বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫

নতুন বছরের আয়োজনে সুস্বাদু স্ট্রবেরি ক্ষীর

ranna banna o beauty tips
নতুন বছরের আয়োজনে সুস্বাদু স্ট্রবেরি ক্ষীর
বর্তমান সময়ে স্ট্রবেরি ফলটি প্রায় সব ফলের দোকানে পাওয়া যায়। শুধু ফলের দোকান নয় রাস্তার পাশে ঝুড়িতেও আজকাল স্ট্রবেরি বিক্রি করতে দেখা যায়। এই ফলটি দিয়ে মজাদার সব খাবার তৈরি করা যায় সহজেই। দোকানে গেলে দেখতে পাওয়া যায় স্ট্রবেরি কেক, স্ট্রবেরি আইসক্রিম আরও কত কি। ক্ষীর সবাই রান্না করে থাকেন। কিন্তু স্ট্রবেরি ক্ষীর কি তৈরি করছেন কখনও? স্ট্রবেরি ফল দিয়ে নতুন বছরের পার্টির জন্য তৈরি করে ফেলুন স্ট্রবেরি ক্ষীর। 

উপকরণ:

১/২ কাপ স্ট্রবেরি কুচি

১/২ কাপ স্ট্রবেরি পিউরি

২ টেবিল চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার

১ টেবিল চামচ ঠান্ডা দুধ

৩ কাপ ফুল ফ্যাট মিল্ক

১/২ কাপ চিনি

১ চিমটি এলাচি গুঁড়ো

প্রণালী:

১। প্রথমে উচ্চ তাপে দুধ জ্বাল দিয়ে দিন। দুধ বলক হয়ে উঠলে চুলা কমিয়ে দিন।

২। তারপর চুলা অল্প আঁচে দিয়ে দুধ ৫ থেকে ৬ মিনিট জ্বাল দিন। জ্বাল দেওয়ার সময় নাড়তে থাকুন।

৩। এখন কর্ণ ফ্লাওয়ার এবং দুধ মিশিয়ে নিন।

৪। জ্বাল দেওয়া দুধের সাথে কর্ণ ফ্লাওয়ার, চিনি মিশিয়ে অল্প আঁচে ৭ থেকে ৮ মিনিট রান্না করুন। 

৫। এলাচ গুঁড়ো দিয়ে আরও কিছু মাঝারি আঁচে রান্না করুন।

৬। চুলা বন্ধ করে দিন।

৭। এরপর এতে স্ট্রবেরি পিউরি এবং স্ট্রবেরি কুচি মিশিয়ে নিন।

৮। ঠান্ডা হয়ে গেলে আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা ফ্রিজে রাখুন।

৯। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল মজাদার স্ট্রবেরি ক্ষীর।

ঘরেই তৈরি করুন মজাদার মার্শম্যালো

ranna banna o beauty tips
মজাদার মার্শম্যালো
বাচ্চারা এই খাবারটি ভীষণ পছন্দ করে। শুধুই কি বাচ্চারা? বড়রাও কিন্তু ভীষণ খেতে ভালোবাসেন এই মার্শম্যালো নামের খাবারটি। নানান রকমের মিষ্টি আইটেম সাজাতেও কাজে লাগে বেশ। চলুন, আজ জেনে নিই ঘরেই মার্শম্যালো তৈরির রেসিপি। আর রেসিপিটি দিচ্ছেন শারমিন খান জিন্নাত।

উপকরণ

৩/৪ কাপ গরম পানি (জেলেটিন গলানোর জন্য)

২ টেবিল চামচ আনফ্লেভারড জিলেটিন

৩/৪ পানি

২ কাপ আইসিং সুগার

১/৩ কাপ কর্ণ ফ্লাওয়ার

১ কাপ কর্ণ সিরাপ/ গ্লুকোজ সিরাপ

১ চা চামচ ভ্যানিলা

১/৩ চামচ লবণ

 প্রনালি

    -৩/৪ কাপ গরম পানিতে জিলেটিন দিয়ে গুলিয়ে নিন।
    -এবার একটা প্যান চুলায় দিয়ে তাতে ৩/৪ পানি ,২ কাপ আইসিং সুগার,১ কাপ কর্ণ সিরাপ/গ্লুকোজ সিরাপ,১ চা চামচ ভ্যানিলা ,১/৩ চামচ লবণ দিয়ে ১ মিনিট বেশি জ্বালে রান্না করুন।
    -যখন ফেনা ফেনা হয়ে যাবে তখন নামিয়ে নিন।
    -ইলেকট্রিক বিটারে জিলেটিন দিন এবং গরম রান্না করা সিরাপ ঢেলে দিয়ে হাই স্পীডে বিট করে নিন। সাদা ক্রিমের মতো হলে একটা ওয়াক্স পেপারে তেল লাগিয়ে একটা কাঁচের ডিসের মাঝে দিয়ে তাতে বিট করা ক্রিমটা ঢেলে দিন।
    -অন্য আর একটা পেপার তার উপর দিয়ে হালকা করে চেপে ছড়িয়ে দিয়ে ৬ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন।
    -তারপর বের করে আইসিং সুগার আর কর্ণ ফ্লাওয়ার মিক্স করে কাটারের উপর ছড়িয়ে দিন।
    -জমে যাওয়া মার্শম্যালো ডিস থেকে বের করে কাটারের উপর রেখে ছুরি দিয়ে ১/২ ইঞ্চি বা ১ ইঞ্চি শেপে কেটে নিন। (চাইলে বিট করা মার্শম্যালোতে ইচ্ছেমত ফুড কালার মেশাতে পারেন) ।

গরম ভাতের সাথে মজাদার সর্ষে ফুলের বড়া

ranna banna o beauty tips
সর্ষে ফুলের বড়া
কুমড়ো ফুলের বড়া তো অনেক খেয়েছেন, সর্ষে ফুলে বড়া কি খেয়েছেন কখনো? শীতের এই সময়ে সর্ষে ফুলে ছেয়ে গিয়েছে গ্রাম বাংলার মাঠ। চলুন তাহলে, আজ বীথি জগলুলের হেঁসেল থেকে জেনে নিই সর্ষে ফুলের বড়ার রেসিপি। গরম গরম ভাতের সাথে জমবে দারুণ।






যা প্রয়োজন

সর্ষে ফুল কুচি- ২ কাপ

পিঁয়াজ কুচি- ৪-৫ টে চামচ

কাঁচামরিচ কুচি- ৪-৫টি

আদা/রসুন বাটা-- ১ চা চামচ করে

হলুদ/মরিচ গুঁড়া-- ১/২ চা চামচ করে

জিরা গুঁড়া-- ১ চা চামচ

চালের গুঁড়া-- ৩ মুঠি

সরিষার তেল-- ভাজার জন্যে

লবণ-- স্বাদমতো



যেভাবে করবেন

    -সব উপকরণ একসাথে মেখে সরিষার তেলে শ্যালো ফ্রাই করে নিন।
    -মৃদু আঁচে দুইপাশ গোল্ডেন হলে নামিয়ে নিন।
    -গরম গরম পরিবেশন করুন গরম ভাতের সাথে। পাকোড়া হিসাবে সস দিয়েও পরিবেশন করতে পারেন।

সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

চুলের রঙে চেহারায় পান নতুনত্ব

Ranna banna o beauty tips
চুলের রঙে চেহারায় পান নতুনত্ব
নিজের চেহারায় নতুনত্ব চান। কিন্তু উপায় কি? সবচেয়ে সহজ উপায় হতে পারে আপনার চুলের স্টাইল বদলে নেয়া। মাথার চুলকে কেটেছেঁটে নতুন ডিজাইন আর সঙ্গে থাকুক নানা ঢঙে চুলের রঙ। ব্যস, চেহারায় পেয়ে যান পরিবর্তনের ছোঁয়া। তবে তার আগে জেনে নেয়া দরকার হালের ফ্যাশনে চুলের রঙের ধরনটা কেমন চলছে?

হুট করেই চুলের রঙ পরিবর্তন না করিয়ে বরং আগে থেকে পরিকল্পনা করে নিন। চুলের রঙ আপনার শরীরের রঙের সঙ্গে না মিললে তা দেখতে বাজে দেখাবে। অনেক সময় সঠিক চুলের রঙ বাছাইয়ের অভাবে শরীরে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। রঙ করানোর পর চুল রুক্ষ্ম, অমসৃণ হয়ে যাওয়া, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চুল পড়া ইত্যাদি হতে পারে। সে কারণে চুলের একটু বাড়তি যত্ন নেয়া প্রয়োজন। তাই রঙ বাছাইয়ে ভালো ব্র্যান্ডকে প্রাধান্য দিতে হবে। এছাড়াও চুলের যত্নে একটু সময় ব্যয় করার মানসিকতা রাখতে পারলে তবেই চুলে রঙ করানোর সিদ্ধান্ত নিন।

অস্কার ব্লান্ডি স্যালনের শীর্ষ চুলের রং বিশেষজ্ঞ কাইল হোয়াইটের মতে, বর্তমানে চুলের রঙের ট্রেন্ড হলো স্বর্ণরঙা প্লাটিনাম। সঙ্গে বেছে নিতে পারেন ক্যারামেল রঙ। এছাড়াও ওমব্রেটাও কিন্তু বেশ চলছে। অর্থাৎ কাছাকাছি রঙের দুই রকম শেডের ব্যবহারও আপনি করতে পারেন।
আপনার চোখ ও ত্বকের বর্ণ যদি সোনালি, বাদামি বা হলুদ হয়, তাহলে চুলের রঙ লালচে, বাদামি, মেহগনি, সোনালি ইত্যাদি হওয়া উচিৎ। চোখ ও ত্বকের রঙ গোলাপি ধরনের হলে ধূসর বা প্লাটিনামের শেডগুলো, বেশ মানিয়ে যাবে। আমাদের দেশের মানুষের ত্বকের রঙ অনুযায়ী চুলের রঙ কখনোই একেবারে সাদা বা ধূসর হওয়া উচিৎ নয়। তাই এমন কোনো রঙ পছন্দ করতে হবে, যাতে ত্বকের রঙের সঙ্গে চুলের রঙের সুন্দর একটা মিশ্রণ থাকে।

বাড়িতে বসেই যেকোনো এক রঙে পুরো চুল রাঙানো বা হালকা হাইলাইট করা সম্ভব। বাড়িতে যারা চুল রঙ করতে চান, তারা প্যাকেটে প্রস্তুত রঙের নির্দেশনা অনুসরন করতে পারেন। বাড়িতে চুল রঙ করার সময় খেয়াল রাখবেন, যাতে চুলের গোড়ায় সেটা বেশি না লাগে। মাথার ত্বকে রঙ লাগলে চুল পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। যদি কয়েক রঙের শেড চান অথবা ওমব্রে করাতে চান, তাহলে পেশাদার কারও সাহায্য নেয়া ভালো।

চুল রঙ করানোর পর অন্তত এক দিন অপেক্ষা করুন। প্রথম কয়েক দিন চুলে ফ্ল্যাট-আয়রন ব্যবহার করুন, এতে চুলের রঙ দীর্ঘস্থায়ী হবে। অবশ্যই কোমল কোনো শ্যাম্পু অথবা রঙ করা চুলের জন্য বিশেষভাবে তৈরি শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুলের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে ঠাণ্ডা পানিতে চুল ধোয়া সবচেয়ে উত্তম।


সবজির মাংস!

ranna banna o beauty tips
সবজির মাংস!
বাঙালির খাদ্যাভ্যাসে ‘কমন’ হলেও শহরে টাটকা শাক-সবজি পাওয়া দুষ্কর। তাই খাবারের তালিকায় বেশ ওপরেই থাকে মাংস, বিশেষ করে ব্রয়লার মাংস। কিন্তু চিকিৎসকের বিধি-নিষেধে সাধ তুলে রাখতে হয় অনেকের। তবে এবার পরিবর্তন আনতে পারেন খাবারে। অনায়াসেই খেতে পারেন মাংস। কেননা মাংস তৈরিই হচ্ছে শাক-সবজি থেকে।

ভাবছেন গুল মারছি? একেবারেই না। সত্যি সত্যি শাকসবজি থেকে তৈরি হচ্ছে নকল মাংস বিয়ন্ড মিট। আর এ মাংস খেতে অবিকল চিকেনের মতোই।

এমনকি মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসও বিয়ন্ড মিটসের নকল মাংস খেয়ে বুঝতেই পারেননি। এর স্বাদ, টেক্সচার অবিকল চিকেনের মতো বলেই জানিয়েছেন তিনি। ভবিষ্যত্‍ পৃথিবীর খাদ্য বিয়ন্ড মিট যোগাতে চলেছেও বলে মনে করছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনাঢ্য এই ব্যক্তি।
ইথান ব্রাউন

