভেতরও ঠাণ্ডা পানীয় বেশ উপভোগ করেন। তাছাড়া অতিথি আপ্যায়নে পানীয়র জুড়ি নেই। তাও যদি হয় মজাদার দই শরবত তবে তো কথায় থাকে না। তাই চটজলদি শিখে নিন দই শরবত বানানোর সহজ রেসিপি।

যা যা লাগবে

মিষ্টি দই ১ কাপ, টক দই ১ কাপ, ঠাণ্ডা পানি ৩ কাপ, বরফ কুচি ১ কাপ, লবণ ১ চিমটি, বিট লবণ আধা চা-চামচ, লেবুপাতা ৫ থেকে ৬টি, পুদিনাপাতা ৭ থেকে ৮টি, সরষে গুঁড়া ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১টি, চিনি স্বাদমতো।

যেভাবে করবেন

সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। মিশ্রণটি পাতলা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। এবার সুদৃশ্য গ্লাসে ২ থেকে ৩ টুকরা বরফ ছড়িয়ে ওপর থেকে শরবত ঢেলে দিন। এবার পছন্দমতো সাজিয়ে পরিবেশন করলেই হল।

নিজেই তৈরি করুন চুলের কন্ডিশনার

ranna banna o beauty tips
নিজেই তৈরি করুন চুলের কন্ডিশনার
শীতের এই সময়টাতে সবাই কম বেশি চুলের খুশকি, চুল পড়া, ড্যামেজ হওয়ার মতো নানা সমস্যায় ভুগে থাকেন। চুলের ক্ষতিতে আপনিও থাকেন দারুণ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। মূলত আপনাকে সুন্দর দেখানোর বিষয়টি অনেকাংশেই নির্ভর করে সুন্দর চুলের ওপর।

তাইতো এমন সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ঘরোয়া উপায়ে ব্যবস্থা নিতে পারেন নিজে হাতে। ঘরোয়া উপায়ে তৈরি কন্ডিশনার আপনার ড্যামেজ চুলেকে মসৃণ আর ঝলমলে করে তুলতে পারে সহজেই। প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি কন্ডিশনারে নেই কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এছাড়া চুলের গোড়া থেকে পুষ্টি যুগিয়ে দূর করবে সমস্যা। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক।

রুক্ষ্ম চুলের জন্য

যা যা লাগবে

পাকা কলা ১টি, নারিকেল তেল ৪ টেবিল চামচ, মধু ৪ টেবিল চামচ, গ্লিসারিন ৪ টেবিল চামচ।

যেভাবে করবেন

সব উপকরণ এক সঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেণ্ড করুন। তারপর পরিষ্কার চুলে লাগিয়ে মাথায় শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে ফেলুন। আধা ঘণ্টা পর চুলের উপযোগী শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল নরম ও মোলায়েম হয়ে উঠেছে। শুষ্ক চুলের জন্য এই কন্ডিশনারটি খুবই উপকারী।

প্রাণহীন চুলের জন্য

যা যা লাগবে

পানি ১ কাপ, ডিমের কুসুম ১টি, নারিকেল তেল ১ চা চামচ।

যেভাবে করবেন

একটি বাটিতে ডিমের কুসুম নিয়ে খুব ভালো ভাবে ফেটিয়ে নিতে হবে। ফেনা হয়ে উঠলে নারিকেল তেল মিশিয়ে আরও কিছুক্ষণ ফেটাতে হবে। এবার মিশ্রণটির সঙ্গে পানি মিশিয়ে আবারও ফেটিয়ে নিন। এই কন্ডিশনারটি চুলে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে অপেক্ষা করতে হবে ৩০ মিনিটের মতো। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলের গোড়া মজবুত হওয়াসহ ঝলমলে চুল পাবেন।

চুলে ডিপ কন্ডিশনিং

মেয়োনিজ ১ কাপ, অলিভ অয়েল ২ টেবিল চামচ, বাদামের তেল ১ টেবিল চামচ নিতে হবে। এবার সবগুলো উপকরণ ভালো ভাবে মিশিয়ে মিশ্রণটিকে ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। আবারও ভালো করে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসেজ করে লাগিয়ে নিন। আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে নিন। ব্যাস পেয়ে যান মনের মতো সুন্দর চুল।