বিয়ন্ড মিটের চিন্তা প্রথম মাথায় ইথান ব্রাউনের। এই স্টার্টআপের সিইও তিনি। নিজের এই প্রযুক্তির পেটেন্ট নিয়েছেন ইথান ব্রাউন। এই নকল মাংস সাধারণ মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠলে প্রাণী হত্যা অনেক কমে যাবে বলেও মনে করছেন তিনি।

ইথান ব্রাউনের মতে, মাংসের জন্য পশুখামারের পেছনে প্রচুর খরচ করতে হয়। একটি প্রাণী থেকে এক পাউন্ড মাংস পেতে যে পরিমাণ জমি, শক্তি ও জন ব্যবহার করতে হয়, তা বিশাল। একটি প্রাণীর শরীরের মাত্র ৩০ শতাংশ মাংস আমরা খাই। বাকি পুরোটাই নষ্ট হয়। শক-সবজি থেকে প্রস্তুত নকল মাংস খেলে প্রচুর টাকা ও সময় বাঁচবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নিরামিষ খাওয়া মানুষের শরীরের পক্ষে সবচেয়ে ভালো বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররাও। নকল মাংস খেলে স্বাদের সঙ্গে সমঝোতা না করেই স্বাস্থ্য রক্ষা সম্ভব। ইথান ব্রাউন জানিয়েছেন যে মাংস শুধুমাত্র অ্যামিনো অ্যাসিড, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, খনিজ পদার্থ ও জলের সংমিশ্রণ। এই সব জিনিস যে সব গাছে থাকে, তা সংগ্রহ করে সেখানে মাংসের স্বাদ, টেক্সচার ও পুষ্টি কৃত্রিম ভাবে যোগ করেছেন তিনি।

খেজুর গুড়ের মজার পায়েস

ranna banna o beauty tips
খেজুর গুড়ের মজার পায়েস
শীতের এই সময়টাতে পাওয়া যাচ্ছে সুগন্ধি খেজুর গুড়। বাঙালিয়ানা খাবার রীতিতে নতুন খেজুর গুড়ের পায়েস একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। নিজেদের খাওয়ার সঙ্গে অতিথি আপ্যায়নে এই পায়েসের জুড়ি নেই। খেজুর গুড়ের এই পায়েসের স্বাদ অন্য কোনো খাবারে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই সে স্বাদ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতে রাজি নয় কেউ। খুব ঘন ঘন খাওয়া না হলেও প্রতিটি বাঙালি পরিবারে বছরে অন্তত একবার খাওয়া চাই-ই। প্রায় সবাই রান্না করতে পারেন খেজুর গুড়ের পায়েস। কিন্তু পায়েসকে আরও বেশি মজাদার করতে জানা দরকার সামান্য কিছু কৌশল। তাই দেখে নিতে পারেন এক নজরে..

যা যা লাগবে

পোলাও চাল ৫০০ গ্রাম, খেজুরের গুড় স্বাদমতো, দুধ ৪ লিটার, এলাচ ৪টি, দারুচিনি ৪ টুকরা, তেজপাতা ২টি, বাদাম-কিশমিশ পছন্দমত।

যেভাবে করবেন

প্রথমে চাল ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। দুধ আর গুড় একটি পাত্রে ঘন করে  জ্বাল দিয়ে নিন। এবার আলাদা পাত্রে চাল ফুটিয়ে দুধ-গুড়ের পাত্রে ঢেলে দিতে হবে। ফুটে ওঠা পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। এবার তাতে এলাচ, দারুচিনি ও তেজপাতা দিয়ে আবারও আস্তে আস্তে নাড়তে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন পাতিলের নিচে পায়েস পুড়ে লেগে না যায়। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে বাদাম-কিশমিশ দিয়ে পছন্দমত সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার খেজুর গুড়ের পায়েস।

রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৫

সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর বিট রুটের টিক্কি

ranna banna o beauty tips
সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর বিট রুটের টিক্কি
সবজি হিসাবে বিট দারুণ স্বাস্থ্যকর হলেও অনেকেই এই সবজিটি খেতে চান না একেবারেই। কেন? কারণ আসলে ঠিক মত রান্না করতে না পারলে বিট খেতে ততটা ভালো লাগে না। চলুন, আজ জেনে নিই নাদিয়া নাতাশার চমৎকার একটি রেসিপি। বিট খেতে এত সুস্বাদু আগে কখনো লাগেনি আপনার!

উপকরণ:
বিট রুট মিহি কুচি ১ কাপ
রোষ্টেট পিনাট ১/২কাপ
আলু সেদ্ধ ১কাপ
পেঁয়াজ কুচি ১/২ কাপ
কাচামরিচ কুচি ৩/৪ টা
লেবুর রস ২/৩ চা চামচ
ধনে পাতা কুচি ২ চা চামচ
আদা বাটা ১/২ চা চামচ
রসুন বাটা ১/২চা চামচ
জিরা গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
গোল মরিচ গুঁড়ো সামান্য
লবণ পরিমান মত
ব্রেড ক্রামব ১ কাপ
ময়দা ১/২ কাপ
পানি ১/২ কাপ
তেল ভাজার জন্য

প্রনালি:

    -বিট রুট কুচি সামান্য লবণ মিশিয়ে রাখুন আধা ঘন্টা।
    -আধা ঘন্টা পর ভালভাবে চেপে রস নিংড়ে নিন।
    -এবার সব মসলা আলু বাদাম পেঁয়াজ কুচি কাঁচামরিচ কুচি ধনে পাতা দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে টিক্কির আকার দিন।
    -ময়দা আর পানি গুলিয়ে পাতলা মিশ্রন তৈরি করুন।
    -এবার টিক্কি ময়দায় চুবিয়ে ব্রেড ক্রামে গড়িয়ে নিন। নরমাল ফ্রিজে রাখুন ১ ঘন্টার জন্য। এবার ডুবো তেলে ভাজুন আর গরম গরম সার্ভ করুন।

ভিন্ন রকম রেসিপি "বিজয় পরোটা"

ranna banna o beauty tips
 "বিজয় পরোটা"
চলে এসেছে আমাদের সবচাইতে আনন্দের উৎসব "বিজয় দিবস"। বিশেষ এই দিনের আনন্দে স্মরণীয় কিছু তৈরি করতে চান? বীথি জগলুলের দারুণ রেসিপিতে তৈরি করে ফেলুন বিজয় পরোটা। চলুন জেনে নিই।

যা প্রয়োজন
ময়দা- ২ কাপ
সুজি- ৪ টে চামচ
গুঁড়া দুধ- ৪ টে চামচ
লবণ- ১ চা চামচ
তেল- ৬ টে চামচ
জিরা গুঁড়া- ২ চা চামচ
আস্ত জিরা- ১ চা চামচ
চাট মসলা- ২ চা চামচ
গরম মসলা গুঁড়া-- ১ চা চামচ
মরিচ গুঁড়া- ১ চা চামচ

- উপরের সব উপকরণ আলাদা বাটিতে সমান দুইভাগে ভাগ করে একসাথে মিশিয়ে রাখুন।

এছাড়া লাগবে
পালং শাক কুচি- ১ কাপ
গ্রেটেড গাজর- ২-৩টি
তেল- ভাজার জন্যে

যেভাবে করবেন

    -পালং শাক ভাপিয়ে নিয়ে সামান্য পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পিউরি করে নিন। একইভাবে গাজরও পিউরি করে নিন।
    -এবার একভাগ ময়দার মিশ্রণে পরিমাণমতো পালং-এর পিউরি দিয়ে ডো করে নিন। অল্প অল্প করে পিউরি দেবেন। একবারে দিলে ডো নরম হয়ে যেতে পারে।
    -একইভাবে গাজরের পিউরি দিয়ে ডো করুন। ডো করা হলে ঢাকনা দিয়ে ১৫ মিনিটের জন্যে ঢেকে রাখুন।
    -পনেরো মিনিট পর ২ রঙের ডো দিয়ে ১০-১০ করে বিশটি লেচি কেটে নিন। একটি সবুজ ও একটি কমলা/লাল লেচি পাশাপাশি রেখে কয়েলের প্যাঁচের মতো প্যাঁচ দিয়ে গোল করে নিন।
    -এবার এটিকে বেলে গোল পরোটা বানিয়ে নিন। পরোটার সাইজ পুরির চেয়ে কিছুটা বড়ো হবে। সব বানানো হলে মোগলাই পরোটার মতো করে ভেজে নিন।
    -গরম গরম পরিবেশন করুন চিকেন অথবা বীফ ভুনা দিয়ে।

সুস্বাদু নার্গিসি কোফতা তৈরির একটি সহজ রেসিপি

ranna banna o beauty tips
নার্গিসি কোফতা
স্থানীয় ভাজাভুজির দোকানে সিঙ্গারা-সমুচার পাশাপাশি আরও একটা খাবার পাওয়া যায়, সেটা হলো ডিম-চপ। বাড়িতেও অনেকেই ডিম চপ তৈরি করেন অতিথি আপ্যায়নের জন্য। ডিম চপের আরও অভিজাত একটি ধরণ হলো নার্গিসি কোফতা। খুব সহজেই তৈরি করে ফেলতে পারবেন বাড়িতে। অতিথি আপ্যায়ন ছাড়াও বিকেল বেলার স্ন্যাক্স হিসেবে দারুণ লাগবে নার্গিসি কোফতা।
উপকরণ

    -   ৪টা সেদ্ধ ডিম
    -   ২৫০ গ্রাম চিকেন কিমা
    -   ২টা ছোট আলু, সেদ্ধ করে ভর্তা করা
    -   ভাজার জন্য ব্রেড ক্রাম্ব
    -   এক স্লাইস পাউরুটি, ভিজিয়ে পানি চিপে নেওয়া
    -   ৩ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
    -   সিকি চা চামচ গোলমরিচ
    -   ১ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
    -   ১ চা চামচ গরম মশলা
    -   লবণ স্বাদমতো
    -   ১ চা চামচ আদা কুচি
    -   ১ চা চামচ রসুন কুচি
    -   ২টা কাঁচামরিচ কুচি
    -   ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল

প্রণালী

১) একটা বাটিতে মিশিয়ে নিন চিকেন কিমা, আলু ভর্তা, রসুন কুচি, আদা কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, লবণ, জিরা, গরম মশলা, গোলমরিচ গুঁড়ো এবং কিছুটা ধনেপাতা কুচি। এগুলো একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এটাকে মিক্সারে দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।

২) এই মিশ্রণে ভেজানো পাউরুটি এবং আরও কিছুটা ধনেপাতা কুচি দিয়ে মিশিয়ে নিন। এরপর হাতে তেল মাখিয়ে অল্প কিছুটা মিশ্রণ হাতে নিন। প্যাটি বানিয়ে এর মাঝে একটা সেদ্ধ ডিম রেখে চারদিক দিয়ে মুড়ে কোফতার আকৃতি দিন।

৩) কোফতাটাকে ডিমে ডুবিয়ে নিয়ে তারপরে ব্রেড ক্রাম্বে গড়িয়ে নিন। ডিমে না ডুবালেও চলবে। এবার গরম তেলে ডিপ ফ্রাই করে নিন কোফতাটাকে। এভাবে সবগুলো ডিম দিয়ে কোফতা তৈরি করে ভেজে নিন। বেশি কড়া করে ভাজবেন না। সোনালি হয়ে এলে নামিয়ে নিন।

নার্গিসি কোফতা মাঝ বরাবর কেটে গরম গরম সার্ভ করুন। সাথে দিতে পারেন সস অথবা চাটনি।

শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৫

খুদের খিচুড়ি

ranna banna o beauty tips
খুদের খিচুড়ি
চালের কণা দিয়ে করতে পারেন উদরপূর্তি।
উপকরণ: 
খুদ ২ কাপ। মুগডাল আধা কাপ। হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ। পেঁয়াজপাতা কুচি করা ৪,৫টি (না থাকলে পেঁয়াজ দিতে পারেন)। পেঁয়াজকুচি ১টি। রসুনকুচি আস্ত ১টি। কাঁচামরিচ ফালি করা ৭,৮টি। আদাবাটা দেড় টেবিল-চামচ। জিরাবাটা ১ চা-চামচ। রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ। তেজপাতা ২টি। এলাচ ৩টি। দারুচিনি ১ টুকরা। আস্তজিরা দেড় চা-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। তেল পরিমাণ মতো। পানি ৪ কাপ।

পদ্ধতি: 
মুগ ডাল ধুয়ে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। খুদ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে চাল-ডাল মিশিয়ে রাখুন।

হাঁড়িতে তেল গরম করে তেজপাতা, এলাচ, দারুচিনি ও আস্তজিরা ফোঁড়ন দিয়ে চাল-ডালের মিশ্রণ দিয়ে ভেজে নিন।

পোলাওয়ের চালের মতো করে খুদ ভেজে পানি দিন। এবার এর সঙ্গে অন্য সব উপকরণ মিশিয়ে নিন। চাল ও পানি সমান স্তরে আসলে তাওয়ার উপর হাঁড়ি বসিয়ে ঢাকনা দিয়ে দমে রাখুন।

১০ মিনিট পর আর একবার নেড়ে দিয়ে আবার দমে রাখুন। খুদ ফুটে গেলে নামিয়ে নিন। ডিম ভাজা, বিভিন্ন রকম ভর্তা দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

সরিষার তেলে ইলিশ তেহারি

ranna banna o beauty tips
ইলিশ তেহারি
বৃষ্টিভেজা দিনেই ইলিশের যেন বেশি খাতির। ভেজা আবহাওয়ায় আমাদের মন মাতাতেও চায় মোহনীয় গন্ধে ভরা ইলিশ আয়োজন। বাড়িতে অতিথি এলে বিশেষ আপ্যায়নে স্বগর্বে যোগ হতে পারে ইলিশ রেসিপি। সেখানে সরিষা তেলে ইলিশ তেহারি হলে তো কোনো কথায় থাকে না। তাই আজ শিখে নেয়া যাক ইলিশ তেহারি রান্নার সহজ রেসিপি।

যা যা লাগবে

ইলিশ মাছ ১০ টুকরো, পোলাও চাল ১ কেজি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, টমেটো সস আধা কাপ, সরিষা তেল ১ কাপ, তেজপাতা ২ টা, দারুচিনি ২ টা, এলাচ ৪ টা, লবণ স্বাদমত, জয়ফল ১টা, জয়ত্রী ২ টা, সাদা গোলমরিচ ১ চা চামচ, আস্ত জিরা আধা চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, জিরা বাটা আধা চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ও ধনেপাতা বাটা ১ চা চামচ, শুকনো মরিচ বাটা ১ চা চামচ, সরিষা বাটা ২ চা চামচ, কাঁচা মরিচ ১০টা, সরিষা তেল ২ টেবিল চামচ।

যেভাবে করতে হবে

গরম মশলার সব উপকরন একসঙ্গে টেলে গুঁড়ো করে নিতে হবে। সমস্ত বাটা মসলা একটু পানি দিয়ে একসঙ্গে একটা পাত্রে ভালো করে মেশান। পোলাও চাল ধুয়ে পানি ঝরাতে হবে। দুই লিটার পানি চুলায় গরম হতে দিন। অপর একটি হাঁড়ি চুলায় বসিয়ে গরম হলে আধ কাপ সরিষা তেল দিন। এবার বাটা মশলার মিশ্রণ, টমেটো সস ও ২ চা চামচ লবণ দিয়ে নাড়তে থাকুন। সুগন্ধ বেরোলে ধোয়া মাছ কষিয়ে নিন। এবার পরিমাণমত গরম পানি দিয়ে ১০ মিনিট সেদ্ধ করুন। মাছ সেদ্ধ হওয়ার পর যখন তেল বেরোবে এবং সামান্য ঝোল থাকবে, তখন চুলা বন্ধ করে দিন।

এবার পোলাও

অপর একটি বড় হাঁড়িতে বাকি আধ কাপ সরিষা তেল দিন। তেল গরম হলে আস্ত এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা ছেড়ে দিন। অল্প ভেজে পেঁয়াজ কুচি দিন। পেঁয়াজ নরম হলে চাল দিয়ে ১৫ মিনিট নেড়েচেড়ে ভাজুন। এবার ওই গরম ২ লিটার পানি দিন। পরিমাণমতো লবণ দিয়ে হাঁড়ি ঢেকে দিন। চাল ফুটে পানি যখন প্রায় শুকিয়ে আসবে তখন চুলা বন্ধ করে দিন। একটি পুরু তলার বড় হাড়িতে প্রথমে অর্ধেক পোলাও বিছিয়ে দিন। এবার মাছ গুলো সাবধানে তুলে পোলাওয়ের উপর বিছিয়ে কাঁচা মরিচ আর গরম মসলার গুঁড়া ছড়িয়ে বাকি পোলাওয়ে ঢেকে দিন। ওপরে পেঁয়াজ বেরেস্তা আর ২ চামচ সরিষা তেল ছিটিয়ে দিন। এখন চুলার ওপর তাওয়া রেখে তার ওপর হাঁড়ি রেখে চুলা জ্বেলে দিন। হাঁড়ির মুখ ঢাকনা দিয়ে লাগিয়ে নিন। চাইলে নরম আটা দিয়ে ঢাকনার কিনারে সীল করে দিতে পারেন। এভাবে অল্প আঁচে রাখুন ২০ মিনিট। ব্যস, হয়ে গেল মজাদার সরিষার তেলে ইলিশ তেহারি।

খেতে মজা কলিজা দোপেঁয়াজা

ranna banna o beauty tips
কলিজা দোপেঁয়াজা
মজার স্বাদে কলিজার দোপেঁয়াজা ছোট বড় সবারই পছন্দের রেসিপি বটে। খাবার টেবিলে কলিজা দোপেঁয়াজার অবস্থানও থাকে বেশ কদরের। তাই এবারের ঈদে আপনার হাতেই হোক মজার স্বাদের কলিজা দোপেঁয়াজা রান্না। নিজের রসনা তৃপ্তির সঙ্গে পরিবারের অন্যের কাছ থেকে প্রসংশা কুড়াতেও এই রেসিপি খুবই উপযোগী। দেরি না করে, এক নজরে দেখে নিন এখনি।

যা যা লাগবে

গরু বা খাসির কলিজা ৫০০ গ্রাম, আলু কিউব এক কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল চামচ, আদাবাটা ১ চা চামচ, রসুনবাটা ১ চা চামচ, হলুদের গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, চারটি এলাচ থেঁতো করা, দারুচিনি ৩ টুকরা, তেজপাতা ২টি, দুধ আধা কাপ, ভাজা জিরার গুঁড়া ১ চা চামচ, কাঁচা মরিচ ৪ টি, লবণ স্বাদমতো, তেল প্রয়োজনমতো।

যেভাবে করবেন

প্রথমে কলিজা কিউব করে কেটে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এবার দুধ, লবণ, আদা, রসুনবাটা দিয়ে মেখে রাখতে হবে ১০ মিনিট। টুকরো আলুতে হলুদ, লবণ মেখে লাল করে ভেজে তুলে রাখতে হবে। এরপর এক কাপ পেঁয়াজ বেরেস্তা করে নিতে হবে। এবার ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে ভাজা জিরার গুঁড়া ছাড়া বাকি সব মসলা সামান্য পানি দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। মসলা কষানো হলে মেখে রাখা কলিজা মসলায় দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে মৃদু আঁচে ঢেকে দিতে হবে। পাঁচ মিনিট সেদ্ধ হলে পেঁয়াজ বেরেস্তা দিতে হবে। রান্না শেষে ভাজা জিরার গুঁড়া ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন। ভাত, রুটি বা পরোটার সঙ্গে কলিজার দোপেঁয়াজা দারুণ উপযোগী।

সবজির এই অসাধারণ স্বাদ আপনি আগে কখনো পান নি!

ranna banna o beauty tips
সবজি তরকারি
সায়মা সুলতানার অসাধারণ ছবিতে দেখুন। যদি বলি প্রচ্ছদের এই দারুণ দেখতে তরকারিটি কেবলই সবজি দিয়ে তৈরি? হ্যাঁ, এই তরকারির মূল উপাদান হচ্ছে টমেটো, মটরশুঁটি ও নারিকেল। কী, বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে চলুন, জেনে নেবেন  অনবদ্য সেই রেসিপিটি।

 যা লাগবে
টমেটো টুকরা (হাফ করে কাটা,ছোট হলে আস্ত ) ২ কাপ
নারকেল বাটা ২ টেবল চামচ
মটরশুটি ১ কাপ
পেঁয়াজ বাটা ২ টেবল চামচ
আদা বাটা ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো হাফ চা চামচ
মরিচ গুঁড়ো ২ চা চামচ ( কম বেশি করা যাবে)
ধনিয়া গুঁড়ো হাফ চা চামচ
জিরা গুঁড়ো হাফ চা চামচ
কাসুরি মেথি / শুকনা মেথি পাতা গুঁড়ো ১ চা চামচ
আস্ত সরিষা হাফ চা চামচ
নারকেল দুধ হাফ কাপ
তেল ৩ টেবল চামচ
ধনিয়া পাতা মিহি কুচি ২ টেবল চামচ
চিনি ১ চা চামচ
ভাজা শুকনা মরিচ কয়েকটা ( না দিলেও হবে)
লবণ স্বাদমত

প্রণালি

    -প্রথমে প্যানে তেল দিয়ে তেল গরম হলে এতে আস্ত সরিষা দিন।
    - ফুটে উঠলে এতে বাটা মশলা দিন হালকা নাড়াচাড়া করে এতে সব গুঁড়ো মশলা দিয়ে সাথে নারকেল দুধ দিয়ে মশলা কষিয়ে নিন।
    -এখন এই কষানো মসলাতে টুকরা করা টমেটো, নারিকেল বাটা, কাসুরি মেথি, চিনি ,লবণ আর হাফ কাপ পানি দিয়ে নেড়ে ঢাকনা লাগিয়ে মিডিয়াম আঁচে রান্না করুন ১০ থেকে ১২ মিনিট ।
    -এবার এতে মটরশুটি আর ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে রান্না করুন আরো ১২ মিনিট, টমেটো নরম হয়ে ঝোল হালকা ঘন হলে নামিয়ে নিন।
    - আর নামানোর আগে কয়েকটা ভাজা শুকনা মরিচ দিয়ে দিন ( না দিলেও হবে)

বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫

নিজেই তৈরি করুন মরক্কোর বিখ্যাত খাবার "হারিসা"

ranna banna o beauty tips
"হারিসা"
হারিসা কী? হারিসা হচ্ছে মরক্কোর মজাদার একটি চাটনি। পোলাও, রুটি বা পরোটা দিয়ে খাওয়ার জন্য উপযোগী এই মজাদার চাটনি তৈরি করতে কষ্ট করতে হয় না একেবারেই। চলুন, জেনে নিই তৃষা হকের রেসিপি।

উপকরণ
ধনে পাতা - ১ কাপ
পুদিনা পাতা- ১ কাপ
কাঁচা মরিচ- ৬/৭ টি (ঝাল বুঝে)
রসুন কোয়া- বড় রসুন এর ৬/৭ কোয়া
লেবুর জারক- ২ টি আস্ত লেবু বিচি ছাড়ানো খোসা সহ (লেবুকে ভিনেগার ও লবণ পানিতে ভিজিয়ে ৬ মাস সংরক্ষণ করে জারক বানানো হয়)
জিরা গুঁড়ো- ২ চা চামচ
বিট লবণ- স্বাদ বুঝে

প্রণালী

    -সব উপকরণ একসাথে ব্লেন্ডারে দিয়ে মিক্স করে পরিবেশন করুন মজাদার চাটনি হারিসা।

শীতের বিকেলে চায়ের সাথে সুস্বাদু লেমন কেক

ranna banna o beauty tips
লেমন কেক
চায়ের সাথে হালকা স্বাদের কেকই সবচাইতে বেশি ভালো লাগে খেতে। বিশেষ করে ভ্যানিলা, অরেঞ্জ, লেমন এই ধরণের ফ্লেভারগুলো যা মুখে রেখে যায় রেশ। আর সেই ফ্রুটি ফ্লেভারের মিশেলে চায়ের স্বাদটাই যেন একেবারে বদলে যায়। চলুন, আজ আয়েশা সিদ্দিকার হেঁসেল থেকে জেনে নিই তেমনই একটি মিষ্টি সুগন্ধী কেকের রেসিপি।

উপকরণ
ময়দা ৩ কাপ
তেল/বাটার ২ কাপ
ডিম ৪ টি
ঘন দুধ ১কাপ
চিনি ২ কাপ
বেকিং পাউডার ২ টে চামচ
দারুচিনি পাউডার ১ চা চামচ
লেবুর খোসা মিহি কুচি ১ টি
লেবুর রস ১ টি

প্রনালি

    -লেবুর রস ও মিহি খোসা কুচি একসাথে মাখিয়ে রাখুন। ময়দা ও বেকিং পাউডার ও একসাথে মিশিয়ে রাখুন।
    -চিনি, বাটার ও ডিম একসাথে ভাল করে বিট করে তাতে দুধ দিয়ে আরেকটু বিট করে ময়দার মিশ্রন দিয়ে মিশিয়ে নিন। তারপর এতে লেমন মিক্স চামচ দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে দিন।
    -যে পাত্রে কেক বানাতে চান তাতে বাটার ব্রাশ করে শুকনা ময়দা ছড়িয়ে দিন। তারপর কেকের মিশ্রন ঢেলে রাখুন।
    -চুলায় তাওয়ার উপর বালি গরম করে তার উপর কেকের পাত্রটি বসিয়ে ভাল করে ঢেকে দিন। মাঝারি আঁচে ৪০-৪৫ মিনিটের মধ্যে কেক হয়ে যাবে। অথবা, ১৮০ ডিগ্রি সে. প্রি- হিটেড ওভেনে ২৫- ৩০ মিনিট বেক করুন।
    -ঠাণ্ডা হলে উপুর করে ঢেলে কেটে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