অনিদ্রা সমস্যায় ভুগছেন? প্রতিরাতে পান করুন এই জাদুকরী পানীয়টি

ranna banna o beauty tips
জাদুকরী পানীয়
সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে দেয় ভাল একদফা ঘুম। পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম শারীরিক-মানসিক অনেক সমস্যা দূর করে থাকে। সুস্থ থাকার প্রধান চাবিকাঠি ভাল ঘুম। কিন্তু ইদানিং অনিদ্রা খুব সাধারণ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে উচ্চ রক্তচাপ, হাইপারটেশন, হতাশা, হার্টের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। Institute of Medicine in America এর মতে ৫০ মিলিয়ন আমেরিকান ঘুমের অভাবে নানা শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে।  আর এই ভাল ঘুমের জন্য খাওয়া হয় কত না ঘুমের ওষুধ। ঘুমের ওষুধ সাময়িকভাবে আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করে থাকে। তবে খুব বেশিদিন ঘুমের ওষুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই পানীয়টি পান করুন আর দেখুন এর ম্যাজিক।
উপকরণ:

১টি কলা
১ লিটার পানি
এক চিমটি দারুচিনি
যেভাবে তৈরি করবেন:

১। পানির মধ্যে একটি কলা দিয়ে দিন। এবার সেটি সিদ্ধ করুন।
২। ১০ মিনিট সিদ্ধ করুন।
৩। এবার এটি মগে বা কাপে ঢেলে নিন।
৪। এর সাথে এক চিমটি দারুচিনি দিয়ে দিন।
৫। ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে এটি পান করুন।
যেভাবে কাজ করে:

কলা:

কলাতে ট্রিপটোফেন নামক এক প্রকারে অ্যামিনো অ্যাসিড আছে যা শরীরের সেরোটোনিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে থাকে। যা ঘুমকে নিয়মিত করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি আপনার মুড ঠিক রেখে খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি করে। কলাতে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মত নানা মিনারেল যা আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করে।
দারুচিনি:

দারুচিনির ফ্লেভার এবং সুগন্ধ আপনার শরীরকে রিল্যাক্স করে হজমে সহায়তা করে থাকে। যা আপনার চিন্তা দূর করে ঘুমাতে সাহায্য করে থাকবে।

জেনে নিন বেগুন ভর্তার একেবারেই নতুন একটি রেসিপি

ranna banna o beauty tips
জেনে নিন বেগুন ভর্তার একেবারেই নতুন একটি রেসিপি
ঝাল মশলায় চটপটে কিছু খেতে ভালোবাসেন? তাহলে ইসরাত জাহান বিথীর এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে খুব। চলুন, জেনে নিই গরম ভাতের সাথে একটি দারুণ ভর্তার রেসিপি। 
উপকরণ 
গোল বেগুন -বড় ১ টি  (লম্বা বেগুন দিয়েও করা যায়)
পিঁয়াজ কুচি -আধা কাপ 
রসুন মোটা করে  কুচি - ৪ টেবিল চামচ 
কাঁচা মরিচ ফালি করা -৪-৫ টি
রসুন বাটা - আধা চা চামচ 
হলুদ গুঁড়ো - আধা চামচ থেকে একটু কম
মরিচ গুঁড়ো -১ চা চামচ 
ধনিয়া গুঁড়ো -আধা চা চামচ 
লবণ -স্বাদমত 
আস্ত জিরা - ১ চিমটি 
কালো জিরা - ১ চিমটি 
ধনেপাতা কুচি -২ টেবিল চামচ 
সরিষার তেল  - ৪ টেবিল চামচ 

প্রণালী 
-প্রথমে বেগুন ধুয়ে নিয়ে ,বেগুনের গায়ে একটু তেল মাখিয়ে ,সরাসরি চুলাতে অথবা তাওয়াতে দিয়ে বেগুন পুড়ে নিতে হবে। এরপর ঠান্ডা করে বেগুনের পোড়া খোসা ফেলে দিয়ে হাত দিয়ে চটকে নিতে হবে। 
-কড়াইতে তেল গরম করে আস্ত জিরা ও কালোজিরার ফোড়ন দিতে হবে। তারপর পিঁয়াজ ও রসুন কুচি দিয়ে ভাজতে হবে। 
-পিঁয়াজ-রসুন কুচি নরম হয়ে আসলে অর্ধেক কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে আরো কিছুক্ষণ ভাজতে হবে।
-যখন পিঁয়াজ,রসুন ও কাচা মরিচ হালকা বাদামী হতে শুরু করবে ,তখন এর মধ্যে রসুন বাটা ,মরিচ,হলুদ,ধনিয়া লবন ও অল্প পানি দিয়ে মশলা খুব ভালো করে কষাতে হবে। 
-মশলা ভালো করে কষানো হলে চটকে রাখা বেগুন ও বাকি কাচা মরিচ ফালি দিয়ে নেড়ে চেড়ে ২-৩ মিনিট রান্না করতে হবে। 
-বেগুন ভর্তা ভাজা ভাজা হয়ে তেল উপরে উঠলে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে ফেলতে হবে। 
-এই ভর্তা গরম ভাত ,পোলাউ,রুটি এমনকি পরোটার সাথে খাওয়া যায়। 

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.