সসের বদলে ঘরেই তৈরি করে নিন গ্রিন চাটনি

ranna banna o beauty tips
 গ্রিন চাটনি
শীতের সন্ধ্যায় গরম গরম ভাজাভুজি খেতে ইচ্ছে করে সবারই। এই ভাজাভুজির সাথে আবার দরকার হয় সস। কিন্তু বাজারে যেসব সস পাওয়া যায় সেগুলো কি আসলে স্বাস্থ্যসম্মত? এতে দেওয়া হয় বিভিন্ন কেমিক্যাল, আর অনেকটা চিনি তো থাকেই। একেবারে স্বাস্থ্যসম্মত, প্রাকৃতিক সস দিয়ে স্ন্যাক্স খেতে চাইলে বাড়িতেই তৈরি করে ফেলতে পারেন ধনেপাতা এবং পুদিনার মনমাতানো ফ্লেভারের গ্রিন চাটনি।
উপকরণ

    -   আধা কাপ ধনেপাতা কুচি করা
    -   সিকি কাপ পুদিনা পাতা কুচি করা
    -   ৩টা মরিচ
    -   ১০ কোয়া রসুন
    -   ১ টা পিঁয়াজ কুচি
    -   গোলমরিচ গুঁড়ো স্বাদমতো
    -   ২ চা চামচ জিরা, (তাওয়ায় টেলে গুঁড়ো করে নেওয়া)
    -   ১ টেবিল চামচ লেবুর রস
    -   আধা ইঞ্চি পরিমাণ আদা স্লাইস করা

প্রণালী

কী করতে হবে? তেমন কিছুই করতে হবে না। অল্প করে পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন। অথবা পাটায় বেটেও নিতে পারেন। এই চাটনি পরিবেশন করতে পারেন বিভিন্ন রকম স্ন্যাক্সের সাথে।
 
টিপস

-   ইচ্ছে হলে এর সাথে অল্প করে চিনি ও লবণ দিতে পারেন। এতে টকমিষ্টি একটি স্বাদ তৈরি হবে।

-   লেবুর রস দেবার সময় ভিডিওর মতো হাতের ওপর চিপে নিন। এতে লেবুর বিচি মিশ্রণে যাবে না।

সহজে মজাদার "চকলেট কোকোনাট বল"

ranna banna o beauty tips
"চকলেট কোকোনাট বল"
নারিকেল দিয়ে ভিন্নধর্মী কিছু তৈরি করতে চান? তাহলে চকলেট ও নারিকেলের স্বাদে তৈরি করে ফেলুন এই ভীষণ মজার খাবারটি, যা বাচ্চারাও খাবে খুব মজা করেই। রেসিপি দিচ্ছেন নাদিয়া নাতাশা।

উপকরণ:
নারিকেল কুড়ানো ১১/২ কাপ
চকলেট ৩/৪-১কাপ
চিনি ১/২
কাপ
গুঁড়ো দুধ ২/৩ চা চামচ

প্রনালি:

-প্যানে নারিকেল ও চিনি একসাথে মিশিয়ে হালকা আঁচে নাড়তে থাকুন ৭/৮ মিনিট।
-চিনি ভালো করে গলে গেলে তাতে গুঁড়ো দুধ ও চকলেট দিয়ে দিন, চকলেট মেল্ট হতে দিন হালকা আঁচে।
-চকলেট মেল্ট হলে আঁচ হালকা বাড়িয়ে দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন, আঠালো হয়ে আসলে নামিয়ে নিন।
-একটু ঠান্ডা হতে দিন,হাত দিয়ে বলের মত আকার দিন। এবার মিহি করে কুড়ানো নারিকেলে গড়িয়ে নিন।

বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৫

মূলা দিয়ে শুটকি

ranna banna o beauty tips
মূলা দিয়ে শুটকি
উপকরণ: মূলাকুচি ২টি। ছোট শুটকিমাছ আধা কাপ। কাঁচামরিচ ফালি ১০,১২টি। পেঁয়াজকুচি ২টি। রসুনবাটা আধা চা-চামচ। রসুন মোটাকুচি বা আস্ত রসুনের কোঁয়া ২,৩ টেবিল-চামচ। ধনেপাতা কুচি করা অল্প। লবণ স্বাদ মতো। হলুদ সামান্য। তেল পরিমাণ মতো।

পদ্ধতি: শুটকি মাছগুলো হালকা আঁচে তেল ছাড়াই ভাজুন। তারপর ধুয়ে শুকিয়ে প্যানে তেল গরম করে সামান্য ভেজে নিন। ভাজা হলে একে একে মূলাকুচি, পেঁয়াজকুচি, রসুনবাটা, রসুনকুচি, কাঁচামরিচের ফালি, লবণ ও হলুদ দিয়ে ভালো মতো কষিয়ে অল্প আঁচে ঢেকে দিন।

রান্না প্রায় হয়ে গেলে, ধনেপাতা উপরে ছড়িয়ে দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।

কাঁচা বরইয়ের আচার

ranna banna o beauty tips
কাঁচা বরইয়ের আচার
শীত মৌসুমে পাওয়া যায় হরেক স্বাদের বরই। মুখরোচক এই ফলটি কাঁচা-পাকা সব অবস্থাতেই খেতে সুস্বাদু। লবণ মরিচের গুড়া বা কাসুন্দি দিয়ে বরই ভর্তার নাম শুনলেই যে কারো জিভে জল আসতে বাধ্য। বরই দিয়ে মজাদার আচারও বানানো যায়। দীর্ঘদিন রেখে খেতে পারেন অনায়াসে। আচার বানাতে টক বরই উপযোগী, এরই মধ্যে বাজারে তার দেখা মিলছে। এমন স্বাদের আচার খেতে এক নজরে দেখে নিতে পারেন কাঁচা বরইয়ের টক-ঝাল-মিষ্টি আচার রেসিপি।

যা যা লাগবে

কাঁচা বরই ১ কেজি, চিনি আধা কেজি, হলুদ গুড়া আধা চা চামচ, মরিচ গুড়া ১ চা চামচ, পাঁচফোড়ন গুড়া ১ টেবিল চামচ, কালোজিরা টালা গুড়া আধা চা চামচ, লবণ ২ চা চামচ, সরিষার তেল ২৫০ গ্রাম।

যেভাবে করবেন

প্রথমে বোটা ফেলে বরই ধুয়ে পানি ঝরিয়ে এক দিন রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর বড়ই গুলো হালকা থেতো করে নিয়ে তাতে হলুদ গুড়া, মরিচ গুড়া ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে আবার এক দিন রোদে শুকিয়ে নিন। এবার চিনি এবং অল্প পানি দিয়ে চুলায় বসান। কম আঁচে চিনি গলিয়ে ভালো করে জাল দিয়ে আঠালো করতে হবে। চিনির ভেতর বড়ই, পাঁচফোড়ন গুড়া, কালোজিরা টালা গুড়া ও সরিষার তেল দিয়ে নেড়ে মিশান। আচারটি শুকিয়ে এলে লবণ-মরিচ-চিনির পরিমাণ ঠিক আছে কিনা তা চেখে দেখতে হবে। আপনার পছন্দের স্বাদ উপযোগী হলে নামিয়ে আনুন। ব্যাস হয়ে গেল কাঁচা বরইয়ের টক-ঝাল-মিষ্টি আচার। আচার ঠাণ্ডা হলে কাচের বোয়েমে সংরক্ষণ করলে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।

স্বাদে গন্ধে ভরা সবজি খিচুড়ি

ranna banna o beauty tips
সবজি খিচুড়ি
সময়টা এখন হরেক রকম তাজা সবজির। এসব সবজির মিশেলে সুস্বাদু খিচুড়ি হলে সকালের নাস্তাটা মন্দ হয় না। ছোট বড় সবার কাছে প্রিয় হতে পারে বিশেষ রেসিপিতে রান্না সবজি খিচুড়ি। স্বাদ আর গন্ধে মোহময় এমন খিচুড়ি রান্না হবে সহজে। এক নজরে দেখে নিতে পারেন তেমনি এক দারুণ রেসিপি।

যা যা লাগবে

বাসমতি চাল ২ কাপ, সবজি (গাজর, বরবটি, মটরশুঁটি, ফুলকপি) ছোট টুকরো সব মিলিয়ে ২ কাপ, আলু আধা কাপ, ভাজা মুগডাল ১ কাপ, আদা বাটা দেড় চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া দেড় চা চামচ, টক দই দুই টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ ১ চা চামচ, চিনি ১ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, এলাচ ২টি, দারুচিনি ২টি, তেজপাতা ২টি, গরম পানি ৬ কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ, তেল আধা কাপ।

যেভাবে করবেন

মুগডাল ২ ঘণ্টা ও চাল আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। মটরশুঁটি ছাড়া সব সবজি একসঙ্গে সেদ্ধ করে নিন। কড়াইয়ে অর্ধেক তেল দিয়ে গরম হতে দিন। এবার তাতে গরম মসলা ও পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে টক দই, চিনি ও আধা চা চামচ লবণ দিন। একটু পর মসলা কষিয়ে সবজি দিন। সবজি কষানো হলে আলাদা পাত্রে তুলে রাখুন। এবার ওই কড়াইয়ে চাল দিয়ে ভাজতে থাকুন। ভাজা হয়ে গেলে গরম পানি ও আধা চা চামচ লবণ দিয়ে ঢেকে দিন। চাল পানি সমান সমান হলে রান্না করা সবজি দিয়ে নেড়ে ঢেকে আঁচ কমিয়ে ১০ মিনিট রান্না করুন। এবার কাঁচামরিচ ও ঘি দিয়ে আরও ১৫ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

চোখের নিচে বলিরেখা দূর করার সহজ কিছু উপায়

ranna banna o beauty tips
চোখের নীচের বলিরেখার কারণে মুখের সার্বিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। মহিলারা এই বিষয়টাকে ভয় পায় এবং এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা পার্লারে কাটিয়ে দেন এবং এতে পকেট থেকে অনেকগুলো টাকাও খরচ হয়ে যায় নিঃসন্দেহে। কিন্তু সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়ে এবং কম সময়ে চোখের নীচের বলিরেখার দূর করা সম্ভব। আসুন আমরা জেনে নিই সেই উপায় গুলো সম্পর্কে।

১। আনারস

আনারসের জুসে ব্রোমেলাইন নামের সক্রিয় এনজাইম থাকে যা একটি অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান এবং আনারসের জুসে আলফা হাইড্রক্সি এসিড থাকে যা বলিরেখা নিরাময় করতে পারে। আনারসে অ্যাস্ট্রিঞ্জেট উপাদান থাকে ফলে এটা ত্বকের এক্সফলিয়েশনে সাহায্য করে। তাই আনারসের জুস নিয়ে চোখের নিচের বলিরেখায় লাগান। এভাবে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এভাবে দিতে থাকুন বলি রেখা দূর হবে।

২। নারিকেল তেল

নারিকেল তেলে যে ফ্যাট থাকে তা ত্বকের পুষ্টিসাধন করে এবং বলিরেখা দূর করতে সক্ষম। নারিকেল তেল নিয়ে চোখের নীচে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করুন। এভাবে প্রতিদিন ১০ মিনিট করে ম্যাসাজ করুন। ঘুমানোর আগে চোখের নীচে নারিকেল তেল দিয়ে রাখুন, এতে করে সকালে উঠে আপনার ত্বক নরম ও কোমল হবে।

৩। আদা

বলিরেখা দূরকরার চমৎকার ক্ষমতা আছে আদার কারণ আদাতে উচ্চমাত্রার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। এছাড়াও আদা ইলাস্টিনের ছড়িয়ে পড়া রোধ করে যা আসলে বলিরেখা ও ফাইন লাইন সৃষ্টির কারণ। এক টুকরো আদাকে ভালোভাবে থেঁতলে নিয়ে এর সাথে ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খান। আপনি চাইলে দিনে দুইবার আদা চাও খেতে পারেন।

৪। শসা

চোখের নীচের বলিরেখা দূর করতে শসা অনেক ভালো কাজ করে। চাক চাক করে শসা কেটে নিয়ে চোখের পাতার উপর রাখুন। এর ফলে চোখের নীচের বলিরেখা দূর হয় এবং চোখের ফোলা ভাব ও কমায়।

৫। কমলার রস

কমলার রস বলিরেখা কমায়। কমলার রসে কটন বল চুবিয়ে চোখের নীচে লাগান, এভাবে দিনে দুইবার লাগান। ফ্রেশ কমলার রস লাগানো যাবে না – এটা মনে রাখতে হবে। কয়েক সপ্তাহ পরে দেখবেন যে, বলিরেখা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে দূর হয়েছে।

টিপস-

    ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ মাছ খান, বিশ্রাম নিন, ঘুমান এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
    সান স্ক্রিন ব্যবহার করুন।
    অ্যালকোহল ও ধূমপানের অভ্যাস থাকলে কমিয়ে ফেলুন।
    অ্যালোভেরা, অলিভ ওয়েল, আমন্ড, কলা, গোলাপ জল ইত্যাদির ও চোখের নীচের বলিরেখা দূর করার ক্ষমতা আছে। 

সবজির স্বাদে সুস্বাদু মালাই কোফতা

ranna banna o beauty tips
মালাই কোফতা
কোফতা বলতে সাধারণত আমরা মাছ বা মাংসের কোফতা বুঝে থাকি। কিন্তু সবজি দিয়েও যে অনেক মজার কোফতা বানানো যায় সেটা আমরা অনেকেই জানি না। তাই আজকে আপনাদের জন্য থাকছে একটি মজাদার ইন্ডিয়ান ভেজিটেরিয়ান ডিশ মালাই কোফতা'র রেসিপি। আর রেসিপিটি নিয়ে এসেছেন আয়েশা সিদ্দিকা।

কোফতা তৈরির উপকরণ :
পছন্দ মত মিক্সড সবজি সেদ্ধ ১ বাটি
গ্রেটেড পনির ১ কাপ
গ্রেটেড আলু সেদ্ধ ১ কাপ
কাঁচা মরিচ কুচি ৪ টি
ধনে পাতা কুচি ১ মুঠো
ধনে গুড়া ১/২ চা চামচ
জিরা গুড়া ১/২ চা চামচ
মরিচ গুড়া সামান্য
ময়দা ১ টে চামচ
তেল ভাজার জন্য
লবন

প্রণালী :

    -সবজি সেদ্ধ  করতে পানিটা এমন ভাবে দেবেন যাতে সেদ্ধ হবার পর বাড়তি পানি না থাকে আর থাকলেও নিংড়ে নিবেন।
    -এবার তেল আর ময়দা বাদে বাকি উপকরণ একসাথে মাখিয়ে গোল গোল কোফতা বানিয়ে ময়দাতে গড়িয়ে নিন।
    -ডুবো তেলে সোনালী করে ভেজে তুলে রাখুন।

গ্রেভি তৈরির উপকরণ :
টমেটো কুচি ১ কাপ
পেঁয়াজ কুচি ১/২ কাপ
ক্রিম ১/৪ কাপ
জিরা গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
মরিচ গুঁড়ো ১/৪ চা চামচ
আদা-রসুন বাটা ১ টে চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো ১/৪ চা চামচ
ধনে পাতা কুচি
জিরা ১/৪ চা চামচ
তেল ৩ টে চামচ
লবণ

প্রণালী :

    -কড়াইতে ১ টে চামচ তেল গরম করে পেঁয়াজ দিন।
    -নরম হয়ে এলে লবন , টমেটো , অদা-রসুন , জিরা , ধনে ,মরিচ গুঁড়ো ও সামান্য পানি দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নামিয়ে নিন।
    -তারপর এই মিশ্রণটি মিক্সিতে করে পেস্ট বানিয়ে নিন। ওই কড়াই তেই বাকি তেল গরম করে জিরা ফোড়ন দিয়ে টমেটো পেস্টটা দিয়ে দিন, সাথে ১/৪ কাপ পানি ।
    -একটু কষিয়ে নিয়ে ক্রিম দিন। ফুটে উঠলে গরম মশলা আর ধনে পাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিন।
    -কোফতা আর গ্রেভি দুটি রেডি হয়ে গেল এবার পরিবেশনের পালা। সার্ভিং ডিশে প্রথমে কোফতা গুলো সাজিয়ে উপর দিয়ে গরম গরম গ্রেভি ঢেলে পরিবেশন করুন।
    -মনে রাখবেন যখন পরিবেশন করবেন ঠিক তার আগে গ্রেভি কোফতা তে দিবেন আগে থেকে গ্রেভি তে ভিজিয়ে রাখবেন না। এভাবে করলে টেস্ট  অনেক বেশি ভালো লাগে।

বেগুনের সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী রান্না "আচারি বেগুন"

ranna banna o beauty tips
"আচারি বেগুন"
সারা বছর যে সবজিটি বাজারে পাওয়া যায়, তা হল বেগুন। আর এই বেগুন দিয়ে রান্না করা যায় নানা রকমের মজার খাবার। বেগুন ভাজি, বেগুন ভর্তা, বেগুন দোলমা কত রকমের রান্নাই না করলেন এই বেগুন দিয়ে। আচারি বেগুন কি কখনও রান্না করেছেন? ঘরে থাকা মশলা দিয়ে তৈরি করা যায় বেগুনের এই খাবারটি।

উপকরণ:

মশলার জন্য

১ চা চামচ জিরা

১/২ চা চামচ কালোজিরা

১/২ চা চামচ মৌরি

১/২ চা চামচ সরিষা

গ্রেভির জন্য

৮-১০টি ছোট বেগুন

২টি টমেটো সিদ্ধ

২-৩ টি লাল মরিচ

১/২ চা চামচ মৌরি

১/২ চা চামচ সরিষা

১ টেবিল চামচ আদা রসুন পেস্ট

১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো

১ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো

২ চা চামচ ধনিয়া গুঁড়ো

৫ টেবিল চামচ তেল

লবণ

পানি

প্রণালী:

১। প্রথমে টমেটো সিদ্ধ করে নিন।

২। এবার আরেকটি প্যান মাঝারি আঁচে চুলায় দিন।

৩। প্যান গরম  হয়ে আসলে মৌরি, কালোজিরা, জিরা, সরিষা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন। সুন্দর গন্ধ বের হলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।

৪। ভাজা মশলাগুলো গুঁড়ো করে নিন।

৫। এবার একটি প্যানে অল্প তেল দিয়ে বেগুনগুলো দিয়ে দিন। বেগুনগুলো আস্ত রেখে মাঝখান দিয়ে চার ভাগ করে নিন। খেয়াল রাখবেন বেগুন যেন ডাটার সাথে যুক্ত থাকে আর মাঝের অংশ ভেঙ্গে না যায়।

৬। বেগুনের উপর অল্প তেল ছিটিয়ে দিন, যাতে করে বেগুনগুলোর দু পাশ ভাজি হয়।

৭। এখন আরেকটি প্যানে তেল দিয়ে লাল শুকনা মরিচ ভাজুন।

৮। মরিচ ভাজা হয়ে গেলে এতে মৌরি,কালোজিরা, সরিয়া, আদা রসুনের পেস্ট দিয়ে নাড়ুন।

৯। তারপর এতে ভাজা গুঁড়ো মশলা, হলুদ গুঁড়ো, সিদ্ধ টমেটো কুচি, লবণ দিয়ে রান্না করুন।

১০। মশলা থেকে তেল উপরে উঠে আসলে এতে হলুদ গুঁড়ো, ধনিয়া গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।

১১। তারপর এতে টমেটো দিয়ে আরোও কিছুক্ষণ নাড়ুন। ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন।

১২। ৫ মিনিট পর পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে আরও ১০ মিনিট রান্না করুন।

১৩। ১০ মিনিট নামিয়ে ফেলুন মজাদার আচারি বেগুন।



টিপস:

টমেটোর সিদ্ধের সময় টমেটোর পানিতে বরফ কুচি দিয়ে দিবেন। এতে টমেটোর খোসা খুব সহজে ছাড়ানো যাবে।

অত্যন্ত সুস্বাদ বীটের কোরমা

ranna banna o beauty tips
অত্যন্ত সুস্বাদ বীটের কোরমা
শরীরের জন্য দারুণ উপকারী একটি সবজি হলো বীট। বিশেষ করে যারা রক্তস্বল্পতায় ভোগেন তাদের জন্য বীট বেশ উপকারী। বীট দিয়ে সালাদ তৈরি করা যায় বটে, কিন্তু এর বাইরে বীটের রেসিপিগুলো বেশীরভাগ মানুষই জানেন না। আজ জেনে নিন বীটের দারুণ একটি রেসিপি। এই বীট কোর্মা অতিথি আপ্যায়নেও কাজে আসবে দারুণ।
উপকরণ

    -   ২৫০ গ্রাম বীটরুট কিউব করে কাটা
    -   ২৫০ গ্রাম আলু কিউব করে কাটা
    -   ৪টা লাল শুকনা মরিচ
    -   ৪টা সবুজ কাঁচামরিচ
    -   ১ টেবিল চামচ ধনে
    -   ১ চা চামচ জিরা
    -   আধা চা চামচ মৌরি
    -   ১০০ গ্রাম কাজুবাদাম
    -   ১ টেবিল চামচ পোস্তদানা
    -   ২টা লবঙ্গ
    -   ২ টুকরো দারুচিনি
    -   ১টা জায়ফল
    -   ২টা এলাচ
    -   আধা কাপ নারিকেল কোরানো
    -   আধা কাপ নারিকেলের দুধ
    -   ৩টা তেজপাতা
    -   ৬টা কারি পাতা
    -   ১ কাপ পিঁয়াজ কুচানো
    -   ১ টেবিল চামচ আদা রসুন বাটা
    -   সিকি চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
    -   আধা কাপ টক দই
    -   ৩টা টমেটো
    -   আধা কাপ মটরশুঁটি
    -   ২ টেবিল চামচ মরিচ গুঁড়ো
    -   বেশ কিছুটা টাটকা ধনেপাতা
    -   এক চা চামচ লেবুর রস

প্রণালী

১) শুকনো কড়াইতে টেলে নিন ধনে, শুকনা মরিচ, জিরা, মৌরি, কাজুবাদাম, পোস্তদানা এবং গরম মশলার সব উপকরণ। এগুলোর সাথে কোরানো নারিকেল মিশিয়ে একসাথে বেটে নিন অথবা গ্রাইন্ড করে নিন।

২) কড়াইতে তেল গরম করে নিন। এতে তেজপাতা, কুচানো পিঁয়াজ, লবণ কারি পাতা, সবুজ মরিচ, আদা রসুন বাটা, হলুদ দিন। বিট এবং আলুর কিউব এতে দিয়ে রান্না করুন কিছুক্ষণ।

৩) এরপর মশলার পেস্ট দিয়ে দিন এতে। সাথে দিয়ে দিন দই, টমেটো, মরিচ গুঁড়ো, মটরশুঁটি। কিছুটা পানি দিয়ে সবকিছু মিশিয়ে নিন। ঢাকনা দিয়ে রান্না হতে দিন ২৫ মিনিট। এরপর নারিকেলের দুধ দিয়ে চুলো বন্ধ করে দিন। ওপরে দিয়ে দিন লেবুর রস এবং ধনেপাতা কুচি।

তৈরি হয়ে গেলো দারুণ মুখরোচক বিট কোর্মা। গরম গরম পরিবেশন করতে পারেন পরোটার সাথে।

মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৫

ক্রিস্পি সুইট পটেটো ফ্রাই

ranna banna o beauty tips
ক্রিস্পি সুইট পটেটো ফ্রাই
উপকরণ: মিষ্টি আলু ২টি। হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ। মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ। চালের গুঁড়া অথবা টেম্পুরা পাউডার ২,৩ টেবিল-চামচ। লবণ পরিমাণ মতো। তেল ভাজার জন্য পরিমাণ মতো।

পদ্ধতি: মিষ্টি আলু খুব ভালো করে ধুয়ে নিন। লম্বা করে আলুগুলো কেটে নিন। আবার ভালো করে ধুয়ে কিচেন পেপার কিংবা কোনো কাপড় দিয়ে দিয়ে ভালো করে মুছে পানি শুষে নিন।

হলুদ, মরিচ আর লবণ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে পাঁচ মিনিট রাখুন। চালের গুঁড়া দিয়ে মাখিয়ে নিন। ডুবো তেলে ভাজা যায় এই পরিমাণ তেল প্যানে দিয়ে ভালো করে গরম করুন।

গরম তেলের আঁচ কমিয়ে মিষ্টি আলুগুলো ভালো করে মচমচে করে ভেজে নিন। গরম গরম আলু ভাজা টমেটো সস অথবা মেওনেজ দিয়ে পরিবেশন করুন।

ডাল-বাঁধাকপি ভাজি

ranna banna o beauty tips
ডাল-বাঁধাকপি ভাজি
উপকরণ: বাঁধাকপি কুচি ১টির অর্ধেক। কাঁচাটমেটো ২টি। ডাল আধা কাপ। পেঁয়াজপাতা-কুচি ৪,৫টি। (না থাকলে, পেঁয়াজকুচি)। রসুন ছেঁচে নেওয়া আস্ত ১টি। হলুদগুঁড়া সামান্য। জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ। কালিজিরা দেড় চা-চামচ। শুকনামরিচ ২টি। তেজপাতা ২টি। কাঁচামরিচ ফালি ৮,১০টি। লবণ স্বাদ মতো। তেল পরিমাণ মতো।

পদ্ধতি: ডাল ধুয়ে ভিজিয়ে রাখুন। বাঁধাকপি একটু মোটা করে কুচি করে নিন। টমেটো পাতলা পাতলা করে টুকরা করে নিন।

প্যানে তেল গরম করে কালিজিরা, শুকনামরিচ ও তেজপাতা ফোঁড়ন দিয়ে রসুন ভাজুন। রসুন হালকা বাদামি হলে টমেটো ও বাঁধাকপি-কুচি দিন। গুঁড়ামসলা ও লবণ মিশিয়ে ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন। বাঁধাকপি প্রায় সেদ্ধ হয়ে গেলে কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ ও পানি ঝরানো ডাল মিশিয়ে দিন। ঢাকনা দেবেন না।

ডাল সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত নেড়ে-চেড়ে রান্না করুন। ডাল সিদ্ধ হবে তবে গলবে না। তেল ছেড়ে আসলে নামিয়ে ফেলুন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

চকলেট জেব্রা কেক

ranna banna o beauty tips
চকলেট জেব্রা কেক
উপকরণ: ময়দা ২ কাপ। বেইকিং পাউডার ২ চা-চামচ। গুঁড়াদুধ ১/৪ কাপ। কোকো পাউডার ২ টেবিল-চামচ। ডিম ৬টি। চিনিগুঁড়া আড়াই কাপ। তেল অথবা মাখন ২ কাপ। ভ্যানিলা এসেন্স ১ চা-চামচ।

পদ্ধতি: ময়দা ও বেইকিং পাউডার চালনি দিয়ে চেলে নিন। এই মিশ্রণে গুঁড়াদুধ মিশিয়ে, দুই ভাগ করুন। এক ভাগের সঙ্গে কোকো পাউডার মিশিয়ে নিন।

ওভেন ১৬০ ডিগ্রি সে তাপমাত্রায় প্রি-হিট হতে দিন।

ডিমের কুসুম ও সাদা অংশ আলাদা করে নিন। বড় একটি বাটিতে ডিমের সাদা অংশ নিয়ে বিটার দিয়ে বিট করে, ফোম করে নিন।

ফোমের সঙ্গে একে একে এসেন্স, চিনি, কুসুম, বাটার দিয়ে আবার বিট করুন। সব বিট করা হলে এই মিশ্রণও দুই ভাগ করে নিন। এক ভাগের সঙ্গে কোকো মেশানো ময়দার মিশ্রণ হাত দিয়ে মিশিয়ে নিন। অন্য ভাগের সঙ্গে কোকো ছাড়া ময়দার মিশ্রণ মেশান।

এবার কেকের মোল্ডে বাটার ব্রাশ করে প্রথমে একটু সাদা মিশ্রণ ঢালুন। সাদা মিশ্রণের উপরে একটু কোকোর মিশ্রণ ঢালুন। এইভাবে তিন-চার বার পুনরাবৃত্তি করুন।

মণ্ড ঢালা হলে প্রি-হিট করা ওভেনে ১৬০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ৪০ থেকে ৫০ মিনিট বেইক করে নিন। সময় শেষ হলে একটি কাঠি অথবা টুথপিক কেকের মাঝখানে ঢুকিয়ে দেখে নিন।

কাঠি পরিষ্কার বের হয়ে আসলে কেক হয়েছে, আর কাঠির গায়ে লেগে থাকলে ভাববেন, কেক হয়নি। সেক্ষেত্রে আরও পাঁচ থেকে ১০ মিনিট ওভেন চালু রাখুন।

হয়ে গেলে ঠাণ্ডা করে, পরিবেশন পাত্রে উপুর করে বের করে নিন। ছুরি দিয়ে টুকরা করে ক্রিম দিয়ে পরিবেশন করুন।

ঘরে করা যাবে স্টিম ফেসিয়াল

ranna banna o beauty tips
 স্টিম ফেসিয়াল
আয়নার সামনে গেলেই ত্বক নিয়ে ভাবনাটা বেড়ে যায় কয়েকগুন। তখন মনে হয়, নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্য কোমল, মসৃণ ত্বক অপরিহার্য। সে ত্বককে সুন্দর করতে আমাদের চেষ্টারও কমতি থাকে না। বিশেষ করে শীতের শুরুতে হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তনে ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতে দরকার ফেসিয়াল।

ফেসিয়ালের মধ্যে স্টিম ফেসিয়াল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। কেননা উত্তপ্ত বাষ্প রোমকূপকে প্রসারিত করে। ফলে ধুলো ময়লা ও অবাঞ্ছিত তৈলাক্ত পদার্থ আটকে থাকা সব ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়। গরম পানির ভাপ মুখে নিলে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। আসুন শিখে নেয়া যাক, ঘরে বসে স্টিম ফেসিয়াল করার সহজ নিয়ম-

- প্রথমে মাথার চুল পেছন দিকে আঁচড়ে বেঁধে নিতে হবে।

- একটা বড় গামলায় অর্ধেকটা ফুটন্ত গরম পানি নিন।

- একটা বড় তোয়ালে পিঠের দিক থেকে মাথার উপরে টেনে গামলা ঢেকে দিন যাতে বাষ্প বেরিয়ে যেতে না পারে। অনেকটা তাবুর মত করে তোয়ালে দিয়ে গামলার ওপর ঝুঁকে মাথা ঢেকে দিন।

- এসময় চোখ দুটো বন্ধ রাখতে হবে।

- মাঝে মাঝে তোয়ালে সরিয়ে প্রয়োজনীয় শ্বাস নেয়া যাবে। চামচ দিয়ে পানি নেড়ে নিলে বেশি করে বাষ্প উঠতে থাকবে। এভাবে ১০ মিনিট ভাপ নিতে হবে।

- পানিতে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান মেশাতে পারেন। যেমন- ১ চামচ যোয়ান, ২টি লেবুর রস অথবা খোসা, ২ চামচ থেঁতো মৌরি। এগুলো আপনার ত্বকের যত্নে দারুণ ভূমিকা পালন করবে।

- ভাপ নেওয়া শেষ হলে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। তারপর তোয়ালে দিয়ে ত্বক মুছে নিন।

- সব শেষে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম মেখে নিন। হয়ে গেল স্টিম ফেসিয়াল।

লাল-সবুজে বিজয় সাজ

ranna banna o beauty tips
লাল-সবুজে বিজয় সাজ
অনেক ত্যাগের বিনিময়ে বাঙালির বিজয় যাত্রা শুর হয়েছিল ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বরে। দিনটি তাই প্রতিটি বাঙালি হৃদয়ে বিশেষভাবে জাগ্রত। উৎসব প্রিয় এ জাতি বিজয়ের আনন্দে সাজবে, এটাই স্বাভাবিক।

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর আসতেই সবার মধ্যে শুরু হয়ে গেছে নানা তোড়জোড়। অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার সঙ্গে দিবসভিত্তিক সাজ-পোশাকের ব্যাপারটা আমাদের সংস্কৃতিতে জড়িয়ে আছে অনেক আগে থেকে। এবারও বিজয় দিবসে ফ্যাশন সচেতন মানুষের আয়োজনের কমতি নেই। মানুষের অঙ্গে জড়িয়ে থাকতে পারে আমাদের জাতীয় পতাকার লাল-সবুজ আবহ।

যেকোনো উৎসব মূলত তারুণ্য নির্ভর। বিজয় দিবসের প্রতি শ্রদ্ধা আর সবার চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে দেশের নামকরা ফ্যাশন হাউজগুলো সেজেছে আপন উদ্যোগে। আপনার ইচ্ছার পূর্ণতা মেলাতে সে আয়োজনের জুড়ি নেই। তাদের নান্দনিক সৃষ্টিকর্মে আপনার ইচ্ছা পেতে পারে নতুন মাত্রা। বেছে নিতে পারেন পছন্দের পোশাক আর অনুষঙ্গ।

বিজয় দিবসের সকালে পরনের সব কিছুতেই থাকতে পারে লাল-সবুজের ছোঁয়া। মেয়েরা পরতে পারেন লাল-সবুজ শাড়ি। লাল পাড়ওয়ালা সবুজ শাড়ি কিম্বা সবুজ পাড়ের লাল শাড়ি বেশ মানিয়ে যায়। শাড়ি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সাধারণ হওয়ায় ভালো। তবে সময়টা শীতকাল হওয়ায় কাঁধে একটা লাল বা সবুজ শাল রাখতে পারেন। তাহলে দিনভর থাকবেন শীতের কষ্টমুক্ত।
ranna banna o beauty tips
লাল-সবুজে বিজয় সাজ
তরুণীদের অনেকে লাল সবুজ থ্রি-পিস পছন্দ করে। কেউ কেউ টপস বা ফতুয়াও বেছে নিতে পারেন। ফ্যাশন হাউজগুলোর আয়োজনে পাবেন প্রয়োজনের সবকিছু।

কপালে বড় লাল টিপে ভালো মানাবে যে কোনো তরুণীকেই। লাল লিপস্টিক ব্যবহার করা যেতে পারে। সঙ্গে সবুজ বা লাল রঙের মাথার ব্যান্ড। আর হাতে লাল সবুজ চুড়ি থাকা চাই-ই।

ছেলেরা সবুজ রঙের পাঞ্জাবি পরতে পারেন। আকাশি রঙের জিন্স কিংবা সাদা পাজামা মানিয়ে যাবে। সবুজ পাঞ্জাবিতে লালের উপস্থিতি আপনার সৌন্দর্যও বাড়িয়ে দেবে অনেক বেশি। পাঞ্জাবি ছাড়াও টি-শার্ট পরতে পারেন। বিজয় দিবসের থিম অবলম্বনে করা এসব টি-শার্ট আপনার স্মার্টনেস বাড়িয়ে দেবে শতগুণ।

মেয়ে শিশুদের লাল-সবুজ শাড়িতে অসাধারণ লাগে। ছেলে বাচ্চাদের সাজেও থাকতে পারে লাল সবুজ আবহ। পতাকার রঙে রাঙানো রিস্ট ব্যান্ড কিনে হাতে পরতে পারেন ছোট বড় সবাই। মাথায় পেঁচাতে পারেন পতাকার ছাপ দেয়া লম্বা কাপড়ের ব্যান্ড। চোয়ালে বা হাতে এঁকে নিতে পারেন বিজয় দিবসের নানা ট্যাটু। সবকিছুই যেনো হয় বিজয় দিবসকে মাথায় রেখে।






কেবল ডিম দিয়েই তৈরি করুন দারুণ মজার চাইনিজ খাবার "শেইং শেজুদান"

ranna banna o beauty tips
"শেইং শেজুদান"
বাড়িতে টমেটো ও ডিম আছে? তাতেই চলবে! এই দুটি উপাদান দিয়ে ঝটপট তৈরি করে ফেলতে পারেন ডিনারের জন্য একটি দারুণ ডিশ। রেসিপি দিচ্ছেন  শারমিন হক।

উপকরণ
- ডিম ৩ টি
- টমেটো ৩ টি (ডিম ও টমেটো সম পরিমাণ)
- স্প্রিং অনিয়ন
- ফুলকপি,ব্রকলি পাতলা করে কাটা  ( মূল চাইনিজ রেসিপিতে এটা দেয়া হয় না)
- কালো গোল মরিচ গুড়া
- লবণ
- তেল
- টমেটো সস (ঝাল পছন্দ করলে হট টমেটো সস দিতে পারেন।
- অয়েস্টার সস (না দিলেও সমস্যা নেই)

প্রস্তুত প্রনালি

    -ফ্রাই প্যানে অল্প তেল দিয়ে ফুলকপি, ব্রকলি দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে তাতে টমেটো,স্প্রিং অনিয়ন, লবণ, গোল মরিচ গুঁড়ো দিয়ে ৪/৫ মিনিট ভেজে নামিয়ে নিন।
    -এবার সামান্য লবণ ও গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে ডিম গুলো ফেটে নিন। এমনভাবে ফেটাবেন যাতে ফেনা না হয়।
    -এবার প্যানে তেল দিন। তেল গরম হলে ডিম দিয়ে দিন। ২ মিনিট পর ডিমটা চামচ দিয়ে ভেঙ্গে দিয়ে ভেজে রাখা টমেটো সবজি দিয়ে দিন।
    -অয়েস্টার সস দিয়ে ভাল করে নেড়ে নামিয়ে নিন। এবার পছন্দমত গার্নিশি করে সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

শীতের আমেজে গরম গরম ডিম চিতই

ranna banna o beauty tips
গরম গরম ডিম চিতই
শীত এসেছে আর চিতই পিঠা খাওয়া হবে না, সে কি হয়। একদম না! হরেক রকম ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খেতে আমরা সবাই ভালোবাসি। চলুন, আজ তাহলে জেনে নিই একটি ভিন্নধর্মী এক চিতই পিঠার রেসিপি। ঝাল চিতইয়ের মত আজ আমরা তৈরি করবো ডিম চিতই। রেসিপি দিচ্ছেন বীথি জগলুল।

পিঠার ব্যাটার তৈরি করতে লাগবে
চালের গুঁড়া- ৩ কাপ
ডিম- ২টি
লবণ- ১ চা চামচ
গোলমরিচ গুঁড়া- স্বাদমতো
বেকিং পাউডার- ১ চা চামচ
কুসুম গরম পানি- দরকারমতো

টপিং-এর জন্য লাগবে
সেদ্ধ ডিম- ২টি
স্প্রিং ওনিওন কুচি- ২-৩টি
কাঁচামরিচ কুচি- ১টি
ধনেপাতা কুচি- ৩/৪ টে চামচ

    - ডিম পাতলা পাতলা করে পিস করে নিন। ডিম ছাড়া টপিং-এর সবকিছু একসাথে মিশিয়ে রাখুন।

প্রণালি

    -চালের গুঁড়ার সাথে গোলমরিচ গুঁড়া ও ফেটানো ডিম মিশিয়ে নিন। এবার পরিমাণমতো কুসুম গরম পানি দিয়ে ঘন ব্যাটার বানিয়ে নিন।
    -ব্যাটার বেশ অনেকক্ষন ধরে হাত দিয়ে গোলাবেন, তাহলে পিঠা নরম হবে।
    -ব্যাটার করা হলে ২-৩ ঘন্টার জন্যে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। বানানোর আগে বেকিং পাউডার মিশিয়ে নেবেন।
    -মৃদু থেকে মাঝারি আঁচে ভারি লোহার কড়াই অথবা মাটির খোলা গরম করে নিন। বড়ো ডালের চামচ দিয়ে ২ চামচ ব্যাটার দিয়ে মাটির ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন।
    -কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করে ঢাকনা তুলে পিঠার মাঝখানে এক টুকরা সেদ্ধ ডিম দিয়ে চারপাশে টপিং-এর উপকরন দিন। আবার ঢাকনা দিয়ে দিন।
    -মাঝখানে একবার ঢাকনার চারপাশ দিয়ে অল্প করে পানি দিয়ে দিন। পিঠার চারপাশ উঠে উঠে আসলে নামিয়ে নিন।
    -এইভাবে সবগুলি পিঠা বানিয়ে নিন। নীচে মুচমুচে ও উপরে নরম তুলতুলে পিঠা হবে।
    -বিভিন্ন রকম ভর্তা দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

চটজলদি অতিথি আপ্যায়নে তৈরি করে ফেলুন মাসালা ঘি রাইস

ranna banna o beauty tips
মাসালা ঘি রাইস
মেহমান সব সময় বলে কয়ে আসে না। আর মাঝে মাঝে এমন অবস্থা হয় যে হুট করে অতিথি চলে এসেছে অথচ ঘরে কিছুই নেই, কিচ্ছু না। মজার মজার খাবার রান্নার সময়ও নেই। তখন উপায়? চিন্তিত হবেন না। জেনে রাখুন দারুণ সুস্বাদু মাসালা ঘি রাইসের রেসিপিটি। এটি মূলত রাজস্থানি একটি খাবার। নেহায়েত আনাড়ি রাঁধুনিও এটা রান্না করতে পারবে। আর ঘিয়ের মোহময় স্বাদে আপনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে যাবে মেহমান।
উপকরণ

    -   ২ কাপ ভাত
    -   এক চা চামচ জিরা
    -   ২টি তেজপাতা
    -   ৫০ গ্রাম কাজুবাদাম
    -   ৬টা কারি পাতা
    -   ৩টা কাঁচামরিচ
    -   ২টা পিঁয়াজ কুচানো
    -   লবণ স্বাদমতো
    -   হলুদ গুঁড়ো প্রয়োজনমতো
    -   ১ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
    -   ২ টেবিল চামচ ঘি
    -   আধা কাপ মটরশুঁটি

প্রণালী

১) একটি বড় প্যানে ঘি গরম করে নিন। এতে দিয়ে দিন জিরা, তেজপাতা, কাজুবাদাম, কারি পাতা, কাঁচামরিচ, মটরশুঁটি, পিঁয়াজ কুচি, লবণ এবং হলুদ। কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে রান্না করতে থাকুন। মশলাটা রান্না হয়ে গেলে এতে দিয়ে দিন মরিচ গুঁড়ো। মরিচ গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে নিন বাকি মশলাটার সাথে।

২) এবার রান্না করে রাখা ভাত দিয়ে দিন এই মশলার মাঝে। নেড়েচেড়ে নিন যাতে পুরো ভাতে মশলা মিশে যায়। ভাতটা গরম হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন।

২০ মিনিটে তৈরি করে ফেলুন খাস চাইনিজ ডিশ জেনারেল সো চিকেন

ranna banna o beauty tips
জেনারেল সো চিকেন
এক চাইনিজ জেনারেল, সো সুংটাং এর নামের সাথে মিল রেখে এই খাবারের নাম। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, সেই জেনারেল নিজে কখনোই এই খাবারটি খাননি! চীনের হুনান প্রদেশ থেকে উঠে আসা এই খাবারটি চাইনিজ ডিশ হিসেবে বিশ্বের অনেক দেশেই প্রসিদ্ধ। আপনিও মাত্র ২০ মিনিটেই তৈরি করে ফেলতে পারবেন সহজ এই খাবারটি। চলুন, জেনে নেই এর রেসিপি।
উপকরণ:

    -   ৪৫০ গ্রাম হাড় ছাড়া মুরগীর পায়ের মাংস, কিউব করে কাটা
    -   ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল
    -   লবণ স্বাদমতো
    -   গোলমরিচ গুঁড়ো স্বাদমতো
    -   ১টা ডিম
    -   ১ টেবিল চামচ ময়দা
    -   ২ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার
    -   ২টা পিঁয়াজকলি এবং তার সাথে ছোট পিঁয়াজ
    -   ১ টেবিল চামচ তিলের তেল
    -   ১ চা চামচ আদা মিহি কুচি
    -   ১ টেবিল চামচ রসুন কুচি
    -   ১ টেবিল চামচ অয়েস্টার সস
    -   ১ টেবিল চামচ টমেটো কেচাপ
    -   ১ চা চামচ সয়া সস
    -   আধা চা চামচ চিনি
    -   ১ চা চামচ ভিনেগার

প্রণালী

১) প্যানে তেল গরম করে নিন।

২) একটা বোলে মুরগীর মাংস নিন। এতে লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো এবং ডিম দিয়ে মিশিয়ে ফেলুন। এতে ময়দা এবং কর্ন ফ্লাওয়ার দিয়ে ভালো করে মেখে নিন।

৩) তেলে এই মুরগী ডিপ ফ্রাই করে নিন। মুচমুচে সোনালি হয়ে এলে উঠিয়ে নিন।

৪) পিঁয়াজকলির পিঁয়াজটা মিহি করে কুচিয়ে নিন।

৫) সস তৈরির জন্য একটা নন-স্টিক প্যানে গরম করে নিন তিলের তেল। এতে পিঁয়াজ কুচিটা দিয়ে সাঁতলে নিন মিনিটখানেক। আদা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নেড়ে নিন। এরপর রসুন দিয়ে ভেজে নিন যতক্ষণ না রসুনটা সোনালি হয়ে আসে।
৬) প্যানে ফ্রাইড চিকেনটা দিয়ে দিন এবং টস করে নিন। এতে অয়েস্টার সস, টমেটো কেচাপ, সয়া সস, লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো এবং চিনি দিয়ে টস করে মিশিয়ে নিন।

৭) ভিনেগার দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এক মিনিট রান্না করুন। ওপরে পিঁয়াজকলি কুচি দিয়ে নামিয়ে নিন।

ভাতের পাতে ৬ রকমের ভর্তা

ranna banna o beauty tips
ভাতের পাতে ৬ রকমের ভর্তা
গরম ভাতের পাতে হরেক রকমের ভর্তা- শুনেই জিভে পানি চলে আসে, তাই না? ৬টি দারুণ ভর্তার রেসিপি নিয়ে আজ এসেছনে নদী সিনা । এই ভর্তাগুলো সুস্বাদু তো বটেই, সাথে স্বাস্থ্যকরও। চলুন, জেনে নিই রেসিপি।
১.কালোজিরা ভর্তাঃ

উপকরণঃ কালোজিরা সিকি কাপ, রসুনের কোয়া ১ টেবিল-চামচ, কাঁচামরিচ ৩-৪টি, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, সরিষার তেল ১ টেবিল-চামচ।

প্রণালীঃ রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ প্যানে টেলে নিতে হবে। তেল বাদে সব উপকরণ পাটায় বেটে তেল দিয়ে মাখিয়ে ভর্তা করতে হবে।

২.টমেটো ভর্তাঃ

উপকরণঃ টমেটো আধা কেজি, কাঁচা মরিচ ৫/৬টি, লবণ পরিমাণ মতো, পিঁয়াজ কুচি সিকি কাপ, ধনে পাতা কুচি সিকি কাপ, সরিষার টেল স্বাদ অনুযায়ী।

প্রণালীঃ টমেটো ধুয়ে পানি ঝড়িয়ে নিন। চুলায় ফ্রাই প্যানে টমেটোগুলি দিয়ে ঢেকে দিন অল্প আঁচে। ১০/১৫ মিনিট পর উটিয়ে দিন। টমেটো সিদ্ধ হয়ে গেলে প্যান থেকে নামিয়ে নিন। এবার টমেটোগুলির খোসা ছাড়িয়ে নিন। পাত্রে পিঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, ধনে পাতা কুচি নিন। হাতে মেখে টমেটোগুলি তার সাথে মিশিয়ে ভর্তা করে নিন। তেল যোগ করুন। তৈরি হয়ে গেল চমৎকার টমেটো ভর্তা।

৩.লাউপাতা /কুমড়া পাতা ভর্তাঃ

উপকরণঃ কচি লাউপাতা/কুমড়া পাতা ১৫/২০টি, চিংড়ি ১/২ কাপ ছোট, পেঁয়াজ ১/৪ কাপ, কাঁচামরিচ যে যেমন ঝাল খাবেন , রসুন ১ টেবিল চামচ ,লবণ সাদমত, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ।

প্রণালীঃ লাউপাতা ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এইবার বাকি সব দিয়ে প্যানে একটু নেড়ে পানি শুকিয়ে নিন। পানি শুকিয়ে গেলে পেস্ট করে নিন। সব শেষে সরিষার তেল মেখে পরিবেশন করুন।

৪. বেগুন ভর্তাঃ

উপকরণঃ বেগুন - ৪০০ গ্রাম, সরিষার তেল - ১ টেবিল চামচ,পেঁয়াজ কুচি - ১/৪ কাপ,কাঁচামরিচ - ৪-৫ টা (কুচি করে দিতে পারেন অথবা হাল্কা করে টেলে নিয়ে ভর্তা করে দিতে পারেন),ধনিয়াপাতা কুচি- ২ টেবিল চামচ (ইচ্ছা),লবণ- ১ চা চামচ অথবা পছন্দমত।

প্রণালীঃ বেগুন নরম হওয়া পর্যন্ত পুড়িয়ে নিন। বেগুন পোড়া হয়ে গেলে বেগুনটা ঠান্ডা হতে দিন। তারপর চামড়া আস্তে আস্তে ছাড়িয়ে নিয়ে ভাল করে ভর্তা করে নিন। তারপর পেঁয়াজকুচি, মরিচকুচি, লবণ ও ধনিয়াপাতাকুচি ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

৫. সবজির ভর্তাঃ

উপকরণঃ আলু ২টি, মিষ্টি কুমড়া আধা কাপ, ফুল কপি ১ কাপ, ব্রকলি ১ কাপ, বরবটি ১ কাপ,গাজর ১/২ কাপ , লবণ পরিমাণমতো, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ/শুকনা মরিচ ভাজা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি সিকি কাপ, ধনেপাতা কুচি ৪ টেবিল চামচ।

প্রণালীঃ সব সবজি চারকোনা করে কেটে নিন। সব সবজি সামান্য লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন।
এরপর সবজিগুলো একসঙ্গে ভর্তা করে সরিষার তেল, কাঁচা মরিচ কুচি, পেঁয়াজ কুচি ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে মেখে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

৬.পালংশাক ভর্তাঃ

উপকরণঃ পালংশাক ২০০ গ্রাম , কাঁচা মরিচ/ শুকনা মরিচ ভাজা ৫ থেকে ৬ টি পেয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ। লবণ ও সরিষার তেল -নিজের পছন্দ মত।

প্রনালীঃ প্রথমে পালংশাক ভাল করে ধুয়ে বড় করে কেটে যে কোন পাত্রে সিদ্ধ করে নিন। শাক সিদ্ধ হয়ে গেলে পেয়াজ কুচি, মরিচ ও লবণ হাত দিয়ে চেটকিয়ে মিহি করুন। তারপর সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে পরিবেশন করুন। শীতের দিনে গরম গরম ভাতের সাথে শাক ভর্তা অনেক সুস্বাদু লাগে।

নাস্তায় মুখরোচক ফিশ শাসলিক

ranna banna o beauty tips
ফিশ শাসলিক
পুষ্টিগুণঃ

মাছে আছে প্রাণীজ প্রোটিন। মাছের প্রোটিন দেহ গঠনে সাহায্য করে। এছাড়া মাছের তেলে উপকারী ফ্যাট আছে। আছে সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন বি-৬,ভিটামিন বি-১২ ও আয়রন।

উপকরণঃ

- কাঁটা ছাড়া মাছের পিঠের অংশ ৫০০ গ্রাম
(যে কোনো কাঁটা ছাড়া নরম মাছ হলে ভালো। সামুদ্রিক মাছেও চমৎকার হয়)
- আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা আধা চা-চামচ
- জিরা গুঁড়া আধা চা-চামচ
- মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ
- গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ
- লবণ পরিমাণমতো
- টমেটো সস ১ টেবিল চামচ
- ওয়েস্টার সস ১ চা-চামচ
- ফিশ সস ১ চা-চামচ
- চিলি সস ১ চা-চামচ
- লেবুর রস এক টেবিল চামচ
- সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ (মাখানোর জন্য)
- পেঁয়াজ ভাজে ভাজে খোলা খোলা আধা কাপ
- কাঁচামরিচ আস্ত ৮-১০টি,
- গাজর স্লাইস আধা কাপ,
- সবুজ ক্যাপসিকাম ১টি,
- টমেটো ৩টি।
- শাসলিকের কাঠি প্রয়োজনমত
- ভাজার জন্য তেল

প্রণালীঃ

- কাঁটাছাড়া বড় মাছের পিঠের অংশ আধা ইঞ্চি কিউব করে কেটে নিন।ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে সব মসলা মিশিয়ে ৪০-৫০ মিনিট রেখে দিন।

- এবার মাছের সঙ্গে খোলা পেয়াজ, কাঁচা মরিচ, গাজর স্লাইস ও টমেটো মেখে নিতে হবে।

- এরপর শাসলিক কাঠিতে একে একে সব গেঁথে নিতে হবে।

- ফ্রাইপ্যানে সামান্য তেল দিয়ে গরম হলে কাঠি গুলো বিছিয়ে দিতে হবে।

- একদিক হয়ে গেলে উল্টে দিতে হবে।

- মাঝে মাঝে মসলা ব্রাশ করে দিতে হবে।

- হালকা পোড়া বাদামি রং হলে নামিয়ে ফেলতে হবে।

- সসের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার ফিশ শাসলিক।
বলাই বাহুল্য যে খাবার আয়োজনে শাসলিক একটি অত্যন্ত আকর্ষনীয় খাবার। আমরা প্রায় সবাই চিকেন শাসলিক খেয়েছি। কিন্তু মাছ দিয়েও যে শাসলিক করা যায় তা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। বিকেলের নাস্তা হিসেবে ফিশ শাসলিক বেশ পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খাবার হতে পারে। আসুন জেনে নেয়া কাজ ফিশ শাসলিকের পুষ্টিগুণ ও রেসিপি।

রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৫

দই ফুচকা

দই ফুচকা
ফুচকা উপকরণ ও প্রস্তুত প্রণালী :
ময়দা ১ কাপ, সুজি ১/২কাপ, তালমাখনা ১ চা চামচ (মসলার দোকানে পাওয়া যায়), লবণ, পানি এক সঙ্গে মাখিয়ে ডো তৈরী করুন। এবার রুটির মতো বেলে বিস্কিট কাটার, গ্লাস অথবা বয়ামের মুখ দিয়ে ফুচকার আকৃতি করে কেটে নিন। গরম ডুবো তেলে ফুচকাগুলো ছেড়ে দিন। ফুলে উঠে লালচে হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন।

পুরের উপকরণ ও প্রস্তুত প্রণালীঃ
দুই কাপ পরিমান সেদ্ধ আলু নিতে হবে। এরপর দুই টেবিল চামচ আস্ত ধনে, দুই টেবিল চামচ জিরা ও এক টেবিল চামচ গোলমরিচ একসঙ্গে শুকনা তাওয়ায় নিয়ে ভাজতে হবে এবং ঠান্ডা হলে গুঁড়া করে নিতে হবে। এরপর সেদ্ধ আলুর ভেতর এগুলো দিয়ে মাখাতে হবে।

দইয়ের সসের উপকরণ ও প্রস্তুত প্রণালীঃ
দই দুই কাপ, লবণ ১ চা চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ১/২ কাপ (খুব মিহি কুচি) একসঙ্গে ফেটে নিতে হবে।

দই ফুচকা প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রতিটি ফুচকার উপরে কিছুটা ভেঙ্গে নিন। এরপর ভাঙ্গা অংশে পুর ঢুকিয়ে নিন। এরপর ফুচকার উপর দইয়ের সস দিয়ে দিন। এবার দইয়ের উপর পুদিনা কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি ও ভাজা জিরা গুড়া দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার দই ফুচকা।

সবজি চিকেন

ranna banna o beauty tips
সবজি চিকেন
প্রয়োজনীয় উপকরণ:

চিকেন কিমা ৫০০ গ্রাম, পিঁয়াজ কুচি ২ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ২ কাপ, ব্রোকলি কুচি ২ কাপ, ঢেঁড়শ কুচি ২ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ, জিরা গুড়া আধা চা চামচ, আদা-রসুন বাটা ১ চা চামচ, কাঁচা মরিচ কাটা ৬ টি, তেল ২ টেবিল চামচ, রসুন কাটা ২ টেবিল চামচ, সয়াসস ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ।



প্রস্তুত প্রণালী:

চিকেন কিমাতে লেবুর রস, লবণ, আদা, রসুন বাটা মিশিয়ে আধাঘণ্টা রেখে দিতে হবে। একটি প্যানে গরম তেলে রসুন দিয়ে বাদামী করে ভাজতে হবে। এবার চিকেনে সয়াসস মিশিয়ে ভাজতে থাকুন। মাঝারি আঁচে মিনিট পাঁচেক ভাজার পর সব সবজি, কাঁচা মরিচ, দিয়ে ঢেকে রাখুন। দশ মিনিট পর জিরাগুঁড়া, এলাচ গুঁড়া, কাঁচা মরিচ দিয়ে অল্প আঁচে পাঁচ মিনিট রান্না করুন। এবার গরম ভাত বা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন মজার স্বাদের সবজি-চিকেন।

রাশিয়ান পটেটো সালাদ

ranna banna o beauty tips
রাশিয়ান পটেটো সালাদ
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
  •     চৌকো করে কাটা সিদ্ধ আলু- ১ কাপ
  •     মটরশুঁটি, ফ্রেঞ্চ বিন, বরবটি, ভুট্টা ইত্যাদি যা যা আপনার পছন্দ- ১/২ কাপ (সিদ্ধ করে নেয়া, না দিলেও সমস্যা নেই)
  •     গাজর, টমেটো, ক্যাপ্সিকাম, আপেল, বীজ ফেলা শশা- ১/২ কাপ
  •     ডিম সিদ্ধ- ২ টি
  •     মেয়নেজ- ১/২ কাপ (চাইলে একটু বেশিও দিতে পারেন)
  •     চিনি সামান্য
  •     লেবুর রস- ১ চা চামচ
  •     কমলার রস- ২ টেবিল চামচ
  •     গোল মরিচ গুঁড়ো
  •     গলিত মাখন- ২ টেবিল চামচ
  •     মুরগির বুকের মাংস বা টুনা ফিশ ১ কাপ


প্রস্তুত প্রণালী:

    সব সবজি আলুর আকারেই কেটে নেবেন। সিদ্ধ করা সবজিগুলো ভালোভাবে ঠাণ্ডা করে নিবেন।
    ডিমের কুসুম দুটি বের করে নিন। তারপর সাদা অংশটিও চৌকো করে কেটে নিন।
    মুরগির মাংস বা টুনা ফিশকে হালকা আদা রসুন ও লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। ঠাণ্ডা করে টুকরো করুন বা ছাড়িয়ে নিন হাত দিয়ে।
    এবার ডিমের কুসুম দুটি একটি বাটিতে নিন। এর সাথে লেবু ও কমলার রস, মাখন, চিনি দিয়ে ভালো করে মেশান। কুসুম মসৃণ হলে মেয়নেজ দিন ও ভালো করে মেশান।
    তারপর আলু, সিদ্ধ সবজি ও মুরগি/টুনা দিয়ে দিন। এভাবে রেখে দিন ১০ মিনিট।
    পরিবেশনের ঠিক আগে কাঁচা সবজি ও গোলমরিচ মিশিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার রাশিয়ান সালাদ।

রাশিয়ান মিক্সড সালাদ

ranna banna o beauty tips
রাশিয়ান মিক্সড সালাদ
রাশিয়ান সালাদ খুব উপাদেয় একটি খাবার। এতে ডিম, মাংস, অনেক ফল ও সবজি থাকে। ফলে পুষ্টিগুণে ভরপুর এই সালাদ।

 প্রয়োজনীয় উপকরণ:

টক দই (ফুল ক্রিম) আধা লিটার। সিদ্ধ ডিম ১টি। আলু সেদ্ধ ২টি (মাঝারি আকারের)। ছোট শসা ২টি। আমড়া ৩-৪টি, সিদ্ধ গাজর ১টি। সুইট কর্ণ আধা কাপ। মুরগির বুকের মাংস (সিদ্ধ বা অল্প তেলে লবণ দিয়ে ভাজা) আধা কাপ। লবণ পরিমাণমতো। গোলমরিচের গুঁড়া পরিমাণমতো।

 প্রস্তুত প্রণালী:

    প্রথমে টক দইটুকু একটা পাতলা কাপড়ে নিয়ে অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর একটা বড় বাটিতে দই, লবণ, গোলমরিচ গুঁড়া ও সুইট কর্ন ছাড়া বাকি সব উপকরণ কিউব করে কেটে রাখুন।
    এরপর এতে টকদই, সুইট কর্ন, লবণ এবং গোলমরিচ দিয়ে মাখিয়ে নিন।
    হয়ে গেল সহজ, টেস্টি, লো ফ্যাট রাশিয়ান সালাদ। এ সালাদ যেমন শুধু খাওয়া যায়। তেমনি হাতে বানানো রুটি বা পাউরুটি দিয়েও খেতে মজা।

 

দই ফলের সালাদ

দই ফলের সালাদ
খুব কম সময়ে পুষ্টিকর খাবার তৈরির কিছু রেসিপি জানলে, কর্মজীবীরা উপকৃত হবেন। আপনাদের জন্যই দই ফলের সালাদের রেসিপি।

প্রয়োজনীয় উপকরণ:
  •     মিষ্টি দই২৫০ গ্রাম
  •     ফল ৫০০ গ্রাম
  •     ভাজা শুকনো মরিচ গুঁড়ো ১ টেবল চা (কিংবা স্বাদমতো)
  •     লবন স্বাদমতো
  •     বীট লবন স্বাদমতো
  •     গোল মরিচের গুঁড়ো এক চা চামচ
প্রস্তুত প্রণালী:

    মিষ্টি দইয়ে শুকনো মরিচ টেলে তার গুড়া মিশিয়ে, লবন, বীট লবন, গোল মরিচের গুড়া দিয়ে ভালো করে ফেটে নিয়ে পছন্দের ফল দিয়ে সালাদ করে খেলে শরীরের জন্য খুব ভালো। এ গরমে শরীরকে ঠান্ডা করে, ঘাটতি পূরন করবে। কলা, পেঁপে, বাঙ্গি, পেয়ারা, কামরাঙা, আম, কমলা, আপেল, আঙ্গুর হাতের কাছে যা ফল পাবেন তাই সালাদে দিয়ে খেতে পারেন।
    খেয়াল রাখতে হবে এটা বানিয়ে অনেকক্ষণ রেখে দেয়া যাবে না। সাথে সাথেই খেয়ে নিতে হবে। এতে স্বাদ আর পুষ্টিগুন দুটোই ঠিক থাকবে।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.